তাজউদ্দীন, স্বাধীনতার ইতিহাসের তাজ

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি
লিখেছেন লুৎফর রহমান রিটন (তারিখ: বুধ, ২৩/০৭/২০০৮ - ৮:১৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

(২৩ জুলাই,ইতিহাসের উপেক্ষিত নায়ক শহীদ তাজউদ্দীনের জন্মদিন।)

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসের তাজ
তাজউদ্দীন, তোমায় স্মরণ করছে স্বদেশ আজ।

একাত্তরে শক্ত হাতে কে ধরেছেন হাল
স্বাক্ষ্য দেবে নৈর্ব্যক্তিক কাল ও মহাকাল।
মুক্তিযুদ্ধ সংগঠনে বিশাল অবদান
ইতিহাসে তাজউদ্দীন তাই চির অম্লান।

এমন দিনে অনেক ঋণে স্মরণ করি তাঁকে
মেধা মনন বিলিয়ে দিলেন বাঙালি-বাংলাকে।
ইতিহাসের উপেক্ষিত নায়ক তাজউদ্দীন
জীবন দিয়ে শোধ করেছেন মাতৃভূমির ঋণ।

একাত্তরের গহীন ভয়াল অন্ধকারে জাতি
তিনি তখন আঁধার ঘরের অনিবার্য বাতি।
অনুচ্চস্বর মৃদুভাষী এবং প্রখর জ্ঞাণী
মর্যাদাবান বিনয়ী আর ভীষণ অভিমানী।
একশত ভাগ লয়াল ছিলেন শেখ মুজিবের প্রতি
বিনা বাক্যে তাই মেনেছেন সকল পরিণতি।

সবার উপর মুজিব সত্য এই কথাটি জেনে
লিডার মুজিব যা বলেছেন সেটাই নিতেন মেনে।
শ্রদ্ধা এবং আনুগত্যে মুজিব অন্ত প্রাণ
তাজউদ্দীনের কণ্ঠে বাজে মুজিব ভাইয়ের গান।
চোখ জুড়ে তাঁর ভালোবাসা বুক জুড়ে তাঁর মায়া
তাজউদ্দীনের মধ্যে ছিলো শেখ মুজিবের ছায়া।

যুদ্ধে পরিবারের কথা ভাবেন নি একবারও
এমনতরো দেশপ্রেমিকের প্রাপ্য ছিলো আরো।
বেঁচে থাকতে পাননি যথাপ্রাপ্য ও মর্যাদা
বাঙালিদের নিয়তি কি ষড়যন্ত্রেই বাঁধা?
শত্রুকে তাই বুকে টানি মিত্রকে দিই ঠেলে
ইতিহাসে বারংবারতো এই ইতিহাস মেলে!
অনাদরে অবহেলায় কষ্টে অভিমানে
তাজউদ্দীন দিন কাটাতেন, ইতিহাস তা জানে।

যার যেখানে থাকার কথা সে সেখানে থাকে?
দেশ মাতা কি সন্তানেরে যোগ্যাসনে রাখে?
আমৃত্যু নেতার প্রতি দায়বদ্ধ থেকে
তাজউদ্দীন জীবন দিয়ে প্রমাণ গেলেন রেখে
ইতিহাসের উপেক্ষিত নায়ক তাজউদ্দীন
জীবন দিয়েও রাখেন দেশের পতাকা উড্ডীন।

উপেক্ষাতে ক্ষুব্ধ ছিলেন, ছিলেন অভিমানী
জাতির পিতার সঙ্গে তবু করেন নি বেঈমানী।
খলের ছলে নিজের দলে ছিলেন নির্বাসিত
প্রলোভন আর মৃত্যুভয়ে ছিলেন না তো ভীত।
নেতার প্রতি দায়বদ্ধ ছিলেন আজীবন
মৃত্যুকে তাই করেছিলেন উদার আলিঙ্গন।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসের তাজ
তাজউদ্দীন, তোমায় স্মরণ করছে স্বদেশ আজ।


মন্তব্য

রাফি এর ছবি

"সবার উপর মুজিব সত্য এই কথাটি জেনে
লিডার মুজিব যা বলেছেন সেটাই নিতেন মেনে।
শ্রদ্ধা এবং আনুগত্যে মুজিব অন্ত প্রাণ
তাজউদ্দীনের কণ্ঠে বাজে মুজিব ভাইয়ের গান।
চোখ জুড়ে তাঁর ভালোবাসা বুক জুড়ে তাঁর মায়া
তাজউদ্দীনের মধ্যে ছিলো শেখ মুজিবের ছায়া।"

আফসোস বাংলার জনগনের হৃদয়ের সব কথা বুঝতে পারা নেতা তার সবচেয়ে কাছের মানুষটিকে চিনলেন না!

---------------------
অর্থ নয়, কীর্তি নয় ,স্বচ্ছলতা নয়-
আরো এক বিপন্ন বিস্ময়
আমাদের অন্তর্গত রক্তের ভেতরে
খেলা করে;
আমাদের ক্লান্ত করে;

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তাজউদ্দীনের দূরত্ব সৃষ্টি করা গিয়েছিলো বলেই ১৫ আগস্ট এসেছিলো এতো দ্রুত।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

প্রতিক্রিয়া বা জবাব দেবার কথা খুজে পাচ্ছি না
শুধু এই বলি "অসাধারণ"
আর ছড়ায় প্রকাশিত বক্তব্যের সাথে একমত
সত্যি যথার্থভাবেই তুলে এনেছেন তাজুউদ্দিন কে

"বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসের তাজ
তাজউদ্দীন, তোমায় স্মরণ করছে স্বদেশ আজ।"

মুক্তিযুদ্ধের মহান নায়ক তাজ
হা আমরা ভুলিনি তোমায়
আমরা ভুলব না

2.এই ছড়া লিখে রিটন প্রমান করিল
ছড়াকার রিটন আছে আজও সচল আছে

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************A life unexamined is not worthliving.-Socrates

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

ধন্যবাদ মানিক।
নারে ভাই আমি আপনাদের মতো পুরোপুরি সচল আর হতে পারলাম কই। আমি প্রায় অচল।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍রাফি বলে দিয়েছেন আমার কথা: আফসোস বাংলার জনগনের হৃদয়ের সব কথা বুঝতে পারা নেতা তার সবচেয়ে কাছের মানুষটিকে চিনলেন না!

এমন বিষয়ে ছড়া লেখাটা বেজায় কঠিন বলেই আমার ধারণা। তবে আপনার কথা তো ভিন্ন। আর আপনার ছড়া নিয়ে আমার মুগ্ধতা - সে তো নতুন কিছু নয়।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

সন্ন্যাসী আপনার এবং রাফির সঙ্গে আমিও একমত-

[b]আফসোস বাংলার জনগনের হৃদয়ের সব কথা বুঝতে পারা নেতা তার সবচেয়ে কাছের মানুষটিকে চিনলেন না!

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

দ্রোহী এর ছবি

তাজউদ্দীনের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলী।

চাটুকার পরিবেষ্টিত বঙ্গবন্ধু তাজউদ্দীনকে দূরে ঠেলে দিয়ে প্রমাণ করেছিলেন তিনিও ভুলের উর্ধ্বে নন।


কী ব্লগার? ডরাইলা?

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

ঠিক।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

তবু ভাগ্য যে তাজউদ্দিনকে কোনো ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে প্রমাণ করার চেষ্টা করেনি পরবর্তী সরকারগুলো। সম্ভবত তাকেঁ অতটা গুরুত্বপূর্ণ ভাবেনি তারা। নিজেকে লুকিয়ে রাখা মানুষটাকে যে খুড়ে খুড়ে তুলে আনবো আপন মহিমাসহ এটা তারা বুঝতে পারেনি বোধহয়... নাহলে তার চরিত্র নিয়ে কম টানা হ্যাচড়া হতো না মনে হয়।

তাজউদ্দিনকে জাতির সামনে উপস্থাপন করতে হবে বেশি করে... তবে জাতি যদি একটু বুঝতে পারে যে এই দেশে অনেক ভালো মানুষো ছিলো...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

বাঙালি বিস্মরণপ্রিয় জাতি। সহজেই ভুলে যায়।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

আকতার আহমেদ এর ছবি

দুর্ভাগা বাঙালির ইতিহাসে “তাজ” নাই
আজো তাই বেজে চলে সামরিক বাজনাই !

ধন্যবাদ রিটন ভাই ছড়ার জন্য ।

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

ধন্যবাদ আকতার। ভালো আছো তুমি?

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

আমারও মনের কথা রাফি বলে দিয়েছেন। দেশের জন্য সংসার তুচ্ছ করা একজন মানুষ আজকের বাংলাদেশ দেখলে কী ভাবতেন? সেই লজ্জার কথা ভাবি, আর মুক্ত বাংলাদেশে রুদ্ধ সচলায়তনের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলি।


রাজাকার রাজা কার?
এক ভাগ তুমি আর তিন ভাগ আমার!

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

আজকের এই বাংলাদেশকে দেখার জন্যে তাজউদ্দীন একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেন নি।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

কীর্তিনাশা এর ছবি

রিটন ভাইকে ধন্যবাদ জানাই এত সুন্দর ছড়ার জন্য। তাজউদ্দিনের মত নেতা আজ আমাদের বড় দরকার। কিন্তু এ দুর্ভাগা দেশ আরেকজন তাজউদ্দিন কি পাবে কখনো?

---------------------------
সচল আছি, থাকবো সচল!!

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ বলেছিলেন- যে দেশ গুণীর কদর করে না, সে দেশে গূণীরা জন্মায় না।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

শিক্ষানবিস এর ছবি

তাজউদ্দীন-কে নতুন করে স্মরণ করতে হল ছড়াটি পড়ে। ছড়াকারের প্রতি তাই কৃতজ্ঞতা।

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

ধন্যবাদ।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

উদ্ধৃতি
একাত্তরের গহীন ভয়াল অন্ধকারে জাতি
তিনি তখন আঁধার ঘরের অনিবার্য বাতি।

তাজউদ্দীন সাহেব বেঁচে থাকলে আমাদের ইতিহাস এমন কলঙ্কিত হয়তো হতো না।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

আমারও তাই মনে হয়।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

অচল আনি এর ছবি

লুৎফর রহমান রিটন লিখেছেন:
বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তাজউদ্দীনের দূরত্ব সৃষ্টি করা গিয়েছিলো বলেই ১৫ আগস্ট এসেছিলো এতো দ্রুত।
১০০% সত্যি।
"আফসোস বাংলার জনগনের হৃদয়ের সব কথা বুঝতে পারা নেতা তার সবচেয়ে কাছের মানুষটিকে চিনলেন না!"-- রাফি
আর দেশটার আজকের পরিণতির কারণও এই চিনতে না পারার ভুল।
ইতিহাসের ভুলে যাওয়া মহানায়ককে সশ্রদ্ধ সালাম।

------------------------------------
জয় বাংলা ব্লগিং! জয় সচলায়তন!!

------------------------------------
জয় বাংলা ব্লগিং! জয় সচলায়তন!!

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

সহমত অচল আনি।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

শেখ জলিল এর ছবি

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসের তাজ
তাজউদ্দীন, তোমায় স্মরণ করছে স্বদেশ আজ।

....এই অসাধারণ নেতার জন্মদিনে তাঁকে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!

হিমু এর ছবি

মঈদুল হাসানের "মূলধারা '৭১" পড়ে বিস্মিত হয়েছিলাম। তাজউদ্দীন যে কী সরু, কন্টকিত পথে একলা হেঁটেছিলেন শিশু বাংলাদেশকে বুকে জড়িয়ে রেখে, তা এই বইটা না পড়লে জানা হতো না।

আওয়ামী লীগের নেতাদের একটা বিশাল অংশ খেয়োখেয়ি শুরু করেছিলেন শুরুতেই, এবং তা তাঁরা চালিয়ে গেছেন বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগ পর্যন্ত। এমন কোন হেনস্থা নেই যা তারা প্রবাসী সরকারকে ভোগ করতে বাকি রেখেছিলো। মুজিব-বাহিনীর পক্ষ থেকে তাজউদ্দীনকে হত্যার জন্যে পাঠানো হয়েছিলো একজন মুক্তিযোদ্ধাকে, যে সরাসরি তাজউদ্দীনের কাছে গিয়ে নিজের অস্ত্র জমা দিয়ে এই পরিকল্পনার কথা ফাঁস করে দিয়েছিলো। তাজউদ্দীন প্রতিশোধের কথা চিন্তা করেননি। সবার আগে দেশ স্বাধীন করতে চেয়েছিলেন।

তাজউদ্দীন যদি না থাকতেন, যদি আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব থাকতো খোন্দকার মুশতাক আর সমমনা লোকগুলির হাতে, আমরা কি স্বাধীন হতে পারতাম?

সম্ভবত পারতাম না।

তাজউদ্দীনের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। তাঁর মতো মানসিক স্থৈর্য্য যেন আমাদের সন্তানেরা ধারণ করতে পারে।


হাঁটুপানির জলদস্যু

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

তাজউদ্দীন-এই নামটি উচ্চারিত হবার সঙ্গে সঙ্গে আপনিতেই নত হয়ে আসে মাথা, শ্রদ্ধায়।
হিমু,এই মানুষটিকে যথাযথ মুল্যায়ন না করার পাপ থেকে আমাদের মুক্তি নেই। আহারে কী অবিচারটাই না আমরা করেছি জাতির এই শ্রেষ্ঠ সন্তানের প্রতি!

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

হিমুর সাথে একমত
মুজিব বাহিনী হাতে নিহত হবার
আশঙ্কায় তিনি ১৬ ডিসেম্বর ঢাকা আসেননি
এমন কথাই বলেছিলেন জনাব মোহায়মেন আর ড এ আর মল্লিক কে

নুরুজ্জামান মানিক
**********************************A life unexamined is not worthliving.-Socrates

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

স্নিগ্ধা এর ছবি

আহারে কী অবিচারটাই না আমরা করেছি জাতির এই শ্রেষ্ঠ সন্তানের প্রতি!

ধন্যবাদ তাঁর স্মৃতিতে চমৎকার এই ছড়াটির জন্য!

আবু রেজা এর ছবি

যার যেখানে থাকার কথা সে সেখানে থাকে?
দেশ মাতা কি সন্তানেরে যোগ্যাসনে রাখে?

তাজউদ্দীনকে যথাযোগ্য মর্যাদা দিতে পারিনি - এটা আমাদের ব্যর্থতা।
জাতির পিতাকে বাঁচাতে পারিনি - এটা আমাদের ব্যর্থতা।
রাজাকার মন্ত্রী - এটাও আমাদের ব্যর্থতা।
কিন্তু শুধু ব্যর্থতা স্বীকার করে দায় এড়ানো যায় না।

যে জন বঙ্গেতে জন্মি হিংসে বঙ্গ বাণী
সে জন কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।।

গীতিকবি এর ছবি

বাংলাদেশের প্রতি তাজউদ্দীনের যে মহান অবদান তা বাংলার বেশী ভাগ জনগণই জানে না। তাঁর যথাযথ মূল্যায়ন করা উচিত।
রিটন ভাইকে ছড়াটির জন্য ধন্যবাদ।
____________________________
শেখ ফেরদৌস শামস ভাস্কর
"আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি।"

____________________________
শেখ ফেরদৌস শামস ভাস্কর
"আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি।"

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।