বছর তিনেক আগে বইয়ের জগৎ নামের পত্রিকাটার সম্পাদক আহমাদ মাযহার খুব বেকায়দায় পড়ে গেলো। ডাকযোগে একটা লেখা এসেছে। শামসুজ্জামান খানের ফোকলোর বিষয়ক একটা বইয়ের রিভিউ। রিভিউটা চমৎকার। কিন্তু লেখক পরিচিতিতে জানা যাচ্ছে লেখক ক্লাশ এইটের ছাত্র। মাযহারের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার উপক্রম। এইটুকুন একটা ছেলে ফোকলোরের কী বোঝে! আর এইরকম একটা সিরিয়াস বইয়ের এইরকম যুৎসই একটা রিভিউ ক্লাশ এইটে পড়া একটা বাচ্চার পক্ষে লেখা তো সম্ভব নয়!
বইয়ের জগতের ‘বিনে পয়সার গাঁয় মানে না আপনি উপদেষ্টা’ আমি খুব মনোযোগ দিয়ে লেখাটা পড়লাম। মাযহারের সন্দেহটা অমূলক নয়। ব্যাটা ফাজিলের ফাজিল। থাপড়ায়ে সোজা করে দেবো। কারনা কার লেখাটা নিজের নামে পাঠায়া দিছে। লেখার নিচে ওর ঠিকানার সঙ্গে একটা ফোন নাম্বার ছিলো। আমি প্রস্তাব দিলাম—চলো মাযহার এক্ষুণি ফাজিলটাকে ফোন করি। তারপর ফোকলোর বিষয়ে ওরে কেঁচকি দিয়া ধরি। পলানির সুযোগ পাইবো না। মাযহার বললো দেও।
আমরা কল দিলাম। কলটা কনফারেন্সে রাখলাম যাতে দুজনেই শুনতে পাই। খুদে ফাজিলটাই রিসিভ করলো কলটা। মাযহার কিছুক্ষণ প্রাথমিক কথাবার্তা ‘তোমার একটা লেখা পেয়েছি’ টাইপের কনভার্সেসান চালিয়ে গেলো। তারপর আমি আর মাযহার যৌথ ভাবে ওরে কেঁচকি দিয়া ধরলাম। ফোকলোর বিষয়টা আসলে কি, এইটা খায় না মাথায় দেয়, বাংলাদেশের কোন কোন উজবুক ফোকলোর নিয়া মাইতা আছে, কে কোন ঘরানার মালিক-সমর্থক এইসব প্রশ্নের তোড়ে ভাবছিলাম পিচ্চিটা চিৎ হয়া পইড়া গিয়া দিবো একটা লৌড়। কিন্তু ঘটলো তার উলটো। ব্যাটা এমন চমৎকার ভাবে আমাদের প্রশ্নের উত্তর দিলো যে আমরা মানে আমি আর মাযহার দুজনেই চিৎপটাং!
যৌবনের উত্তাল সময়টায় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সঙ্গে জড়িত থাকার সুবাদে বহু পড়ুয়া কিশোর-কিশোরীর সঙ্গে আমাদের দেখা হয়েছে। কিন্তু এই পিচ্চিটার মতো বিস্ময়কর বালক একটাও দেখিনি। ওর নাম দিগন্ত। মুহিত হাসান দিগন্ত। অসাধারণ পড়ুয়া এই ছেলেটার জন্মদিন আজ।
হ্যাপি বার্থ ডে দিগন্ত। অনেক বড় হও।
অটোয়া, ০৭ মে ২০১৩
মন্তব্য
হ্যাপি বার্থ ডে দিগন্ত। অনেক বড় হন, অ্যালানের মত
facebook
হ্যাফি বাড্ডে ডে বিস্ময় বালক
মানুষ যেদিন একখানা বই পড়ে জ্ঞানী হওয়া বাদ দিয়ে এরকম রাশিরাশি বই পড়বে সেইদিনই হয়তো শান্তি আসবে।
ভালু কইছুইন...
শুভ জন্মদিন খোকা।
তোমার কাণ্ডকারখানা প্রায়ই আমাকে প্রডিজি শব্দটা মনে করিয়ে দেয়।
অনেক অনেক শুভকামনা!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
শুভ জন্মদিন!!
শুভ জন্মদিন দিগন্ত বড় তুমি এমনিতেই হয়ে যাচ্ছো আর আকাশের কোন সীমা নেই। আকাশ ছাড়িয়ে যাও।
শুভ কামনা সব সময়ের জন্য।
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
হ্যাপি বার্থ ডে দিগন্ত! সচলায়তনে লেখার নিমন্ত্রন রইল।
শুরু করেছে, অলরেডি লিখেছে একটা।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
একটা না তো, বেশ কয়েকটা লিখেছে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
facebook
বিস্ময় বালক 'দিগন্ত'কে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
সবচে' বড় জন্মদিনের আশির্বাদ তো হয়েই গেছে! তারপরেও গরীবের শুভেচ্ছাটুকু দিয়ে গেলাম।
শুভ জন্মদিন। অনেক বড় হোন।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
শুভ জন্মদিন দিগন্ত! বিস্ময় বালক কিনা জানিনে তবে আশীর্বাদ করি যেন মানুষ হয়ে উঠতে পার। সত্যিকারের মানুষ!
মুর্শেদ ভাই, দিগন্ত তো সচলায়তনে লেখেই, আলাদা করে নিমন্ত্রন করছেন যে?
নিয়মিত লিখতে অনুরোধ জানিয়েছি।
শুভ জন্মদিন দিগন্ত
হেপি বাড্ডে
দিগন্তের উচিত কিছুদিন বলখেলা। তাহলে সেই অবকাশে কিছু বইটই পড়ে তার সঙ্গে আলাপ চালানোর মতো একটা অবস্থায় পৌঁছাতে পারবো আমি। পোলাটা মুখ খুললেই নিজেরে আনপড় আনপড় মনে হয়।
পারভেইচ্যারে
বল খেলাডা তওবা কইরা ছাড়
হা হা হা হা
এইগুলা কই পান ভাই??
সুবোধ অবোধ
টেস্ট
এইডা কইত্থেকে যে বের করসেন, বড় ভাই !
তাই নাকি?!! ওরে তাহলে তো আমার নিজেকে মনে হবে অশিক্ষিত!
শুভ জন্মদিন। শুভ হোক আগামী সময়।
শুভ জন্মদিন দিগন্ত
সুবোধ অবোধ
------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।
হায় হায়!
এই পোস্টে আমি এত্তবড় মন্তব্য করছিলাম ৪ দিন আগে। কই গেলো?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
শুভ জন্মদিন দিগন্ত। বড় হয়ে সত্যিকার 'মানুষ' হও। আমাদের অনেক 'মানুষ' দরকার।
বিস্ময় বালকের জন্য শুভকামনা।
শুভ জন্মদিন!!
আমরা অনেকে যে বইটার নামও শুনি নাই, দিগন্ত সেই বইয়ের লেখকের খালাতো ভাইয়ের নামও জানে...
ব্যাপারটা অবিশ্বাস্য জানি, এজন্যই বিস্ময়কর
একটা সময় ধারণা ছিলো এই ছেলে বই পড়তে পড়তে কৈশোরের দারুণ সময়গুলো নষ্ট করছে। জীবনের আনন্দটা নষ্ট করছে। পরে বুঝলাম, ধারনা ভুল।
শুভ জন্মদিন দিগন্ত। ভালো থাকবেন। আনন্দে বাঁচবেন।
প্রচুর পড়া মানে প্রচুর জ্ঞান। আপনার জ্ঞান ছড়িয়ে পড়ুক সবখানে।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
শুভ জন্মদিন দিগন্ত।
শুভ জন্মদিন
শুভ জন্মদিন। দিগন্ত আরও বড় হোক! নিরন্তর শুভকামনা।
হুম, ছেলেটা আসলেই একটা চাইল্ড প্রডিজি।
নতুন মন্তব্য করুন