শিশুসাহিত্যিক আলী ইমাম সত্যজিৎভক্ত। যেমন তেমন ভক্ত নয়। ভয়াবহ ভক্ত। সত্যজিৎভক্ত আমিও। তবে আলী ইমামের মতো না। স্কুল জীবনে পথের পাঁচালি দেখে আলী ইমাম কাঁদে। অপুর জন্যে কাঁদে। দূর্গার জন্যে কাঁদে। পথের পাঁচালি দেখে আমারো মন খারাপ হয়। অপুর জন্যে। দূর্গার জন্যে। কিন্তু আমি কাঁদি না।
আমরা দুজনেই সত্যজিতের বইয়ের পোকা। সত্যজিতের সিনেমার পোকা। সত্যজিতের যাবতীয় কর্মকান্ড আমাদের নজরবন্দি। সত্যজিতের পথের পাঁচালি আলী ইমামকে এতোটাই মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখে যে, তাঁর একটি ছোটভাই জন্মালে সে তার নাম রাখে অপু। পারলে সত্যজিতের নামে নিজের নাম রাখে আলী ইমাম, পরিস্থিতি অনেকটা সেরকমই। কলকাতায় একবার সত্যজিতের বাড়িতে গিয়ে সত্যজিতের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটানোর স্বপ্ন তাঁর দীর্ঘদিনের। সত্যজিৎ দর্শন না হলে আলী ইমামের --জীবন প্রায় বিফলে যায়। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে ব্যাপারটা—হয়তো কিছুই নাহি পাবো তবুও তোমায় আমি দূর থেকে ভালোবেসে যাবো টাইপের। দেখা হলে ভালো। দেখা না হলে জীবন আমার বৃথা যাবে না। কিন্তু আলী ইমামের যাবে।
এক সন্ধ্যায় আলী ইমাম আমাকে পাকড়াও করলেন—চলো, আমরা দুজন মিলে সত্যজিৎকে নিয়ে একটা বই লিখি। যৌথ বই। এক মলাটে দুজন লেখক।
আইডিয়াটা আমার পছন্দ হলো। আমি বইটার নাম দিলাম—বিষয় সত্যজিৎ। আলী ইমাম ভাই নামটা লুফে নিলেন—বাহ্ বিষয় চলচ্চিত্রের লেখকের ওপর বই বিষয় সত্যজিৎ। আলী ইমাম দ্রুত কাগজে কলমে লিস্টি করে ফেললেন আমরা কে সত্যজিতের কোন বিষয়ের ওপর লিখবো। লিস্টির কপিও করে ফেললেন দ্রুত। একটা আমার হাতে ধরিয়ে দিলেন। লিখতে হবে তাড়াতাড়ি। আগামী বইমেলায় প্রকাশিত হবে আমাদের যৌথ বই—বিষয় সত্যজিৎ। উত্তেজনায় আলী ইমাম দেখলাম কাঁপছেন রীতিমতো।
আরেক সন্ধ্যায় আমাকে আবারো পাকড়াও করলেন আলী ইমাম ভাই—চলো সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে দেখা করে আসি। এরকম একটা দারূণ কাজ হবে তাঁর ওপর আর সেটা তাঁকে জানাবো না!
আলী ইমাম ভাই তাঁর দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্নের বাস্তবায়ন ঘটাতে ব্যাকুল--এমন চমৎকার একটা সুযোগ এসেছে তা কি হাতছাড়া করা উচিৎ? মোটেও না। তুমি চলো আমার সঙ্গে।
সত্যজিৎ সান্নিধ্যের হাতছানিতে আমিও কাবু। ১৯৮৪-র সেপ্টেম্বর। ওয়ান ফাইন মর্নিং আমি আর আলী ইমাম ভাই চললাম গুরু দর্শনে। সত্যজিতের ফিকশন, বুক ডিজাইন, ইলাস্ট্রেশন, লেটারিং, মুভি,ডিরেকশন, মিউজিক সবকিছু নিয়ে বিস্তর আলোচনা করতে করতে বেনাপোল বর্ডার ক্রস করে আমরা পৌঁছে গেলাম কলকাতা। খুব দ্রুত মুগ্ধ হবার বিপুল শক্তি আলী ইমামের। কলকাতার যা-ই দেখেন মুগ্ধ হয়ে যান। কারণ—এই শহরে সত্যজিৎ রায় থাকেন!
আমরা উঠেছি বালিগঞ্জের একটা বাড়িতে। রনিদের বাড়িতে। রনি হচ্ছে আলী ইমামের কঠিন ভক্ত আলোকচিত্রি মিঠুর ঘনিষ্ঠ বন্ধু। মিঠুর তত্বাবধানেই আমাদের থাকার জায়গা নির্ধারিত হয়েছে। মিঠু ওখানে আমাদের আগেই পৌঁছানো অবস্থায় ছিলো।
রনির সঙ্গে খুব দ্রুতই আমাদের বন্ধুত্ব হয়ে গেলো। খুবই চটপটে ছেলে। কিন্তু সত্যজিতকে পছন্দ করে না। বলে—ওই ঢ্যাঙাটা লোকজনের সঙ্গে খুব খারাপ ব্যবহার করে।
সত্যজিৎকে ঢ্যাঙা বলায় আহত আলী ইমাম করুণ ভাবে জানতে চাইলেন—কি রকম?
--আর বলবেন না, লোকজনকে পাত্তাই দিতে চায় না। কদিন আগে এক মন্ত্রি গিয়েছিল ঢ্যাঙাটার বাড়িতে। দরোজা খুলে এপয়েনমেন্ট না নিয়ে এসেছেন বলে ধড়াম করে মন্ত্রির মুখের ওপর দরোজাটা বন্ধ করে দিয়েছিলো।
আমি বলি—সর্বনাশ! আলী ইমাম ভাই আমার সত্যজিৎ সান্নিধ্যের দরকার নাই।
আলী ইমাম ভাই বলেন, এতোদূর এসেছি একটা ট্রাই করতে দোষ কি!
রনি-ই সত্যজিতের ফোন নাম্বারটা যোগাড় করে দিলো। সন্ধ্যায় উত্তেজনায় কম্পমান আলী ইমাম ফোন করলেন—জ্বি জ্বি আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি। আমার নাম আলী ইমাম। বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রডিউসার।
অপর প্রান্ত থেকে বলা হলো তিনি বাড়িতে নেই।
পরদিন সকালে আবারো প্রচেষ্টা চালালেন আলী ইমাম ভাই। এইবার ফোন রিসিভ করেছেন সত্যজিৎ স্বয়ং।
স্মার্ট কথক আলী ইমাম নিজের লেখক পরিচিতির চাইতে টিভির প্রডিউসার পরিচয়টিকেই বেশি প্রাধান্য দিলেন। ওপাশে সত্যজিত রায় জানতে চাইলেন দেখা করতে চাওয়ার হেতু। গড়গড় করে বলে চললেন আলী ইমাম তাঁর সুললিত শব্দ ও বাক্যচয়ন ক্ষমতার সর্ব্বোচ্চ প্রয়োগ ঘটিয়ে-- বিটিভিতে আমার প্রযোজনায় দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া নামে একটি অনুষ্ঠানের রেকর্ডিং-এ আমি গিয়েছিলাম মসুয়া গ্রামে। কিশোরগঞ্জের মসুয়া। উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরীর ভিটে। আপনার পূর্বপুরুষের এই ভিটের ওপর আমি একটা ডকুমেন্টারি করছি। এছাড়া আমি আর লুৎফর রহমান রিটন মিলে আপনার ওপর একটা বই লিখছি। বইটির নাম বিষয় সত্যজিৎ। বাংলাদেশ শিশু চলচ্চিত্র সংসদের সভাপতি আমি। রিটন সাধারণ সম্পাদক।
আলী ইমামের মসুয়া ডোজে কাজ হলো। অপর প্রান্ত থেকে থেকে বলা হলো—আমি খুবই ব্যস্ত। পাঁচ মিনিটের বেশি সময় দেয়া যাবেনা। আলী ইমাম ভাই বললেন—পাঁচ মিনিটেই হবে।
টেলিফোন শেষে আলী ইমাম ভাই ঘাম দিয়ে জ্বর সারা মানুষের মতো জবুথবু শুয়ে পড়লেন বিছানায়। অনেক বেশি মানসিক চাপে ছিলেন তিনি এতোক্ষণ।
পরদিন ঘড়ির কাটায় কাটায় ঠিক সকাল দশটায় আমি মিঠু আর আলী ইমাম ভাই হাজির হলাম কলকাতার বিশপ লেফ্রয় রোডের সেই বিখ্যাত বাড়িতে। বেশ বড়সড় প্রশস্ত কাঠের সিঁড়ি ভেঙে পায়ে পায়ে পৌঁছুলাম দোতলায়। দরোজায় কড়া (কলিং বেল)টিপলাম। বিশাল দরোজা সামান্য খুলে গেলো। না, আমাদের তিনজনার নাক বরাবর কেউ নেই। যিনি দরোজা খুলেছেন তিনি এতো লম্বা যে আমাদের তিনজনকেই ঘাড় পেছন দিকে বাঁকিয়ে প্রায় আকাশ দেখার মতো করে উঁচুতে তাকাতে হলো। আরে অইতো! গুরু স্বয়ং দরোজা খুলেছেন! আমরা কিছু বলার আগেই অসাধারণ গমগমে ভরাট কন্ঠে বললেন তিনি—বাংলাদেশ থেকে?
আমরা যৌথ কন্ঠে—‘জ্বি’ বলতেই ‘পাঁচ মিনিট কিন্তু’--বলতে বলতে তিনি আমাদের নিয়ে গেলেন বসার ঘরে। সেই বিখ্যাত কক্ষে। এই কক্ষের ছবি কতো দেখেছি! এইখানে বসে সত্যজিৎ রায় কতো ইন্টারভিউ দিয়েছেন! এইতো যে চেয়ারটায় তিনি বসেছেন সেই চেয়ারে বসা ছবিও তো কম দেখিনি। ওই যে পেছনে বড় জানালা। জানালার বাইরে গাছের পাতায় রোদের ঝিকিমিকি।। চারিদিকে চোখ বুলিয়ে প্রশান্তিতে ভরে গেলো মন। এখানে ওখানে এতো এতো বই। শাদা পাজামা পাঞ্জাবিতে অপূর্ব লাগছিলো তাঁকে। আমাদের শৈশব কৈশোরের হিরো সত্যজিৎ রায়। আমাদের জীবনকে রঙে রেখায় ছন্দে ছবিতে ভরিয়ে দিয়েছেন এই মানুষটি।
দীর্ঘদেহী সত্যজিৎ রায়কে ছুঁয়ে দেয়া যায় দূরত্বে বসে আছি আমরা তিনজন। মিঠু আর আলী ইমাম ভাই বসেছেন সত্যজিতের সামনের ডানদিকের সোফায়। আমি বাম দিকে। সত্যজিৎ আমাদের মধ্যিখানে। সামনের টেবিলের ওপর লম্বা পা দুটি ঠেকিয়ে দিয়ে বসেছেন তিনি। দুই হাঁটুর ওপর একটা ইজেল টাইপের কাঠের স্ট্যান্ডে ওপর নিচে দুটো বোর্ড। নিচের বোর্ডটার ওপরে শাদা ফুলস্কেপ কাগজের তিন চারটা পাতা আড়াআড়ি করে রেখে খসখস করে লিখছেন কি যেনো। লিখছেন আর আমাদের সঙ্গে কথা বলছেন।
একজন মানুষ একই সঙ্গে দুটি বিষয়ে মনোযোগ দেন কি করে? আমার সন্দেহ হলো তিনি আমাদের কথা শুনছেন না। ওদিকে আলী ইমাম ভাই চমৎকার বিশুদ্ধ উচ্চারণে গড়গড় করে বলে যাচ্ছেন তাঁর মুগ্ধতার কথা। মসুয়া গ্রামের কথা। আমাদের দুজনার সাম্প্রতিক পরিকল্পনার কথা। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে এসেছিলেন তিনি হেমন্ত মুখোপাধ্যায়সহ আরো কিছু বিশিষ্ট বাঙালির সঙ্গে। ঢাকার সেই সংবর্ধনায় দেয়া বক্তৃতায় সত্যজিৎ পুরনো ঢাকার বাঁদরের উৎপাতের কথা জিজ্ঞেস করেছিলেন। আলী ইমাম ভাই বলতে ভুললেন না যে আমরা পুরান ঢাকার বাসিন্দা এবং বাঁদরদের বহু বিচিত্র উৎপাতের বিপুল অভিজ্ঞতা রয়েছে আমাদের বিশেষ করে আমার। এক পর্যায়ে আমার সন্দেহ প্রবল হলো যে তিনি আমাদের কথা একদমই শুনছেন না। নিবিষ্ট মনে কিছু একটা লিখছেন বা আঁকছেন। আলী ইমাম ভাইয়ের চলমান কথার মাঝখানে ইচ্ছে করেই আমি ইনসার্ট বসালাম—কী লিখছেন আপনি?
ধরেই নিয়েছিলাম যে সত্যজিৎ রায় আমাদের কথা কানেই নিচ্ছেন না কিন্তু আমার ধারণাকে ভুল প্রমাণ করে সত্যজিৎ রায় উত্তর দিলেন গমগমে কন্ঠে—গুপি বাঘা ফিরে এলো ছবির গানের নোটেশন লিখছি।
--একটু দেখি?
--ইচ্ছে হলে দেখতে পারো।
আমি আর আলী ইমাম তড়াক করে উঠে পড়লাম। দুদিক থেকে দুজনে তাঁর পেছনে গিয়ে দাঁড়ালাম। সত্যজিতের হাতের লেখা আমাদের কাছে এতোটাই প্রিয় আর পরিচিত যে আমরা সেই চেনা হস্তাক্ষরে লেখা গান এবং গানের নোটেশন তৈরি হবার ঘটনা চাক্ষুষ করে একেবারে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। ফিরে এসে বসলাম যার যার আসনে। আমাদের বিষ্মিত করে সত্যজিত জানতে চাইলেন আলী ইমামের কাছে—পুরনো ঢাকার বাঁদর প্রসঙ্গে বলছিলে....
আমরা দুজনেই বুঝে গেলাম ভয়াবহ রকমের কঠিন জিনিস সত্যজিৎ রায়। তার মানে গানের নোটেশন রচনার সময় প্রতিটা মুহূর্ত তিনি আমাদেরো খেয়াল করেছেন!
আলী ইমাম ভাই এতো চমৎকার করে ডিটেইল বর্ণনা করছিলেন মসুয়া গ্রামের যে সেই গ্রামটিকে আমরা চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছিলাম। উপেন্দ্রকিশোরের ভিটের উঠোনে গাছের পাতার ফাঁক গলে রোদের আলো লুটোপুটি খাচ্ছে। গ্রামের সবচে প্রবীন বুড়োটা সেই ঐতিহাসিক বাড়িটার অতীত গৌরবকাহিনি বর্ণনা করছে পরম নিষ্ঠা আর গভীর আন্তরিকতায়। কেউ একজন ক্ষমতাবান লোভী ধনাঢ্য ব্যক্তি জবরদখল করে নিতে চাইছে বাড়িটাকে। আলী ইমাম ভাইয়ের দুর্ধর্ষ উপস্থাপনায় সত্যজিতের মতো তুখোড় মানুষও কিঞ্চিৎ টাল খেয়েছেন বোঝা গেলো। নোটেশন রচনা ক্ষ্যান্ত দিয়ে তিনি আমাদের দিকে একশ ভাগ মনোযোগী হলেন।
আমাকে দেখিয়ে আলী ইমাম ভাই বললেন, আপনার হীরক রাজার দেশে চলচ্চিত্রটির আদ্যোপান্ত--সমস্ত সংলাপ রিটনের মুখস্ত। সব কটা গানই ও গাইতে পারে ইন্টারল্যুড মিউজিকসহ। আমার দিকে কৌতূহলী সপ্রশংস দৃষ্টিতে তাকালেন সত্যজিৎ রায়। আমি বললাম, তিন রায় আমার প্রিয় ছড়াকার। সুকুমার রায় সত্যজিৎ রায় আর অন্নদাশংকর রায়। এরপর নাগাড়ে অনেক কথা বললাম আলী ইমাম ভাই আর আমি। আমাদের দুজনার কথাবার্তায় সত্যজিতের বুঝতে বাকী থাকলো না যে আমরা দুজন মোটামুটি সত্যজিৎ বিশেষজ্ঞ। (আলী ইমাম ভাই অবশ্য এই ব্যাপারে পিএইচডি রীতিমতো!)
আমাদের জানা ছিলো--কিছুদিন আগেই কঠিন অসুখ থেকে সেরে উঠেছেন তিনি। চিকিৎসকের পরামর্শে ছবি তোলা বারণ। কারণ, ক্যামেরার ফ্লাশ থেকে ছিটকে বেরুনো আলো তাঁর চেহারায় বিশেষ করে মুখের ত্বকের ক্ষতিসাধন করতে পারে। সুতরাং ছবি তোলা বারণ। তারপরেও মিঠু আমাদের সঙ্গি হয়েছে কাঁধে দু'দুটো ক্যামেরা ঝুলিয়ে। ছবি তুলতে না পারুক, সত্যজিৎ সান্নিধ্যের স্মৃতিটুকুও তো এক জীবনের পরম পাওয়া। এই মহার্ঘ্য প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত থাকতে চায়নি সে। নাই বা হলো ছবি তোলা।
কিন্তু আমাদের অবাক করে দিয়ে সত্যজিৎ রায়ই বললেন, ছবি তুলতে চাইলে খুব দ্রুত তুলে নাও।
আরে!বলে কি!! এ যে মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি! মিঠু ঝটপট ক্যামেরার শাটার টিপতে থাকলো। এক পর্যায়ে আমি আর আলী ইমাম ভাই গিয়ে দাঁড়ালাম সত্যজিৎ রায়ের পেছনে। আমরা দুজন দারূণ খুশি। সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে ছবি তোলার আনন্দে। মিঠুও দারূণ খুশি। সত্যজিৎ রায়ের ছবি তুলতে পারার আনন্দে। দু’ধরণের ছবি তুলেছে মিঠু, ব্ল্যাক এন্ড হোয়াইট এবং ট্রান্সপারেন্সি।
আমাদের তিনজনকে দরোজা পর্যন্ত এগিয়ে দিলেন সত্যজিৎ রায়। কারণ দরোজাটা সম্ভবত তাঁকেই বন্ধ করতে হবে।
সিঁড়ি ভেঙে নামতে নামতে প্রায় একই সঙ্গে ঘড়িতে সময় দেখলাম আমি আর আলী ইমাম ভাই। তারপর দুজনেই হেসে উঠলাম বিজয়ীর হাসি—বাইশ মিনিট! পাঁচ মিনিটের জায়গায় বাইশ মিনিট সময় পেয়েছি আমরা!
গুপী আর বাঘার মতোই ফূর্তিতে ডগোমগো আমরা দুজন--আহা কী আনন্দ আকাশে বাতাসে...।
মন্তব্য
আপনার ভাগ্যকে ঈর্ষা জানালাম!
আর ধন্যবাদ চমৎকার এ অভিজ্ঞতাটি শেয়ার করার জন্য
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
কি ভাগ্য!!!!
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
দারুন লাগল! আপনারা ভাগ্যবান - সবার কিন্তু একইরকম ভাগ্য হয়নি। এক্ষেত্রে আপনাদের 'রনি' সাহেবের বক্তব্যই বোধহয় সঠিক। কবি নির্মলেন্দু গুন ও শামসুর রাহমানদের অভিজ্ঞতাটা মনে হয় অন্যরকম হয়েছিল।
ও হ্যাঁ, আলী ইমাম সাহেবের সাথে আপনার সম্পর্কটা কি 'আপনি' না 'তুমি'র ? আপনার লেখাটা পড়ে একটু ধন্দে পড়ে গেলাম - শুরু করেছেন বন্ধুর মত 'তুমি'র স্তরে, কিন্তু একটু পরেই দেখছি 'আপনি' আর 'ভাই'-র স্তরে চলে গেছেন।
****************************************
আলী ইমাম আমার বন্ধু এবং ভাই দুটোই।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
আমার এই সত্যি গল্পটা তোমাকে বলেছিলাম। তোমার কারণেই এটা লেখা হলো এখানে, সত্যজিতের জন্মদিনে।কিন্তু ওসামা হারামজাদাটার কারণে লেখাটা সময় মতো শেষ করতে পারিনি।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
বললাম সুজনকে কিন্তু এইটা সুজনের কমেন্টের উপ্রে আইলো ক্যাম্নে!!
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
ওহ! রিটন ভাই!!
আপনি গদ্য লিখলে নাজানি কী করতেন!! দারুণ লাগে পড়তে।
কাম্লা দিয়ে ক্লান্ত হয়েও দিনটা শেষ করলাম অসাধারণভাবে!
আপনার এই "সত্যি গল্প" টা আমার দারুণ লাগে,হিংসাও লাগে !
২বার পড়লাম, ঘুম থেকে উঠে আবার পড়বো।
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
রূড না হয়ে তাঁর উপায় ছিলোনা কোনো।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
আরে এইটা তো আমি রোকসানা রশীদকে বলেছি! কী কান্ড!! হচ্ছেটা কি?
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
দারুন!! অনেক লেখক কবির জীবনীতেই দেখেছি, সত্যজিতের রূড স্বভাবের কথা, কিন্তু যখন চিন্তা করি একজন মানুষ যাকে সব্যসাচী বললেই বেশি পারফেক্ট হয়, তার সময়ের ঘাটতি থাকবে, এটাই স্বাভাবিক!!
আপনি আসলেই লাকী!
গত বেশ কয়েকদিন ধরে পুরাই সত্যজিৎময় হয়ে আছি, তাই এই পোস্টটার আবেদনই অন্যরকম লাগলো!! দারুন!
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
হিংসা জানায় গেলাম।
দারুণ লেগেছে পড়তে, মনে হচ্ছিল নিজের সামনে দেখতে পাচ্ছি।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
ঈর্ষা জানানো বৃথা। বরং ধন্যবাদ জানাই গল্পটা আমাদের শোনানোর জন্য।
ঈর্ষার কোনো শেষ নাই
ঈর্ষার চেষ্টা বৃথা তাই!
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
লেখাটি ভাল লাগলো। আমারও অনেক ইচ্ছে ছিল সত্যজিৎ রায় কে কখনো সামনাসামনি দেখার। আমার এক সহকর্মী শাওন্তী হায়দার-এর সত্যজিৎ রায়-এর বাড়িতে যেয়ে তাঁকে সামনাসামনি দেখার সুযোগ হয়েছে, ভাবতাম যে এমন একটি সুযোগ যদি আমারও হতো কোনদিন। তারপর আবার ভাবতাম বাড়িতে সত্যজিতের গম্ভীর মেজাজ দেখে, আর মাত্র ‘পাঁচ মিনিট কিন্তু’ এমন কথা শুনে হয়তো মন খারাপই হয়ে যেতো; যাকে এতো পছন্দ করি তাঁর ব্যবহারে মন খারাপ হওয়ার দুঃখ অনেক।
শামসুর রাহমান সত্যজিৎ-এর বাড়িতে যাওয়ার যে অভিজ্ঞতার কথা লিখেছেন সেখানেও দেখেছি যে তিনি বাংলাদেশ থেকে আসা কবি-লেখকদের বেশি সময় দেননি। নির্মলেন্দু গূণ তো সত্যজিৎ-এর আচরণের সমালোচনাই করেছেন সরাসরি। তবে যে মানুষটি অসুস্থ শরীরেও প্রতিদিন একমনে ১৬ ঘন্টা কাজ করতেন তাঁর তো আর মানুষের সাথে বসে বেশি সময় কাটানোর সুযোগ ছিল না। হয়তো তাঁর ইচ্ছে করলেও পারতেন না। তাঁর সৃষ্ট চরিত্রগুলো থেকে কিন্তু মনে হয় আড্ডার প্রতি আর অচেনা মানুষের সাথে কথা বলার প্রতিও তাঁর ভেতরে আগ্রহ ছিল। ফেলুদা কেউ অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছাড়া তার বাড়িতে আসলেও মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে দেননি কখনো। লালমোহনবাবু তো নিয়ম করে আড্ডা দিতে আসতেন ফেলুদা আর তোপসের সাথে। তবে প্রফেসর শঙ্কু তার গবেষণার ব্যস্ততার মাঝে অবশ্য তার চাকর প্রহ্লাদকে দিয়ে কখনো বলে পাঠাতেন যে দেখা হবে না, আর এর মাঝে তার বন্ধু অবিনাশবাবুও বাদ যেতেন না। তবে তারিণীখুড়ো তো ছিলেন মহা আড্ডাবাজ। আর 'আগন্তক' এর ‘মামা’ যার মধ্য দিয়ে সত্যজিৎ তাঁর নিজের অনেক কথাই বলতে চেয়েছেন, সেই মনোমোহন তো নিজে থেকেই যেয়ে অচেনা মানুষদের সাথে বসে কথা বলেছেন। তবে স্কুলজীবন থেকেই সত্যজিৎ চুপচাপ স্বভাবের, তাঁর ভেতরের অসাধারণ হিউমার বোধ এর পরও। আর সবসময়ই নিজেকে কাজে ডুবিয়ে রাখার গভীর ইচ্ছাই হয়তো তাঁকে অনেক মানুষ থেকে দূরে সরিয়ে রাখতো।
সুন্দর লেখাটির জন্য ধন্যবাদ, রিটন ভাই।
একদম ঠিক।
তারপরও সত্যজিৎ রায় তাঁর অনেক মূল্যবান সময় নষ্ট করেছেন আমাদের মতো তথাকথিত ভক্তের উৎপাতে।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
সত্যজিৎ রায় যেমন ছিলেন, তেমনটা হওয়ার কারণেই বোধহয় তিনি সত্যজিৎ রায় হইছেন ...
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
১০০% একমত।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
ভাল লাগল আপনার স্মৃতিচারণ। আর অনেক ধন্যবাদ চমৎকার এ অভিজ্ঞতাটি শেয়ার করার জন্য।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
ঈর্ষা হলোনা! কেন জানি বিখ্যাত মানুষজনের কাছাকাছি যেতে ইচ্ছা করেনা। কিন্তু ভাইয়া তোমার লেখাটা পড়ে কতো ভালো লাগলো বুঝানো মুশকিল! দুবার পড়লাম, আরও একবার পড়ি এখন!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
ইকরা--মানে পড়ো সত্যজিতের নামে!
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
মুগ্ধ হয়ে পড়লাম।
তীব্র ঈর্ষা নিয়ে ছবিতে চোখ রাখলাম...
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
হাহ হাহ হাহ। সত্যজিৎ বলে কথা। মুগ্ধ না হয়ে উপায় আছে!
আমি তো সত্যজিতের নাম শুনলেই মুগ্ধ হয়ে যাই।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
ছড়াকার হিসেবে আপনাকে চিনতাম, গদ্যের গুণের কথাও জানলাম। সত্যজিৎ এর সান্নিধ্যে ২২টি মিনিট - দীর্ঘশ্বাস
স্বর্ণালি ২২ মিনিট!
আর দীর্ঘশ্বাসের জবাবে:D
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
হিংসা, শুধুই হিংসা।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
ঈর্ষা
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
ধন্যবাদ লুৎফুর রহমান রিটন!
ধন্যবাদ কামড়ুজ্জামান জাহাঙ্গীর!
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
ক্ষুদ্র জ্ঞানে জানি ছবি ব্ল্যাক এন্ড হোয়াইট হয়, আর হয় কালার। এই ট্রান্সপারেন্সি জিনিসটা কী রিটন ভাই?
৮৪তে গুপি বাঘা ফিরে এলো ছবির গানের নোটেশন...
যতদুর মনে পড়ছে ৮৯ এর শারদীয় আনন্দমেলায় এই ছবির গান -এদ্দিনে দুইজনে- ছাপা হয়েছিল এই কথা জানিয়ে যে আগামী বছর ছবিটি সন্দীপ রায়ের পরিচালনায় রিলিজ পাবে। পরে ছবিটা ফ্লপ মারে। আপনাদের ২২ মিনিটের ফল...
আপনাকে ব্যাপক হিংসা জানিয়ে গেলাম।
ট্রান্সপারেন্সি হইলো যেইটার কোনো নেগেটিভ নাই, নেগেটিভটাই পজেটিভ!! বুঝলা কিছু?
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
নিলয় অনেক পরে রিলিজ হওয়া ছবির গানের নোটেশন অনেক আগে হতেই পারে।
সাল নিয়া চিন্তিত হয়ো না। ঘটনা সেই রকমই ঘটেছিলো।
আর আমাদের ২২ মিনিটের কারণে গুপি বাঘা ফিরে এলো ফ্লপ খেয়েছিলো!
সন্দীপ্টা আসলে সত্যজিতের মেধাহীন পুত্র। ওর বাপের নাম সত্যজিৎ না হলে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ভাত পেতো না সন্দীপ।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
আপনাদের এই সত্যজিৎ যাত্রার গল্পটা আমি আগে শুনেছিলাম, কার কাছে শুনেছিলাম মনে নাই, কিন্তু শুনেছিলাম এটা নিশ্চিত।
ঈর্ষা ছাড়া আর কোনো অনুভূতি নাই আপাতত
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হ্যাঁ এই গল্পটা আমরা দুজনে অনেক জায়গায় বলেছি।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
আপনার সৌভাগ্য দেখে যারপরনাই ঈর্ষান্বিত হলাম
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
কীর্তিমানদের কীর্তিমানেরাই চেনে। পাহাড় দেখের সাধ সবার কি পূরণ হয়!
দেখা আর সেই দেখার বর্ণনা করার জন্য ধন্যবাদ রিটন ভাই।
মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান.....
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
খুবই চমৎকৃত হলাম। আপনাদের অ্যাডভেঞ্চার আমার মধ্যেও সংক্রামিত হচ্ছিলো। ছবিতে আপনাদের চোখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে কতটা উৎফুল্ল ছিলেন আপনারা!
ঠিক কিনা? ঠিক ঠিক ঠিক ঠিক...
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
আপনি এতো সুন্দর করে বর্ণনা করলেন, মনে হোল পুরোটা সময় আমিও ওখানে ছিলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ এই অভিজ্ঞতাটা শেয়ার করার জন্য।
উপেন্দ্রকিশোরের ভিটের এখনকার অবস্থা কী কেউ জানেন?
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
এই গল্পটা আপনি ছোটদের কাগজের একটা পর্বে বলেছিলেন কি? সেই ছোট আমার যেমন হিংসা লেগেছিল, আজকে আবারো একই রকম হিংসা লাগলো।
পরীক্ষা শেষের দিন আমরা 'আহা কী আনন্দ' গাইতাম কোরাসে!
অট: আমার কাছে ছোটদের কাগজের জন্মলগ্ন থেকে প্রতিটা পর্ব এখনো আছে জানেন? বাংলাদেশে ছোটদের একটা ভালো পত্রিকার কী যে অভাব! কিশোর পত্রিকাও ভর্তুকি দিয়ে আর চালালো না সেবা প্রকাশনী।
আরেকবার শুরু করা যায় না রিটন ভাই?
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
এই গল্প ছোটদের কাগজে লিখেছিলাম!
বলো কি ছোটদের কাগজের সব কটা সংখ্যা তোমার কাছে আছে!
নারে ভাই যাযাকার জীবনে আর ছোটদের কাগজ বের করবো না। এই কাগজটা আমাকে গরিব করেছে। আমার সমস্ত সঞ্চয় এই একটা পত্রিকা খেয়ে নিয়েছে!
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
লেখা তো অবশ্যই আরো মজা লাগলো ছবিটা দেখে।
আলী ইমামের মুখ একদম জ্বলজ্বল করছে
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
ঠিক রানা ঠিক, আলী ইমামের চোখ জ্বলজ্বল করছে খুশিতে।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
খুব ভাল লাগল পড়ে।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
দুর্দান্ত লেখা রিটন ভাই!
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
রিটন ভাই, আপনাকে হিংসা করতে করতে ক্লান্ত। এতোদিন যাও ভাবতাম একদিন পুষিয়ে নেবো সব, কিন্তু সত্যজিতের সঙ্গে দেখা করে পুষিয়ে নেবো কীভাবে!!!
আমি কিন্তু অনেককেই হিংসায় ফেলে দেই এই বলে যে, আপনি আমাকে খুব স্নেহ করেন। আমি আপনার অতি প্রিয়দের একজন!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আমি তো তোমাকে সত্যি সত্যি অনেক স্নেহ করি মিয়া!
জার্মানি গেলে দেখা হবে তোমার সঙ্গে।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
হিংসা প্রকাশের ভাষা নেই...
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
এই সমস্ত মানুষেরা আর জন্মায় না কেন জানি
ঠিক।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
দারুণ লাগলো সত্যিজিৎতের সাথে স্মরণীয় বাইশ মিনিটের স্মৃতিচারণ।
ঈর্ষাণ্বীত
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
আপনার গদ্য অসাধারন হয় সেটা এর আগেও বহুবার বলেছি বহুভাবে। আপনি কেন যে নিয়মিত লিখেন না ! "যত্রতত্র কয়েকছত্র" আবার শুরু করেন প্লিজ।
নাইলে আপনার ফেইসবুকের ওয়ালে দলবদ্ধভাবে চিকা মারার হুমকি দিয়ে গেলাম।
হুমকি দিওনারে ভাই। গদ্য কম্পোজ করা অনেক কস্টকর।
আর আমি তো সেই বাঘাদা-র মতোই --আয়েস করে আলসেমিতে দশটা(৫০টা) বছর পার!
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
আলী ইমাম ভাইকে নিয়ে তোমার আরেকটা লেখা পড়েছিলাম। তাই নিঃশ্বাস ধরে রেখে পড়ছিলাম তোমার তরতাজা লেখাটি। এই বুঝি পড়ল মুগুর! তোমাকে ধন্যবাদ সেটা হয়নি।
আমাকে আশির দশকের ইসলামিক ফাউন্ডশনের সাহিত্য সভাগুলোর কথা মনে করিয়ে দিলে। তোমাকে আবারো অনেক ধন্যবাদ।
খন্দকার আলমগীর হোসেন
নারে ভাই আমি আর মুগুড় নিয়া ঘুরি না। ভালো হয়ে গেছি!
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
হিংসা... দুই বালতি হিংসা আপনাদের জন্যে রিটন ভাই। লেখাটা বিয়াপক হইছে।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
চমৎকার লেখা। খুব ভালো লাগলো।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
আপনার ভাগ্যকেও বিমুগ্ধ ঈর্ষা করতে শুরু করলাম।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
অসাধারণ অভিজ্ঞতা! শৈশব কৈশোরে তো অবশ্যই, সত্যজিৎ এখনো আমার হিরো।
আমারও।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
এই লেখার লেখক আর লেখকের লেখার বিষয়, দুইই আমার জন্য অলিক। লুৎফর রহমান রিটন স্বপ্নের ভিতরে সত্যজিৎ রায়কে স্বপ্নে দেখলাম। লেখাটা আমাকে ইনসেপশন ছবি আসল মজাটা দিলো।
বেশ অ্যাডভেঞ্চার অ্যাডভেঞ্চার ভাব পেলাম লেখায়। মজা লাগলো। আর হিংসা করে যেহেতু লাভ নেই তাই ঈর্ষা করি।
অ.ট. কচিকাচার মেলা আমার ঢাকার বাসার অনেক কাছে। দেশে থাকতে সেখানে আড্ডা দিতে যেতাম। আর সাধনা ঔষধালয়তো ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি। অনেক মিস করি সেগুলো। আপনি কী গেন্ডারিয়ায় থাকতেন?
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
কী ভাগ্য আপনার রিটন ভাই!
আমার ভাগ্যে তো আর গুরু দর্শন নেই। ছোটবেলার প্রিয় ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটন'এর দেখা পেলেই বর্তে যাবো। সেদিন আমিও গাইবো, 'আহা কী আনন্দ আকাশে বাতাসে...'
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এই ছবিটি দেখেছিলাম আলী ইমাম ভাইয়ের বাসাতে। দারুণ স্মৃতি।
facebook
নতুন মন্তব্য করুন