ঊননব্বুই-নব্বুই সালের কথা। আমার মেয়ে নদী তখন র্যাংকিন স্ট্রিটের ক্ষুদে পন্ডিতদের পাঠশালা নামে একটা কিন্ডারগার্টেনে কেজি ওয়ানের ছাত্রী। বেশিরভাগ সময় ওর মা শার্লিই ওকে স্কুলে আনা-নেয়ার দায়িত্বটি পালন করে। মাঝে মধ্যে আমি ওকে নিয়ে যাই। আমাদের হেয়ার স্ট্রিটের বাসা থেকে ক্ষুদে পন্ডিতদের পাঠশালা খুব একটা দূরে নয়। হাঁটা পথে পাঁচ সাত মিনিটের দূরত্ব। একদিন সকালে নদী বায়না ধরলো—আজ বাবাই তাকে নিয়ে যাবে স্কুলে। মায়ের সঙ্গে যাবে না। মায়ের সঙ্গে যেতে যেতে ফেডাপ সে।
শার্লি ওকে রেডি করে দিলো। কাঁধে স্কুল ব্যাগটি ঝুলিয়ে নদী রওনা হলো আমার হাত ধরে। এইটুকুন পিচ্চি ওর বাঁ হাতটা আমার ডান মুঠোয় ধরে খুব আয়েসী ভঙ্গিতে আমরা স্কুলে যাচ্ছি। বাবার সঙ্গে যাচ্ছে বলে ওর উচ্ছ্বাসটা একটু বেশি। আমরা হাঁটছি কোরাস গাইতে গাইতে। টোনাটুনির ক্যাসেটের পুরো একটা সেট ওকে এনে দিয়েছিলাম। পাঁচটা ক্যাসেটের সবকটা গানই ওর আয়ত্বে। কয়েকটা আমারও জানা। তো সেই জানা থেকেই কোরাস গাওয়া, মেয়ের সঙ্গে। একটা গান ছিলো—তেল গুড় আটা নিয়ে উড়ি যে আকাশ দিয়ে/ টুন্টুন্টুন আমি টুনি...। কিন্তু এই টুন্টুন্টুন-এ এসে আমি ছন্দ গুলিয়ে ফেলি। আমার শুধু ভুল হয়ে যায় আর নদী বারবার আমাকে শুধরে দেয়—আরে বাবা ছোট্ট একটা গানও গাইতে পারো না? এইভাবে গাও বলতে বলতে আমাকে ছন্দ আর সুরটা বার কয়েক ধরিয়ে দিতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে গেলো নদী। আর আমি প্রত্যেকবার সাফল্যের সঙ্গে ফেল করলাম। নদী তো প্রায় হতাশ—ঈশ বাবা তোমাকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না। একটা গানই যদি গাইতে না পারো!
ভুল ছন্দে গান গাওয়া খুব কষ্টকর একটা প্রচেষ্টা। আর আমার এই কষ্টকর প্রচেষ্টা যে আমার ছোট্ট মেয়েটাকে আনন্দ দেবার জন্যে সেটা তো আমাকে ছাড়া আর কারো জানার কথা নয়। স্কুলের কাছাকাছি এসে শেষমেশ আমি পারলাম,নির্ভুল ভাবে গাইতে। নদীর সে কী আনন্দ! ওর বাবাটাকে অবশেষে মানুষ করা গেলো!
আরেকদিন।
প্রভাতের ঝলমলে মিষ্টিরোদপ্লাবিত র্যাংকিন স্ট্রিটে ছোট্ট নদীর সঙ্গে আমি। ওকে স্কুলে পৌঁছে দিতে যাচ্ছি আজও। কুটুর কুটুর করে অবিরাম কথা বলে যাচ্ছে নদী। ছোট্ট এইটুকুন মেয়ে। কিন্তু কথা বলে চটাং চটাং। বেশ গুছিয়ে। কতো যে কথা ওর! কাবুলিওয়ালা’র সেই পিচ্চি মিনির মতো। আজ ওর পরীক্ষা। বললাম,
--পরীক্ষা কেমন হবে মামনি?
--খুব ভালো।
--সব পারবি?
--সব পারবো।
--ফার্স্ট সেকেন্ড কিংবা থার্ড হতে পারবি?
--পারবো।
--যদি পারিস তো মজার একটা গিফ্ট পাবি তুই।
--কি গিফ্ট দেবে বাবা?
-- ফার্স্ট সেকেন্ড কিংবা থার্ড হতে পারলে তুই যা চাইবি তা-ই পাবি।
--প্রমিজ?
--প্রমিজ।
--তাহলে আমাকে একটা টিয়ে পাখি এনে দিও বাবা।
আমি বললাম, ওকে। দেবো।
পরীক্ষা শেষে দেখা গেলো নদী জিতে গেছে। সেকেন্ড নাকি থার্ড হয়েছে সে। আমি প্রমিজ ভুলে যাবার ভান করলাম। কিন্তু নদী কি তা ভোলে? আমাকে মনে করিয়ে দিলো—বাবা আমার পাখি?
বায়তুল মোকাররমের পেপার স্ট্যান্ডের কর্ণারে এক পাখিওয়ালা বসতো। দু’শো কিংবা আড়াইশো টাকায় ওখান থেকে মোটামুটি বড়সড় একটা খাঁচার ভেতর দুটি টিয়ে পাখি কিনে আনলাম। একটা পুরুষ টিয়ে আরেকটা মেয়ে টিয়ে। যেটার গলায় মালার মতো ডিজাইন করা পালক, সেটাই মেয়ে পাখি,নদীর সিদ্ধান্ত। পাখি দুটিকে পেয়ে নদী কী যে খুশি হলো! ছোট্ট মেয়েটার আনন্দ দেখে আমাদেরও মন ভরে গেলো।
সারাটা দিন নদী মেতে থাকলো পাখিদের নিয়ে। একটু পর পর পাখিদের খাবার দেয়া। পানি দেয়া। কত্তো কাজ মেয়েটার! পাখি দুটোর সঙ্গে বেশ ভালো একটা ফ্রেন্ডশিপ হয়ে গেলো ওর। পাখি দুটোর কিচিরমিচির সঙ্গীত বাড়িতে একটা উৎসব উৎসব পরিবেশ তৈরি করে ফেললো। রাতে খাঁচাটাকে কিচেনে রেখে লাইট অফ করে আমরা ঘুমুতে গেলাম। কিছুক্ষণ পর টিয়ে পাখিদের প্রবল আর্তনাদ আর ডানা ঝাপটানির শব্দে আমরা জেগে উঠলাম। কিচেনে হামলা করেছে একটা বেড়াল। জানলার গ্রিলের ফোঁকড় দিয়ে বেড়ালটা ঢুকে পড়েছে কিচেনে।
নদীর তো খুবই মন খারাপ হলো। বিষণ্ণ মেয়েটা জানতে চাইলো—বেড়ালটা কি পাখি দুটোকে খেয়ে ফেলতে চাইছে বাবা?
আমি বললাম,--হ্যাঁ রে মা।
শুনে একেবারেই মুষরে পড়লো নদী—প্লিজ বাবা পাখিদের বাঁচাও!
বেড়ালের আক্রমন থেকে বাঁচাতে খাচাঁটাকে অনেক উঁচুতে ফ্যানের রডে ঝুলিয়ে দিলাম। অতো উঁচুতে পৌঁছুতে পারবে না বেড়াল। খানিকটা নিশ্চিত হয়ে আমাদের সঙ্গে ঘুমুতে গেলো নদী। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই আবারো টিয়ে পাখিদের আর্তনাদ আর প্রবল ডানা ঝাপটানির শব্দে আমরা ছুটে গেলাম কিচেনে। দেখা গেলো খাঁচাটা দুলছে। পাজি বেড়ালটা প্রথমে উঠেছে মিটসেফ-এর ওপর। তারপর ওখান থেকে লাফ দিয়ে খাঁচার ওপর হামলে পড়েছে। পাখি দুটি সন্ত্রস্ত। চিঁচিঁ করে বুঝি বা নালিশ জানাচ্ছে নদীর কাছে। আমাদের সবার কাছে। কিচেনে লাইট অন করে রাখা হলো সারারাত ধরে। খুলে রাখা হলো দরোজা। যোগাড় করে রাখা হলো একটা লাঠি। প্রয়োজনে এটা দিয়ে পেটানো হবে বেড়ালটাকে। রাতটা আমাদের তিনজনারই কাটলো আধো ঘুম আধো জাগরণে। পাখিদের জন্যে নদীর অস্থিরতা আর ছটফটানি দেখে দুশ্চিন্তায় পড়ে গেলাম।
সকালে ওপর থেকে নামিয়ে আনা হলো পাখির খাঁচাটা। পরম মমতায় পাখি দুটোকে খাওয়ালো নদী। দূর থেকে আমি আর শার্লি খেয়াল করি—পাখিদের সঙ্গে কথা বলছে নদী—অনেক ভয় পেয়েছিলি তোরা......?
পাখিদের ব্রেকফাস্ট শেষে আমরা তিনজন ব্রেকফাস্টে বসলাম। নদীকে বললাম,
--মামনি তোর মন খারাপ?
--হ্যাঁ বাবা। বেড়ালটা তো পাখি দুটোকে খেয়ে ফেলবে! কি করে বাঁচাবো ওদের?
আমি বললাম, আমাদের বাসাটা নিচ তলায়। তাছাড়া সবকটা জানালা বন্ধ করে রাখলে তো আমরাও গরমে আধমরা হয়ে যাবো। তারচে একটা কাজ করি চল। আমরা বরং পাখি দুটোকে ছেড়ে দিই। এমনিতেই ওরা বন্দি হয়ে আছে। আকাশে উড়তে পারছে না। তুই তো ওদের খুব ভালো একজন বন্ধু, তাই না?
অনেকক্ষণ ধরে মন খারাপ করা ছলোছলো চোখে পাখিদের দিকে চেয়ে থাকলো নদী। ছোট বাচ্চারা কি দীর্ঘশ্বাস ফেলতে পারে! নদীর একটা দীর্ঘশ্বাস আমি যেনো শুনতে পেলাম।
ব্রেকফাস্ট শেষ করে আমরা তিনজন খাঁচাটার কাছে গেলাম। খাঁচাটা আমি তুলে নিয়ে এলাম লম্বা টানা বারান্দায়। আমি আর নদী দু’জনে মিলে খাঁচাটার দরোজার ছোট্ট ছিটকিনিটা খুলে দিলাম। প্রথমে একটু হকচকিয়ে গেলেও মুহূর্তেই পাখি দুটো খাঁচা থেকে বের হয়ে গেলো দ্রুত। তারপর ক্ষিপ্র গতিতে একটা পাখি বাঁ দিকে আরেকটা ডানদিকে উড়াল দিলো। দুটি পাখি উড়ে গেলো আকাশের দুই প্রান্তে। আর সেটা দেখেই কান্নায় ভেঙে পড়লো নদী—-এটা কী হলো বাবা? ওরা দু’জন তো দুদিকে চলে গেলো! বোনটা তো তার ভাইটাকে হারিয়ে ফেললো! বোনটা তো এখন আর ওর ভাইটাকে খুঁজে পাবে না...। ওরা দু’জন তো হারিয়ে গেলো বাবা...।
যতোই নদীর অশ্রু মুছে দিই ততোই সে ডুকরে ডুকরে কাঁদে—বোনটা একা একা কোথায় যাবে এখন? ভাইয়ের জন্যে বোনটা তো শুধু কাঁদবে বাবা...। প্লিজ তুমি ওদের খুঁজে এনে দাও...।
নদীর এমন আকুল করা কান্না আমরা দু’জন তরুণ বয়েসী বাবা মা এর আগে কখনো দেখিনি। শার্লিরও প্রায় কাঁদো কাঁদো অবস্থা।
ওদের খুঁজতে যাচ্ছি এমন একটা ভান করে আমি অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে গেলাম। প্রতিদিন অফিসে যাবার সময় নদী ছুটে আসে বারান্দায়, আমাকে বিদায় জানাতে। কিন্তু আজ এলো না। খুবই বিষণ্ণ অবস্থায় হোন্ডা স্টার্ট দিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলাম। কিন্তু নদী এলো না। আমি চলে এলাম শান্তিনগরে, দৈনিক খবর কার্যালয়ে।
দুপুরে বাসায় ফোন করে জানলাম—কাঁদতে কাঁদতে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে নদী। দুপুরে কিছুই খায়নি মেয়েটা। বিকেলে শার্লি ফোন করে জানালো নদীর খুব জ্বর। মাথায় পানি ঢালা হয়েছে। গা স্পঞ্জ করা হয়েছে। প্যারাসিটামল সিরাপ খাইয়ে দেয়া হয়েছে। শার্লির অবিরাম সেবা-শুশ্রুশায় জ্বর এখন কিছুটা কমে এসেছে। আমার সেদিন কাজ ছিলো প্রতিদিনের তুলনায় অনেক বেশি। সংবাদপত্র অফিসে কাজ থাকে বত্রিশ রকমের। আমার সেদিন প্রায় একত্রিশটাই জরুরি। অবিশ্বাস্য দ্রুততায় কাজ প্রায় শেষ করে ফেললাম সন্ধ্যা নাগাদ। আমার জন্যেই অপেক্ষা করে করে ক্লান্ত হয়ে ঝিমিয়ে পড়া নদী শুয়ে শুয়ে মায়ের আদর নিচ্ছিলো। আমার হোন্ডার শব্দে ব্যস্ত হয়ে উঠলো নদী—বাবা কি পাখি দুটোকে খুঁজে পেয়েছো?
--না রে মা। কতো খুঁজলাম! পেলাম না।
ছোট্ট এইটুকুন মেয়েটা দুই চোখ বন্ধ করে আমার বুকের ওপর শুয়ে থাকলো অনেকক্ষণ। পাখিদের জন্যে ঘুমের ঘোরেও কি রকম একটা প্রলাপ বকার মতো করে অস্পষ্ট কিছু কথা বলতে বলতে ঘুমিয়ে পড়লো নদী। তখনো ওর গায়ে জ্বর। ওকে আলতো করে বিছানায় শুইয়ে দিলাম। নদীর মায়ের একেবারে দিশেহারা অবস্থা। সারাটাদিন ধরে একলা একা ধকল সামলাতে সামলাতে বিধ্বস্ত বেচারি।
যে করেই হোক মেয়েটার মন ভালো করে দিতে হবে। ছোট্ট একটা বাচ্চা মেয়েকে বিষণ্ণ দেখতে আর ভালো লাগছে না। পরদিন সকালে নদীর ঘুম ভাঙা মাত্রই বিপুল উদ্যমে ঝাঁপিয়ে পড়লাম আমি—নদী মামনি, তোর জন্যে একটা দারুণ খবর আছে।
পিটপিট করে আমার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে নদী বললো
--খবরটা কি বাবা?
আমি বললাম,--অনেক রাতে আমি যখন বিছানায় শুয়ে শুয়ে বই পড়ছি তখন একটা মজার ব্যাপার ঘটলো। হঠাৎ আমি দেখি কি আমাদের জানালার পাশের দেয়ালের ওপর দুটো টিয়ে পাখি এসে বসে আছে।
এইটুকু শুনে নদী তো খুশিতে প্রায় লাফিয়ে উঠলো—বলো কি বাবা? দুটো টিয়ে পাখি?
--হ্যাঁ, দুটো টিয়ে পাখি।
--আমাদের টিয়ে পাখি?
--হ্যাঁ, আমাদের টিয়ে পাখি। ওরা দু’জন খুব নিচু স্বরে নদী নদী বলে ডাকছিলো। এইটুকু শুনে খুশিতে নদীর দুই চোখ উজ্জ্বল হয়ে উঠলো
--তুমি আমাকে ডাকলে না কেনো বাবা?
খুবই স্বাভাবিক কণ্ঠে আমি বললাম, আমিতো ডাকতেই চাচ্ছিলাম তোকে কিন্তু ওরা দু’জন যখন শুনলো যে তুই ওদের জন্যে অনেক কেঁদেছিস। কাঁদতে কাঁদতে জ্বর বাঁধিয়েছিস। তারপর আবার কাঁদতে কাঁদতে ঘুমিয়ে পড়েছিস তখন ওদেরও খুব মন খারাপ হলো। ওরা দু’জন আমাকে বললো, আঙ্কেল এখন তাহলে আর ওকে ডাকার দরকার নেই। ওতো ঘুমুচ্ছে, ঘুমুক। আপনি আঙ্কেল প্লিজ নদীকে একটু বলবেন যে আমরা ভাইবোন দু’জন দু’জনকে খুঁজে পেয়েছি। সেটা জানাতেই আমরা অনেক দূর থেকে উড়ে উড়ে এসেছিলাম নদীর কাছে। আমরা অনেক দূরের দেশে যাবো তো তাই দেরি না করে রাতেই রওনা হতে হবে। আমরা এখন যাই আঙ্কেল। নদীকে বলবেন নদী একটা খুব লক্ষ্মী মেয়ে। নদীর মতো একজন বন্ধু ছিলো বলেই না আমরা দু’জন মুক্তি পেলাম। নইলে তো আমাদের দু’জনকে বেড়ালটা খেয়েই ফেলতো! থ্যাংকু নদী। বলতে বলতে উড়ে চলে গেলো পাখি দুটো।
পৃথিবীতে কতো অবাক করা কান্ডই না ঘটে! আমার বানিয়ে বলা গল্পটা নদী বিশ্বাস করলো। আর গল্পটা বিশ্বাস করার পর নদীর জ্বর ভালো হয়ে গেলো!
আমাদের সেই ছোট্ট পুতুলের মতো একরত্তি ভালোমানুষ মেয়েটা এখন কত্তো বড় হয়ে গেছে! কানাডার কার্লটন ইউনিভার্সিটি থেকে মাসকম-এ অনার্স করলো নদী। ০৬ জুন রৌদ্রকরোজ্জ্বল সকালে ওকে ড্রাইভ করে নিয়ে যাচ্ছিলাম কনভোকেশন অনুষ্ঠানে। এই পথে কতোশতোবার ড্রাইভ করেছি গত কয়েকটি বছর! মাইনাস ফর্টির কনকনে ঠান্ডায় কিংবা প্লাস ছেচল্লিশের চামড়া পুড়ে যাওয়া অগ্নিহল্কার ভেতর দিয়ে কতোবার যে এই ইউনিতে এসেছি! বসে থেকেছি ঘন্টার পর ঘন্টা শুধু এই দিনটির অপেক্ষায়! সুন্দর ছিমছাম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে নানান দেশের ছেলেমেয়েদের সঙ্গে নদীর নামটি যখন ঘোষণা করা হলো, নদী যখন মঞ্চে উঠে ওর সার্টিফিকেট গ্রহণ করছিলো একটি বিশেষ ধরণের পোশাকে সজ্জিত হয়ে, অডিটোরিয়ামে দর্শক সারিতে বসা ওর মা তখন সমানে চিৎকার করছে হাততালি দিচ্ছে আর একটু পরপর চোখ মুছছে! আমাদের ছোট্ট নদীটাকে এতো বড় করে তোলার পেছনে ওঁর ননস্টপ দিবারাত্রির পরিশ্রমের কাহিনি পৃথিবীতে আমি ছাড়া আর কেউ তো জানে না!
নদী মামনি তুই যতোই বড় হোসনা কেনো, এই বাবাটার কাছে তুই চিরকাল সেই ছোট্ট মেয়েটিই থাকবি। তোর কপালে লক্ষ কোটি চুমু। বাবাদের কাছে মেয়েরা কখনো বড় হয় না রে মা...
অটোয়া, ১০জুন ২০১২
মন্তব্য
খুব ভাল লাগল রিটন ভাই!
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
চমতকার আবেগভরা লেখা। নদীকে অভিনন্দন!
অভিনন্দন পৌঁছে দিলাম মাকড়শার বউ!
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
চিন্তিত ইমো কেন?
আপ্নার সাথে এ বছর বেশ কবার আশপাশ থেকে দেখা হয়েছে আমার!
তাই নাকি! (তা মাকড়শাটাকেও চিনি নাকি আমি? )
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
ভালো থাকুন
আপনিও।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
অসাধারণ স্মৃতিচারণ এবং ততোধিক অসাধারণ সাফল্যগাঁথা! আপনাদের তিনজনকেই অসংখ্য অভিনন্দন।
তিনজনের পক্ষ থেকেই ধন্যবাদ ইয়াসির।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
রিটন ভাই, লেখাটা পড়ে একই সাথে ভাল লাগার অনুভুতি হলো আবার মন খারাপও হলো। ভাল লাগল নদীর সাফল্য আর ওকে নিয়ে আপনার স্মৃতিচারন দেখে। মনটা খারাপ হলো নিজের বাবা-মার কথা মনে পড়ে। আমার বাবা মাও হয়ত একই ভাবে আমাদের নিয়ে ভাবছে, অথচ আজ আমরা কত দূরে।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
জাহিদ, এই দূরে থাকার কার্যকারণের সমাপ্তিটা চমৎকার হোক।
শুভ কামনা।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
নদীকে গ্রাজুয়েশনের শুভেচ্ছা!
আমার সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যেতে পারি নি, সেটা মনে পড়ে মনটা খারাপ হয়ে গেল। আমারো অনেক ইচ্ছা ছিল আব্বু-আম্মুকে নিয়ে সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করবো, কিন্তু সব ইচ্ছা তো পূরণ হয় না। নদী জীবনে অনেক বড় হোক, এই কামনা করি।
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
তারানার জন্যে মনটা একটু খারাপই লাগছে।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
নদীর জন্য অনেক শুভকামনা
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ধন্যবাদ।
কেমন আছো তুমি?
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
একটু ব্যস্ত কিন্তু ভালো আছি রিটন ভাই। আপনি কেমন আছেন?
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
কেন জানিনা ছোটবেলায় রবীন্দ্রনাথের কাবুলিওয়ালা গল্পটা পড়ার পর যেমনটা অনুভূতি হয়েছিল ঠিক সেইরকম একটা অনুভূতি কাজ করে গেল। গল্প, ছড়া যাই আপনি লিখেন পড়ার পর কেমন মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে যাই। নদীর জন্য রইলো প্রানঢালা অভিনন্দন। আপনার লিখা আরো বেশি সচলায়তনে দেখার প্রত্যাশায় রইলাম। ধন্যবাদ রিটন ভাই। ভালো থাকেন।
অনেক ধন্যবাদ নাম না জানা বন্ধুটি।
নদীর বড় হওয়াটা যখন দেখছিলাম তখন আমারও কতোবার যে কাবুলিওয়ালা গল্পের সেই মিনির কথা মনে হয়েছে! ও একদম মিনির মতোই ছিলো।
অভিনন্দন পৌঁছে দিলাম।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
আবেগভরা একটা লেখা
সৌরভ কবীর
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
স্মৃতিচারণ মুগ্ধ হয়ে পড়লাম । নদীকে অভিনন্দন এবং শুভকামনা । ভালো থাকবেন আপনারা তিনজন।
অনেক ধন্যবাদ তিনজনের পক্ষ থেকে।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
(গুড়)
আপনার বাড়ীর ঠিকানা পেলে গ্রাজুয়েশন উপলক্ষে একখানা পোস্টকার্ড পাঠাইতাম।
( গলায় রিঙওয়ালা পাখিটাই ছেলে পাখি )
facebook
ধন্যবাদ অণু।
ঠিকানা পাঠাচ্ছি।
গলায় রিঙওয়ালা পাখিটাই ছেলে পাখি!
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
ছোট নদীর বড় অর্জনে বিশাল অভিনন্দন
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
ধন্যবাদ।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
একজন বাবার দরদ দিয়ে লেখা এটা । মন ছুয়ে গেলো। অনেক বড় হোক নদী সেই প্রত্যাশায় করি। ভালো থাকবেন রিটন ভাই।
অনেক ধন্যবাদ অমি_বন্যা।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
স্মৃতিচারণ ভালো লাগলো।
দেব মুখার্জি
[db.dev.m@gmail.com]
--------------------------------------------------------------
দেব এর উঠোন ॥ ফেইসবুক ॥ গুগলপ্লাস
ধন্যবাদ।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
সকাল বেলা আপনার লেখাটা পড়ে মনটা ভাল হয়ে গেল রিটন ভাই।
(কানাডায় এখন) রাতের বেলা এই কমেন্ট পড়ে আমারও মনটা ভালো হয়ে গেলো সোহাগ।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
নদীকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আপনার লিখাটা পড়ে নিজের মা-বাবার কথা মনে হল, আমার কনভোকেশনের দিন বাবাও আনন্দে কেঁদে ফেলেছিলেন।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
এই ধরনের লিখা পড়লে আমার কেবল আমার বাবার কথা মনে পরে।উনি ও হয়তো ছোটবেলার কোন ছোট্ট ঘটনা এভাবে মনে রেখেছেন যেটা হয়তো আমার মনেই নেই। লেখা খুব ছুঁইয়ে গেল রিটন ভাই। আপনার কন্যাকে গ্রাজুয়েশনের শুভেচ্ছা, আপনাকে ও অভিনন্দন।
বাবারা এমনই হয়।
বাবাদের মনে থাকে।
ধন্যবাদ বন্দনা।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
নদী আপুকে সাফল্যে অভিনন্দন।
খুব আবেগাপ্লুত করে ফেলল লেখাটি।
আমারও বাবার কাছে অনেক অনেক পুরস্কার পাওনা আছে, পাওনা আছে পাখি, একুরিয়াম, খেলনা, গাড়ি আরো অনেক কিছু। কবে যে দিবেন বুঝি না। বাবারা এমন ফাঁকিবাজ কেন বলেন তো?
আপনি একজন চমৎকার বাবা। আপনার পরিবারের জন্য শুভ কামনা রইলো। ")
_____________________
Give Her Freedom!
ফাঁকিবাজ বাবারাও খুব ভালো।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
অভিনন্দন আপুকে-
আবেগভরা- বাবা তো এমনই হন...
ভাল থাকুন সবসময়...
কড়িকাঠুরে
ধন্যবাদ।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
খুব ভাল লাগল। ক্ষুদে পণ্ডিতদের পাঠশালায় আমার ছোট তিন ভাই বোন পড়েছে। নদীকে অভিনন্দন।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
তাই নাকি?
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
আপনাদের তিনজনকেই অভিনন্দন।
ধন্যবাদ তোমাকে।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
নদীর জন্য শুভকামনা।
মায়ের এবং বাবার আদর আলাদা, কিন্তু দুটাই ভীষণ মজার।
মনের রাজা টারজান
একদম ঠিক কথা। মায়ের আদর আর বাবার আদর দুটো আলাদা। দুটোই মজার। কিন্তু বাচ্চাদের কাছে ওই বয়েসে কোনো একটাকে ভীষণ অত্যাচার মনে হয়। বিশেষ করে মায়েরটা!
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
ছোটদের কাগজের একটা সংখ্যার প্রচ্ছদে নদীর ছবি ছিল। খুব সম্ভবত: "মেয়ে তুমি বড় হচ্ছো" এই শিরোনামের প্রচ্ছদ। কতো বছর আগের কথা! সেই ছোট মেয়েটা আজ বড় হয়ে গেছে। পড়াশোনা শেষ করছে, সংসার করছে!
নদীকে অভিনন্দন। পৃথিবীর সকল মেয়েদের জন্য শুভ কামনা।
হ্যাঁ আকতার। মেয়ে তুমি বড়ো হচ্ছোর প্রচ্ছদে নদী ছিলো। আমি নদীর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মেয়েশিশুদের দেখছিলাম। মেয়েগুলোকে তখন মনে হতো সবকটাই আমার মেয়ে।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
আমারও মনে আছে এই সংখ্যাটার কথা । কিশোর তারকালোক, ছোটদের কাগজ এই দুইটা রাখতাম।
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
নদীর জন্য অশেষ শুভকামনা। লেখাটা একদম ভেতরে ছুঁয়ে বেরিয়ে গেছে
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
অনেক ধন্যবাদ।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
অফিসে বসে কান্নার জল লুকোনো যে কী বিব্রতকর...
নদীর জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা আর অভিনন্দন... আপনাদের সবাইকে অনেক ভালোবাসা... আমাদের 'ন'পরিবারের পক্ষ থেকে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
কান্নার আর দ্যাখছো কি মিয়া? নিধি মামনিটা বড় হোক বুঝবা কান্না কাহাকে বলে। কাইন্দা কূল পাইবা না। এই আমি বলে দিলুম
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
রিটন ভাই
'৮৯ সাল তো , শার্লি নামটাতেই মনে পড়ে গেল কয়েকটা লাইন, আপনারই
শার্লি তোকে লিখছি যখন চিঠি
দূর আকাশে তারার মিটিমিটি
ল্যাম্পপোস্টের থমকে থাকা আলো
বলছে আমার শার্লিমনি ভালো।
মনে পড়ে রিটন ভাই ?
--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে/ লিখি কথা ।
আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার/ স্বাধীনতা ।।
খাইছে!
এই ছড়াটা আমার বাইরে আরও কারো মনে আছে!
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
খুব ভালো লাগলো।
নদীর জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ধন্যবাদ তাসনীম।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
নদীকে আমার অভিনন্দন জানাবেন
শুরুর ঘটনাদুটো সচলেই আগে পড়েছি মনে হচ্ছে?
অভিনন্দন পৌঁছে দিলাম।
তাই নাকি!
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
একজন বাবার চিরন্তন অনুভূতিই ফুটে উঠেছে আপনার ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণের মধ্য দিয়ে! আপনার লেখার সহজ-সরল আর ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র আবেগগুলো ছুঁয়ে গেছে হৃদয়! 'আমাদের ছোট নদী' আমাদেরও ফিরিয়ে নিয়ে গেছে শৈশবে!
হেয়ার স্ট্রিট, র্যাংকিন স্ট্রিট প্রতিদিনই চোখে পড়ে! চোখ মেলে দেখি স্কুলগামী শিশুদের উচ্ছল কোলাহল, আর গেটের বাইরে উদ্বিগ্ন অভিভাবকদের! আগামীকালও এর ব্যতিক্রম হবে না; তবে হয়ত খুব করে খুঁজব 'আমাদের ছোট নদী'কে।
ছোট নদীর জন্য শুভ কামনা!
অনেক ধন্যবাদ মামুন। (তুমি ওয়ারির আশেপাশেই থাকো নাকি?)
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
খুব ভালো লাগলো দাদা।
নদীকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
ডাকঘর | ছবিঘর
ধন্যবাদ তাপস।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
নদীকে অনেক অনেক অভিনন্দন রইলো। আপনার লেখা খুব হৃদয়গ্রাহী হয়েছে।
ধন্যবাদ।
তোমার সিঙ্গোটা কেমন আছে?
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
নদীকে অনেক অভিনন্দন! এইবার ওকে সচলে ধুমসে ব্লগিং করতে বলেন।
ধন্যবাদ।
বলবো। কিন্তু ও তো ফাঁকিবাজ।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
নদীকে অনেক অভিনন্দন!
নামতার বয়স সবেমাত্র ১বছর, ৮মাস! আমি বেঁচে থাকলে একদিন আমিও আপনার মতো লিখবো!
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
ধন্যবাদ।
নামতার গ্রাজুয়েসনের ওপর তোমার লেখাটা বেঁচে থাকলে আমিও পড়তে চাই।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
ইনশআল্লাহ! আমি না থাকি, নামতার মা লিখবে; শুধু আশাবাদ ব্যক্ত করি, যেন আপনি পড়তে পারেন।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
নদীকে আটলান্তিকের গভীরতাসম অভিনন্দন। শার্লি ভাবীকে ।
আর আপনাকে? হে হে হে, আগে কন আপনার শালি আছে কিনা!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
নদীকে বিশাল এই অভিনন্দন পৌঁছে দিলাম।
আমার শালি আছে লগে একটা রেফসমেত!
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
পাখির দাবী আমার ঘরেও উঠতে শুরু করেছে। কি যে করি!
***
অভিনন্দন।
দ্রুত মেটানো হোক এই দাবি। শিশুকে হ্যাঁ বলুন
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
নদীকে ১বারই দেখেছিলাম ৯৯ সালে "মাসকম" নামে ১টা অফিসে!! সেই নদী মাসকমেই গ্র্যাজুয়েশান করলো!! দারুণ!!
নদীকে অনেক অনেক অভিনন্দন!
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
আরে! তাইতো! দারূণ বলেছো সুজন। নাজমুলের 'মাসকম' অফিসেই তো আমরা মীনা কার্টুনের কাজ করলাম!
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
খুব ভালো লাগলো রিটন ভাই।
ধন্যবাদ কান্তা।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
লেখাতা পড়ে আমার বাবার কথা মনে পরল। যেদিন মেডিকেল আ ভরতি হলাম কি খুশি হয়েছিলেন কিন্তু পাস করা দেখে জেতে পারলেননা।।।।।। ভীষণ মনটা খারাপ হয়ে গেল লেখাটা পড়ে।অভিনন্দন নদীকে ।
নতুন মন্তব্য করুন