বিদায় ঋতুপর্ণ ঘোষ

রিক্তা এর ছবি
লিখেছেন রিক্তা [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ১৯/০৬/২০১৩ - ৯:৫৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ডিসক্লেইমারঃ
১- স্পয়ল্যার অ্যালার্ট!!! ঋতুপর্ণ ঘোষের চিত্রাঙ্গদার কাহিনীর বেশ খানিকটা সংক্ষেপে আছে।
২- আমি সিনেমার ব্যপারে ক-অক্ষর গোমাংস। লেখার সবটুকু আমার ব্যক্তিগত মত। কোন অভিজ্ঞ মত নয়।

ঋতুপর্ণ ঘোষের নাম প্রথম শুনি চোখের বালি বের হবার পর। ক্লাসের ছেলেরা ঐশ্বরিয়ার পিঠ দেখতে পেয়ে খুবই আনন্দিত ছিল মনে আছে। তখনো আমার সেই সিনেমা দেখার সৌভাগ্য হয় নাই। ধরেই নিয়েছিলাম ঐশ্বরিয়ার রূপ দেখিয়ে সিনেমার হিট করার তালিকায় আরেকটা সিনেমা যোগ হল। আমি কখনই খুব সিনেমা বা টিভি দেখার পোকা ছিলাম না। কাজেই এরপর কয়েকবছর আর তাঁর কোন সিনেমা উপভোগ করা হয় নাই।

প্রবাসজীবনের শুরুর এক বছর একা ছিলাম ভীষণ নিরিবিলি এক ছোট্ট শহরে। একাকীত্ব কাটানোর জন্য ভিডিও স্ট্রিম করে দেখার মত নেটের স্পিডের সাথে মানিয়ে নিয়ে পরিচিত হয়ে গেলাম ইউটিউবের সাথে। চোখের বালি দেখা হল। দারুন। মনে হল ভদ্রলোক প্রতিটা দৃশ্য একেবারে সম্পাদ্য এঁকে মিলানোর মত করে নিখুঁত করে বানিয়েছেন। উদাহরণ হিসেবে এই মুহূর্তে মনে আসছে বিনোদিনী আর আশালতার ছাদে কাপড় শুকানোর দুই দৃশ্যের কথা। এরপর দেখলাম অন্তরমহল। দুইটা সিনেমার মূল গল্পই আগে পড়া ছিল। তারপরেও চিন্তাভাবনার খোরাক ছিল।

এরপর দেখেছি উৎসব, আবহমান আর নৌকাডুবি। অন্তরমহল আর চোখের বালি এর মত একেবারে নতুন করে চিন্তাভাবনার কিছু পাই নাই। কিন্তু দেখে খুব আরাম পেয়েছি। এরমধ্যে উৎসবের কথা আলাদা করে বলতে হয়। দেশ ছেড়ে আমি বাসার জন্য তীব্র মন কেমন করা রোগে ভুগছি তখনো। উৎসব দেখে আমার মনে হয়েছে সত্যি সত্যি যেন ঈদ হচ্ছে, আমি বাসায়। পেশাদার একজন সিনেমাওয়ালা কি অদ্ভুত কৌশলে একেবারে সত্যিকারের কিশোরের হাতক্যামেরায় তোলার মত ভিডিও সাজিয়ে সিনেমা বানিয়ে ফেলেছেন!

কাছাকাছি সময় বা তার আগেই আমার সচলাসক্তির শুরু। কবে যেন সচলে দেখলাম কে বলেছেন "Rituparno Ghosh has come out of the closet"। কিছু গুগল করে যা পেলাম তাতে আমি ভদ্রলোকের সাহসের আজীবন ভক্ত হয়ে গেলাম। আমি সারাজীবনই খাপছাড়া প্রকৃতির। স্রোতের বিপরীতে চলার হাল্কাপাতলা অভ্যাস আছে বল কিছু কিছু ধরতে পারি। এই সুযোগে নিজের একটা ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বলি। তেরো চৌদ্দ বছর বয়ষে আমরা তিন বন্ধু ছেলেদের মত করে চুল কেটে ফেলেছিলাম কারণ আমাদের মনে হয়েছিল লম্বা চুলের যত্ন করতে করতে মেয়েরা পড়ালেখায় ছেলেদের সমান সময় দিতে পারে না, তাই ছেলেদের থেকে পিছিয়ে থাকে। ঢাকার সাধারন মানুষ তখন ছোট চুলের মেয়ে বলতে চিনতো প্রিন্সেস ডায়না আর তসলিমা নাসরিন কে। বছর চার পাঁচ রাস্তাঘাটে যেই পরিমাণ টিজ খেয়েছি তাকে অসীম পরিমাণ বর্ধিত করে ঋতুপর্ণ ঘোষের ভোগান্তি কোটি ভাগের একভাগ বোঝার চেষ্টা করি মাঝে মাঝে।

অনেক অনেক দিন আরেকটি প্রেমের গল্প দেখার জন্য খুঁজেছি ঋতুপর্ণ ঘোষের মূল চরিত্রে অভিনয় দেখার জন্য। না পেয়ে ইউটিউবে বনমালী তুমি পরজনমে হইও রাধার ছোট ক্লিপটা দেখেছি কয়েকবার, খালি খালি অনুভুতির গান। ঋতুপর্ণ ঘোষের মৃত্যু সংবাদ শুনে খারাপ লেগেছে অনেক। আরেকদফা গুগল করে দেখি শেষ বের হওয়া সিনেমা চিত্রাঙ্গদা।

চিত্রাঙ্গদা দেখে অবাক হয়েছি অনেক। খুব সুন্দর করে বানানো। অদ্ভুত সুন্দর কিছু দৃশ্য আছে। অপরেশন থিয়েটার নাচের মত করে দেখানো তার একটা। মনে হয়েছে সিনেমার কিছু কিছু অংশ কাছ থেকে দেখা অভিজ্ঞতার আলোকে বানানো। নাহলে এত বাস্তব এত খুঁটিনাটি কিভাবে খেয়াল করলেন! কিন্তু এইগুলো কোনটাই আমার অবাক হওয়ার কারণ না। সিনেমার চরিত্র রুদ্র চ্যাটার্জী (ঋতুপর্ণ ঘোষ) আর পার্থ (যীশু দাশগুপ্ত) প্রেম দেখিয়েছেন খুব সুন্দর করে, অবাক তার জন্য হই নাই। পার্থ বাচ্চা ভালোবাসে আর একই লিঙ্গের দম্পতি বাচ্চা দত্তক নিতে পারে না বলে রুদ্র চ্যাটার্জী অনেকটা জেদ করে দীর্ঘ ক্লান্তিকর জেন্ডার রিঅ্যাসাইনমেন্ট অপারেশন এর মধ্যে দিয়ে যেতে থাকে। আমার ক্ষুদ্র সিনেমা দেখা জ্ঞান বলে শতকরা পঁচানব্বই ভাগ মানুষ এখানে সিনেমা শেষ করতো। কিন্তু পার্থ মেয়েরূপী রুদ্রকে চায় না বলে সম্পর্ক ভেঙ্গে দিয়ে কস্তুরী (রাইমা সেন) কে বিয়ে করে। এতেও অবাক লাগে নি। আমার হিসাবের বাকি পাঁচ জন অসাধারন এইখানে সিনেমা শেষ করতো। ঋতুপর্ণ সেই পাঁচজনের ছয় নাম্বার। তার গল্পঃ প্রেমিকের বিয়ের পর রূদ্র জেন্ডার রিঅ্যাসাইনমেন্ট এর অর্ধেক পথ থেকে আবার আগের অবস্থায় ফেরত নিয়ে যেতে ডাক্তারকে অনুরোধ করে। ভালোবাসার জন্য এতো ত্যাগ স্বীকার করার সাহস আমাকে মুগ্ধ করেছে। কিন্তু তার চেয়ে অনেক বেশি সম্মোহিত হয়েছি ভালবাসার মানুষের বিশ্বাসঘাতকতার পর ঘুরে দাঁড়ানোর সাহসটুকু দেখানোর জন্য।

ধন্যবাদ ঋতুপর্ণ ঘোষ। আপনার সাহসগুলো আমাকে অনেক অনেক দিন অনুপ্রেরণা দেবে।


মন্তব্য

ব্যাঙের ছাতা এর ছবি

ছবিটা দেখার আগ্রহ আরো তীব্র হল।
উনিশে এপ্রিল দিয়ে তার সাথে আমার পরিচয়ে। প্রথম পরিচয়ের সেই মুগ্ধতা আজও অটুট।

রিক্তা এর ছবি

ধন্যবাদ ব্যাঙের ছাতা।

--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

আপনি কি 'মেমোরিজ ই মার্চ' দেখেছেন?
না দেখে থাকলে অবশ্যই দেখুন।

পরিচালনা - সঞ্জয় নাগ
চিত্রনাট্য - ঋতুপর্ণ ঘোষ
মুখ্য চরিত্রে - ঋতুপর্ণ ঘোষ এবং দিপ্তী নাভাল

রিক্তা এর ছবি

দেখেছি মনেহয়। দিন দিন স্মৃতিশক্তির অবস্থা যা হচ্ছে এক সপ্তাহের বেশি কিছু মনে থাকে না মন খারাপ

--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।

রিক্তা এর ছবি

ধন্যবাদ মসীলক্ষণ পণ্ডিত। চিত্রাঙ্গদাকে কখনই ঋতুপর্ণ ঘোষের জীবনকাহিনী মনে হয় নি। যেমন বলেছেন অনেকগুলো অনুভূতি জীবন থেকে নেওয়াঃ সেটাই মনে হয়েছে। বিশেষ করে বাবা-মায়ের সাথে সম্পর্ক। অনেকেই দেখাতো বাপ-মা তার উপর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে অথবা তাদের কোন ভূমিকাই নেই জীবনে। লেখার সংশ্লিষ্ট লাইন টা একটু পরিবর্তন করলাম, যেন কনফিউসনের সুযোগ না থাকে।

আমি চিত্রাঙ্গদার রূদ্রের সাহস আর উদ্যোমটা চাই হাসি

--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।

মসীলক্ষণ পণ্ডিত এর ছবি

"আমরা কিভাবে বেঁচে আছি সেটা ইম্পরট্যান্ট না; আমরা কিভাবে বাঁচতে চাই সেটা অনেক বেশী ইম্পরট্যান্ট । 'চিত্রাঙ্গদা' টা সেই বাঁচতে চাওয়ার গল্প ।"
চিত্রাঙ্গদার অনেকগুলো অনুভূতি ঋতুপর্ণ ঘোষের নিজের জীবন থেকে নেওয়া হলেও এটি তার জীবনকাহিনী নয় কোনভাবেই । এটি ভাবা সহজ বলেই আমরা এমনটা ভাবি । তবে বাবা-মায়ের সাথে রুদ্র'র সম্পর্কের জায়গাটি প্রায় অনেকটাই ঋতুপর্ণ ঘোষ নিজের জীবন থেকে নিয়েছেন ।
'চিত্রাঙ্গদা' চলচ্চিত্রটি আমাদেরকে অনেক গভীরে ভাবিয়ে তোলে । আমাদের অনেকের টুকরো টুকরো গল্পই এখানে মিশে রয়েছে ।

মসীলক্ষণ পণ্ডিত এর ছবি

লাইনটা সংশোধনের জন্য ধন্যবাদ, দিদি ! হাসি
আসলে অনেকেই সিনেমাটাকে ঋতুপর্ণ ঘোষের অটোবায়োগ্রাফি মনে করে । সিনেমাটি এক্সপেরিয়েন্স করার আগে 'চিত্রাঙ্গদা'র পোস্টারে ঋতুপর্ণ ঘোষের নারীসুলভ ছবি দেখে অনেকেই ধরে নিচ্ছেন যে এটা তাঁর জীবনের কাহিনীই হবে । কিন্তু তা ঠিক নয় । 'রুদ্র' চরিত্রটির সাথে ঋতুপর্ণ'র জীবনের অনেক অভিজ্ঞতার মিল আছে, কিন্তু 'রুদ্র'ই ঋতুপর্ণ ঘোষ নন ।
আপনি সিনেমাটি মন দিয়ে দেখেছেন এবং সেটি নিয়ে চমৎকার করে লিখেছেন বলে আপনাকে অভিনন্দন !
হাততালি

রিক্তা এর ছবি

দুঃখিত, আপনার জবাবটা ভুলে প্রদীপ্তময় সাহা গেছে ইয়ে, মানে...

--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

বছর চার পাঁচ রাস্তাঘাটে যেই পরিমাণ টিজ খেয়েছি তাকে অসীম পরিমাণ বর্ধিত করে ঋতুপর্ণ ঘোষের ভোগান্তি কোটি ভাগের একভাগ বোঝার চেষ্টা করি মাঝে মাঝে।

চলচিত্রকার ঋতুপর্ণের বাইরে মানুষ ঋতুপর্ণ যে ব্যক্তিগত বিপ্লব করার চেষ্টা করেছেন সেটার গুরুত্ব ও গভীরতা অনেকেই বুঝতে অক্ষম। ব্যাপারটি আপনিও যে empathy দিয়ে বোঝার চেষ্টা করেছেন সেটা ভালো লাগলো। অনেক মানুষ আছেন যাদের sexual orientation ঋতুপর্ণের মতো কিন্তু তারা সেটা প্রকাশের ঝুঁকি নিতে চান না। ঋতুপর্ণ নিজের সামাজিক অবস্থান, ক্যারিয়ার এসব কোন কিছুর কথা ভেবে পিছু না হঠে নিজের ভালো লাগার ব্যাপারটি নির্দ্বিধায় প্রকাশ করেছেন।

চিত্রাঙ্গদা'র ব্যাপারে মুখ বাঁকানো মানুষের সংখ্যাই বেশি। তবে ঋতুপর্ণের মতো আমিও বিশ্বাস করি আরো কুড়ি বছর পর মানুষ এই মুভিটাকে সঠিক মূল্যায়ণ করতে পারবে।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

রিক্তা এর ছবি

সেইটাই, ধন্যবাদ ষষ্ঠ পাণ্ডব।

--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।

স্পর্শ এর ছবি

ছোটো চুলের এই তাহলে রহস্য চিন্তিত

ঋতুপর্ণ গোষের চোখের বালি দেখে মুগ্ধ অভিভুত হয়েছিলাম। মূলত ঐখানে ঐশ্বরিয়াকে দেখে বুঝতে পারি, যে সে প্রকৃতই সুন্দরী। বিধবার বেশেও কী সুন্দর লাগছিলো! আবার অনেক গহনা পরেও!! এর পর রেইনকোট দেখবো ভেবেছি অনেকবার। আজ না কাল করে আর দেখা হয়নি। ক-দিন আগে তার "খেলা" মুভিটা দেখলাম।
চিত্রাঙ্গদা নিয়ে কিছু টকশো দেখেছি, কিন্তু মূল সিনেমাটা দেখা হয়নি। সময় করে বসতে হবে।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

রিক্তা এর ছবি

হাহাহা, তুমি কি রহস্য ভাবছিলা?

মনে হচ্ছে ক্লাসের ছেলেদের কথা বলায় ঘটনা বিস্তারিত বর্ননা দিচ্ছ খাইছে
ভদ্রলোকের মুভিতে নায়ক নায়িকা অনেক সময়ই ক্লাসিক সুন্দর থাকে আমার মনে হইছে।

--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

রেইনকোট দুইবার দেখবে - একবার বিয়ে করার আগে আর আরেকবার বিয়ে করার ছয়/সাত বছর পরে।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

স্পর্শ এর ছবি

রেইনকোটটা আসলেই দেখতে হবে।
বিয়ে করলে তো বউয়ের ঝাটার বাড়ি খেয়েই মারা পড়তে হবে। ৬-৭ বছর বাঁচলে তো! ইয়ে, মানে...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

guest writer এর ছবি

এক তসলিমা নাসরিন আর রাগিব হাসানের যুদ্ধ আমাদের সবার লেখার ধরণটাই বদলে দিল।সবখানে শুর হয়ে গেল 'নাই" কথাটার ব্যবহার।অথচ "হয় নাই" বা "পাই নাই" এর বদলে হয়নি /পাইনি লিখলে কি এমন খারাপ হত ?

রিক্তা এর ছবি

তসলিমা নাসরিন আর রাগিব হাসান স্যরের সাথে "পাই নাই" এর কি সম্পর্ক বুঝলাম না। যতদূর মনে করতে পারি উনাদের নাম শোনার বহু আগে থেকে সব সময়ই "পাই নাই" লিখে আসছি। আমার "পাই নাই" লিখতে আরাম লাগে।

আপনার ভালো লাগে নাই বুঝলাম। তবে আপনার মতামতে আমার লেখার ধরন বদলাবে নাঃ দুঃখিত।

--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।

তাপস শর্মা এর ছবি

আবহমান এবং সব চরিত্র কাল্পনিক - এই দুইটা আমার কাছে বেস্ট... বিশেষত আবহমান এর প্রেক্ষাপট যদি বুঝে ব্যাপারটা দেখেন তাহলে এই সিনেমাটার ভাষাটা হয়তো আপনার কাছে পালটে যাবে

০২

লেখাটা ভালো লেগেছে, বিশেষত 'চিত্রাঙ্গদা' নিয়ে মননশীল মানুষদেরও মুখ বাঁকানো মনোভাবের ভিড়ে সংগতিপূর্ণ কথা দেখলে ভালো লাগে

রিক্তা এর ছবি

ধন্যবাদ তাপস শর্মা। সব চরিত্র কাল্পনিক দেখা শুরু করেও মন দিয়ে দেখার জন্য তুলে রাখছি। এইজীবনে সময় হবে বলে মনে হচ্ছে না।

--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।

ব্যাঙের ছাতা এর ছবি

না না, সময় করে দেখেন। আমি ছবির কূল-ঠিকুজি না জেনে দেখতে বসেছিলাম। এত ভালো লেগেছিল!
পরে জেনেছিলাম যে উনার ছবি।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

"চিত্রাঙ্গদা" এখনও দেখা হয়নি। দেখতে হবে সময়সুযোগ করে। লেখা হুট করেই শেষ হয়ে গেল। আরো কিছু লিখতে পারতেন, ভালোলাগা, মন্দলাগা, অভিজ্ঞতার কথা।

ঋতুপর্ণর কাজ খুবই মিস করব সামনে। নতুন আর কোনো মুভি আসবে না তাঁর, ভাবতেই খারাপ লাগে।

রিক্তা এর ছবি

আরো কিছু লিখি নাই দুইটা কারনে
১) আমার সেই হেডম নাই হাসি
২) বেশি দেরি হয়ে যেত।আরো আগেই লেখার ইচ্ছা ছিল। ব্যস্ততা আর প্রকাস্টিনেশন এর জ্বালায় কিছুই করা হয় না

ধন্যবাদ অতন্দ্র প্রহরী!

--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।