লুৎফর রহমান রিটন
লেখাটি ২৩শে আগস্ট দৈনিক জনকণ্ঠে প্রকাশ হবার কথা ছিলো। কিন্তু হয়নি। বিশ্বস্তু সূত্রে জানতে পেরেছি - ২২শে আগস্ট পেস্টিং শেষে রাত সাড়ে আটটার পর “চতুরঙ্গ” পাতা থেকে শেষ মুহূর্তে লেখাটি তুলে নেয়া হয় বোধগম্য জুজুর কারণে। পাঠক সমীপে সেই অপ্রকাশিত লেখাটি -
ক্যান্টনমেন্ট ঢুকতে গেলে পরে -
সিভিলিয়ান জনগণের আইডি জিগেশ করে।
লোকালয়ে প্রবেশ করার আগে -
সেনাদের কি অনুমতি-অনুমোদন লাগে?
ভার্সিটিতে কি চাও তুমি বাবা?
ছাত্রদেরকে মেরে তুমি ভেবেছো পার পাবা?
দূর অতীতের ইতিহাস কি বলে?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্মি শাসন চলে?
নিকট অতীত কী করে যাই ভুলে?
কতো না বীর স্বৈরশাসক পালালো লেজ তুলে!
নব্বুই সাল, আচমকা এক ভোরে
এরশাদেরও পতন হলো টিএসসির এই মোড়ে!
আন্দোলনের ইতিহাস তো ছাত্রদেরই গড়া
প্রতিবাদের প্রতিরোধের এ এক পরম্পরা।
ছাত্রসমাজ উঠলে ফুঁসে শুকনো গাঙেও বান -
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাই সাধু সাবধান!
২১শে আগস্ট, ২০০৭
মন্তব্য
বাহ!
দারুন দারুন! গুরু পুরোদমে শুরু করবেন কবে?
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
ঝাক্কাস হইছে
সচলায়তনের আরেক সোনা
রিটন ভাইয়ের এই ছড়া স্টিকি করে দেয়া যায়না?
-----------------------------------
'আমি ও অনন্তকাল এইখানে পরস্পর বিস্ময়ে বিঁধে আছি'
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
তথাস্তু
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
যথা সময়ে আগমন,কাব্য বোমার জন্য ধন্যবাদ।
------------------------------
জল ভরো সুন্দরী কইন্যা, জলে দিছ ঢেউ।
হাসি মুখে কওনা কথা সঙ্গে নাই মোর কেউ।
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
জাঝা
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
রিটন ভাই জাঝা কি সেটা জানে কি ?
______ ____________________
suspended animation...
জানতেন না, এখন জানেন। আমি ছোটোখাটো একটা ইন্টারনেট/ব্লগ পরিভাষা কোর্স দিয়েছি বিনা পয়সায়। আমাকে যেমন দিয়েছিলেন অলৌকিক হাসান। ঋণ শোধ করা আর কি।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
রিটন ভাই! রিটন ভাই! রিটন ভাই!
খুব ভালো লাগতেছে আপনারে পেয়ে।
____________________________
লাল গানে নীল সুর হাসি হাসি গন্ধ......
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
চাল্লু !
কাফরুলে বাসা হওয়ায় বুঝি ক্যান্টনমেন্টে ঢোকার কি যন্ত্রণা!!
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
চলুক কলম প্রতিবাদ। প্রতিবাদের কন্ঠ দিক প্রতিরোধের শক্তি। ধন্যবাদ।
অন্ধকারের উতস হতে উতসারিত আলো
রিটন ভাইকে শুভেচ্ছা!
ছড়াটা সেইরকম হয়েছে!
তোমার সুরে সুরে সুর মেলাতে
ছড়ড়া বন্দুক বলে কিছু একটার নাম শুনেছিলাম এক কালে। এটা কামানের বিপরীতে ছড়া-বন্দুক।
দারুণ!!
বস, আরো চাই, আরো।
ছড়ালাম = ছড়ায় লেখা কলাম।
ছড়াগুন = ছড়ায় ছড়ানো আগুন।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
ছড়ামছি = ছড়ায় দেয়া খামছি
ছড়ামটি = ছড়ায় দেয়া চিমটি
ছড়াম্চড় = ছড়ায় দেয়া চড়
____________________________
লাল গানে নীল সুর হাসি হাসি গন্ধ......
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
ঠিকাছে।
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
রিটন ভাই, সচলায়তনে স্বাগতম!! লে জ়ে হু মো'র ছড়া সাক্ষাতকারের মতো একটা লে জ়ে ম ই সাক্ষাতকার কি পাবো? সচল থাকুন...
যাক শেষমেশ পাওয়া গেল একটা ছড়া। ভাগ্য ভালো যে কারফিউতে জনকন্ঠ ডর খাইছিলো।
আপনাকে স্বাগতম জানায়া ব্লগাররা যা মন্তব্য করছিলো তা নিচের লিংকে আছে। দেখে নিয়েন:
স্বাগতম লুত্ফর রহমান রিটন
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
ব্যোম মহাবীর!
রিটন ভাই জিন্দাবাদ!
গড়ি দালানকোঠা ফেলে দিয়ে শ্মশাণে বৈঠকখানা
জাঝা।
-যা দেখি তা-ই বলি...
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
রিটন ভাই -
আপনি তখন দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকায়, ছোটদের জন্য সুন্দর একটা পাতা করছেন। আর আমার তখন ম্যাকগাইভার দেখার বয়স । সেই সময় আমি আর আমার ছোট ভাই মিলে আপনাকে চিঠি লিখলাম- ;ভাইয়া ম্যাকগাইভারকে নিয়ে একটা সংখ্যা করুন না!'
কি আর্শ্চয কয়েক সংখ্যা পরই দেড় পৃষ্টা জুড়ে ম্যাকগাইভারকে খুজে পেলাম। এরপর - নাই মামা কানা মামা, ধুত্তুরি, হাবিজাবি, উপস্থিত সুধীবৃন্দ - এইসব নিয়েই কেটেছে আমাদের ছোটবেলা। পড়েছি আপনার ছোটদের কাগজও।
রিটন ভাই মুগ্ধতা কমেনি একটুও।
এমন সেন্সরের পড়া জমাটে আরো কবিতা চাই সচলায়তনে।
নীলের সঙ্গে পথ চলা,ভুল পথে
অথবা তারপরও ভালো আছি ...
"ছোটদের কাগজ" স্কুলে থাকতে আমিও পড়েছি। একটা লেখাও পাঠিয়েছিলাম। সেটা ছাপা তো হলই সেই সাথে ডাকে এলো গিফট প্যাক! বিস্ময়ের উপর বিস্ময়!
আফসোস অফসেটের অসাধারণ পত্রিকাটা কদিন পরেই বন্ধ হয়ে গেল।
ছোটদের কাগজের একটা সংখ্যায় হুমায়ূন আহমেদ তাঁর ধারাবাহিক না দেয়ায় তাঁর ধাচ ধরে রিটন ভাই একটা পর্ব দিয়ে দিয়েছিলেন। সেটা মনে পড়লে এখনও প্রান খুলে হাসি... হাঃ হাঃ হাঃ!
তোমার সুরে সুরে সুর মেলাতে
চমৎকার!
চমৎকার ছড়া। অন্যসবার মতই আমার ছেলেবেলাও কেটেছে আপনার লেখার পড়ে। আমি ভারী লেখা বুঝতাম না(এখনো বুঝি না)। তাই ছোটবেলায় প্রিয় কবি কে এর উত্তরে লুৎফর রহমান রিটনের নাম বলায় বাংলা টিচার কেন মুখ টিপে হেসেছিলেন তা এখনো বুঝি নি।
প্রবাস জীবনে এসে বাংলা লেখা পড়ার জন্য মন হু হু করে। যখন দেখলাম আপনি NY bangla তে লিখতে শুরু করেছেন, আমাকে তখন আর পায় কে? (যদিও আমি NYbangla পত্রিকা হিসাবে পছন্দ করি না)। ছেলেবেলার স্মৃতি আবার যেন উঁকি দিয়ে যায়।
ছড়ার বিষয় বস্তু নিয়ে বলার কিছু নাই। ছাত্রদের উচ্ছ্বল প্রানশক্তি কখনই আর্মিরা কেড়ে নিতে পারবে না, অতীতেও পারে নি। কিন্তু ছাত্রদের ব্যবহার করে আমার দূষিত রাজনীতিবীদরা যেভাবে ক্ষমতার লিপ্সা চরিতার্থ করে সে বিষয়ে আমার আপত্তি আছে। আশা করি, আর্মি কে নিয়ে যেমন আপনি লিখেন, সে ভাবে কলুষিত সেই সব মানুষও আপনার লেখায় সমান ভাবে আসবে। আমি জানি, আপনার লেখনী সত্যের জন্যই।
তবে শুরু হোক আবার....স্বাগতম রিটন ভাই।
বাহ! অপূর্ব।
রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
রিটন রিটন ডাক পাড়ে
ওরা এখন কার ঘাড়ে?
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
নতুন মন্তব্য করুন