'ভালোবাসা দিতে পারি, তোমরা কি গ্রহণে সক্ষম?
লীলাময়ী করপুটে তোমাদের সবই ঝ’রে যায় –
হাসি, জ্যোৎস্না, ব্যথা, স্মৃতি, অবশিষ্ট কিছুই থাকে না।
তবু ভালোবাসা দিতে পারি।
শাশ্বত, সহজতম এই দান —
এতই সহজ, তবু বেদনায় নিজ হাতে রাখি মৃত্যুর প্রস্তর, যাতে কাউকে না ভালোবেসে ফেলে ফেলি।'
#বিনয় মজুমদার
________________________________________________________
আমি বড় হয়েছি দাদা-দাদির বাড়িতে, একা৷
একা কারণ আমার বাপ দুনিয়ায় ছিলো না, যখন ছিলো, তখন ছিল পাঁড় নেশারু৷ নিম্ন- মধ্যবিত্তের সুন্দরী মেয়েকে পথে আনার দাওয়াই হিসেবে বহু বাপ- মাই ব্যবহার করে। আমার দাদিও করেছিল৷ লাভ হয়নি। দু'দিন বউ চেখে, পেট বাঁধিয়ে দিয়ে তিনদিনের দিন আমার বাবা, যাকে নিয়ে আমার কোন সুখস্মৃতি নেই, আবার জুয়ার আড্ডায় হেরোইঞ্চি বন্ধুদের কাছে ফিরে গিয়েছিল।
আমার নানা ছিল টাইট লোক৷ ব্যাংকের টুটাফুটা করণিক হলে কী হবে, খুব ইগোওয়ালা লোক৷ মাঝে মাঝে আফসোস হয়, আমার জন্য একটু মায়া তার থাকলেও ত থাকতে পারতো, নাকি?
ছিল না।
তার সমস্ত মায়ার পুঁটলি ছিল ফারজানা ইয়াসমিন সাথি, আমার মা। তার একমাত্র মেয়ে। ঘটকের ভুগিচুগিতে ভুগে একবার সে বোকামি করেছিল, দ্বিতীয়বার করার রিস্কটাও নেয়নি৷ রিহ্যাব থেকে ফেরার আড়াইমাসের মাথায় দুম করে জামাই মরে যাওয়ার পর এক-কাপড়ে মেয়েকে ফেরত নিয়ে গিয়েছিল৷ দেনমোহরের টাকার কথা ভাবে নি, বিয়েতে জমি বেচে দেওয়া এক ভরির ঝুমকার কথা ভাবেনি, এমনকি আমার কথাও৷
সুতরাং আমার মায়ের স্বদেশ থুক্কু স্বঘরে প্রত্যাবর্তনের পর আমি বড় হতে থাকি দাদির আর তার খাস মানুষ বেলালের মায়ের হাওলায়। নাহ, অনাদরে না৷ অতি আদরে। ফুফুরা আসতো দামি দামি শাড়ি আর মোট্টা মোট্টা সোনার চিক পরে৷ তারাও আদর করতো৷
বুঝলেন আম্মা, রাত্রি হইলো গিয়া আমরার বংশের নিশান, ভাইজানের শেষ স্মৃতিচিহ্ন। বলতো আর শিকনি তুলে কাঁদতো।
কান্নাটা আসল ছিল, দেখনদারির না।
আমার সব ছিল, আলাদা ঘর, কাবার্ড ভরা লনের কামিজ, শু র্যাক ভরা পাম্পশু।
শুধু বাপ- মা ছিল না৷ প্যারেন্টস ডেতে দাদাজান যেতো দামি সিল্কের লুংগি আর পুরোনো টয়োটা করোলা নিয়ে৷ স্পোর্টস ডে'তে দাদিজান আর বেলালের মা আমার শাড়ির কুঁচি ঠিক করে দিতো।
আমরা মনিজা রহমান গার্লস স্কুলের মেয়েরা ফি বছর ২৬শে মার্চ, ১৬ই ডিসেম্বরের অনুষ্ঠানে ডিসপ্লে করতে যেতাম স্টেডিয়ামে৷ আর মার্চপাস্ট৷ কোমর বাঁকিয়ে, শাপলা কিংবা ঢেউয়ের স্টেপ করতে গিয়ে একরাশ ধুলোবালিতে শাড়ির বারোটা বেজে যেতো। কিন্তু ফাস্ট কিংবা সেকেন্ড প্লেসের ক্রেস্ট হাতে নিয়ে প্রিন্সিপাল মেডামের গুড জব গার্লস শুনলেই আমাদের কলিজা ঠাণ্ডা হয়ে যেতো।
এরচেয়ে বেশি কী চাই!
আমার ব্যক্তিগত চাওয়া ছিল আরেকটু বেশি৷ ক্লাসের ফাস্ট গার্ল ছিলাম, মার্চপাস্টের লিডার ছিলাম, কুইজ আর উপস্থিত বক্তব্যের চ্যাম্পিয়ন ছিলাম, পুরো স্কুলের পরিচিত মুখ ছিলাম। আর ছিলাম বুভুক্ষু, ভালবাসার। দাদা-দাদির কাছ থেকে যেভাবে পাই-- চাওয়ার আগেই পূরণ করা আবদার, ফুফুরা যেমন ঈদের সময় সেরা আনারকলিটা কিনে পাঠায় কিংবা বেলালের মা যেমন মায়া দিয়ে একেকটা শখের পদ রান্না করে খাওয়ায়, সেরকম ভালবাসা না৷
দুজনের চিরন্তন ভালবাসা৷ একটা ঘর, একটা মানুষ৷ মদ খাবে না, বউ পেটাবে না।
আম্মা'কে আব্বা যেমন পেটাতো৷
মা দ্বিতীয় স্বামীর সাথে চিরতরে দেশ ছাড়ার সময় মাথায় ঢুকিয়ে দিয়ে গিয়েছিল তোকে কিন্তু অনেক পড়াশোনা করতে হবে, নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে৷
এরপর আর কোনদিন খোঁজ নেয়নি।
আমি জানতাম আমি দাঁড়াবোই। সাথে ঘরও বাঁধব৷ পাশ করে বেরিয়েই আমরা বিয়ে করব। একটা আলনা, একটা ছোট খাট৷ বেতের সোফাসেট, দেয়ালের হুঁকে ঝোলানো গোল আয়না। আর টাকাপয়সা হাতে করতে পারলে চার চেয়ারের একটা ডাইনিং টেবিল।
একবারে না হোক, ধীরেধীরে৷
বিয়েটা কাকে করব সেটা ঠিক করার আগেই আমার সংসারের পুরো ছক আঁকা হয়ে গিয়েছিল৷ আমার বেডসাইড টেবিলের ঢাকাটার রংও ঠিক হয়ে ছিল। কুশিকাটার অই ঢাকাটা আমি নিজেই বানাব, বেলালের মার কাছ থেকে ক্রচেটের কাজ বেশ শিখে নিয়েছি।
আমি বড়লোকের ছেলে চাই না, যার সবকিছু রেডিমেড থাকবে।
আমার নেশারু আব্বার যেমন ছিল।
আমরা দু'জন মিলে ঘর সাজাব, একটু একটু করে। বারান্দায় ফুলগাছের চারা শিশু একাডেমির সামনে থেকে কেনা মাটির টবে লাগাব নাকি আরএফএলের প্লাস্টিকের পটে, ইসলামপুর থেকে কাঁচের থালাবাসনই কিনব নাকি পয়লা দফায় সস্তা মেলামাইন-- মনে মনে সেইসব আকাশকুসুম চিন্তা করতে করতেই আমি এসএসসি পাশ করে ফেললাম।
মাথা বোধহয় মায়েরটা পেয়েছিলাম, রেজাল্ট সবসময় ভালো হতো৷ এবারেও হলো। বোর্ড স্কলারশিপ পাব, দাদাজান আশা করতো।
আশা রাখলাম।
এমনিতেই আদরের ছিলাম, এবার আহ্লাদ সীমা ছাড়াল৷ দাদাজান পুরো মহল্লায় মিষ্টি বিলালেন, দাদি নাতনির বিয়ের সময় দেবেন বলে আরো একসেট গয়না বানাতে দিয়ে এলেন।
আমার সোনায় লোভ ছিল না, লোভ ছিল মানুষের৷
নিজের একটা মানুষ। সাদাসিধা একটা ছেলে, শুধু আমার। মায়া করবে, ভালবাসবে, দেখে রাখবে৷ আম্মার না পাওয়া আদরের কথা মনে করে যখন হাউমাউ করে কাঁদব, তখন শক্ত করে জড়িয়ে ধরে রাখবে৷
আর কিছু না হলেও হবে।
মার্কশিট হাতে গর্বিত মুখে দাদাজান আমাকে কলেজে ভর্তি করিয়ে দিয়ে এলেন। পুরোদস্তুর ক্লাস শুরু হবার কদিনের মাথায় দেখলাম ইংরেজিতে পিছিয়ে পড়ছি৷। সিস্টারেরা খুউব ভাল পড়ান, ভালোই বুঝি। কিন্তু কলেজের স্কুল শাখা থেকে এসেছে যারা, তারা বোঝে আরো ভাল৷
স্কুলে আমি সারাজীবন ফাস্ট হয়ে এসেছি, এখানে সেকেন্ড হবো কেন!
চাইলে বোধহয় দাদাজান দশটা টিচার-ই দিতেন, আমি একজনই চেয়েছিলাম। ইংরেজি আর বায়োলজিটা দেখিয়ে দেবে। সেজ ফুফুর ছেলেকেও এই তারেক ভাইই পড়িয়েছিলেন৷ নটরডেমের ছেলে, সলিমুল্লায় এখন৷ মেডিকেলের পড়ার ফাঁকে টিউশনির টাইম মেলানো মুশকিল, ফুফু জোর করে বেশি পয়সায় রাজি করালেন।
তারেক ভাই দেখতে আহামরি কিছু ছিলেন না। লম্বা, শ্যামলা, রোগা একটা ছেলে।
কিন্তু কন্ঠ ছিল খুব সুন্দর। আমার কল্পনার বেডসাইড টেবিলের কুশিকাঁটার ঢাকনার রং মেলানোর পক্ষে যথেষ্ট সুন্দর৷
সোম আর শুক্রবার, সপ্তায় দু'দিন বিকেল হবার আগেই আমার সন্ধ্যারাতের তারা জ্বলজ্বল করতে শুরু করলো। মাথার মতো আমি মায়ের চোখ ধাঁধানো রুপও পেয়েছিলাম, সুতরাং ঘরে পরা আটপৌরে সুতি কামিজেও আমাকে অনেক সুন্দর লাগতো। তাও আমি চুলটা একটু ফাঁপিয়ে আঁচড়ে নিতাম, আর ঠোঁটে একটু লিপ গ্লস।
কেন আমি হঠাৎ বাড়তি সময় লাগিয়ে চুল আঁচড়াচ্ছি সেটা আমার বোকাসোকা দাদিজান বোঝেন নি, বুড়ো থুড়থুড়ি বেলালের মা বোঝেনি৷ তারেক ভাই মাসখানেকের মধ্যেই বুঝে ফেললেন।
আমরা চুপিচুপি প্রেম শুরু করলাম৷
কলেজের বাইরে বাহাদুর শাহ পার্ক কিংবা ক্যাপ্টেন্সে ডেট করার সাহস আমার ছিল না। বাড়ির সেই টয়োটা করোলা পুরো সময় কলেজ গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকে। ড্রাইভার রশিদ চাচা দাদাজানের পেয়ারের মানুষ। কোন বেচাল দেখলেই সোজা রিপোর্ট করবে৷
সুতরাং দেখা হয় দুইদিন, সোম আর শুক্রবার। আমি আগেভাগেই হোম ওয়ার্ক শেষ করে রাখি, বেলালের মা'কে দিয়ে ভারি নাস্তা বানাই। আহারে, ছেলেটা সারাদিন ক্লাস করে কতো ক্লান্ত হয়ে আসে।
আড়াই ঘন্টার পড়াশোনার আড়ালে আড়াই জীবনের প্ল্যান-প্রোগ্রাম তৈরি হতে থাকে...
তারেক ভাই ভীষণ মেধাবী ছিলেন কিন্তু খুব সাদাসিধা ছিলেন না।
প্রি টেস্টের আগেই তিনি একদিন খালি বাড়ি পেয়ে আমার কামিজের ভেতরে হাত দিলেন।
আমার বহু শখের স্বপ্নে বোনা কুশিকাঁটার ঢাকনার রং একমুহূর্তে মিলিয়ে গেলো৷
অই যে বললাম, রুপের মতো মায়ের মগজও পেয়েছিলাম। সেজন্য ট্র্যাকে ফিরতে আমার বেশি সময় লাগেনি। রাত জেগে কাঁদলাম, অনেকবার গোসল করে ঠাণ্ডাজ্বর বাঁধালাম।
সুস্থ হয়ে উঠে শান্ত মুখে দাদিকে বললাম তারেক ভাইয়ের সামনে ফাইনাল প্রফ, ঠিকমতো আসতে পারে না এখন, খালি ফাঁকিবাজি করে। খামোখা এতো বেতনের ঘরের মাস্টারের দরকার নাই, আমাকে রাশিদার সাথে ফার্মগেটের কোচিং এ দেন। গ্রুপে পড়াও ভাল হবে।
এতোদিনে দাদি কিছুটা আন্দাজ করতে পেরেছিলেন, একদিন তোশকের নিচে চিঠিও পেয়েছিলেন।
তারেক ভাইয়ের টিউশনি নট হয়ে গেলো।
আমার টেস্টের রেজাল্ট যতোটুকু ভাল হবার কথা ছিল, ততটুকু হলো না৷ টেস্টের পরের তিনমাস আমি জান বাজি রেখে পড়লাম। পাসড উইথ ফ্লাইং কালার।
দাদাজান এবার আশেপাশের মহল্লাসুদ্ধ মিষ্টিমুখ করিয়ে ছাড়লেন৷
দাদি হাঁপ ছেড়ে বাঁচলেন, নাতনি দু-দিকেই ইজ্জৎ রেখেছে বুঝে নিশ্চিন্ত হলেন।
একবছর গ্যাপ দিয়ে আমি ভর্তি হয়েছি ওসমানি মেডিকেলে। ফ্রেশার্সের দিন থেকে সিনিয়র অনেক ভাইয়ারা সেধে ফ্রেন্ড হতে চায়৷ কেউ সাদাসিধা কেউ ঝকঝকে। আমার ফেসবুকে কোন একাউন্ট নেই, এবাউট মি পড়ে বা না পড়ে নূতন আর কাউকে চেনার শখও নেই। কার্ডের জন্য রাত জাগতে গিয়ে দু- কামরার ছোট্ট বাড়ির হালকা আকাশি পর্দা আর সতেজ মানিপ্ল্যান্টের ফালতু স্বপ্নের জন্য সময়ও অনেক কমে গেছে।
ক্যাম্পাস থেকে ডাল ভেঙে এনে গ্রিলের ফাঁকে একটা নুসিলার জারে দুটো মানিপ্ল্যান্টের ডগা রেখেছি অবশ্য। মাত্রই শেকড় ছেড়েছে।
ঝকঝকে সাদা শেকড়।
আমিও শেকড় ছাড়তে শুরু করেছি, নূতন ক্যাম্পাসে।
নবীনবরণের অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করলাম এবার, সবাই খুব প্রশংসা করেছে। স্যাররা তো করেন-ই৷ শুধু সকালের ক্লাসের তাড়াহুড়ায় এপ্রোন চাপাতে গিয়ে মাঝে মাঝে কামিজের গলার দিকে তাকাই৷
একটা হাত, একটা ঘিনঘিনে হাত জোর করে এটার ভেতরে ঢুকে গিয়েছিল একদিন।
আমার সাদামাটা সংসারের হাউশও তারপর থেকে ফুরিয়ে গেছে...
মন্তব্য
অনেকদিন পর, খুব মন ছোঁয়া একটা লেখা পড়লাম সচলায়তনে।
আশাকরি একটা ঘিনঘিনে হাত তোমার জীবনের গতিপথ পালটে দেবেনা চিরতরে।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ!
ইয়ে, এটা কিন্তু আত্মজৈবনিক গল্প না।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আর, এইটি হ'ল দ্বিতীয় পরিচ্ছদ। আসতে থাকুক।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
হ, মাঝে অনেক ভাব আসছিল লেখালেখির।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
জীবন একরৈখিক নয়। জীবনে বাঁকবদল, উত্থান-পতন অবধারিত।
সুন্দর সব ঘটনার সাথে কুৎসিত কিছু ঘটনা থাকাটা বাস্তবতা। এটা কুৎসিত কিছুকে মেনে নেবার যুক্তি নয়, বরং বাস্তবতাটাকে বোঝা। অমন একটা ঘটনা থেকে নেয়া শিক্ষা ভবিষ্যতে নিজের এবং অন্যের ক্ষেত্রে তার পুনরাবৃত্তি রোধের পথ খুলে দেয়।
স্বপ্নরা পালটায়, প্রতিনিয়তই পালটায়। স্বপ্নগুলো পালটে যায় বলে কেউ কেউ আকাশ ছোঁয়ার প্রতিযোগিতায় নামতে পারেন, আর কেউ শামুকের মতো শক্ত খোলসে গুটিয়ে যেতে পারেন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
মানুষ বেঁচে থাকলে বদলায়...
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
এই অসুন্দর বাস্তবতাগুলোর মধ্য নিয়ে এদেশের অনেক মেয়েকে বেড়ে উঠতে হয়। রাত্রি আপাতত সংসারের 'হাউশ' বাদ দিলেও বাকী জীবন অন্য হাউশগুলো নিয়ে মাথা উঁচু করে বাঁচবে সেটাই আশা করবো।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
পাঠ ও মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আপনার গল্পটা ভালো লেগেছে। গতি ছিল, একটানে পড়ে ফেলেছি।
আপনার বর্ণনা পড়ে মনে হচ্ছিল যেন এটা কারো আসল কাহিনী। (গল্প ট্যাগটা ছিল)।
ভালো থাকুক গল্পের ভালো মানুষরা।
শুভেচ্ছা
বেশ কিছুদিন আগে পড়া একটা নিউজ থেকে কিছুটা মাল-মশলা নিয়েছি, বাকিটা বানানো।
পাঠ এবং মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ভালো লাগলো গল্প বলার ধরন। সোজাসাপটাভাবে বলে গেলো গল্পকথক, পাঠক সমাপ্তি ছাড়া অন্য কোথাও ফিরে তাকানোর সুযোগও পেলো না।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
পাঠ এবং মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
কী যে সুন্দর লেখেন আপনারা কিছু মানুষ! একটানে পড়ে ফেললাম।
বেশ কিছুদিন হল কেন যেন যাদের টাকা/পয়সা আছে বা যারা মেধাবী বা সফল, তাদের গল্প বা কথা'র থেকে যারা তেমন কিছু করে উঠতে পারেনি বা যাদের বলার মত তেমন উল্লেখযোগ্য কিছু নেই, তাদের কথা শুনতে বেশি ভাল লাগে।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
যারা তেমন কিছু করে উঠতে পারেনি বা যাদের বলার মত তেমন উল্লেখযোগ্য কিছু নেই-- এইটা একেবারেই আমার রিয়েল সেলফ ডেস্ক্রিপশন!
তবে গল্প আমার নিজের না। বেশ কিছুদিন আগে পড়া একটা নিউজ থেকে কিছুটা মাল-মশলা নিয়েছি, বাকিটা বানানো।
পাঠ এবং মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
নতুন মন্তব্য করুন