‘তারে জামিন পার’ ছবিটা আমাকে দেখতে বলেছিলেন সানজিদা আখতার, ঢাকা কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান। চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে ভাষা আমার কাছে বিষয় নয়। হিন্দি ফিল্ম দেখি নিয়মিতই। বাংলার পাশাপাশি হিন্দি ফিল্ম এবং গানের বিশাল কালেকশন ছিলো আমার। কানাডায় প্রবাস জীবন বেছে নেবার পরও অভ্যেসটা পাল্টায় নি। প্রচুর হিন্দি গান শুনি, হিন্দি ছবি দেখি। বিশেষ করে যে ছবিতে মা-কে নিয়ে গান থাকে সেটা তো আমি দেখবোই। সানজিদা আপা ক’মাস আগে আমি যখন ঢাকায় ছিলাম, তখন দেখতে বলেছিলেন ‘তারে জামিন পার’ ছবিটা। আমার জন্যে নিয়েও এসেছিলেন, কিন্তু এতো ব্যস্ত ছিলাম যে দেখার সুযোগ হয়নি। কানাডায় আসার পর আমার স্ত্রী শার্লি এবং কন্যা নদীও বললো ছবিটা দেখতে। যখন জানলাম এই ছবিতে মা-কে নিয়ে অসাধারণ একটা গান আছে, যোগাড় করে ফেললাম। কতোবার যে শোনা হলো গানটা! শংকর নামের একজন গায়ক কী অসাধারণ মমতায় গেয়েছেন-অভিমানী বালকের আকুল করা কথামালা-তার মাকে উদ্দেশ্য করে। বালকটিকে জোর করে পাঠানো হয়েছে অনেক দূরের এক আবাসিক ইশকুলে। ওখানে মা-কে ছাড়া অসহায় বালকটির চোখের জলে ভেসে যাওয়া দিবস-রজনীর কাব্য-চিত্র এই গানটি। মন খারাপ করা এক সন্ধ্যায় বালকটির মা বাবা আর পিঠেপিঠি অগ্রজ তাকে স্টুডেন্ট হোস্টেলে রেখে চলে যাচ্ছে, ওদের বহনকারী চলমান ট্যাক্সির পেছনে অসহায় বালকটির অশ্রুসজল অবয়ব ক্রমশঃ ক্ষুদ্র এবং ঝাপসা হয়ে আসে। এরপর অনেক ছোট ছোট দৃশ্যের নিপূণ গ্রন্থণা, সহসা আলো নিভে যাওয়া রাতে বলকেরর প্রথম শয়ন অজানা অচেনা একঝাঁক নতুন ছেলের সঙ্গে, ব্যাকগ্রাউন্ডে হূদয় ছেঁড়া গানটি- ‘তুই তো সবই জানিস তাই না মা? অন্ধকারে আমার ভয় লাগে, হারিয়ে যাবার আশঙ্কায় আমাকে বেশিদূর যেতে দিতি না, তুইই তো ছিলি আমার সবচে বড় সাহস, তোকে ছাড়া এই জীবন আমি বইবো কেমন করে? তুই তো সবই জানিস তাই না মা? আমি কি এতোটাই মন্দ ছেলে যে আমাকে তুই একলা ফেলে গেলি? এতোটা দূরে আমাকে ঠেলে দিস না যেখান থেকে তোকে আমি স্মৃতিতেও আনতে পারবো নারে মা....!’
খুবই শাদামাটা কিন্তু হূদয়ে মোচড় লাগানো কথা আর সুরে গানটি শুনে দর্শকও অশ্রুসজল হয়ে উঠবে বালকটির সঙ্গে। বিশেষ করে প্রবাসী যারা, তাদের তো মনে হবে এটা তারই গান। এই গানের কোথাও না কোথাও মায়ের কাছ থেকে দূরে থাকা সন্তান নিজেকে আবিস্কার করবে অথবা নিজেকে প্রতিস্থাপন করবে ছোট্ট সেই অভিমানী বালকটির জায়গায়।
এবার মা দিবসের একান্ত অনানুষ্ঠানিক আনুষ্ঠানিকতায় এই গানটিই শুনছিলাম।
ছোট্ট একটি শব্দ-মা। কিন্তু কি অসম্ভব শক্তিশালী! মা-কে নিয়ে গল্পের কি কোনো শেষ আছে ?
২ .
কোন কিছু বানাতে ঈশ্বরের সময় লাগে কয়েক মুহূর্ত। ঈশ্বর যদি বলেন হয়ে যাও, তো হয়ে গেলো। কিন্তু একটি জিনিস বানাতে দীর্ঘ সময় নিলেন ঈশ্বর । টানা ছয়দিন ধরে ঈশ্বরকে কাজ করতে দেখে একজন দেবদূত অবাক বিষ্ময়ে প্রশ্ন করলেন- ঈশ্বর,একটিমাত্র জিনিস বানাতে আপনি এতো সময় নিচ্ছেন!জিনিসটা কি?
ঈশ্বর বললেন- আমি একজন মা বানাচ্ছি। একাই করতে হবে তাঁকে দশজনের কাজ। শুধুমাত্র চা আর উচ্ছিষ্ট খেয়েই বেঁচে থাকতে পারবেন তিনি। তিন তিনটি শিশু একসঙ্গে থাকতে পারবে তাঁর কোলে, এবং ছয় জোড়া হাত থাকবে তাঁর।
- বলছেন কী? ছয় জোড়া হাত!?
- তিন জোড়া চোখও থাকবে তাঁর।
- তিন জোড়া চোখ!?
- হ্যাঁ, তিন জোড়া চোখ। সন্তানরা যখন কাছে থাকবে তাঁর, তখন এক জোড়া চোখ দিয়ে তিনি তাদের দেখে রাখবেন। সন্তানরা দূরে চলে গেলে দ্বিতীয় জোড়া চোখ দিয়ে তাদের দেখে তো রাখবেনই, সেই সঙ্গে ওই দ্বিতীয় জোড়া চোখ দিয়েই তিনি অবলীলায় জেনে যাবেন তাঁর সন্তান কী গোপন করছে কিংবা কী গোপন করতে চাইছে।
- আর তৃতীয় জোড়া চোখ দিয়ে কি করবেন তিনি?
- ওই তৃতীয় জোড়া চোখ দিয়ে সন্তানদের চোখের দিকে না তাকিয়েই এবং কোনো কথা না বলেই তাদের জানিয়ে দিতে পারবেন যে তিনি তাদের কতোটা ভালোবাসেন।
ছয়দিন ধরে আপনি নাগাড়ে কাজ করছেন ঈশ্বর, আজ আপনার খানিকটা বিশ্রাম নেয়া দরকার, বললেন দেবদূত।
জবাবে ঈশ্বর বললেন- এখন তো বিশ্রামের প্রশ্নই ওঠে না। আমি আমার সবচে প্রিয় জিনিসটি নির্মাণের প্রায় শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি। অসুস্থ হলে তিনি নিজেই নিজেকে সারিয়ে তুলবেন । আর মাত্র এক পাউন্ড রুটি দিয়ে ছয়সদস্যের একটি পরিবারকে খাইয়ে-দাইয়ে অনায়াসে ঘুম পাড়িয়ে রাখতে পারবেন তিনি।
মহাবিষ্মিত দেবদূত ঈশ্বরের অনুমতি সাপেক্ষে এবার স্পর্শ করলেন ‘মা’ নামের বিষ্ময়কর নারীকে- হায় ঈশ্বর আপনি তাঁকে এতো নরম করে তৈরি করেছেন !?
তোমার কোনো ধারণাই নেই এই নরম মা প্রয়োজনে কতোটা কঠিন হতে পারবেন। তুমি ভাবতেই পারবে না তাঁর পক্ষে কী কী অসম্ভব কর্ম সম্পাদন করা সম্ভব। ধৈর্যশক্তিতে তিনি হবেন তুলনারহিত আর ধারণক্ষমতায় সমূদ্রও হবে তাঁর তুলনায় অতিশয় ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র।
- চিন্তাশক্তি থাকবে তাঁর? চিন্তা করতে পারবেন তিনি ?
- শুধু যে চিন্তা করতে পারবেন তা তো নয়, যুক্তি এবং পরামর্শ দেয়ার ক্ষেত্রেও তিনি হবেন অনন্যা।
ঈশ্বরের অনুমতি সাপেক্ষে দেবদূত এবার স্পর্শ করলেন ‘মা’ নামের বিষ্ময়কর নারীর কপোল- কিন্তু এখানটায় বিন্দু বিন্দু জল কেনো ঈশ্বর?
ঈশ্বর বললেন- ওটা জল নয়, অশ্রু।
- অশ্রু? অশ্রু দিয়ে কী হবে?
মৃদু হেসে ঈশ্বর বললেন- এই অশ্রুই হচ্ছে তাঁর সমস্ত আনন্দ-বেদনা-দুঃখ-কষ্ট-হতাশা-গৌরব-
ঘৃণা-মমতা-ভালোবাসা আর একাকিত্ব প্রকাশের মাধ্যম।
এই হচ্ছে মা।
৩ .
কতো গল্প মাকে নিয়ে! মাকে নিয়ে কতো কতো কাহিনী-চলচ্চিত্র, কতো ছড়া-কবিতা, কতো গান-কতো ভাষায়!
মাকে নিয়ে লেখা রুশ লেখক ইভান তুর্গিয়েনেফ (নামটা সঠিক বলছি তো?)-এর অসাধারণ গল্পটির কথা মনে পড়ছে।
একটি কিশোর তার মাকে খুব ভালোবাসে। পৃথিবীতে তার চোখে সবচে সুন্দর হচ্ছে তার মা। সবচে রূপসী হচ্ছে তার মা। মাকে জড়িয়ে ধরে কিশোর ছেলেটি বলে-মাগো,তোমার জন্যে আমি সব পারি। মা বলেন-পাগল ছেলে!
কিশোরটি একদিন তরুণ হলো। তরুণটির সঙ্গে একদিন দেখা হলো ঝকঝকে এক তরুণীর। অনিন্দ্যসুন্দর সেই তরুণীর প্রেমে পড়লো সে।
তরুণীর সামনে হাঁটু গেড়ে বসলো সেই তরুণ। তারপর নিবেদন করলো তার প্রেম-তোমার জন্যে আমি সব পারি। তুমি চাইলে পৃথিবীর সবকিছু আমি এনে দিতে পারি তোমার জন্যে, সব কিছু।
তরুণী জিজ্ঞেস করলো- সব? সব কিছু?
-হ্যাঁ, সবকিছু। তুমি চাইলে পৃথিবীতে এমন কিছু নেই যা আমি এনে দিতে পারবো না।
-তাহলে যাও, তোমার মায়ের হূদপিন্ডটা নিয়ে এসো আমার জন্যে।
ছুটতে ছুটতে তরুণটি গেলো তার মায়ের কাছে। মাকে হত্যা করে মায়ের হূদপিন্ডটা ছিঁড়ে নিয়ে ঝটিতি সে ছুট লাগালো সেই তরুণীর বাড়ির দিকে।
তরুণীর বাড়িতে ঢুকতে যাবার মুখে তাড়াহুড়োয় দরোজায় ধাক্কা খেয়ে ছিটকে পড়লো তরুণটি। মায়ের হূদপিন্ডটা সে সময় বলে উঠলো- খোকা তোর লাগে নি তো?
এই হচ্ছে মা।
৪ .
মুক্তিযুদ্ধের অনন্য শহীদ আজাদের মাকে নিয়ে নিকট অতীতে আনিসুল হক লিখেছেন হূদয় ছোঁয়া উপন্যাস ‘মা’। লেখক-গবেষক আফসান চৌধুরীর এক সাক্ষাৎকারে জেনেছি অনন্যসাধারণ এক মায়ের কথা।
একাত্তরের উত্তাল দিনে ছেলেকে কিছুতেই যুদ্ধে যেতে দেবে না কুষ্টিয়ার মোহিনী সুগার মিলের এক মা। কিন্তু ছেলে যাবেই। কিছুতেই ছেলেকে আটকানো গেলো না। যাবার আগে মাকে আদর করে প্রবোধ দিয়েছে ছেলে-‘‘ভয় পেওনা মাগো। আমি চলে গেলে সাড়ে সাত কোটি বাঙালি আছে, তোমাকে মা বলে ডাকবে। শেখ মুজিব এসে তোমার মাথায় হাত বুলিয়ে দেবে।’’
সেই ছেলেকে ধরেছে পাকিস্তান আর্মি। অতঃপর ভয়াবহ নির্যাতন চলেছে ছেলেটির ওপর। এক পর্যায়ে মানুষরূপী জানোয়ারগুলো কেটে ফেলেছে তার গলা। তারপর তার মাথাটা পুঁতেছে সুগার মিলে আর ধড়টা পুঁতেছে রেলস্টেশনে।
এরপর এলো স্বাধীনতা। স্বাধীনতার পর ছেলেটির মা ছুটোছুটি করেছে সবার কাছে-বাবারা, আমি আমার শহীদ ছেলের ধড় ও মাথাকে এক করে কবর দিতে চাই। কিন্তু সবাই বলেছে-এটা সরকারী জায়গা, এখানে খোঁড়াখুঁড়ি করা যাবে না।
সেই মা এখন উন্মাদিনী হয়ে গেছে। ভিখিড়ি হয়ে গেছে। সেই মা এখন প্রতিদিন একবার ছেলের ধড় যেখানে-সেখানে যায়,একবার মাথা যেখানে-সেখানে যায়। বারবার যায়। প্রতিদিন যায়। পাগলিনী সেই মায়ের কথা লিখতে গিয়ে আমার চোখ ভিজে আসছে। চোখ ভেসে যাচ্ছে। আজ মা দিবসে ‘‘সাড়ে সাত কোটি বাঙালি’’র কোনো একজনও কি তাঁকে মা বলে ডাকবে? ‘‘শেখ মুজিবের মতো কেউ’’ কি এসে তাঁর মাথায় হাত বুলিয়ে দেবে?
৫ .
আজ মা দিবসে আমার নিজের মা-সহ জগতের সকল মাকে আমার বিনম্র শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা। আর আগামীতে যারা মা হতে চলেছে, ভালোবাসা সেই নতুন মায়েদেরও। এবং আজকের এই বিশেষ দিনটিতে যারা মা হবে, তাদের জন্যেও ভালোবাসা- মাগো তোরা ভালো থাকিস গো মা,ভালো থাকিস।
মন্তব্য
অসামান্য লেখাটির জন্যে অভিবাদন।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
ধন্যবাদ।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
আমার অসুস্থতার কথা মুহম্মদ জুবায়েরের মাধ্যমে জেনে তারেক, মাহবুব লীলেন, সুমন চৌধুরী, আনোয়ার সাদাত শিমূল, হিমু, দ্রোহী, সন্যাসী, বিপ্লব রহমান, ধূসর গোধূলীসহ অনেকেই আমার দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন। কিডনীর মহামূল্যবান পাথরের যন্ত্রণা থেকে সম্প্রতি নিষ্কৃতি পেয়েছি। আপনাদের প্রতি অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা। আমার বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার প্রাপ্তিতে যাঁরা অভিনন্দন জানিয়েছিলেন এই সুযোগে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি তাঁদের প্রতিও।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
"ছোটদের কাগজ" এর শেষ সংখ্যাটা ছিল মাকে নিয়ে । কী অদ্ভুত মমতা আর কষ্টে পূর্ণ ছিল সম্পাদকীয়'র প্রতিটা অক্ষর . মাকে নিয়ে লেখা "ইভান তুর্গিয়েনেফ" এর গল্পটা পড়ে এত বছর পর আবারও সেই চিনচিনে ব্যথাটা টের পেলাম বুকের ভেতর !
ভালো থাকবেন রিটন ভাই
কেমন আছো তুমি আকতার?
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
দীর্ঘশ্বাস সেই কুষ্টিয়ার মায়ের জন্য ।
----------------------------
কালের ইতিহাসের পাতা
সবাইকে কি দেন বিধাতা?
আমি লিখি সত্য যা তা,
রাজার ভয়ে গীত ভনি না।
দীর্ঘশ্বাস আমারও....
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
টুপি খুললাম আপনার জন্যে রিটন।
...চোখ বুজে রইলাম খানিক সেই মায়ের কথা পড়ে... অশ্রু যেন বয়ে না যায়...
---------
অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা। (সুইস প্রবাদ)
------------
...অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা...
কিন্তু অশ্রু যে বয়ে যায়......শ্যাজা...
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
আরে রিটন ভাই নাকি? ভুল দেখছি না তো ? সচলে ত' আপনাকে পাওয়াই যায় না ।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
না ভুল নয়। আমি নিয়মিত পাঠক সচলায়তনের।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
লেখা পড়ে চোখে পানি চলে আসলো। মাকে দেখিনা ৩বছর!
আপনি এখন কেমন আছেন রিটন ভাই?
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
কেমন আছো সুজন তুমি? তোমার মা?
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
মা যেমনই থাকুক,আমাকে সব সময় বলে ভালো আছি আর আমি যেন চিন্তা নাকরি।
আমি আছি ভালো।
আপনি আবার লিখছেন দেখে খুব ভালো লাগছে।
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
এত সুন্দর একটা লেখার জন্য রিটন ভাইকে লাল সালাম । কালকে একটা মুভি দেখলাম, awake নাম, দেখে মনটা এমনিতেই একটু খারাপ । আমি ঈশ্বর বিশ্বাস করি না, তাকে দেখিনি, দেখতেও চাই না । কিন্তু আমি মাকে দেখেছি, আমি মা বিশ্বাস করি, তাকে সবসময় দেখতে চাইব ।
-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
আপনার দেখা মুভিটা দেখিনি, দেখবো যোগাড় করতে পারলে।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
অসাধারন লেখাটির জন্য রিটন ভাইকে শ্রদ্ধা। আপনার পাথর-মুক্তি ঘটেছে জেনে খুব ভাল লাগল।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
ধন্যবাদ মাহবুব মুর্শেদ।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
মনের সব দরজার অলিগলি নাড়িয়ে দিয়ে গেলো...
অনেকদিন পর আপনাকে দেখে খুব ভালো লাগছে। আর মহামূল্যবান পাথরমুক্তির অভিনন্দন
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
ধন্যবাদ আপনাকে।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
মাকে নিয়ে লেখার শখ আমার বহুদিনের...
---------------------------------
জ্ঞানীরা ভাবলেন খুব নাস্তানাবুদ করে ছাড়া গেছে...আআআহ...কি আরাম। বিশাল মাঠের একটি তৃণের সাথে লড়াই করে জিতে গেলেন।
ছোট্ট তৃণের জন্য অপরিসীম ঘৃণা।
তো লিখে ফেলুন।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
লেখাটি অসম্ভব সুন্দর... তার জন্য ধন্যবাদের কিছু নেই... আপনি বলে কথা!
তবে ভালো লাগছে জেনে যে আপনার রোগমুক্তি ঘটেছে। আর আরও ভালো লাগছে যে এখন থেকে আপনার লেখা মাঝে মধ্যে আশা করতে পারবো। ______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ধন্যবাদ নজরুল।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
অদ্ভুত সুন্দর!!মাকে নিয়ে এরকম একটা লিখা.....অনেক ভালো লাগলো।
-নিরিবিলি
ধন্যবাদ।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
সেইরকম একটা কামব্যাক পোস্ট হইছে।
বিপ্লব।
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
ধন্যবাদ। বিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
পুরোটা পড়তে পারি নি, তার আগেই চোখ ঝাপসা হয়ে গেছে।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
আমার লেখাটি আপনাকে স্পর্শ করতে পেরেছে জেনে ভালো লাগলো।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
আমার চোথটাও ঝাপসা হইছে।
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
আমার লেখাটি আপনাকেও স্পর্শ করতে পেরেছে !
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
আপনার প্রস্তরযুগের অবসান ঘটেছে জেনে ভালো লাগলো। তবে লেখাটা পড়ে মন খারাপ হয়েছে। আপনার উচিত দারুণ কিছু ছড়ার গোলা মেরে আমাদের মন আবার ভালো করে দেয়া।
হাঁটুপানির জলদস্যু
আপনার উচিত দারুণ কিছু ছড়ার গোলা মেরে আমাদের মন আবার ভালো করে দেয়া।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
তুরগিয়েনিয়েফের গল্পটা জানা থাকলেও আবার মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। 'তারে জামিন পার' ছবিটা আমাকে যেভাবে আন্দোলিত করেছে, রিটনের লেখাও প্রায় ততটুকু হৃদয়গ্রাহী।
আমার দুঃখ মা'র সংগে আমার তেমন কোন ইমোশনাল বন্ড বেশীদিন থাকে নি; স্বল্প শিক্ষা সত্ত্বেও তাঁর মেধা আমাকে সব সময় বিস্মিত করেছে। তিনি অসাধারণ সুন্দরী ছিলেন, ছোট বেলায় আমার অসুস্থতার সময় রাত জেগে তাঁর সেবা মনে পড়ে। কিন্তু একটা ফাঁক থেকে গেছে এই কারণে যে, তিনি তাঁর একমাত্র ছেলেটিকে যত যত্ন করেছেন, ছয় কন্যাকে তা দেন নি। আমার কাছে এটি সব সময় অন্যায় মনে হয়েছে। একটু বয়স হলে আমি আমার কালো, বেঁটে, মোটা, সংসারে উদাসীন বাবার প্রতিই বেশি ঝুঁকে পড়ি।
রিটনের বৃক্ক-পাথরের কথা জানতাম না। এটি আমারও হয়, দুএক বছর পর-পর ঘন্টা কয়েক (কখনো সারারাত) এমন যন্ত্রণায় ভুগতে হয়, তখন কিছুটা উপলব্ধি করি মা-দের কতটুকু প্রসব ব্যথা সইতে হয়। তবে এখন অভ্যাস হয়ে যাওয়াতে দাঁত কিড়মিড় করে চিল্লাতে থাকিঃ "তোমাকে বেরুতেই হবে, হে ক্যালসিয়াম অকজালেট।" আমার স্ত্রী সাথে সারা-রাত জাগলেও এ-রকম উদ্ভট সেন্স অব হিউমার পছন্দ করেনা, "এতো বলি তবু পানি খাও না" বলে রাগ করে কথা বন্ধ করে দেয়।
প্রিয় বজলুর রহমান,
আপনার ই-মেইল ঠিকানাটি, যদি সমস্যা না থাকে, আমাকে অনুগ্রহ করে জানান। ধন্যবাদ।
হাঁটুপানির জলদস্যু
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
হ্যাঁ একটা লিখে ফেলেন এরকম,
'আজগুবি ডাক্তার হাঁদারাম ঘোষ
চুলকানি হলে বলে মোমবাতি চোষ'
আপনার লেখা আমার প্রিয় ছড়া হাহা
-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
সর্বনাশ ! ৮২ সালে প্রকাশিত আমার প্রথম ছড়ার বইটির একটি ছড়া খেকশিয়ালও পড়েছিলো ! হুক্কা হুয়া.......
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
পড়েছিলাম বইকি, তবে ৮২তে নয় অনেক পড়ে, ওই বইতে আরেকটা ছড়া ছিল ঐটাও আমার প্রিয়, 'আলু কয় বালু রে তুই আমার খালু রে ...'
-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
লেখাটা পড়ে খুবই ভালো লাগলো রিটন ভাই।
মূর্তালা রামাত।
ধন্যবাদ আমার লেখাটি পড়েছেন বলে।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
আপনি ভাল আছেন তো?
ভেবেছিলাম ধীরে সুস্থে এই লেখাটা পড়বো॥ কিন্তু কিভাবে যেন একটু চোখ বুলাতেই আটকে গেলাম। শেষ পর্যন্ত পড়ার আগেই লেখাগুলো অস্পষ্ট হয়ে গেল। চোখে যে ঝাপসা দেখছি।
অসাধারণ লাগল।
ধন্যবাদ অনিন্দিতা, লেখাটি পড়ার জন্যে।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
দুর্দান্ত!!!
ধন্যবাদ।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
তারে জমিন পারের এই গানটা প্রথম যখন ছবিতে শুনি চোখ ভিজে গিয়েছিল। তার পর ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করে গানটা শুনি...এখন মাঝে মধ্যে মন খারাপ হলে গানটা শুনি...। মা-কে নিয়ে যেকোন গান বা কবিতা সহজেই মনে দাগ কাটে। আসলে মা যে এমনই...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
বিপ্রতীপ ব্লগ | ফেসবুক | আমাদের প্রযুক্তি
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
ঠিক।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
ধন্যবাদ আপনার হৃদয় ছোঁয়া লেখার জন্যে।
রোগমুক্তির জন্যে অভিনন্দন রিটন ভাই। এখন বোধহয় কিছুদিন বেছে বেছে খেতে হবে। ভালো থাকবেন।
সচলে ছাড়া আপনার লেখা দুর থেকে পড়ার সুযোগ কম। তাই নিয়মিত লিখবেন এখানে এই আশাই রইল।
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
ধন্যবাদ রেজওয়ান। লিখতে তো চাই, কিন্তু আলস্য পিছু ছাড়ে না যে!
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
ধন্যবাদ রিটন ভাই।
অসম্ভব সুন্দর পোস্ট ! মা'কে নিয়ে লিখেছেন বলে কি ? না কি ছড়ার মতো গদ্যটাও...! না কি একাত্তরে মা'কে হারিয়েছি বলে ?
জানি না।
তবে পাথরমুক্তিতে অভিনন্দন। সাথে শুভেচ্ছাও। বেশি বেশি লেখা চাই।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
ধন্যবাদ, রণদীপম বসু।
একাত্তরে মাকে হারিয়েছেন, সহানুভূতি জানাতে চেয়েছিলাম, কিন্তু কি ভাবে জানাবো ভেবে পাচ্ছি না।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
অনেক অনেক ধন্যবাদ রিটন ভাই,
আপনার পাঠানো সহানুভূতি আমি আমার কৃতজ্ঞতাবোধ দিয়ে সযত্নে মুড়িয়ে বুকের গোপন কোণায় তুলে রাখলাম।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
অনেক অনেক ধন্যবাদ রিটন ভাই,
আপনার পাঠানো সহানুভূতি আমি আমার কৃতজ্ঞতাবোধ দিয়ে সযত্নে মুড়ে বুকের গোপন কোণায় তুলে রাখলাম।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
'মা' গানটা অসম্ভব প্রিয় আমার। প্রথম যখন সিনেমা দেখতে গিয়ে গানটা শুনি, তখন চোখে পানি এসে গিয়েছিল, তেমনি আপনার লেখাটা পড়েও। সুস্থ থাকুন এই কামনা করি।
ধন্যবাদ অতন্দ্র প্রহরী।
আপনিও ভালো থাকুন।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
ঠিক হিমুর লেখা কথাগুলোই বলতে চাইছিলাম।
বহু-বহুদিন পর আপনাকে সচলে দেখে বড্ড ভালো লাগছে। এখন কিছু ছড়া ছাড়ুন দেখি!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি তুষ্ট আত্মপ্রেমেই। এর সুবিধে হলো, প্রতিদ্বন্দ্বী কেউ নেই
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
তারে জামিন পার এর গানটা শুনলে সত্যিই চোখ ভিজে ওঠে।
অনেকগুলো হৃদয়ছোঁয়া গল্পের কথাও মনে করিয়ে দিলেন।
ভীষন ভালো লাগলো।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ধন্যবাদ।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
তারে জামিন পার এর সেই মা অভিনয়ও করেছেন চমৎকার। সেই সাথে গানটাও হৃদয়স্পর্শী।
আশা করি ভালো আছেন আপনি। ছড়া পড়ার প্রত্যাশায় রইলাম আপনার কাছ থেকে।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
ঠিকই বলেছেন মিস্টার সবজান্তা। তারে জামিন পার-ছবিতে মায়ের ভূমিকায় অসাধারণ অভিনয় করেছেন টিস্কা চোপড়া।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
অসাধারণ এই লেখাটা। মুগ্ধ হই, গর্বিত হই, আবার চোখও ভিজে আসে।
ধন্যবাদ প্রকৃতিপ্রেমিক।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
রিটন ভাই, লেখা পড়ে খুব খুব ভালো লাগলো (খুব খুব কষ্টও লেগেছে বটে)। আপনি এখানে লিখছেন জেনে আরও ভালো লাগলো।
আকতার ভাইর মন্তব্যে পুরানো স্মৃতি আবারো জেগে উঠলো..." কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালোবাসে..."
ছোটদের কাগজের শেষ সংখ্যা (মা সংখ্যা) আমার জীবনের এক বিশাল দীর্ঘশ্বাস। মা সংখ্যার প্রধান রচনা লেখার স্মৃতি আজও অমলিন। কত রাত না ঘুমিয়ে একটানা লিখেছি আর পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা কেটে বাদ দিয়ে আবার নতুন করে লিখেছি... কত গবেষণা... কত আলোচনা...। এক শেষ বিকেলের আলোয় বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের ছাদে আপনার সাথে বসে লেখাটা চূড়ান্ত করে ফেললাম। জুয়েল ভাই সাথে ছিলো। এক সপ্তাহের মধ্যে বাজারে চলে এলো ঝকঝকে তকতকে 'মা সংখ্যা'। তখনো জানতাম না এটাই ছোটদের কাগজের শেষ সংখ্যা হতে যাচ্ছে। আমি তখন পররর্তী সংখ্যার প্রধান রচনা 'চাঁদ' নিয়ে আবারও নির্ঘুম রাত কাটাতে শুরু করেছি। লেখাটা চূড়ান্ত অবস্থায় এখনো আমার কাছে সযন্তে আছে।
এইসব নানা কারনে মা দিবস এলেই আমার উপলব্ধির একটা বড় অংশ জুড়ে ছোটদের কাগজের 'মা সংখ্যা'র বেদনাময় স্মৃতি ঘোরাফেরা করে। কিছুতেই পাশ কাটাতে পারি না। আজকেও পারলাম না। এর জন্য আকতার ভাইও দায়ী।
রিটন ভাই, আপনার সুস্থতা কামনা করছি।
সৈয়দ আখতারুজ্জামান
আরে! সৈয়দ আখতারুজ্জামান, কেমন আছো? তুমিও এখানে! আমার ছোটদের কাগজের লেখক-পাঠক-বন্ধুদের বিপুল সমাহার দেখছি সচলায়তনে। শুধু মা সংখ্যা নয়, তুমি তো ভাইবোন সংখ্যারও প্রধান রচনাটি লিখেছিলে আশ্চর্য কুশলতায়।
আহারে ছোটদের কাগজ, আহারে.....
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
.................. এই সব পোস্ট এড়িয়ে যেতে চেষ্টা করি...পড়ব না বলেও কেমন করে যেন পড়ে ফেললাম। ভুল করলাম...।
কুষ্টিয়ার সেই মা'য়ের কাছে করজোরে ক্ষমা চাই...
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
কুষ্টিয়ার সেই মায়ের প্রতি আমাদের আচরণের কোনো ক্ষমা নেই...
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
অনেকের মতো "মা" বিষয়ক কোন গান হলেই আমি বারবার শুনতে থাকি। "তারে জামি পার" এর গানটি কতবার শুনেছি নিজেও মনে করতে পারবো না, ল্যাপটপ বা টেবিল কম্পু নিয়ে বসেছি তো শুরু .....এতো শুনি বলে আমার মা আমকে বলে এইটা কি এত শুনিস বলতো? যখন আমি মা'কে বাংলায় বোঝালাম তখন মা আমার আগে কান্না শুরু করলো, কিন্তু কেন কাঁদলো তা বলেনি......হয়তো আমার জন্য অথবা তার মায়ের জন্য।
কল্পনা আক্তার
..............................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা
কিংবা তারে জামিন পার-এর সেই অসহায় বালকটির জন্য....
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
অসাধারণ আপনার কলম। আরো পড়তে চাই আপনার লেখা।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
ধন্যবাদ তীরন্দাজ।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
‘তারে জামিন পার’-এর গানটি কোথায় পাই, কেউ কি বলবেন অনুগ্রহ করে? বা গানটার নাম অন্তত...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি তুষ্ট আত্মপ্রেমেই। এর সুবিধে হলো, প্রতিদ্বন্দ্বী কেউ নেই
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
আপনার মন্তব্যের প্রতিমন্তব্য লিখতে গিয়ে মনে হলো হিমু’কে লেখাটাই আপনাকেও লেখা। একটু দেখে নেবেন।
এই নিন ‘তারে জামিন পার’-এর মায়ের উদ্দেশে গাওয়া সেই গানটি-
http://www.sendspace.com/file/l2iosp
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
লিংকটা এতো দ্রুত পেয়ে যাবো এবং আপনিই তা দেবেন - ভাবতেও পারিনি। খুবই কৃতার্থ বোধ করছি।
রিটন ভাই, অন্যদের লেখার বাড়াবাড়িরকম প্রশংসা করার অভ্যেস আপনার আছে, তা আমি জানি। বেশ কয়েক বছর আগে আপনাকে আমার এলেবেলে কিছু ছড়া দেখানোর পর আপনি যে-বাক্যটি উচ্চারণ করেছিলেন, তা আজও আমার ছড়া লেখায় "জ্বালানি" হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে চলেছে। আর আজ পেলাম আরও এক বিশেষণ!
কিন্তু অন্যদের প্রশংসা করে নিজে লেখা থেকে রেহাই পাবার দুরভিসন্ধির প্রতিবাদ জানাই
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি তুষ্ট আত্মপ্রেমেই। এর সুবিধে হলো, প্রতিদ্বন্দ্বী কেউ নেই
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
মোটেই আমি বাড়িয়ে বলছিনা প্রিয় সন্ন্যাসী। আপনি নিজেও বোধহয় জানেন না আপনার ছড়ার হাতটি কী অসাধারণ! সিরিয়াসলি এই ফিêে কাজ করলে অনেকেরই খবর ছিলো....
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
আমি এক সামান্য মানুষ। এই অসামান্য লেখাটি পড়ার ভার সইতে পারছি না রিটন ভাই।
খুব ভালো লাগলো! আমার প্রিয় বিষয়। কতো চেয়েছি মাকে নিয়ে কিছু লিখবো। আজও হলো না। লিখতে গিয়ে আটকে যাই।
আফসোস নেই ... লিখতে না পারলেও পড়তে তো পারছি!
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
লুৎফুল আরেফীন আপনি অবশ্যই আপনার প্রিয় বিষয় মাকে নিয়ে লিখবেন সচলায়তনে। পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
মাকে নিয়ে কি লিখবো, তবে তিনটি চুমু আমার মায়ের প্যাটেন্ট। কপালে আর দুই গালে। অনেক দিন পর পর দেখা হয়তো তাই প্রতিবারই ঐ তিনটা চুমু তার দেয়াই লাগবে।
আচ্ছা আমি এতক্ষণ কই ছিলাম...এতো মন্তব্য ....!!
রোগমুক্তির পর আবার সচল হওয়ায় আপনাকে স্বাগতম।
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
ধন্যবাদ থার্ড আই। মাকে নিয়ে আপনার লেখাটি পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম। আপনার মায়ের আদরের প্যাটেন্টটি তো দারূণ ! তিন তিনটি চুমু !!! শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা আপনার মাকে।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
ধন্যবাদ থার্ড আই। মাকে নিয়ে আপনার লেখাটি পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম। আপনার মায়ের আদরের প্যাটেন্টটি তো দারূণ ! তিন তিনটি চুমু !!! শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা আপনার মাকে।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
ছোট্ট একটি শব্দ-মা। কিন্তু কি অসম্ভব শক্তিশালী! মা-কে নিয়ে গল্পের কি কোনো শেষ আছে ?...না নেই।
প্রাণছোঁয়া লেখা।
প্রিয় ছড়াকারের কাছে আবেদন- নিয়মিত লিখুন, নেটে এসে আমরা প্রাণটা জুড়াই।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
ধন্যবাদ। নিয়মিত লিখতেই তো চাই। কিন্তু প্রবাসের যান্ত্রিক জীবন সেটা অনুমোদন করে না যে!
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
রিটন ভাই
(দুঃখিত ভাই বলে সম্বোধন করায়, যদিও আপনি আমার বাবার বয়সী হবেন। বিবেচনায় আর কোন ভাল সম্বোধন পেলাম না।)
আপনাকে এখানে দেখে পেয়ে আমার অনেকটা অবিশ্বাসই হচ্ছে। আমি আমার কিশোর বেলায় একটা ছড়ার বই পড়েছিলাম যার একটা ছড়া ছিলো এরকম:
ধরা যাবে না ছোঁয়া যাবেনা
বলা যাবে না কথা
রক্ত দিয়ে পেলাম
শালার এমন স্বাধীনতা।
আমার স্মৃতি যদি প্রতারণা না করে তবে সেটা আপনারই লেখা ছিল ৭৪ আর বাকশাল নিয়ে। কী আর বলব খুবই ভাল লাগছে।
তারে জমিন ছবিটা আমি দেখেছি, তব অনেকটা অন্য উদ্দ্যেশে। সেটা নিয়ে এবং বাচ্চাদের ডিজেবিলিটর উপর আমি লেখার ইচ্ছা রাখি।
ভাল থাকুন।
আলমগীর
- সিনেমাটা নিয়ে আমিও একসময় লেখার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলাম। কীভাবে সাজাবো সেটা নিয়ে ভাবতে ভাবতেই গোটা দুয়েক মাস কেটে গেলো। রিটন ভাই শেষে বাঁচিয়ে দিলেন সেটা থেকে।
লিখার ইচ্ছেটা ছিলো প্রিয় আলমগীর ভাইয়ের পয়েন্টেই। কিন্তু আলমগীর ভাই আপনার সঙ্গে ছোট্ট একটা জায়গায় দ্বিমত পোষন করছি। আপনি যেটাকে 'ডিজএ্যাবিলিটি' বলছেন সেটা মোটেও ডিজএ্যাবিলিটি না, কোনো রোগ ও না। কিছু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে এটাই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কেবল একটু মনোযোগ আর ধৈর্য্য দরকার তখন। আমি নিজে এমন কয়েকজনের সঙ্গে মিশেছি যাদের কাছে ছোটবেলায় 'লেটারস আর ড্যান্সিং' মনে হতো। তারা সমাজে এখন তুখোড়ভাবে প্রতিষ্ঠিত। দারুণ প্রতিভাবান একেকজন।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধন্যবাদ আলমগীর। ভাই সম্বোধনটাই ভালো।
উদ্ধৃত ছড়াটার লেখক আবু সালেহ।
বাচ্চাদের ডিজএবিলিটির ওপর লেখাটা পড়ার জন্য আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করবো।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
Afsos, cant type in Bangla. Will learn soon.
Like to share a story on Tare Zameen Paar,,,,,,
My sister lives in a huge apartment building in Agargaon. There are around 20 flats. She borrowed the DVD of the movieit from me for tow days. I was in Kolkat aadn bought one DVD of Tare Zameen Paar as it was not available in Dhaka then.
After 2 months I asked her how was the movie. She told me "could not watched yet". I was agitated as I could not watch it also and I sked why. She told me that she could not get a hold on the dvd as every family of the building is watching it and giving it the next flat. In thetotal appartmat the talk of the house was Tare Zameen Paar. How interesting. This people even dont know each other. A good emotional movie has brought them together. This is the power of Arts and emototion.
But the end story is like that--
somebody lent it to the next appartment building and again everybody is watching. May be we have to wait for another 2 monts to get it.
I think I have to buy another DVD.
ঘটনাতো দেখছি বিরাট আকার ধারণ করেছে!
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
- প্রথম যখন প্রবাসী হলাম রিটন ভাই, তখন জেমসের 'মা' গানটা খুব হিট। দেখা যেতো যখনই মা গানটা কেউ বাজায় তখন বন্ধু সুজন হাউ কাউ করে ওঠে, বন্ধ কর!!
প্রথমে বুঝতে পারতাম না সমস্যা কোথায়! কিছুদিন যাওয়ার পর নিজেই ধরতে পারলমা। গানটা শুনতে ইচ্ছে করতো খুব, কিন্তু এড়িয়ে চলতাম কিছু অপ্রত্যাশিত, আবেগময় পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটানো থেকে।
এবার মা দিবসে ঠিক করে রেখেছিলাম 'মা'কে নিয়ে কোন লেখাই পড়বো না। আপনারটা পড়া শুরু করলাম, তারপর পড়তেই থাকলাম, এবং পড়া শেষ করলাম। অবশেষে আবারও উপলব্ধি করলাম, সুজন কেনো হাউকাউ করতো!
আপনার রোগমুক্তিতে শুভেচ্ছা। এখন আশা করবো নিয়মিত হবেন। প্রাইমারী স্কুলে আপনাকে পেয়েছি 'আমার বই'য়ে। এখন পেতে চাই সচলায়তনের পাতায়, রেগুলার!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
প্রবাসীদের এমনটাই হয়।
জেমস-এর মা গানটি আমার খুবই প্রিয় একটি গান।
মাকে নিয়ে কোনো লেখাই পড়বো না-এমন সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে আমার লেখাটি পড়েছেন শুনে হেসে ফেললাম। অই যে, প্রবাসীদের এমনটাই হয়!
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
বেশ কয়েক মাস আগে "আম্মু...তুমি ভালো থেকো" নামে সচলে আমার একটি লেখায় হিমু ভাই একটি মন্তব্য করেছিলেন।মন্তব্যটি পড়ে আমি কিছুক্ষণ কথা বলতে পারিনি। চোখ কে সামলে নিয়েছিলাম। মা'কে নিয়ে কিছু বলতে গেলে আমি এই মন্তব্যটির উপর আর কিছুকেই স্থান দেই না...দিতে পারিনা।আপনাদের জন্য হিমু ভাইয়ের মন্তব্যটি আরেকবার দিলাম...
দক্ষিণ ভারতের জনৈক প্রকৌশলী, বিশ্বনাথনের সাথে বছর দুয়েক আগে কাজ করেছিলাম কিছু সময়। বিশ্বনাথন খেটে খাওয়া লোক, আমিও তা-ই, তিনি খাটনি শেষ করে আমার সাথে ঘন্টাখানেক আলাপ করলেন। সাধারণ মানুষের মুখে শোনা অসাধারণ কথাগুলির মধ্যে একটা তাঁর কাছ থেকে শোনা, আমি বিশ্বনাথনকে মনে রাখবো এর জন্যে অনেকদিন।
ঈশ্বর সবার জন্য সময় দিতে পারেন না। কিন্তু তাঁর সৃষ্টি মানুষ তাঁকে ছাড়া কিভাবে চলবে? তাই তিনি সবাইকে একটি করে মা দেন।
বিশ্বনাথন, আপনি ভালো থাকুন যেখানেই থাকবেন। জানিনা এই বাক্যটি আপনার পাঠের অভিজ্ঞতা থেকে পেয়েছেন কি না, নাকি নিজের উপলব্ধি থেকে বলেছিলেন, কিন্তু খুব মূল্যবান এই কথাটি আমি উপহারের মতো করে নিজের সাথে রাখি।
---------------------------------------------------------
শেষ কথা যা হোলো না...বুঝে নিও নিছক কল্পনা...
---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন
আমি অহর্নিশি বাস করি এর সাথে, আমার চেয়ে ভাল আপনি কোনদিনই জানতে পারবেন না। এর বেশী কিছু বলব না।
আলমগীর
রিটন ভাই, চিন্তা করে রেখেছিলাম, মন্তব্য নয়, লেখা দিয়ে আপনার এই লেখাটির জবাব দেব! এই মা দিবসকে ঘিরে অনেক স্মৃতির বাতাস বয়ে যাচ্ছিল... আমার নিজের মা, আমার কৈশোর, আমার লেখালেখি, সেই বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র, ছোটদের কাগজ, সায়ীদ স্যার, আপনি, আমীরুল ভাই, মাযহার ভাই, আমার বন্ধুরা...
ছোটদের কাগজের সেই ছোট গল্পটি দিয়েই সেই স্মৃতিমেদুরতা কিছুটা ভাগ করার চেষ্টা করলাম!
আপনার পাথর সময়ের অবসান ঘটেছে জেনে ভালো লাগল?
শার্লি ভাবি কেমন আছেন, আর নদী?
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
লিটন ভাই, আমার মা নেই তাই আপনারা খুশি করতেছেন??
অত্যন্ত হৃদয়স্পর্শী লেখা। হিন্দী সিনেমা বা গানের প্রতি অনেকেরই একটা নাক সিঁটকানো ভাব দেখতে পাই। আমাদের দেশী শিল্পীরা প্রায়ই হিন্দী গান ও সংস্কৃতির বিপক্ষে বিষোদগার করে থাকেন। অথচ এখনকার বেশিরভাগ গানই হয় ইংরেজি নয় হিন্দী ফিলমি গানার আরো বাজে সংস্করণ। হিন্দী-উর্দু গান সম্পর্কে ঢালাও মন্তব্য করার আগে এরা লতা,আশা, কিশোর, রফি, মেহদী হাসান, গুলাম আলী, জগজিৎ সিং প্রভৃতি নামগুলো কিভাবে ভুলে যান? সঙ্গীত যারা একটুও জানেন তারা এটা ভালো করেই বোঝেন যে গানের আঙিনায় দ্বিজাতিতত্বের ঠাঁই নেই। হিন্দি-উর্দু উপাদান কেড়ে নিলে বাংলা গানের সৌন্দর্যের বড় রকমের হানি ঘটে। হিন্দী সিনেমা মানেই বাজে -একথাটাও খুব একটা মোটা দাগের কথা।
মা সম্পর্কে কোন সাহিত্যকর্মই আসলে পূর্ণ নয়, পূর্ণ হতে পারে না -আর তাই তা চিরনতুন।
রিটন ভাই, অনেকদিন আগে সাপ্তাহিক ২০০০ এ আপমি মাকে নিয়ে আর মাকে নিয়ে গান নিয়ে একটি লেখা লিখেছিলেন। খুব ভাল লেগেছিল।
আপনি ভাল কেমন আছেন, ভাইয়া?
নতুন মন্তব্য করুন