আমাদের সাহিত্যের কীর্তিমান পুরুষ আবদুল মান্নান সৈয়দ আর নেই। তাঁর সান্নিধ্যের অতিসাম্প্রতিক স্মৃতিগুলো বার বার ভেসে উঠছে চোখের সামনে।
আমার সম্পাদিত ছোটদের কাগজে তিনি কয়েকটি ছড়াও লিখেছিলেন। এবার ঢাকায় গিয়ে অসাধারণ একটি সন্ধ্যা আমি আর আহমাদ মাযহার কাটিয়েছিলাম তাঁর বাড়িতে। সেই প্রথম এবং শেষ, মান্নান ভাইয়ের বাড়িতে যাওয়া। এর আগে কোনোদিন যাওয়া হয়নি তাঁর বাড়িতে।
বাংলা সাহিত্যে আবদুল মান্নান সৈয়দ-এর অবদান অনন্য সাধারণ।
শুদ্ধতম কবি, জীবনানন্দ সমগ্র, করতলে মহাদেশ, সত্যের মতো বদমাস--কতো কতো বই! কবিতায় মাছ সিরিজ, পরাবাস্তব কবিতা, পার্ক স্ট্রিটে এক রাত্রি...কতো কতো প্রিয় বই।
মান্নান ভাই, আপনি আমার শ্রদ্ধা নিন আরেকবার।
মন্তব্য
আমি জীবনানন্দের ভক্ত হয়েছিলাম ওনার বই এর মাধ্যমেই। তাই চির কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা রইলো।
.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
কবি মরে গেলে দুঃখ কমে যায় পৃথিবীতে
_________________________________
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
কবি মরে গেলে দুঃখ কমে যায় পৃথিবীতে!
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
কারণ কবিদের মতো দুঃখ পেতে আর কেউ জানে না
কবি তার বিরল সংবেদনশীলতার কারণেই কবি ...
_________________________________
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
শ্রদ্ধা জানাই।
তিনি শুধু কবিই ছিলেন না, একজন শক্তিশালী গল্পকার, সর্বোপরি শ্রেষ্ঠ জীবনানন্দ বিশেষজ্ঞদের একজন। ঈশ্বরগুপ্ত থেকে শুরু করে রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, জীবনানন্দ এমন কি হালেও অনেক কবিদের নিয়েও তাঁর গবেষণার মৌলিক ধারাটি সমৃদ্ধতায় প্রবর্ধিত হয়েছিলো। আমরা সাহিত্যজগতের একজন মহান ব্যক্তিত্বকে হারালাম। মহান আল্লাহতাআলার কাছে তাঁর রুহের মাগফেরাত কামনা করি।
মান্নান সৈয়দের ছোটগল্প 'মাংশ' আমার পড়া বাংলা ভাষার সেরা একটি রচনা।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
গ্রীন রোডের স্বল্পবাসের সময় ওনাকে বেশ কবার দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল। বড় অসময়ে চলে গেলেন এই বহুমুখী মানুষটি।
----------------------------------------
আজি দুঃখের রাতে, সুখের স্রোতে ভাসাও তরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
গ্রীন রোডের পৈত্রিক বাড়িতেই থাকতেন তিনি। গ্রীন রোডের নামটা উঠে এসেছে তাঁর রচনায়, গদ্যে, কবিতায়।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
কবির পরিজনের প্রতি সমবেদনা জানাই।
সমবেদনা রইল ওনার প্রিয়জনদের প্রতি। তাদের দুখটুকু স্পর্শ করা হয়ত সম্ভব না।
সমবেদনা জানাই।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
...........................................................
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
খুব ভাল লাগে ওনার লেখা। মন খারাপ হলো খবরটা শুনে।
-----------------------------------
আমার জানলা দিয়ে একটু খানি আকাশ দেখা যায়-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা...শোক সামলে ওঠতে পরিজনেরা শকতি পান।
মনটা খারাপ হয়ে গেলো , রিটন ভাই।
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
সুজন,সারাটা দিন কেটে গেলো শুধু তাঁর স্মৃতি তর্পনেই। অনেক স্মৃতি আমার, তাঁর সঙ্গে।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
কবিরা মরে না। বেঁচে থাকে তার কীর্তির মাঝে। শ্রদ্ধা জানাই কবিকে।
সালেক খোকন
কবির স্বজনদের জন্য সমবেদনা!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
কবির প্রতি শ্রদ্ধা আর পরিবারের প্রতি সমবেদনা। নিশ্চয়ই আমরা তার কাছ থেকে এসেছি এবং তারই কাছে প্রত্যাবর্তনকারী।
শুদ্ধতম কবির প্রতি বিনম্রশ্রদ্ধা।
পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।
__________♣♣♣_________
না-দেখা দৃশ্যের ভেতর সবই সুন্দর!
__________♣♣♣_________
না-দেখা দৃশ্যের ভেতর সবই সুন্দর!
...........................................................................
সমবেদনা রইল কবির প্রিয়জনদের প্রতি।
সমবেদনা রইল কবির প্রিয়জনদের প্রতি।
মান্নান সৈয়দকে মাঝে মাঝে ক্রিসেন্ট রোডের আশেপাশে আর অলিয়স ফ্রঁসেসে দেখতাম। কথা বলার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু বলা হয়নি।
---------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
কবির প্রতি শ্রদ্ধা। স্বজনদের প্রতি সমবেদনা
আপনাকে স্কুলে যাওয়ার পথে প্রায়ই দেখতাম, গ্রীন রোডে, আমার জীবনে প্রথম দেখা কবি। সেই বালকের চোখে আপনি ছিলেন বিস্ময়কর একজন মানুষ, অর্ধেক জীবন শেষে সেই বিস্ময় আজো কাটেনি...বিদায় কবি...প্রিয় কয়েকটি লাইন স্মরণ করছি।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
কবির পরিবারের প্রতিসমবেদনা রইলো।
পলাশ রঞ্জন সান্যাল
মান্নান সৈয়দের মৃত্যুসংবাদ পাবার পর ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলাম--"বাংলা সাহিত্যের কীর্তিমান পুরুষ আবদুল মান্নান সৈয়দ আর নেই"।
একটু আগে ফেসবুকে গিয়ে দেখি ৫ জন এই শোক সংবাদটি লাইক করেছে!
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
মননশীলতা আর প্রজ্ঞায় নিঃসন্দেহে বাংলা ভাষার গুরুত্বপূর্ণ একজন লেখক মান্নান সৈয়দ। বাংলা একাডেমির একুশে বক্তৃতায় একাধিকবার তার আলোচনা শোনার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। তার বিশ্লেষণ অসাধারণ। কিন্তু তার সৃজনশীলতার কোথাও আমি বাংলাদেশকে পাই নি। ষাটের উত্তুঙ্গ জাতীয়তাবাদের উত্তাল সময়েও ফররুখীয় কায়দায় 'শিল্পের জন্য শিল্প' বর্মের ভেতর আত্মমগ্ন ছিলেন তিনি। সম্ভবত শেকড়ের সংকটে ভুগেছেন তিনি শেষ জীবন পর্যন্ত।
--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে লিখি কথা
আমি তো বেকার পেয়েছি লেখার স্বাধীনতা
--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে/ লিখি কথা ।
আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার/ স্বাধীনতা ।।
নতুন মন্তব্য করুন