মাত্র কিছুদিন আগেই বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি'র উপর সাড়ে সাত শতাংশ হারে ভ্যাট নির্ধারনকে কেন্দ্র করে দেশে বেশ উত্তাল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। ছাত্রদের আন্দোলন ও দাবীর মুখে সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের বার্ষিক বাজেট প্রতিবছরই হু হু করে বাড়ছে। বাড়তি টাকার ব্যবস্থা করতে তাই সরকারকে নানান পদক্ষেপ নিতে হয় যার মাঝে ভ্যাট নির্ধারন অন্যতম। তবে নিত্য নতুন অদ্ভুত খাতে ভ্যাট আরোপ করার আগে যেগুলো আগে থেকেই প্রচলিত সেখানে নজরদারি বোধহয় আরেকটু বাড়ানো দরকার। সেই প্রসঙ্গেই দুটি ঘটনা তুলে ধরতে যাচ্ছি।
ঘটনা - ১ঃ
সময়ঃ ২২শে সেপ্টেম্বর
ইয়েলো সাবমেরিন ক্যাফের বনানী শাখায় গিয়েছিলাম এর বহুবিধ সুনাম শুনে এবং চিত্ত-চাঞ্চল্য সৃষ্টিকারী ওয়াফলের ছবি দেখে। খাবারের মান, স্বাদ, পরিবেশ, ওয়েটারদের ব্যবহার সবই চমৎকার। কিন্তু গোল বাধলো দাম পরিশোধ করতে যেয়ে। তারা একটি কম্পিউটারাইজড বিলের কপি এনে আমাকে দিলেন যেখানে ১৫% হারে ৬৬.৫৩ টাকা ভ্যাট ধার্য করা হয়েছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন নাম্বারের যায়গায় লেখা - SDFGHJKLSADASDASD ASDASD। কম্পিউটারের কি-বোর্ড সম্পর্কে কিছুটা ধারনা থাকায় বুঝতে পারলাম যে "ইহা প্রকৃত রেজিস্ট্রেশন নাম্বার নহে"। ওয়েটারকে ডেকে ভ্যাট চালানের একটি কপি চাইলাম।
এখানে উল্লেখ্য, এই চালানের ব্যাপারটা আগে জানলেও এই কিছুদিন আগে পর্যন্ত এ নিয়ে কোথাও তেমন উচ্চবাচ্চ করিনি। সেটা কিছুটা সংকোচ আর চক্ষুলজ্জার কারণে। সেই সংকোচ কাটিয়ে উঠে আজকে দ্বিতীয় বারের মত কোন দোকানে চালানের কপি চেয়েছি। ওয়েটারের অমায়িক ব্যবহারে কিছুটা ছন্দপতন ঘটলেও আশেপাশে অনেক কাস্টমার থাকায় তিনি বললেন যে এ ব্যাপারে জেনে এসে আমাকে জানাবেন। মিনিট পাঁচেক পর সম্ভবত ম্যানেজার নিজেই চলে এলেন। তিনি জানালেন তারা ভ্যাট রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন করেছেন কিন্তু এখনো নাম্বার পাননি। ইয়েলো সাবমেরিনের ফেসবুক পেজটি ঘেটে দেখলাম তারা গত মার্চ-এপ্রিল থেকে ব্যবসা করছেন। রেজিস্ট্রেশন নাম্বার পেতে কেমন সময় লাগে তা নিয়ে ধারনা নেই। তাই জিজ্ঞেস করলাম এই ভ্যাট বাবদ নেয়া টাকাটা তাহলে কোথায় যাবে? তার বক্তব্য এখানে কিছুটা অস্পষ্ট, সম্ভবত বোঝাতে চেয়েছেন তারা কয়দিন পর পর এনবিআর এ যেয়ে ভ্যাটের টাকা দিয়ে আসেন। রেজিস্ট্রেশন নাম্বার না থাকলে কিসের ভিত্তিতে কোথায় টাকা দেন সেটা একটা রহস্য। তবে তিনি বললেন যে চাইলে তিনি এই অ্যামাউন্টটা ডিস্কাউন্ট করে দেবেন আমার জন্য।
ভ্যাট সংক্রান্ত অভিযোগের জন্য একটি নাম্বার আছে যেটা বিভিন্ন শপিং মলে আজকাল বিজ্ঞাপন আকারে দেখা যাচ্ছে। সেই ০২-৯১৩২৫৬৪ নাম্বারে ফোন করলাম। দীর্ঘ সময় ধরে রিং হলেও কেউ ধরেনি। হয়ত ঈদের ছুটিতে চলে গেছেন তারা। এরমধ্যেই ম্যানেজার সাহেব বিলের কপিটি নিয়ে গেলেন ডিস্কাউন্ট করে আনবেন বলে। ফোনে কাউকে না পেয়ে এ ব্যাপারে আর কি করার আছে বুঝতে পারছিলাম না। তাই ভ্যাটের সমপরিমান টাকা ডিস্কাউন্ট দেয়ার পর সেটাই পরিশোধ করে চলে আসি।
তবে চলে আসার আগে আশেপাশে যারা ছিলেন তাদেরকে বলে এসেছি, ভ্যাটের চালান পত্র ছাড়া কিছুতেই ভ্যাট দেবেন না। অভ্যাসটা এমন দাঁড়িয়েছে ব্যবসায়ীরা এটাকে তার একটা অধিকার বলে মনে করছে। অন্যদিকে চালানপত্র চাওয়ার ক্ষেত্রে সংকোচ করাটাও অমূলক। ভ্যাট আপনি দিচ্ছেন সরকারকে, এরসাথে ঐ দোকানের কোনই সম্পর্ক নেই। সূতরাং চালানপত্র না দিলে বরং ঐ ব্যবসায়ীর সংকুচিত থাকার কথা। গচ্ছিত টাকার উপর ১৫% সুদ দুনিয়ার কোনও ব্যাংকও দেয় না। সেখানে শুধু নিজের চক্ষুলজ্জার খাতিরে সরকারের ১৫% ভ্যাট আপনি দোকানদারের পকেটে দিয়ে আসলে সেটাই হবে লজ্জা।
ঘটনা - ২ঃ
সময়ঃ ২৩শে সেপ্টেম্বর
দ্বিতীয় ঘটনাটিকে বলতে পারেন প্রথম ঘটনার প্রতিক্রিয়া। প্রথম ঘটনাটি ফেসবুকে শেয়ার করেছিলাম। খাবার ব্যবসায়ীদের ভ্যাট সংক্রান্ত জোচ্চুরির শিকার অনেক মানুষ বলেই হয়ত অনেকবার লেখাটি শেয়ার হয়েছিল এবং অনেকের চোখে পড়ে। নিশ্চিত ভাবেই ইয়েলো সাবমেরিন কর্তৃপক্ষেরও ব্যাপারটা নজরে এসেছে। নজরে যে এসেছে তা নিশ্চিত হলাম ইনবক্সে একজন আজকের একটি বিলের কপি শেয়ার করার পর। সেই ছবিটা একটু মনোযোগ দিয়ে দেখতে হবে।
এখানে কয়েকটা ব্যাপার খেয়াল করা দরকার। প্রথমত তারা ভ্যাটের পরিমান ১৫% থেকে ০% করে ফেলেছে। আপনার মনে হতে পারে ভাল তো। রেজিস্ট্রেশন নাম্বার পাওয়ার আগ পর্যন্ত চোর তাহলে আর চুরি করছে না। কিন্তু ব্যাপারটা মোটেই তা নয়। তাদের মেনুতে যে দাম লেখা থাকে সেটা "All Inclusive"। মানে ভ্যাট এর মধ্যে আগেই ধরে রাখা হয়েছে। এরপর বিল দেয়ার সময় একটা ব্রেকডাউন দেখায় যে, মূল দাম এত এবং ভ্যাট সহ দাম এত (যেটা মেনুতে উল্লেখ করা দামের সমান)। প্রথম ঘটনার ছবিটি দেখলে এই ব্যাপারটা পরিস্কার হবে। পিজ্জা হাট বা কেএফসিও এভাবেই বিল করে। ইয়েলো সাবমেরিন এখন ভ্যাটের যায়গায় ০ লিখলেও তারা দাম কিন্তু কমায়নি। মেনুতে যা উল্লেখ করা ছিল তাই আছে যা "অল ইনক্লুসিভ"। গতকালকের ছবির সাথে আজকেরটা মিলিয়ে দেখুন, পরিস্কার ধরতে পারবেন। শুধু চুরির প্রক্রিয়াটি পাল্টেছে এবং এখন তার কাছে চালানপত্র চাওয়ার সুযোগটিও কমে যাচ্ছে।
এবার দ্বিতীয় অংশে আসা যাক। ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন নাম্বারের যায়গাটি খেয়াল করুন। ছিচকে চোর যখন বমাল ধরা পরে, তার প্রথম প্রতিক্রিয়াটা হয় ক্ষমা প্রার্থনার। কিন্তু ইয়েলো সাবমেরিন তো আসলে ছিচকে চোর নয়। সে রীতিমত অভিজাত তস্কর। ফাঁকফোকর দিয়ে চুরি করার জ্ঞান যার সাধারন মানুষের থেকে অনেক বেশি। অভিজাত তস্কর যখন বমাল ধরা পরে তখন তার প্রতিক্রিয়াটি হয় ঠিক এরকম। উদ্ধত এবং আস্ফালনে ভরপুর। বিন্দুমাত্র সতর্ক না হয়ে বরং সে এভাবেই "ফাক ইউ" বলে তাচ্ছিল্য ছুড়ে দেয় আমাদের দিকে। এই তস্করটিকে তার প্রাপ্য বুঝিয়ে দেয়া দরকার। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের একটি ফেসবুক পেজ আছে। আমি তাদের নিকট ব্যাপারটি তুলে ধরব যতটুকু সম্ভব। আপনার অবস্থান থেকে আপনিও চোর পাকড়াও করতে এগিয়ে আসুন। একটি অসমর্থিত সূত্রে জানতে পারলাম খাবার-দাবার, জিনিসপত্র কেনাকাটা বাবদ গড়ে দৈনিক প্রায় দেড়শ কোটি টাকা রাষ্ট্রের কোষাগারে জমা হবার কথা। কিন্তু এর সিংহভাগই লুটেপুটে খাচ্ছে এই সব অভিজাত তস্কররা। চোরের বড় গলায় ভড়কে না যেয়ে চলুন আমরাও গলা উচু করি।
সংযোজন: পুরো ব্যাপারটা শুল্ক কর্তৃপক্ষের নজরে আসার পর তাদের পদক্ষেপের প্রেক্ষিতে ইয়েলো সাবমেরিনের মালিকের বক্তব্য:
সংযোজন ২: ব্যাপারটা নিয়ে শুল্ক কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ:
মন্তব্য
দ্বিতীয় বিলে ইয়েলো সাবমেরিনের ইতরামি দেখে খুব একটা অবাক হইনাই। ভ্যাটের ঘরে "ফাক ইউ" লিখলেও, আসলে দে ডোন্ট গিভ আ ফাক। তারা জানে যে তাদের কিছুই হবে না। এমন ঘটনার প্রতিক্রিয়াতে ওদের ব্যবসাই বন্ধ হয়ে যাওয়া উচিত, কিন্তু এদেশে মনে হয় না তেমন কিছু হবে।
রাজস্ববোর্ডে জানান, দেখেন কী হয়। অভিজ্ঞতা বলে যে আন্ডার দ্য টেবিল সেটলেমেন্টে সব মিটমাট হয়ে যাবে। তবু সুনাগরিক হিসাবে প্রতিবাদ করা কর্তব্য, এইটা অন্তত জারি থাকুক। কোনো একদিন হয়তো বদলাবে।
অলমিতি বিস্তারেণ
মনে হচ্ছে কিছু অ্যাকশন ইতিমধ্যে নেয়া হয়েছে এবং এই "ফাক ইউ" তারই প্রতিক্রিয়া। কাস্টমস এর এক কর্মকর্তা ফেসবুক [url=https://www.facebook.com/photo.php?fbid=10156067725095453&set=a.10151840...{%22tn%22%3A%22R0%22}]পোস্টের কমেন্টে[/url] সেরকমই জানিয়েছেন।
প্রতিবাদ জারি থাকুক।
ফেসবুক পেইজে গতকাল জানালাম। দুইটা কমেন্ট চালাচালির পর হঠাৎ দেখি পোস্ট মুছে দিচ্ছে।
বেকুব। এই যুগে এরকম কাজের জন্য শুধু মাশুলই গুনতে হবে।
অলমিতি বিস্তারেণ
এইটা দেখেন - https://www.facebook.com/permalink.php?story_fbid=540259419465179&id=442811629209959
কাস্টমসের পেজে ঘটনা শেয়ার হওয়ার পর ইয়েলো সাবমেরিন কর্তৃপক্ষ লাইনে আসতে চাচ্ছে।
হুমম... ভালো কথা। খালি "নিউজভ্যাল্যু" নাই।
পুনশ্চঃ ক'দিন আগে ভ্যাটসংক্রান্ত কিঞ্চিৎ ভিন্ন একটি ক্ষেত্রে গলা উচু করেও শেষমেশ স্থায়ী লাভ হয়েছে কেবল মালিকপক্ষের। এক্ষেত্রেও লাভের গুড় পিঁপড়েয় খাবার আগেই একটু আইনী এবং প্রচারিক আঁটঘাঁট বেঁধে নামা প্রয়োজন।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
ভোক্তা অধিকার আইনের ব্যাপারে একটু খোঁজ-খবর করা দরকার। তবে আশার কথা হচ্ছে, প্রচুর মানুষ ভ্যাটের চালানপত্রের ব্যাপারে সচেতন হচ্ছেন।
ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন নাম্বারের ঘরে তারা যে শব্দটি লিখেছে তাও কিন্তু ভ্যাটকে অসম্মান করার সামিল। রাজস্ব বোর্ডকে অসম্মান করার সামিল। সর্বোপরি রাষ্ট্রকে অসম্মান করার সামিল। তাই বিলের এই ধরনের কয়েকটা কপি নিয়ে সরাসরি কেউ আইনের দ্বারস্থ হলে কিংবা রাজস্ব বোর্ডে সরাসরি যোগাযোগ করলে এই ইতরদের লাইসেন্স বাতিল হয়ে যাওয়ার কথা। ট্রাই করে দেখতে পারেন। আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে এটাই বলে।
রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষন করা হয়েছে। তাদের কয়েকজন জানিয়েছেন যে খুব দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে। দেখা যাক।
VAT যদি ইসলাম সম্মত বিষয় হত তাহলে ধর্ম অবমাননার মামলা করা যেত।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
বাবারে বাবা, কত ক্ষমতা। যদিও এদের গোপন কেশ ছেড়ার মতো কেউ নাই। তারা আটা বান্তেই থাকবে আর সরকার আম পাব্লিকের মাথা ভাংবে।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
এখানে দেখলাম ওদের রিভিউ দেওয়া যায়।
ওদের পেইজে পোস্ট করলে রিমুভ করে দিচ্ছে। রিভিউ দেয়া যেতে পারে।
হ
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
উদ্যোগ নেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
যাদের বিলে সঠিক ভ্যাট রেজিঃ নাম্বার থাকে, তাদের কাছ থেকেও কি ভ্যাট চালান চেয়ে নেয়া উচিত?
বছর চারেক আগে দেখেছিলাম বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান এখানে "ফিক্সড ভ্যাট" দেয়, তখন POS এত ব্যাপক প্রচলন ছিলনা।
ইসিআর (ইলেকট্রনিক ক্যাশ রেজিস্টার) থেকে বিল করলে তাতে যদি ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন নাম্বার, সিরিয়াল নাম্বার এবং "মুসক ১১" লেখা থাকে তবে আলাদাভাবে চালানপত্র চেয়ে নেয়ার প্রয়োজন নাই। ফিক্সড ভ্যাটের ব্যাপারটা কি একটা মাসোয়ারি বন্দোবস্ত নাকি?
ভালো কাজ। অন্তত একটা চোর চেনা গেল। এরকম বহু চোরের মুখোশ খুলতে সংঘবদ্ধ উদ্যোগ দরকার।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
একটা পেজ খোলা দরকার। প্রচুর চোর আশেপাশেই আছে।
দারুণ উদ্যোগ। অধির আগ্রহে অপেক্ষা করে আছি ঈদের পর এদের বিরুদ্ধে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয় সেটা দেখবার জন্য। আপনার কাছে একটা অনুরোধ, রেজিস্ট্রেশন নাম্বারটা যে ভুয়া না সেটা কিভাবে বুঝব বলতে পারবেন?
ফাহমিদুল হান্নান রূপক
ভোক্তা (কনজিউমার) এর পক্ষ থেকে আসলে খুব বেশি যাচাই করার সুযোগ নেই। আমাদের দেখতে হবে বিলের কপিটি হাতে লেখা নাকি ইলেক্ট্রনিক। হাতে লেখা হলে নীল রঙ এর চালান পত্র চেয়ে নিতে হবে। সেই নীল চালানপত্রের উপর কোম্পানির ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন নাম্বার (১১ ডিজিট), চালানের সিরিয়াল নাম্বার ইত্যাদি পরিস্কার লেখা থাকবে। বাজারে অনেক ভুয়া চালানপত্র পাওয়া যায়, যেখানে দেখবেন রেজিস্ট্রেশন নাম্বার হয়ত লেখাই নেই। আর যদি প্রিন্টেড বিল হয়, তাতেও এই তথ্যগুলো থাকতে হবে। যদি না থাকে তবে আলাদা চালানপত্র নিতে হবে। তবে রেজিস্ট্রেশন নাম্বারটা ভুয়া কিনা তা যাচাই করা ভোক্তার পক্ষে বর্তমান প্রেক্ষাপটে সম্ভব নয়। সন্দেহ দেখা দিলে বা ভিন্ন যেকোন পরিস্থিতিতে শুল্ক কর্তৃপক্ষের নিকট অভিযোগ করতে পারেন। তাদের ফেসবুক পেজটি বেশ সক্রিয়, সেখানে জানাতে পারেন।
ভালো কাজ করেছ বারী।
____________________________
রেজিস্ট্রেশন নাম্বারগুলা কোন ওয়েবসাইটে রেখে দেয়া উচিত। বিশেষ করে আজকাল সব রেস্টুরেন্টে ওয়াই ফাই আছে, সাথে সাথে চেক করে নেয়া যাবে, যে আসল রেজিস্ট্রেশন নাম্বার কি না।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
এটা একটা ভালো বুদ্ধি ।
কর্তৃপক্ষ চাইলে একটা অ্যাপও বানাতে পারে, যেটা দিয়ে রিসিটের ছবি থেকে রেজিস্ট্রেশন নাম্বারটা রিড করে ডেটাবেজের সাথে মিলিয়ে একটা আউটপুট দেখানো হবে। খাঁটি হলে একটা সবুজ , দুই নাম্বার হলে একটা লাল , বা এই ধরনের কিছু।
পুরানো মোবাইলেও এসএমএস পাঠিয়ে চেক করার মত ব্যবস্থা করা যায়।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
ভালা বুদ্দি
শুল্ককর্তাদের কাছে প্রশ্ন: মূসক নিবন্ধন ক্রমিক ছাড়া কি মূসক-দিতে-বাধ্য ব্যবসা শুরু করা যায়?
মাঝে মাঝে ভাবি এই ধরণের অনুসন্ধানী ব্যাপারগুলো পত্রিকায় আসে না কেন? এগুলো পত্রিকাতেও আসা উচিত, তাহলে হয়ত আরো বেশি মানুস জানতে এবং সচেতন হতে পারত।
গুডরিডস
পত্রিকায় এ ধরনের খবর ছেপে যাওয়ার চেয়ে এ ধরনের খবর চেপে যাওয়া সাংবাদিকের জন্য লাভজনক।
কথা সত্য
মালিকের বক্তব্য দেখলাম। সাব্বাস। কইলজা নড়ায় দেন সবগুলির।
..................................................................
#Banshibir.
খুব ভাল করেছেন।
ট্যাক্স রিসিট চাওয়াটা সংকোচের কী ব্যাপার, এটা বুঝে উঠতে পারি না আসলে। সম্ভবত আমাদের দেশের সংস্কৃতি এটা। অবশ্য আমরা তো ধন্যবাদ বা দুঃখিত বলতে সংকোচ বোধ করি!
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
ধন্যবাদ বা দুঃখিত অবশ্য নিয়মিত বলি। ইদানিং ট্যাক্স রিসিট চাওয়াও শুরু করেছি
অনিয়মের সেরা দেশ আমাদের দেশ এ রকম কতই না ঘটনা অকথিত রয়ে যায়.. অন্যায় মাথা নত থাকায় ই আমাদের স্বাভাবিক স্বভাব. সাধুবাদ নির্ভিক লিখককে যিনি অন্যায়ে মাথা নেড়েছেন এবং থেমে যাননি. উদ্যমী এক লিখকের প্রজাপতি পাখা কতটুকু পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারবে সেই তা পরবর্তী লিখাতে জানানোর অনুরোধ রইলো.
- জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ফেসবুক পেজ
দেবদ্যুতি
যে ইলেকট্রনিক ক্যাশ রেজিস্টার থেকে রিসিট মুদ্রিত হয়ে বের হয়, সেগুলো থেকে সরকার কিভাবে ট্যাক্স আদায় করেন? এটা জানার আগ্রহ ছিল। বেশির ভাগ জায়গাতেই আমরা এরকম রিসিট নিয়েই চলে আসি।
শুভেচ্ছা
বাহ, পজেটিভ ফলোআপ দেখে ভাল লাগল
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
শাবাস!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
In the 2nd bill copy no discount amount row also! According to 1st bill copy, at first they give discount to satisfy! customers & then take it back as V.A.T. Hm pretty smart deceive.
Another thing i want to ask here that did you check the cold drinks or mineral water price in the bill? Is it according to M.R.P. (Maximum Retail Price) printed in the can or bottle? Because i'm charged around 75% excessive than the actual M.R.P. by another reputed restaurant of Chittagong, when asked about that, responsible person said we will ask our owner about that to do something. What ever they are charging for their served food items i have no complain about that because no M.R.P. there, they can charge whatever amount according to their food quality. They can't charge much more than M.R.P., I think this thing also should get attention.
নতুন মন্তব্য করুন