ডিসক্লেইমারঃ লেখকের ক্যামেরা প্রাগৈতিহাসিক এবং তার ছবিতোলার হাত সেইরকম হওয়ায় এই লেখায় কোন ছবি থাকবে না। দুই একটা ছবি থাকতে পারে ডেমোনেস্ট্রেশনের জন্য যার বাস্তবের সাথে কোন মিল নেই। বাস্তবের পর্বতেরা কোটিগুণ সুন্দর।
ভ্রমণকাহিনী আর কাহিনীলেখক দুইটাই আমি খুবই অপছন্দ করি। কারণ আর কিছুই নাঃ আদি অকৃত্রিম ঈর্ষা। এইযে তারেক অণুর জন্য শতকরা ৯৯ ভাগ পাঠক হীনমন্যতায় ভুগি সেইটা কি কোন ভালো জিনিস? ভ্রমণের ব্লগগুলো আমি চটজলদি চোখ বুলাই, ছবি দেখে মনে মনে ভাবি আমিও যাবো। বেশিরভাগ সময় আমি হিংসায় পড়ে শেষ করতে পারি না। তাহলে আমি কেন ভ্রমণকাহিনী লিখছি? আবার কেন, প্রতিশোধের আশায়। জীবনে বহু সময় সচলায়তনে পার করেছি, করতেছি। সেইসব সময়ের দাম আছে না? এই লেখা পড়ার জন্য মডুদের সময় নষ্ট হবে। লেখা ছাপানোর যোগ্য হলে কথাই নেই! শিরোনাম পড়তে গড়ে তিরিশ সেকেন্ড লাগলেও হাজার লক্ষ পাঠকের সময়ের হিসাব করেই কেমন জানি দাঁতগুলো আপনিই বিকশিত হয়ে যাচ্ছে।
যাই হোক, বেড়াতে গিয়েছিলাম কানাডিয়ান পাথুরে পর্বতমালায়, বিয়ের পাঁচ বছর উপলক্ষে। পাঁচ বছরে চারখানা শহর, দুইখানা দেশ, সাতটা বাসা, দুইটা ইউনিভার্সিটি, পাঁচটা চাকরি বদলের পাল্লায় পরে এমন আইলসামি জমেছে যে “কত রবি জ্বলে...কেবা আঁখি খোলে” র মত অবস্থা। সেইরকম কোন এক আইলসামির সময় ফেইসবুকে পাথুরে পর্বতমালার একটা পর্বত দেখে কেমন জানি তব্দা লেগে গেলো। এতো সুন্দর জায়গা আসলেই আছে? ঠিক করে ফেললাম এইখানেই যাবো।
আইলসা মানুষের যেকোন সিন্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য একটু বেশি সময় লাগে। প্রায় শেষ মূহুর্তে গিয়ে প্লেনের টিকেট, হোটেল ভাড়া ইত্যাদি করতে পারলাম। খরচের বহর দেখে কেমন জানি লাগে। এর অর্ধেক খরচে ক্যানাডার বাইরে ক্যারিবীয় আইল্যান্ডে দিনসাতেক আরাম করে ঘুরে আসা যায়। অফিসে বস ঈদের আগের দিন দেশের বাড়ি যাওয়া বুয়াকে দিয়ে মায়েরা যেমন সাতদিনের পেঁয়াজ কাটায়ে রাখে তেমন করে এটা সেটা অনেক কিছু করিয়ে নিল। অবশেষে এক শুভরাতে ঘরের দরজা জানলা শক্ত করে আটকে, গাড়ি এয়ারপোর্টের পার্কিং ভাড়া দেওয়া কোম্পানির গ্যারেজে পার্ক করে পিঠে ব্যাকপ্যাক, কাঁধে ভ্যানিটি ব্যাগ, চুলে রোদচশমা (জ্বি হ্যাঁ রাতের বেলা, ভ্রমণ বলে কথা) ঝুলিয়ে এয়ার ক্যানাডার এক লক্কড়ঝক্কড় বিমানে চড়ে বসলাম।
চার ঘন্টার বিমানযাত্রা নিয়ে শুধু দুটি কথাঃ তিনসিটের এক পাশে একটা ৫-৬ বছরের মেয়ে বসছিলো। এইদেশী পিচ্চি গুলো এতো ভদ্র কেন? চার ঘন্টায় সে একটাবার কিছু উলটাপালটা করে নাই। নিজের মনে মুভি দেখছে। আমিই বরং জামাইয়ের সাথে ঘ্যানঘ্যান করতে গিয়ে পিচ্চিকে ভুলভাল গুঁতা দিছি মনে হয়। দ্বিতীয় ঘটনা হলঃ এয়ার ক্যানাডা একটা জটিল জিনিস। প্লেনের ভিতর কনকনে ঠান্ডা করে রেখেছে।কম্বল চাইতেই একহাতে কম্বল আরেক হাতে ক্রেডিটকার্ড রিডার নিয়ে এয়ারহোস্টেজ মিস্টি হাসি দিয়ে বললো সাত ডলার। শীতের চোটে সেই কম্বল কিনে গায়ে দিতে গিয়ে দেখি জিনিস্টা আসলে ইলেক্টনিক জিনিস প্যাক করতে ব্যবহৃত পাতলা কাপড়ের একটু বড় ভার্শন। অনেক কষ্টে মাথা থেকে কোমর পর্যন্ত ঢাকে। সারারাতে ভদ্রমহিলা একহাতে একগ্লাস পানি, আরেক হাতে কার্ডরিডার, একটা স্ট্রবেরী ও একখানা কার্ডরিডার ইত্যাদি নিয়ে দৌড়াদোড়ি করতে লাগলেন। চোখাচোখির ভয়ে আমরা চোখ বুজে রইলাম। টাকার যে দাম আছে সেইটা এই ঘটনার পর আমি ভালই বুঝতে পারছি। ইলেকট্রনিক্স প্যাক করার কাপড় অনায়াসে ফেলে দিয়েছি। কিন্তু কম্বল্টা ভাঁজ করে রেখে দিয়েছি এখনো।
সকাল সাড়ে নয়টায় গিয়ে নামলাম ক্যালগেরি। গাড়ি ভাড়া করতে গিয়ে কাউন্টারের ভদ্রলোক ক্যালগেরি স্যাম্পিড দেখতে আসিনাই শুনে হাল্কার উপর দিয়ে ঝাপ্সা দুঃখ পেয়েছেন মনে হল। তাকে জিগাসা করলাম ভালো ব্রেকফাস্ট প্লেস কই আছে। ভালো মত ব্রেকফাস্ট প্লেসের খোঁজ নিয়ে জিপিএসে টিম হর্টন (চায়ের দোকান) দিয়ে সার্চ দিয়ে একছুটে চলে গেলাম কাছের টিম হর্টন। যারা টিম হর্টনের মরতবা বুঝতে পারছেন না তাদের জন্যঃ টিম হর্টন হল চাঁদে গিয়ে নোয়াখাইল্লা খুঁজে পাওয়ার মত। যারা রেসিস্ট ভেবে পাইছি বলে হাতে কিল দিচ্ছেনঃ অফ যান। আমি বিবাহসূত্রে অর্ধেক নোয়াখাইল্লা। কাজেই নোয়াখালির বদনাম করা আমার মৌলিক বৈবাহিক অধিকারের একটা। ক্যানাডাতে আর কিছু পাশে না থাকুক টিম হর্টন আপনার পাশে থাকবে। রোদ ঝড় বৃষ্টি, তুষার,প্রলয়ের সময়েও। আমার ধারণা পুরা ক্যানাডাতে কোটি কোটি টিম হর্টন। আমার এখনকার বাসার এক কিলোমিটারের মধ্যেই চারটা। সব টিম হর্টন দেখতে এক। এদের মেনু এক, স্বাদ এক। ক্যানাডায় এসে তিনটা শহর পাল্টানোর সময় টিম হর্টনই আমার ক্রনিক হোমসিকনেসের অন্যতম অষুধ। ক্যালগেরিতে রাস্তার সিগন্যাল বাত্তি আড়াআড়ি, ল্যাম্পপোস্ট গুলোও কেমন জানি। অপরিচিত জায়গার অসহায়ত্ব কাটানো জন্য টিম হর্টনের চেয়ে ভালো কি আছে আর?
বাটার টোস্টের চিজ বেগ্যাল, এগ মাফিন আর মিডিয়াম ডাবল ডাবল কফি খেয়ে গ্রোসারি থেকে চারটা কলা, দুটো কমলা এক লিটার কোক কিনে পর্বতের উদ্দেশ্যে রওয়া দিলাম।
ক্যালগেরিবাসিগন, প্লিজ মাইন্ড খাইয়েন না। হাইওয়ের প্রথম কিছুদূর দেখে আমার বেদম হাসি পাচ্ছিল। স্পিড লিমিট ৩০-৫০, একটু পর পর সিগন্যাল বাতি।কিছু রাস্তা পার হওয়ার জায়গাও দেখছি। এই জীবনে যা নিয়ে হাসছি, গীবত করেছি সবসময়ই আমার কাছে দুইগুণ হয়ে ফেরত আসছে। ফেরত আসার পর টরন্টোর ক্যারিশমটিক হাইওয়েতে সতেরো কিমি প্রতি ঘন্টায় আটকায়ে থেকে আমার পাপের প্রায়শ্চিত্ত করছি।
হাইওয়ে দিয়ে চলতে চলতে দূরে দেখি মেঘ ঘনাচ্ছে। তখনই বুঝতে পারছিলাম কিছু একটা ঘটমা আছে। মেঘেরা এতো গাঢ় রঙের হয় না। মিনহোয়াইল চারপাশের এতো জায়গা দেখে আমি পুরাই টাস্কিত। দৃষ্টি কোথাও বাঁধা পরছে না। মাইলের পর মাইল মাঠ। আমার সারাজীবনে আমি একসাথে এতো খালি জায়গা দেখি নাই।
গাড়ি একটা বাঁক নিতেই হৃদয়ের বড় ধমনীর একটা কে যেন একটু মুচড়ে দিল। দেখি পথরোধ করে আকাশ আটকে দাঁড়ানো এক পর্বত।
মন্তব্য
তারপর??? পরের পর্বে লিখবেন নাকি?
আর অণূ কে?
facebook
ঈমানে বলতেছি বানান ঠিক করার সময় আমি দীর্ঘ ঊ ঠিক করে হ্রস উ করেছিলাম। কিন্তু আপনার নামটা মনে আস্লেই একটা দীর্ঘঃশ্বাস পরে তো তাই বানান পরিবর্তন হয়ে গেছে মনে হয়
পরের পর্ব লেখার ইচ্ছা তো আছেই। তবে কামলার জীবন, সময় বের করা কষ্ট।
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
প্রিল্যুড ভালো লেগেছে। গ্র্যান্ড ফিনালের জন্যে অপেক্ষায় রইলাম।
ধন্যবাদ রকিবুল ইসলাম কমল। নক আউট রাউন্ড, কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমি ফাইনালের ইচ্ছাও আছে। আইলসামি আর সময়টাই যা সমস্যা।
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
আপনার সেন্স অফ হিউমারের প্রশংসা করতে হয়।
তবে পড়তে শুরু করার আগেই ফুরিয়ে যাওয়ায় পুরো পোস্টের প্রশংসা করা গেলো না।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ধন্যবাদ তিথীডোর। পরের পর্ব লেখার সময় এই করতে পারলে এরচেয়ে বড় লিখব কথা দিচ্ছি।
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
হে হে, ক্যালগেরিতে ইস্ট কোস্টের লুকজন এসে ৫০ জোনে ৬১ চালাইতেই টিকেট খাইছে এইখানে মামুর ব্যাটারা খালি চিপায় বইসা থাকে, তবে পাকনারা ওয়েবসাইটে দেখে নেয় কই কই মামু লুকায়া আছে! প্রাইভেসির নিয়ম অনুসারে ড্রাইভাররে না জানায়া নাকি চিপায় লুকায়া থাকা লিগ্যাল না!!
লেখা মজারু হইতেছে।
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
কথাগুলোর স্টাইল হেব্বি হইছে গো! স্বপ্নহারা কে বলি- (স্বপ্নীল সমন্যামবিউলিসট)
আমার ধারণা আমরা গোটা দুইতিন খাইছি। এন্টারপ্রাইজ বাসায় পাঠাইতে দেরি করতেছে। প্রাইভেসির ঘটনাতো জানতাম না!
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
(স্বপ্নীল সমন্যামবিউলিসট)
ঘটনা সত্য।
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
। শেষে আকাশ আটকে দাঁড়ানো পর্বতটার একটা ছবি দিতে পারতেন।
ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .
ধন্যবাদ। হেহে ছবির কথা ভেবেই ডিসক্লেইমার দিয়েছিলাম। আর পর্বতের কেবল শুরু। আরো শতপর্বতের বর্ণনা বাকি।
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
ষ্টাইল ঠিক আছে তবে আতকা শেষ কইরা দিলেন , বুঝলাম না
ধন্যবাদ নিরীহ মানুষ। সবই আইলসামী, বুঝেনইতো
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
আপনার লেখার হাত দারুণ। আমার ধারনা মজাদার ভ্রমণকাহিনী লেখার জন্য আপনাকে তারেক অনু হতে হবে না, মানে কোথাও ঘুরতে টুরতে যেতে হবে না। বাড়ির আশেপাশের এগলি ওগলি ঘুরেও দিব্যি ভ্রমণ কাহিনী লিখে ফেলতে পারবেন। মজাই লাগবে।
নিয়মিত লেখার অনুরোধ রইলো।
লেখায় ৫ তারা
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আপনার মন্তব্য পড়ে লজ্জা পেয়ে গেলাম। ঘটনা হল বাসার আসে পাশে অলিগলি ঘোরার সময়ও পাই না। দুইবছর পর গতকাল মাত্র পাশের বাসার দম্পতিদের সাথে কথা বলার সুযোগ হল
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
নজু ভাইয়ের প্রতিটি অক্ষরের সাথে একমত, এরকম লেখা কিভাবে লেখে আর এমন মন্তব্যই বা কিভাবে লিখে! ব্র্যাভো!!
আবারও লজ্জা পাইলাম। লেখার জন্য বহু মানুষ আছেন। আপনি যে কিভাবে এত এত অমানুষিক ব্যানার বানান তাই চিন্তা শুরু করলেও আমার হিংসায়...
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
দিব্যি চলতে আছিল গাড়ি হঠাৎ এক হ্যাঁচকা ব্রেকে মাথা-মুখে থোতা খাইয়া ভোম্বল মাইরা গ্যালাম। এইটা একটা ব্যাভার হইল? হ দেখছি - প্রস্তুতি পর্ব। তয়? মাইর ধইর দ্যাওনের কি আছে? যাউকগা যাউক, ছবি দ্যান, আর পরের পর্ব জলদি জলদি ছাড়েন।
- একলহমা
হেহে এইটা হিন্দি সিরিয়াল স্টাইল। তাওতো শেষবাক্যটা তিনবার লিখি নাই
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
প্রথম লাইনটাই টেনে নিয়েছিল আকর্ষনে। ভেবেছিলাম আমিও এই কাহিনিটা "হিংসায় শেষ করতে পারবো না"। কিন্তু এত ছোট লিখলেন যে কখন শেষ হলো বুঝতেই পারলাম না!!
পরের পর্ব দেন জলদি - সাথে ছবি।
হিংসার ব্যপারটা জেনেই ছোট লিখলাম
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
'ব্যতিক্রম কখনো উদাহরণ হয় না' এই মহানবাক্য মনে রাখলেই দেখবেন অণুদি(তারেকাণু) আর ঝামেলা পাকাচ্ছে না আমি তো তেমনটাই করি। লেখা শুরুই হলো না আর শেষ! এর কোনোই মানে নেই পরের পর্বের জন্য
হা করে বাসিয়ে রাখবেন না প্লিজ। মজারু হয়েছে লেখাটা
ধন্যবাদ আয়নামতি।
তারেক অণুকে কিভাবে ব্যতিক্রম ধরি। প্রতিদিন সূর্য উঠার মত উনিও লেখালেখি, ঘুরাঘুরি, বইপড়া, সিনেমা দেখায় নিয়মিত। মতিকন্ঠে ভাষায় উনি একটা ....
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
দারুণ লাগছিল তো, হুট করে শেষ হয়ে গেল কেন??
প্রস্তুতি পর্বে পর্বতের বর্ণনা কম রাখতে চাচ্ছিলাম। আর বৃহস্পতির বারবেলায় (মানে রাতে আর কি) আইলসামীটা একটু বেশি লাগেতো।
শুধু আরেকটা কথাঃ আপনার মন্তব্য পেয়ে খুবই খুশি লাগতেছে
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
জিলাপি খাইতে খাইতে পড়লাম, লেখা জিলাপির মতই হৈছে.
..................................................................
#Banshibir.
আপনেও কি টীসডেলের জিলাপি খান? সপ্তাহ দুয়েক ধরে এর বর্ণনা শুতেছি। তবে আজকে ঘরে জিলাপী আছে বলে আপনি পেটের অসুখ থেকে রেহাই পেলেন
আগের দিনে রাজা বাদশা পীর প্রশংসার সাথে গলার মোতিহার, হাতের চুন্নিপান্না শোভিত আংটি খুলে ছুঁড়ে দিত। আজকাল পীরেও ভেজাল, জিলাপি খায়, দাওয়াত দেয় না
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
গলার মোতিহার হাতের চুনিপান্না শোভিত আংটি কিছুই নাই হে রিক্তা. দরিদ্র পীরের খালি আছে পরনের গেঞ্জি. ঐটা খুলে ছুঁড়ে দেওয়া ঠিখইবনা
..................................................................
#Banshibir.
মাইন্ড খাইয়েন না, কিণ্তু ভাইয়া আপনি পীরদের কলংক। সফদর আলীর মহা মহা আবিস্কার পড়েন পীরদের ফ্যাশন সম্পর্কে জানতে। যতদূর মনে পরে ওই বইয়ের পীর কুতুবপুরীর অতিরিক্ত ননী ঘি মাখন খেয়ে গালে অটোমেটিক blush on থাকে। সফেদ সিল্কের লুঙ্গি আর পাঞ্জাবি পরেন। ঠান্ডা মিষ্টি শরবত খেয়ে মিহি গলায় জিকির করে। আপনি জিলাপি খান, গেঞ্জি পরেন, ব্লগ দিয়ে ইন্টারনেট চালান, এইটা কিছু হইলো?
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
বাহ দারুণ লেখা। ছপি কই?
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ধন্যবাদ ত্রিমাত্রিক কবি। ডিসক্লেইমারে বলেচি তো
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
ঘ্যাচাং
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
লেখার শেষে একটা ছবি মিস করলাম খুব। পরেরটা দিন জলদি।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আশালতাদি, ছবিতে আসল সৌন্দর্যের কোটিভাগের একভাগও আসে না। এইজন্যই দিচ্ছি না। গুগল/উইকি তে খুঁজে পাবেন। কিন্তু কোনটাই সুবিচার করতে সক্ষম না বলে মনে হল। ২০০০ মিটারের উঁচু জিনিস ১৯ ইঞ্চি মনিটারে আটকানো কষ্ট।
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
ভালোয় চলছে, চলুক!
ধন্যবাদ পান্থ রহমান রেজা!
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
রকি মাউন্টেন একটা অভিশাপ। একবার গেলে মায়া কাটানো খুবই কষ্টের কাজ। আর এর যে সৌন্দর্য্য তা চোখে এবং চেখে না দেখলে বিশ্বাস করা অসম্ভব। শীতে তো যেমন তেমন, সামারে কয়েকদিন পরপর না গেলে দম বন্ধ হয়ে আসে। তাই ক্যাম্পিং, হাইকিং, অতিথিদের দেখানোসহ নানা উছিলায় কয়েকদিন পরপরই যাওয়া হয়।
মুখবন্ধ ভাল হয়েছে। বিস্তারিত পড়তে চাই। যত দ্রুত সম্ভব।
-----------------------------------------------------------
আঁখি মেলে তোমার আলো, প্রথম আমার চোখ জুড়ালো
ঐ আলোতে নয়ন রেখে মুদবো নয়ন শেষে
-----------------------------------------------------------
সত্যি অভিশাপ। আমি ফিরে আসা অবধি খালি লোনলি মাউন্টেন শুনি আর স্বপ্নে দেখি।জামাইকে পটাচ্ছি ক্যালগেরিতে পাকাপাকি ভাবে চলে যাওয়ার জন্য।
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
ঘ্যাচাং
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
হে: হে: ডিসক্লেমারটা পড়তে ৬/৬ দৃষ্টিশক্তি দরকার
লেখাই
ধন্যবাদ, আমার ব্রাউজার আসলে জুমড করা ছিল। এইজন্য বুঝি নাই। বড় করে দিলাম। ভ্রমণকাহিনীতে ছবি না দেওয়ার ডিসক্লেইমার খুবই জরুরী
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
ধন্যবাদ!
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
পরের পর্ব তাড়াতাড়ি। আপনার লেখার হাত দারুণ।
ধন্যবাদ তানিম এহসান
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
আরেহ্ মজা নিয়ে পড়তে বসলাম আর লেখা শেষ করে দিলেন আপু! এটা কোনো কাজ! তাত্তাড়ি পরের পর্ব ছাড়েন। জীবনে অনেক আলসেমি হয়েছে এইবার একটু লিখেন। এতো মজা করে লিখেন আপনি নিয়মিত লিখবেন এই প্রত্যাশা থাকবে।
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
ধন্যবাদ মেঘা। আইলসামির ইংরেজি হলো procrastination
আপনাদের সবার মন্তব্যে অনেক উত্সাহ পাচ্ছি। তবে, কামলার জীবন যে, সময় বের করা একটু কষ্ট।
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
লেখা পড়তে না পড়তে শেষ,খুবই বিরক্ত হইলাম। ধারাবাহিক লেখা খুবই রাগ লাগে, তাড়াতাড়ি পরের পর্ব দেন ,লেখা
ইসরাত
ভাল লাগ্লো। ধন্যবাদ।
লেখা ভালো পাইলাম। । পরের পর্বের অপেক্ষায়।
আপনার "আকাশঢাকা পাথুরে পর্বতগণ: সপ্ত হ্রদ ও একটি পর্বত (প্রায়) জয়" এই লেখাটা পড়তে গিয়ে পেছনে যেতে যেতে শেষে এখানে এসে ঠেকলাম। এসে দেখি এই লেখাটা লেখা হয়েছিল এক বছর আগে। ভাগ্যিস আমি আগে আপনার লেখা পড়িনি। তা না হলে এতদিনে আমি ভুলেই যেতাম কোথায় শেষ করেছিলাম।
আপনার সেন্স অফ হিউমার এত ভালো যে এখন আমার আপনাকে হিংসা হচ্ছে
ফাহিমা দিলশাদ
নতুন মন্তব্য করুন