ভরা বাদর, মাহ ভাদর, শূন্য মন্দির মোর.. ♪♫♪
লুপে পড়ে আছি।
গানের, ভাদরের নয়। বৃষ্টি চমৎকার জিনিস, বাইরের কাজকম্মো না থাকলে পাতলা একখানা চাদর পায়ের ওপর টেনে আর ভোটকা একখানা তাকিয়ায় ঠেস দিয়ে মুড়ি-চানাচুরসমেত বরিষণের সুর কর্ণকুহরে সাময়িক বড়ো সুমধুর ঠেকে বটে। ফেসবুকে ঢুকলে রোমান্টিক বাঙালির আদ্র স্ট্যাটাসসমগ্রের দেখা মেলে, উদ্ভিন্নযৌবনা রূপসীরা লাল নেইলপালিশ মাখা আঙুল গাড়ির জলছাপ মাখা জানালার কাচে ঠেকিয়ে পিপি দেন, সেও ভি আচ্ছা।
কিন্তু দিনের পর দিন একটানা, একঘেঁয়ে বৃষ্টিবিঘ্নিত স্যাঁতস্যাঁতে সপ্তাহ কাটিয়ে আর রাস্তা উপচে বয়ে যাওয়া প্রায় হাঁটু ছুঁইছুঁই নোংরা পানির দিকে তাকিয়ে ক্যামন মেজাজ খারাপ হয়, কন দেখি!
দীর্ঘ ছুটিতে বাড়ি এসেছিলাম, সে প্রায় শেষের পথে। বিদায় সম্ভাষণের ভাষণ তৈরির ফাঁকে ফাঁকে গোটা কয় বই পড়া চলছে, ভাবলাম হাতের জনকে নিয়ে দু'লাইন টুকে রাখি।
শুরুতে দুটো হিন্টস দিই।
ক) ইহা হয় একটি গাঁট খসানো পুস্তক (মূল্য বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৫০০ টাকার মতো)।
খ) এবং ইহা একটি লোভনীয় লেভেলের ভোজ্য, মানে প্রচ্ছদ-বাঁধাই-অঙ্গসজ্জা সব মিলিয়ে এতো চমৎকার প্যাকেজ, কেটেকুটে খেয়ে ফেলার ইচ্ছে হতে পারে।
বাকিটা আপনাদের বিবেচনা।
সত্যজিৎ রায় লোকটা যে নামেও সইত্যজিৎ ছিলো, আর কামেও, সে তো জানেন। লোকটা বাড়াবাড়ি লম্বু ছিলো, আবার বাড়াবাড়ি প্রতিভাবান-ও। হুদাই। শিশুপালন সিরিজের পরীর ছানাদের ভাষায় যাকে বলা চলে 'নট ফেয়ার'।
এ বই সত্যজিতের তূলনামূলক কম আলোচিত দিক আঁকাআঁকির বয়ান, দেবাশীষ দেবের কলমে। তিনিও আঁকিয়ে অবশ্য, পড়েছেন কমার্শিয়াল আর্ট নিয়ে। সন্দেশ পত্রিকায় ইলাস্ট্রেশন করার বরাতে দুজনের ছিলো ব্যক্তিগত পরিচয়ও। ৯২তে সত্যজিতের মৃত্যুর পর থেকে প্রচ্ছদ আঁকার জগত, বিশেষত গ্রাফিক্স ডিজাইনে তাঁর অবদান নিয়ে দেবাশীষ লিখতে শুরু করেন।
বহু শ্রমসাধ্য বইটি পূর্ণাঙ্গ রূপে প্রথম প্রকাশিত হয় আনন্দ থেকে, ২০১৪'র নভেম্বরে।
শান্তিনিকেতনের কলাভবনে পড়ার পাট চুকিয়ে ১৯৪২ সালের ডিসেম্বরে সত্যজিৎ রায়ের কর্মজীবনের শুরুটা জুনিয়র আর্টিস্ট হিসেবে, বিজ্ঞাপন সংস্থা ডি.জে.কিমারে। পরবর্তীতে সিগনেট প্রেস থেকে প্রকাশিত বিভূতিভূষণের 'আম আঁটির ভেঁপু'র প্রচ্ছদ করতে গিয়ে রায় মহাশয়ের মাথায় আসে পথের পাঁচালি নিয়ে ছবি বানানোর কথা। ১৯৫৫তে মুক্তি পাওয়া পথের পাঁচালির অভাবনীয় সাফল্য আর খ্যাতি সত্যজিৎকে সরিয়ে নিয়ে যায় বিজ্ঞাপনের দুনিয়া থেকে। বছর ছয়েকের মাথায় সন্দেশ পুনঃপ্রকাশের ভার নিয়ে তিনি জড়িয়ে পড়েন লেখালেখি আর সম্পাদনাতেও।
পেশাদার আর্টিস্ট হিসেবে পরিচয় চাপা পড়ে যাওয়ার সুত্রপাত অনেকটা তখন থেকেই।
'রঙ তুলির সত্যজিৎ' সেই ছাইচাপা দিকের উন্মোচনের চেষ্টা, একের পর এক আর্ন্তজাতিক মানের শৈল্পিক চলচ্চিত্রের নির্মাতা হিসেবে বিখ্যাত এই শিল্পীর করা অজস্র পত্রপত্রিকার প্রচ্ছদ, অঙ্গসজ্জা, লোগো, ক্যালিগ্রাফি, সিনেমার পোস্টারের বিশ্লেষণ, যেগুলোও শিল্পমান বিচারে কম আন্তর্জাতিক নয়।
কী অদ্ভুত তাঁর আঁকা বা করা একেকটা কাজ! নিখুঁতের চাইতেও বেশি নিখুঁত, কিন্তু বাহুল্যবর্জিত। একটা বাড়তি আঁচড় নেই, যা আছে তাই-ই মাথা ঘুরিয়ে এবং ঘুলিয়ে দেবার জন্য যথেষ্ট! জিম করবেটের ম্যানইটারস অফ কুমায়ূনের অনুবাদ 'কূমায়ুনের মানুষখেকো'র প্রচ্ছদ করেছিলেন ১৯৫৩তে। হলুদ আর কালো, এ দুটো রঙ শুধু। বই পুরো মেলে ধরলে মনে হবে বাঘের শরীরে দুটো গুলির ফুটো। সামনের ছোটটা, যেটা দিয়ে গুলি ঢুকেছে, তাতে বই আর লেখকের নাম লেখা।
কীভাবে যে মাথায় খেলতো লোকটার এইসব আইডিয়া!
ফেলুদা, প্রফেসর শঙ্কু এ দুটো চরিত্র আমাদের মতো পাঠকদের সামনে এতো জীবন্ত হয়ে ওঠা লেখকের কলম না, তুলির-ও কৃতিত্ব! প্রচ্ছদ বা অলঙ্করণের পরিপাট্যের জোরে 'সোনার কেল্লা'র জয়সলমীরের ঝকমকে রোদ বা 'টিনটোরেটোর যীশু'তে হংকঙের রাস্তায় দাঁড়ানো ঐ ত্রিমূর্তি একদম জ্যান্ত হয়ে ভাসে না চোখের সামনে?
শুধু নিজের লেখাই নয়, সিগনেট প্রেস থেকে পুনঃপ্রকাশিত সুকুমার রায়ের 'পাগলা দাশু' বা অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'ক্ষীরের পুতুল' 'রাজ, কাহিনী'র সব অলঙ্করণ তো সত্যজিতের-ই করা। সেসব ছবির রঙচঙে সংযুক্তি এ বইয়ের সবচাইতে বড় আকর্ষণ। মিলিয়ে দেখলে বোঝা যায়, ইচ্ছেকৃত বা অনিচ্ছেকৃতভাবে সুকুমার রায়ের আঁকার ধরনে সত্যজিৎ কতোটা প্রভাবিত ছিলেন!
দুর্দান্ত ফিগার ড্রয়িং, কিন্তু খুঁতহীনতার দেমাগে গেরামভারি বা জড়োসড়ো নয়। কেমন খুশিখুশি আর মজাদার একেকটা সন্দেশের প্রচ্ছদ! আনকোরা সব ডিজাইনে হাজারটা ফর্মে করা টাইপোগ্রাফি, পিক্টোগ্রাফি বা নিছক নিজের সাক্ষর। সবকিছু নিয়েই অসংখ্য এক্সপেরিমেন্ট আর চোখ ধাঁধানো তার ফলাফলগুলো। কী চমৎকার জীবনানন্দ দাশের 'রূপসী বাংলা' আর সুধীন্দ্রনাথ দত্তের 'অর্কেস্ট্রা' বইয়ের প্রচ্ছদের লেটারিংগুলো! কিংবা মৈত্রেয়ী দেবীর 'ন হন্যতে'র প্রচ্ছদ।
একটা-ই মানুষ, অথচ কী কঠিন দখল অনেককিছুর ওপর!
মজা লেগেছে পথের পাঁচালীর জন্য সবগুলো দৃশ্য স্কেচ করে, সে খেরো খাতা হাতে প্রযোজকদের দরজায় ঘোরার গল্প পড়ে।
পরবর্তীতে দুয়ারে ধর্ণার প্রয়োজন আর কখনো না পড়লেও, দৃশ্য আঁকার অভ্যাসটা ছিলোই। আর নিজের চলচিত্রের মোটিফ, টাইটেল কার্ড, পোস্টার সব তো করতেন-ই।
'কাঞ্চনজঙ্ঘা' মুভিটার পোস্টারটা দেখলে কী মনে হবে জানেন? ঠিক যেন...
থাক থাক, আর কতো স্পয়লার দেবো?
বরং কিনে পড়ুন বইটা। এ জিনিস সংগ্রহে রাখা উচিত, থাকা উচিত।
বিশেষত আঁকাআঁকিতে একদা আগ্রহী বা চির আগ্রহী হলে তো বটেই।
__________________________________________
বই : রঙ তুলির সত্যজিৎ।
লেখক : দেবাশীষ দেব।
প্রকাশক : আনন্দ পাবলিশার্স।
প্রথম প্রকাশ : নভেম্বর, ২০১৪।
গুডরিডস লিঙ্ক
মন্তব্য
"যে জিনিসটা ছেলেবয়স থেকে বেশ ভালোই পারতাম সেটা হল ছবি আঁকা।"
"যখন ছোট ছিলাম" বইয়ে লিখেছিলেন সত্যজিৎ।
নিজের বইয়ের অলংকরণ নিজে করতেন। কি চমৎকার একটা ব্যাপার!
ইছামতীর প্রচ্ছদ কি সত্যজিৎ করেছিলেন? আমার খুব ভালো লাগে এইটা।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”
অলীক জানালা _________
নাহ।
সুত্র বলছে মিত্র ও ঘোষ থেকে বের হওয়া এই সংস্করণের শিল্পী রঘুনাথ গোস্বামী।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ইস্ এত পড়ে কখন এরা! সুন্দর ছবি। ছোট্ট পরিসরে সুন্দর বয়ান।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
বই ছাড়া কী আছে দুনিয়ায়, কন?
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
বইটা চমৎকার, কিন্তু এইটা মানবাধিকার ক্ষুন্নকারী পোস্ট।
পুরাটা দোকানে উল্টে-পাল্টে দেখেছি, ট্যাকাটুকা আছিল না।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
হে হে, আমিও পয়লাদিন গিয়া নেড়েচেড়ে, চোখটোখ মুছে উদাস মুখে রেখে চলে এসেছিলাম।
কিন্তু ঐ যে, দু'দিনের দুনিয়া..আজ মরলে পরশু কুলখানি, এইসব ভেবেটেবে পরের দিন কিন্যা ফালাইসি।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
বইটা কি ঢাকায় পাওয়া যাচ্ছে? কোথায় পাওয়া যেতে পারে? এবছরের শেষের দিকে কলকাতা ভ্রমণের ইচ্ছা আছে। টেকাটুকা ভালই বেরিয়ে যাবে বই কিনতে গিয়ে মনে হচ্ছে।
সীমান্ত রায়
পাঠক সমাবেশে পাবেন আশা করি।
বইতে দাম লেখা ৭৫০ রুপি। কলকাতা থেকে কেনাই সবচেয়ে ভালো আসলে।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আমি একসময় প্ল্যান করতাম সত্যজিতের সব বই কিনে মাথার কাছে রাখব। পরে দেখলাম মাথা রাখারই জায়গা নাই, আর বই । রিভিউ ভালৈছে, তবে ছুডু হয়ে গেছে এই যা।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
কতো বড়ো দুনিয়া, তবু নিজের একটা জায়গা বানানো কতো কঠিন! (গভীর ফিলোসফিক ইমো)
রিভিউ ছেড়ে বইটা দেখেন গা। এটা পড়ার না, দেখার বই।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
কতদিন ধরে যে হন্যে হয়ে সত্যজিতের আঁকাআকি সংক্রান্ত লেখা, খুজছি। যেখানে যা পেয়েছি সংগ্রহ করেছি। এই বইটার কথা শুনে তাই মনে হচ্ছে সোনার খনি!
পড়তে পড়তে যে অনুভূতিটা হলো সেটা প্রকাশেই বুঝি ইংরেজী এই মিম এর সৃষ্টি
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আমার টার্গেট আছে সত্যজিৎ রায় আর পথের পাঁচালী রিলেটেড সব ধরনের বইটই জোগাড় করে পড়তে চেষ্টা করা।
আপনি দেশে এখন? জলদি কিনে ফেলুন তাহলে এটা।
হ্যাপি রিডিং!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
সত্যজিতের পোর্ট্রেটগুলো নিয়েও একটা বই আছে, ওটাও চমৎকার।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
এইটা তো?
প্রতিকৃতি : সত্যজিৎ রায়
প্রকাশক : আনন্দ পাবলিশার্স।
প্রথম সংস্করণ : জানুয়ারি, ১৯৯৭।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
হ
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
পুরাই নট ফেয়ার!! এখন এই বই কোথায় পাই!!
____________________________
ইজি অপশনস।
ক) অনলাইনে অর্ডার দেন। বাতিঘর দেশের বাইরেও বই পাঠায় শুনেছি।
খ) কলকাতা গমনেচ্ছু কাউকে পটান।
আর ততক্ষণ এটা দেখেন। মুহুহুহু।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আচ্ছা, হাঁটুতে হেডফোন লাগায়া কি শোনেন?
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
হাঁটুবাহিনীর গান।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
বয়ে আনতে পারবোনা বলে বই কেনা যায়না
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
বয়ে নিতে পারবো না বলে এবার যথাসম্ভব কম বই কিনেছি। দেশ ছেড়ে যাওয়া আর বুকশেলফগুলো ছেড়ে যাওয়া কাছাকাছি টাইপের কঠিন।
মাধবীকানন পড়তে পারো সুযোগ হলে। ভাল্লেগেছিলো।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
সোনার কেল্লার সৌমিত্রকে দেখে খুব হতাশ হয়েছিলাম।দেখতে সত্যজিৎ এর আকা ফেলুদার মত না মোটেই!
ফেলুদা আর প্রফেসর শঙ্কু, দু'জনেরই কিন্তু চেহারায় ধীরে ধীরে বদল এনেছেন সত্যজিৎ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
হুম,আর জটায়ুকে বদলে পুরো সন্তোষ দত্ত বানিয়ে দিয়েছিলেন।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
"একটা-ই মানুষ, অথচ কী কঠিন দখল অনেককিছুর ওপর!" - এতটুকুতেই সবটুকু বলা হয়ে যায় এই লোকটা সম্পর্কে। তার ফেলুদা এবং অন্যান্য রচনা পড়ে ছোটবেলা পার করাটা শৈশবের একটা বিরাট অর্জন বলা যেতে পারে।
ফেলুদাসমগ্র ফের রিভাইজ দিয়ে দিয়েছি ছুটিতে।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
খুবই ভাল লাগলো পড়ে- জেনে- জানার জন্যে-
ধন্যবাদ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
নতুন মন্তব্য করুন