গায়ের রং নিয়ে তীব্র মাথাব্যথা না থাকলেও ইদানিং বিভিন্ন কারণে কেমন জানি একটা চিনচিনে অনুভুতি মনের ভিতর উঁকিঝুকি দিয়ে যাচ্ছে । এই চিনচিনে অনিুভুতিটাই হঠাৎ সেদিন কিছুটা চিন্তায় ফেলে দিয়েছে কাজের মেয়েটার কথায় । বেশ কয়েক বছর ধরেই মেয়েটা আমাদের এখানে আছে তবে তার কোনো কিছুর জন্য আবদার খুব একটা নেই । দিন কয়েক আগে টিভি দেখছিলাম । হঠাৎ একটা বিজ্ঞাপন দেখে আমাকে বলল, আমার না খুব শখ এই জিনিসটা কেনার । আমি তার দিকে তাকালাম সে তা ভ্রুক্ষেপ করল না । কারণ গভীর মনোযোগের সাথে দৃষ্টি তার টিভির পর্দায় নিবদ্ধ ।
বিজ্ঞাপনটি ছিল একটা রং ফর্সাকারী ক্রিমের । আরও কয়েকটি চ্যানেলে দেখলাম সুমন্’স এ্যারোমা,বোটানিক এ্যারোমা ,শিবানী’জ এ্যারোমা আরও কি সব রং বেরঙের এ্যারোমা ফ্যারোমার ছড়াছড়ি এবং আরও কিছু রং ফর্সাকরী ক্রিমের বিজ্ঞাপন । বিজ্ঞাপনগুলো দেখে মনে হয় তাদের পণ্যগুলো অনেকটা ম্যাজিকের মতো কাজ করে । শুধু চেহারা না অল্প কিছুদিনের মধ্যেই এসব ব্যবহার কারীদের ভবিষ্যৎ ও চোখের পলকে পরিবর্তন হতে বাধ্য থাকে । আগে যে মেয়ের কোনো গুণ ছিল না এসব ক্রিম মেখে রাতারাতি সে গুণের আধার বনে যাচ্ছে ।
বিজ্ঞাপন নির্মাতারা বিজ্ঞাপন বানাচ্ছেন,অভিনেতা অভিনেত্রীরা সেখানে অভিনয় করছেন আর টিভি চ্যানেলগুলো তা প্রচার করে দেশ ও দেশের জনগনের কল্যাণ (!) বয়ে আনছেন । আর তার ফলে প্রাপ্ত বয়স্ক আন্টিরা (খালাম্মা বললে যদি মাইন্ড করেন তাই আন্টি বললাম) যাদের অবসর সময়ের বেশির ভাগই কাটে বিউটি পার্লারে কিংবা রূপ চর্চা সংক্রান্ত আলোচনা আর ফ্যাশন বিষয়ক সমালোচনা নিয়ে তারা না হয় খুব উপকৃত হচ্ছেন স্বীকার করছি। কিন্তু কচি মনের ছোট ছোট বাচ্চাদের ভিতরও একটা বিষয় খুব ভালোভাবে ঢুকিয়ে দিতে পারছেন যে গায়ের রং ফর্সা মানেই তুমি সুন্দর,তুমি স্মার্ট,তোমার কদর গগনচুম্বী,তুমি সুপার স্টার আর তোমার ভবিষ্যৎ ঝকঝকে পরিস্কার। আর গায়ের রং কালো মানেই তুমি অসুন্দর,তুমি আন স্মার্ট ,তুমি ফেলনা,তোমার ভবিষ্যৎ নিকষ কালো । তাই যে করেই হোক ফর্সা তোমাকে হতেই হবে । তা না হলে এ জীবন যেনো বৃথা । আর চিন্তা কি তার জন্য আমরা তো আছি ই !
আগে যে মেয়ের দিকে কেউ ফিরেও তাকাতো না মাত্র কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে তাকে দেখে(তার গায়ের রং দেখে ) চোখ বিস্ফোরিত হয়ে যাচ্ছে । কিংবা তাকে দেখে মনের অজান্তেই বের হয়ে আসে .......‘পড়েনা চোখের পলক কি তোমার রূপের ঝলক কিংবা রূপে তোমার আগুন জ্বলে। ’
গায়ের সাথে ধাক্কা লাগলেও যাকে চিনতে পারতো না আর এখন তাকে দেখলেই মনের মধ্যে কয়েক শ রিখটার স্কেলের ভুমিকম্প শুরু হয়ে যায় । মুহূর্তেই তাকে ভেঙে চুরে, চুরে ভেঙে নছনছ করে দেয় প্রেমের ভয়াবহ উতল হাওয়া ।
আর গায়ের রং যে ছেলেকে সর্বদা নিজেকে আড়াল করে রাখার প্রেরণা যোগাতে বাধ্য করতো । মেয়েদের মনে জায়গা পাওয়াতো সহস্র কোটি মাইল দূরের কথা তাদেরকে দেখলেই নিজের কালো গায়ের রংয়ের লজ্জায় বলতে ইচ্ছে করতো ‘ধরণী দ্বিধা হও আর আমাকে রক্ষা করো’।
মেয়েরা যে ছেলেকে কখনো চোখ মেলে দেখতেই পায়নি । হঠাৎ তার ফর্সা গায়ের রং দেখে ‘হাই হ্যান্ডসাম, হাই হ্যান্ডসাম’ বলে তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ছে ! এমন কি শাহরুখ খান পর্যন্ত সেখানে গুরুত্বহীন । সে কারো নজরেই পড়ছে না । বড়ই অদ্ভুত !
তবে হ্যাঁ অনেক কেই দেখেছি গায়ের রং ফর্সা (সুন্দর কিনা জানিনা ) বলে কি ভাব । তখন স্কুলে পড়ি । আমাদের ক্লাসের সুন্দরীদের গল্প শুনে আগা মাথা কিছুই বুঝতে পারতাম না । যদিও আমার মতো অনুর্বর মস্তিষ্কের যারা তাদের জন্য এসব উচ্চমর্গীয় কথাবার্তার মর্ম উদ্ধার মোটামুটি অসম্ভব । তখন একটা বিষয় আমার মাথায় কিছুতেই ঢুকতো না আমার যদি স্কুলে আসার পথে কোনো সমস্যা না হয় তাহলে ওদের কেনো হবে ? পরে বুঝতে পেরেছি ,এই শ্যামলা রংটাই আমাকে এতোদিন প্রটেকশান দিয়েছে । যদিও এর জন্য বেশ কিছু মন্তব্যও অম্লান বদনে সহ্য করতে হয়েছে । তাতে কি !
মানুষ সৌন্দর্যের পূজারী । আর সুন্দরের আকষর্ণী ক্ষমতাও চমৎকার । তাই হয়তো সৌন্দর্যের প্রতি মানুষের দুর্বলতা চিরন্তন । অনেক ক্ষেত্রে এই সৌন্দর্যের গুণে অনেকে যেমন বেশ সুবিধা ভোগ করেন । তেমনি অনেকে আবার বেশ অসুবিধায়ও পড়তে বাধ্য হয় সৌন্দর্যহীনতার জন্য।
তবে ফর্সা মানেই কি সুন্দর ? ফর্সা মানেই কি খুব মোহনীয় কিংবা আকর্ষণীয় কিছু ? না-কি সবকিছুর উর্ধ্বে মানুষের ধবধবে ফর্সা গায়ের রং ?
কালো কিংবা শ্যামবর্ণের ছেলে-মেয়েদের কি দেখতে খুব খারাপ লাগে ? না-কি তাদের দিকে তাকালে চোখ আপনা আপনিই বন্ধ হয়ে যায় ? না-কি মনের ভিতর সারাক্ষণ খচখচ করতে থাকে একি দেখলাম ,একি দেখলাম ?
আমার ধারণা এসব কিছুই হয় না । তাহলে ? তাহলে চার পাশে এতো রং ফর্সকারী ক্রিমের ছড়াছড়ি কেন ?
আমি মনে করি একটা মানুষ তখনই সুন্দর হয় যখন সে সার্বিক ভাবে সুন্দর । শুধু তার গায়ের রং ফর্সা বলে নয় । তার আচার আচরণ,চলন বলন,কথাবার্তা,শিক্ষাদীক্ষা,ধ্যান ধারণা,পোশাক আশাক সব কিছুর সমন্বয়ে একজন পরিপূর্ণ এবং সুন্দর মানুষ হওয়া সম্ভব । সেখানে শুধু ফর্সা রংটা কেনো এতো গুরুত্ব পাচ্ছে বুঝতে পারছি না । আপনারা বুঝতে পারলে একটু বুঝিয়ে বলবেন দয়াকরে ।
এসব অতি উর্বর মস্তিষ্কের লোকজন যেভাবে গায়ের রংটা ফর্সা করার সংগ্রামে নেমেছেন তার আগে একটু চিন্তা না হয় নাই করলেন এখন আপাতত একটু বিরতিতে ভেবে দেখেনতো মানুষের বিবেক ফর্সাকারী কিংবা ফালতু কনসেপ্ট পরিবর্তন কারী কোনো ক্রিম বের করতে পারেন কিনা । আর পাশাপাশি এসব রং ফর্সাকরী ক্রিম মাখার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো নিয়েও একটু চিন্তা করবেন আশাকরি । তবে বিবেক ফর্সাকারী কিংবা ফালতু কনসেপ্ট পরিবর্তন কারী ক্রিম বের করাটা কিন্তু জরুরী বিশেষ করে আপনাদের নিজেদের জন্যই । কারণ আপনারা যে কনসেপ্ট নিয়ে কাজ করছেন তার পরিবর্তন অতি জরুরী । মানুষকে মানুষ হবার চিন্তা করার সুযোগ দিন । তা না করে আপনারা কি করছেন রেডিও, টেলিভিশন, পত্রিকার মতো জনপ্রিয় মাধ্যমগুলোকে ব্যবহার করছেন যত্তসব আজেবাজে বিষয়গুলোকে মানুষের ভিতর ছড়িয়ে দেয়ার জন্য । মানুষ হিসেবে জন্ম নিয়েছেন , অন্তত কিছুটা লজ্জাবোধ আর বিবেক তো আপনাদের থাকা উচিত !
মন্তব্য
যতসব পচা ধ্যান ধারণা নিয়ে বসে আছে কিছু মানুষ। ইয়ে, ফর্সা হতে চাইলে, আমার মত রোদে পুড়া, বৃষ্টিতে ভেজা নিষেধ কিন্তু
facebook
এই পঁচা ধ্যান ধারনার কিছু মানুষই অেনক মানুষের ভোগান্তির কারণ ।
আর তারেক অণু ভাই ,আপনারতা রাজকীয় জীবন । এদেশ থেকে ঐ দেশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন । রোদে পোড়া কোনো ব্যাপার ?
বাংলাদেশের মানুষ ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী কিনে ড্রেসিংটেবিল ভরিয়ে ফেলে আর সাদারা হাজার হাজার ডলার খরচ করে ট্যানিং লোশন কিনে শ্যামলা হবার জন্য। নদীর ওপার কহে টাইপ ব্যাপার।
..................................................................
#Banshibir.
এমনিতেই আমি চিন্তিত আপনি তো আরো চিন্তায় ফেলে দিলেন ।
আমার তো ভবিষ্যৎ অন্ধকার। সবাই বলে আমি ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী মাখলে নাকি ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী কালো হয়ে যায়, আর আমি যেই কে সেই।
..................................................................
#Banshibir.
কি যে বলেন আপনি সত্যপীরের কথা শুনেন নাই ! ঐ পাড়ে তো আপনাকে নিয়ে টানাটানি পড়ে যাবে উদাস ভাই । মজা করে বলছি কিছু মনে কইরেন না ।
তবে ফর্সা গায়ের রং নিয়ে এতো মাতামাতি করার কোনো অর্থ আমি খুজেঁ পাই না ।
এসব কি শুরু করলেন ?
ভাবলাম ফর্সার কদর য়েনো কমে তা না নিজেরা যে হারে হা পিত্যশ শুরু করছেন ফলাফলেতা উল্টা হয়ে যাবে ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
দারুণ।
আপনার লেখার মধ্যেই একটা প্রশ্নের জবাব পেয়ে গেলাম। ছেলেরা যদি ফর্সা মেয়েদের ঈভ-টিজিং বেশি করে, তবে ফর্সা রঙের চাহিদা (এই রকম চাহিদা যে ভালো একটা ব্যাপার তা বলছি না ) আছে বোঝা যাচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে চামড়ার রং কে এত মূল্য দেয়ার এই স্বভাবটা কবে থেকে আমাদের তৈরি হোল?
আমার ব্যক্তিগত উপলব্ধি হলো, বাঙ্গালীর চাকুরে মনোভাব, সাদা চামড়ার পা চাটা আমাদের পুরনো পেশা, যখন থেকে ইউরোপীয়রা এদেশে পা রেখেছে আমরা তাদের মোসাহবী করে গেছি, তাই সাদা চামড়া দেখলেই আমাদের মেরুদন্ড বাঁকা হয়ে যায়। দ্বিতীয়ত, ফর্সা মেয়ের ব্যপারে দুর্বলতার হেতু সম্ভবত রাজার আমল থেকে হেরেমে বন্দী অসূর্যস্পর্শ্যা নারীদের থেকে। রাজার হেরেম সুন্দরীদের আড্ডা আর আলো বাতাসের অভাবে তাদের ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া চামড়াই সৌন্দর্যের সমার্থক হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে গেছে। তাছাড়া ইরান তুরান প্রভৃতি শীতের দেশের থেকে নিয়ে আসা তুষারকন্যাসম রাজকন্যারা তো আছেনই, সুন্দরীর স্ট্যান্ডার্ড সেট করেছেন।
রোদে পুড়ে কামলা দেয়া মাথার ঘাম পায়ে ফেলা লোকের চাইতে, পিছনে ছাতিবাহক নিয়ে বা গাড়িতে চড়ে ঘোড়া পয়সাওয়ালা রইস/ শরীফ ঘরের আদমীরা ( মানুষ যেমন খাটাশই হোক) আমরা কদর করি বেশি। তাদেরও চামড়া রোদে ময়লা হয় না ততটা।
বিভিন্ন আকাঙ্ক্ষিত বস্তুর সাথে চামড়ার রঙের মিল মিশটা থেকে তালেগোলে পাকিয়ে ফর্সা প্রীতিটা আমাদের মাথায় একেবারে গেঁথে গেছে।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
এটা একটা নারীবাদী মন্তব্য এবং পুরুষ বিরোধী মন্তব্য। তীব্র ধেক্কার
ডাকঘর | ছবিঘর
ফর্সা রঙের চাহিদা যে যথেষ্ঠ তা নিয়ে কি আপনার সন্দেহ ছিল ?? আশেপাশে একটু চোখ বুলালেই তো উপলব্দি করা যায় ।
কালোমেয়ের ফর্সা বয়ফ্রেন্ড কিংবা হাসব্যান্ড পাশে থাকলে তার মাথাটা গর্বে তিনফুট উঁচু হয়ে যায় । ঠিক তেমিন কালো ছেলের ফর্সা গার্লফ্রেন্ড কিংবা বউ পাশে থাকলে সেতো মাটির তিন ফুট উপর দিয়ে হেঁটে বেড়ায়।
আর জোড়াটা যদি হয় ফর্সা তবেই তা সোনায়সোহাগা ।
এসব অদ্ভুত বিষয় কবে শেষ হবে ?
ফর্সা রঙের জ্বালা ভালোই টের পেয়েছি গো আপা, আজাইরা যন্ত্রণা। সেটা ঈভ টিজিং এর টার্গেট বলেন আর জঘন্য ঘাউয়া ত্বকের কথা বলেন।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
একটা দীর্ঘশ্বাস
হ। এইজন্য সুন্দরী মাইয়ারা আমার দিকে তাকায় না, হায় । তাই ফর্সা অইতে মুঞ্চায় । আপসোস গত ... বছর( গ্যাপ রাখলাম। ছেলেদের বয়স বলতে নেই ) ধরে ত্যানা দিয়া, পাথর দিয়া ঘইস্যাও নিজেরে ফর্সা করতে পারলাম না । হায় জওয়ানীটা বৃথাই গেলো। আপসোস, আপসোস।
ডাকঘর | ছবিঘর
তাপস দা, দীর্ঘশ্বাস একটু কম ফেলেন ।
আর সুন্দরী মেয়েরা আপনার দিক তাকায় না আর আপনি তাদের দিকে তাকিেয় থাকেন ????
কি ভয়াবহ কথা !!
ব্লীচ কইরা ফেলেন। পারলার গুলাতে আজকাল এই জাতীয় কি সার্ভিসের কথা শুনি। মোটামুটি এসিড জাতীয় জিনিস দিয়ে চামড়া পুড়ে ফেলে, যাতে নতুন গজানো চামড়া একটু সাদাটে হয়। কী ভয়ঙ্কর।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
গিয়েছিলাম তো কয়েকবার পার্লারে। কিন্তু, কি আর বলব, হায়। পার্লারের লোকেরা বিরক্ত হয়ে উল্টা আমাকে চান্দা দিয়া বাড়ি ফেরার গাড়ির খরচ ধরিয়ে দিলো। ঘটনা হল যখন ওরা আমাকে ব্লিচাইতে শুরু করল ওদের সব করিম উঁহু ক্রিম ফুরাইয়া গেলেও আমার রঙ আর ঠিক হয়না।
বিরক্ত হয়ে পার্লারের মালিক আমাকে কয় - হই মিয়া জীবনে আর যাই করেন ফর্সা হওয়ার কথা চিন্তা কইরেন না
এরপর প্রাকৃতিক উপায়ে ট্রাই করলাম - কোন লাভ নাই
হায় হায় এত কিছু টেড়াই কইরাও আমার উপর কোন প্রোডাক্ট এর করিনা থুক্কু করিশ্মা হইল না । আপসোস আপসোস ।
ডাকঘর | ছবিঘর
রিমা আমি মাইয়াগো দিকে তাকাইয়া থাকি এই খবর আপনি কোত্থেকে পাইলেন
ডাকঘর | ছবিঘর
তাপস দা ,আপনি নিজেইতো বলছেন যে সুন্দরী মাইয়ারা আপনার দিকে তাকায় না ।
আপনি তাহাদিগের দিকে না তাকাইলে কিভাবে বুঝলেন তাহারা আপনার দিকে তাকায় না ?
উঁহু। আপনারে বুঝাইতে পারি নাই। তাকানো আর তাআআআআকানোর মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে
ডাকঘর | ছবিঘর
হু ,এইবার বুঝলাম । তবে বেশ কষ্ট হইল বুঝতে ।
সৌন্দর্যের কিছু স্টেরিওটাইপ বোধহয় থাকবেই ... দৈহিক সৌন্দর্যের প্রতি মানুষের আকর্ষণও বোধহয় থাকবেই ... এটা বোধহয় যতটা না সামাজিক তার চেয়ে বেশি বোধহয় বায়োলোজিক্যাল ... আমি ঠিক বিতর্কের জন্যে বলছি না, কিন্তু এই যে মনে করেন একটু পরিপাটি হয়ে বাইরে যাওয়া, একটু চুলটা আঁচড়ে নেয়া, একটু কাজল, লিপিস্টিক বা টাইয়ের নটটা একটু কেতা করে বাঁধা, সবই কি সুন্দর হওয়ার একটা চেষ্টা নয়? ফর্সাই বলুন, আর জন্মগত সুন্দর চেহারাই বলুন সবই কিন্তু একটা স্টেরিওটাইপ ... কিন্ত সেই স্টেরিওটাইপ থেকে বের হওয়া কতটা সম্ভব এটা নিয়ে আমার সবসময়েই সন্দেহ থেকে যায় ... ব্যাপারটা অনেকটাই বায়োলোজিক্যাল কি?
আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি এটা সৃষ্টিকর্তার (যদি কেউ থেকে থাকেন) একটা বৈষম্য, ফর্সা বলুন কাল বলুন বা সুন্দর বা অসুন্দর বলুন। কিন্তু এই বৈষম্যটাকে প্রমোট করার কতটা দরকার আছে, সেটা অবশ্যই একটা ভ্যালিড পয়েন্ট।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
মানুষ সৌন্দর্যের পূজারী । আর প্রতিটি মানুষের ভিতর নিজেকে একটু পরিপাটি করে,সুন্দর করে গুছিয়ে উপস্থাপন করার একটা প্রবণতা রয়েছে ,এটা আমার কাছে খারাপ মনে হয় না ।এটা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার ।
কিন্তু সৌন্দর্যের প্রধাণ মাপকাঠি কেন ফর্সা হবে ?
এটা কেমন মাপকাঠি ? একটা মেয়ে কিংবা ছেলে ঠিকমতো কথাই বলতে পারছে না অথচ শুধু গায়ের রং ফর্সা বলেই সে সুন্দর ! বড়ই অদ্ভুত !!
আর এই বিষয়টা আমাদের মনের গভীরে ঢুকিয়ে দেয়া হচ্ছে একদম ছোট্টবেলা থেকে ।
আমি যেটা বলতে চেয়েছি, সৌন্দর্যের প্রত্যেকটা ব্যাপারই কিছুটা স্টেরিওটাইপড। মনে করেন দৈহিক সৌন্দর্যের যে মাপকাঠিগুলো, এগুলো কি একধরণের স্টেরিওটাইপিং নয়? মনে করুন লম্বা ছেলে, মাথায় টাক, ভূড়ি এরকম আরও হাজারো উদাহরণ দেয়া যাবে। এগুলো কোনটার সাথেই কিন্তু মনের সৌন্দর্য নির্ভর করে না, কিন্তু এগুলা সবই সৌন্দর্যের মাপকাঠি হয়ে বসে আছে। আমার কাছে ফর্সা ব্যাপারটাকে এগুলা থেকে আলাদা কিছু মনে হয় না। কোনটার সাথেই মনের সৌন্দর্যের কোন সম্পর্ক নেই। কিন্তু এগুলো আমাদের সৌন্দর্যের ক্রাইটেরিয়া হয়ে বসে আছে। আমার প্রশ্ন হল ব্যাপারগুলো কতটুকু সামাজিক আর কতটুকু বায়োলজিকাল। সামাজিক হলে সেটা নিয়ে কাজ করার আছে, কিন্তু সুন্দরের প্রতি মানুষের যে স্বাভাবিক আকর্ষন সেটার কী করবেন? কথা বললে প্রত্যেকটা স্টেরিওটাইপই কি সামনে আসে না?
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ব্যাপারটা কিছুটা ওই নদীর ওপারের দীর্ঘশ্বাস ফালানোর মতই মনে হয়।আমাদের মাথায় সৌন্দর্য এর একটা লেভেল বসিয়ে দেওয়া হয়েছে,তাই ব্যাপারটা এরকম।এছাড়া আরেকটা কারণ হয়ত আমাদের শ্যামলা প্রধান দেশে ফর্সাদের স্ট্যান্ড আউট হওয়া কিন্তু মূল কারণ আমাদের চিন্তা-ভাবনাই ওই রকম (মনে তো পড়ে না কোন প্রাচীন আফ্রিকান কাহিনীতে শ্বেতাঙ্গদের দেখে আফ্রিকান কালো মেয়েরা লাফিয়ে কোলে উঠেছে বলে শুনেছি), আরো সাদা-কালোর স্টেরিওটাইপিং তো চারিদিকে।আমরা সাদা রঙকে ভালোর সমার্থক আর কালোকে খারাপের সমার্থক জেনে বড় হয়েছি!সুতরাং আমাদের চয়েস যে নিরপেক্ষ হবে না তা তো বলাই বাহুল্য।
আচ্ছা আপু,একটা কথা একটু বুঝান তো।ইয়ে,রং ফর্সাকারী ওইসব বস্তু মেখে চেহারাটা না হয় কালো থেকে সাদা করা গেলো,এক হপ্তায় সবার হাত,পা (মানে বাদবাকি দৃশ্যমান কলেবর) সব সাদা হইয়া গেল ক্যামনে?!হোয়াইট ওয়াশ নাকি?!প্রশ্নটা খালা-ফুপুদের করলেই বিরক্ত হয়ে আমার দিকে তাকায় তাই আর জিজ্ঞেস করি না
আমি বলতে চেয়েছি আমাদের কনসেপ্টটা পরবির্তন করা উচিত এবং অতি জরুরী ।আর সাদা কালোর বিরক্তকির ধারনাটা আমাদের ভিতর ছোটথেকেই ঢুকিয়ে দেয়া হয় । কতো বাজে একটা ব্যাপারকে স্বাভাবিক ভাবে মেনে নিয়ে আমরা বড় হই ভেবেছেন কখনো ?
আর অল্পদিনেই ফর্সা কিভাবে যে সম্ভব তারাই জানে !!
মনে হয় স্পেশাল কোনো ভিমবার আছে ওদের কাছে ,নিমিষেই ঝকঝকে চকচকে !!!
আমি আমেরিকা তে এসে প্রথম অনুভব করলাম যে 'কালো জগতের আলো'...সাদা চামড়া দেখে এতই খারাপ লাগে যে কালো বা এশিয়ান মানুষদের দেখে দেখে চোখে আর মনে আরাম দিতে হয়...সাদা চামড়া, সাদা চুল,সাদা চোখ একি ভয়ানক....
নাওয়ারিদ নূর সাবা
সৌন্দর্যের অনেক দিক আছে, রঙটা একটা দিক(কারো কাছে ফর্সা ভাল লাগবে তো কারো কাছে শ্যামলা,এটাই স্বাভাবিক ) চোখ, হাসি , চিবুক, চুল, কথা, ব্যবহার, ব্যক্তিত্ব , মানসিকতা এ সব কিছুই সৌন্দর্যের এক একটা দিক। এ সব কিছু মিলিয়েই মানুষ সুন্দর হয়। তবে আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষই ব্যক্তিত্বের সৌন্দর্যের চেয়ে ফর্সার সৌন্দর্যকে বেশি গুরুত্ব দেয়। সবচেয়ে ভয়ানক ব্যপার হল যত দিন যাচ্ছে এ প্রবনতা বাড়ছে , কমছে না। আগে শুধু ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি ছিল এখন ফেয়ার অ্যান্ড হ্যান্ডসাম ও দরকার হচ্ছে । ইদানীং ছেলেরা উপটানও মাখছে। আর এসব মেখেই তারা চাকরি,বাড়ি, গাড়ি, নারী সব পেয়ে যাচ্ছে(বিজ্ঞাপনের মতে) , আর কয়েকদিন পর হয়ত দেখাবে, অমুক অঞ্চলের তমুক এম পি রঙ ফর্সাকারি ক্রিম মেখে ভোটে বিজয়ী হয়েছেন।
বিজ্ঞাপন গুলো দেখলে অন্তত এসব মনে হয়োটা স্বাভাবিক । রাতারাতি এতোকিছু হতে পারলে এমপি মন্ত্রী হতে সমস্যা কি ?
ধন্যবাদ ।
লতা হারবাল ব্যবহার করার জন্য সবাইরে বলা শুরু করেন। গায়ের রঙ তো গায়ের রঙ- এক্কেবারে ক্বলবের রঙও ধবধবা সাদা বানায়ে ছেড়ে দিবে।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
শুধু লতা হারবালের কথা কেন বলছেন বাকি এ্যারোমা ফ্যারোমার লোকজন এসে আপনার খবর করে ছাড়বে ।
ক্বলব পরিষ্কার করার গুণ কি আর এ্যারোমা ফ্যারোমাতে আছে! ক্বলব পরিষ্কার উপায়ই আছে দুইটা, জোরেশোরে মসজিদে বসে জিকির করা আর নাইলে লতা হারবাল বাইট্যা খাওয়া। মোহাকোবি বলেছেন, ক্বলব সাফ তো দুইন্যা সাফ।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
মসজিদে বসে জোরেশোরে জিকির করলেই কি আর ক্বলব পরিষ্কার হয় ? আর লতা হারবাল বাইট্টা ........
আপনি কি লতা হারবালের ব্যান্ড এম্ব্যাসেডর !ভয় পাইতেছি ভাই ।
♪♪ 'কৃষ্ণকলি আমি তারেই বলি'........
http://www.youtube.com/watch?v=AouWfpt9KAM
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
মাঝেমাঝে খুব ইচ্ছে করে রবীন্দ্রনাথকে এখনকার পরিস্থিতিটা দেখাতে ।
তাহলে উনি হয়তো ,"দেখেছিলাম কালোমেয়ের কালো হরিণ চোখ "
একথাটা বলার আগে একটা দীর্ঘশ্বাস গোপন করতেন ।
সবাই ফর্সা হয়ে গেলে কালাইডোস্কোপের কী হবে?
আমি ফর্সা হইতাম মোন চায়্য্য্য্য্য্য্য্য্য্য
ভালো মানুষ,
আপনারো ফর্সা হইবার মন চায় ?
এখন তো মনে হচ্ছে কিছুদিন পর আমারো লিখতে হইবে ফর্সা হবো আমি ...
একটু কালো হইতে মন চায় না ?
লেখাটি অনেক সুন্দর হয়েছে। একটা জিনিস আপনি ক্লিয়ার করলেন। আর তা হল কাল বা ফরসার মধ্যে সৌন্দর্যের কিছু নাই। এটা আসলে এমন একটা জিনিস যা শিশুকাল থেকেই মাথায় ঢুকিয়ে দেয়া হয় এবং ছোটোবেলা থেকেই সে শিখে যে কাল মানেই অসুন্দর। আর এই সাইকোলজিকে কাজে লাগিয়ে ব্যবসা করে নিচ্ছে রং ফরসাকারী ক্রিমগুলো।
কোথায় যেন পড়ছিলাম- অনেক শ্বেতাঙ্গের সাথে নিগ্রোদের সাথে হরহামেশা বিবাহ হচ্ছে। কিন্তু আমরা শ্যামলা বর্ণের মানুষ, যারা নিগ্রোও নই শ্বেতাঙ্গও নই, তারা কি নিগ্রোদের বিয়ে করার ইচ্ছা পোষণ করি? করিনা। এবং এটাই আমাদের সমস্যা। কারণ ফরসা হবার দুর্নিবার আগ্রহের যে মানসিকতা আমাদের গড়ে উঠেছে তা এত সহজে ভুলে জেতে পারিনা।
সমস্যাটা এখানেই ,একটা বাচ্চা যে কিনা কিছুই বুঝেনা তবে একটা জিনিস খুব ভালো বুঝে তার গায়ের রং ফর্সা মানেই সে সুন্দর ।
এটা তো তার দোষ না । কারণ তাকে আমরাই এমনটি শিক্ষা দিই ।দোষ আমাদের চিন্তাধারার ।
বেশিরভাগ মানুষের শুধুমাত্র দৈহিক বিবর্তন হয়েছে। মানসিক বিবর্তন হয় নি । এজন্যই এরা ফর্সা রঙ নিয়ে লাফালাফি করে।
একদম ঠিক বলেছেন রাসেল ।
ইউনিভার্সিটির প্রথম বর্ষের মার্কেটিং ক্লাসে স্যার একটা স্টুপিড পণ্যের নাম বলতে যা শুধুমাত্র ভারত, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানে বিক্রি হয়। আমরাওনেক নাম বলেছিলাম কিন্তু স্যার বলেন, না, হয়নি। শেষে স্যার নিজেই বললেন, “ফেয়ার এন্ড লাভলী” তারপর স্যার বললেন, চেষ্টা করে দেখতে এই রিজিওনের বাইরে এই পন্যটি কোথাও বিক্রি করা যায় কি না।
স্যারের সেই কথাটি এখন ও মনে আছে। এখন টিভি খুললে দেখি ফেয়ার এন্ড লাভলীর সাথে যোগ হয়েছে আর পন্য যাদের লক্ষ্য একই “রঙ ফর্সা করা”
কবে যে আমাদের দৃষ্টি পাল্টাবে?
লেখককে ধন্যবাদ।
সত্যিই কবে যে আমাদের দৃষ্টি পাল্টাবে ?
তবে আমরা চেষ্টা করলে কিন্তু তা সম্ভব ।
ধন্যবাদ আপনাকে ।
রঙ তোমার যাই হোক
মন তোমার ভালো
আলোতে আসিবার আগেই তাই
তোমাকে বেসেছি ভালো।
সবাই বুঝলো কেবল
তুমি বুঝলে না কৃষ্ণকলি
ভুল করে তাই ফিরে গেলে
পুরোনো অন্ধকারের কোলে।
বর্নবিবাদী লেখাটা পড়ে একটা পদ্য সষ্টি হয়ে গেল।
ফর্সা কালো একটি বিতর্কিত বিষয়। বিষয় নির্বাচনে আপনি সচেতন বোঝা যাচ্ছে।
নিজের মতাতমটা জানিয়ে যাই, ফর্সা মানুষ মানে সুন্দর মানুষ, এটা একটা ভ্রান্ত ধারমা! তা ফেয়ার এন্ড লাভলী যাই বলুক না কেন?
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
পদ্যের জন্য ধন্যবাদ নীড় সন্ধানী আপনাকে ।
এই ফর্সার ব্যাপারটা কিন্তু শুধু বাংলাদেশ-ভারতেই না, দুনিয়ার বেশিরভাগ দেশেই আছে। এমনকি আফ্রিকান-আমেরিকানরাও কালো থেকে একটু ফুটফুটে ভাব আনতে চায়। এশিয়ান দেশগুলোতেও একই অবস্থা!
ইদানিং, কিছু মানুষের উপর রাগে গা জ্বলে। আমার মেয়ে জন্মের পর থেকে সবার প্রশ্ন, মেয়ে কার মত গায়ের রং? কারও কারও দুঃখ মেয়ে দাদা-নানার মত ফর্সা না, মায়ের মত ফর্সা হয়নি; বরং বাপ-মা এর মাঝামাঝি একটা রং পেয়েছে! কেউ কেউ বলছে, মাশাল্লাহ, মেয়ে তো মায়ের কাছাকাছি রং পেয়েছে-খুব সুন্দর! আর কয়েকজন তো বলেই ফেলেন, ফর্সা হয়েছে ওতেই হবে, আর কিছু লাগবে না!
এই রং এর ব্যাপারটা কিন্তু ধর্মগ্রন্থেও আছে
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
এবার বুঝেন পরিস্থিতিটা .......
আমি কেনো আমার মায়ের মতো ফর্সা হইনি ,এটা নিয়ে আত্নীয় স্বজনদের আহাজারি শুনতে শুনতে আমার কান জ্বালাপালা ।
চামড়ায় মেলানিন কম থাকলে নাকি স্কিন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। আমার এক ডাক্তার বন্ধুর কথা। সে নিজে অবশ্য ধলা।
অজ্ঞাতবাস
কথা সত্য! মেলানিন হচ্ছে ত্বকের ইমিউন সিস্টেম এর মতন। এই জন্য রোদে পুড়লে আসলে আমাদের শরীর মেলানিন প্রোডিউস করে অতিবেগুনী রশ্মি থেকে আমাদের বাচানোর জন্য। সাদা চামড়ার লোকদের ট্যানিং করানোর কারনও এইটা। যারা বেশি ধলা, মানে কোন মেলানিন নাই, তাদের আতকা রোদ বেশি লাগলে চামড়া পুড়ে আলগা হয়ে উঠে আসে, এইটা থেকে বাচতে তারা কন্ট্রোলড ভাবে রোদে পুড়ে নেয় আগে থেকে, যাতে ত্বকে মেলানিন প্রোডিউস হয়, পরে সমুদ্র সৈকত জলকেলি করার সময় যাতে চামড়া ঐরকম বাজে ভাবে না পুড়ে।
জনৈক ভুক্তভোগী সাদা চামড়ার কাছ থেকে লব্ধ জ্ঞান।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
আমি যতটুকু জানি এবং আমাদের স্কিনের স্যারেরা যা বলেন তার মূলকথা ,ত্বকের এপিডার্মিসে থাকে মেলানোসাইট যা মেলানিন পিগমেন্ট তৈরির জন্য দায়ী । আর মেলানিন পিগমেন্ট সূর্যের ক্ষতিকারক আলট্রাভায়োলেট রশ্মি থেক ত্বককে রক্ষা করে ।মেলানিন পিগমেন্ট কম থাকলে স্কিন ক্যান্সারের ঝুকি বেশি থাকে । আর কালোদের চেয়ে ফর্সাদের হার এক্ষেত্রে বেশি ।
ডাক্তর আপায় কইচে। উনিই ভালো জানেন।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
কুনো লাভ নাই। সাদা হবার প্রতি দুর্নীবার আকর্ষণ থাকবেই।
শাকিব খান হইতে মঞ্চায়ঃ(
ভালো তো ........
মেয়ে নিজে যেদিন নিজেকে "মানুষের" মর্যাদা দিয়ে আত্মবিশ্বাসী হবে,
মেয়ের জীবনের লক্ষ্য যেদিন "বিয়ে" না হয়ে "নিজেকে প্রতিষ্ঠিত" করা হবে,
ঠিক সেদিন থেকে ঐসব ডিসিভিং, ফেইক, অর্থহীন প্রোডাক্ট বাজারময় আর দাপিয়ে বেড়াবার স্পর্ধা পাবে না।
লেখা চমৎকার লেগেছে, রিমা।
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
আবার এক্টা নারীবাদী মন্তব্য এবং পুরুষ বিরোধী মন্তব্য। তীব্র ধেক্কার এবং পেতিবাদ
ডাকঘর | ছবিঘর
হুলো বেড়াল কোথাকার!
বটম লাইন হলো, মেয়ে নিজেই নিজেকে "সামগ্রী" বানিয়ে রেখেছে পুরুষের চোখে। যে মেয়ে গাটসী, বলসী সে মেয়ের নিজের গায়ের রঙ নিয়ে কনসার্নড হবার কথা নয়। ঘ্যানর ঘ্যানর করবার কথা নয়।
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
খাইছে চেইতা গেলা কেনু ? কেনু ? কেনু ? মাথা ঠান্ডা করতে কিছু চকলেট খাও, উইথ আইস ফ্লেবার।
নারীবাদীরা নিপাত যাক, নিপাত যাক মুহাহাহা হা হা
ডাকঘর | ছবিঘর
বান্দর !
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
"আজ ইয়ে শুনকর মেরি মা কিতনি খুশ হোতি" - গতকালই মাত্র ডন - ০২ দেখলাম
বাই দ্য ওয়ে আমার মনে হয় তোমার বেয়াদপ স্কুলে থুক্কু আদব কায়দার ইসসস-কুলে ভর্তি হতে হবে। আশেপাশে একটা ব্রাঞ্চ খোলা যায়না ম্যাডামজী ?
ডাকঘর | ছবিঘর
এসব কি শুরু হইল তাপস দা ।
আমার নিরপেক্ষ লেখাগুলো শেষ পর্যন্ত নারীবাদীর পর্যায়ে পড়ে যাচ্ছে । কেনু ,কেনু,কেনু ???
এহ ! আপনারে কই নাই তো। উপ্রে দেখেন কারে কইতেছি। এক আদপ কায়দা শেখানো বিড়ালের মাসিরে কইতেছি
ডাকঘর | ছবিঘর
লেজে আগুন লাগিয়ে দেব, হুলো কোথাকার !
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
ল্যাজে আগুন লাগাইলে তোমারই ক্ষতি। লঙ্কা পুইড়া ছারখার হইয়া যাইব হুঁহুঁ
রাবণের কথা খুউপ খিয়াল কইরা
" অর ডন কী দুশমনো কী এহি গলতি হে কি বো ডনকা দুশমন হে "
ডাকঘর | ছবিঘর
"লঙ্কা পুইড়া ছারখার হইয়া যাইব"
বি-রা-ট হুমকি! দুশমনে জানে না, আমি কত্তগুলান লঙ্কার মালকীন। কয়টা পোড়াইবা?
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
ফ্যাসিবাদী, নারিবাদী বিড়াল মাসি।
আমি একটু ঝেড়ে কাশি।
দাউ দাউ একটু হাসি।
দুশমনি হবেনা বাসি।
দুশমনের ক্ষতি কইরা যখন তোমার লাভ হইব তখন মনে করবা' " ইটস টাইম টু মুভ অন। "
হে হে জাস্ট অয়াচ। আগে আগে দেখো কি হয়। মুহাহাহা হাহাহা।
ডাকঘর | ছবিঘর
ভগবান! তুলে নাও ! আমাকে না, এই হুলোকে !
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
হায় হায় বিড়াল মাসি দেখি আমাকে এক্কেবারে উঠাইয়া দেওয়ার প্লেনে আছে। বাট ইউ ফরগেট হা হা - "ডন কো পাকারনা মুশকিল হি নেহি না মুমকিন ভি হে"
আর না। সেই সম্ভাবনা নাই। ঈশ্বর আমাকে ভালোবাসেনা। হেই বেডার লগে আমার খাতির নাই। সো আমার পাশেও ঘেসেনা উনি। তাই তুলে নেবার মুরাদ ঐ বেডার নাই।
বাই দ্য ওয়ে তুলে নিতে আইলেও উনি দুইএকটা থাপ্পড় খাইতে পারেন।
সো অন্য উপায় ভাবো মাসি।
ডাকঘর | ছবিঘর
ভালইতো চলছিল ,বিরতি দিলেন কেন ?
ধন্যবাদ উচ্ছলা ,
সমস্যার কথা হলো বেশিরভাগ মেয়েরাই এই ব্যাপরটা নিয়ে বেশি প্যানপ্যান করে ।
ক্যারিয়ারের চিন্তাটা একটু পরে করে । তবে ব্যতিক্রম আছে । তাদেরেক স্যালুট ।
....স্মিতা পাতিল, ফ্রিডা পিন্টো, দিপান্নিতা শরমা, পদমালাকশমি, হালা বেরি, থ্য়ান্ডি নিউটন, গাব্রিয়েল ইউনিয়ন ....
রজনীকান্ত, রজনীকান্ত, রজনীকান্ত, রজনীকান্ত, রজনীকান্ত .... .... .... .... রজনীকান্ত
ক্যান, মি. এন্ড মিসেস. বারাক ওবামা গণায় আসবে না?
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আপনি রজনীকান্তের সাথে ওবামার তুলনা করলেন?? কই আগা খান আর কই খিলি পান ! রজনীকান্তের চেয়ে বড় আর কি আছে? লেগে থাকলে আমাদের অনন্ত ওরফে জলিল ভাই টেক্কা দিতে পারবে অবশ্য।
জলিল রকস!
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
রজনীকান্ত গতবছর চার বিঘা জমি কিনল। জমিটাকে ঠিকঠাক বর্গক্ষেত্রের মতো রূপ দেওয়া হল। তারপর সেই জমির চার কোনায় চারটা গর্ত বড় করা হল।
বলেন তো কেন ???
হে হে রজনী আন্না কেরামবোর্ড খেলবেন বলে। হুঁহুঁ ।
ডাকঘর | ছবিঘর
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
এই বেকুব বাঙ্গালীর বেকুবী ধ্যান ধারনা জীবনেও ভাঙবে বলে আমি বিশ্বাস করিনা।
ভাঙাতো উচিত । আমরা চেষ্টা করতে পারি ।
ধন্যবাদ ।
ব্ল্যাক ডায়মন্ডের লেখা
এতো সুন্দর একটা উপাধি দেয়ার জন্য শাব্দিককে অসংখ্য ধন্যবাদ ।
আরো পাঠাবো নাকি ধইন্যা ...?
কালোইতো ভালো, আবার কি? রঙ গুলে পানি খায় যারা তাদের জন্য ধিক্কার।
সহমত ।
ধন্যবাদ তানিম ।
নতুন মন্তব্য করুন