দেশ থেকে ফেরত আসার একদিন পরেই মাঝরাতে বরের সাথে ঝগড়া হয়ে গেলো। ভুক্তভোগী মাত্রই জিজ্ঞাসা করবেন না কেন। ১৮-১৯ দিন বাবা-মা আত্নীয়স্বজনের সামনে আদর্শ দম্পতির মূর্ত প্রতীক হিসেবে অভিনয় করার পর এইটা অপ্রতিরোধ্য কন্সিকোয়েন্স। এতো দীর্ঘ সময় ঝগড়া না করে থাকা দাম্পত্যজীবনের জন্য খুবই অস্বাস্থ্যকর। আসল প্রশ্ন হল মাঝরাতে কেন? কারন আর কিছুই নাঃ জেটল্যাগ। অবস্থা এমন যে সারাদিন অফিসে ঘাড় বাঁকা করে ঘুমাই আর রাতে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে থাকি। তো সেই ভদ্রলোক মনদিয়ে গেইম খেলছিল। আমিও খুবই আন্তরিকতার সাথে জীবনের নানাবিধ দর্শন বয়ান করছিলাম। নিয়মিত বিরতিতে একটা করে “হুম” শুনেই সন্দেহ হল তার মনযোগ ঠিক দর্শনে নাই। আমি সুযোগ পেয়ে দুই চারটা উচিতকথা যা বলা উচিত না বলে ফেললাম। তার পরেই দেখলাম কেউ আর খাওয়ার পর পানি চায় না। নিজেই গ্লাসে ঢেলে খেয়ে ফেলে।
এইদিকে দেশে আমার সবেধন নীলমনি চুলের ব্যান্ড খানা হারিয়ে, কপালের একগোছা চুলের মধ্যে থেকে ঘুম ঘুম বাঁকা চোখে বাঁকা ঘাড়ে কম্পিউটারের দিকে দিনে গড়ে ১৪ ঘন্টা তাকিয়ে থাকতে থাকতে পিঠ ব্যাথা শুরু হল। পিঠে ব্যথা কে পাত্তা দেওয়ার মানুষ আমি কখনো ছিলাম না। কম্পিউটার কামলাদের এমন পিঠে ব্যথা হয় দুই তিন দিন পর চলেও যায়। এইবার দেখি তিন দিন পর যেমন ব্যাথা তেমনি আছে! বরং পিঠের সাথে গলা, কাঁধ, হাত, তালুতে ব্যাথা। ডানহাতের মধ্যমা তো বাঁকাই করতে পারি না। প্রথম প্রতিক্রিয়া হল “আমার অসুখ হলে কার কি বা আসে যায়” বলা বাহুল্য ঝগড়া তখনো মিটে নাই। একদিন পর মনে হতে লাগলো এই ব্যাথা হল ঝগড়া করার পাপের ফল। এইসব অনুশোচনা আর দুঃখের মধ্যে সপ্তাহান্ত চলে আসলো, ঝগড়া মিটে গেল ব্যথাও চলে গেল! চোখের পাতা ফেলতে না ফেলতেই সোমবার এবং ব্যাথাও ফেরত আসলো। দিন দিন যেতে এতো অসহনীয় হয়ে উঠলো যে অসুস্থতার জন্য ছুটি নিতে বাধ্য হলাম।ছুটি নিয়ে শেষ করলাম স্টেফানি পামের মিস্ট্রি সিরিজ। সিরিজ শেষ তো ব্যথাও ফেরত আসলো। এইরকম অবস্থা যে অফিসে গেলেই কাঁধে ব্যাথা করে। খুবই বুঝদার অসুখ সন্দেহ নাই। সমস্যা হল কামলার জীবনে বেশি অসুস্থতাজনিত ছুটি নেওয়ার উপায় নাই।
অবস্থা বেগতিক দেখে গেলাম ডাক্তার আপার কাছে। উনি আংগুল নাড়া থেকে শুরু করে চোখ টিপ দেওয়া সব পরীক্ষা করে বললেন পিঞ্চড নার্ভ। সচেতন না হলে শল্য চিকিতসার দরকার হতে পারে সুদূর ভবিষ্যতে। আরো দুঃখের কথা বললেন যে সিকলিভ নিয়ে লাভ নাই। সাথে বললেন ইরগোনমিক মাউস, কিবোর্ড, মাউসপ্যাড আর চেয়ার ব্যবহার করতে। আর হেলথ ইন্সুরেন্সে থাকলে মালিশ আর ফিজিওথেরাপি। ছোটবেলা থেকেই আমার একটা সুবিধা হল ডাক্তার দেখলে আমার অর্ধেক অসুখ সেরে যায়। এর মধ্যে ইরগোনমিক ওয়ার্কস্টেশনের জন্য অফিসের অল্প বিস্তর খরচ করানো যাবে ভেবেই আমার আরো অর্ধেক অসুখ হাওয়া। মনের মাধুরী মিশায়ে অর্ডার করলাম। আহা! কিবোর্ডতো না যেন স্পেসশিপের কন্ট্রোলার। ব্যবহার শুরু পর মনে হল যেন নতুন অ আ ক খ শিখছি। ২/৩ দিন পর নতুন জিনিসের উত্তেজনা কমলে টের পেলাম ব্যথা একটু কমলেও আছে। কমেছে শুধু কব্জির ব্যথা। আবার সিকলিভ।
এইবার আলসেমি না করে গেলাম ফিজিওথেরাপী নিতে। ফিজিওথেরাপি আপা বললেন অত্যাধিক কম্পিউটার ব্যবহার করার কারনে আঙ্গুল আর কব্জির সমস্যা ঃকারপাল টানেল সিন্ড্রোম। কাঁধ আর পিঠে ব্যথার কারন হল ভুলভাবে বসা থেকে পিঞ্চড নার্ভ। আরও বললেন সারাদিন কম্পিউটার ব্যবহারের কারনে শরীর চর্চা একদমই হয় না। বললেন প্রচুর পরিমানে এক্সসারসাইজ করতে। জিজ্ঞাসা করলেন সম্প্রতি হঠাত ওজন বেড়েছে কিনা। তা আর বলতে। সারা জীবনে কেউ আমাকে চিকন বলে অপবাদ দিতে পারে নাই। দেশ থেকে ফিরেছি একমাসও হয় নাই। ১৮ দিন নিজের রান্নার বদলে মা-শাশুড়ীর হাতের রান্না খেয়েছি, ইমিগ্রেশনের লোকজন যে পাসপোর্টের ছবি দেখে আমাকে চিনতে পারছে সেইটাই বেশি। তা আপার কথা শুনে মনে হল ফিজিকাল এক্সসারসাইজ হল সব সমস্যার সমাধান। সাথে কিছু উনি কিছু খেলনা এক্সসারসাইজ (আমার মতে) দিয়ে দিলেন।
পরের দিন থেকেই নিজেকে জনি ব্রাভো মনে হতে লাগল। গ্রোসারী থেকে কেজি দশেক বাজার নিয়ে মিনিট বিশেকের পথ হাঁটা ধরলাম। ওজন নেওয়ার থেকে ভাল এক্সসারসাইজ আর কি হতে পারে। ২/১ মিনিট পরেই বুঝলাম ডান হাতে আমার একটা সুতা তুলতেও কষ্ট হচ্ছে। অনেক কষ্টে বাম হাতে বাজার নিয়ে বাসায় ফিরে আসার পর দেখি সেই হাতের অবস্থা সংগীন। গুগল করে যা পেলাম তাতে মাথায় হাত। এই ব্যথা দুই সপ্তাহে কমে যাওয়ার কথা। আর নাহলে সার্জারী কেস। আমারো সেই দশা নাকি! অনেকে আবার বলছে তাদের ব্যথা একেবারেই সারে না! চাকরি বাকরি বাদ দিয়ে সারাজীবন ঘরে বসে থাকাও সম্ভব না। আর কম্পিউটার ব্যবহার না করে কেমনে বাঁচবো।
এমনিতে পেঁয়াজ কাটলেও আমার চোখ দিয়ে পানি বের হয় না। কপালে এইরকম দুর্দশা দেখে হাল্কাপাতলা কান্নাকাটির উদ্যোগ নিলাম। ফলাফল বেশি সুবিধার হল না। মাথা ব্যাথা সাথে আমার ভালোমানুষ স্বামী বলা শুরু করলো নিউরোসার্জন দেখাবা?এ ইদিকে জীবনের এক চরম ভুল করে ফেলছি। কোন এক দুর্বল মুহুর্তে আম্মুকে অসুখের কথা জানায়ে ফেলছি। ঘটনা হল ছেলে মেয়ে বিদেশে থাকলে বাপ-মা নখকুনি থেকে পেটব্যাথা সব কিছুতেই ভাবে মরনব্যাধী। আম্মু নিয়মিত সকালে ফোন দিয়ে গলার আওয়াজ শুনে এমনভাবে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে যে মনে হয় আশা করে নাই যে আমি বেঁচে আছি।
গেলাম মালিশ আপার কাছে। উনি দেখি মালিশ করেন আর কানের কাছে ফিসফিস করেন “আকুপাংচার কর; আকুপাংচার সর্বরোগের মহাওষুধ” ভদ্রমহিলা ছোটখাট, কিন্তু গায়ে সুমোকুস্তিগীরের মত জোর। আকুপাংচার নিশ্চিত করতেই কিনা বেমক্কা চাপ দিয়ে মেরুদন্ডের বারোটা বাজিয়ে দিলেন। এইদিকে অফিসে বস, তস্য বস, কলিগরা সব ভয়াবহ অভিজ্ঞতা বর্ননা শুরু করলেন। বস বললেন তার বর দশ বছর ধরে হাতে মেটাল ব্যান্ড পরে কারপাল টানেল সিন্ড্রোমের জন্য। প্রায় প্রতিদিন আমাকে সেই ব্যান্ড কিনে দেওয়ার জন্য চাপাচাপি করেন। বড় বস বলেন যে তারও লোয়ার ব্যাকে ব্যাথা। এইবলেই উনি অন স্পটে এক্সসারসাইজ শুরু করে দিলেন। অবস্থা দেখে আমি মানে মানে করে সেখান থেকে কেটে পরলাম।
আবার গেলাম ফিজিও আপার কাছে। হাতে হ্যাভ টু আস্ক কোশ্চেন লিস্ট। তালিকা মিলায়ে জিজ্ঞাসা করি
- আমার কি নিউরোসার্জন দেখানো উচিত?
উনি দেখি একটু হাসি চেপেই বললেন:
- না। তবে তোমার বেশি টেনশন হলে একটা এক্সরে করাতে পারো।
- আমার কি হাতে ব্যান্ড পরতে হবে?
- ইউ আর টু ইয়াং টু ওয়ার দ্যাট।
- তাহলে ব্যথা বাড়লো কেন?
- ওয়েট ক্যরী করার জন্য। হাফ কেজির বেশি ওয়েট নেওয়া যাবে না।
- ব্যথা কবে সারবে?
- বড়জোর একমাস।
- একমাস পরে সারবে তো?
- পুরো সারবে না তবে আমার দেওয়া এক্সসারসাইজগুলা করলে সেইব্যথা ট্যাকল করার স্টামিনা পাবে।
পরেরদিন থেকে শুরু হল যুদ্ধ। লাঞ্চ আওয়ারের পর লেডিস রেস্ট রুমে মানুষজন ফ্লস করে দাঁত মাজে, মাসকারা লাগায়। আমি অদ্ভুত কিছু ব্যয়াম করি। সপ্তাহ ঘুরে গেলো কোন পরিবর্তন ছাড়াই। দ্বিতীয় সপ্তাহের শেষে টের পেলাম কাঁধে ভ্যানিটি ব্যাগ নিতে আগের মত কষ্ট হচ্ছে না। ধীরে ধীরে অবস্থার উন্নতি হতে লাগলো। এখনো ব্যায়াম নিয়মিত করে যাচ্ছি। দুইদিন ব্যায়াম ছাড়লেই, দেড় ঘন্টার বেশি ডেস্কে বসে থাকলে অলঙ্ঘনীয় আলার্মের মত ফেরত আসে ব্যথা। তখন মিস করা এক্সসারসাইজ করতে করতে শিস দিতে দিতে গাইতে থাকি “হাল ছেড়ো না বন্ধু বরং কন্ঠ ছাড়ো জোরে...”।
ডিসক্লেইমার ১) এইটা আমার রোগী হিসেবে পিঞ্চড নার্ভ আর কারপাল টানেল সিন্ড্রোমের অভিজ্ঞতা। ইন্টারনেট ঘেটে অনেকের অভিজ্ঞতা পেলেও ঠিক আমার মত কাউকে পাই নাই। ভাবলাম লিখে রাখলে অন্য কারো উপকার হলেও হতে পারে।
ডিসক্লেইমার ২) শিরোমানটা মতিকন্ঠের একটা খবরের শিরোনাম দেখে অনুপ্রানিত হয়ে নেওয়া। পিঞ্চড নার্ভের বংগানুবাদ নয়।
মন্তব্য
প্রানবন্ত লেখা
আমরা কাজে ঢুকেছি এক বছর হল, এর মধ্যেই এক বন্ধুর আরও ভয়াবহ অভিজ্ঞতা হয়ে গেছে। বেচারি টিচার - নিয়মিত পরীক্ষার খাতা আর ল্যাপটপের ওজন নিতে নিতে মেরুদণ্ডের কোন এক জায়গার দুই হাড্ডির মাঝখানের জেলির মতো একটা জিনিস নাকি বের হয়ে গেছে। এখন একদম ওজন নেয়া নিষেধ।
ধন্যবাদ বান্ধবী। আসলেই ওজন নেওয়ার ব্যপারে খুবি সচেতন হওয়া উচিত। বেশি ওজন নিয়ে একবার পায়ের গোড়ালীত স্প্রেইন করে ফেলেছিলাম। আমার মতে ব্যাকপ্যাকের কোন বিকল্প নাই। বছর দেড়েক আগ পর্যন্ত আমি সব সময় ব্যাকপ্যাক নিয়ে ঘুরতাম। হাতে ওজন যদি নিতেই হয় তাহলে হাত ভাঁজ করে বাইসেপ ব্যবহার করে নেওয়া উচিত।
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
সবই তো জানি, কিন্তু বিপদে পরার আগে যে মানতে মন চায় না
ভাই মন মেজাজ অনেক খারাপ ছিলো। আপনি উদ্ধার করলেন। খুব মজা লেগেছে পড়ে।
শীঘ্র সম্পূ্ণ সুস্থ হয়ে উঠুন- শুভকামনা থাকলো।
ধন্যবাদ অপর্ণা। পুরো সুস্থ হওয়া হবে কিনা জানি না। মনে হচ্ছে বাকিজীবন লাঞ্চের পর হাল্কা দৌড়ঝাঁপ করতেই হবে।
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
"হাল ছেড়োনা বন্ধু বরং কি-বোর্ড চাপো জোরে (মিউসিক্যাল তুমি)" তাহলে আমরা কিছু মজার এবং দরকারী লেখা পাই। আফটার অল, ব্যাথা থেকে এবং ব্যাথা নিয়ে যদি এতো ভালো লেখা আসে তবে ব্যাথা ভালো।
ফারাসাত
হেহে। আমার ফিজিও আপা আমাকে বলেছেন সব সময় হাসি খুশি থাকতে। তাতে নাকি ভালো হরমোনের নিঃসরন বাড়ে যেইটা ব্যথা কমায়ে। তাই আমিও এখন টুকি এবং ঝায়ের রোবট গুলার মত যা দেখি তা নিয়েই হাসি। তরকারী পুড়ে গেলে হাসি। অফিসে রাত করে থাকতে হবে দেখলেও হাসি।
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
শুনে ভয় পেলাম। গত ৬/৭ বছরের প্রোগ্রামার জীবনে এখনো এরকম অভিক্ষতার সাক্ষর রাখতে পারিনি।
শুভকামনা।
ভাই ফ্রুলিংক্স, আপনি সম্ভবত এম্নিতেই সচেতন। তবু আরেকটু খুঁজেপেতে দেখবেন আপনার কম্পিউটার ব্যবহারের ভংগী, সময়সীমা ইত্যাদি ঠিক আছে কিনা। আফটার একবার এই পচা রোগে ধরলে তখন পুরো সারাটা কষ্ট মনে হয়।
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
আপনার লেখার ভঙ্গিটা দারুণ সাবলীল, একটানে পড়ে ফেললাম।
ব্যাক পেইন থেকে শুরু করে নানাবিধ ব্যথাতে কম বয়েসী এখনকার দিনে সবাই কাবু, বিশেষত যাদের রুটি রুজি কম্পিউটার পিষে কিংবা যারা সারাদিন কম্পিউটারের সামনে থেকে একদমই নড়ে না। আমিও এই ধরনের একটা ব্যাকপেইনে বছরে দুই-চারবার ভুগি। যখন ব্যথা প্রবল হয়, কম্পিউটারে বসা একদম বন্ধ করে দিয়ে সারাদিন শুয়ে থাকি, ব্যথা কমলে আবার আগের মতো।
আপনি সমস্যার যে নাম বললেন, সেটা আজই প্রথম শুনলাম। আমি সবচে কমন যেই নাম শুনেছি, আর এস আই - রিপিটিটিভ স্ট্রেইন ইনজুরি। আমার বোন চাকরি করে এক মাল্টিন্যাশনালে, ওখানে এমপ্লয়ী হেলথ নিয়ে ব্যাপক মাতামাতি। আপনি যেমন চেয়ার টেবিল মাউজ কীবোর্ডের কথা বললেন, তেমনটা ওদের ওখানে দেখেছি। এছড়া ওদের কম্পিউটারগুলিতে বাধ্যতামূলক কিছু বিরতি নেওয়ার ব্যাপার আছে। একটা নির্দিষ্ট সময় পর পর স্ক্রিন লক হয়ে যাবে, সে সময় চাইলেও কাজ করতে পারবেন না, বরং কিছু ফ্রী হ্যান্ড এক্সারসাইজ করতে হবে। এছাড়া ওর কাছেই প্রথম শুনেছি যে সম্ভব হলে বাম, ডান দুই হাত দিয়েই মাউজ ব্যবহার করা, এতে চাপ কম পড়ে। আরো একটা সাজেশন পেয়েছিলাম সচল ওডিনের কাছ থেকে- প্রতি আধা ঘন্টা কাজ করার পর পাঁচ মিনিট একটু হাঁটাহাঁটি করা, হাত পা নাড়ানো। বটম লাইন হচ্ছে, যেহেতু এই বাক্স দিয়েই আমাদের পেট চালাতে হবে, যতোটা সম্ভব ক্ষতি এড়িয়ে চলা।
আশা করি দ্রুতই সুস্থ হয়ে যাবেন। আরো লিখুন, এতো সাবলীল দিনলিপি খুব বেশি চোখে পড়েনা
অলমিতি বিস্তারেণ
ধন্যবাদ ইয়াসির আরাফাত ভাই।
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ সবজান্তা ভাই। কারপাল টানেল সিন্ড্রোম মনে হয় রিপিটিটিভ স্ট্রেইন ইনজুরি। কম্পিউটার লক হয়ে যাওয়া খুবই ভালো বুদ্ধি। এক্টাই সমস্যাঃ আমার বস কাজের আউটপুট কমে যাচ্ছে, এই ভয়ে হার্টফেইল করতে পারে। আমি টানা একমাস বাম হাতে মাউস ব্যবহার করেছি উপায় না দেখে। এখনো মাঝে মাঝে করি। কাজের মধ্যে বিরতি নেওয়াই সবচেয়ে ভালো। সমস্যা হল মনে থাকে না। আর প্রায়ই কাজের প্রেসার এতো বেশি থাকে যে আগে সম্ভব হত না। এখন না নিয়ে উপায় নাই। ব্যাথা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
এই সবগুলো সিম্পটোমকেই একসাথে এই রিপিটিটিভ স্ট্রেইন ইনজুরি নামে ডাকা হয় আরকি। অনেক কমপোনেন্ট আছে এই টার্মটায়।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
আপু এক্সারসাইজ গুলার লিন্ক দিতে পারেন।
আমাকে ফিজিও আপা কিছু ফটোকপি ছবি আঁকা কাগজ ধরায়ে দিয়েছিল। দেখি রাতে অফিস থেকে ফিরলে ছবি তুলে আপলোড করে দিবো। চলবে?
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
Ok apu. Thanks in advance.
দিলাম। তবে একটা কথা মনে রাখবেন প্লিজ। আমার ধারনা ব্যায়াম গুলো রোগীর ধরনের উপর নির্ভর করে। আমাকে যেমন শুধু লাল গোল দাগ দেওয়া গুলোই করতে বলেছে। কারন আমার বসার সমস্যা যেটাঃ আমি চেয়ারের কিনারে এসে কম্পিউটারের উপর ঝুঁকে বসি। ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াটাই ভাল মনে হয়। উলটা পালটা কিছুতে আরো ক্ষতি হতে পারে।
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
ছবি তো দেখা যায় না! লিঙ্ক দিয়ে দিলাম এখানে ১, ২ ও ৩
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
লেখা পড়ে মজা পেয়েছি তবে আমার অনেকটা এই অবস্থাই আপু। আমি ভার্সিটি যাওয়া আর আর গোসল, ঘুম ছাড়া সারাক্ষণ মেরুদণ্ড সোজা করে কম্পিউটারের সামনে বসে থাকি। ফলাফল হচ্ছে ঘাড়ে ব্যথা। আর ইদানিং দেখছি আমার ডান হাত অবশ লাগে। হাতে কিছু নিলে কীভাবে পরে যায় আমি নিজেও জানি না। ডাক্তার দেখিয়েছি। কিছুদিন ফিজিওথেরাপি নিলাম তবে এখনো তেমন উপকার পাই নি। অবশ্য আমি এখনো কম্পিটার প্রেম ছাড়তে পারি নি
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
মেঘা আপু, ফিজিওথেরাপি আরো কিছুদিন নিয়ে দেখেন। ঘটনা হল পৃথিবীতে ম্যাজিক বলে কিছু নাই। সবকিছুই সময় নেয়। আমার ক্ষেত্রে আমি প্রায় ১ মাস পর ফিজিওথেরাপীর ফল পেয়েছি।
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
আমার সারাদিন যত পড়ালেখা করা লাগে তার শতকরা ৮০ ভাগ এইসব নার্ভ নিয়ে। ল্যাবে কিছুদিন ধরে সুই না ফুটিয়ে নিউরাল সিগন্যাল রেকর্ডের কার্যকরী একটা পদ্ধতি বের করার জন্য পড়ালেখা করছিলাম। তো যথারিতী সুই না ফোটানোর মতলব করলে সুই ফুটিয়ে রেকর্ডের বিস্তারির সুবিধা গুলো জানতে হবে। মাইক্রোনিউরোগ্রাফি কিভাবে কারপাল টানেল সিন্ড্রোম সনাক্ত করে, কত ভালোভাবে, সেগুলোও পড়লাম। তার উপর অভিজ্ঞতা, আমার মা জননী কার্পাল টানেল সিন্ড্রোমের রোগী। ভালোই বুঝতে পারছি, আপনার কি অবস্থা। ভয়ের কিছু নেই, দুনিয়ার বহু লোক এই রোগ নিয়ে দিব্যি চলে যাচ্ছে। কেবল বেখেয়ালে ট্রিটমেন্ট বাদ দিয়েন না। মানুষের লড়াই করার ক্ষমতা যে কত অসীম, ভাবলে অবাক হয়ে যাই।
ভালো থাকবেন আপু
-----------------------------------------------------------------------------
বুকের ভেতর কিছু পাথর থাকা ভালো- ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়
ধন্যবাদ নীল রোদ্দুর। এখন থেকে নার্ভ নিয়ে কোন প্রশ্ন করার থাকলেই আপনাকে জ্বালাবো কিন্তু। আমি আবার এই বিষয়ে ক অক্ষর গোমাংস! আপনি তো আপু একটু ভয়ই ধরায়ে দিলেন। আমি তো দুই সেশনের পর সময়ের অভাবে ফিজিওর কাছে আর যেতেই পারলাম না । দ্দ
দেখি সামনের সপ্তাহে যাবো একবার।
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
আপনার লেখার ধরণটা খুব ভাল লাগল।সেরে উঠুন দ্রুত।
ধন্যবাদ যুমার।
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
মতিকণ্ঠের কল্যাণে শিরোনামটা দেখে কী যে ভাবছিলাম প্রথমে ...
হেহে
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
দারুন এবং অতি প্রয়োজনীয় লেখা!
দীর্ঘকাল ভুল ভঙ্গি/পসচারে বসে কম্পিউটারের অতি-ব্যবহার বা বিরতিহীণ ব্যবহার আরও অনেক সমস্যাই সৃষ্টি করতে পারে। যেমন স্পন্ডিলোসিস। মূলত মেরুদণ্ডের সমস্যা এটা। ঘাড়ে (মেরুদণ্ডে) হলে সারভাইকাল স্পন্ডিলোসিস, লোয়ার ব্যাকে হলে 'লাম্বার' আর মধ্য-পিঠে হলে বোধহয় 'থোরাসিক' স্পন্ডিলোসিস বলে। ভয়াবহ, কল্পনাতীত যন্ত্রনার রোগ। আগে বার্ধক্য/মধ্যবয়সের আগে হতো না মনে হয়। এখন তরুনদেরও হচ্ছে।
কম্পিউটার/গেম/নেট ব্যবহারকারীদের সবারই এসব সমস্যার ব্যাপারে সচেতন থাকা উচিত। 'আমার হবে না' মনে করে কোন ফলস্ সেন্স অফ সিকিউরিটিতে ভোগা বা অবহেলা করা উচিত হবে না। কারন একবার হলে জান পানি হয়ে যাবে এবং সেই অর্থে পার্মানেন্টলি সারবেও না কোনদিন আর - ম্যানেজ করে করে চলতে হবে সারাজীবন। নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই জানি।
বসার ভঙ্গি, বিরতি, ব্যায়াম, কাজের উপকরণের ইর্গোনমিক স্থাপন ও ব্যবহার, এরেঞ্জমেন্ট ও ডিজাইন, ইত্যাদি নিয়ে আরেকটু বিস্তারিত লিখলে ও ছবি দিলে ভাল হত।
****************************************
বিস্তারিত মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। আসলেই একটু সচেতনতার জন্য অনেক সমস্যা থেকে বাঁচা যায়।
বসার ভঙ্গি, বিরতি, ব্যায়াম, কাজের উপকরণের ইর্গোনমিক স্থাপন ও ব্যবহার, এরেঞ্জমেন্ট ও ডিজাইন, ইত্যাদি নিয়ে বেশি দেই নাই দুইটা কারনেঃ
১) আমার উপযুক্ত জ্ঞান নাই এই বিষয়ে। ইন্টারনেট ঘাটলে প্রচুর তথ্য পাওয়া যায় ঠিকই। কিন্তু সেগুলো বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে আমার অনেক সময় সন্দেহ হয়। অনেক তথ্যের ভীড়ে সত্যি তথ্যটা যাচাই করার মত ডাক্তারি জ্ঞান আমার নাই।
২) আমি যে ব্যায়াম করছি, বা যে ওয়ার্কস্টেশন ব্যবহার করছি সেগুলো নিয়ে বেশি বলি নাই কারন আমার ধারনা মতে এইটা রোগী থেকে রোগীতে আলাদা। যেমন আমার রিস্ট ব্যান্ড লাগছে না। অনেকের লাগে। এক এক জনের এক এক ধারনা শুনে আমি খুবই কনফিউজড হয়ে গিয়েছিলাম।
আমার লেখার উদ্দেশ্য ছিল কিভাবে হুট করে এই সমস্যা শুরু হয় সেই ব্যপারে একটু ধারনা দেওয়া। আর আমি আসলেই মানসিক ভাবে একটু দুর্বল বোধ করছিলাম। সাহস দেওয়াটাও একটা উদ্দেশ্য। তারপরেও উপরের একটা মন্তব্যে ব্যায়াম গুলোর ছবি দিয়েছি । মূললেখায় ইর্গোনমিক জিনিসপত্রের লিংক। একেবারে নিজের অভিজ্ঞতা থেকে যা বললে সবার উপকার হতে পারেঃ
১) মিনিট দশেক পর পর হাত পা নড়াচড়া করা
২) দেড় ঘন্টা পর পর ডেস্ক থেকে ওঠা।
৩) কম্পিঊটারের স্ক্রিনে না দেখে বাইরের দুনিয়াটাকে মাঝে মাঝে খালি চোখে দেখা
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
সমস্যা তো দেখি আমারও--
আমার অভ্যাসটা খুবই বাজে ছিল। বিছানায় পেছনে বালিশ ঠেশ দিয়ে আধশোয়া হয়ে প্রায় পেটের উপর ল্যাপি রেখে কাজ করা। এক মাসের ভেতর মজা টের পেলাম। প্রচণ্ড রকম কোমর ব্যথা শুরু হল। আর ঘাড়ে একটা দুর্ঘটনার ব্যথা আগে থেকেই ছিল। দুইয়ে মিলে আমার কাহিল অবস্থা। অনেক দিন হল ভুগছি ভীষণ।
উপরে মন মাঝির মন্তব্যর অনুরোধটি আমারও রইল।
আর আপনার লেখা খুবই সাবলীল। ভাল লেগেছে।
ধন্যবাদ পথিক পরাণ। সময় সুযোগ করে দ্রুত ডাক্তার দেখান। আশা করি ভাল হয়ে যাবেন।
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
অর্থোপেডিক্স এবং/বা ফিজিকাল মেডিসিনের বিশেষজ্ঞকে দেখাতে পারেন। ঢাকায় থাকলে পিজির ফিজিকাল মেডিসিন, বা আরও ভাল হয় সাভারের 'সিআরপি'-তে ঘুরে আসলে।
****************************************
খাইছে!
..................................................................
#Banshibir.
পীরের মন্তব্যেও খাওয়া দাওয়া - হাহাহাহাহাহাহহা
রিক্তার লেখা পড়ে খুব সাবলীল মনে হয়েছে - তবে নিজেকে অমানুষ বা অতিমানব মনে হল প্রায় ১৮ ঘন্টা কাজ করে এখনো কোন পেইন ধরেনি - পেইন ছাড়া কি লেখালেখি সম্ভব না?
ধন্যবাদ স্যাম। ১৮ ঘন্টা আমারো প্রায়ই হয়। বকা খাওয়ার ভয়ে স্বীকার করি না
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
মুসা আমান হয়ে গেলেন মনে হচ্ছে! কে কি খাইছে? আমার তো চ্যাবা শুঁটকি ভর্তা দিয়ে ভাত খাইতে মন চায়।
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
জেবনটাই চ্যাপা শুঁটকি ভর্তা রে ভাই রিক্তা (উধাস ইমো)।
..................................................................
#Banshibir.
পুরো লেখা পড়ার পর মুখ দিয়ে অজান্তেই বেরিয়ে এল, "চমৎকার"। আপনার লেখা এখন থেকে আর মিস করা যাবে না।
কম্পিউটার একটা বাজে জিনিস। মানুষকে অসুস্থ করে দেয়। আমি অনন্তকাল ধরে ব্যাক পেইনে ভুগছি। দায়ী একমাত্র কম্পিউটার।
এখন রাখতেও পারিনা, ফেলতেও পারিনা দশা।
যাই হোক, সুস্হ হোন, নিয়মিত লেখুন।
আবার বলছি, লেখা খুব ভাল লেগেছে।
ধন্যবাদ গৃহবাসী বাঊল। দ্রুত ডাক্তার দেখায়ে ফিজিওথেরাপি নেন, সেরে যাবে।
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
ভাল করেছেন, এই বিষয়ে তথ্যটথ্য সরস ভাষায় গুছিয়ে লিখে দিয়ে। আমার মতন তরুণেরা যখন প্রায়প্রৌঢ় হবে তখন এইসব কাজে লাগবে
ধন্যবাদ কৌস্তুভ। একেবারে বুড়ো বানায়ে দিলেন? ঠাম্মির সংখ্যা বাড়ানোর জন্য নাতো?
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
অ্যাই চুপ চুপ। ওই দেখেন নিচে ঠাম্মি এসে গেছে, একবার নজরে পড়লে আর আস্ত রাখবে না।
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
আশু আরগ্য কামনা করছি।
শুভকামনা রইল বোন।
তুহিন সরকার
এতো আন্তরিক ভাবে বলার জন্য ধন্যবাদ তুহিন সরকার ভাই।
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
সুস্থ হয়ে উঠুন...
ধন্যবাদ কড়িকাঠুরে!
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
একি পেশার মানুষ হয়ায় আশংকায় আছি কবে রোগাক্রান্ত হবো । দেখি কতটুকু সচেতন থাকতে পারি। আমি আবার অলস, নিয়ম শৃঙ্খলার বালাই নাই।
চমৎকার লেখেন; নিয়মিত হবেন যেন।
_____________________
Give Her Freedom!
ধন্যবাদ মৃত্যুময় ঈষৎ। অল্প একটু সচেতন হলেই হয়। এখন আমি অনেক আফসোস করি কেন মা-বাবা/ শ্বশুর-শ্বাশুড়ি/বরের পরামর্শ শুনি নাই।
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
পিঞ্চ নার্ভ পেইন কি জিনিস জানি ভালোই। ভয় পাই ভীষণ। শুভ কামনা রইল, সেরে উঠুন জলদি।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
অভিজ্ঞতা একটু বলেন না প্লিজ। আমি অসুখের সময় ফার্স্ট হ্যান্ড এক্সপেরিয়েন্স আছে এইরকম একজন কে অনেক খুজছিলাম।
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
চমৎকার আর অত্যন্ত সাবলীল লেখা। বিশেষ করে মন্তব্যে করা আপনার উপদেশগুলো অনেক সরলসোজা। অনেকেরই কাজে লাগবে।
পেশাগত কারণে আমাকে এই ব্যপারটা নিয়ে ডিল করতে হয়। একটু আগেঈ ফেইসবুকে একজনকে প্রায় এইরকম একটা সমস্যার জন্য কিছু উপদেশ দিয়ে আসলাম। এখনকার অল্পবয়সী প্রফেশনালদের জন্য এই সমস্যাটা, মতিকন্ঠের ভাষায় বলতে গেলে, আসলেই একটা অভিশাপ। আমার নিজেরই কবজিতে অল্প অল্প ঝামেলা আছে। টানা গেইমিং করলে ব্যথা করে
তবে ভালো ব্যপারটা হচ্ছে যে সামান্য একটু লাইফস্টাইল মডিফিকেশান করলেই এর থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
আশা করি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন আপনি।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
অনেক ধন্যবাদ! কষ্ট করে যদি একটু লাইফস্টাইল এর পরিবর্তন গুলো বলতেন আর দুই একটা প্রফেশনাল উপদেশ আমার জন্য খুব উপকার হত.
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
বুঝলাম, নিকট ভবিষ্যতে কপালে খারাবী আছে ।
চমৎকার দিনলিপি
নতুন মন্তব্য করুন