ছড়া কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড@রিটন ডটকম

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি
লিখেছেন লুৎফর রহমান রিটন (তারিখ: শুক্র, ১২/১০/২০০৭ - ১১:৪৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শানে-নযুল
আমার বালক বয়েসে ১৯৭২ সালে রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই দৈনিক ইত্তেফাকে তাঁর সম্পাদিত ছোটদের পাতা কচি-কাঁচার আসরে একটি অতিশয় দূর্বল ছড়া ছেপে দিয়ে আমাকে ‘‘ছড়া কি দুনিয়া মে পহেলা কদম’’ রাখার সুযোগটি করে দিয়েছিলেন। ওটাই আম...শানে-নযুল
আমার বালক বয়েসে ১৯৭২ সালে রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই দৈনিক ইত্তেফাকে তাঁর সম্পাদিত ছোটদের পাতা কচি-কাঁচার আসরে একটি অতিশয় দূর্বল ছড়া ছেপে দিয়ে আমাকে ‘‘ছড়া কি দুনিয়া মে পহেলা কদম’’ রাখার সুযোগটি করে দিয়েছিলেন। ওটাই আমার প্রথম প্রকাশিত ছড়া। বাংলাদেশের শিশুসাহিত্যের এই মহীরুহ সম্পাদকের আশ্রয়-প্রশ্রয়-প্রণোদনায় কচি-কাঁচার আসরে কতো ছড়া যে লিখেছি!আজকে আমার সামান্য ছড়াকার পরিচিতির পেছনে দাদাভাইয়ের অসামান্য অবদানের কথা স্মরণ করে একটা ঘটনার কথা বলি। কচি-কাঁচার আসরের যে কোনো বিশেষ সংখ্যায় আমার কিছু না কিছু থাকতোই। ১৯৯৬ সালের ঈদ সংখ্যায় আমি কোনো লেখা দিইনি। কদিন বাদেই ঈদ। এক সকালে আমার ঘুম ভাঙলো (ঘড়িতে সকাল এগারোটা) দাদাভাইয়ের ফোনে। ইত্তেফাক থেকেই ফোন করেছেন। চিরাচরিত তোতলানো উচ্চারণে এ্যাতো বেলা হলো তবুও আমি ঘুমুচ্ছি, আমার কোনো কান্ডজ্ঞাণ নেই ইত্যাদি বকাঝকার পর বললেন
-ঈদ সংখ্যার মেকাপ করছি। একঘন্টার মধ্যে ঈদের ওপর একটা ছড়া লিখতে হবে। তোমার ছড়াটি পাবার পর কচি-কাঁচার আসরের মেকাপ হবে।
-কিন্তু দাদাভাই, মাত্র একঘন্টা, আমি কি পারবো? পারবো না
-পারবে বলেই ফোন করেছি। আমি খুবই ব্যস্ত। রাখছি।
আমাকে অকুল সাগরে নিক্ষেপ করে লাইন কেটে দিলেন দাদাভাই।
নাস্তা ব্রেকফাস্ট লাটে উঠলো। দাদাভাইয়ের নিষ্ঠুরতায় কোঁকাতে কোঁকাতে আধ ঘন্টায় ছড়া রেডি। ভয়ে ভয়ে ফোন করলাম ইত্তেফাকে
-দাদাভাই, হয়ে গেছে।
-দাঁড়াও, সিঙ্গেল কলাম না ডাবল কলাম? (মানে প্রস্থ)
-সিঙ্গেল কলাম দাদাভাই।
-ঠিক আছে তুমি বলো আমি লিখে নিচ্ছি।
-কী বললেন দাদাভাই!আপনি লিখে নিচ্ছেন মানে?
-লিখে নিচ্ছি মানে লিখে নিচ্ছি। হ্যাঁ, বলতে থাকো
-না মানে দাদাভাই এটা কি করে হয়? আমি আসছি লেখাটা নিয়ে।
-তোমার কোনো কান্ডজ্ঞাণ নেই। আমি মেকাপ করছি বললাম না? তুমি লাট সাহেবের মতো গোসল করে নাস্তা সেরে হেলে দুলে আসতে আসতে আমার মেকাপের টাইম শেষ হয়ে যাবে।
-আপনার কোনো এসিস্ট্যান্টকে দ্যান তাহলে
-কাজের সময় ঝামেলা না করে যা বলছি করো।
ধমকে কাজ হয়। দ্বিধা থরোথরো কণ্ঠে আমি বলি-ছড়ার নাম ঈদের দিনে। এরপর আমি বলে যাই একটি একটি লাইন। আর ও প্রান্তে আমার পরম শ্রদ্ধেয় দাদাভাই লিখতে থাকেন লাইনগুলো। দাড়ি কমা ড্যাস হাইফেন প্রশ্নবোধক সব সবকিছু দাদাভাই লিখে নেন। আমার গলা শুকিয়ে আসে। গলা ধরে আসে। অপর প্রান্তে দাদাভাই সেটাও টের পান। আমাকে শান্তনা দেন-সম্পাদক হতে গেলে অনেক কিছুই করতে হয়। তুমি লজ্জা পেওনা। হাতে সময় থাকলে তো আর আমাকে তোমার ডিকটেশন নিতে হতো না।
লেখা শেষ করে দাদাভাই পুরো ছড়াটা আমাকে পড়ে শোনান। জানতে চান ঠিক আছে কিনা।
আমি ঠিক আছে বলি। দাদাভাই লাইন কেটে দেন।
আমি টের পেতে শুরু করি বটবৃক্ষ দাদাভাই অভাবনীয় এই ঘটনার মাধ্যমে বিরল এক সম্মানে ভূষিত করলেন আমাকে। আমার চোখ ভিজে আসে। চব্বিশ বছর আগের কথা মনে পড়ে আমার। ১৯৭২। বালক রিটনের লেখা জীবনের প্রথম ছড়াটিও পরম মমতায় ছেপে দিয়েছিলেন এই দাদাভাই। সচলায়তনের ব্লগতুতো ভাইবোনদের জন্যে দাদাভাই কর্তৃক ডিকটেশন নেয়া ছড়াটা এখানে তুলে দিচ্ছি। সঙ্গে একই ঘরানার দ্বিতীয় ছড়াটিও, যেটি ঈদ সংখ্যা ছোটদের কাগজে (জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি ১৯৯৭) সম্পাদকীয় হিশেবে ছাপা হয়েছিলো।
সেই গল্প আরেকদিন হবে।
------------------------
ঈদের দিনে (১)
তোমাদের বাড়িতেই যে মেয়েটা কাজ করে
তোমার বিছানা-জামা যে মেয়েটা ভাঁজ করে
রাত দিন যার থেকে সাহায্য নিচ্ছো-
এইবার ঈদে তুমি তাকে কিছু দিচ্ছো?

তুমি যাও ইশকুলে তুমি সেরা ছাত্রী
সে মেয়েটা খেঁটে মরে সারা দিনরাত্রি।
তুমি যাও মা’র সাথে পার্লারে সাজতে
মেয়েটার জান শেষ, থালা-বাটি মাজতে।
কতো যে পরিশ্রম করে উদয়াস্ত!
ছুটি নাই একদিনও-‘‘ মাসোহারা পাস্‌ তো’’ ?
এরকম বলে তুমি মোটে পার পাবে না
টাকা দিয়ে সব ঋণ শোধ করা যাবে না।
মাসোহারা দয়া নয়, নয় দাক্ষিণ্য
এরকম ভাবাটাও অতিশয় ঘৃণ্য।
তোমাদের সব্বার আরামের জন্যেই
মেয়েটার নিজস্ব একটা ভুবন নেই!

ঈদে কিছু দিও তাকে বোনাস বা বাড়তি
মেয়েটা তো তোমাদেরই ভালোবাসা প্রার্থী!

ঈদের দিনে (২)
তোমাদের বাড়িতেই যে ছেলেটা বাস করে
যে ছেলেটা অবিরাম জঞ্জাল নাশ করে
জমতে দেয় না ধুলো তোমাদের জুতোতে
যার দিন শুরু হয় লাথি আর গুঁতোতে
বকুনি ও পিটুনিটা রোজ যার সঙ্গী
তটস্ত সারাক্ষণ, অপরাধী ভঙ্গি,
রাত দিন যার থেকে সাহায্য নিচ্ছো-
এইবার ঈদে তুমি তাকে কিছু দিচ্ছো?

তুমি যাও ইশকুলে তুমি সেরা ছাত্র
সে ছেলেটা টিপসই দিতে পারে মাত্র।
বইগুলো খাতাগুলো তার কাঁধে চাপিয়ে
বাড়ি ফিরে আসো তুমি রাজপথ কাঁপিয়ে।
আদেশ মান্য করা শুধু তার কার্য
তোমাদের নির্দেশ তার শিরোধার্য।
তোমাদের ইঙ্গিতে বসে আর ওঠে সে
প্রতিদিন ভোরে-‘‘দুখী-ফুল’’ হয়ে ফোটে সে।
সব থেকে আগে উঠে ঘুমায় সে দেরিতে
ছেলেটা আটকে গেছে জীবনের ফেরিতে।

তুমি খাও চায়নিজ মজাদার খাদ্য
এঁটোগুলো বাসিগুলো খেতে সে যে বাধ্য।
রাতদিন ছোট-বড় সব কাজই করে সে
তোমার পুরনো জামা খুশি হয়ে পরে সে।
মশার কামড় খেয়ে ঘুমায় সে মেঝেতে
বহু দূরে যাবে তুমি, পারবে না সে যেতে।
সে কেবলই জন্মেছে তোমাদের জন্যেই
ছেলেটার নিজস্ব একটা ভুবন নেই!
তোমাদের বাড়িটাই তার কাছে স্বর্গ
নিজেকে করেছে তাই সে যে উৎসর্গ।

ঈদে কিছু দিও তাকে বোনাস বা বাড়তি
ছেলেটা তো তোমাদেরই ভালোবাসা প্রার্থী!


মন্তব্য

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

অরূপ আমার সর্বনাশ(ধর্মনাশ)করে ফেললো!
খতিব রে ডাকুম?

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

জায়গা বুইঝা কিন্তু। দেঁতো হাসি

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

কোলাকুলি না হয় করবো কিন্তু অবজার্ভার হিশেবে একজন ব্যারিস্টারও তো লাগবে।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

খতিব তো গেছে ।মাশীদকে ডাকেন। ও আবার দারূন ছড়া লেখে। নিশ্চয়ই আপনার কথা শুনবে।
ডেকে দেখুন অরূপের কি কান্ড হয়।
ওর বাসায়তো ঐ মেয়েটাই রাতদিন খাটে।
এবং এই ঈদে যথারীতি সেই মেয়েটা বাড়তি কিছু পায় নাই নিশ্চয়ই।
-----------------------------------------------
খড়বিচালি জোগাড় করি, ঘর বানাবো আসমানে

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

গুটিবাজী দেঁতো হাসি

আরিফ জেবতিক এর ছবি

এই প্রসঙ্গে আমি শোহেইল ভাইকে সমর্থন করে ব্লগবাসীকে এই তথ্যটুকু জানাইতে চাই যে মাশীদ নামীয় ব্লগার এই খানে প্রভুত শক্তিশালী বলে আমি সাক্ষী দেই।

আমার ই-বুকে প্রচ্ছদের জন্য আমি জনৈক অরূপ নামধারী ব্যক্তিকে মেইলে,মেসেজে,কমেন্টে,পোস্টে কমপক্ষে ৮৯৪ বার অনুরোধ করেও লাভ হয় নি।

অনন্যোপায় হয়ে মাশীদকে বিষয়টি জানাতে হয়।(রিটন ভাইয়ের পোস্ট দ্রষ্টব্য :সম্পাদক হতে হলে বহু কিছু করতে হয়,স্বয়ং দাদাভাই বলে গেছেন ।)

মাশীদ পুরা ঘটনাটি জেনে আমাকে নিশ্চিত করেন যে চব্বিশ ঘন্টার মাঝে প্রচ্ছদটি উনি আদায় করে দেবেন ।

সেই প্রচ্ছদ কতোক্ষনে এসেছে,কেউ আন্দাজ করতে পারেন ?
নাহ,চব্বিশ ঘন্টা লাগে নি।
মাত্র বিয়াল্লিশ মিনিটের মাঝে প্রচ্ছদ কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকা এসে হাজির ।

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

মাশীদ মাশীদ ডাক পাড়ি
মাশীদ গেলো কার বাড়ি?
আয়রে মাশীদ ঘরে আয়
অরূপ আমায় ভয় দেখায়!

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

মাশীদকে ডাকছি।
ছড়া চাই মাশীদ।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

মাশীদ এর ছবি

ইন্টার-নেটে সচলায়তন আসাতে
অরূপ অচল হল আমাদের বাসাতে
একা করি সব কাজ - বাজার টু রান্না
ভাবলে সেসব কথা পায় শুধু কান্না
বদ ব্যাটা সেইসব দেখেও না দেখে হায়
সচলায়তনে থাকে অতন্দ্র প্রহরায়
বাড়ির ঐ মেয়েটার থেকে নই ভিন্ন
মনের ভিতরে একই অবহেলা চিহ্ণ
ঈদে এই দুঃখটা বোনাস বা বাড়তি
মতাহির ভাই ছাড়া কে শোনে সে আর্তি?
রিটন্দা আপনাকে গুরু বলে মেনেছি
ছড়ায় ছড়ায় তাই অভিযোগ এনেছি
শেষে দেখি ওরে বাবা অবস্থা বেগতিক
অতিরঞ্জিত হাড়ি হাটে ভাঙে জেবতিক
করি আমি প্রতিবাদ - এইসব স্টপ হোক
সেই সাথে সবাইকে বলি 'ঈদ মোবারক'।


ভাল আছি, ভাল থেকো।


ভাল আছি, ভাল থেকো।

আরিফ জেবতিক এর ছবি

এক দফা এক দাবী।
এটাকে আলাদা পোস্ট করো ,করতে হবে ।

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

রিটনের কৃতজ্ঞ থাকা উচিত অরূপের কাছে - মাশীদের এই ছড়া প্রতিভাকে চেপে রাখার ব্যবস্থা করার জন্যে। নাহলে রিটনের একজন শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী দাঁড়িয়ে যেতো। চোখ টিপি

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

অমিত আহমেদ এর ছবি

মাশিদাপু অসাধারণ!

এক দফা এক দাবী
আলাদা পোস্ট চাই, দিতি হবি!


ভালবাসি, ভালবাসি, ভালবাসি তোমায়!
ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

ইত্তেফাক তো আমরাও পড়তাম ছোটবেলা থেকে।
ছড়াকাররা যে পিচ্চিকাল থেকে পত্রিকার পাতায় লেখে এটা বুঝলাম বাপী শাহরিয়ারকে দেখে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে দেখি ও আমার সাথেই পড়ে, অবশ্য ইতিহাস বিভাগে। অথচ বাপীর লেখা কত আগে থেকেই পড়েছি।
-----------------------------------------------
খড়বিচালি জোগাড় করি, ঘর বানাবো আসমানে

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

আহা রে বাপী!

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

আবার জিগায় ... "দেখবো কে কে জিততে পারো"র জবাব পাঠায়া কত যে হাঁ কইরা বইসা থাকছি হাসি

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

ঠিক।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

বিপ্লব রহমান এর ছবি

শাবাশ ছড়্ড়াকার! শাবাশ!!


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

একমত।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

আরশাদ রহমান এর ছবি

আধ ঘন্টায় ২৪ বছর আগের ছড়াটা মনে করে লিখসিলেন নাকি মিল হইয়া গেসে?

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

হি হি আমিও এইটা জিগামু ভাবছিলাম পরে বেয়াদবী হয় কিনা এই ভয়ে চাইপা গেছি দেঁতো হাসি

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

আধ ঘন্টায় ২৪ বছর আগের ছড়াটা তো লিখিনি! লিখলাম তো নতুন ছড়া।
আপনার প্রশ্নটা ঠিক বুঝলাম না।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

আধ ঘন্টায় ২৪ বছর আগের ছড়াটা তো লিখিনি! লিখলাম তো নতুন ছড়া।
আপনার প্রশ্নটা ঠিক বুঝলাম না।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

রিটন মামা, সেকেন্ড ছড়াটা আগেই পড়ছি ছোটদের কাগজে ... আমাদের বাসায় একসময় রেগুলার ছোটদের কাগজ রাখা হইতো (ইয়ে মানে তখন কিঞ্চিত পিচকাই ছিলাম ...)

প্রথমটা আর শানে নযূলটা পইড়া খুবই মজা পাইছি ...

ঈদ মোবারক ...

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

থ্যাংকু মামা।
ঈদ মোবারক মামা।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

আরশাদ রহমান এর ছবি

শানে নযূল পইড়া আমিও মজা পাইছি।

ঈদের শুভেচ্ছা রিটন ভাই। অন্য সবাইকেও হাসি

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

ঈদের শুভেচ্ছা আপনাকেও,
এবং সবাইকেই।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

আরশাদ রহমান এর ছবি

এবং ছড়া পইড়াও ভালো লাগছে।

দ্রোহী এর ছবি

পেন্নাম হই কত্তা...


কি মাঝি? ডরাইলা?

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

আইজ্ঞা আপনে কি ঢাকার ভানুর....

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

দ্রোহী এর ছবি

জ্বি, ঠিকই ধরেছেন। আমিই সেই দুলাভাই............


কি মাঝি? ডরাইলা?

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

ছড়া লেখার মৃদু অভ্যাস আমার আছে। মাঝে-মাঝে মনে হয়, বেশ তো লিখতে পারি!
কিন্তু আপনার লেখা পড়লে এই আত্মবিশ্বাস হাওয়া হয়ে যায় দীর্ঘ সময়ের জন্যে।
আর পড়বো না আপনার লেখা! চোখ টিপি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

কী ভয়াবহ কমপ্লিমেন্টস!

আমার ছড়া না পড়েন,আপনার ছড়া পড়তে চাই।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

রাহা এর ছবি

রিটন ভাই , ছোটদের কাগজ কিন্তু এই বড় বেলাতে এসেও মিস করি !!

..হৃদি ভেসে যায় অলকানন্দার জলে...

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

আহা ভাই রাহা!
আমার সবচে দূর্বল জায়গা ওটা।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

অমিত আহমেদ এর ছবি

গদ্য-পদ্য মিলে লেখাটা হয়েছে তুখোড়!
বহুৎ আনন্দ পেলাম হাসি


ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

বহুত ধন্যবাদ।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

সুজন চৌধুরী এর ছবি

বহুত্ আচ্ছা।
____________________________
লাল গানে নীল সুর হাসি হাসি গন্ধ......

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

সত্যি? সাচ্চা?

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

সুজন চৌধুরী এর ছবি

দাদা, আপনার কাছে আমি নিতান্তই বাচ্চা।
____________________________
লাল গানে নীল সুর হাসি হাসি গন্ধ......

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

এইখানে মিল দিয়ে আমারও এক লাইন লেখার সাধ জাগলো। কিন্তু আচ্ছা-সাচ্চা-বাচ্চার সঙ্গে মেলানোর মতো কোনো শব্দ আমার প্রতিভায় কুলায়নি। মন খারাপ

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

সেমাই খাইবেন? লাচ্ছা? ...

মিললো নি? দেঁতো হাসি

সুজন চৌধুরী এর ছবি

মিলছে, মাগার কাচ্চা।
____________________________
লাল গানে নীল সুর হাসি হাসি গন্ধ......

সুমন চৌধুরী এর ছবি

এই হইলো ঘটনা....



ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

হাসিব এর ছবি

হ । বহুদ্দিন পর মনে পড়লো । পত্রিকা পড়া ধরছিলাম কচি কাচার আসর দিয়া । সাথে সকালে পত্রিকা পাইয়াই টারজান পড়তাম । তিননাম্বার পাতায় প্রথমদিকে ছাপা হইতো টারজান ।

আর রিটন্দা, ঐসময়ের কাহিনীকীর্তি নিয়া আরো পোস্ট দেন । পড়তে ইচ্ছুক ।

সৌরভ এর ছবি

এই হইলো ঘটনা....


আমি ও আমার স্বপ্নেরা লুকোচুরি খেলি


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

মাহবুবুল হক এর ছবি

রিটন ভাই দারুন! বিশেষ করে দাদাভাইয়ের স্মৃতিকথাটা অমূল্য।
এবরার হোসেনের সাথে একবার দাদাভাইয়ের কাছে গিয়েছিলাম। সটো সম্ভবত ৮৮- ৮৯ সালের দিকে। শুধু তাকে একনজর দেখার জন্য। সেই প্রথম সেই শেষ। আমার আর এবরারের লেখা দুটো রাখলেন। আমারটা অবশ্য ছাপার যোগ্য ছিল না , হয়ও নি। দাদাভাইয়ের হাতে একটা লেখা দিলাম এই কথা ঢাকঢোল পিটিয়ে বহুদিন প্রচার করেছি।

--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে/ লিখি কথা ।
আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার/ স্বাধীনতা ।।

রেজওয়ান এর ছবি

চমৎকার ছড়া! লেখকে পাঠকে মিথস্ক্রিয়াটিও তদ্রুপ রসালো।

রিটন ভাইয়ের কাছ থেকে আরও চাই!!
××××××××××××××××××××××××××××××××××××××××××
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?

বজলুর রহমান এর ছবি

আমার এক ভাই ছিল - 'তারা' তাহার নাম,
রিটন কোথায় তাঁকে নিয়ে লিখেছেন দেখলাম;
রিটনকে 'লাচ্ছাইমু' বলত অবিরাম;
সরি , রিটন, আমিই না হয় তার মাফ চাইলাম।

আমার কাছে তিনি ছিলেন হাস্যময় বড়া
ভাইজান, আর শব্দচয়ন ছিল ভীষণ কড়া
মান বাংলা আমার সাথে; কবিতাতেও তিনি
থলির থেকে আজব পদ বার করতেন, বিনি
পরিশ্রমে মিল দিয়েছেন নতুন-পুরাতনে,
শামসুল ইসলামকে আমার পড়ে মনে।

অতিথি লেখক এর ছবি

মাশীদ আপু যেখানেই আছে
তানিয়া যাবে সেখানেই!
মাশীদ আপুর সাথে আমার
কতদিন যে দেখা নেই!

পিছু পিছু তার ইশকুলে গেছি
গেছি VNC বুয়েট..
কোথাও কিছুই একা তো করিনি
সব কিছুতেই ডুয়েট!

তার আশে পাশে থাকার লোভেই
সচলায়তনে আসা।
ভাল লাগছে। সত্যি বলছি!
যেন নিজের বাসা!

(দুঃখিত এইখানে নিজের প্যাচাল নিয়ে আসার জন্য।মাশীদ আপুর লেখা দেখে নিজেকে সামলাতে পারলাম না!)

খুব খুব ভাল লেগেছে লেখা গুলো পড়তে!শানে নযূল টা খুবই মজাদার আর রিটন দা র ছড়া তো সবসময়ই অতুলনীয়!কিন্তু আমার আশৈশব গুরু মাশীদ আপুর "ছড়া ছড়ি"র প্রতিভা কিন্তু অতি প্রাচীন!

অমিত আহমেদ এর ছবি

লেখা আর কমেন্ট মিলে পোস্টটা একটা ক্লাসিক পর্যায়ে উপনীত হয়েছে -- প্রিয় পোস্টে জুড়ে নিতেই হলো!


ভালবাসি, ভালবাসি, ভালবাসি তোমায়!
ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

বিবাগিনী এর ছবি

হুঁ ,অমিত আমিও জুড়েছি!দেঁতো হাসি

মাশীদ আপু কই গেলো? মন খারাপ

‌::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::

‌‌::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।