প্রভুর প্রস্থান......
ক্যাটেগরি:
এইমাত্র খবর পেলাম সচলবন্ধু সুজন চৌধুরী এবং সুমন চৌধুরীর বাবা, আমাদের প্রিয় ও শ্রদ্ধেয় খালেদ চৌধুরী (যিনি প্রভু নামে বিখ্যাত) মৃত্যুবরণ করেছেন! তাঁর সঙ্গে কতো স্মৃতি কতো কথা!! এই কানাডা থেকেও কতো কথা যে বলেছি টেলিফোনে! প্রভু, আপনার এই প্রস্থান আমাকে শোকার্ত করেছে। প্রভু শান্তি শান্তি......
- লুৎফর রহমান রিটন এর ব্লগ
- ৯৫৮বার পঠিত
মন্তব্য
যতোদুর মনে পড়ছে তার দু'এটা অনুবাদ পড়েছি রুশ থেকে বাংলায়। শশাংক সাদী পাভেল প্রায়ই বলে তার কথা।
তার আত্মা চিরশান্তিতে থাকুক। সুজন এবং সুমন এই অপুরণীয় ক্ষতির শোক সামলে উঠুক।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
মাত্র ক'দিন গেলেন নজমুল আলবাবের বাবা। আজ সুমন চৌধুরীর।
বাতিঘরের এক একটা আলো নিভে যাচ্ছে।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
শ্রদ্ধার্ঘ্য আর মঙ্গলকামনা, শুভকামনা থাকলো পরিবারের প্রতি ।
খুবই দুঃখজনক...
হায় রে! সেই মানুষটার সঙ্গে আর দেখা হবে না।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
শান্তি কামনা করছি। শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
সমবেদনা তো আসলে হয় না, তাও....
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
love the life you live. live the life you love.
সমবেদনা জানাই।
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
আমরা তখন জাহাঙ্গীরনগরে। আন্দোলন নিয়া ব্যস্ত। বহুদিন সুমন চৌধুরীর পাত্তা নাই। ঢাকায় যাইয়া পইড়া রইছে। তো আমরা সবাই মিলা প্ল্যান করলাম, ঢাকায় সুমন চৌধুরীর বাড়িতে যাইয়া হামলা চালানোর। প্ল্যানমতো একদিন সবাই সুমন চৌধুরীর রায়েরবাজারের পাঠশালার গলির বাসায় উপস্থিত হইলাম। গেট খুইলা দিলেন ৬০ উর্ধ্ব এক ভদ্রলোক। উনি আমাদের দেখে হাত বাড়িয়ে দিলেন, আমরাও আমতা আমতা করে হাত বাড়িয়ে দিলাম। উনি বললেন, আমি খালেদ চৌধুরী। সুমন চৌধুরীর বাবা।
এত স্মার্টলি আমাদের কোনো বাবাকে নিজের পরিচয় দিতে দেখি নাই। উনার আত্মার শান্তি কামনা করি।
আমিও ছিলাম সেই যাত্রায়। পরে মাত্র একবার দেখা হয়েছে। এত সুন্দর মানুষের কথা জীবনে কমই শুনেছি।
প্রণাম তাঁর প্রতি।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
.....
সবুজবাঘের সাথে কতোদিন প্ল্যান করেছি যে একদিন তাঁর সাথে দেখা করবো। সেটা আর হয়ে উঠলো না। প্রভু যেখানেই থাকবেন, ভালো থাকবেন এই আস্থা রাখি।
১৩ই জুলাই দিনটা আজ থেকে সুজন চৌধুরী আর সুমন চৌধুরীর জন্য সবচে' শোকাবহ দিন হয়ে গেলো। তাদেরকে যে কোনো প্রকারে সান্ত্বনা দেবার চেষ্টা বাতুলতা মাত্র। তাই সে চেষ্টা করবো না। সময়ের সাথে একদিন তারা সব শোকই সহ্য করে নিতে পারবেন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
খুবইআন্তরিক একজন মানুষ ছিলেন। বাতিগুলো সব নিভে যাচ্ছে ধীরে ধীরে।
শ্রদ্ধা রইলো ...
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আরেকজন খালেদ চৌধুরী কি আমরা পাবো? কিংবা আমরা কি এখনও উপলব্ধি করতে সক্ষম, কত জ্ঞানী একজন মানুষকে আমরা হারালাম? খালেদ চৌধুরী নিজের জীবন আর পর্যবেক্ষণ নিয়ে কখনও কিছু লিখতেন না বলে আমরা বঞ্চিতই থেকে গেলাম। আরেকটি আলেকজান্দ্রিয়া লাইব্রেরিতে যেন আগুন ধরিয়ে দিয়ে গেলো মৃত্যুবেশী সিজার।
সুমন চৌধুরী আমার দীর্ঘদিনের বন্ধু, কারণে অকারণে এই প্রবাসজীবনে ক্রমাগত তাঁর শরণাপন্ন হই। সেই ঋণ এত কৃতঘ্নতার সাথে শোধ করতে হবে, কখনও ভাবিনি। আমাকে যেন আর কখনও কোনো বন্ধুকে পিতার মৃত্যুর সংবাদ জানাতে না হয়।
খালেদ চৌধুরী নিজেও আত্মায় বিশ্বাসী ছিলেন না, আমিও করি না, তাই তাঁর পরিজন যাতে এই মর্মান্তিক শোকের মুখোমুখি হবার শক্তি পান, সেই কামনা করি। আর রিটন ভাইকে সনির্বন্ধ অনুরোধ করি, এই পণ্ডিত বৃদ্ধকে নিয়ে কিছু স্মৃতিচারণের।
হিমুভাইয়ের সাথে সম্পূর্ণ সহমত, রিটন ভাই আমাদেরকেও এই জ্ঞানী মানুষটা সম্পর্কে একটু বিস্তারিত জানান!!!
আমি আরো বেশী দাবী করতে চাই, আপনারা যারাই উনাকে কাছ থেকে দেখেছেন তারা সবাই মিলেই লিখুননা কেন? সচলায়তন তো প্রকাশও করে, একজন খালেদ চৌধুরীকে নিয়ে না লিখলে কোনদিন তার প্রতি যথাযথ সম্মান জানানো হবেন। আপনারা যারা তার খুব কাছের এটা আপনাদের দায়বদ্ধতা হোক।
আমরা বাকিরা অপেক্ষায় থাকবো।
প্রভুকে নিয়ে লিখতেই তো চেয়েছিলাম কিন্তু হলো না। অনেকক্ষণ বসে থেকে শেষে এইটুকু লিখলাম।
আশা করছি শিগগিরই লিখতে পারবো। এই প্রজন্ম খালেদ চৌধুরীকে জানে না, জানার কথাও নয়। তিনি চিরদিনই ছিলেন নেপথ্যের মানুষ।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
আপনি রনিম, ছানিমের মামা, ওরা বাসাবোয় আমাদের পাশের বাসায় থাকতো, আপনার লেখা প্রথম বইটি আমি চাচীর কাছ থেকে পাই। আপনার প্রথম বইয়ের একজন পাঠক হিসেবে, ওদের মামা হিসেবে আপনার কাছে আমি অন্যভাবে আব্দার করবো।
আপনি বললেন উনি নেপথ্যে থাকা মানুষ, তিনি যখন ছিলেন তখন কিন্তু নেপথ্যেও থাকলেও তিনি জীবিত ছিলেন, তার মন, মনন, মননশীলতা কিংবা প্রগগার (বানানটা ঠিকমত লিখতে পারলামনা), জায়গাটুকু আপনাদের অনেক বেশী পরিশীলিত রেখেছে। এই পরিশীলিত থাকার জায়গাটুকু ধরে রাখা একটা জাতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, খুবই গুরুত্বপূর্ণ পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটা সমাজ, দেশ আর সংসকৃতি রেখে যাওয়ায়।
আমি বিষয়টা একটুঅন্যভাবেও ব্যাখ্যা করতে চাই, উনি চলে গেছেন, নেপথ্যে রেখে গেছেন অনেক কিছু যার সঠিক উঠে আসা দরকারী। আমি উন্মোচন ব্লগেও দেখলাম একটা হাহাকার, আমি সেখানেও বলেছি। এরকম আরো অনেক মানুষ কিন্তু চলে যাচেছন, তাদের নেপথ্যে থাকা যাপিত জীবনের আলেখ্য যেহেতু রাষ্ট্র লিখেনা বা লেখার দায়ীত্ব নেয়না, প্রতিক্রিয়াশীলতা লতায় পাতায় বাড়ে, লতায় পাতায় বেড়ে উঠে ধর্মের জুজু নিয়ে আলোচনা এবং ষ্টাবলিশমেন্ট প্রচেষ্টা।
আপনারা লিখুন, নেপথ্যে থাকা নেপথ্য মননশীলতা, বিশ্বাস আর চর্চা র বহিঃপ্রকাশে বহিঃপ্রকাশে পাল্টে যাক বর্তমান ধ্বজাধারীদের নষ্টামীর ধরাচূড়া - দায়ীত্ব কিন্তু বড়দের। তাই একজন পূর্ববর্তী প্রজন্মের কাছে আব্দার করার ক্ষেত্র তৈরী করে আব্দার করলাম। বাকিটা সময়ই বলে দেবে।
আপনি ভালো থাকবেন, আর আাপনার ভাগ্নে দুটোর কাছে জানতে চাইবেন, তানিম নামের কারো কথা ওদের মনে আছে কিনা! শুভেচ্ছা,
আমি তাঁদের কাউকেই ব্যক্তিগতভাবে চিনি না, তাই বলে তাঁর চলে যাওয়া আমাকে কাঁদাবে না কেন? তিনি মানুষ ছিলেন আর আমিও তো মানুষ!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
কীর্তিমানের মৃত্যু নাই...
তিনি বেঁচে থাকবেন সুজন চৌধুরী এবং সুমন চৌধুরীর মাঝে, আমাদের মাঝে...
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
সমবেদনা জানাই।
...........................
Every Picture Tells a Story
...
ভাষা জানা নেই...
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
সর্ব বিষয়ে প্রভুর প্রভূত পাণ্ডিত্য আমাদের বিষ্মিত করতো। তাঁর পঠন পাঠনের ব্যাপ্তি নিয়ে রীতিমতো একটা কিংবদন্তি গড়ে উঠেছিলো। প্রভু ছিলেন চলমান এনসাইক্লোপিডিয়া। এতো জানতেন!!
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
আমি কানাডায় চলে আসার পর (২০০২ সালে) প্রভুকে ফোন করেছিলাম আমার অনাবাসী হবার বিষয়টা তাঁকে অবহিত করতে। প্রায় ঘন্টাখানেক গড় গড় করে কানাডা সম্পর্কে প্রভু এতো কথা বললেন যে আমার তো মনে হলো লোকটা মানুষ না, একটা কম্পিউটার!!
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
অনেক অনেক সমবেদনা রইলো বদ্দা ও সুজন্দার প্রতি।
জানতাম না আপনারাও সহোদর। জুবায়ের ভাই ও সন্ন্যাসীর কথা জেনেছিলাম জুবায়ের ভাই চলে যাওয়ার পর, আপনাদের কথা জানলাম আজকে।
আর কোনো সচলচারী সহোদরদের কথা জানতে চাই না।
ইশতিয়াক, জুবায়ের ভাই চলে যাবার পর সন্ন্যাসী আর জুবায়ের যে সহোদর সেই তথ্যটা এই আমিই পরিবেশন করেছিলাম। আর এখন, প্রভু চলে যাবার পর সুজন আর সুমন-এর পরিচয়টা......কী যে কষ্টকর......
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
সুজন গতকাল দুপুরে ভ্যাংকুভার থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে গেছে।
সুমন তার আগের দিন। দুই ভাইয়ের এই বিমান যাত্রার প্রতিটা মুহূর্ত কতো না কষ্টের......আহা...
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
কষ্ট লাগলো খুব। সুজন্দা আর সুমন্দার প্রতি সমবেদনা।
শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
অনেক অনেক সমবেদনা রইলো সুমন ও সুজন চৌধুরীর জন্য।
এ ছাড়া আর বলার মত কিছু নাই।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
সুমন ও সুজন চৌধুরীকে সমবেদনা। রিটন ভাই আপনাকে ধন্যবাদ, খরবটা আমাদের জানাবার জন্য।
--------------------------------------------------------------------------------
প্রভু সম্পর্কে এতো এতো কথা শুনেছি, আমার কাছে উনি ছিলেন কিংবদন্তীর মতো। কখনো দেখা হয়নি। খুব ইচ্ছে ছিলো...
জানতাম না যে এই মানুষটি সুজনদা আর সুমনদার বাবা!
সেই কিশোরবেলা থেকে জেনে এসেছি বাংলাদেশের জীবিত সবচেয়ে জ্ঞানী মানুষটার নাম খালেদ চৌধুরী প্রভু...
জেনে এসেছি পৃথিবীর যে কোনো কিছু জানার জন্য বই পত্র পড়তে হয় না, উনার কাছে গেলেই হয়...
এরকম নির্ভরতা আর কোথায়?
আমাদের জ্ঞান এখন গুগলে গিয়ে ঠেকেছে... কিছু জানতে হয় না, গুগলের এড্রেসটা জানলেই চলে!
রিটন ভাইয়ের কাছে অনুরোধ থাকলো উনাকে নিয়ে দীর্ঘ লেখার... প্রয়োজনে সিরিজ হিসেবে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
নতুন মন্তব্য করুন