"গণতন্ত্র মুক্তি পাক / স্বৈরাচার নীপাত যাক"

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি
লিখেছেন লুৎফর রহমান রিটন (তারিখ: বুধ, ১০/১১/২০১০ - ১১:২৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর ছিলো অবরোধ দিবস। সারা দেশ থেকে দলে দলে মানুষ এসে জড়ো হয়েছিলো ঢাকায়।মিছিলে মিছিলে উত্তাল হয়ে উঠেছিলো সেদিন ঢাকা নগরী।গুলিস্তান-বংগবন্ধু এভিনিউ-বায়তুল মোকারম এলাকায় জনতার ভিড়ে, সমস্ত জনতাকে ছাপিয়ে বারবার একটি মুখই উদয় হচ্ছিলো। আর সেটি নূর হোসেনের।খালি গা। জিন্সের ট্রাউজার পরনে।বুকে পিঠে স্লোগান লেখা—স্বৈরাচার নীপাত যাক/গণতন্ত্র মুক্তি পাক।সে ছুটছিলো এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে।থামছিলো না সে খানিকক্ষণের জন্যেও।ডিউটিরত পুলিশদের অনেকেই ক্ষুব্ধ হচ্ছিলো তার কর্মকান্ডে।এক পর্যায়ে সেই পথ দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি যাচ্ছিলো।যুবকটিকে দেখে গাড়ি থামিয়ে তিনি তাকে ডাকলেন। বললেন,শিগগির জামা গায়ে দাও, পুলিশ তো তোমাকে গুলি করবে।উদোম-উদ্দাম বুকে পিঠে স্লোগান লেখা সেই যুবক তার প্রিয় নেত্রিকে পায়ে হাত দিয়ে সালাম করলো। তারপর স্লোগান দিতে দিতে হারিয়ে গেলো জনতার ভেতরে।
এর কিছুক্ষণ পরেই গুলির শব্দ।বায়তুল মোকারম গেইটের কাছে পুলিশের গুলিতে ঢলে পড়লো সেই যুবক।জনতা কিছুটা ছত্রভংগ।এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই পুনরায় সংগঠিত।আবারো গুলির শব্দ।

নূর হোসেনের লাশ ছিনিয়ে নিয়েছিলো পুলিশ। মিছিলের সহযোদ্ধা ক্লাশ নাইনের সুমন এক সাক্ষাতকারে জানিয়েছিলো,--‘আমি দেখলাম বায়তুল মোকাররমের গেইটের কাছেনূর হোসেন পড়ে গেলেন। দৌঁড়ে গিয়ে তাকে ধরলাম।এই জায়গায় আরেকজন শহীদ হয়েছেন। শহীদ বাবুল। নূর হোসেনের গুলি লেগেছে পেটের ডানপাশে। বাবুলের গুলি লাগে কোমরের নিচে।আমি নূর হোসেনের গুলি লাগা জায়গা চেপে ধরলাম। আশপাশে কয়েজন রিকশা ডেকে আনে। আমি তাকে কোলে নিয়ে রিকশায় বসি। নূর হোসেন বললেন, আমার কিছু অয় নাই। তবে এরশাদরে যাইতেই হইবো।নূর হোসেন বিড়বিড় করে আরো কী যেনো বললেন। তার খুব কষ্ট হচ্ছিলো......তার শরীর থেকে বেরুনো রক্তে আমার কাপড় ভিজে যাচ্ছিলো।...মনে হচ্ছিলো তিনি যেনো একটু জিরিয়ে নিচ্ছেন।আমার কান্না পাচ্ছিলো।রিকশাঅলা তাড়াতাড়ি চালাতে চাচ্ছিলো। রিকশা আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে দিয়ে বেরিয়ে গোলাপ শাহ মাজারের কাছে আসতেই পুলিশের কয়েকটা গাড়ি রিকশা ঘিরে ফেলে।নূর হোসেন তখন বিড়বিড় করে কথা বলছে।একজন পুলিশ আমার শার্টের কলার চেপে ধরে গালি দিলো। আমাকে বললো রিকশা থেকে নেমে যেতে। আমি বললাম—ও মইরা যাইব, হাসপাতালে নিতে দ্যান।পুলিশ আমাকে টেনে রিকশা থেকে নামিয়ে বন্দুকের বাট দিয়ে পিঠে বাড়ি দেয়। নূর হোসেন মাটিতে পড়ে গিয়ে গোঙ্গাতে থাকে।একজন পুলিশ তাকে দুই পা ধরে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায়।পুলিশ ধম্‌কে আমাকে সরিয়ে দেয়।’

এরপর নূর হোসেনকে আর পাওয়া যায় নি। নূর হোসেনের লাশ তার গরিব বাবা মাকে একটিবার দেখতেও দেয়া হয় নি। গোপনে রাতের অন্ধকারে লুকিয়ে তাকে মাটিচাপা দেয়া হয়েছে।জীবন্ত নূর হোসেনকে স্বৈরাচার এরশাদ যতোটা ভয় পেয়েছিলো তার চে বেশি ভয় পেয়েছিলো তাঁর লাশকে। আর তাই দীর্ঘদিন ধরে লুকিয়ে রাখা হয়েছিলো তাঁর সমাধিকে।কিন্তু এরশাদ জানতো না—এ লাশ মাটির তলায় থাকবে না।জেগে উঠবেই।এরশাদ কি জানতো যে নূর হোসেনরা কখনো মরে না?নূর হোসেনরা চলে যাবার আগে বলে যায়—‘আমরা সহস্র হবো অজস্র মৃত্যুতে’।নূর হোসেনের মা বলেছিলেন, ‘কত থানায় গিয়া তার বাপে কান্নাকাটি করছে, পোলার লাশ দেখতে চাইছে। কেউ তার কথা শোনে নাই।সে যে শহীদ হইছে এইটা পরথম জানবার পারি পেপারে ফটো দেখার পর। রাইতে বিবিসির খবরে তার কথা কয়। আমার অবস্থা তো তখন বুঝেন। হায় হায় কইরা বুক চাপড়াইলাম। কিন্তু কেউ লাশটার খোঁজ দিলো না। আমি নামাজ পইড়া আল্লার কাছে কইলাম, যে জালিম আমার পোলার লাশ পর্যন্ত দেখতে দিলো না, তার উপর য্যান গজব নাজিল হয়।’

পুরান ঢাকার ছেলে আমি।থাকতাম হেয়ার স্ট্রিট,ওয়ারিতে।আমাদের বাড়ির খুব কাছেই ছিলো বনগ্রাম রোড। ওখানে একটা বস্তির মতো ঘুঁপচি গলিতে থাকতো সময়ের সাহসী সন্তান নূর হোসেন। স্বৈরাচারী হো মো এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের অমর শহীদ নূর হোসেন।নূর হোসেন বেঁচে থাকতে তাঁকে আমরা এলাকায় আলাদা করে কেউ-ই চিনতাম না।চিনেছি তাঁর মৃত্যুর পর।আমি নিজেও তাঁদের বাড়িতে গিয়েছি এরশাদের পতনের পর, বিটিভির ক্যামেরা ইউনিট নিয়ে।তাঁর বাবা আর ছোট বোনের সাক্ষাতকার নিয়েছিলাম।কিন্তু হোমোর পতনের আগে,১৯৮৭ সালের ১০নভেম্বর নূর হোসেনের আত্মত্যাগের পর আন্দোলন যখন তুঙ্গে, তখন, ৮৭-র নভেম্বরের শেষান্তে, একটা সংকলন করেছিলাম আমরা কয়েকজন। সংকলনটির নাম ছিলো ডিগবাজি জেনারেল।ওটার প্রচ্ছদে ছিলো বুকে পিঠে স্লোগান লেখা শহীদ নূর হোসেনের সেই বিখ্যাত ছবিটি।সংকলনটির মূল সংগঠক ছিলেন আবদুল আজিজ। খেলাঘর এর এক সময়ের সাধারণ সম্পাদক।সম্পাদক হিশেবে নাম গিয়েছে সিরাজুল ফরিদের।প্রচ্ছদের জন্যে ছবিটা আমি এনেছিলাম আলোকচিত্রি পাভেল রহমানের কাছ থেকে।ছবিটা নিয়ে সেই সংকলনের জন্যে বুলেটবিদ্ধ গণতন্ত্র নামে একটি তাতক্ষণিক ছড়া রচনা করেছিলাম।নিউজপ্রিন্টের প্যাডে।একটাকা দামের বলপেনে।পুরান ঢাকার একটি নড়বড়ে চায়ের দোকানে বসে।
তখন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রতিদিন ‘হটাও এরশাদ বাঁচাও দেশ’ ব্যানার ঝুলিয়ে আমরা প্রতিবাদী অনুষ্ঠান করি। খুব দ্রুততার সঙ্গে সকল কার্য সম্পাদিত হলো।একদিনের মধ্যেই প্রকাশিত হলো ডিগবাজি জেনারেল।বিকেলে শহীদ মিনারের সামনে ঢাকা মেডিকেলের গেইটের কাছে রিকশা থেকে নামতেই শুনি সৈয়দ হাসান ইমামের ভরাট কন্ঠের আবৃত্তি—বুলেটবিদ্ধ গণতন্ত্র, লিখেছেন লুৎফর.........। শহীদ মিনার থেকে বেশ খানিকটা দূরে,সমবেত প্রতিবাদী জনতার সঙ্গে দাঁড়িয়ে আমিও শুনলাম আমার সদ্য লিখিত ছড়াটি। পাবলিক আমাকে চিনতে পেরে বিপুল ভাবে অভিনন্দিত করলো। তখন সময়টাই এমন ছিলো যে আমরা গণতন্ত্রকামী স্বৈরশাসন থেকে মুক্তিকামী মানুষগুলো এক গভীর আত্মীয়তার বন্ধনে যেনো বা বাধা পড়েছিলাম।আমরা কেউ কাউকে চিনতাম না কিন্তু সবাই সবাইকে চিনতাম।

সাতাশির ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের কোনো এক হালকা কুয়াশাচ্ছন্ন ভোরে এলাকার সমাজকর্মী নগর আওয়ামী লীগের নেতা সালাহউদ্দিন বাদল এসে কড়া নাড়লেন।ঘুম ঘুম চোখে দরোজা খুলে দাঁড়াতেই তিনি বললেন—তোমার সঙ্গে এক ভদ্রলোক দেখা করতে এসেছেন।
--কে এসেছেন?
--শহীদ নূর হোসেনের বাবা।
--আরে!কোথায় তিনি?
--অই তো স্কুটারে বসে আছেন।
ছূটে গেলাম তাঁর কাছে। কাঁচাপাকা দাড়ির এক বৃদ্ধ বসে আছেন চালকের আসনে।আরেকটু এগিয়ে গেলাম। বাদল ভাই পরিচয় করিয়ে দিলেন আমার সঙ্গে—চাচা, এই যে এর নামই রিটন, আপনার ছেলেরে নিয়া কবিতাটা যে ল্যাখছে।
নূর হোসেনের বৃদ্ধ পিতার কোলের ওপর আমি সেই সংকলনটি দেখতে পেলাম। কাঁপা কাঁপা হাতে তিনি আমার ছড়ার সঙ্গে ছাপা নূর হোসেনের ছবির ওপর স্নেহের পরশ বুলিয়ে দিচ্ছিলেন।ঠিক সেই মুহূর্তে আমার কিছু বলা উচিত। কিন্তু আমি কিছুই বলতে পারলাম না। শুধু তাকিয়ে থাকলাম সেই বৃদ্ধের দিকে।ঠোঁট কাঁপছে তাঁর। চোখ দুটো ভরে গেছে অশ্রুতে। তাঁর কাঁপা কাঁপা একটি হাত উঠে এলো আমার মাথায়। আমি মাথাটা তাঁর দিকে সামান্য নমিত করলাম।কিছুক্ষণ নিরব আশীর্বাদ করে হাতটা নেমে গেলো।হাতটা নামার সময় তাঁর অস্পষ্ট কান্নামিশ্রিত কন্ঠস্বরটি শুনতে পেলাম......বাজান!বাজান!

কাকে ডাকলেন তিনি ওভাবে? আমাকে ডাকলেন তিনি বাজান বলে? নাকি নূর হোসেনকেই বলতে চাইলেন কিছু?

আমি জানি না। আমার জানা হয় নি।

আজ শহীদ নূর হোসেন দিবসে তাঁকে স্মরণ করে সচলায়তনের বন্ধুদের জন্যে তুলে দিচ্ছি আমার সেই ছড়াটি--

বুলেটবিদ্ধ গণতন্ত্র
বুলেটবিদ্ধ গণতন্ত্র পিচঢালা পথ লাল
দশই নভেম্বর সকালে শহর উন্মাতাল।

আকাশ বাতাস প্রকম্পিত স্লোগানে স্লোগানে
বিশাল জনস্রোত বয়ে যায় সামনে বাঁয়ে ডানে।
কিন্তু মিছিল যায় না হটে যায় না পেছন দিকে
টিয়ার গ্যাসের ধোঁয়ায় আকাশ হোক না যতোই ফিকে।

মিছিল মিছিল জঙ্গি মিছিল পরোয়া নেই কারো
যতোই ওরা হিংস্র হবে বাড়বে মিছিল আরো।
বায়ান্নো সাল ঊনসত্তুর এবং একাত্তুরে
কেউ পারেনি রুখতে মিছিল তপ্ত বুলেট ছুঁড়ে।

অবরোধের ডাকে পথে লোক করে গিজগিজ
মিছিলকারী লোকগুলো সব কী ভয়ানক চিজ—
যতোই ছোঁড়েন টিয়ার গ্যাস আর যতোই ছোঁড়েন গুলি
বুক হয়ে যাক ঝাঁঝরা এবং যাক উড়ে যাক খু্লি,
তবুও ওরা এগিয়ে যাবেই এগিয়ে সমুখ পানে
স্বৈরাচারকে রোখার কায়দা মিছিলকারী জানে।

বুলেটবিদ্ধ গণতন্ত্র পিচঢালা পথ লাল
দশই নভেম্বর সকালে শহর উন্মাতাল।
ঢাকা শহর মুখর হলো ক্ষুব্ধ জনগণে
বিরাট মিছিল এগিয়ে এলো পুরানা পল্টনে।

উঠলো কেঁপে জিপিও মোড়, জিরো পয়েন্ট জিরো
উদোম গায়ে এগিয়ে এলো দুরন্ত এক হিরো!

কে এই ছেলে? এই ছেলে কে? নাম তো জানা নাই!
আর কেউ নয় আসাদ এবং মতিউরের ভাই।
বুকে পিঠে স্লোগান লেখা জীবন্ত পোস্টার
এমনতরো কান্ড দেখে অবাক স্বৈরাচার!

দিনদুপুরে গণতন্ত্র হুমড়ি খেয়ে পড়ে
জীবন্ত পোস্টারের ছবি পাভেল তুলে ধরে।

বন্ধু আমার, সাথী আমার, নূর, সাহসী বীর
গণতন্ত্রের প্রতীক তুমি, উঁচু তোমার শির।
অবরোধের আন্দোলনে বিলিয়ে দিলে প্রাণ
গণতন্ত্র মুক্তি পেলে গাইবো তোমার গান।


মন্তব্য

নিঃসঙ্গ গ্রহচারী [অতিথি] এর ছবি

চলুক

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

শ্রদ্ধা অজস্র ধন্যবাদ রিটন ভাই ।

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

তোমাকেও।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

দ্রোহী এর ছবি

শ্রদ্ধা

গণতন্ত্র মুক্তি পাক
স্বৈরাচার নীপাত যাক


কাকস্য পরিবেদনা

কৌস্তুভ এর ছবি

শ্রদ্ধা

ব্রুনো [অতিথি] এর ছবি

শ্রদ্ধা

গণতন্ত্র মুক্তি পাক
স্বৈরাচার নীপাত যাক

হিমু এর ছবি

যে শেখ হাসিনার পা স্পর্শ করে নূর হোসেন মরতে চলে গেলো, সেই শেখ হাসিনার পাশে এক মঞ্চে দাঁড়িয়ে হাসে তার খুনী। শেখ হাসিনা তাকে মঞ্চ থেকে কানে ধরে নামিয়ে দিলে ঘোড়ার মতো হাসতে হাসতে সে উঠবে খালেদার মঞ্চে। তার কোনো ভয় নাই, ক্ষয় নাই। সে মরেও না। বাংলাদেশের সব নূর হোসেন গুলিতে, বজ্রপাতে, সাপের কামড়ে, টাইফয়েডে মারা যাবার পরও সে হাফপ্যান্ট পরে জগিং করবে আর ক্যামেরা দেখলে ঘোড়ার হাসি হাসবে। বিয়ে করবে। গায়েবি বাচ্চা আমদানি করবে। কবিতা আবৃত্তি করবে টিভিতে। বাংলাদেশ বঙ্গোপসাগরের নিচে তলিয়ে গেলেও আমাদের রাজনৈতিক অন্তসারশূন্যতার সাইনবোর্ড হয়ে গলা পানিতে দাঁড়িয়ে দাঁত ক্যালাবে লোকটা।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

অতিথি লেখক এর ছবি

ন্যাংটার নাই বাটপারের ভয়! উপমাটা উপযুক্ত হলো না, কিন্তু কথাটা হলো বিশ্ব বেহায়ার আর লাজ কোথায়!

--- থাবা বাবা!

অবাক পৃথিবী এর ছবি

বিশ্ব বেহায়ার কাঁধে চড়ে গদিতে বসেন যিনি, তিনি কোন বেহায়া---বিশ্ববিশ্ববিশ্ববেহায়া নন কি ?

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

আমিও ছিলাম সেখানে সেদিন
নিশ্চিত, অনেকেই ছিলো;
সশরীরে কিম্বা মনের গহনে
সেই তেজ সযতনে পুষেছিল আত্মার দহনে
আমরা আমজনতা রয়ে গেছি; ক্ষতি নেই -
আমাদের সব দেহ, সব আশা, সবটুকু প্রেম
নিমেষেই একটি বক্ষে অমর হয়েছে,
অমর হয়েছে সারা বাংলাদেশ বুকে ধরে
আমাদের নুর হোসেন।
-----------------------------------
যে মাঠে ফসল নাই তাহার শিয়রে
চুপে দাঁড়ায়েছে চাঁদ — কোনো সাধ নাই তার ফসলের তরে;

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

গণতন্ত্র মুক্তি পেলে গাইবো তোমার গান।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

ভালো লাগলো।
ই-প্রত্যয় যুক্ত না করেও আমি সেটাই বলেছি।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

অতিথি লেখক এর ছবি

নূর হোসেনের আত্মদান কি ব্যর্থই হবে কেননা গণতন্ত্রের মুক্তিতো আজো ঘটলো না?

পাগল মন

পুতুল এর ছবি

নূর হোসেন কেন মারা গেল!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

স্নিগ্ধা এর ছবি

নূর হোসেনের জন্য শ্রদ্ধা ...............

নৈষাদ এর ছবি

ব্যক্তিগত কিছু ঘটনা/স্মৃতিচারণ সহ আপনার লেখাটা ভাল লাগল। হিমুর প্রাসঙ্গিক মন্তব্যটাও। নূর হোসেনের জন্য রইল শ্রদ্ধা ।

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

ধন্যবাদ।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

অতিথি লেখক এর ছবি

নূর হোসেনের প্রিয় নেত্রী আজ সেই স্বৈরাচারের সাথে সখ্যতা করে ক্ষমতায়। কোথায় নুর হোসেনের আদর্শ? কোথায় নূর হোসেনের আত্মদানের মর্যাদা? নেত্রী একবার বলবেন কি নূর হোসেন আপনার পা ছুঁয়ে কি এরশাদের সাথে ভবিষ্যতে ক্ষমতার ভাগাভাগি করতে বলেছিলেন?

বাউলিয়ানা এর ছবি

শ্রদ্ধা

সাইফ তাহসিন এর ছবি

শ্রদ্ধা
এতদিন পরেও আপনা রলেখা পড়ে গায়ের লোম দাড়িয়ে গেল। অনেক অনেক ধন্যবাদ ছড়াটা সচলায়তনে শেয়ার করার জন্যে।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

ধন্যবাদ।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

মূলত পাঠক এর ছবি

শ্রদ্ধা জানাই!

তিথীডোর এর ছবি

শ্রদ্ধা রইলো!

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

লেখাটা পড়ে এবং হিমুর মন্তব্য পড়ে মনটা সত্যিই বিষাদাক্রান্ত হল।

বড় ভাই, আপনাকে ধন্যবাদ এমন একটা লেখা এই দিনে উপহার দেবার জন্য।

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

ধন্যবাদ তোমাকে।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

ধুসর গোধূলি এর ছবি

অভাগা দেশটা জন্মের অব্যবহিত পর থেকেই হোঁচট খেয়ে চলেছে। অবৈধভাবে ক্ষমতায় আরোহনকারীদের চূড়ান্ত রূপ ছিলো স্বৈরাচার হু মু এরশাদ। দেশের বারোটা বাজিয়ে দেশেরই টাকা আত্মসাৎ করে নিজের ব্যাংক ব্যালেন্স বাড়িয়েছে। তাকে হটিয়ে আনা হলো গণতন্ত্র। চলছে কুড়ি বছর ধরে। এই গণতন্ত্রের ফলে কি দেশের টাকা আত্মসাৎ বন্ধ আছে? স্বজনপ্রীতি বন্ধ আছে? দুর্নীতি বন্ধ আছে?

দেশের জন্মের বিরোধীদের সাথে আপোষ করে আপোষহীন নেত্রী খালেদা জিয়ার দুই সুপুত্র কি একজন এরশাদের চেয়ে কম করেছে কোনো দিক দিয়ে গণতন্ত্রের প্লাটফরমে থেকেও! তাঁর ক্যাবিনেট মন্ত্রীদের কথা বাদই দিলাম।

প্রথম দফায় আওয়ামী লীগের মন্ত্রীরা? লুটেপুটে কি খায় নি বাংলাদেশের টাকা, সম্পদ! দুর্নীতিতে পরিচিত করে তোলে নি বাংলাদেশকে?

এইসব গণতন্ত্রের জয়যাত্রা দেখার পর প্রচণ্ড সন্দেহ হয় শহীদ নূর হোসেনের আত্মাহুতির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে। কী দরকার ছিলো? এই জন্য তো নূর হোসেন নিজের খালি গায়ে বুলেট ধারণ করেন নি। গণতন্ত্রের নামে এই ছেনালীপনা দেখার জন্য তো না।

আমাদের গণতন্ত্রের ধ্বজ্জাধারীরা একজন হাত মেলায় স্বাধীনতা বিরোধীদের সাথে, আরেকজন দাঁত কেলায় শহীদ নূর হোসেনের হত্যাকারীর সাথে! এদের মধ্যে যতোদিন পর্যন্ত না মানবিকতার উত্তোরণ হচ্ছে, ততোদিন পর্যন্ত যতোই গণতন্ত্র মুক্তির আন্দোলন করা হোক গণতন্ত্র মুক্তি কোনোদিনই পাবে না।

শত সহস্র নূর হোসেনের তাজা প্রাণের আত্মত্যাগও যেতে থাকবে বৃথাই। আমরা বছরের একটা দিন হয়তো খুব আবেগপ্রবণ হয়ে স্মরণ করবো তাঁদের। তারপর আবার ভুলে গিয়ে রাজনীতিবিদদের হাতের পুতুলে পরিণত হয়ে পাঁচ বছর পর পর দেশকে ধর্ষণের লাইসেন্স তুলে দিবো একেকজনের হাতে, গণতন্ত্রের নামে!



বিএসএফ—
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ

তানভীর এর ছবি

এক পর্যায়ে সেই পথ দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি যাচ্ছিলো।যুবকটিকে দেখে গাড়ি থামিয়ে তিনি তাকে ডাকলেন। বললেন,শিগগির জামা গায়ে দাও, পুলিশ তো তোমাকে গুলি করবে।উদোম-উদ্দাম বুকে পিঠে স্লোগান লেখা সেই যুবক তার প্রিয় নেত্রিকে পায়ে হাত দিয়ে সালাম করলো।

এ অংশটুকু পড়ে হাসি পেল। হায়, নূর হোসেন যদি জানত আজ তাঁর প্রিয় নেত্রী তাঁর হন্তারকের সাথেই হাত মিলিয়ে কী নিদারুণ বিশ্বাসঘাতকতা করেছে!

শহীদ নূর হোসেন এবং স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সব শহীদদের জন্য শ্রদ্ধা।

কুলদা রায় এর ছবি

নূর হোসেন ১৯৮৭ সালে রাজপথে প্রাণ দিয়েছিল। আজ তেইশ বছর পরে মনে হয়--এই টগবগে তরুণটি খামোখা প্রাণ দিয়েছে। যা হওয়ার হয়েছে খালেদা আর হাসিনার। আঙুল ফুলে ফুলে কলাগাছ। কলাগাছ থেকে বটগাছ। আর বটগাছ ফুলে মহা মহা পাকুড়গাছ হয়ে গেছে। ফাঁকতালে গোলাম আযমদের। ঘাড়ে গর্দানে কেউরে আর চেনা যায় না। নূর হোসেনের বাপমা হারিয়েছে তাঁদের কেজো ছেলেটি। আর পুরো জাতির হাতে ঝুলছে হারিকেন।

কপাল বটে নূর হোসেনরে খুনি এই বিশ্ববেহায়া এরশাদের। সর্বদাই রসসিক্ত। বাংলাদেশের প্রতিটি অনুপরমাণুকে দূষিত করেছে। ওকে ফাঁসিতে ঝোলানো দরকার ছিল। আদালত সেরকম একটা সুযোগও করে দিয়েছে। কিন্তু সে সুযোগ কিভাবে কাজে লাগবে? এই বুড়ো পিশাচটা কখনো ক্ষমতার কোলে বসেছে --কখনো পিঠে চড়েছে। দুধ আর মধু গিলে চলেছে।
আর জনগণকে কলা দেখায়। বলে, কনক প্রদীপ জ্বালো। কেউ তার বালও ছিড়তে পারছে না।

নূর হোসেন তোমার মৃত্যু ছিল মহান। আমরা চোরবাটপাড়রা আজ সেই মৃত্যু থেকে মহত্ব শব্দ ঝেড়ে ফেলে খামোখা শব্দটি বসিয়ে দিয়েছি। আমাদের নেতা শেখ হাসিনার বাপের খুনের বিচারটা অবশেষে হয়েছে। কিন্তু নূর হোসেনের বাপের ছেলে হত্যার বিচারটা ক্ষমতার পাছার নিচে চাপা পড়ে গেছে। ওকে টেনে তোলার কেউ নেই।

খালেদা বিবি সকাল তিনটায় ঘুম থেকে ওঠে। বালিশে শুয়ে শুয়ে ফোলা ফোলা মুখে বলে, নূর হোসেনডা আবার কেডা? ওকি আমার বাড়ি বাঁচানোর মিছিলে প্রাণ দেছে? না আমারে সোনার ছেলেদের লুটপাট করা সিন্দুক বয়ে বিদেশে বয়ে দিয়েছে? ওরে দিয়া আমার কাম কী? ফালুরে পাঠাও। ওর এলেম আছে। খালেদার বুদ্ধির তুলনা নাই। আগামীতে খলবুদ্ধিতে নোভেল পুরস্কারের ব্যবস্থা হলে খালেদার নাম এক নম্বরে থাকবে। তারে না দিয়া যাবে কই সুইডিশ নোভেল কমিটি? হ্যাগো পরানে ভয় নাই?

আর হাসিনা! খুব বিজি। বহু কাজ-বহু কাজে হাসিনাকে বিজি থাকতে হচ্ছেগো বেরাদরগণ। তার হয়ে টিএচ ইমাম বলছেন, ভ্রাতা এরশাদ। দুশ্চিন্তা করিও না। মদমুদ খাও। ভায়াগ্রা ধরো। রাড়িবাড়ি যাও। কেডা তুমারে ধরে? তুমি গান ধরো--
হাওয়া মে উড়তা হ্যায়
লাল দুপাট্টা মলমল ও যায়ে।
...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'

...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'

সাইফ তাহসিন এর ছবি

দাদা, 'নোভেল' কি জিনিস? নতুন কোন ভেলকিবাজি? আর সম্মান জানাইতে এসে মুখ খারাপ করাটা কতটুকু জরুরী ছিল?

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

কুলদা রায় এর ছবি

দুঃখিত। এরশাদের কথা মনে এলে এরচে আর যুতসই শব্দ মনে আসে না। ওকে কষে দুটো চড় মাড়তে ইচ্ছে করে। ওর জন্য আমাকে রাতের বেলা পাইপ বেয়ে তিনতলায় আমার ঘরে উঠতে হত। সারাদিন আগানবাগানে ঘুরতে হত।
...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'

...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'

সাইফ তাহসিন এর ছবি

বুঝতে পারলাম দাদা, এরশাদ কেন তারেক জিয়া, সাকা আরো অনেকে আছেন, যাদের কথা মনে পড়লেই মুখ ভরে আসে থুতুতে, খিস্তি আসতে থাকে অনবরত, কিন্তু সেগুলাকে জমা করে রাখেন, সঠিক জায়গায় ভরে দেবেন বলে। প্রয়োজনে এদের নিয়ে আপনার বাস্তব অভিজ্ঞতাগুলো বিস্তারিত লিখুন। আর তাই আপনার পাইপ বেয়ে ৩ তালায় উঠার কাহিনী শুনার জন্যে প্রথম ইট আমি রেখে গেলাম। এদের নিয়ে লেখালেখি প্রয়োজন, ইদানিং অনেক ভ্রান্ত:ধারমার মানুষ দেখি, এদের চোখ খুলার জন্যে আপনার এই অভিজ্ঞতাগুলো ব্লগের পাতায় আনা জরুরী।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

@কুলদা রায়
এরশাদ বদমাশটার পেছনে কতো যে মেধা আর শ্রমের অপচয় করেছি!
নিজের বাড়ি ছেড়ে থাকতে হয়েছে অন্যের বাড়িতে। কতো রাত কার্ফু লেগে যাবার আগ মুহূর্তে দৌঁড়ুতে দৌঁড়ুতে ফিরতে হয়েছে! কতো রকমের ঠান্ডা হুমকি। গরম হুমকি।

জিনিসটা এখনো বেঁচে আছে! ইহাই রাজনীতি।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

শ্রাবন্তী এর ছবি

কুলদা
অযথাই আপনি এখানে খালেদা জিয়া কে নিয়ে অপ্রাসঙ্গিকভাবে অশালীন মন্তব্য করলেন।
একটি ঘটনা, যেটি আমি আমার এক নাট্য পরিচালক বন্ধুর কাছ থেকে শুনেছিলাম সেটি বলতে চাই। খালেদা জিয়া দলীয় কাজে এবং আমার সেই বন্ধুটি শুটিং এর জন্য ঘটনাক্রমে একই সার্কিট হাউজে ছিলেন। তিনি নিজে খালেদা জিয়াকে বলতে শুনেছেন, যে খালেদা জিয়া রাতে তার রুমে যাওয়ার আগে কোন একজনকে নির্দেশ দিয়েছেন, ফালুকে যেন তার রুমে দুধ দেয়া হয়। তিনি বলেছিলেন, তার এই ছেলেটি রাতে ঘুমানোর আগে দুধ খায়।
কোন সন্দেহ ছাড়াই জিয়া পরিবারের সাথে মোসাদ্দেক আলী ফালুর সম্পর্ক খুব গভীর। সেটার সমালোচনা হতে পারে, কিন্তু তাকে ঘিরে একজন নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর ব্যাপারে আপনি যে কুৎসিত ইঙ্গিত করেছেন, তার জন্য মডারেটরদের উচিত আপনার লেখাকে সেন্সর করা। নতুবা এই সাইটটিকে আনমডারেটেড হিসেবে ঘোষণা করা উচিত। সেটি না হলে বুঝতে হবে, সচলায়তনের মডারেটর রা একপক্ষকে অশালীন মন্তব্যের ছাড়পত্র দিচ্ছে আর অন্য পক্ষে্র শালীন মন্তব্যকে জায়গা দেয়া হচ্ছে না।

সংসপ্তক এর ছবি

শ্রদ্ধা
.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা

.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা

তাসনীম এর ছবি

শ্রদ্ধা

অসাধারণ এই লেখাটার জন্য ধন্যবাদ।

ওইদিন ঢাকা শহর সম্পূর্ণ অচল ছিল, আওয়ামী লীগ আর বিএনপি দুই দলই অভিন্ন আন্দোলন কর্মসূচি দিয়েছিল, নূর হোসেনের আত্মত্যাগ সেটাকে গন-আন্দোলনে রূপ দিয়েছিল। কিন্তু এরপর স্বৈরাচারকে দূর করতে আরও তিন বছর লেগেছে। আর স্বৈরাচার দূর হয়েছে সেটা কিভাবে বলি, এখন বহাল তবিয়তে তিনি গণতন্ত্রের খেদমত করছেন, সাফারি পরে বিদেশে যাচ্ছেন, টিভিতে মুখ দেখাচ্ছেন, প্রেম-ট্রেমও করছেন। যদিও কাব্যরোগটা আর তেমন দেখি না।

শুনেছি নূর হোসেনের ভাই শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত গাড়িচালক। হাসিনার "ভাইকে" দেখতে কেমন লাগে উনার? গণতন্ত্র কবে মুক্তি পাবে?

শহরের টহলদার ঝাঁক ঝাঁক বন্দুকের সীসা
নূর হোসেনের বুক নয় বাংলাদেশের হৃদয়
ফুটো করে দেয়ে; বাংলাদেশ
বনপোড়া হরিণীর মতো আর্তনাদ করে, তার
বুক থেকে অবিরল রক্ত ঝরতে থাকে, ঝরতে থাকে।

(বুক তার বাংলাদেশের হৃদয়/শামসুর রাহমান)

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

ধন্যবাদ।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

ঠিকানাহীন [অতিথি] এর ছবি

নূর হোসেনের জন্য শ্রদ্ধা।
শেখ হাসিনা, খালেদা জিয়া, এরশাদ- এই তিনজনের মাঝে তফাত কি? এরা তো খালি দুই দুই থাকতে চায়।

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

শ্রদ্ধা

গণতন্ত্র মুক্তি পাক
স্বৈরাচার নীপাত যাক

-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

শ্রদ্ধা

_________________________________________

সেরিওজা

স্বাধীন এর ছবি

শ্রদ্ধা

লেখাটির জন্য রিটন ভাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

এই প্রসঙ্গে আমি কিছু যুক্ত করতে চাই।

আজকের দিনে নুতন প্রজন্মের সবাই খুব পরিষ্কার ভাবেই দেখতে পাচ্ছি বর্তমান দলগুলোর দূরবস্থা। হাসিনা/খালেদা/হোমো এরা যে দলগুলোর প্রধান, সেই সব দল যে সাধারণ জনগণের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য কোনদিনই কাজ করবে না সেটা পরিষ্কার। ক্ষমতার লোভে তাঁদের যে নিজস্ব কোন আদর্শ নেই সেটাও পরিষ্কার। এদের ব্যর্থতার কারণে মৌলবাদী দলগুলো ধীরে ধীরে শক্তি অর্জন করে যাচ্ছে। তাই আমরা প্রশ্ন - আমরা নুতন প্রজন্ম কি পারি না, একটি নুতন রাজনৈতিক আদর্শ দাঁড় করাতে, একটি নুতন রাজনৈতিক দল গঠন করতে?

আজ থেক দশ বছর আগেও যদি কেউ আমাকে এই কথাটি বলতো আমি হেসেই উড়িয়ে দিতাম। কিন্তু আজ ইন্টারনেটের যুগে, ব্লগের যুগে, ফেইসবুকের যুগে সমমনা মানুষদের একত্র করাটি অনেক সহজ। ভৌগলিক দূরত্বও আজ কোন বাঁধা নয়। আজ যদি একটি নুতন রাজনৈতিক দল গঠনের চিন্তা শুরু করা যায়, সেটা কি খুব বেশি চাওয়া হবে? সেই যাত্রা যদি এই সচলায়তন থেকেই শুরু করা হয় সেটাও কি খুব বেশি বলা হবে?

প্রশ্নটা আমি সবার কাছেই রেখে গেলাম, বিশেষ করে রিটন ভাইয়ের কাছেও। গণতন্ত্র মুক্তি পাক। যে কোন প্রকার স্বৈরাচার হতে গণতন্ত্র মুক্তি পাক।

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

স্বাধীন,এর জবাব দিতে হলে আলাদা পোস্ট দিতে হবে। অনেক কথা।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

স্বাধীন এর ছবি

রিটন ভাই

সময় করে দিলে খুশি হবো। আপনাদের অভিজ্ঞতা শুনতে আগ্রহী।

স্বাধীন এর ছবি

আমার মন্তব্যটি তে যিনি অপছন্দ দিয়েছেন, যদি বলে যেতেন কোন বক্তব্যে দ্বিমত আছে ভালো লাগতো। নিরীহ একটি মন্তব্যে অপছন্দ করার মত কি আছে জানতে খুবই আগ্রহী।

মনামী এর ছবি

গণতন্ত্র মুক্তি পাক

অদ্রোহ এর ছবি

শ্রদ্ধা রইল...

--------------------------------------------

আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

১.
নূর হোসেনের প্রতি শ্রদ্ধা
রিটন ভাইকে ধন্যবাদ দারুণ একটা লেখা আর ছড়ার জন্য...

২.
৯০ এর আগের আর পরের বাংলাদেশকে একাকার করে ফেলছেন অনেকে। এখানে দ্বিমত করি। এরশাদ ক্ষমতা দখল করেছিলো উর্দির জোরে, অস্ত্র বাগিয়ে। যে নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার গঠন করে, সেটা প্রহসন ছাড়া আর কিছু ছিলো না।

কিন্তু পরবর্তী সরকারগুলো গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত। এই আমরাই রীতিমতো উতসব করে তাদের ভোট দিয়েছি। তারা দূর্ণীতিগ্রস্ত, সরকার গঠনের অযোগ্য এসব জেনেও ভোট দিয়েছি। তারা কেউ ক্ষমতা দখল করেনি।

এর দায় আমাদেরই। আমরা শুধু রক্তই দিতে শিখেছি, আন্দোলন করতে শিখেছি কিন্তু ভোটের মতো একটা দারুণ শক্তিকে ব্যবহার করতে শিখিনি। দল আর মার্কার বাইরে আমরা যেতে পারিনি। বিকল্প রাজনৈতিক নেতৃত্ব তৈরি করতে পারিনি। এর কিছু দায় আমাদেরকেও নিতে হবে।

ধীরে ধীরে রাজনীতির ক্ষেত্রটা আমরা ছেড়ে দিয়েছি অশিক্ষিত একদল লোভী মানুষের হাতে। বিশ্ববিদ্যালয়ে একসময় রাজনীতি করতো সবচেয়ে মেধাবী ছাত্ররা, এখন করে সবচেয়ে অশিক্ষিতগুলো। আমরা সব ছেড়ে দোষারোপ করাটাকেই যথেষ্ট ভেবে বসে আছি।

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

স্বাধীন এর ছবি

মন্তব্যে লাইক দিলাম।

তেলচুকচুক এর ছবি

৯০ এর আগের আর পরের বাংলাদেশকে একাকার করে ফেলছেন অনেকে। এখানে দ্বিমত করি। এরশাদ ক্ষমতা দখল করেছিলো উর্দির জোরে, অস্ত্র বাগিয়ে।
শুধুই অস্ত্রের জোরে কথাটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। এরশাদ ঠিকই জানত সমর্থন পাওয়া যাবে।আগাম অনাপত্তির বার্তাও পাঠানো হয়েছিল।সমর্থন পেয়েও ছিল তৎক্ষণাত।এরপরও এরশাদকে জেলখানা থেকে বের করে হেরেমখানায় রাখার ব্যবস্থাও হয়েছিল। এবং এখনো সমর্থন পেয়ে যাচ্ছেন।করে যাচ্ছেন।আমি এরশাদ কে ভালবাসি। যস্মিন দেশে যদাচার।

ধীরে ধীরে রাজনীতির ক্ষেত্রটা আমরা ছেড়ে দিয়েছি অশিক্ষিত একদল লোভী মানুষের হাতে।
শুধু রাজনীতির ক্ষেত্র নয়, বাংলাদেশের সবকিছুই আমরা নষ্টদের হাতে ছেড়ে দিয়েছি।ভাল ছাত্ররা অনেকটা অনুপায় হয়েই রাজনীতি থেকে দূরে থেকেছে।সুবর্ণা মোস্তফা-আফজালহোসেন-আসাদুজ্জামান্রা নাক সিঁটকে বের হয়ে এসেছেন চলচ্চিত্র জগত থেকে।এখন কপাল চাপড়ান আর স্বীকার করেন যে তারা একটি ভুল করেছিলেন।বুদ্ধিজীবির জগৎটা মুন্তাসির মামুন শাহরিয়ার কবীরের মত শঠদের মুঠোয়।আমাদের নতুন যাত্রা শুরু হবে সেইদিন,যেদিন আমাদের সবকিছু পুরোপুরি নষ্টদের হাতে চলে যাবে, তারপর থেকে।এটাই সভ্যতার নিয়ম।কারণ যারা ভাল ছিল বলে আমাদের বিশ্বাস করানো হয়েছিল, তারা আসলে অতবেশী ভাল কিংবা যোগ্য ছিল না কোনদিন।অথবা যোগ্য ছিল যারা তাদের আমরা মেরে পাঠিয়ে দিয়েছি পরপারে।

আমরা শুধু রক্তই দিতে শিখেছি, আন্দোলন করতে শিখেছি কিন্তু ভোটের মতো একটা দারুণ শক্তিকে ব্যবহার করতে শিখিনি। দল আর মার্কার বাইরে আমরা যেতে পারিনি। বিকল্প রাজনৈতিক নেতৃত্ব তৈরি করতে পারিনি। এর কিছু দায় আমাদেরকেও নিতে হবে।
সত্য হচ্ছে, য্যায়সে কো ত্যায়সে মেলে, রাজাকো মেলে রাণী।কাজেই আমরা যেমন আমাদের রাজারাণীরাও তেমন।
----------------------------------------------------------------------------------
তেল চুক চুক আমার গা
তোরা সবাই গোল্লায় যা।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

দেইখেন, তেলে আছাড় খাইয়া ঘাড় ভাইঙ্গেন না চোখ টিপি

শুধুই অস্ত্রের জোরে কথাটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। এরশাদ ঠিকই জানত সমর্থন পাওয়া যাবে।আগাম অনাপত্তির বার্তাও পাঠানো হয়েছিল।সমর্থন পেয়েও ছিল তৎক্ষণাত।এরপরও এরশাদকে জেলখানা থেকে বের করে হেরেমখানায় রাখার ব্যবস্থাও হয়েছিল। এবং এখনো সমর্থন পেয়ে যাচ্ছেন।করে যাচ্ছেন।আমি এরশাদ কে ভালবাসি। যস্মিন দেশে যদাচার।

আপনার অপারেটিং সিস্টেমে তো দেখি ভাইরাস ধরেছে, শীঘ্রই ফরম্যাট করে নতুন অপারেটিং সিস্টেম ভরেন। পারলে উবুন্টু করেন, ঐখানে ভাইরাস নাই। যে সে ভাইরাস না, CIH আর worm এর বজ্রমিশ্রন। সিস্টেম ক্র্যাশ করল বইলা গড়াগড়ি দিয়া হাসি

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

তেলচুকচুক এর ছবি

ভাইরাস টা কোন অংশ...বুঝিয়ে বলুন...?

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

ধন্যবাদ নজরুল।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

কুলদা রায় এর ছবি

আসল কথাটা কিন্তু ব্যা না হুদা কিছুদিন আগে বলেছেন। তিনি বলেছেন--বাংলাদেশে চাল, তেল, লবণ, বিদ্যুতের জন্য আন্দোলন করে লাভ নেই। এইসব ঝামেলা চিরকালই থাকবে। কিন্ত ক্ষমতা চিরকাল থাকে না। তাই দরকার হল ক্ষমতা দখলের জন্য উঠেপড়ে লাগা।
ক্যা বাত। এখানে টেম্পুচালক নূর হোসেন কোথায়?
...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'

...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

শ্রদ্ধা
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

নীলকান্ত এর ছবি

শ্রদ্ধা


অলস সময়

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

শ্রদ্ধা

-----------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

তারাপ কোয়াস এর ছবি

শ্রদ্ধা

গণতন্ত্র মুক্তি পাক


love the life you live. live the life you love.

অমিত এর ছবি

শ্রদ্ধা জানিয়ে গেলাম

অতিথি লেখক এর ছবি

শ্রদ্ধা

অনন্ত

অতিথি লেখক এর ছবি

এরশাদের স্বৈরচারী ছিল কোন সন্দেহ নেই তবে তার পরবর্তীতে গণতন্ত্রীদের কার্যকলাপে অতিষ্ঠ হয়ে এখন সেই সময়টাই হয়ে যায় স্বর্ণযুগ অনেকের কাছে !

দুর্দান্ত এর ছবি

শ্রদ্ধা। শহীদ নূর হোসেনের গায়ে স্বৈরাচার বিরোধী পোস্টার আঁকা ছিল বলেই তাকে আমরা চিনি। এই দিনটির আগে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের তার ভূমিকার কথা জানা যায়না। অবশ্য স্বৈরাচারে গুলিতে যার জীবন হারিয়েছে, তার আর কোন ভূমিকার প্রয়োজন হয়না।

কিন্তু গায়ে পোস্টার না-আঁকা আরো কত নিরপরাধই তো এরশাদের পতনের আন্দোলনে জীবন দিয়েছে। রক্ত ঝরেছে আরো বহুগুন শরীর থেকে। তাদের প্রতিও আমার শ্রদ্ধা।

শহীদ নূর ও তার সহযোদ্ধাদের স্বার্থকতা এই যে, সেই স্বৈরাচারী সরকার এখন আর ক্ষমতায় নেই। তবে দেশরত্ন যে চিড়িয়াখানা সরকার চালাচ্ছে, সেখানের আরসব রোঁয়া ওঠা কুকুর-কুকুরীর ভীড়ে একটা ঘেঁয়ো বুড়ো হায়নাকে ঠিক ঠিক আলাদা করে চেনা যায়। এই চিড়িয়াখানায় কিন্তু সেদিনের মিছিলের অনেকেই হাতাকাটা কালো কোট পরে সেঁধিয়ে গেছেন।

এই কুকুর-বরাহ সামনে আরো কোন নূরের রক্ত ঝরাবে না, এটা নিশ্চিত নয়। সেদিনও যে হায়েনাটা মরবে, সেটাও কি নিশ্চিত? জানিনা। কিন্তু অচেনা সেই নূরের রাজপথে গড়িয়ে পড়া রক্ত যে তার চাইতেও অচেনা দু'একজন মেধাবী কবি-ফটোগ্রাফারকে লোকচোখের সামনে নিয়ে আসবে, এটা নিশ্চিত।

শ্রাবন্তী এর ছবি

সুন্দর এবং বলিষ্ঠ আপনার এই মন্তব্য।আরেকটু বিস্তারিত হলে এটিই হতে পারত সচলায়নে নূর হোসেনের ত্যাগের েবং বাস্তব পরিস্থিতির সবচাইতে যথার্থ মূল্যায়ন।

অতিথি লেখক এর ছবি

শ্রদ্ধা

গণতন্ত্র মুক্তি পাক
স্বৈরাচার নীপাত যাক
_____________________________________________
~~~~~ দেবাশিস মুখার্জি ~~~~~~
[db.mukherjee.blog@gmail.com]
অল্পসল্প...কবিতা-গল্প...

মাহবুব রানা এর ছবি

শ্রদ্ধা

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

চোখ ভিজে গেল জলে। তখন আমি ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র, ঢাকার বাইরে থাকি। সাতাশির সেই আন্দোলনের কথা বলতে পারবোনা তবে দেয়ালে সাঁটানো ১০ই নভেম্বরের ঢাকা অবরোধের পোস্টারের কথা এখনো মনে আছে।

দিফিও [অতিথি] এর ছবি

নূর হোসেনদের জন্য রইল শ্রদ্ধা।
গণতন্ত্র মুক্তি পাক।

শ্রাবন্তী এর ছবি

এক পর্যায়ে সেই পথ দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি যাচ্ছিলো।যুবকটিকে দেখে গাড়ি থামিয়ে তিনি তাকে ডাকলেন। বললেন,শিগগির জামা গায়ে দাও, পুলিশ তো তোমাকে গুলি করবে।উদোম-উদ্দাম বুকে পিঠে স্লোগান লেখা সেই যুবক তার প্রিয় নেত্রিকে পায়ে হাত দিয়ে সালাম করলো। তারপর স্লোগান দিতে দিতে হারিয়ে গেলো জনতার ভেতরে।

শুধু নূর হোসেন নয় আমরা আর অনেকেই যারা বয়সে ছোট ছিলাম, তা্রা রাজনীতির খেলা বুঝতাম না। জানতাম না, যে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ডাক দেয়া হয়েছে, তার আগমনে রিটন ভাইয়ের জননেত্রী খুশী হয়েছিলেন। নুর হোসেন যদি জানত আমি নিশ্চিত সে কদমবুসি করতে যেতনা।আর আজ, নূর হোসেন যদি বেঁচে থাকত, আমি নিশ্চিত, তার মুখে থাকত একদলা থুতু।

এখানে অনেকেই দেখি আজ এরশাদ কে চরম গালাগালি করছেন, বেহায়া, হোমো, আরো অনেক ভূষণে ভূষিত করছেন। মক্কার কাবা শরীফে রাখা কালো পাথরে মুসলিম ভাইদের মারা প্রতিকী পাথর যেমন কোন কাজে আসেনি, ঠিক তেমনিই, এরশাদ কে গালি দেয়া হচ্ছে শয়তানের বিরুদ্ধে প্রতিকী পাথর ছোঁড়া যা কোন কাজে আসবেনা। একদিকে আমরা এরশাদকে বরাহ কুকুর বলি আর অন্যদিকে বরাহ কুকুরের গলায় বাঁধা দড়ির প্রান্ত ধরে থাকা প্রভুর স্তুতি করি।জননেত্রীর উপাধিতে ভূষিত করতে ভালবাসি।
এই রিটন ভাই কি আমাদের দেশের সব শিশুদের প্রিয় ছড়াকার রিটন ভাই ? সন্দেহ জানিয়ে গেলাম আর ইট রেখে গেলাম স স্বৈরাচার আর তার দোসর দের জন্য।
নূর হোসেনরা হলো বোকা বাঙ্গালী আর যারা সবকিছু জেনেও শুধু এরশাদের লেজ ধরে টানাটানি করে, তারা হল ঘাগু ছাগু বাঙ্গালী, বাঘের চামড়া গায়ে দিয়ে এসে এখানে হালুন হুলুম করছে।

অতিথি লেখক এর ছবি

অসাধারণ লেখা রিটন ভাই। পড়তে পড়তে নিজেকে বড়ই অসহায় মনে হয়। স্বৈরাচার এর্শাদবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছিলাম; শহীদ মহারাজের লাশ ছুঁয়ে স্বৈরাচার খেদানোর শপথ নিয়েছিলাম। কিন্তু আমরা নূর হোসেন-মহারাজের আত্মত্যাগের মূল্য দিতে পারিনি। পাছায় লাথি দিয়ে আমরা এর্শাদকে মসনদ থেকে নামিয়ে দিয়ে পরক্ষণেই আবার বুকে জড়িয়ে ধরেছি। এটাই বোধহয় ক্ষমতার মোহ, যার কোনও শেষ নেই এবং যা এর্শাদ-হাসিনা-খালেদা-মেনন-নিজামিকে মাল্টিডাইমেনশনাল এমব্রেসমেন্টে আবদ্ধ করে।

এজন্যেই বোধ হয় নূর হোসেনরা শুধু একের পর এক মরেই চলে, কখোনেই রাষ্ট্রক্ষমতার মসনদে বসে না। তবে ওরা আমাদের গণমানুষের চেতনার ক্ষমতায়ন করে যায় নিজেদের উৎসর্গ করে দিয়ে। রতন সেন খুন হলে বন্ধু প্রবীর সরদার লিখেছিলেন-

মানুষ খুঁজি, কোথায় মানুষ!
সবাই মানুষ সাজে।
সেইতো মানুষ, যে রয় লুকিয়ে
সবার হৃদয় মাঝে।।

রাতঃস্মরণীয়

তেলচুকচুক এর ছবি

[b]এটাই বোধহয় ক্ষমতার মোহ, যার কোনও শেষ নেই এবং যা এর্শাদ-হাসিনা-খালেদা-মেনন-নিজামিকে মাল্টিডাইমেনশনাল এমব্রেসমেন্টে আবদ্ধ করে।[/b

চমৎকার বলেছেন। বামপন্থী এক নেতা, যে নেতা এখন আবার মহাজোট সরকারের শরীক এবং নৌকা কিনে এমপি, তার ব্যাপারে, এরশাদ এক ঘরোয়া আলোচনায় বলেছিলেন, বিএনপি আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকে উনি, পঞ্চাশ হাজার কিংবা এক লাখে বিদায় করতে পারলেও , উনি যখনি এরশাদের কাছে গেছেন, কখনো পাঁচ লাখের নীচে নিয়ে বের হননি।
হা হা হা...এরাই আমাদের নেতা।

মুস্তাফিজ এর ছবি

নূর হোসেনের জন্য শ্রদ্ধা।

ভেবেছিলাম এখানে কোন মন্তব্য করবোনা।
সেদিন আমিও ছিলাম সেখানে। কোমরে গুলিবিদ্ধ একজনকে টেনে আনার সময় আরেকটা গুলি গুলিস্তানের ট্রাফিক পোস্টের খামে লেগে ছিটকে ঐ ছেলেটার মাথায় ঢুকে যায়। আমরা ছেলেটাকে বাঁচাতে পারিনি, ওর নামও জানতে পারিনি, এমনকি ওর মরদেহটাও রক্ষা করতে পারিনি। এই ঘটনা আমাকে কষ্ট দেয়, প্রায়ই উতলা হয়ে ভাবি "আমি বাঁচবো, আমি বাঁচবো, আমাকে হসপিটালে নিয়ে যান" বলতে থাকা ছেলেটার থেকে কেনো ওর নাম ঠিকানা জেনে রাখলামনা। হারিয়ে যাওয়া এই ছেলেটার বাবা মা এখনও বেঁচে আছেন কিনা, এখনও তার ছেলের অপেক্ষায় থাকেন কিনা জানিনা। নিজেকে অপরাধী মনে হয়।

...........................
Every Picture Tells a Story

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

মুস্তাফিজ ভাই, এসব তো আমাদের অজানা, আপনারা না লিখলে তো জানতে পারবোনা। সময় করে লিখবেন আশা করি।

কামরুল হাসান রাঙা [অতিথি] এর ছবি

কবিতাটা আগেও পড়েছিলাম। যত বার পড়ি আন্দোলিত হই। বোনাস হিসেবে কিছু অজানা ইতিহাসও জানলাম।
অনেক ধন্যবাদ।

উল্টা পথ এর ছবি

কস্কি মমিন!!!

guest_writer rajkonya এর ছবি

নুর হোসেনের বাবার কষ্ট! মন খারাপ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।