[ কদিন ধরে কবি শামসুল ইসলামকে খুব মনে পড়ছে। আগামী ২৬ জুন তাঁর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। গত বছর তাঁর মৃত্যু সংবাদ শোনার পর এই স্মৃতিকথাটি লিখেছিলাম জনকণ্ঠে। কবির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে লেখাটি তুলে দিলাম সচলায়তনের বন্ধুদের জন্যে। ]
চলে গেলেন পিকু ভাই। আমাদের অত্যন্ত প্রিয় মানুষ, কবি শামসুল ইসলাম ওরফে পিকু ভাই। পিকু তাঁর নিক নেম বা ডাক নাম ছিলো কিনা জানি না। কোনোদিন জিজ্ঞেসও করা হয়নি। কিন্তু আমরা তাঁকে পিকু ভাই বলেই সম্বোধন করতাম। ষাটের দশকের উজ্জ্বল এই কবি জলৌকা হে নীল যমুনার,চিরবিরিঞ্চির তরু, লোহল নুলিয়া সহ অনেকগুলো কবিতার বই লিখেছেন। লিখতেন ছোটদের জন্যেও। বাক বাকুম এবং ইষ্টিমিষ্টি ছোটদের জন্যে লেখা তাঁর ছড়ার দুটি বই। কবিতায় বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার পেলেন এ বছর।
সকালে কাজে যাবার আগে অভ্যেস মোতাবেক ই-মেইল চেক করতে গিয়ে মনটা বিষন্ন হয়ে গেলো। জনকণ্ঠের আলী হাবিব ‘‘স্যাড নিউজ’’ শিরোনামে জানাচ্ছেন-কবি শামসুল ইসলাম আর নেই। ২৬ জুন রাতে তিনি চলে গেছেন।
তাঁর আত্মার শান্িত কামনা করে কম্পিউটারের সামনে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালনের পর বিষন্ন মনেই বেরিয়ে পরতে হলো দ্রুত। মাত্র ক’দিন আগে আমার প্রিয় আরেকজন মানুষ-সাংবাদিক হেদায়েত হোসাইন মোরশেদের মৃত্যুর খবর জানার পর একই পদ্ধতিতে কম্পিউটারের সামনে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালনের পর কাজে যেতে হয়েছে। মোরশেদ ভাইকে নিয়ে একটি অবিচুয়ারি লিখবো বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু তার মাঝে আমার আরেকজন প্রিয় মানুষ এম আর আখতার মুকুলের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী এসে পড়ায় মুকুল ভাইকে স্মরণ করতে হলো আগে। এখন মোরশেদ ভাইকে নিয়ে লেখাটা আধাআধি শেষ হতে না হতেই সামনে এসে দাঁড়ালেন কবি শামসুল ইসলাম, আমাদের পিকু ভাই!
আমাদের লেখালেখির জগতটা আহেতুক দলাদলিতে পরিপূর্ণ। একে অন্যের পেছনে লেগে থাকতে পছন্দ করেন এই জগতের গুরুত্বপূর্ণ বাসিন্দাদের অনেকেই। এদের মধ্যে পিকু ভাই ছিলেন একেবারেই ব্যতিক্রম। সবার থেকে আলাদা। এই জগতের অজাতশত্রু ব্যক্তি। জীবনে কখনোই কারো বিরুদ্ধে কিছু বলতে শুনি নি তাঁকে। তিনি ছিলেন সবার আপন। ছিলেন তিনি সবার প্রিয়। বাংলাদেশে সম্ববত তিনিই ছিলেন সেই বিরল মানুষটি যিনি সবাইকে ‘‘তুই’’ সম্বোধন করতেন অনায়াসে। কথা বলতেন নোয়াখালীর আঞ্চলিক ডায়ালেক্টে। তাঁর ভাষা এবং ভঙ্গি ছিলো অভিনব আর প্রাণবন্ত ।
মনে আছে, প্রথম পরিচয়ের পর মুহূর্তেই আমাকে তুই সম্বোধন করায় স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে রেগে যাচ্ছিলাম আমি। কিন্তু আমাকে তখন চোখ-ইশারায় ম্যানেজ করেছিলেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত ছড়াকার রফিকুল হক অর্থাৎ দাদুভাই। এবং পর মুহূর্তেই আমাকে আরো একধাপ অবাক করে দিয়ে কবি শামসুল ইসলাম আমার এককালের গুরু রফিকুল হক দাদুভাইকেই বললেন- ‘‘তুই হেঁতিরে (মানে আমাকে) লই আঁর অফিসত চলি আয় একদিন।’’ তার মানে এই লোক দাদুভাইকেও তুই করে বলে!
এরপর আমাকে বললেন-‘‘তুই রেডিওত্ ফ্রোগ্রাম কইরবিনি?’’ আমিতো রেগে আছি তাই বলেছিলাম-না, রেডিওর প্রোগ্রামের ব্যাপারে আমার কোনো আগ্রহ নেই। পান খাওয়া মুখে অসাধারণ একটি লাল হাসি উপহার দিয়ে তিনি বলেছিলেন- ‘‘হুইনছতনি রপিক হেঁতি কিয়া কয়? আরে টিঁয়া দিমু টিঁয়া দিমু। কবিতা-ছড়া ফাট করি টিঁয়া লই চলি আইবি। এক ঘন্টার কারবার। তোরে ছা আর সিঙ্গারা খাবাই দিমু যা।’’
হ্যাঁ, এরপর বহুবার রেডিওতে গিয়েছি কবি শামসুল ইসলাম কিংবা কামরুন্নাহার আপাদের ডাকে, অনুষ্ঠানে অংশ নিতে। যার ডাকেই যাই না কেনো, রেডিও অফিসে শামসুল ইসলাম ওরফে পিকু ভাইয়ের সঙ্গে কিছুক্ষণ আড্ডা না দিয়ে ফেরার কথা চিন্তাই করতে পারতাম না। ভীষণ ভালোবাসতেন তিনি আমাকে। রেডিও স্টেশনে কিংবা একুশের বইমেলার মাঠে একদঙ্গল লোকের সামনেই পিকু ভাই আমাকে অবলীলায় বলতেন-‘‘হেঁরই চালাকের বাজী,তুঁই পিকু অই গেছস্? লাইচ্ছামু ধরি।’’
প্রমিত বাংলায় এর ভাবানুবাদ করলে অর্থটা দাঁড়ায় এরকম- ‘‘তুই অতিমাত্রায় জ্ঞাণী হয়ে গেছিস? বুদ্ধিমানের আব্বা, ধ’রে একদম কষে লাত্থি দিতে থাকবো।’’
তাঁকে ঘিরে থাকা লোকজন হেসে উঠতো আর আমার সঙ্গে পিকু ভাইকে চেনেন না এমন কেউ থাকলে বিষ্ময়ে হতবাক হয়ে যেতেন। প্রকাশ্যে আমাকে লাথি অর্থাৎ পদাঘাত করার বাসনার ঘোষণা দিতে পারেন যিনি, সেই লোকটি ভয়ংকর কেউ না হয়ে যায় না। অথচ মানুষটি ছিলেন ভয়ংকরের ঠিক উল্টোটি। এরকম সদাহাস্যময় সাদাসিধে বন্ধুবৎসল ঝুট ঝামেলাবিহীন অজাতশত্রু নিপাট ভদ্রলোক নিরীহ কবি বাংলাদেশে বিরল।
পিকু ভাই ‘‘পিকু’’ শব্দটি ব্যবহার করতেন একেক জায়গায় একেক অর্থে । পিকু কাহাকে বলে উহা কতো প্রকার ও কি কি সেটা বুঝতে হলে কথোপকথন কালে স্থান-কাল-পাত্র ভেদে কবি শামসুল ইসলাম কর্তৃক শব্দটি প্রক্ষেপনের প্রতি খেয়াল রাখতে হতো। তাঁর প্রয়োগের ওপর পিকু শব্দটির অর্থ বা মিনিং নির্ভর করতো। একটি শব্দে কতোগুলো প্রতীকি অর্থ থাকতে পারে সেটা কবি শামসুল ইসলাম তাঁর ব্যক্তিজীবনের আনন্দ-কোলাহলে এবং একান্ত ও সম্মিলিত আড্ডায় দেখিয়ে গেছেন। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে কবি শামসুল ইসলামের হাফ ডজন পিকুর একটি নমুনা পেশ করা যেতে পারে-
১। তুই একটা পিকু (তুই একটা পাজি)।
২। লেখাটা পিকু হইছে (লেখটা ভালো হয়েছে)।
৩। হেঁতি তো সাংঘাতিক পিকু (সে তো সাংঘাতিক মেধাবী)।
৪। বেশি পিকুগিরি করিছ্যা (বেশি চালাকি করিস না)।
৫। পিকুর দিন শেষ (আগের সেই দিন আর নেই) ।
৬। হেঁতি একটা পিকু মারা পিকু (সে একজন গুরু মারা শিষ্য)।
দুই.
৯৩/৯৪ সালের একটি দিনের কথা না বললেই নয়। সকাল এগারোটার দিকে গিয়েছি আগারগাঁও রেডিও স্টেশনে । একটি অনুষ্ঠানের রেকর্ডিং ছিলো। এমনিতেই আধ ঘন্টা দেরি হয়ে গেছে। তারপরেও নিচতলায় পিকু ভাইয়ের রুমে একটা উঁকি দিয়ে যাই-ভেবে দরোজা ঠেলেই দেখি তিনজন অতিথির সঙ্গে আলাপে মশগুল তিনি। আমাকে দেখেই হইহই করে উঠলেন-‘‘লেট করি ফালাইছস্ চালাকের বাজী, ধরি অক্করে লাইচ্ছাই দিমু, জলদি করি রেকর্ডিং সারি আয়। রেকর্ডিং শেষ করি ছা খাই যাবি এককাপ।’’
তো যথারীতি অনুষ্ঠান শেষে, আধ ঘন্টা পর পিকু ভাইয়ের রুমে গিয়ে দেখি অতিথি তিনজন তখনো আছেন। আমার সঙ্গে তাদের পরিচয় করিয়ে দেবার পর জিজ্ঞেস করলেন-
- ছা খাইবি নি?
- আরে, চা খেতেই তো এলাম। আপনি আসতে বললেন না?
কবি শামসুল ইসলাম তাঁর পিওনকে ডাকলেন। পিওন এলে পিকু ভাই আমাকে জিজ্ঞেস করলেন
- লগে সিঙ্গারাও খাইবি না খালি ছা?
- হ্যাঁ, চায়ের সঙ্গে সিঙ্গারাও চলতে পারে।
এরপর পিওনকে বললেন- যা, ছোত্ করি হাঁচ কাপ ছা, হাঁচটা সিঙ্গারা আর ভালা করি এক খিলি হান লই আয়। অতপর আমাকে বললেন
- দে দে হেঁতিরে বিশটা টিঁয়া দে।
- ক্যানো? আমি তাকে বিশ টাকা দেবো ক্যানো?
- তুই ছা আর সিঙ্গারা না খাইতে চাইলি?
- চেয়েছি। কিন্তু তাই বলে আমাকে টাকা দিতে হবে ক্যানো?
- বেশি পিকুগিরি করিছ্যা। হেঁতিরে দি ফালা বিশটা টিঁয়া।
- আরে কি মুশকিল টাকা দিয়ে আপনার এখানে চা খাবো ক্যানো আমি? এটা তো আপনার অফিস, না কি?
- আমার অফিস তাতে ফ্রবলেম কি?
- আপনি আমার অফিসে আসেন আপনাকে দশটা সিঙ্গারা আর দশকাপ চা খাওয়াবো।
- আরে তুইতো পিকু (কৃপন)অই গেছস! এই দ্যাখ (পকেট থেকে মানিব্যাগ বের করে) মানিব্যাগো টিঁয়া নাই। আঁর কাছে টিঁয়া নাই বলি তুই ছা না খাই চলি যাবি?
ওপরে ওপরে কপট রাগ দেখালেও ভেতরে ভেতরে আমি কবি শামসুল ইসলামের অসাধারণত্বে মু© হয়ে গেলাম। এরকম ঘটনা ঘটানোর মতো মানুষ বাংলাদেশে দ্বিতীয়টি আর নেই। পিকু ভাই ছাড়া এমন কান্ড আর কি কেউ করতে পারেন?
তিন.
২০০১ সালের শেষার্ধে, টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাসে আমার সহকর্মী কমার্শিয়াল কাউন্সিলর হোসেন আহমেদের সঙ্গে কবি শামসুল ইসলামকে নিয়ে গল্প হচ্ছিলো। পিকু ভাইয়ের ‘‘লাইচ্ছামু ধরি’’র কাহিনী শুনে হোসেন ভাই হেসেই গড়াগড়ি। ভালোবেসে, আদর করে কেউ কাউকে ‘‘লাইচ্ছামু’’ বলতে পারে? আরে ভাই এই মানুষটি তো অসাধারণ!
হোসেন আহমেদের পিচ্চি ছেলেটার বয়েস তখন দেড় কি দুই বছর। মিসেস আহমেদ একদিন আমাকে ফোন করে বললেন- আপনার কলিগকে আপনি কি গল্প শুনিয়েছেন ভাই, আমার ছেলেটাকে তো সে সারাদিন শুধু ‘‘লাইচ্ছামু’’ ‘‘লাইচ্ছামু’’ বলে। আর ছেলেটাও এমন! বাবার ‘‘লাইচ্ছামু’’ শুনে সে তো মহা খুশি। আচ্ছা, ‘‘লাইচ্ছামু’’ মানে তো লাথি দেবো, তাইনা ভাই?....।
বাংলাদেশে,টেলিফোনে হোসেন আহমদের সঙ্গে বছর খানেক আগে কথা হচ্ছিলো। জানতে চেয়েছিলাম-আপনার ‘‘লাইচ্ছামু’’ কেমন আছে? হোসেন ভাই বলেছিলেন-‘‘লাইচ্ছামু’’টা এখন অনেক বড় হয়ে গেছে....।
চার.
২৮ জুনের দৈনিক আজকের কাগজের ইন্টারনেট সংস্করণে কবি শামসুল ইসলামের মৃত্যু সংবাদের সঙ্গে তাঁর একটি হাস্যোজ্জ্বল ছবিও ছাপা হয়েছে। কতোদিন পর আমি আমার প্রিয় পিকু ভাইকে দেখলাম!
পিকু ভাই, আমার সঙ্গে দেখা হওয়ার আগেই এভাবে আপনি চলে গেলেন? চালাকের বাজী, লাইচ্ছামু ধরি.....।
অটোয়া, কানাডা^ ২৯ জুন ২০০৭
মন্তব্য
সাংবাদিক হেদায়েত হোসেইন মোরশেদ আর কবি শামসুল ইসলামের আত্মার শান্তি কামনা করি।
রিটন ভাই, লেখাটা অসাধারণ, আগেই পড়েছিলাম, মন্তব্য জানানোর সুযোগ ছিলো না। অনেক ধন্যবাদ লেখাটা এখানে দেয়ার জন্য। আর ধন্যবাদ জানাই সচলকে, নইলে আপনারে মন্তব্য জানাইতাম কেম্নে? বাংলার বানীতে চাকরি করার সময় তার সাথে হাজারো মজার স্মৃতি জড়িয়ে আছে। আমরা তাকে শা.ই ভাই বলে ডাকতাম। মাঝে মাঝে বলতাম ছড়া-কবিতাতো বহুত লিখলেন এই বার কিছু বাউল গান লেখেন শাই ভাই। উনি 'ধুরু ব্যাক্কল, আঁর লগে মশকরা করোচ!' বলেই তেড়ে আসাতেন আর গালিতো আছেই ... নোয়াখাইল্যা ভাষায় ওনার থেকে ভালো (অতি উচ্চদরের, সাহিত্যমান সম্পন্ন) গালাগালি আমি আর কারো কাছে এ জীবনে শুনি নাই। এতো মজার সব লাইন। আর পৌরণিক কাহিনী জানতেন প্রচুর। ওনার লেখায় তার প্রমাণও পাওয়া যায়।
এ ছাড়াও আরো কত কথা ... দুই বছর এক ছাদের নিচে কাজ করেছি.. বলতে গেলে পাশাপাশি টেবিলে... কোথায় সেই দিন, কোথায় সেই মধুমতি প্রিন্টার্স-এর তিন তলা... কোথায় সেই বাংলার বানী... কোথায় পিকু ভাই...
একদিন আপনিও রিটন ভাই... একদিন আমিও....
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
"জলৌকা হে নীল যমুনার" - নামটি আমার খুব প্রিয় ছিলো কৈশোরেই।
অপূর্ব লাগলো স্মৃতিচারণ!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
আপনে একটা পিকু
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
মন খারাপ হলেও ভালো লাগলো পড়ে।
১টা অসাধারণ শব্দ দিলেন রিটন ভাই " লাইচ্ছামু ধরি"
এটাকে আমি ১টা ইমোটিকন ('পুলক চিন্হ '-সন্ন্যাসী দার অনুবাদ
আর হিমুর মতে 'অনুভূতিকন') বানাবো।
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
লাইচ্ছামু ধরি টা মাথায় ঢুকে গেলো...
যদিও আমি বারবারই ভুল করে লাইচ্ছালামু ধরি বলছি...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
বেশি পিকুগিরি করলে কিন্তু লাইচ্ছাই দিমু
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
নির্ভেজাল মনের মানুষদের যে কোনো সম্বোধনই নিষ্কলুষ। কারণ গালি কিংবা লাথি যাই বলুক না কেন- মনের ছাপ তো উল্টো।
-আবার পড়তে পারলাম বলে ধন্যবাদ।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
আবার পড়েছেন বলে আপনাকেও অনেক অনেক পিকু।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
লেখাটা পিকু হইছে, রিটন ভাই।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
পিকুর দিন শেষ।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
আন্নেও তো দেই পিকু অই গেছেন রিটন ভাই ! গল্ফেতও আন্নের পিকু আছে দেইয়ের ! কিওর লাই যে এন এন গল্ফ নো লেই আন্নে পিকু অই রইয়ন, আঁই বুঝিত্ নো পারির্ !
এ-নে এ-নে আন্নে আর লেয়ালেয়ি থুই পিকু নো মারিয়েন।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
হেঁতি একটা পিকু মারা পিকু।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
জানিনা কেন আমার সবসময় নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষা শুনতে খুব ভাল লাগে।পিকু ভাইয়ের স্মৃতিচারণটি অসাধারণ হয়েছে ভাইয়া।এমন ভাল স্মৃতিচারণ আমি খুব কমই পড়েছি।খুব ভাল লেগেছে।পিকু ভাইয়ের আত্মার শান্তি কামনা করছি।
অনেক অনেক পিকু আপনার জন্যে।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
-
ইয়া হাবিবি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হেঁতিও সাংঘাতিক পিকু, আন্নেও সাংঘাতিক পিকু। বেশি পিকুগিরি করতামনা, কারণ পিকুর দিন শেষ!
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
লেখাটা পড়ে মন পিকু হয়ে গেল।
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
রিটন বাই, আন্নে অ্যাককান হিকু (পিকু)! আর আন্নের লেআহানও হিকু (পিকু) অইছে!
আহারে! কতদিন পরে আমার মাতৃভাষায় কেউ বললো, এক্কারে লাইচ্ছালামু দরি!!!! কতদিন পর!!!
লেখাটা পড়তে একটু পিকু হয়ে গেল, তবে শেষ পর্যন্ত পিকু হয় নাই, পড়ছি।
লেখাটা পড়ার পর মনটা একদম পিকু হয়ে গেল।
পরিশেষে, পিকু ভাইয়ের বিদেহী আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।
কি মাঝি? ডরাইলা?
- লাইচ্ছালামু না মেম্বর, শব্দটা হৈলো লাইচ্ছামু। লাইত(চ)+তা(ছা)মু।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আয়হায়,টাইপ করার পর খিয়াল করি নাই। সঠিক শব্দটা জানুম না ক্যান? আমার নিজের মাতৃভাষাইতো!!!
কি মাঝি? ডরাইলা?
নতুন মন্তব্য করুন