ভয়াবহ মাথা ধরেছে সেই বিকাল থেকে। দাঁত ব্যথার সাথে এর একটা যোগ থাকতে পারে, ঠিক বুঝছি না। যেই কাজটা হাতে নিয়েছিলাম , কিছুতেই সেটায় আর মন বসানো যাচ্ছে না। অনেক ভাবে চেষ্টা করে এখন হাল ছেড়ে দিয়েছি। একদম অন্য কিছু ভাবতে হবে। প্রিয় কিছু। তাহলে যদি এই অদ্ভূত ব্যাথাটা একটু কমে।
আমার জানালা দিয়ে অনেক পাখি দেখা যায়। গুনে দেখেছি প্রায় দশ এগারো রকমের পাখি থাকে সামনের বিশাল গাছটায়। গতকাল পর্যন্ত আমার ধারণা ছিল ওটা একটা জারুল গাছ। আজকে দেখি গাছটায় ছোট ছোট শিমুল ফুল ফুটেছে। হাতির বাচ্চা কি কখনো গরু হয়? হয় না। অতএব গাছ বিষয়ক আমার অনুমান ভুল হয়েছে। কোনকালেও গাছটা জারুল গাছ ছিল না। শিমুল গাছকে জারুল ঠাউরে বৃক্ষসমাজকে অপমান করেছি। এটা ঠিক হয় নি। শিমুল ফুলেরা যদি এখন আমাকে মাফ করে দেয় কোনভাবে তাহলেই রক্ষা।
পাখির কথা বলছিলাম। পাখির একটা লিস্ট করে ফেলা যেতে পারে। কারণ ঢাকা শহরে খুব বেশি জায়গায় একসাথে এত পাখি দেখা যায় না।
পাখিপুখির লিস্টিঃ
১। চড়ুই
২। কাক (সংখ্যায় কাক-চড়ুই বেশি বলে তাদেরকে সবার উপরে স্থান দেয়া হল।)
৩। হলদে পাখি
৪। কাঠঠোকরা (দুই রকমের কাঠঠোকরা দেখা যায়। একটা সোনালি, মাথায় কি সুন্দর একটা লাল টকটকে ঝুঁটি! আরেকটার গায়ে সাদা-কালো ফোটা ফোটা দাগ আছে।)
৫। কোকিল
৬। ঘুঘু
৭। পেঁচা (রাতের বেলা যাদের দাম্পত্য কলহে আমার মাথা ধরে যায়।এত ক্যাঁচক্যাঁচও এরা করতে পারে।আল্লাহ বুঝে শুনেই এদের দিনকানা করে দিয়েছেন।নইলে এদের হাউকাউয়ের জালায় টেকা যেত না)
৮। মাছরাঙা ( এটা কোন সাধারণ মাছরাঙা না।পিঠটা অসাধারণ গাঢ় নীল আর বুকের দিক সাদা।এ্যত্ত সুন্দর, মনে হয় কপ্ করে খেয়ে ফেলি)
৯। দোয়েল
১০। শালিক
১১। ময়না
১২। টিয়া
কোথা থেকে প্রচুর টিয়া পাখি চলে এসছে।মোটা সোটা সবাই।গলায় মারাত্মক জোর।সারাদিন এরা গজগজ করে নিজেদের ভেতর।আমি খুবি বিরক্ত হই।আগে তো এত টিয়া ছিল না।তাহলে কি পাখিওয়ালারা টিয়া ধরা বন্ধ করে দিয়েছে? কাজটা তাদের মোটেও উচিত হয় নি।
মাঝে মাঝে মনে হয় জংগলে আছি।চারিদিকে নানান জাতের কিচিরমিচির।যতই রাগ দেখাই, পাখিগুলির অস্তিত্ব আমি খুব উপভোগ করি। একটু আগে এ্যত্ত বড় একটা ঝি ঝি পোকা বাসায় ঢুকে পড়েছে।কেমন মামা বাড়ি মামা বাড়ি ভাব চলে এসেছে বাসায়।
আর লিখতে ইচ্ছা করছে না।থামি এখানেই।
--রিম ; ১০।৪।২০১০
মন্তব্য
ভাই আপনি এতো পাখি পেলেন কোথায়!!!?
ঢাকায় এতো পাখি
কভু মেলে নাকি!!
জহিরুল ইসলাম নাদিম
কিছু জায়গায় এখনো তারা আছে...
সামারে তো ওদের কিচিরমিচিরে ছুটির দিনে ঘুম বাতিল। আমি মনে মনে চিন্তা করে হাত বড়ালেই যদি ওরা হাতে আসে তো ওদের আদর করবো। খাওয়ার ইচ্ছে জাগে না কখনো।
ছোটবেলায় গ্রামে অনেক ময়না টিয়া আসতো। তবে বন্দুকের জ্বালায় একটাও ফিরে যেতে পারতো না। এখন শুনেছি একদম নাকি আসে না। এসে তো খাবার পাবে না। সব গাছ, টিলা কেটে একাকার। না আসাই ভালো।
খাওয়ার কথা মজা করে বলা। আমারো ভাবতে ভাল লাগে হাত বাড়ালেই পাখি যদি হাতে আসত...কি মজাই না হত।
আপনার এ দিনপঞ্জিগুলো পড়তে বেশ লাগে, তবে এই এ বছর আবার কদিন পরে সে বছর, মাঝে মাঝে কসরত্ করে হাল ধরতে হয়- পড়ার পর অবশ্য মনে হয়, "ভুল করিনি পড়ে!":-)
এবার ধাঁধা, কইনচেন দেহি, আপনি কার কথা মনে করিয়ে দ্যান প্রায়ই?
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
বড়ই বিব্রতকর ধাঁধা। না দিলাম উত্তর। জানা তো আছেই। তবে পড়ার জন্যে ধন্যবাদ!
ভাল লাগসে.. ...এই স্বর্গ থেকে অন্য কোথাও গেলে খুব কষ্টই হবে থাকতে।
ঢাকায় চিল দেখা যায়। ভূবন চিল আর শঙ্খ চিল। ভুবন চিলের গায়ের রং খয়েরি, আর শঙ্খ চিলের রং উজ্জ্বল বাদামী বর্ণের। শঙ্খ চিলের গলা থেকে মাথার উপরের দিকটা সাদা। উড়ন্ত অবস্থায় এ দুয়ের পার্থক্য করার উপায় হলো লেজের গঠন। লেজ যদি মাছের লেজের মত হয়, তাহলে সেটা ভূবন চিল; আর লেজের পালক যদি গোলাকৃতি হয়, তাহলে শঙ্খ চিল।
কমপক্ষে তিন ধরনের শালিক দেখার কথা:
১) ভাত শালিক (যেটাকে লোকে শালিক বলে)
২) গো-শালিক (সাদা-কালো শালিক যেটা)
৩) ঝুঁটি শালিক (ভাত শালিকের মতই কিন্তু রঙ আরো গাঢ় আর ঠোঁটের একউ উপরের দিকে ঝুটি আছ)
আরো এক ধরনের শালিক দেখা যায় তবে সেটা হয়তো শহরে নাও থাকতে পারে। সেটা হলো ৪) কাঠ শালিক। আকারে অন্য শালিকের চেয়ে একটু ছোট, ধুসর টাইপের রঙ। শিমুল গাছে বা এ ধরনের গাছে বেশী দেখা যায়।
শহরে মৌটুসি পাখি দেখতে পারেন। ভালো করে খেয়াল করলে দেখবেন হামিং বার্ডও আছে (আশেপাশে ফুল থাকলে তো অবশ্যই থাকবে)। বিশেষ করে বাগান বিলাশ বা এধরনের ফুলগাছ থাকলে ওরা আসবে।
আরো মেলা পাখি আছে। পাখির প্রজাতির সংখ্যা কি কমছে না বাড়ছে? কী মনে হয়?
নতুন মন্তব্য করুন