২৩।১২।০৯
রাজশাহী যাচ্ছি। একা যাবার প্রশ্নই ওঠে না। একা একা আমি নিউমার্কেটেও যাই না। আর রাজশাহী তো পুরো আরেকটা বিভাগ! আব্বাকে দিয়ে দেয়া হয়েছে আমার সফরসঙ্গী হিসেবে। আমাদের বাহন, বাস। বাসে কোনো কান্ড হবে না কিন্তু রাজশাহী পৌঁছে তিনটা ঘটনা ঘটতে পারে। এক, আব্বা হারিয়ে যাবে। দুই, সে আমাকে হারিয়ে ফেলবে। তিন, আমরা দুইজন ভুলভাল জায়গায় নেমে পড়ব এবং একসাথে হারিয়ে যাব। শেষের দুই ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা কম। কিন্তু আব্বা হারিয়ে যেতেই পারে। তার হারিয়ে যাবার স্বভাব আছে। আগে এরকম হয়েছে। একাধিকবার। প্রতিবারই আমার হাপুশ হুপুশ কান্নাকাটি অবস্থা। যাইহোক, পরে কখনো সে কাহিনী বলা যাবে। কিন্তু এবার হারিয়ে গেলে মুশকিলে পড়ব।
২৫।১২।০৯
বাস ছাড়ল মাত্র। বাজে নয়টা তিরিশ। ছাড়ার কথা নয়টায়। আধা ঘন্টা লেট। কিন্তু বাসটা ভাল। গ্রিনলাইন, ভলভো। বসে আরাম লাগছে। গ্লাস খোলা যায় না। তাই ধুলা নেই। এতোটা পথ বসে থেকে থেকে একঘেয়ে হয়ে যাব। তার চেয়ে ল্যাপটপ টেপাটিপি করা ভাল। সকালে নাস্তা করা হয় নি সময়ের অভাবে। এখন আস্তে আস্তে খিদাটা একটা আকার পাচ্ছে। এরা মাঝপথে কোথাও থামবে। ভ্রমণ বিরতি। কিন্তু ততক্ষণে আমি খিদায় হজম হয়ে যাব মনে হচ্ছে। চিপস টিপস কিনে নেয়া উচিত ছিল। বোকামি হয়ে গেছে।ধুস!
বাসে টিভি আছে। নাটক ছাড়া হয়েছে। হুমায়ূন আহমেদের নাটক। গাড়ি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এক লোক তার ম্যানেজারকে নিয়ে অচেনা জায়গায় আটকে গেছে। ম্যানেজার এআবার কটু পর পর গাছের আড়ালে বিয়ের লাল শাড়ি পড়া একটা মেয়ে দেখতে পাচ্ছে আর আতকে উঠছে। কিন্তু তার বস বিশ্বাস করছে না। বেশ কয়েক বছর আগের নাটক। আমি আগে দেখেছি। আগ্রহ নেই সেজন্যে।
খাদ্যচিন্তা থেকে বেরোতে পারছি না। কালকে রাতে সাহেববাজারে গিয়েছিলাম। তিলের খাজা কিনতে। আরো টুকিটাকি জিনিস কেনা হল। দেখলাম আমি ধারসে কিনেই যাছি। থামাথামি নাই।প্রিয় মানুষদের জন্যে কেনাকাটায় ক্লান্তি থাকে না। খাজাই তো মনে হয় চার কেজি কিনে ফেলেছি। কেনাকাটা শেষে রাতের খাবারও খেয়ে নিলাম বাইরে।ফাস্ট ফুড টাইপের দোকান। মনে হয় বিশ্বখিদা লেগেছিল। চিকেন ফ্রাই, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই আর মাউন্টেন ডিউ পেটে চালান দেয়ার পর আব্বার জন্যে আসা ধোঁয়া ওঠা ফ্রাইড রাইস আর চিকেনের প্লেটটার অর্ধেক নিজের প্লেটে নামিয়ে আনলাম। খাওয়া মোটামুটি শেষ, এমন সময়ে চোখের কোনা দিয়ে দেখলাম ওয়েটার আরেক টেবিলের জন্যে থাই স্যুপ নিয়ে যাচ্ছে। এই তো লেগে গেল চোখের খিদা। অর্ডার দিলাম থাই স্যুপের। সেটার সদগতি করতে বেশি সময় লাগল না। আইসক্রিমও নেয়া যেত। খাবার পর মিষ্টি খাওয়া নাকি সুন্নত। যাইহোক মিষ্টিমুখ আর হল না। কারণ তাড়া ছিল। কিন্তু মন পড়ে থাকল আইসক্রিমের কাছে।
কালকে ব্যাস্ত দিন গেছে। সকাল নয়টায় জুবেরী হাউস থেকে বেরোলাম নাস্তা করতে। একটু হাঁটতেই পাওয়া গেল ইটালিয়ান হোটেলের সারি। তামান্না হোটেল আমাদের মনে ধরল। সেখানে পরাটা আর ডিম খেয়ে চায়ের জন্যে বলেছি। প্রায় সাত কি আ্ট মিনিট পর জানা গেল তামান্না হোটেলে চা পাতি নাই। কে যেন আনতে গেছে। তার ফিরতে দেরি হবে। দায়সারা ভঙ্গীতে এই তথ্য জানিয়ে দোকানের ম্যানেজার ডুবে গেল তার হিসেবের খাতায়। ভাবখানা এমন যেন নিউটনের ক্যালকুলাস মেলাচ্ছে! কি আর করা। বের হয়ে আসলাম হোটেল থেকে। সামনে দুই পা এগোতে চা পাওয়া গেল। শীতের সকালে তাড়িয়ে তাড়িয়ে চা খাওয়া একটা আনন্দদায়ক ব্যাপার। আমি কাঠের বেঞ্চে বসে পা দোলাতে দোলাতে দুধ চায়ে চুকুম দিতে থাকলাম। এই রকম একটা দিন ভাল না গিয়েই পারে না। চা পান পর্ব শেষ হল। রিকশা নিয়ে রওনা দিলাম ক্যাম্পাসের দিকে। দ্বিটীয় বিজ্ঞান ভবন খুঁজে বের করতে হবে। ক্যাম্পাসের আয়তন বিরাট। রাজশাহী ক্যাম্পাস নাকি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ক্যাম্পাস। কথা মিথ্যা না। মুগ্ধ হয়ে গেলাম চারপাশ দেখতে দেখতে। সবুজ, গাঢ় সবুজ, হালকা সবুজ, ফ্যাকাসে সবুজ; কত ধরনের সবুজ দেখতে চাও!! বসন্ত কালে আসতে হবে এখানে। না জানি কি মারাত্মক অবস্থা হয় তখন। আবার আসতে হবে। মন স্থির করে ফেললাম।
দ্বিতীয় বিজ্ঞান ভবন খুঁজে পাওয়া গেলো। তার চার তলায় বায়োকেমিস্ট্রি এ্যান্ড মলিক্যুলার বায়োলজি বিভাগ। খুঁজে পেতে পৌঁছে গেলাম এনভায়ারমেন্ট হেলথ সাইন্স ল্যাব। খালেদ স্যারের ল্যাব। আমার থিসিস সুপারভাইজার আমাকে পাঠিয়েছেন থিসিসেরই একটা কাজে। ছোট ল্যাব। কিন্তু গোছানো। সবার সাথে পরিচয় হল। খুব অমায়িক মনে হল সবাইকে। আব্বা আমার সাথেই ছিল। তাকে খালেদ স্যার জোর করে দিনের দ্বিতীয় কাপ চা খাইয়ে দিলেন। ফজল ভাইকে নিয়ে কাজে লেগে গেলাম। একটু পর খায়রুল ভাই এসে হাত লাগালেন। আব্বার সাথে কথায় কথায় বের হল সে হচ্ছে আব্বার খুব প্রিয় ছাত্র ফরিদের ভাগ্নে। দেখলাম তাদের বেশ ভাল খাতির জমে উঠেছে। তাও ভাল, আব্বার সময়টা খায়রুল ভাইয়ের সাথে গপসপ করে কেটে যাবে। আমার স্যাম্পল কম। কিন্তু তা দিয়ে যতগুলি টেস্ট করা যায় সেটাই উদ্দেশ্য। কাজের ফাঁকে ল্যাবের পিসি থেকে নেটে ঢুকলাম। ফেসবুক ঘাটাঘাটি করলাম। এর মাঝে ফজল ভাই চটপট চা বানিয়ে ফেললেন। এরপর আরো বার পাচেঁক চা কফি বানাতে হয়েছে তাকে। নইলে রাত আটটা পর্যন্ত টিকে থাকা মুশকিল। জোরাজুরি করে লাভ হল না। আমাকে চা বানাতে দেয়া হল না। তবে কাপগুলি ধুয়ে দিতে চাইলে আর আপত্তি করলেন না।
ল্যাবের পাট চুকিয়ে যখন বেরলাম তখন ঘড়িতে রাত সাড়ে আটটা। খালেদ স্যার জোর করে সাথে তার এক ছাত্র দিয়ে দিয়েছেন। সে আমাদেরকে জুবেরী হাউসে নিয়ে যাবে। ভালই হল। নইলে এত বড় ক্যাম্পাসে আমরা বাপ-বেটি হারিয়ে যাব। যেতে যেতে দেখি সবুজ একটা আলো চোখের সামনে নাচছে। এটা কি?? আমি তো অবাক। একটু বাদেই বুঝলাম জোনাকি পোকা। কি যে মজা লগাল। মানুষেরো নিজেদের আলো থাকা দরকার। যখন ইচ্ছা জ্বালিয়ে রাখব, যখন ইচ্ছা নিভিয়ে দেব।
জুবেরী হাউসে ল্যাপটপ, খাতাপত্র ইত্যাদি নামিয়ে রওনা দিলাম সাহেববাজারের উদ্দেশ্যে। কিন্তু তার আগে বাসের টিকেট করে ফেলতে হবে। খালেদ স্যারের ছাত্র কিছুতেই যাবে না। টিকেট কাউন্টারে নিয়ে গিয়ে টিকেট করে দিয়ে সাহেববাজারের জন্যে রিকশা ঠিক করে দিয়ে তবে সে যাবে। ভাল নাছোরবান্দা লোক। কাউন্টারে গিয়ে দেখি লোকজন গালে হাত দিয়ে টিভি দেখছে। চ্যানেল আই সেরাকন্ঠ না কি যেন হচ্ছে। লাইভ প্রোগ্রাম। রাজশাহী স্টেডিয়ামে নাকি প্রোগ্রামটা হচ্ছে। এজন্যেই রাস্তাঘাট এখনো সরব। তিন বার করে বলার পর খুব অনিচ্ছাসহকারে তাকালো লোকটা। দায়সারা ভাবে কোনো রকমে খসখস করে টিকেট লিখে দিল আমাদের। তার মন এখন আবার টিভি পর্দায়। ফৌজিয়া ব্রাউনিয়া নামের এক মহিলা উপস্থাপনার নামে প্রচুর কথা বলে যাচ্ছে। কথার তোড়ে আমার মাথা ধরে গেল। বাইরে বেরিয়ে এসে বাঁচলাম।
বাতাস কেটে রিকশা চলছে। পথের একপাশে পদ্মা নদীর বাঁধ। রিকশা থামিয়ে নামলাম। সিড়ি দিয়ে উঠে দেখি মাঠের মত জায়গা। প্যান্ডেল খাটিয়ে অনুষ্ঠান টাইপের কিছু একটার আয়োজন করা হচ্ছে। তাহলে পদ্মা কই? বুঝলাম না। মাতঙ্গিনী পদ্মা দেখা দাও। লোকজনকে জিজ্ঞেস করতে নির্লিপ্ত উত্তর আসল, আরো দেড় কিলোমিটার হাঁটলে পরে পদ্মার দেখা মিলবে। সুতরাং ক্ষ্যামা দিলাম আমরা। ঠিক হল কালকে খুব ভোরে আসব। কিন্তু আমি তো আমাকে চিনি। ভোরে আমাকে হাতি দিয়েও টেনে তোলা যাবে না। তাছাড়া আজকে যে খাটুনি গেছে, এরপর ঘুমটা হবে মারাত্মক গাঢ়। মনে মনে পদ্মাকে বিদায় জানিয়ে আবার রিকশায় উঠলাম।
আর লিখতে ইচ্ছা করছে না। বাসে এসি ছাড়া হয়েছে। এরা পাগল নাকি? শীতে ব্যাকা হয়ে যাওয়া শুরু হয়েছে আমার। বাসের সিটে হাত-পা তুলে গুটিসুটি মেরে বসেছি। ঘুম দেই বরং ল্যাপটপের ঝাঁপি ফেলে।।
মন্তব্য
বাহ! কি চমৎকার সাবলীল ভঙ্গিমায় লিখে গেছেন ।
আপনার নামটা দেখে ঢুকেছিলাম । কারণ আপনি আমার মিতা হন ।
ভাবলাম দেখি মিতার লেখা কেমন হয়! বিফল হতে হয়নি । লেখাটা পড়ে খুব ভালো লাগলো ।
আপনার জন্যে শুভ কামনা .........
ধন্যবাদ কিন্তু মিতা হই মানে বুঝালাম না।
মিতা হন মানে - আমার নাম ও সাবরিনা
তাই নাকি...মজা তো...ধৈর্য পরীক্ষা দিতে দিতে জীবন কাবার হয়ে যাবে।
বাহ্। ভাল লাগল লেখাটা।
একটা কনফিউশন হয়েছিল যদিও। তারিখ দেখে ভুল ভাঙ্গল।
প্রথম প্যারা শুরু হয়েছে 'রাজশাহী যাচ্ছি' দিয়ে।
দ্বিতীয় প্যারা শুরু হল, বাস ছাড়ল মাত্র। বাজে নয়টা তিরিশ। ভাবলাম ঢাকা-রাজশাহী জার্নির কথা হচ্ছে। চতুর্থ প্যারায় গিয়ে দেখি, কালকে রাতে সাহেববাজারে গিয়েছিলাম। ঘটনা কী? বুঝলাম রাজশাহী-ঢাকা জার্নির কথা হচ্ছে।
অনাকাঙ্খিত কনফিউশনের জন্যে দুঃখিত। ব্যাপারটা আসলে খেয়াল হয় নি লেখার সময়।
বেশ সাবলীল লেখা, বানান ভুলের কারণে যদিও প্রায়ই আটকে যেতে হয়েছে! তবে লেখা চলুক...
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
স্বীকার করতেই হচ্ছে বানানে কিছুটা দুর্বলতা আছে। বেশ কিছু বছর বাংলায় না লেখার ফল।
খুব ভাল লেগেছে।
বেশ সাবলিল তবে লেখায় প্রচুর হুমায়ূনীয় প্রভাব।
কথাটা আরো অনেকে বলেছে। হুমায়ূনীয় প্রভাব থেকে বেরিয়ে আসতে চাই। দুইটা হুমায়ূন তো দরকার আছে বলে মনে হয় না।
বাহ্, পড়ে মজা লাগল।
খাওয়ার বর্ণনায় তো আমি ভয় পেলাম। তবে আমারও কিন্তু জার্নির সময় স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশী ক্ষুধা লাগে...... ঃ)।
ক্যাম্পাসের বর্ণনা আরেকটু করলে ভালো লাগত। রাজশাহীর ক্যাম্পাস নাকি অনেক সুন্দর?
ঘুম থেকে উঠে বাকী লেখা নামিয়ে দিয়েন, অপেক্ষাতে থাকলাম।
-লাবণ্য-
আমি আসলে খুবই কম খাই। রোগা পটকা মানুষ। কিন্তু মাঝে সাঝে ব্যাপক খাদ্যপ্রীতি উদয় হয়। তখন ফ্রেঞ্চ ফ্রাই আর কোক দিয়ে শর্মা হাউজের একটা বারো ইঞ্চি পিজা নামিয়ে দেয়া কোন ব্যাপারই না। হাহাহা...
চমৎকার লাগলো!
খুশি হলুম।
ভালো লাগলো পড়ে
...........................
Every Picture Tells a Story
অনেক ধন্যবাদ।
একদম কাছে থেকে ঘুরে গিয়েছেন। আমাদের অবসর গুলো ঐ সবুজ ক্যাম্পাসেই কাটে। যদিও আমি ঐ ক্যাম্পাসের ছাত্র নই।
পদ্মা এখন আর নদী নয়, এটা এক চরের নাম।
ধন্যবাদ।
সেই...চরই বটে। ঃ(
- আপনার বর্ণনা ভঙ্গি ঝরঝরে।
রাজশাহী গিয়েছিলাম, ক্যাম্পাসেও। বেশ লেগেছে। আবারও যাবার তাড়া আছে। তবে ক্যাম্পাসে না। প্রান্তিকে। গরুর গাড়ি চড়ার জন্য। সাথে থাকবে এক খাচি আম। যতোক্ষণ খাচিতে আম থাকবে, গরুর গাড়ি চলবে। আম শেষ, ব্যাক টু দ্য প্যাভেলিয়ান।
শুনলাম, ঢাকায় নাকি এখন মোড়ে মোড়ে আর চপ, সিঙারা, পুরি বেচা হয় না। এখন ঐসব জায়গায় বেচা হয় ফরাসী আলু ভাজা! খুব কষ্ট পাইছি শুনে। দেশে গেলে কী হবে আমার!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভ্রমন পরিকল্পনাটা খারাপ না।
গরুর গাড়ি! ভাই আপনি ভুল করছেন, রাজশাহী শহর হল ঘোড়ায় টানা এক্কা গাড়ির শহর! ষাটের দশকেও ওইটাই প্রধাণ বাহন ছিল শহর নয় শুধু আপনি যে শহরের বাইরে ঘুরতে চাইছেন সেসব এলাকায়। এখনও পাবেন ভাড়া শহরেই, উৎসবগুলি সব মাটি এক্কা গাড়ি না চড়লে!
বরেন্দ্রভূমির আরেক অবাক করা জিনিস হল মোষের (মহিষ) বাহন... এইটে চড়তে হবে গ্রামে গিয়ে আসলে।
আগেতো পাকা রাস্তা কম ছিল গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে, বর্ষার কাদায় ওই ছিল বাহন।
আমের দাওয়াত রইল।
যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
_____________________
নীলগিরি ডাকছে আমায়
ভাসতে হবে মেঘের ভেলায় ...
- তাইলে মোষের গাড়িই সই।
আমের দাওয়াত কবুল করলাম। খাঁচি রেডি করেন। আইতাছি...
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
খাড়ান! আমগুলি পাকুক আগে! আপনি বরং দেশে ফেরার টিকেট করুন তদ্দিনে
যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
নীলগিরি ডাকছে আমায়
ভাসতে হবে মেঘের ভেলায় ...
রাজশাহী ছাড়া আর কোথায় পা ফেলেছেন? লিখে ফেলেন।
এমন ভ্রমনকাহিনী পড়ে কখনো ক্লান্তি আসেনা।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
আর কোথাও হাত পা ফেলেছি কিনা ভেবে দেখতে হবে। তবে প্রগাঢ় আলসেমি ডিঙ্গিয়ে লিখতে পারব কিনা বলতে পারছি না।
বাহ! বেশ ঝরঝরে লেখা।
ধন্যবাদ।।
দেরিতে পড়লাম। ভাল লেগেছে।
মনের কথাটাই কয়েছেন... আইস্ক্রিম... আহারে...
কৌস্তুভ
রিম রিম
কেন জানি মনে হচ্ছে রাজশাহী ভাল লেগেছে তোমার
আর রাজশাহী নিয়ে কেও লিখলেই ভাল লাগে আমার। automated response
মজার ব্যাপার, চ্যানেল আই-এর ওই প্রোগ্রামের দিন ট্রেনে ঢাকা থেকে রাজশাহী আসছিলাম আমি, স্টেডিয়ামের আলোকছটায়তো পুরো শহরই আলকিত দেখলাম অবাক হয়ে! আর কি উদ্দীপনা মানুষের, মজা পেলাম স্টেশনে নেমে। ঢাকা-রাজশাহী ট্রেন ভ্রমণ আরামদায়ক, (যদি অবশ্য এ/সি চেয়ার-এ টিকেট পাওয়া যায়!)
সবুজ, গাঢ় সবুজ, হালকা সবুজ, ফ্যাকাসে সবুজ; কত ধরনের সবুজ দেখতে চাও!!
ঠিক! ঠিক!
কিন্তু বসন্তে নয়, আসতে হবে গ্রীষ্মে! এই এখন। কত রকমারী ফুলের বড় বড় গাছে যে ছেয়ে আছে ক্যাম্পাস...! জারুল, কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া, সোনালু...
সময় পেলে চলে এস, ঘুরে দেখাব তোমাকে, হারাবে না দ্বিতীয় বিজ্ঞান ভবন খুঁজতে গিয়ে... প্রমিস।
যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
নীলগিরি ডাকছে আমায়
ভাসতে হবে মেঘের ভেলায় ...
মন্তব্য একবার লিখে মুছে দিয়েছি, তারপর আবার লিখছিঃ আপনার ভ্রমন কাহিনী ভালই, কিন্তু আপনার খাই খাই অভ্যাসটা খুব সুন্দর ভাবে আলোকিত হয়েছে ... পড়ে মজা পাইলাম।
--শফকত মোর্শেদ
-----------------------------------------------------------------------------------------------
সহজ কথা যায় না বলা সহজে
নতুন মন্তব্য করুন