৭৯ সালের প্রসন্ন এক সকালে নন্দিত শিশুসাহিত্যিক আলী ইমামের ঠাটারি বাজার বিসিসি রোডের বাড়িতে আড্ডা দিচ্ছি।আমাদের ওয়ারী হেয়ার স্ট্রিটের বাড়ি থেকে বিসিসি রোডের দূরত্ব হাঁটার মাপে পনেরো কুড়ি মিনিট।আলী ইমাম তখন আমার চোখে এক বিস্ময়।দ্বীপের নাম মধুবুনিয়া, অপারেশন কাঁকনপুর, তিতিরমুখীর চৈতা,শাদা পরি এইরকম কিছু বই লিখে পাগল করে রেখেছেন আমাদের।অসম্ভব জাদুকরী মায়াময় একটা ভাষা ভঙ্গি আয়ত্ব করেছিলেন তিনি।আমরা দুজন সাহিত্য চলচ্চিত্র পত্র-পত্রিকা ইত্যাদি নানান বিষয় নিয়ে কথা বলছি।ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক অর্থাৎ আবহসঙ্গীত হিশেবে বাজছে অন্তরা চৌধুরীর গান—এক যে ছিলো মাছি, নাম ছিলো তার পাঁচি……।
পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত এবং অবিরাম লিখে লিখে আমি তখন বেশ পরিচিতি অর্জন করে চলেছি।আমার একেককটা দিন মস্রিন…।
আলাপে আলাপে সকাল গড়িয়ে দুপুর। হঠাৎ আলী ইমাম ভাই বললেন—অনেক তো হলো রিটন, এবার তোমার একটা বই বেরুনো দরকার।
--আরে ধুর,আমার বই কে বের করবে?
--কেনো শিশু একাডেমী করবে।
--কী যে বলেন না আলী ইমাম ভাই!
--না না, সত্যি সত্যি বলছি, শিশু একাডেমী বের করবে তোমার বই।আমার সঙ্গে ওদের খুবই ভালো সম্পর্ক।আমি নিজে গিয়ে তোমার পান্ডুলিপি জমা দিয়ে আসবো।আমার সঙ্গে ওদের অনেক কাজ।টেলিভিশনে আমি ওদের জন্য যথেষ্ঠ করি। ওরা আমার কথা ফেলবে না।
আলী ইমামের কথার জাদুতে মুহূর্তেই আমার চোখের সামনে ঝলমলে চাররঙে ছাপা চোখ কাড়া প্রচ্ছদের অপূর্ব একটা ছড়ার বই ঝিলিক দিয়ে উঠলো।আহারে স্বপ্ন…।
আলী ইমাম ভাই বললেন—আগামী সপ্তাহেই আমি শিশু একাডেমীতে যাচ্ছি, একটা রেকর্ডিং আছে।তুমি দেরি না করে একটা স্ক্রিপ্ট রেডি করে ফেলো। তোমার প্রকাশিত ছড়াগুলো থেকে বাছাই করে কিছু ছড়া দামি অফসেট কিংবা কার্টিজ পেপারে সেঁটে আমার কাছে নিয়ে আসবে শিগগিরই।দেরি করো না যেনো।
আমার তখন কী যে হলো!মন হয়ে যায় উড়ু উড়ু। মন হয়ে যায় পাখীর ডানা।
ডিআইটি এভিনিউর দৈনিক বাংলার ঠিক বিপরীতে হারুণ এন্টারপ্রাইজ।ওখান থেকে দামি কার্টিজ পেপার,স্কচটেপ,কাঁচি, গ্লু এবং লাল টকটকে একটা ফাইল কিনে আনলাম। সযত্নে পেপার কাটিংসগুলোকে পুনরায় ঠিকঠাক কেটেছেঁটে একেকটা পৃষ্ঠায় একেকটা ছড়াকে সাঁটালাম পরম আদরে।তোরা এখন বই হয়ে বেরুবিরে…।
বিসিসি রোডের শামস্ প্রিন্টিং প্রেসের ওপরতলায় আলী ইমাম ভাইদের বাসা।এই বাড়ির দোতলায় আলী ইমামের মা বাবা আর ভাইবোনরা থাকে। তিনতলায় থাকেন ভাবী আর আলী ইমাম ভাই।আলী ইমামের ছোট এক ভাই অপু আমার ক্লাসমেট ছিলো। (অপুর কথা আসবে সময় মতো।কৈশোরে বিভূতিভূষণের পথের পাঁচালী পড়ে হু হু কান্নায় ভেঙে পড়া আলী ইমাম গভীর মমতায় তাঁর সদ্যোজাত ছোটভাইটির নাম রেখেছিলেন অপু।)অপু আর আমি নবাবপুর গভর্ণমেন্ট হাই স্কুলে একই ক্লাশে পড়েছি।আলী ইমামও সেই স্কুলেরই ছাত্র ছিলেন।
যেনো ব্যথা না পায় এরকম সতর্কতায় লাল ফাইলটাকে বুকে চেপে ধরে ওয়ান ফাইন মর্নিং হাজির হলাম আলী ইমাম সমীপে।শামস্ প্রিন্টিং প্রেসের সরু গলি পেরিয়ে লম্বা এবং খাঁড়া সিঁড়ি ভেঙে আলী ইমাম পর্যন্ত পৌঁছুতে পৌঁছুতে নতুন একটা ছড়ার বই কতোবার যে উদ্ভাসিত হয়ে উঠলো চোখের সামনে!বিসিসি রোডের নিত্যলাল সুইট মিট থেকে গুড়ের সন্দেশ কিনে নিয়েছিলাম এক প্যাকেট।গুড়ের সন্দেশ আলী ইমাম ভাইয়ের খুবই প্রিয়।তো সন্দেশ নিয়ে আসার জন্যে কপট ধমকও জুটলো খানিকটা। কিন্তু প্রথম বই প্রকাশের আনন্দের সঙ্গে মিষ্টিটা বেমানান নয় মোটেই।সুতরাং অপরাধ মার্জনীয়।
ফাইলটা নেড়েচেড়ে দেখে আলী ইমাম ভাই তাঁর ড্র্য়ার থেকে রঙিন সাইনপেনের প্যাকেটটা বের করলেন। তারপর নিজ হাতে সিরিয়াল নাম্বার লিখলেন প্রতিটি পৃষ্ঠায়।সিরিয়াল নাম্বারগুলোকে তিনি খুব কায়দা করে গোল গোল বৃত্ত এঁকে তার ভেতরে ঢুকিয়ে দিলেন। রুদ্ধশ্বাসে আমি ঘটনার ঘনঘটা অবলোকন করছি।তাহলে পান্ডুলিপি তুমি এইভাবে হও!
আমার দেয়া বইয়ের নামটা(এই মুহূর্তে মনে পড়ছে না কি নাম রেখেছিলাম, পরে মনে এলে বলবো।) পাল্টাতে চাইলেন আলী ইমাম ভাই।আমি বললাম—খালি আমার নিজের নামটা ঠিক রেখে আপনার যা খুশি পালটে ফেলেন।আলী ইমাম ভাই বললেন—তুমি তোমার অসংখ্য ছড়ার ঝাঁপি থেকে কিছু ছিটেফোঁটা এখানে দিয়েছো, তাই তোমার বইয়ের নাম হওয়া উচিত—ছিটেফোঁটা।বাধ্য এবং অনুগত ছাত্রের মত মাথা নাড়ালাম আমি—ঠিক আছে।
ফাইলে এক্সট্রা কার্টিজ পেপার ছিলো অনেকগুলো। তারই একটায় আলী ইমাম ভাই তাঁর রঙিন সাইন পেন দিয়ে ঝকঝকে অনিন্দ্যসুন্দর হস্তাক্ষরে লিখলেন—ছিটেফোঁটা।একেকটা রঙে একেকটা অক্ষরকে ডাবল স্পেস দিয়ে দিয়ে লিখলেন তিনি—ছি টে ফোঁ টা।তারপর লিখলেন আমার নামটি।এবং সবশেষে পৃষ্ঠার একদম নিচে, ডানদিকে লিখলেন য়্যাড্রেস।দৃষ্টিতে রাজ্যের সমস্ত মুগ্ধতা নিয়ে আমি তাকিয়ে থাকি।আলী ইমাম ভাই বললেন—এই বৃহস্পতিবারেই যাচ্ছি আমি শিশু একাডেমীতে। তোমার পান্ডুলিপিটা সেদিনই দিয়ে আসবো।
দ্রুত আমি বার গুণি—আজ মংগলবার।দুদিন পরেই তোরা শিশু একাডেমী গিয়ে পৌঁছাবি রে…।
আলী ইমাম ভাই ছিটেফোঁটার লাল ফাইলটাকে ফাইল-লাগোয়া সুঁতোর বেল্টে বেঁধে নিলেন টাইট করে।আমি বেঁধেছিলাম একটু লুজ করে, ছড়াগুলোর যাতে হাঁসফাঁস না লাগে। আলী ইমাম ভাই তাঁর লেখার টেবিলের পাশের স্টিলের আলমিরাটা খুললেন।আমি মুগ্ধতা নিয়ে তাকিয়ে আছি।তিনি আমার ফাইলটাকে আলমিরার তৃতীয় র্যা কের বাম দিকের সারির একেবারে শুরুতেই দাঁড় করিয়ে রাখলেন।পুরো থার্ডর্যাৌক জুড়ে আরো অজস্র ফাইল ঠাঁসাঠাসি করে দাঁড়ানো।স্টিলের আলমিরার দরোজা বন্ধ হবার শেষ মুহূর্তে আমি নিঃশব্দে,খুব গোপনে বাই বাই জানালাম ওদের—ভা্লো থাকিস রে, ভালো থাকিস।বই হয়ে আসিস।
সমস্তটাদিন আমার কেমন করে যে কাটলো!বাড়ি ফিরলাম দুপুরের ক্যাটক্যাটে রোদে নিজের ছায়ার সঙ্গে কথা বলতে বলতে।কিন্তু কোনো কাজে আমার মন বসে না।হঠাৎ হঠাৎ আনন্দে মন লাফিয়ে ওঠে।এদিক ওদিক তাকিয়ে জনমানবহীন ঘরের বিছানায় অহেতুক একটা ড্রাইভ দেই—মহারাজা তোমারে সেলাম………।
পরের সপ্তাহে খবর নিতে গেলাম।পান্ডুলিপিটা কি জমা দিতে পেরেছিলেন?জিজ্ঞেশ করতেই আলী ইমাম ভাই জানালেন,ওটা জমা দেয়া হয়েছে।তুমি একদম চিন্তা করোনা তো।শুনে আমার কী যে ভালো লাগে!
--তা কতোদিন লাগবে বই হয়ে বেরুতে?
--খুব বেশি তো লাগার কথা না।ধরো মাস ছয়েক।
--মাস ছয়েক।তার মানে আগামী ফেব্রুয়ারির বইমেলায়!?
খুশিতে ডিগবাজী খেতে ইচ্ছে করলো কিন্তু আলী ইমাম ভাইয়ের বাড়িতে বলে ইচ্ছেটার বাস্তবায়ন ঘটানো গেলো না সহসাই।
সেবার ফেব্রুয়ারি আসতে প্রতিবারের তুলনায় অনেক দেরি হলো।ক্যালেন্ডারের পাতায় তারিখগুলো অহেতুক যেনো আটকে থাকলো।জুলাই আগস্ট কোনো রকমে পার হলো কিন্তু সেপ্টেম্বর মাস থেকে শুরু হলো ক্যালেন্ডারের অলস যাত্রা।মনে হলো প্রতি দুইদিনে ক্যালেন্ডার একদিন এগুচ্ছে!
অবশেষে ফেব্রুয়ারি এলো।মাসজুড়ে বাংলা একাডেমীর চত্বরে বইমেলাও শেষ হয়ে গেলো কিন্তু আমার বইটি এলো না শেষ দিন পর্যন্ত।অভিমান করে নিজেকে খাওয়ার কষ্ট দিতে থাকলাম।খিদে পেলেও খাইনা। প্রতিদিন দুপুর কিংবা রাতের খাওয়া কোনো কোনো দিন দুপুর এবং রাত দুইবেলার খাওয়াই স্কিপ করা শুরু করলাম।অনাহারে শরীর কাঁপে।কিন্তু তবুও নিজেকে শাস্তি দেয়া থেকে বিরত থাকি না।ধিরে ধিরে কমে আসে অভিমান।
এভাবেই দিন যায়।
আলী ইমাম ভাইয়ের সঙ্গে দেখা হয় নিয়মিতই।তিনি আশ্বাস দ্যান—হবে রিটন হবে।আগামী বার নিশ্চয়ই হবে।
আমি আশায় আশায় পার করে দিই আরো একটি বছর।১৯৮১ সালের বইমেলাতেও বইটি যখন বেরুলো না তখন, বইমেলা শেষ হলে মার্চের প্রথম সপ্তাহে আমি দ্বিধা-ভিরু পায়ে হাজির হলাম বাংলাদেশ শিশু একাডেমীতে।প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক তখন বিপ্রদাশ বড়ুয়া।বিখ্যাত কথাশিল্পী। তাঁর কক্ষে গিয়ে খুবই বিনম্র ভঙ্গিতে সালাম-টালাম দিয়ে বললাম—দাদা আমার বইটা এবারো বেরুলো না!
তিনি একটু অবাক হয়ে জানতে চাইলেন—তোমার বই কি বেরুনোর কথা ছিলো?
--জ্বি দাদা।
--কোত্থেকে?
--কেনো, শিশু একাডেমী থেকে!
চরম বিস্মিত বিপ্রদাশ—তোমার বই!শিশু একাডেমী থেকে বেরুনোর কথা তোমার বই?
আমার মেজাজ ততোক্ষণে চড়তে শুরু করেছে—জ্বি আমার বই।গত বছর বইমেলায় আসবার কথা ছিলো, আসেনি।এইবারও আসেনি।আমি জানতে এসেছি আর কতোদিন আমাকে অপেক্ষা করতে হবে? আমাকে উত্তেজিত হতে দেখে একটুখানি নরম হলেন বিপ্রদাশ বড়ুয়া।
--পান্ডুলিপি কবে জমা দিয়েছো?
ঊনাশি সালের মাঝামাঝি।
আমাকে বিস্ময়ের শেষ প্রান্তে পৌঁছে দিয়ে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক য়্যাকসেন্টের সঙ্গে শুদ্ধ বাংলার মিশেল দিয়ে বিপ্রদাশ বললেন—না, তুমি কোনো পান্ডুলিপি জমা দাওনি শিশু একাডেমীতে।
--আমি নিজে এসে দিইনি দাদা কিন্তু আলী ইমাম ভাই দিয়েছেন।
এইবার নড়েচড়ে বসলেন বিপ্রদাশ।এতোক্ষণ পর্যন্ত তিনি আমাকে বসতেও বলেন নি।এইবার বললেন—তুমি বসো।
আমি বসলাম।কিন্তু বিপ্রদাশের আচরণে আমি এতোটাই ক্ষুব্ধ যে ভদ্রতাবোধও হারাতে বসেছি প্রায়—বই লাগবে না, আমার পান্ডুলিপি ফেরত দ্যান।
বিপ্রদাশ তাঁর চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ালেন—তোমার পান্ডুলিপি আমাদের কাছে থাকলে তো ফেরত দেবো! শোনো আমি হচ্ছি প্রকাশনা বিভাগের প্রধান।আমার জানা মতে তোমার কোনো পান্ডুলিপি আমাদের এখানে নেই। কিন্তু তুমি যতোটা শিওর হয়ে বলছো…দাঁড়াও তোমার সামনেই ব্যাপারটা ক্লিয়ার হওয়া দরকার বলতে বলতে বিপ্রদাশ বড়ুয়া তাঁর ড্রয়ার থেকে বের করলেন চাবির গোছা।তারপর চেয়ার থেকে উঠে গিয়ে ডানদিকের দেয়াল ঘেঁষা স্টিলের আলমিরার ভেতরে থাকা মোটাসোটা একটা বাঁধাই করা রুলটানা ফুলস্কেপ খাতা বের করে আনলেন।মুখোমুখি বসে আছি আমি আর বিপ্রদাশ বড়ুয়া।খুবই চিন্তিত মুখে খাতাটা টেবিলের ওপর রেখে খুব দ্রুততার সঙ্গে কয়েকটি পৃষ্টায় চোখ বুলিয়ে আমাকে বললেন—এই যে দেখো, ১৯৭৯ সাল থেকে এবছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যে সব পান্ডুলিপি শিশু একাডেমীতে জমা পড়েছে তার পুরো তালিকাটা সিরিয়ালি ডেট ওয়াইজ এখানে তুলে রাখা আছে।কই তোমার কোনো নাম তো দেখছি না!
আমি উঠে দাঁড়িয়ে ঝুঁকে সিরিয়াল অনুযায়ী তালিকাটা দেখলাম।নেই।কোত্থাও নেই আমার কিংবা আমার বইয়ের সামান্য ছিটেফোঁটা!নিজের চোখকেই যেনো বিশ্বাস করতে পারছি না।আমার পৃথিবীটা দুলে উঠলো।সরি দাদা আপনাকে কষ্ট দিলাম বলতে বলতে আমি বেড়িয়ে এলাম শিশু একাডেমী থেকে।আমার চোখ থেকে টপটপ করে গড়িয়ে পড়া অশ্রুবিন্দুগুলো শিশু একাডেমীর বারান্দা এবং দুপাশে বাগানের মাঝখান দিয়ে যাওয়া মূল ফটকের প্রশস্ত পাথুরে হাঁটা পথটার ধুলোর মধ্যে মিলেমিশে একাকার হয়ে গেলো।
অশ্রু খুবই মূল্যবান একটা জিনিস।মুল্যবান এই জিনিসের অপচয় করতে হয় না ।কিন্তু আমি সেই অশ্রুর অপচয় করলাম বেহিশেবীর মতো।সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সবুজ ঘাস আর দুপুরের রোদ,কয়েকটা বিশাল বৃক্ষ আর তাদের উদাসী পত্র-পল্লব, কয়েককটা কাক আর একটা ঘাসফড়িং আমাকে সেদিন নিঃশব্দে অশ্রু বিসর্জন করতে দেখেছিলো।
মন্তব্য
আপনার এই সিরিজ টা পড়তে গিয়ে একটা কথা বারবার মনে পড়ছে, আমরা খালি একজন প্রতিষ্ঠিত লেখক কে দেখি, তার সৃষ্টি গুলোকে দেখি কিন্তু তার শুরুর দিকের গল্প গুলো তেমন ভাবে আমাদের জানা হয় না কখন। চালিয়ে যান প্রিয় ছড়াকার, থামা চলবে না কিন্তু।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
হ্যাঁ,আমি শুরুর দিকের গল্পই লিখতে শুরু করেছি। আর সে কারণেই দেখুন না--সিরিজের ভেতরে সিরিজ ঢুকে পড়েছে......
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
এই গল্পের শেষের প্রতিশোধের অংশটা একসাথে দিলে আরো আনন্দ পেতাম পড়ে। জানি জীবনে যা চাই সব হয় না, কিন্তু আগের দুটি ছত্রে আপনি আমাদের আশা বাড়িয়ে দিয়েছেন। পাটকেল নেই এই গল্পে?
এতো কথার মাঝে বলতে ভুলছিলাম, পড়ে কতো ভালো লাগলো সে কথা। আপনার ব্যস্ততার মধ্যেও লিখুন আমাদের জন্য, প্রতীক্ষা নিয়ে অনেক পাঠক বসে থাকে।
ভালো থাকবেন।
পাটকেল আছে।কিন্তু সেই পর্যন্ত গেলে লেখাটা আমার চে মোটা হয়ে যাবে।
ধন্যবাদ আপনাকে। আপনি অনেক গুণী মানুষ।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
লেখা মোটা হলে কোনো অসুবিধে নেই, আমরা পাঠকেরা ভয়ানক খুশি হয়ে যাবো। যতো মোটা লেখা ততো ভালো।
আপনার থেকে প্রশংসা পেয়ে ধেইনৃত্য করতে ইচ্ছে হচ্ছে এই মাঝরাতে।
কী বলা যায় বুঝতে পারছি না রিটন ভাই।
মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল।
দ্রুত পরবর্তি পর্ব দেবেন আশাকরি............
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
দ্রুতই দিচ্ছি পরের পর্ব......।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
এটাতো ওয়ান সাইডেড হয়ে গেল। এটার কোন পে ব্যাক হয়নি?
এটার পে ব্যাক হয়েছিলো তো!
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
তারপর?
লিখি নাই।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
এই কাহিনী এইখানে শেষ হইতে পারে না। বাকি অংশ তাড়াতাড়ি পোস্ট দেন রিটন ভাই।
তারপর?
---------------------------------------------------------------------------
No one can save me
The damage is done
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
লিখি নি।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
লিখ্যা ফেলেন
হ
আলী ইমাম সাহেবের জন্য মায়া লাগতাছে।
আমারও।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
ঠিকাছে।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
সাম্প্রতিক বইমেলায় কিছু সচলের ক্ষেত্রে ঘটে যাওয়া ঘটনা মনে করে চিন্তা করছিলাম উনি ও কি আপনার পান্ডুলিপি নিজের নামে চালিয়ে দিলেন কিনা
---------------------------------------------------------------------------
No one can save me
The damage is done
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
না। আমার ক্ষেত্রে তেমন ঘটনা ঘটেনি।ইয়ে,বইমেলার ঘটনা কি একটু খুলে বলা যায়?
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
পড়তে পারেন এটি ও ওটি
---------------------------------------------------------------------------
No one can save me
The damage is done
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সেদিনের ছি টে ফোঁ টা অশ্রু বিসর্জনেই তো আমরা আজ রিটন ভাইকে পাচ্ছি।
বাহ্, ছি টে ফোঁ টা--র দারুণ ব্যবহার দেখাইলা তো ছোটভাই......
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
রিটন ভাই, প্লিজ, এইটার পাটকেল পর্বটা পরের পর্বে লিখে দেন। পাটকেল না জানা পর্যন্ত শান্তি পাচ্ছি না।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
ব্রাদার ধারাবাহিক নাটক শুরু হইছে,সিরিয়াল ব্রেক কইরা কি শেষ পর্ব আগে প্রচার করা যায়?
কাভি নেহি...।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
মনখারাপ করে দিলেন রিটন ভাই।
এরপরের ঘটনাগুলো খুব জানতে ইচ্ছে করছে।...জলদি লিখুন প্লিজ।
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
এইরকম অনেক কাহিনীর সংকলনই তো আমাদের জীবন।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
পড়িতেছি।
বুঝিতেছি।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
রিটনদা এই গল্পটা বোধহয় 'ছোটদের কাগজ'-এ প্রকাশিত হয়েছিলো, তাই না? এরপর থেকে আলী ইমাম নামটা শুনলেই বিবমিষা লাগে |
আচ্ছা, 'ছোটদের কাগজ' -এর কোন সংকলন বের করা যায় না? ছাপা না হোক, ডিজিটাল?
দারুণ প্রস্তাব, আমিও ভোটাইলাম !
আহারে ছোটদের কাগজ ! একেকটা সংখ্যার জন্য চাতকের মতো অপেক্ষা করতাম। আমার অনেক ছড়াও ছাপা হয়েছিল ছোটদের কাগজে
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
সংকলন কবে হাতে পাচ্ছি?
আজি হতে শত বর্ষ পরে...
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
বড়ভাই, গরীবদের দয়া করেন এক্টু!
জীবনে এই প্রথম শাহেনশাহ নামের একজন গরীব মানুষের দেখা পেলাম!
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
হাতুড়ে ডাক্তারের প্রস্তাবনা শুনে আমার চোখের সামনে সেরা সন্দেশের ছবিটা ভেসে উঠলো। রিটন ভাই, বিবেচনা করে দেখুন!
আহারে সেরা সন্দেশ!
হিমু তোমার নিশ্চয়ই মনে আছে সেরা সন্দেশের ওই চিঠিটার কথা--স্বরে য়া আক্রান্ত চিঠিটা............নাকি ভুল করলাম?
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
তারচেয়েও বেশি ছাপ রেখে গেছে আদিনাথ নাগের "চামচিকিৎসা" আর কার যেন লেখা কাকতাড়ুয়ার ছড়া, প্রেমেন্দ্র মিত্রের তরক্ষু-শল্লকীর ছড়া।
না। এই গল্প এর আগে লেখাই হয়নি। ছাপা তো নয়ই।
----
ছোটদের কাগজ-এ প্রকাশিত লেখাগুলো থেকে বাছাই করে একটা বড় সংকলন প্রকাশের পরিকল্পনা নিয়েছিলাম।শেষ করে এনেছিলাম লেখা বাছাইও। তৈরি করা হয়েছিলো সূচিপত্রও।কিন্তু আমি তো ভাগোয়াট হয়ে গেলাম দেশ থেকে.........
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
আপনার মন্তব্যের জবাবটা নিচে অন্য জায়গায় চলে গেলো কেনো?
নাহ আমাকে দিয়ে এইসব হবে না......
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
বস, পুরা মাসুদ রানার স্বাদ পাচ্ছি!
কিন্তু ঢেকুর তুলতে পারলাম না তো!!! পাটকেল ছাড়েন দ্রুত। লেখার সাইজ নিয়ে ভাববেন না। আমরা হাতুড়ে লেখক হতে পারি, হাতুড়ে পাঠক নই আরেকটু বড় লেখা হয়তো পড়া যাবে যদি এমন শিহরণমূলক হয়। কুইক।
আরেকটু যোগ করি। সচলকে ধন্যবাদ, আপনার মতোন এরকম গুণী লোকের সাথে এতো ঘনিষ্ঠভাবে মত বিনিময়ের সুযোগ করে দেবার জন্য। আপনার পেছনের ইতিহাসটা হয়তো জানাই হতো না। আমি যদ্দূর বিশ্বাস করি, আপনি হয়তো এগুলো ছাপাবেন না, নাকি ভুল ভাবলাম?!
তোমার বিশ্বাসভঙ্গের জন্যে আমি দুঃখিত।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
মোটেই না, আপনার সেই বইয়ের এক কপি আগাম বুকিং দিলাম
রিটন ভাই, আপনার এই সিরিজটা পড়তে শুরু করেই খালি পাটকেল খুঁজি।
নিজে কখনো এমন ভাবে পাটকেল দিতে পারি না বলেই বোধ হয় আপনার এই ঈর্ষনীয় ক্ষমতায় মুগ্ধ হচ্ছি। লেখার কথা নাই বা বললাম।
ছোটবেলায় একসময় আলী ইমামের লেখার ও ভক্ত ছিলাম।
আপনি গল্পটা শেষ না করলেও পরিনতি অনুমান করেই ধাক্কা খেলাম।
গুনী মানুষের ক্ষুদ্রতা দেখলে কেমন যেন খুব অসহায় লাগে।
এখন যারা লেখালেখি সহ বিভিন্ন কাজে প্রতিষ্ঠা পেতে সংগ্রাম করছেন,
মাঝে মাঝে ভীষণ ভেঙ্গে পড়েন আপনার এই সিরিজ সবার জন্য চমৎকার টনিকের কাজ করবে।
ভাল থাকবেন। তাড়াতাড়ি পরের পর্ব দিন।
লেখার আলস্য কাটিয়ে উঠতে পারলেই পরের পর্ব.........আমি খুব অলস রে ভাই!
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
কেন যেন মনে হচ্ছে এটার শেষটা হয়তো পাটকেল না... অন্য কোন ক্লাইমেক্স। তবে খুব তাড়াতাড়ি পরের পর্ব দিন... মুখিয়ে আছি...
আপনার লেখা গল্প বা উপন্যাস পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম। (হয়তো লিখেও থাকবেন, আমার পড়াশোনা অনেক কম)। শুভেচ্ছা!
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
হতেও পারে আবার নাও হতে পারে। হেহ হেহ হেহ...
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
অফ টপিক: আপনার লেখায় পড়ে ছোটবেলায় শোনা গান মনে পড়ে গেল... অন্তর্জালে খুঁজে অন্তরা চৌধুরীর "এক যে ছিল মাছি" এবং "ও মাগো মা" গান দুটো খুঁজে বের করলাম। অনেকদিন পর গানগুলো শুনে মনে পড়ে গেল চিন্তাহীন শৈশবের কথা। অনেক ধন্যবাদ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
এই সিরিজের আগের পর্বগুলোতে মন্তব্য করা হয়নি
এখানে বলে রাখি, দুর্দান্তিস সিরিজ হচ্ছে
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
আরে রানা নাকি!
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
হু
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
উঁ!
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
সিরিজের মধ্যে সিরিজ জিনিসটা সরকারের মধ্যে সরকারের মতো। জনতাকে কষ্ট দেয়। রিটন ভাই, শেষ পর্যন্ত আপনিও চা খাওয়া শুরু করলেন ?
সিরিজ লিখতে গিয়ে বুঝলাম চা হচ্ছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ খাদ্য আইমিন পানীয়......
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
- রিটন ভাই, দরকার হলে কফি খান, কোক খান, ডাবের পানি খান- তাও চা খাইয়েন না!
সচলায়তনে চা খাইতে খাইতেই তো হিমুর গায়ের রংটা কয়লা হয়ে গেছে। আপনি কি এই বদমাশ হিমুটার মতো হাবশী খেতাব নিতে চান? কাভি নেহি নিশ্চই! অতএব, পত্রপাঠ পাঠকের দাবী মোতাবেক মোতাব্বির রে চায়ের দোকানে না পাঠায়ে জলদি আপনারে বাতাস করতে বলেন। যেই গরম পড়ছে, লেখতে লেখতে যাতে ঘাইমা না যান, সেইজন্য এই ব্যবস্থা।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
রিটন ভাই,
আপনার লেখার প্রসাদগুন নিয়ে অনেক বড় বড় লোক অনেক ভাল ভাল কথা বলেছেন নিশ্চয়ই। আমি তাই সেদিকে যাচ্ছি না। শুধু জানাতে এলাম, কী রকম অপার মুগ্ধতা নিয়ে আপনার লেখা পড়ছি। সেদিনের রিটন থেকে আজকের রিটনে আসার পথের বাঁক গুলো দেখতে পাচ্ছি। দেখতে পাচ্ছি সৃষ্টির বেদনায় আকীর্ণ এক লেখকের সৃষ্টিসুখের উল্লাস। পর মুহূর্ত্তেই দেখতে পাই সেই লেখকই আমাদের সবার মতই হতাশায় আক্রান্ত হতে, বিষাদে ভারাক্রান্ত হতে। বুক ভেঙ্গে যাওয়ার দুঃখে আমাদেরই মত পার্কে একা বসে তাঁর অশ্রু মোচন।
আপনার এই লেখা আমার এবং আমাদের সবার কাছে কতটা মূল্যবান, সেটা বলে বোঝাতে পারব না। লেখকের পেছনের মানুষটা কে জানা, লেখককে জানার চাইতেও রোমাঞ্চকর!!!
তুমুল গতিতে চলুক এই সিরিজ----
শুভেচ্ছা
লেখকেরা তো আমাদের চারপাশ থেকে উঠে আসা মানুষেরই প্রতিনিধি।তাই না?
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
রিটন ভাই, সেই কখন থেকে বসে আছি পরের পর্বের জন্য
আমার রাজকারবার তো লাটে উঠলো বলে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
সর্বনাশ আমার কারণে আপনার কাজকারবার লাটে উঠলে তো আমার খবর আছে!লেখালেখি ছেড়ে তো পালাতে হবে......
পরের পর্ব লিখবো।আপনি তো জ্বিনের বাদশাহ, একটা লেখাপড়া জানা শিক্ষিত এবং বাংলা কম্পোজ করতে পারে এমন একটা জ্বিন পাঠিয়ে দিন না...
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
সাগ্রহে পড়ছি। পর্বগুলো আরো বড় করার তীব্র দাবি জানাই।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
বাংলা কম্পোজ করে দিতে পারে এমন একটা কাউকে যদি পেতাম তাহলে রোজ রোজ পোস্ট দিতে পারতাম।লেখা আরো বড় হতো।আর আপনারা পড়তে পড়তে ক্লান্ত হতেন।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
আপনার সব লেখাই খুব মন দিয়ে পড়ি কিন্তু কমেন্ট করতে সাহস হয়না, আমি বুঝিইবা কী আর কমুইবা কী! শুধু দুইখান কথাঃ-
১। আপনি নিজের অজান্তে একটা জেনারেশনকে প্রেরণা দিয়ে গেছেন অক্লান্তভাবে, আমাদের হাতে ধরে শিশু-কিশোর থেকে তরুন-যুবকে পরিণত করেও ছেড়ে যান নি, যেমন আমাদেরও ছেড়ে যায়নি আপনার প্রতি, আপনার সৃষ্টিশীলতার প্রতি অপার মুগ্ধতা।
২। আমাদের মাথার উপর আপনার স্নেহের ছাতার পরিধি বেড়েই চলেছে , আমার মতো অজস্র অগা মগাদের আশ্রয় দিয়েও তার শান্তিময়তায় কোন টান পড়েনি, জানি পড়বেও না
এইবার একটা আজাইরা কথা আলী ইমামের লেখা আমার কোন দিনই ভালো লাগেনি...কোথায় জানি একটু বেসুরো লাগতো...আপনার লেখা পড়ে কখনই সেই সমস্যায় পড়তে হয়নি।
জয়তু বস, ভালো থাকুন
ধন্যবাদ মামুন। প্রাণিত হলাম।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
পরের পর্ব পাটকেলের পরে দিলেও অসুবিধা নাই। আগে এইটার পাটকেলটা দেন।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
দ্রিমু দ্রিমু।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
অনেক খারাপ লাগলো পড়ে, রিটন ভাই
হ্যাঁ, মন খারাপ করা ঘটনা।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
রিটন ভাই, আপনার গদ্য যে চমৎকার, সে তো আগে থেকেই জানি। জানিনা কেবল এই গল্পের পরের ঘটনাটা। তবে আলী ইমাম ভাই যে জটিল মানুষ সেটা কীভাবে যেন আগেই কানে এসেছে আমার।
দুনিয়াটা বড়ই বিচিত্র !!!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
রিটন ভাই, আপনার লেখাটার শুরুটা পড়েই একটা মন্তব্য করতে ইচ্ছে করছিল, শেষ পর্যন্ত পড়ে বুঝতে পারছি না কি করব !!!
আলী ইমাম এর নাম অনেক ছোটবেলা থেকেই শুনছি। অন্য অনেকের দৌরাত্ম্যে ওনার লেখা খুব একটা পড়া হয়নি। আমার ছোটবেলায় ওনার জৌলুস কমে এসেছিল অনেকটা।
অনেক পরে দৈনিক সংবাদে কাজ করার সময় ওনাকে অনেক দেখেছি লেখা নিয়ে আসতে ছোটদের পাতার (খেলাঘর) জন্য। ওনাকে দেখে খুব একটা শ্রদ্বা জাগেনি কেন জানি! ভেবেছি, অপুর্ণতা আমার। মনে হয়েছে তাকে শ্রদ্ধা করতে না পারাটা আমারই অপরাধ। আজ অনেকদিন পর নিজেকে ক্ষমা করা যায় কিনা সেই সিদ্ধান্ত নেব আপনার এই লেখার শেষটুকু পড়ে...
ছোটদের কাগজ এর সংকলন করুন জলদি রিটন ভাই
চুল গোঁফ আরো সাদা হবার আগে
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
আপনার গদ্য সত্যি অসাধারণ...
আপনি হাতে লিখে স্ক্যান করে পাঠায়ে দেন, আমি কম্পোজ করে দিবোনে... তবু পরের পর্ব ছাড়েন
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
তুমি আমাকে আশ্বস্ত করলে নজরুল,অনেক ধন্যবাদ তোমাকে।
সচলে আসার পর ঠিক এইরকম কথাই বলেছিলো হাসিব নামের একজন বন্ধু।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
ভাই, বোমা, শলতা সব ঠিক কৈরা আগুন নিয়া কৈ গেলেন?
অপেক্ষায় আছি .......
রিটন ভাই,
আপনার লেখা পড়ে অমিতাভ বচ্চনের ব্লগের কথা মনে পড়ছে... উনি ব্লগে লিখতে শুরু করেই ৪০ বছরের জমানো বাঁশ সাফ করতে শুরু করেন, আর ১,১টা বাঁশও ভাই কোন হোমরা-চোমরাকে স্থির থাকতে দেন নাই।
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
একসাথে এতোকথা বলতে ইচ্ছা করলো যে ...ঠিকাছে ছাড়া কিছুই বলতে পারলাম না। পাটকেলের আপেক্ষায়....
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
ঠিকাছে।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
অসাধারন একটি লেখা পড়লাম মুগ্ধ হয়ে, নচ্ছাড় আলী ইমাম নিপাত যাক (এই মিয়াকে কত ভালো মানুষই না ভাবতাম), রিটনদার পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় বসে থাকলাম।
আরে না না, নিপাতের দরকার নাই। আমাদের শিশুসাহিত্য এমনিতেই অভিভাবকহীন।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
পিছু ফিরে দেখা ...কিংবা এক হিসেবে হয়তো আত্মজীবনীও এই সিরিজটা।
তবে সবচাইতে ভালো যে বিষয়টা এখান থেকে শেখার আছে , সেটা হচ্ছে একজন তরুণের লেখক হয়ে ওঠার স্ট্রাগলটা।
সাধারন বিশ্বাস হচ্ছে , অমুক খুব লাকি তাই সে খ্যাতি পেয়ে গেছে , আমি পাইনি । তমুকের ব্যাটে বলে লেগে গেছে এই পত্রিকার কারনে অথবা তমুক বড় ভাইয়ের কল্যানে , তাই সে নাম করে গেছে।
কথায় আছে " ডাকার মতো ডাকলে খোদা কেমনে শোনে না।"
আমরা তো ডাকাডাকি করিনি , আপনাদের মতো স্ট্রাগল করিনি কোন পর্যায়েই , আর তাই হয়তো লেখক হতে গিয়েও হতে পারিনি শেষ পর্যন্ত।
এই লাইনে(!) স্ট্রাগলের কোনো বিকল্প নাইরে ভাই......
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
আলী ইমামের লেখা আমি ছোটবেলায় পড়েছি, এক হিসেবে এক সময়ের প্রিয় লেখকও বটে। একবার তাকে সেই ছোটবেলা চিঠি লিখেছিলাম , বলা বাহুল্য সে চিঠির জবাব পাইনি।
যাক , আলী ইমাম যে আপনার সাথে এমন ব্যবহার করতে পারেন সেটা কল্পনাও করিনি। আমার ধারনা ছিল আপনাদের প্রজন্মের ছড়াকাররা তার মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন।
তিনি বাংলা একাডেমীর পুরষ্কার পেলে পরে দেখলাম ছড়াকাররা ঘটা করে তাকে সংবর্ধনা দিলেন বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে।
কথা মিথ্যে নয়। আবার আমাদের প্রজন্মের ছড়াকারদের মাধ্যমে তিনিও ব্যাপক উপকৃত হয়েছেন সেটাও ঠিক।
তিনি বাংলা একাডেমী পুরস্কার পেলে আমি টোকিও থেকে ফোন করে তাঁকে অভিনন্দনও জানিয়েছি। আমাদের পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে একটা পোস্টও আসবে অচিরেই।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
ভীষণ আগ্রহ ও মনোযোগ দিয়ে এ সিরিজ পড়ছি। ভালো লাগছে...
'অপারেশন কাঁকনপুর' এর কথা মনে হতেই মনে হতো একটুকরো সোনালী ছেলেবেলা। আপনার লেখা পড়ে তার মধ্যে ধুসুর বড়বেলা ঢুকে গেলো।
- খালি বয়সে কুলালো না দেখে। নাইলে আলী ইমাম ভাইয়ের শালী(দে)র ঠিকানা বের করে বুঝিয়ে দিতাম কৈশোরের আমার বইয়ের আমার প্রিয় ছড়াকারের সাথে মাস্তানী করার ফল কী ভয়াবহ!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
পাটকেল দেন পাটকেল দেন পাটকেল দেন।
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
সিরিজ ভালো লাগতেসে রিটন ভাই। অপারেশন কাকনপুর-এর মত বইয়ের লেখক এইরকম কাজ করলেন কেন বুঝতে পারছি না!
ফোনে ডিকটেশন দেন, আমি টাইপ করে দেবো নে। অধমের বাংলা টাইপিং স্পিড মাশাল্লাহ খারাপ না।
অনেক ধন্যবাদ ইশতিয়াক। তোমরা এতো ভালো......
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
রিটন ভাই চা খাওয়া শুরু করায় ভালোই হলো। আমাকে একা পেয়ে কিছু দুরাত্মা বদনাম শুরু করে দিয়েছিলো ।
মিয়া কী জিনিস যে শিখাইলেন।
খুব ভালো জিনিস শিখিয়েছে হিমু.........চা, পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ পানীয়, হেহ হেহ হেহ
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
রিটন ভাই, কই গ্যালেন ?
পাটকেল কই ?
বাংলাদেশে চলে গিয়েছিলাম।
একটু ঝামেলায় আছি রে ভাই।
পাটকেল দিচ্ছি। অবশ্যই।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
লেখা দেন ভাই। পড়ি।
আমি এখন আপনাদের লেখাগুলো পড়ছি.........
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
নতুন মন্তব্য করুন