সৈনিকের দুঃস্বপ্ন
গ্রেনেডশূন্য হাতটা কাঁপছে
দূরের মানুষগুলোর আর্তনাদে আকাশ বাতাস ভারী
মুহূর্ত আগের উন্মত্ততা ভুলে স্নায়ু অবশ হয়ে আসে আমার
আজকে রাতে এই মানুষেরা সার বেঁধে আসবে দুঃস্বপ্নের ঘোরে
কারো পা উড়ে গেছে, কারো বুক এফোঁড় ওফোঁড়
কারো বা খুলির ফুটো দিয়ে বেরিয়ে আসবে গলিত মগজ
সবাই মিলে নেড়ে চেড়ে দেখবে
আমার মাথার কাছের রকেট লঞ্চার
কিংবা ঘুমন্ত হাতের সজাগ স্পর্শে রাখা এ.কে.ফর্টি সেভেনটাকে
চোখহীন কোটর থেকে চুঁইয়ে রক্ত বের হওয়া শিশুটা
সে আমাকে ঠেলে ওঠাবে ঘুম থেকে
জানতে চাইবে তার বাম চোখ কোথাও দেখেছি কিনা
প্রতিদিন বেয়োনেটে খুঁচিয়ে মারি ওদের
মর্টারের নির্মম আঘাতে থামিয়ে দেই হৃতকম্প
যেমনটা আমাকে বলে দেয়া আছে
তবুও দিনের আলো মরে গেলে
মরাগুলো ঠিকই উঠে আসবে মৃত্যুপুরী থেকে
সৈনিকের দুঃস্বপ্নের ঘোরে
হিসেব নিয়ে যাবে খোয়া যাওয়া অঙ্গপ্রত্যঙ্গের।।
-রিম সাবরিনা, ২৪।১১।০৯
মন্তব্য
বেশ লেগেছে...
অনেক টা জল্লাদের মতোও...হয়ত চাকরির খাতিরে , জীবিকার খাতিরে তাকে অপ্রিয় সে কাজটি করতে হচ্ছে...কিন্তু ঠিকইঃ
যুদ্ধ ময়দানের দু:খ-কাতরতার বর্ণনা সু্ন্দর ভাবে ফুটেছে। মনোমুগ্ধকর।
আইডি-শাফী উদ্দীন
অতিথি লেখক
Email:
আমি যুদ্ধবিরোধী মানুষ। কবিতা ভাল লেগেছে জেনে আনন্দিত হলাম। ধন্যবাদ।
-রিম
নতুন মন্তব্য করুন