তেপায়া
১
পটলের দোলমা দিয়ে ভাত খেতে খেতে আমি,
তোমার রূপোর গ্লাসে রাখা চাঁদের আলোয় দিলেম এক চুমুক;
আর অমনি হয়ে গেলাম উথাল পাথাল পূর্নিমা।।
২
বাম হাতটাকে কেতরে বেকিয়ে ডান চোখটা ট্যারা করে,
ফার্মগেটের ট্রাফিক সিগনালে আসন গেড়েছি;
বিরক্ত লুলা ফকিরের পাশে আমি এক শখের ভিখারী।।
৩
দোকানদার মহিলাকে প্রায় বুঝিয়ে এনেছে আমি নাকি ভাল জাতের মরিচ চারা,
কেন কেউ বোঝে না আমি যে হতে চাই অশ্বথ বৃক্ষ;
থাকব গৌতমের অপেক্ষায়, ভাতের সাথে নাকে পানি আসা ঝাল হবার জন্যে নয়।।
-রিম সাবরিনা
(দন্তস্য রওশন লিখেছে “অনুকাব্য”, নির্মলেন্দু গুণের আছে “মুঠোফোনের কাব্য”। মনে হল, আমারও একটা কিছু থাকা চাই। এই তিন লাইনের মাথামুন্ডুহীন পঙক্তিগুলোর নাম প্রথমে দিয়েছিলাম "ত্রিশঙ্কু"; পরে বদলে নাম রেখেছি “তেপায়া”।)
মন্তব্য
তিনটাই ভালো।
এর মধ্যে তিন নম্বরটা বেস্ট।
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
তিন নাম্বার বেস্ট।
'ত্রিশঙ্কু' অর্থ না জানলেও সে নামটাও ভালো লেগেছে।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
তিন > এক > দুই
ব্যাক্তিগতভাবে আমার মনে হয় মুঠোফোনের কাব্য/তিন লাইনের রেস্ট্রিকশন কবিতার সাবলীলতা নষ্ট করে। জোর করে কেন এই স্ট্রাকচার আরোপ করতে হবে আমার কাছে ঠিক বোধগম্য নয়।
--অন্ধকারের পথিক
http://flawedheart.amarblog.com/
আমার দু'নাম্বারটা বেশি ভাল লাগছে।
নহক
বিচিত্র আনন্দ হয় যদি শুনি আমার লেখা কারো ভাল লেগেছে। সবাই ভাল থাকবেন ইনশাল্লাহ।
--রিম
অন্যরকম।ভালো লাগলো।আরো চাই।
ভালো থাকুন।।
[বিষণ্ণ বাউন্ডুলে]
নতুন মন্তব্য করুন