টুকটুক করে লাগেজ গুছাই। নাহ, উইন্টার ব্রেক না, স্টেট বদলাচ্ছি। পড়াশোনার পাট চুকলো, এবার ডর্ম থেকে তো খেদিয়ে দেবেই।
দু'বছর আগে এরকম একটা সময়ে লাগেজ গুছিয়েছিলাম দেশ ছাড়ব বলে। ২৬ বছরের একটা জীবনকে দুটো স্যুটকেসে তুলে আনার গল্পটা খুব সহজ ছিলো না। দিশেহারার মতো বারবার তাকাচ্ছিলাম বুকশেলফগুলোর দিকে। এদের ছেড়ে থাকবো কী করে? কতো অসংখ্য প্রিয় বই, গান্ধর্বী কী আবোল তাবোল...বেছে নেবো কাকে, সঙ্গী করে? শেষমেশ নেওয়া হয়নি কাউকেই, ওজনবাহুল্যের গেরোয় পড়ে।
ভেবেছিলাম, থাকগে। মানুষ ছেড়ে যেতে পারছি, জড়বস্তুতে আর কী এসে যায়!
আলবুকার্কি নামের একটা অজানা- অচেনা শহরে যখন এসেছিলাম, না শহরটাকে চিনতাম, না বাসিন্দাদের। আজ চারটা সেমিস্টার আর ২৪টা মাস কাটিয়েও শহরটাকে খুব বেশি চেনা হয়নি, সে দাবিও করা চলে না। হিমুদার একটা লেখায় পড়েছিলাম, প্রবাসে এলে মানুষ সবচেয়ে ভাল ভাবে চিনতে পারে নিজেকে।
মাঝে মাঝে সন্দেহ মনে হয়, সেও কি আসলে পেরেছি?
গ্রামের বাড়ি থেকে জ্যাঠা এসেছিলেন বিদায় দেখায়। জ্যাঠা, মানে বাবার বড় ভাই। তিনি পড়াতেন স্থানীয় এক মাদ্রাসায়, অধ্যক্ষ হিসেবে, তার কিছুদিন আগেই অবসর নিয়েছেন। ধরেই নিয়েছিলাম, মেয়েকে একা ইহুদি-নাসারাদের দেশে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে কী বুদ্ধিতে, সেটা নিয়ে লেকচার অপেক্ষা করছে আমার বা আমার বাবা-মার জন্য।
দেখা গেলো তিনি বিচলিত কেবল আমার খাওয়া-দাওয়া নিয়ে। এমনিতেই রাজ্যের বাছাবাছি করি, তায় হেঁশেলের ধারেকাছে ঘেঁষিনি কখনো।
'মারে, তুই তো না খেয়ে মরবি। দরকারে ভাত-ডাল, দু'একটা তরকারি, কীভাবে কী করতে হয়-- খাতায় লিখে নিয়ে যা। ওখানে তো কেউ নেই, কে তোর মার মতো জোর করে খাওয়াবে?'
সেদিন দুপুরেই এক প্রথিতযশা অনলাইন ব্যক্তিত্বের কাছ থেকে শুনতে হয়েছে, নাহ.. মিডলক্লাস ফ্যামিলিতে বাপ-মা ম্যানেজ করে এভাবে যেতে পারা তো রেয়ার কেস। দিলো? নাকি বিশেষ কেউ আছে ওখানে? হুঁ?
পয়লা পিত্তি জ্বলে গেলেও পরে মজা পেয়েছিলাম খুব। রাজ্যের বই পড়ে আর বইপড়ুয়ায় 'সি মোর' সাইজের রচনা ওগড়ালেই কি আর কেউ জাতে আধুনিক হয়রে ভাই?
এরকম বেশকিছু তথাকথিত সুশীল মানুষের সংগে সম্পর্ক নষ্ট হয়েছে গত কিছুদিনে। আবার নূতন করে তৈরি হয়েছে কোথাও না কোথাও, সেও ঠিক। ছবি তোলার টুকটাক শখ ছিলো, সেটা গড়িয়েছে নেশায়। ভয়াবহ নেশা যাকে বলে।
কদিন টিকবে কে জানে।
ছবি আমার কাছে গল্পের মতো, গল্প লেখার মতো। এক একটা ছবি এক একটা ক্যানভাসের মতো। হতে পারে, আবাল্য ছবি আঁকার শখ ছিলো বলে ক্যামেরাকে ক্যানভাস ভাবতে ইচ্ছে করে।
যেই ছবিটা দ্বিতীয়বার তাকিয়ে ভাবতে বাধ্য করে পেছনের গল্পটা বোঝার, সেইটা আমার প্রিয় ছবি। যে ছবির ক্যাপশান বা ডেসক্রিপশানে সেই ভাবনা বা খুব পছন্দের কোন নস্টালজিয়ার রেশ থাকে, সেই ফটোগ্রাফাররা আমার প্রিয়।
শুধু শুধু দু:খ বোনা মেঘছোঁয়া দিন আর অন্তহীন নীলে বিমর্ষ রাতের শেষে রংচটা দেয়ালগুলোতে ঘুরে ফিরে আধখানা আদরে একটা ছোট্ট স্মৃতিফলক হয়ে যাওয়া ছাড়া কী বাকি থাকে হাতে, বলেন!
২০১৫র মলাট বন্ধ স্মৃতির মূলে দুজন।
নওশিন, আমার রুমমেট। টুম্পা, বাল্যবন্ধু। প্রথমজন এমবিএর শেষ ধাপে, দ্বিতীয়জন ডক্টরালের।
সপ্তাহান্তের চরম আকাঙ্খিত উইকেন্ডে এক ছাদের নিচে যখন জড়ো হতাম, তখনো দম ফেলার সময় মিলতো কদাচিৎ। কারো হয়তো পেপার সাবমিশন শনিবার রাত বারোটায়, সোমবার প্রেজেন্টেশান আরেকজনের। বীভৎস সব গান ছেড়ে ততোধিক বীভৎস সব ঠাট্টা- মশকরায় ডুবিয়ে চা-বিস্কুট সহযোগে সাবমিশন বৈতরণী পারের রজনী আর দুদিন পর থাকবে কেবল ঐ স্মৃতিতেই।
দেশে মায়ের সঙ্গে স্কাইপতে ঝগড়া হয়েছে কারো, প্রফেসর জঘন্য কোন গ্রেড গছিয়েছে খামোকাই, আমি থম মেরে বসে আছি ল্যাপটপের সামনে, ভাত খাবো না আজকে রাতে মার্কা ছেলেমানুষি জিদ নিয়ে, আরেকজনের হয়তো সুপারভাইজার আধ ঘন্টা পর পর অবুঝের মতো আবদার করেই চলেছে কাল সকালের মধ্যে আপাত অসম্ভব কোন এক্সপেরিমেন্ট সারানোর।
সব মিলিয়ে এরকম অসংখ্য বিনিদ্র রাত কাটানোর স্মৃতি আমাদের।
এখন থেকে এইসব রজনী নিদ্রাহীন বা দারুণ দগ্দ্ধ হাক্লান্ত দিনের শেষে ফিরে দুদ্দাড় খেতে বসার ব্যস্ততার পাট শেষ। আর বসেই--- এত ঝাল কোন নরমাল মানুষ দেয় তরকারিতে? তিথী, তুই আসলে একটা মেন্টাল কেস!
এইসব গজগজানি শোনার অবসরও।
"দুরকম বন্ধু আছে পৃথিবীতে; একজন
ভিজিটিং আওয়ারে আসে, ফিরে যায় সূর্যাস্তের আগে।
অন্যজন বসে থাকে হাসপাতালের গেটে,
অনন্ত দুঃখের রাত জাগে।"
টুম্পা ছুটিতে দেশে গেল ক'দিন আগে। ক্যার্লিফোনিয়ার ফ্লাইট ধরতে ছোটার আগে তাকে ক্যাব অবধি এগিয়ে দিয়ে এসে বাকি পথটা ফিরলাম চোখ মুছতে মুছতে। তার ক'দিন পর গ্রাজুয়েশন গিফট হিসাবে এনওয়াইয়ের মানুষদের গল্প গোপনে আনিয়ে, গছিয়ে, কাঁদিয়ে নওশিন উড়ে গেলো ওহাইয়োতে। টেক্সাসের ফ্লাইট ধরবো বলে এখন আমার পালা পোটলা বাঁধার।
তারপর?
এবার তবে কোথায় নাও ভাসাবো?
দেয়াল থেকে টু ডু লিস্ট লেখা বোর্ড নামাই, মন বসাতে না পেরে ক্লাস লেকচারের ফাঁকতালে কেলভিনকে আঁকা কাগজের টুকরো দুমড়ে ফেলে দিই ট্র্যাশে, সমাবর্তনের কালো বোরকা আর টুপি সাবধানে প্যাক করে রাখি একদিকে। অতীব শখের নৌ-নীল সাইকেলটা ততোধিক অনিচ্ছায় ইউলকসহ বিক্রি করবো জানিয়ে ক্রেইগলিস্টে পোস্ট দিই। এক ক্লাসমেটের সংগে বেশ খাতির হয়েছিলো, থেরেসা, সে জড়ি্যে ধরে বিদায় জানায় শেষ ক্লাসের দিন। তাকে গুডবাই, দেখা হবে-- বাক্যবন্ধসমেত মেইল করা হয়। বিরতিতে দম ছাড়তে সচলে ঢুকি, অন্ধকারের দিনগুলি কিংবা সাক্ষীর লেখা পড়তে। আল মতিনু খাইরুম মিনান কাদেইরা, লাইনটা মনে পড়লেই হাসি চাপতে গিয়ে পেট ফুলে ওঠে।
তারপর আবার গোছগাছে লাগি।
এইতো, দু'বছরের জীবন তুলে নিয়ে আবার নূতন গন্তব্যের দিকে অগস্ত্য যাত্রা এভাবেই, আবারো।
জানি, এসব তুচ্ছতম পরিবর্তনে এতো বিচলিত হবার কিছু নেই। এটাই জীবন, এক স্টেশন থেকে অন্য স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে পা বাড়ানোর। তবু সকলি ফুরায়, ফুচকার গায়.. পড়ে থাকে শালপাতা।
পাতা উল্টাতে ভয় পাই আমি এখনো!
বায়োস্কোপের সেই মলিন, ধূলোপড়া বাক্সের মতো, যেখান থেকে হারিয়ে গেছে কৈশোরে হঠাৎ বড় হয়ে যাওয়ার দুঃস্বপ্নের দিন, বৃষ্টির পর হু হু করে বয়ে যাওয়া বুনো বাতাসের সোঁদা গন্ধ, ক্লাসটেস্টের আগের দিন টেস্টপেপারের নিচে চাপা দিয়ে পড়া ছোট্ট রাজপুত্র, পাড়ার মসজিদটার পাশে আবর্জনায় বুজে যাওয়া এক সময়কার টলটলে পুকুরে দেখা বাচ্চা একটা মেয়ের বোকা বোকা মুখের ছায়া।
হারিয়ে যায় প্রেম, অপ্রেম, ব্যর্থতা, নিরর্থক সাফল্য আর ক্লান্তিকর, ভীষণ মন্থর পৃথিবীতে বেঁচে থাকার অনর্থক অভিনয়।
'এক জীবনের নিঃসঙ্গতা নিয়ে দূরবর্তী বাতিঘরের দিকে নির্নিমেষ চেয়ে থাকা, বুঝি শেষ হতে চায় না।'
মন্তব্য
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
পড়তে পড়তে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পোস্টমাস্টার গল্পের কথা মনে পড়ে গেল। যেখানে রতনকে ফেলে পোস্টমাস্টার কলকাতায় ফিরে যাচ্ছেন, নদীতে নৌকায় উঠে একবার মনে হল ফিরে যাই, রতনকে নিয়ে আসি। আবার শান্তনা দিল মনকে, জীবনে চলার পথে এরকম কত ঘটনাই ত ঘটে , , , ,
সদস্য নামঃ ব্লগারাদিত্য
'পোস্টমাস্টার' অ-তি প্রিয় গল্প!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
বলে দিয়েছ যা বলার। ইদানীং কথাগুলো মাথায় এসে আটকে থাকে, মুখে কোনকালেই আসত না, এখন কলমে বা কীবোর্ডেও আর আসে না। তোমার লেখাটা পড়ে মনে হল লিখে দিলে অনেক কিছু আমার হয়ে।
ভাল থেক। দেশে এসে ঘুরে যাবে না একটু?
একদম শেষ লাইনটা তারেক রহীমের কবিতা থেকে নেয়া।
ফিরব তো, ফেব্রুয়ারিতে।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
বুকের ভেতর হুহু করে উঠলো।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
হুম।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
১।
হুমম! ২বছর আগে আপনার বয়স ২৬ ছিল, সেটা এভাবে ঢোল পিটিয়ে বলতে হবে! (২৬ শুনলে ছাতি ২৬ ইঞ্চি, খাড়াই ২৬ ইঞ্চি, আস্তিন ২৬ ইঞ্চি ইত্যাদি মনে পড়ে যায় কিনা! )
২।
'প্রবাসে দৈবের বশে' একটা অভিশাপ। এই সিরিজেই জেনেছিলাম পালং শাক আর মুগডাল (নিশ্চিত নই) ঘুঁটে রাধলে গরিলার কাঁচা গুয়ের মতন দেখতে হয়। আবার এই লোকই কেমন স্বচ্ছন্দে লেখেন- "মাইনাস দশ ডিগ্রী তাপমাত্রায় আসলে পানি জমে বরফ হবেই। সে যতই লোনা হোক।"। জলদস্যুটা একটা জলজ্যান্ত অভিশাপ!
৩।
"আবাল্য ছবি আঁকার শখ ছিলো বলে ক্যামেরাকে ক্যানভাস ভাবতে ইচ্ছে করে।" বাহ চিন্তাটা কেমন মিলে গেল, এমন ভাষায় কখনও ভাবতে পারিনি যদিও।
৪।
বীভৎস ঠাট্টা-মশকরাগুলোর কয়েকটা শেয়ার করেন শুনি।
৫।
"দুরকম বন্ধু আছে ... ... ... রাত জাগে।" কবিতাটা কার? অসাধারণ!
৬।
"বিরতিতে দম ছাড়তে সচলে ঢুকি, অন্ধকারের দিনগুলি কিংবা সাক্ষীর লেখা পড়তে।" এই লাইনে নিজের নামটা দেখে একেবারে বিচারপতিদের মতন বিব্রতবোধ করছি। মাথার জট ছুটাতে আব-জাব লিখি, ননসেন্স ক্লাব ছাড়া তাতে কারো মাতার কথা না! আর রাখেন মিয়া আল মতিনু। আম্মা কদিন আগে কার জানি পাত্রি দেখার জন্য যাচ্ছিলেন। আমি যাবার আগে ভাবগম্ভীর মুখে জিজ্ঞাসা করলামঃ "শেখ মুহাম্মদ ছালিহ আল উছাইমিনের গাইড বুক নিয়েছ? পাত্রীর গর্দানে দাগদুগ নাই তো?" সচল একটা কাট্টা অভিশাপ। মাথামুথা গ্রম হলে এখনও চরম উদাসের ব্লগ, কিংবা হিমু/মুখফোড়ের পুরানো বোলগ দিয়ে ইন্টারনেট চালাই। চউদা অবশ্য লোক খারাপ, ৯৯ লাইন হাসায়ে শেষ লাইনে ঠাশ করে চড় মারে একটা। ডেসপিকেবল মি'তে গ্রু যেমন আইসক্রিম পড়ে যাওয়া বাচ্চাটার হাতে বেলুন ধরায় দিয়ে ঠুস করে ফাটায় দেয়, এক্কেবারে সেইরকম।
৭।
আবোল-তাবোলের গুডরীডস লিংকটা দেখে নিজের লালবইটার কথা মনে পড়ে গেল। আমি পড়তে শিখে গেছিলাম একটু তাত্তারি। যা পাই তাই পড়ি। ঠোঙা থেকে লিফলেট সব। এইদেখে মেজচাচা বেড়াতে এসে একদিন কিনে দিয়েছিলেন চীনদেশী রঙচঙ্গা কি জানি বই, ডলফিনের বইগুলা আসত তখন। সেটা তো দশ মিনিটেই শেষ, তাও লোড-শেডিঙে হারিকেনের আলোয়। তাই না দেখে, চাচা বললেন- 'রোসো বাছাধন, ১০ মিনিটে বইপড়া তোমার বার করছি।' পরদিন সকালে ফিরে যাবার আগে ধরিয়ে দিয়ে গেলেন সবুজ বেড়াল আঁকা সেই ছড়ানো লাল বইটা। আমার বয়েস তখন সাকুল্যে ৩ কি পৌনে ৩, বুঝুন একবার। কি পাগলা ফ্যামিলিতেই না জন্মেছিলাম! (ভাগ্যিস )
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
ভাইরে, এতো বড় মন্তব্য করলেন, সেকেন্ড এমএ পাশ দিলাম, সেটা নিয়ে 'সিঊলি ফুলের সুভেচ্ছা' দিলেন না যে বড়! মনে বেথা পেলাম।
১| আমার সাট্টিফিকেট এইজ এখন ২৬।
৪| আবাল্যবন্ধুটির নিরীহতম প্রিয় শব্দ 'গু'। বাকি রসিকতার লেভেল অনুমেয়।
৫| কবির নাম বেমালুম ভুলে গেছি। পরে, মনে পড়লে জুড়ে দিয়ে যাব নে।
৬| আমার বেসিক্যালি সিরিয়াস সব ইস্যু নিয়ে প্রাক্টিকাল জোক করার বদ স্বভাব আছে। 'বোলগের' বরাতে সেটা এমন 'হাই' জায়গায় গেছে, এক্স রুম্মেটকে কিছু বললে সে মুখের দিকে তাকিয়ে ফেসিয়াল এক্সপ্রেশন জাজ করার ট্রাই করতো আগে। পুরো রাখাল বালক টাইপ দশা।
এ পোস্টটা পড়ালাম, তার মন্তব্য হলো-- লেখা পড়ে কে বুঝবে, তুমি কোন লেভেলের ফাজিল!
হইলো!
৭| ৩ বছর বয়সে আমার পড়া বই বাপি শাহরিয়ারের, 'হারিয়ে যাওয়া সোনালি দিন'।
শুক্রিয়া।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
০।
কত্ত মানুষ একখান এমেপাশই কর্তে পারে না, উনি দুই-দুইখান এমে করে আবার আহ্লাদ কচ্ছেন! হুঁহ!
১।
হুমম, তিথীকে তো তাহলে এখন থেকে নাম ধরে ডাকতে হবে। ছোটদের আপনি-আজ্ঞে করতে আমার হাসি পায়। (যদিও চাকরির সুবাদে নিয়মিত করতে হয়)
৪।
রতনে রতন চেনে, তাই?
৫।
এইডা কিছু হৈল? অনুভূতিতে আঘাত পাইলাম!!
৬।
হ, কমন সমস্যা!
৭।
পড়িনি। 'বাপী শাহরিয়ার' মানে অল্প বয়সে চলে গেছিলেন যিনি? ইত্তেফাকে কচি-কাঁচার আসরে তাঁর স্মৃতিচারণ দেখতাম আগে।
বানানটা এতটাই বিদঘুটে, অনেকক্ষণ ধর্তারিনাই কীকৈবার্চান!
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
৭। হ্যাঁ।
লেজেহোমো এরশাদ শাসনামলে তখনকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. মতিনের পুত্রের বেপরোয়া গাড়ি চালনার শিকার হয়ে ঘাড় ও মেরুদণ্ডে প্রচণ্ড আঘাতের পঙ্গুত্ব নিয়েও বেঁচে ছিলেন বছর তিনেক।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
"হারিয়ে যাওয়া সোনালি দিন" পড়িনি, পাওয়া যায় কি?
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
পিডিএফ খুঁজে পেলাম না।
পুরনো পাপী কারো লাইব্রেরিতে খুঁজে দেখতে পারেন।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
৫।"দুরকম বন্ধু আছে ... ... ... রাত জাগে।" কবিতাটা রণজিৎ দাশের।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
মেয়াদোত্তীর্ন মন্তব্য!____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
তিথীপ্পু!
আম্নে এইচএসসি ০৫ না? যাকগে, খুকি শোনার চেয়ে আপু বেটার।
আমার লেপ্টপ কাল রাতে কোমায় গেসে গা। ফোন থেকে ট্রাই করলাম। এখন ঠিকাসে? (মাথা চুল্কানোর ইমো)
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আন্নে ২০০৫ বইলা কি সব্বাই ঐ বচ্ছরের নাকি?
কিছু বচ্ছর থাক না গুপন! (হ, লাইনে আসছে!)
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
খুব মিষ্টি লাগলো লেখাটা।
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
মোগাম্বো খুশ হুয়া।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
অনিঃশেষ শুভ কামনা তোর জন্যে---
থেনকু।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
বাহ কি সুন্দর লেখা, তা টেক্সাসের কোন শহরে যাচ্ছেন?
গুডরিডস
অস্টিন।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
তিথিডোর, আপনার লেখা বড় প্রিয়, জানেন তো? সব লেখায় মন্তব্য করি না অবশ্য, সে ভিন্ন প্রসঙ্গ। মন হু হু করে উঠলো আমারও, আমারও বছর তিনেকের পরিচিত এ শহর ছাড়তে হবে কি না অচিরেই! মায়া পড়ে গেছে এ ক’বছরে। অস্টিনে ভালো থাকবেন নিশ্চয়ই।
দেবদ্যুতি
নিয়মিত পড়েন, সেটা জেনে খুব খুশি হলাম।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
খুব ভালো লাগলো লেখাটি। শুভেচ্ছা জানবেন।
স্বয়ম
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আপনার লেখায় সেই পুরনো বিষণ্ণতা অনেকদিন পর। লেখাটি খুব ভালো লাগল।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”
অলীক জানালা _________
এক পা ঢুকে গেলো কবরে, বিষণ্ণতার ট্যাগ ঘুচলো না।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
কেমন যেন একটা এডভেঞ্চার ফিল করলাম লেখাটা পড়ে। একটা লোভ ধরিয়ে দেয়া জীবন আপনার। লেখাটাও অসাধারন। ভাল থাকবেন।
হা হতোস্মি, আমার মতো জীবনেও লোভ হয় আপনার!
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
নতুন মন্তব্য করুন