আমার জন্ম হয়েছে এক হিন্দু পরিবারে অথবা বৌদ্ধ অথবা খ্রিষ্টান অথবা কোনও এক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ে । এটা কি আমার কোনও অপরাধ ? হয়তোবা আমি কখনো মসজিদের পথ মাড়াইনি , গির্জার ঘণ্টা ধ্বনি আমাকে কখনো বিচলিত করেনি ,মন্দিরে কোনও প্রতিমার সামনে হাত জুড় করে দাড়াইনি কোন দিন । তাই বলে কি আমি এই ধর্মীয় উপাসনালয়গুলকে সম্মানের চোখে দেখব না । হয়তোবা আমি কোনও ধর্মেই বিশ্বাসী নই । অথবা ধর্মভীরু । তাতে কী ? ধর্মটাতো আমি নিজে বেছে নেইনি । এখানে তো আমার কোনও হাত নেই । তুমি মুসলমানের ঘরে জন্ম নিয়েছ আর আমি হিন্দুর ঘরে । তাই বলেই কি তুমি আমাকে মালাউন বলে গালি দেবে !
আমার চোখে মসজিদ যা ,মন্দিরও তা,গির্জাও তা ,প্যাগোডাও তা । প্রতিটি উপাসনালয়ই এক । ধর্ম শান্তির জন্য । কোনও ধর্ম তো বলে না তোমরা মারামারি করো ,কাটাকাটি করো , খুন করো । তাহলে ধর্ম নিয়ে এত বাড়াবাড়ি কেন ? এ দেশটা সবার । তবে এখন আমাদের দেশের পরিস্থিতি আর পারিপার্শ্বিক অবস্থা দেখলে ভয়ঙ্কর একটা অনুভূতি হয় । এটা যে একটা স্বাধীন ,সার্বভৌম দেশ ভাবতেই কষ্ট হয় ।
সেদিন পত্রিকায় দেখলাম চট্টগ্রামের বাঁশখালি,সাতকানিয়া, খুলনার কয়রা । কী বীভৎস কর্মকাণ্ড আমাদের । আবার আমরা বলি সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্মের অনুসারী ! ধর্মকে নিজেদের অপকর্মের ঢাল হিসেবে ব্যাবহার করি । লজ্জা করে না আমাদের । এক জন বয়স্ক মানুষ , বিনা অপরাধে যাকে আমরা পিটিয়ে মেরে ফেলি । এক অতি সাদামাটা জীবনের গৃহবধূ যাকে ধর্ষণের ভয় দেখিয়ে হাতের শাঁখা ভেঙে ফেলতে বলি । বাড়িঘরে আগুন লাগিয়ে পৈশাচিক উল্লাসে মেতে উঠি । দোকানপাট গুঁড়িয়ে দেই । মন্দিরের প্রতিমা ভেঙে ফেলি । এর সাথে ১৯৭১ সালের রাজাকার আর পাকিস্তানি হায়েনাদের ফারাক কতটুকও ? শুধু সময়টা ভিন্ন অপকর্মগুলো তো একই । এই দেশটা তো কারো বেক্তিগত কিংবা বাপ দাদার সম্পত্তি না । তবে কেন এই অরাজক অবস্থা ?
সংখ্যালঘু এই শব্দটা কেন আমাদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করে ? সংখ্যালঘু আর সংখ্যা গরিষ্ঠ বলতে কিছু নেই । আমরা সবাই বাঙালি । এই দেশটা আমাদের সবার । এখানে আমরা মসজিদ থেকে ভেসে আসা আজানের মধুর ধ্বনি যেমন শুনবো ঠিক তেমনি ভাবে শুনবো গির্জার ঘণ্টা ধ্বনি আর শাঁখের আওয়াজ ।
মাহাত্মা গান্ধীর অহিংস নীতির কথা আমরা সবাই জানি । কিন্তু শাহবাগ আন্দোলন ...প্রজন্ম চত্বর যা অহিংস নীতির একটা সফল প্রতিফলন । আর তার বিপরীতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলা ,এ কেমন নীতি ? এরা কি বুঝে না এটা একটা গুরতর অপরাধ , অন্যায় । তার পরও এই দেশটাকে নরকে পরিণত না করে এদের শান্তি নেই । যুদ্ধাপরাধীদের জন্য তাদের ভালোবাসা একেবারে উথলে উঠসে । আর সেই প্রেমের কি বহিপ্রকাশ ! অথচ অতি সাধারণ, নিরীহ , শান্তিপ্রিয় মানুষদের উপর বর্বরোচিত হামলাকে তারা জিহাদের সমতুল্য মনে করছে ।
যে দেশের মানুষ তাদের আপন জন হতে পারে না ,সেই দেশটা কিভাবে তাদের আপন হয় ? আর দেশটা যদি আপন নাই হয় তাহলে তারা এই দেশের মাটিতে বসবাস করে কোন অধিকারে ?
মন্তব্য
আমরা তুমরা এই সব না বলে বলেন জামাত শিবির।এই সব অপকরম সব জামাত শিবির দের ।সারাসরি এইতা বল্লেই পারতেন । নাকি ?
সরাসরি না বল্লেও আমি জামাত শিবির দের কেই বুঝিয়েচি।
aro juralo vabe bola uchit silo . naki voye bolen ni ? ar jodi voy e paben to keno lekhte gesen khamukha?
আমার কথাগুল আমি বলেসি এইবার আপনার কথা আপনি বলুন খুব গুসিয়ে । ok ?
সরাসরি জামাত শিবির বলতে ভয় পেলে লেখার কি দরকার ? মুখ বন্ধ করে থাকুন ।
এখানে ভয় পাবার কিসু নেই । ভয় পেলে ত আমি লেপ মুরি দিয়ে বসেই থাকতাম ,লিখতে বসতাম না ,বুঝলেন ?
আর এখন ঝগরা করার সময় না ,ভাই ।
অনেক দিন পরে সচল এ লিখলেন । welcome back .
thank u .
jai houk topic ta nia lekhar jonno thnx. amader ei kharap obosthay o ektu valo laglo .
আমাদের আর তমাদের বলে কি কিসু আসে? আমরা সবাই এক।
amra sobai ek ,sobai bangali .etai sobceye boro poricoy .
most sensetive issue .Nothing to say .
asolei kisu bolar nai.
আসলেই তাই । মন খারাপ করা বিসয়।
এদেশে সং্খ্যালঘু শব্দটি দিয়ে সত্যিকার অর্থে জাতিগত বা ধর্মিয় বিভেদকে চাঙ্গা করা হয়। "বাঙালী " নামক মহান এক আত্নপোলব্ধিকে "সং্খ্যালঘু " শব্দটি দিয়ে দ্বিখন্ডিত করা হয়, ছোট করা হয় । আমি মনে করি বাংলাদেশে কেউ সং্খ্যালঘু না কেউ সং্খ্যাগুরু ও না, আমরা সবাই বাঙালী।
আমি আপনার সাথে একমত।কিন্তু মাঝে মাঝেই এতা কে এক্তা ইসু হিসেবে দার করান হয়।
ধন্নবাদ।
আমরা সংখ্যালঘু শব্দটি মুছে দিতে চাই বাংলার এই মাটি থেকে।
আমাদের পরিচয় একটাই আমরা বাঙ্গালী।
বাংলাদেশী।
পোস্টের জন্য ধন্যবাদ, শুভকামনা রইল।
তুহিন সরকার।
আমরা সবাই বাঙ্গালী এই পরিচয় তা সবথেকে বর হউক।
একই দেশের অধিবাসী হয়েও কেন হিন্দুরা শুধুমাত্র ধর্মের কারণে বারবার নির্যাতিত হবে? এটা কিছুতেই মানা যায় না।
আচার্য
কারন আমাদের নিজেদের মাঝে একতা কম,্তাই।
আসলে কথাগুল একান্তই আমার বেক্তিগত অভিবেক্তি।অনেকই ভিন্ন মত পুশন করতে পারে।
কারন আমাদের নিজেদের মাঝে একতা কম,্তাই।
আমরা সবাই এক । হিন্দু মুস্লিম বলে আলাদা কিসু নেই। ধন্নবাদ এই বিসয় তা নিয়া লেখার জন্ন।
আপনার সাথে এক মত আমি ।
সেটাই।
সবচেয়ে ভয়াবহ হল অরা আচে আর থাকবেও।
sohomot
এখানে "তুমি" সংখ্যালঘু, সেখানে "তুমি" জমজমাট ---
কিন্তু যাকে ঘিরে এই "তুমি"র জন্ম, তিনিই তো এখনও অধরা, অমীমাংস ধাঁধা !
তবুও কেউ বলতেই পারেন -"তুমি যা জিনিস গুরু আমি জানি, আর কেউ জানে না !" (শিলাজিত)
আমি মানবাংকের এই লঘুত্বে গুরুত্বে বিরামহীন ঘৃণা পোশ্ন করি।
বিজন কথক
সংখ্যালঘু আর সংখ্যা গরিষ্ঠ বলতে কিছু নেই ,আমরা সবাই বাঙালি । এই দেশটা আমাদের সবার /
মিস শামীমা, জাতিগত দিক বিবেচনায় এদেশের বেশিরভাগ মানুশ বাঙালি; কিন্তু এখানে বাঙালি ছাড়া আরো ৫০ টির বেশি জাতি রয়েছে, যাদের আমরা আদিবাসি/ উপজাতি ইত্যাদি বলি। মানুশ হিসেবে তাদের জাতিগত পরিচয় মেনে নিলে "আমরা সবাই বাঙালি" এটা বলা সঙ্গত হয় না।
আমরা সবাই "বংলাদেশী" - এই বক্তব্যে কোনো সঙ্ঘাত থাকেনা।
ধন্যবাদ আপনাকে ।
বিজন কথক
"মানুশ" কী?
অজ্ঞাতবাস
ভাইয়া কি বানান ভুল এর কথা বলছেন ?
sohomot
সংখ্যালঘু শব্দটিতে আমার তীব্র আপত্তি আছে। সংখ্যায় কোনদিন কোন মানুষের অবদান পরিমাপ করা যায়না। একটি নির্দিষ্ট ধর্মীয় আচারে বিশ্বাসী মানুষ’কে এইভাবে ‘লঘু’ মানদণ্ডে দেখা হলে জাতীয় সমৃদ্ধি’তে কিংবা উন্নয়নে তাদের যে সামগ্রিক অবদান তাকে পুরোপুরি খাটো করা হয়।
পোস্টের পর মন্তব্যের ঘরে ইংরেজি সচলায়তনে একদম মানায় না। মনে হলো তাড়াহুড়ো করেছেন লিখতে যেয়ে।
ধন¨বাদ ,ভাইয়া ।
অভ্র কাজ করছিলো না তাই ।
খুব ভালো লাগলো।
পোস্টের শিরোনামে সঙ্খালঘু বানানটা খুব চোখে লাগছে। এডিটের সুযোগ নিতে প্রয়োজনে মডারেটরদের কাছে মেইল করতে পারেন।
মন্তব্যের উত্তরে এত টাইপো এবং ভাষার জগাখিচুড়ি দৃষ্টিকটু। লেখক এ ব্যাপারে অবশ্যই আরো সচেতন হবেন আশা রাখছি।
সহমত।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
পোস্ট মডারেটরদের দিয়েই দেয়া ।
আমার বাংলা লিখতে সমস¨া হচ্ছিল তাই ।
এ দেশের আসল সংখ্যালঘু হলো ঐ জামাত শিবির। মালাউন ঐ শালাগুলোই। এই উপাধিগুলোর প্রয়োগ একমাত্র জামাতিদের জন্যই উপযুক্ত অর্থবহন করে।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
এ দেশের আসল সংখ্যালঘু হলো ঐ জামাত শিবির। মালাউন ঐ শালাগুলোই।
সহমত ।
এরা (জামাত/শিবির) মস্তিষ্কহীন, অন্ধ, শ্রবণশক্তিহীন।
এদের চালিত করছে এক শ্রেণীর কপট ধর্ম ব্যবসায়ী, যাদের রুটি- রুজি এই ব্যবসার লভ্যাংশ।
এদের সাথে প্রকৃত ধর্মের কোন সম্পর্ক নাই। এদের ধর্মজ্ঞান সীমিত, ধর্মপালন অপর্যাপ্ত।
অথচ এরাই এখন ধর্মরক্ষক। ধার্মিক সমাজ এদের মেনে নিয়েছে তাদের মৌনতার মাধ্যমে।
এরা যেমন দেশের জন্য ক্ষতিকর তেমনি ভাবে ধর্মের জন্যও ক্ষতিকর। এই উপলব্ধি যতদিন ধর্মপালনকারীদের মনে জাগ্রত না হবে ততদিন রমরমা ধর্ম ব্যবসা চলবেই।
যারা নীরব আছে তারাও দেশের/ধর্মের একপ্রকার ক্ষতিই করছে। এরাও একপ্রকার মস্তিষ্কহীন, অন্ধ, শ্রবণশক্তিহীন।
পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।
নতুন মন্তব্য করুন