আজকে অনেকগুলি কাজ হয়ে যাবার কথা ছিল। ঘাপলাটা বাধিয়ে দিলো মাইক্রোপিপেট। না সেটা খুঁজে পাওয়া গেল পুরানো বিল্ডিংয়ে না নতুন ভবনে। শিক্ষকদের কেউ খোঁজ জানতে পারেন। কিন্তু তারা একটা মিটিংযে আছেন। মুশকিলে পরলাম। ল্যাব অ্যাটেন্ডেন্ট আলি ভাই ল্যাবের কম্পিউটারে বিকট শব্দে গান ছেড়ে বসে আছেন। হৃদয় খানের গান। স্পিকার বা কম্পিউটারের কোথাও সমস্যা আছে। হৃদয় খানের গলা মহিলাদের মত শোনাচ্ছে। আলি ভাই নাঁকি সুরের গানেই অভিভূতের মত মাথা দোলাচ্ছেন। তার মনে এখন ব্যাপক শান্তি। আমি যে তাকে প্রশ্নের পর প্রশ্ন করে যাচ্ছি আমার কাজের ব্যাপারে-এটা উনি এক ধরনের উদাসীনতার সাথে ডান কান দিয়ে ঢুকিয়ে বাম কান দিয়ে বের করে দিচ্ছেন। একটু পর মোতালেব ভাই আসলেন। তার ঝাড়পোছের কাজ বোধহয় শেষ। এই উপলক্ষ্যে গান বদলে দিয়ে মনপুরার গান ছাড়া হল। ভলিয়্যুম বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। নিথুয়া পাথারে নেমে বিপদে পড়েছে কেউ একজন। তার নাকি কেউ নেই। তাকে উদ্ধারের জন্যে আহবান করা হচ্ছে। আহবানের তোড়ে পুরো ল্যাব ভেসে যাচ্ছে। নাঁকি সুরের আধভৌতিক গান এখন অত্যাচার ঠেকছে। আমি ভ্রু কুঁচকে ঠোঁট কামড়ে কুটিল একটা চেহারা বানিয়ে ইতস্তত পায়চারী করছি ল্যাবের ভেতর।
.......।।....।।....।...।।......।...।।...।।...।।...।।...।।...।।...।।...।।...।।...।।...।।...।।...।।...।।...।।
আমার মেজাজ মোটামুটি ভাল রকমের খারাপ। এখন বসে আছি জাহাঙ্গীর মামার চায়ের দোকানে। দুই কাপ চা নামিয়ে দিয়েছি। আরেক কাপ পেলে মন্দ হয় না। কিন্তু রাতে ভুতের মত জেগে বসে থাকতে হবে ভেবে আর নিচ্ছি না তৃতীয় কাপটা। কার্জন হলে মিষ্টি একটা রোদ আজকে। এই রোদের ভেতর কার্জন হলের মাঠে শুয়ে থাকতে পারলে মেজাজ ঠান্ডা হয়ে যেত। একটা মেয়ে কনুই ভাঁজ করে তার উপর মাথা রেখে চিত হয়ে মাঠে শুয়ে আছে এই দৃশ্য দেখে লোকজন ভড়কে যাবে। আর আমারো আড়ষ্ট লাগবে। থাক, এই বুদ্ধি আপাতত বাদ দেই। মানুষের বেশির ভাগ ইচ্ছাগুলো পূরণ করা সম্ভব করা যায় না। এই অসম্ভবের দুনিয়া আমার তিক্ত লাগে মাঝে মধ্যে।
..।।...।।...।।...।।...।।...।।...।।...।।...।।...।।...।।..।।...।।...।।...।।...।।...।।...।।...।।...।।...।।...
রেন এসেছিল কালকে। আমার ভাইয়ের মেয়ে। বয়স দুই বছর। তার অনেক নাম। আমি ডাকি ট্যামট্যামালু। আম্মা ডাকে সূর্য। মায়ের ইচ্ছা তার সূর্যের মত তেজ হোক। সেই তেজের চোটে জগত উদ্ভাসিত হয়ে যাক। আমার নানি তার এক একটা নাম দেয়। কিছু দিন পর সে নাম পালটে আরেকটা নাম রাখে। কিছুদিন আগ পর্যন্ত ‘তুলি’ নামটা বেশ চলছিল। তারপর তুলি হয়ে গেল ‘জুঁই’। এখন জুঁই বাদ দিয়ে তার নতুন নাম রাখা হয়েছে ‘শারমিন’। কিন্তু ক্ষুদ্রাকৃতি এই ব্যক্তিত্যের আসল নাম আফরা রাইয়ান রেন। রেন একটা ছোট পাখির নাম। ইন্টারনেট আঁতিপাতি করে ঘেঁটে এই নাম রাখা হয়েছে। তাকে যদি জিজ্ঞেস করা হয়, এই তোমার নাম কি? সে উত্তর দেয় “নেন, নেন!” “র” বলা কঠিন কাজ। আমার নিজের পাঁচ বছর সময় লেগেছিল। কেউ নাম জানতে চাইলে বলতাম, “আমার নাম নিম”। যদি মন্তব্য আসত, “বাহবা, ‘নিম’ তো খুব সুন্দর নাম”, তখন আমি বিপুল বেগে মাথা নেড়ে প্রতিবাদ করতাম, “না, না, আমার নাম নিম না তো্, আমার নাম নিইইম, নিইইইইইম!”
ছোটবেলার স্মৃতি পরিষ্কার মনে আছে। জীবনের সবচেয়ে আনন্দের সময় কেটেছে কার্জন হলে। এটা আমার জন্মস্থান। আব্বা শহীদুল্লাহ হলের হাউস টিউটর ছিলেন। সেই সুবাদে হাউস টিউটর কোয়ার্টারের দোতালায় থাকতাম আমরা। এক তালাতেও নাকি ছিলাম, তবে সেটা নাকি আমার জন্মের আগে। অনেক স্মৃতি মাথায় খেলে যাচ্ছে। পরে কোনো এক সময়ে লিখে ফেলতে হবে। স্মৃতি যে সারা জীবন নিউরনের অলিগলিতে রয়ে যাবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। তখন আফসোস করতে হবে।
ট্যামট্যামালুর কথায় ফিরে আসি। এখন শীতকাল। তাকে কমলা খাওয়া শেখানো হয়েছে। শিশুদের খাওয়ানো দুরহ কাজ। আমার ভাই তার অসাধারণ উদ্ভাবনী শক্তি দিয়ে একটা বুদ্ধি বের করে ফেলেছে। কমলার কোয়া সূর্যের আলোয় ধরে বলা হয়েছে, “এই যে মা দেখো কি সুন্দর কমলা জ্বলে! খুব মজা, খাবে তুমি??” সূর্যালোকে প্রজ্জ্বলিত কমলা ম্যাজিকের মত কাজ করেছে। কিন্তু মুশকিল হয়েছে রেন দিনের বেলা ছাড়া কমলা খেতে চায় না। রাতে টিউবলাইটের আলোয় কমলা জ্বালিয়ে তাকে খেতে দেয়া হয়েছে। কিন্তু সেটা সে মুখেও তোলে নি। অথচ দিনের বেলা সে নিজেই কমলা নিয়ে হাজির হয় তার বাবার কাছে আর বলে, “কমলা ‘জ্বলে’ দাও।” আমার ভাই তাকে তখন বারান্দায় নিয়ে সূর্যের আলোতে একটা একটা করে কমলা জ্বালিয়ে তার হাতে দেয় আর সে নির্বিকার চিত্তে কপকপ করে সেগুলো খেয়ে ফেলতে থাকে। এই হল তার কমলা বৃত্তান্ত!
মেজাজ ভালো হয়ে গেছে। মস্তিষ্কের যেখানে খিটখিটে ভাব দানা বেঁধে ছিলো, সেখানে আরেকটা বোধ এসে দখল নিয়ে নিয়েছে। তার নাম খিদা। মাকে খুঁযে বের করতে হবে। সে কার্জন হলের কোথাও আছে। শীতের ছুটি চলছে। তার ক্লাস নেই। আজকে টীচারদের কি যেন একটা নির্বাচন আছে। আমার ধারণা সে কোনো নির্বাচনী আড্ডায় বসে গিয়েছে। তাকে একটা ফোন দিয়ে দেখা যেতে পারে।
পাশেই জনাকয়েক আড্ডা দিচ্ছে। তাদের আড্ডার বিষয়বস্তু “থার্ড পার্সন সিঙ্গুলার নাম্বার”। মোস্তাফা সারোয়ার ফারুকীর নতুন ছবি। ক্ষীণ একটা ইচ্ছা ছিল ছবিটা দেখব। এদের আড্ডা থেকে শুনে ফেলেছি কাহিনী। আগ্রহ শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। সস্তা ধরনের প্লট। খেলো, ঠুনকো প্রেম খুব অপছন্দ।
মাকে ফোন দিতে হয় নি। সে নিজেই ফোন দিয়েছে। গাড়ি আসছে। ল্যাপটপ গুটিয়ে অপেক্ষা করি তাহলে। বাসায় গিয়ে নাওয়া খাওয়া সেরে ঘুম দিতে হবে। তারপর শুরু হবে কড়া এক কাপ কফি হাতে থিসিস লেখালেখির কাজ। ব্যস্ততা ভাল জিনিস। সামনের মাসে থিসিস জমা হয়ে গেলে হাঁ করে বসে থাকা ছাড়া আর কি কি করা যেতে পারে ভেবে বের করতে হবে। বেকারত্ব অসহ্য।
--রিম; ৩০।১২।০৯
মন্তব্য
'হৃদয় খানের গলা মহিলাদের মত শোনাচ্ছে'
হা হা হা ৷
লেখা ভালো লাগলো৷
_____________________
নীল তারা ৷৷
প্রথমাংশ পুরাই হুমায়ূন...
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
কিন্তু হুমায়ূনীয় প্রভাব কাম্য না। বের হয়ে আসতে হবে এর থেকে...
ভাল তো, একটা হিমি সিরিজ বের করে ফেলেন (শাওন শুরু করে দেওয়ার আগে)...
হা হা হা।।আচ্ছা ভাইয়া তোমার কথা মাথায় থাকল।
এক বছর আগের লেখা । বেকার জীবনের অবসান কি হয়েছে ?
ভালো থাকুন ।g
এক বছর না। ছয় মাস আগের লেখা। বেকারত্বের অবসান হয় নি। তবে সময়টা খারাপ কাটছে না।
ভালো লাগলো ...।।
ধন্যবাদ
আচ্ছা আপনি কি ডায়েরি থেকে তুলে দেন দিনলিপি গুলো?
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
ডায়েরি লেখার অভ্যাস ওভাবে নাই। লিখি এক আধ দিন মন চাইলে ল্যাপটপে। সেখান থেকেই তুলে দেই আর কি...
মানুষের বেশির ভাগ ইচ্ছাগুলো পূরণ করা সম্ভব করা যায় না----
ইচ্ছে হলে এডিট করতে পারেন।
আপনার লেখা সাবলীল। ভালো লেগেছে।
জহিরুল ইসলাম নাদিম
আলসে মানুষ। এডিট করতে ইচ্ছা করে না। থাকুক। অপ্টিক্যাল ইল্যুশনের মত অনেকের চোখেই পড়বে না।
লেখা ভালো লাগলো। মজার ব্যাপার, আমার পুরো লেখাটাতেই হুমায়নীয় চাপ প্রবল মনে হয়েছে। তবে সে যাই হোক, লেখা অবশ্যই ভালো লেগেছে।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
পুরা লেখা হুমায়নীয়? চিন্তার বিষয়। ভাল লাগার জন্যে ধন্যবাদ।
লেখা প্রচন্ড ভালো লাগলো, আমার নিয়মিত এমন হয়। এই ভালো তো এই খারাপ মেজাজ।
পলাশ রঞ্জন সান্যাল
হাহা...
জাহাঙ্গীর মামার চাকে আমরা গরম পানি আর তার হলুদ লাঞ্চকে কি বলি বললাম না
যদিও এই দুইটা জিনিসই প্রতিদিনের সঙ্গী
হাহা...কি কথা! তারপরও জাহাঙ্গীর মামার চা খুব মিস করি। আর রনিকেও। কার্জন হলের এই চায়ের টঙটা অনেক আনন্দের স্মৃতি মেশানো।
- দারুণ লাগলো।
ট্যামট্যামালু উপাখ্যান সবচেয়ে উপভোগ্য হয়েছে। হিসাবমতে তো আপনার এখন বেকারত্ব চলছে। তো প্রতিদিনই লিখে ফেলুন "কার্জন হল থেকে বলছি" নামা। মস্তিষ্ক অলস রাখা ঠিক না, শয়তান ব্যাটা গররাজী হয়।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ট্যামট্যামালুর কীর্তিকলাপ নিয়ে লেখার ইচ্ছা আছে। সে এক অদ্ভূত মানবতা। আসলেই খালি মাথা শয়তানের বাসা।
লেখা খুবই ভালো হয়েছে।
খুবই ধন্যবাদ।
হাহাহা
লেখা খুব ভালো লাগসে।
যদিও মজার ব্যাপার হলো, আমারও কিন্তু রাফি আর রেশনুভার মতোই মনে হয়েছে।
আপনার অন্য লেখাগুলোতে যেটা মনে হয়নি...
যাই হোক, কার্জন হল থেকে আরো আসবে নিশ্চয়ই?
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
কার্জন হল থেকে আর লেখা আসবে কিনা সন্দেহ। কারণ আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে গেছি। ওদিকে আর খুব একটা যাওয়া পড়ে না। তবে লেখা তো কিছু না কিছুর উপর আসবেই। না লিখলে আমার ভাল লাগে না। এ এক অদ্ভূতুড়ে রোগ। আর এরপর থেকে হুমায়ূনীয় আবেশ থেকে বেরোবার প্রাণপণ চেষ্টা থাকবে।
লেখায় হূমায়ুনীয় প্রভাবের কথা তো লোকজন বলেই দিয়েছে। এটা আর বললাম না- মজাই লেগেছে...
আর, ইয়ে, "হার্ট খান" কি মহিলা না ?? এদ্দিন কি ভুল জানতাম ?? !!!
_________________________________________
সেরিওজা
হার্ট খান মহিলা না। আপনার এই ভুল ধারণার কথা জানতে পারলে সে এখন দুঃখের চোটে চুল-দাড়ি ছিড়তে বসবে।
লেখা বেশ প্রানবন্ত; হুমায়ুনীয় চাপটা আসলে অনেকের মধ্যেই আছে...আসলে সেইটা কোন সমস্যা না; প্রানবন্ত উপস্থাপনটাই আসল। লিখতে থাকুন...লেখায় আরও প্রান আসুক।
--শফকত মোর্শেদ
শহীদুল্লাহ হলেই তো হুমায়ূনের অনেক সময় কেটেছে, সেজন্যই বোধ হয় সে প্রভাব লেখায় চলে এসেছে, কার্জন হল থেকে বেরোলেই আর থাকবেনা!
ক্যাম্পাস নিয়ে লিখতে থাকুন, পড়তে বেশ লাগে।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
মজার লেখা।
বাচ্চাদের "র" প্রসংগে আপনার অবজার্ভেশনটা আসলেই সত্যি.. আমার তিন বছরের পিচ্চি নিজেকে ডাকে 'নাইম'.. অথচ নামটা "রাইম"। 'ম' আর 'ল' নিয়েও সেইম কেইস
মজা লাগলো
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
কার্জন হলকে ঘিরে খুব সুন্দর একটা স্মৃতি মনে পড়ল আপনার এই লেখাটি পড়তে গিয়ে । এবার বইমেলার উদ্দেশ্যে অল্প কদিনের জন্যে ঢাকা গিয়ে পুরো ফেব্রুয়ারী মাসটাই ছিলাম । প্রায় প্রতিদিন-ই কার্জন হলের সামনে দিয়ে বইমেলায় যেতাম আর গাড়ির জানালার কাঁচ নামিয়ে লোভাতুর ছোখে তাকিয়ে থাকতাম । শেষের দিকে আমার দেবর বাধ্য হয়েই একদিন বললো, চলো তোমাকে ভেতর থেকে ঘুরিয়ে আনি । যখন সিএনজি থেকে নামলাম আকাশ বেশ ঝলমলে ছিল তখন । বেশ ভালই লাগছিল ঐতিহাসিক একটা জায়গার খুব কাছাকাছি আসতে পেরে । আমার সেই ভালো লাগার আবেশকে চির দিনের জন্যে ধরে রাখতেই বুঝি আচমকা প্রবল বেগে বাতাস শুরু হলো । আর কিছু বুঝে উঠার আগেই আকাশ ঝাপিয়ে বৃষ্টি নেমে এলো ধরায় । সেদিন ছিল ফাগুনের প্রথম বৃষ্টি । যেই বৃষ্টিকে আমি পাগলের মতোন পছন্দ করি তার পরশ সেদিন-ই প্রথমবারের মতোন পেয়েছিলাম । আমার শরীরে প্রথম বৃষ্টির ছোঁয়া লেগেছিলো । যার আবেশে মনটা ভরে উঠেছিলো । প্রথম বৃষ্টির স্পর্ষ যে এমন .......নাহ ! এ লিখে বা বলে প্রকাশ করা যায় না ....এমন এক অদ্ভুত অনুভুতি !!!
অবশ্যি আমার দেবরকে বেশ ঝক্কি পোহাতে হয়েছিল, আমি সমেত আমার হুইল চেয়ারটাকে টেনে হিচড়ে কোনো একটা বিল্ডিং এ ঢোকাতে । সেদিন কোন বিল্ডিংটায় উঠেছিলাম মনে পড়ছে না এখন আর তবে সামনেই বড় পুকুরটা ছিলো । বৃষ্টি যখন পুকুরের পানিতে টুপটাপ পড়ছিল এত্ত ভালো লাগছিল । আমি কখনো দেখিনি তো এমন করে, এত কাছ থেকে ......এইরে, মন্তব্যটি বেশ বড় হয়ে যাচ্ছে । ছাড়ছি আজ । ভালো থাকুন ।
সাবরিনা সুলতানা
প্রথম বৃষ্টির স্পর্শ এত আগের স্মৃতি যে তাতো মনে নেই। কারো কি সেই প্রথম ছোঁয়া মনে থাকে?! আপনি ভাগ্যবতী, এই অসম্ভব সুন্দর অভিজ্ঞতা আপনার চিরকাল মনে রইবে। আপনার সেই মুগ্ধ বর্ননা পড়বার ইচ্ছে রইল। হয়ত স্মৃতির আদি গহীন অন্ত হতে আমারও আবছায়া মনে পড়বে প্রিয় জিনিসের প্রথম অস্তিত্ব!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
রিম আপু, লেখাটা রিমঝিম বৃষ্টির মত লাগল। স্মৃতি পড়তে ভালোই লাগে আর সেটা যদি হয় প্রিয় ক্যাম্পাসের কাহিনী নির্ভর তাহলেটো কথাই নেই। এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেললাম। ভালো একটা অনুভব মনের মাঝে খেলা করে চলল। ধন্যবাদ।
=========
তারিখঃ ২৬শে জুন, ২০১০ইং
কামরুজ্জামান স্বাধীন।
=========
মজা পেলাম পড়ে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
নতুন মন্তব্য করুন