চাকরির বয়স প্রায় এক বছর ছুঁই ছুঁই। অ্যানুয়াল ইভ্যালুয়েশন দেখে টেখে খেদিয়ে দেয় কিনা সেই টেনশনে ডেইলি দু'বার করে কোমায় যাই। হিসেব করে দেখলাম, সচলেও শেষ লেখার বছর ঘুরতে চলেছে প্রায়। ছুটির দিন, জামাই-ও বিদ্যাশ, এলা একটু হুদাই গ্যাঁজাই তাইলে, কী কন?
সক্কালে অফিসগামী গাড়ির সময় সাতটা তিরিশ। জনা আটেক মানুষকে মিরপুরের নানা অংশ থেকে উঠিয়ে মহাখালীতে সে শকট কখন গিয়ে পৌছুবে, সে কাহিনি ফি দিন-ই ওপরওয়ালার হাতে সোর্পদ। গড়পড়তায় সময় লাগে দেড় থেকে দু'ঘন্টা। কপাল খারাপ থাকলে আড়াই বা তিন।
এই দীর্ঘ সময় বসে থাকা আমার মতো ছটফটে স্বভাবের মানুষের জন্য কঠিন কাজ। প্রথম কিছুদিন চেষ্টা করেছিলাম বই পড়ার। ভয়াবহ লেভেলের মোশন সিকনেস আছে বলে চলন্ত অবস্থায় শক্ত/ নরম যেকোনো বই পড়াই আসলে আদতে মুশকিলের।
হাল ছেড়ে দিয়ে এখন তাই সাইনবোর্ড পড়ি। রাস্তার দু'পাশের অসংখ্য বিচিত্র বোর্ড, ব্যানার বা পোস্টারে চোখ বুলিয়ে বা বানানের ভুল ধরে দিব্যি সময় কাটে। কালশির ইসিবি চত্ত্বর পার হয়ে বনানীকে লেখা দেখি 'বানানী'। বারিধারা DOHSএর সামনে বেশ কিছুদিন লেখা ছিল রাস্তা 'পাড়াপাড়', পরে দেখলাম শুধরেছে। মহাখালী বাস টার্মিনাল এর উল্টোদিকে রিফাত পরিবহন নিয়ে প্রায়ই হাসিঠাট্টা চলে। সহকর্মীরা জানতে চান, ট্রান্সপোর্টের এরকম রমরমা ব্যবসায়ের মালকিন হবার পরেও এতো কষ্ট করে চাকরির দরকার কী!
হেসে ফেলি এক পর্যায়ে।
সুখের কথা এই, সহকামলা প্রায় সবাই-ই পড়ুয়া। বেতন কম জোটে বটে, ইউনিতে কাজ করার অই একটাই সুফল। ইউজুয়ালি সবচেয়ে কম কথা বলতেন যিনি, সেই ব্যাচমেট একদিন শাহাদুজ্জামানের একজন কমলালেবু নিয়ে এমন ঝাড়া রিভিউ দিলেন, তব্দা খেয়ে গিয়েছিলাম প্রায়!
কে জানতো, চুপচাপ এ ভদ্রলোকটিও পছন্দের ইস্যুতে মুখ খুললে তা চলে ঝড়ের বেগে।
সবাই অপেক্ষা করে নিজস্ব কমফোর্ট জোন খুঁজে পাওয়ার, না?
সানজিদা গোস্ত বিতান বা হোটেল নিউ ইয়র্কের নাম চোখে পড়লে আমরা তাই দলবেঁধে হাসি। হাসি পায় বনানী স্টেশনের কাছে 'যাবতীয় অসামাজিক কার্যকলাপমুক্ত' হোটেলের সাইনবোর্ডে চোখ পড়লেও। এয়ারপোর্ট রোডে ফুটপাতের ওপর সিমেন্টের বড় বড় টবে লাগানো হচ্ছে গাছ, পথচারীদের হাঁটার জায়গা কমিয়ে সৌন্দর্যবর্ধনের এ চিন্তা কার, কে জানে। এসব দেখতে দেখতে আর ভাবতে ভাবতে এক সময় দীর্ঘ, ক্লান্তিকর পথ ফুরায়।
বাড়ি ফিরি।
একটা আধপচা, গলে যাওয়া শহর, যে শহরে প্রতিদিন চার থেকে পাঁচ ঘন্টা সময় নষ্ট হয় শুধু জ্যামে বসে থেকে থেকে, দু'মিনিট বৃষ্টির আগে থইথই করে জমে পানি, ট্রাফিক সিগন্যালের পরোয়া না করে বেপরোয়া ভাবে রাস্তা পার হয় হাজার হাজার মানুষ, পাবলিক ট্রান্সপোর্ট যেখানে, বিশেষত মেয়েদের কাছে, চির আতঙ্কের নাম, সেই প্রাণের শহর, জাদুর শহর ঢাকার এক কোনে, ছোট্ট বাসায়।
'আমাদের' এই বাসার বয়স চার মাস, বিয়েরও। দ্বিতীয় বাসিন্দাটির নাম সচল পাঠকদের জানা, মাঝেমাঝে সেও নীড়পাতায় চ্যাংব্যাং লেখে। বিজ্ঞান দেখলেই অজ্ঞান হয়ে যাই বলে সব লেখা অবশ্য মাথার অ্যান্টেনায় ধরেও না। ঢাকায় জন্ম, শহীদুল্লাহ হলে মানুষ হওয়া আর গুগল ম্যাপে অভ্যস্ত পুলা যখন বইবিচিত্রার ডিরেকশন চেয়েছিল সকাল-সন্ধ্যা রাস্তা গুলিয়ে ফেলা 'ফরেনারের' কাছে, আর বিনিময়ে সেধেছিল কফি.. তখনই বোঝা উচিত ছিল এ বান্দার সুদূরপ্রসারী বদ মতলব আছে।
হা ভগবান, তখন কী আর অভাগীর অতো জ্ঞানগম্যি ছিল!
খবর জানাজানির পর যা হয়, দুই বাড়ির লোকজন সানন্দে এবং তড়িৎগতিতে সানাই বাজিয়ে দিল।
আমার বাপ-মার লজিক সহজে বোধগম্য, কন্যাদায় ঘাড় থেকে নামানোর চান্স কে-ই বা ছাড়তে চায়। মনে রাখতে হবে এটা বাংলাদেশ, মেয়ের বয়স হয়েছে ঢের, জিভের ধার মাশাল্লাহ আর ঘাড়ের রগ সব-কয়টা ত্যাড়া। ভাতসালুন রাঁধাবাড়া যাও দু-চারটে পারে, ঝালের চোটে একটাও মুখে দেওয়া যায় না। চান্স পেলেই সে গল্পের বই নিয়ে বসে থাকে আর 'বাতিঘরে' গেলে বেদিশা হয়ে যায়। একদা ইহুদী-নাসারাদের দ্যাশে বছর দুয়েক থেকে লাগামহীন বেলেল্লাপনা করেছে বলেও আপ্পে/ভাব্বে সমাজে বহুবিধ বদনাম আছে।
এরকম বদহজমি চিজ হজমের জন্য (তাও খুশমেজাজে) মহামান্যা শ্বশ্রুমাতা কীভাবে যে রাজি হলেন, খুদা মালুম!
আল্লাহ তাঁর হায়াত দরাজ করুক, ধৈর্যশক্তির বাঁধ প্রশস্থ করুক।
শ্বশ্রুমাতার একমাত্র পুত্র শ্রীমান সত্যানন্দের জীবন থেকে শান্তি আর আনন্দ সম্ভবত গায়েব হয়ে গেছে বাকি জীবনের জন্য।
তাহার জন্যে নির্ভেজাল সমবেদনাা!
বেচারা, ভালবাসিয়া গিয়াছে ফাঁসিয়া...
কিন্তু নীল সাদা নকশার ফেসবুকের বাইরে যে গোটা একটা জীবন, যে জীবনে মানুষ হাই তোলে, কান চুলকায়, বাথরুমে গিয়ে ফ্ল্যাশ না করেই চলে আসে, সেটা কেমন করে কাটায় মানুষ ভালবাসা ছাড়া?
আনন্দীকল্যাণের একটা গল্পে ছিল এরকম একটা লাইন। সংজ্ঞা ছিল না, ভালবাসার।
ঐ সংজ্ঞাটা মনে মনে খুঁজি খুব।
সুখের-ও।
প্রবাসী প্রিয়তমা বান্ধবীকে জিজ্ঞেস করেছিলাম; সাত বছরের সংসার, সন্তান, ইউএস সিটিজেনশিপ--সবটা মিলিয়ে সে সুখী কিনা? জাগতিক ঠিক কী কী পেলে নিজেকে সুখী ভাবতে হয়?
বিষণ্ণতা মাঝে মাঝে জীবনকেও ছাপিয়ে যায় বলেই কি এইসব খুঁড়ে ফিরি?
চেষ্টা করি তাও, জীবনকে ছুঁয়ে দেখতে শেখার।
যা পেয়েছি, যতটুকু পেয়েছি, তাতে সন্তুষ্ট থাকার। নিজের হাতে সাজানো ছোট্ট, ঝকঝকে সংসারের দিকে তাকিয়ে, চাওয়ার আগে হাজির করে দেওয়া সমস্ত আবদারের ডালাসমেত স্বজনদের প্রসন্ন হাসির দিকে তাকিয়ে, না পাওয়া মেলাঙ্কলিদের মুছি যতটুকু পারা যায়।
নিউজপেপার পড়ি না এখন পারতপক্ষে, রুপা বা রোহিঙ্গা ইস্যুতে তক্কো এড়াই ব্লাডপ্রেশার বাড়াতে চাই না বলে। তবু ভাঙা ঘরে চাঁদের আলোর মতো কীটস্য কীট লোকজন চোখে পড়ে-ই,বালখিল্য আচরণ-ও। মন খারাপ হয়, কখনোবা মেজাজ...
ডিপ্রেশনের বাংলা জানি, মন খারাপ।
আর সমস্ত মন খারাপের ধূলোময়লা ছাপিয়ে একটা সত্য জানা হতে থাকে বার বার!
তুচ্ছাতিতুচ্ছ হলেও এই জীবন জড়িয়ে আছে আরো ক'জনের সাথে। নিজের না হোক, তাদের জন্য হলেও, হুট করে মরে গেলে তো ভাই মুশকিল।
নিজেকে না হোক, তাদের তো ভালবাসি।
ভালবাসা, সেও এক নিঃশব্দ আততায়ী!
মন্তব্য
অবনী লোকটা ভাল না, সময়মত বাড়ি থাকে না!
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
দূরে গিয়ে মর।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ডুপ্লি ঘ্যাচাং____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
সত্য সত্যই আনন্দ পাইলাম পইড়া। সচল যে কতো কিছুর সাক্ষী! শুভেচ্ছা তিথিডোর।
-----মোখলেস হোসেন
সচল অদ্ভুদ!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
মেরেচে।
..................................................................
#Banshibir.
একদম!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
শুভেচ্ছা আপনাদের।
[ চলমান অবস্থায় যারা পড়তে পারে তাদের আমার হিংসা লাগে। ]
থ্যাংকু।
[তারা নিপাত যাক]
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
দিনের এই সময়টাতে যা পড়ার সুযোগ পাই।
অভিনন্দন আপনাকে
স্বপ্নের শহর থেকে যাদু-বাস্তবতার শহরে স্বাগতম।মিরপুরে পথে যদি কখনো দেখা হয় প্রিয় দুই সচল এর, এই আশায় থাকলাম
শুভকামনার জন্য ধন্যবাদ আপামনি।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আহা!
অনেক অনেক শুভেচ্ছা আর শুভকামনা। কত বছর পর কমেন্ট করলাম কে জানে।
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
আহা, সে বড় সুখের সময় ছিলো মুখর নীড়পাতায়...
দুয়া রাইখেন আর কী।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
এই শহরে সময় বাঁচিয়ে পথ চলতে গেলে 'নিজের গাড়ী' বা 'অফিসের গাড়ী'র মায়া প্রায়শ ত্যাগ করে ভেঙে ভেঙে যেতে হয়। সেটা কী করে করতে হয় তা ভূক্তভোগীরা জানেন। এটা কেউ কাউকে শিখিয়ে দেয় না, নিজ গরজে সবাই নিজে শিখে যায়।
বাস অর ট্রেন, কার অর প্লেন - কোথাও একটা লাইন পড়ার ক্ষমতা আমার কখনো ছিল না। তাই সাইনবোর্ড-পোস্টার-ব্যানার-হোর্ডিং-বিলবোর্ড পড়ার অভ্যাস আমার শুরু থেকে। চোখের লেভেল থেকে ফুটখানেক উঁচুতে ধরলে কিছুক্ষণ পড়া যায় বটে তবে সেটা তো আর বাস্তবে সম্ভব না।
মগবাজার মোড়ে অনেকগুলো আবাসিক হোটেল আছে। এক কালে পুলিশ আর সাংবাদিকদের সুবাদে সেগুলোর 'সুনাম' প্রায়ই মিডিয়াতে আসতো। এর মধ্যে একটার নাম ছিল 'সেবিকা'। নামই তার গুণের পরিচয়। আজকাল ওখানকার হোটেলগুলোতে 'যাবতীয় অসামাজিক কার্যকলাপমুক্ত ও স্বপরিবারে থাকার উপযুক্ত' কথাটা লেখা থাকে। এখানে 'স্বপরিবারে' শব্দটার গভীর তাৎপর্য বুঝতে হবে।
- বৃষ্টির আগে পানি আসলো কোথা থেকে?!
- 'অভাগী'তে হ্রষ ই-কার দেবার ব্যাপারে কর্তাদের যুক্তিটা কী?
- প্রথম বাক্যের 'ক'জনের' শব্দটা যখন 'একজনের' হবে, আর দ্বিতীয় বাক্যের 'তাদের' যখন 'তার' হবে তখন যাবতীয় রোমান্টিক হা-হুতাশ, দীর্ঘশ্বাস, মনখারাপ এগুলোর বস্তা প্রশান্ত মহাসাগরের মারিয়ানা খাতে ফেলে দিতে হবে।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
আজ থেকে অনেক বছর আগে সেন্ট্রাল রোডের কাছাকাছি সার্কুলার রোডের এক ছোট বাসায় দুই হাবাগঙ্গারাম যখন একসাথে থাকা শুরু করেছিল তখন তারা কলে জল আসলে, হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে গেলে, জানালা দিয়ে বাতাস এসে পর্দা-বেডশিট উড়িয়ে নিলে, একটা ডিম ভেঙে দুইটা কুসুম পাওয়া গেলে, পাড়ার মুদী ছেলেটা রাতের বেলা কিশোর কুমারের গাইতে গাইতে বাড়ী ফিরতে থাকলে ..................... এমন সব তুচ্ছাতিতুচ্ছ বিষয়ে খুশি হয়ে যেতো, নিজেদেরকে সুখী ভাবতো। রেডিও-টেলিভিশন-মিউজিক প্লেয়ার-কম্পিউটার-ইন্টারনেট সুবিধা ছাড়া একটা বাসায় নিজেরা নিজেরা গান গেয়ে বা জীবনানন্দ-সুনীল আবৃত্তি করে সুখী হতো।
জাগতিক সুখ পাবার জন্য এমন অপার্থিব জিনিস লাগে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
১। অভাগীর জন্য দুঃখিত। ঠিক করে দিলাম।
২। রাজধানীতে বসবাসের সময়সীমা আমার খুবই কম, সারাজীবন কেটেছে বাণিজ্যিক রাজধানীতে। ঢাকার জ্যাম এবং অন্যান্য নাগরিক 'সুবিধা'র সাথে খাপ খাওয়ানো শিখছি সবে, এখনো ঠিক ধাতস্থ হতে পারিনি।
৩। একদিন গাড়ি মিস করায় বাধ্য হয়ে সিএনজি নিয়ে অফিস যাচ্ছিলাম। ন্যাম গার্ডেনের সামনে থই থই পানিতে প্রায় আধডোবা অবস্থায় বসে থাকতে হয়েছিল ঝাড়া চল্লিশ মিনিট। অথচ বড়জোর তার মিনিট পাঁচেক আগে বৃষ্টির বেগ বেড়েছে, মুষলধারার সময়সীমা দুই মিনিটও ছাড়ায়নি। ওই বিপদগ্রস্থদশা মনে করে লেখা।
৪। হুঁকোমুখো হ্যাংলার মতো আমি সারাদিনই তুচ্ছাতিতুচ্ছ জিনিষপাতি নিয়ে গগনবিদারী হাহুতাশ করে বেড়াই, সাক্ষী মিয়া তাবৎ ঝড়ঝঞ্জাটাইফুন উপেক্ষা করে কীভাবে কীভাবে যেন চির প্রশান্ত হাস্যমুখ ধরে রাখে। দুইমুখী ব্যালেন্সে যতটুকু ঠ্যাকা দিয়ে বাকি জীবন চালানো যায় আর কী।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
দু’জন সচল মিলে যেন অচল না হয়ে পড়েন, শুভেচ্ছা দু’জনকেই।
---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।
নিগার সুলতানাময় পৃথিবীতে টিকে থাকাই দায়, আবার লেখা!
দুয়া রাইখেন।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
কি ভাল যে লাগছে! তিথীদিদি, তুমি যে ঠিক লোক বাছবে সেটা নিয়ে আমি নিঃসন্দেহ ছিলাম, কিন্তু, সাক্ষীর যে কি হবে এই নিয়ে মনের ভিতরে একটা টেনশন কাজ করত - সে তোমরা যাই বলো আর তাই বলো। এই যুগলবন্দী একেবারে চমৎকার হয়েছে। নানা কারণে মন আজকাল বিষণ্ণ বিক্ষিপ্ত হয়ে থাকে। এর মাঝে এই পোস্ট যে কি খুশীর হাওয়া বয়ে নিয়ে এল, সেটা প্রকাশের বাইরে। সাক্ষীর বইঘরে আমার দাওয়াত আছে, জানো নিশ্চয়ই। সেখানে এবার তোমার-ও দেখা পাওয়া যাবে কি ভালো, কি ভালো, কি ভালো! যদি কোনদিন আবার বিদেশ পাড়ি দিয়ে এই মার্কিন মুলুকে আসো, আমাদের বাড়িতে তোমাদের নিঃসংকোচ নেমন্তন্ন রইল।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
সাক্ষীর বাড়িভর্তি বই আর বই। লিটারেলি উহাদের পৈতৃক বাটীতে পাঠ্য ও অপাঠ্য, উভয় গোত্রের পুস্তকের কোন অভাব নাই। মুহুহুহু।
যদি কোনদিন কোন মুলুকে আপনার সঙ্গে সত্যিই দেখা হয়ে যায়, খুব ভাল্লাগবে।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আরি .... আপ্নে আমার নামতুতো বোন দেখা যাচ্ছে! একই নাম আমাদের!
নতুন সংসারের জন্য শুভকামনা। ব্যাচেলর হইতে সংসারী হইতে বুকের পাটা লাগে।
ল্যাখায় পাঁচতারা!
হাই ফাইভ!
কুটি কুটি সাহসের কারবার পুরাই। দুয়াই কাম্য।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
হাই ফাইভ! উচ্চ পাঁচ!!
কুটি কুটি সাহসের খানিকটা ধার দ্যান। পরীক্ষায় ফেল মেরে যাচ্ছি কত্তা ...
তিথীডোর,আপনার লেখা দারুন লাগে। কেন জানি অনেক কম লেখেন আজকাল। আর আপনার লেখার শুরুটা পড়ে আন্দাজ করার চেষ্টা করছিলাম যে ভদ্রলোক কে হতে পারে। আমার আন্দাজ লেগে গেছে! কিভাবে জানিনা। শুভেচ্ছা রইল আপনাদের জন্য। সচলে আমার প্রথম লেখায় প্রথম কমেন্ট আপনার,আপনারে এক্সট্রা খাতির করি!
ঐ ফচকে ছোঁড়াটাকে ভদ্রলোক কচ্চেন। মরি মরি!
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
কত লোকে বিয়ে করে
আমার আর কাচ্চি খাওয়া হয়না
কেউ কাচ্চি রাখেনি।
(একটি উত্তরাধুনিক অভিনন্দনসম্বলিত কবিতা)
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
কাচ্চি এখন রয়েসয়ে খাওয়াই ভালো রানা ভাই, বয়স তো আর কম হলো না। (ঘন ঘন মাথা নাড়ানোর ইমো)
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
সাক্ষী সত্যানন্দের কোয়ান্টাম মেকানিক্স বিষয়ক লেখাগুলো আমার খুব পছন্দের ছিলো। (যিনি বোঝাতে পারেন তার কাছ থেকে) বিজ্ঞান বুঝে নেয়া আমার খুব পছন্দের। সেইজন্য বিজ্ঞান লেখক সাক্ষী সত্যানন্দও আমার পছন্দের লোক। আপনাদের জন্য শুভকামনা থাকলো।
উনি বোধহয় আজকাল আর বিজ্ঞান লেখেন না। লেখেন নাকি?
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
দীর্ঘ শিক্ষাছুটি কাটিয়ে, মাস্টারিতে ফিরে বেচারা আপাতত নানাবিধ চাপে আছে। বিজ্ঞান লেখাতেও শিগগিরই ফিরবে নিশ্চয়ই।
কৃতজ্ঞতা, শুভকামনার জন্য।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
অনেকদিন পর লিখছি (যদিও মন্তব্য) তাই বানান ভুল ধরা যাবে না। বিয়ের অভিনন্দন। মনে রাখবেন ০৫ এর পুলারা ভাল হয়। আর সময় পাইলে মাঝেমধ্যে লিখেন। অনেকদিন পর সচলে ঢুকে আপনার লেখা পাইলাম, ভাল লাগছে। এইসব টুকরো টুকরো দিনলিপি ভাল লাগে। কেউ লিখে না তেমন একটা আজকাল। সবাই রাজনীতি, অর্থনীতির রাজা উজির মারতে ব্যস্ত।
আততায়ীর হাতে মারা পরার গল্পটা লিখে ফেলেন একদিন, পড়ি
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
সারাজীবন লাফঝাঁপ দিয়ে এসেছি, ব্যাচমেট পুলা বিয়া কত্তাম না। হা ঈশ্বর, তখন কী আর জানতুম, কপালে ঐ ০৫ই ঝুলছে!
লিখব একসময়, আরেকটু বুড়ো হয়ে নিই।
আর কো ক্যাডেট_কো ব্লগার ভাইডিকে সহিসালামতে টিকে থাকার জন্যেও খাসদিলে দোয়া করে দিয়েন! আমি মানুষ বেশি সুবিধার না, জানেনই তো।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
তুমি যে খুব মজা করে সাদামাটা গল্প বলতে পারো, তা কি জানো?
-সুরভিত বিদূষী
কামলাঘরের চাপে আপাতত মাজা ভেঙে যাওয়ার দশা আফা, মজা জিনিসটাই জীবন থেকে গায়েব হয়ে গেছে এক্কেবারে!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
নতুন মন্তব্য করুন