গুলশানের জ্যামে গাড়ি আটকে গেছে
নির্মম শিলাবৃষ্টি সজোরে আছড়ে পড়ছে উইন্ডশিল্ডে
নিরুপায় চেয়ে দেখা ছাড়া কিছু করার নেই
মেরুন হোন্ডা অ্যাকর্ডটা গত মাসেই কেনা
মাতাল ফাল্গুনী ঝড় তাই তিক্ত ঠেকছে বিরক্ত অর্নবের কাছে।
কোত্থেকে একগাদা রুপালী ধুলো এসে ঢেকে দিলো অফিসফেরত সোনালীকে
বাসের জন্যে দাঁড়িয়ে ছিল সেগুনবাগিচার মোড়ে
প্রায় উড়ে যাওয়া ওড়না আর হ্যান্ডব্যাগ সামলাতে হিমশিম
ফাল্গুনের অভিমানী হাওয়া বখাটে ছেলের কটুক্তির মত বিঁধলো ওর গায়ে।
শহুরে মানুষের অবহেলা কুড়িয়ে এক ধরনের দুঃখ নিয়ে
ঝড়টা এসে হানা দিলো শেফালিদের পলিথিনের নীল ছাপড়ায়,
ভয় দেখাতে চাইল এচাহাক মিস্ত্রী দিয়ে বানানো রুস্তমের নতুন রিকশাকে,
উড়িয়ে নিতে গেল পপকর্ন বেচা ছোট্ট মতিকে;
ক্ষুব্ধ ঝড়কে অবাক করে,
শিল কুড়াবে বলে শেফালি বেরিয়ে আসে খোলা আকাশের নিচে
পড়ে থাকা শিল এখন পরম মমতায় সস্তা শাড়ির কোঁচরে বন্দী;
রুস্তমের রিকশা পঙ্খিরাজ হয়ে পাগলা ঝড় ফুড়ে চলে সাঁই সাঁই
বহুকাল আগে ক্ষেতের আল ঘেঁষে ঝুম বৃষ্টি মাথায় দৌড় মনে পড়ে তার;
পপকর্নের প্যাকেটগুলো নিরাপদে রেখে উল্লাসিত মতি রাস্তায় নামে
আরো গোটাপাঁচেক মতি মিয়াকে নিয়ে রাজপথ মাতে হঠাৎ শৈশবের হুল্লোড়ে
এভাবেই একটু পরে,
আকাশের গায়ে ঢলে পড়া সূর্যের এক চিলতে হাসি রেখে,
বিদায় নেয় ফাল্গুনের প্রথম প্রলয়।।
--রিম সাবরিনা
মন্তব্য
পড়তে গদ্য গদ্য লাগছে। গল্পই লিখে ফেলতেন।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
কবিতা কিন্তু আমার ভাল লাগে না। তবুও ক্যামনে ক্যামনে যেন লেখা হয়ে যায় বুঝি না। গল্প লেখার ধান্দায় আছি। মাথায় একটা প্লট নিয়ে ঘুরছি। সময়ের অভাবে হয়ে উঠছে না।
রিম সাবরিনা
ভাল্লাগলো।
ধন্যবাদ।
রিম সাবরিনা
পাঁচ টুকরো গপপো... ভাল লেগেছে পড়তে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
নতুন মন্তব্য করুন