জীবনটা মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে পড়া উপন্যাসের কোনো চরিত্র না। যেখানে সুখ-দুঃখ, ভালোলাগা-মন্দলাগা, হাসি-কান্নার মত ছোটবড় প্রতিটি অনুভূতির গাঁট ধরা থাকবে অভিজ্ঞ কোন হাতের যাদুকরীতে। জীবনের প্রতিটা বাঁক বরং আরো অনেক বেশি বর্ণিল, আপেক্ষিক, অনিশ্চিত ও বৈচিত্র্যময়। কোথাও চরম আবার কোথাও নির্মল যা আগে থেকে অনুমান করা কঠিন। তারপরেও ভালো লাগা উপন্যাসের প্রিয় কোন চরিত্রের মাঝে প্রায়শই আমরা ফুটে উঠতে দেখি নিজের প্রতিচ্ছবি। অবাক হয়ে ভাবি এও কি সম্ভব! নিজের ভেতরের স্বপ্ন, ইচ্ছে, চেপে রাখা না বলা কথাগুলো নির্জীব কাগুজে ক'টা পাতায় কেমন করে এত সহজে প্রাণ পেয়ে গেল। এরকমই মনে গেঁথে থাকা কিছু উপন্যাস চরিত্র নিয়ে লিখে চলেছি... যার ভেতরে অসংখ্যবার ভিন্ন সময়ে ভিন্ন আঙ্গিকে আমি আয়নার মত প্রতিবিম্বিত দেখেছি আমার চারপাশটা, প্রিয়-অপ্রিয়-চেনা-অচেনা মানুষ, কখনো নিজেকে...
প্রথম পর্বে ছিল - পার্ল এস. বাকের মা
চেজিরা, টু উইমেন, আলবার্তো মোরাভিয়াঃ
'টু উইমেন' মূলত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ডামাডোলে নিজের অস্তিত্ব রক্ষায় ব্যস্ত দু'জন নারী চেজিরা ও তার কিশোরী মেয়ে রোসেতার গল্প। সরল ও নরম মনের, সৃষ্টিকর্তায় অগাধ বিশ্বাসী মেয়ে রোসেতার তুলনায় মা চেজিরা কিছুটা রুক্ষ, অস্পষ্ট হয়তো বা জীবনের ঘাত-প্রতিঘাতে কঠোর, সমাজের পুরুষ দৃষ্টির কাছে সে আবেদনময়ী এক নারী কেবল, তাও আবার একা। আর ভেতরের সবটা জুড়ে সে শুধুই মমতাময়ী এক মা, যুদ্ধের নির্মমতা হতে যে ঢাল হয়ে আগলিয়ে রাখতে চায় তার কোমলমনা শিশুকন্যাটিকে। তারা বাস করত রোমে, বিধবা চেজিরা সেখানে একটি দোকান চালাতো।
চেজিরা অসম্ভব শক্ত মনের এক ইতালিয়ান নারী। তার চরিত্রে বিধবার অসহায়ত্বের বদলে ছিল দাম্ভিকতা ও দৃঢ়তার স্পষ্ট ছাপ। নিজের ও মেয়ের দেখাশুনা করতো সে অসাধারণ গর্ব ও দক্ষতার সাথে। কিন্তু যুদ্ধ তার সবকিছু উল্টেপাল্টে দেয়। যুদ্ধ মানে অনিশ্চয়তা, যুদ্ধ মানে আতংক। যুদ্ধ মানুষকে দিয়ে এমন অনেক কিছু করায় যা হয়তো সে স্বাভাবিক জীবনে কখনো কল্পনাও করতে পারে না। এরকম নানা ঘটনার মধ্যে দিয়ে গল্পের শুরুতেই চেজিরার ভেতরের অনেক চাপা হতাশা, গ্লানি বেরিয়ে আসে।
জার্মান বাহিনীর রোম আক্রমণের শুরুতেই চেজিরা তার মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে দক্ষিণের অপেক্ষাকৃত অনুন্নত, পাহাড়ি গ্রামাঞ্চলে আশ্রয় নেয়। সাথে নেয় তার সারাজীবনের সঞ্চিত কিছু অর্থ। কিন্তু যুদ্ধের বাস্তবতায় তার সেই অর্থ দ্রুত মূল্যহীন বস্তুতে পরিণত হয়, যেখানে এক টুকরো পনীর বা এক খন্ড রুটি হয়ে ওঠে সোনার চেয়ে মূল্যবান, কারণ ক্ষুধার জ্বালা কেবল খাদ্যই দুর করতে পারে, স্বর্ণ বা অর্থ নয়। আর দশটা সহায়সম্বলহীন রিফিউজির সাথে তাদের কোন তফাৎ থাকেনা, উপরন্তু গ্রামের নীতিহীন, সুযোগসন্ধানী মানুষের আচরণে তাদের জীবন আরো দুর্বিসহ হয়ে ওঠে। দীর্ঘ নয় মাস তারা ঠাণ্ডা, ক্ষুধার সাথে যুদ্ধ করে মানবেতর জীবন কাটাতে থাকে এবং অপেক্ষা করতে থাকে তাদের জন্য যারা আসলে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। অপেক্ষা করতে থাকে দুর্দশা থেকে মুক্তির, অপেক্ষা করতে থাকে মিত্রবাহিনীর। একসময় চেজিরা জয়ের খবর পায়, খবর পায় মুক্তির সেই কাংখিত আশ্বাস নিয়ে মিত্রবাহিনীর মহানায়কদের আগমনের। যদিও জয়-পরাজয় নিয়ে চেজিরা ততটা উৎকণ্ঠিত ছিল না, যতটা সে অধীর ছিল ফেলে আসা শান্ত-সুন্দর-নিশ্চিত জীবনটার জন্যে। সে শুধু জানতো তাদের ফিরে যেতে হবে, আবার সবকিছু আগের মতো করে পেতে।
অথচ জয় তাদের জন্যে মুক্তির আনন্দের বদলে বরং আরো নির্মমতা বয়ে আনে। যখন ফেরার পথে চেজিরার বহু প্রতিক্ষিত সেই হিরোদেরই এক অংশ মরোক্কান সৈন্যরা গির্জার ভেতর মাদার মেরীর মূর্তির সামনেই কিশোরী রোসেতাকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে, চেজিরাকে মেরে অজ্ঞান করে দেয়। সেদিন চেজিরার অভিযোগ কেউ শুনেনি, তার ধর্মভীরু ছোট মেয়েটিকে না বাঁচিয়ে মাদার মেরীও দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে নিষ্পলক চেয়ে ছিল, যেন আসলেই সে নির্জীব পাথুরে মূর্তি মাত্র। রোসেতার সরল মনে এই বর্বরতা ভয়াবহ প্রভাব ফেলে, তার শরীরের মতো মনের বিশ্বাসও দুমড়ে-মুচড়ে যায়। মায়ের সাথে তার সম্পর্কের অবনতি ঘটে, জীবনের ইতিবাচক মূল্যবোধগুলো বিসর্জন দিয়ে সে একটা উশৃংখল পতিতার মতো জীবন কাটাতে শুরু করে। নানা ঘটনা পরিক্রমায় অবশেষে তারা রোমে ফিরে, যুদ্ধ শেষ হয়, রেখে যায় দুটি নারীর জীবনে অমোচনীয় কিছু ক্ষত।
যুদ্ধের ধ্বংস ও যন্ত্রণার তীব্রতা যে কেবল রণক্ষেত্রের ভেতর নয়, বরং তার বাইরেও সমান ছাপ ফেলে সেই বাস্তবতাই লেখক আলবার্তো মোরাভিয়া এই দু'টি অতি সাধারণ নারী চরিত্রের ভেতর দিয়ে নিখুঁত ও যথাযথভাবে তুলে ধরেছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে লেখক নিজে তার স্ত্রীসহ দীর্ঘ আট মাস পালিয়ে, লুকিয়ে বেঁচে ছিলেন। টু উইমেনে মা-মেয়ের নয় মাসের রিফিউজি জীবনের গতানুগতিক বর্ণনায় মোরাভিয়া তার নিজের সেই অনন্য মূল্যবান অভিজ্ঞতাগুলোকেই হয়তো বিস্তারিত আওড়ে গেছেন। প্রাসঙ্গিকভাবেই চেজিরাকে তিনি এঁকেছিলেন শক্তিশালী এক নারী চরিত্র হিসেবে। যে কারণে এ চরিত্রটিকে সিনেমার পর্দায় তার নিজ স্বকীয়তায় ঠিক ঠিক উপস্থাপনের ফলেই ১৯৬০ সালে একটি ইতালীয় ভাষার ছবি হয়েও অস্কারের সেরা অভিনেত্রীর পুরুস্কারটি লুফে নেন সোফিয়া লরেন।
আমি 'টু উইমেন' উপন্যাসটি পড়েছিলাম ২০০৭-এ। যা ছিল সেসময় আমার জীবনের অন্যতম দুঃসাহসিক কাজগুলোর একটি। এর আগে পর্যন্ত যুদ্ধ আমার কাছে ছিল দুর থেকে ভেসে আসা কান্নার করুণ সুরের মত অথবা '৭১ এর খান সেনাদের ভয়ে আমার কিশোরী মায়ের খড়ের গাদায়, চিলেকোঠায় লুকিয়ে বাঁচার দমবন্ধকর গায়ে কাঁটা দেয়া গল্প। অথচ সব যুদ্ধই যে পৃথিবীর সব নারীর কাছে একই বীভৎসতা নিয়ে হাজির হয় তা আমি জেনেছিলাম অচেনা এই নারী চেজিরা ও তার বারো বছরের মেয়ে রোসেতার কারণে। হয়তো আমার এই সামান্য বিশ্লেষণ-ধৃষ্টতায় চরিত্র হিসেবে চেজিরা এখনো পুরোটাই অভেদ্য ও অস্পষ্টই থেকে গেল। তবে শুধু এটুকু বলতে পারি সে আমার মনে সবসময় প্রবল শক্তিশালী ও আকর্ষণীয় এক চরিত্রের উদাহরণ হয়ে আছে এবং থাকবে।
মন্তব্য
পড়া হয়নি তবে আপনার লেখা পরে বইটি পরা আবশ্যক মনে হচ্ছে। সংক্ষেপে আপনি চমৎকার বর্ণনা দিয়েছেন। ধন্যবাদ
সাম্পানওয়ালা
আমি বর্ণনা খুব অল্পই করেছি, যতটুকু এই চরিত্রটি বোঝাতে না করলেই না। অনেক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র ও ঘটনার বর্ণনা বাদ পড়েছে, অতএব উপন্যাসটি পড়া অবশ্যই জরুরী। পড়ে ফেলেন।
ছবিটি তো কতবার দেখিছি তার হিসাব নেই। আহ, সোফিয়া লরেনের সেই অভিনয়। বিশ্ব চলচ্চিত্রেই এমন অভিনয় দুর্লভ। তবে বইটি পড়া হয় নি। এর একটা কারন হয়তো এই যে, ইংরেজী বই পড়তে আমার প্রবল অনীহা। সামনের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
সামি
উপন্যাসটি আগে পড়েছি, মুভিটি কিছুদিন আগে দেখলাম। খুব কম ক্ষেত্রেই কোন উপন্যাস পড়ার পর সেটা নিয়ে বানানো কোন মুভি আমার ভাল লাগে। মাথার মধ্যে থাকা প্রিয় উপন্যাস প্রিয় চরিত্রগুলোর সাথে মিলাতে না পেরে, অনেক সময় মেজাজ খারাপ হয় পর্যন্ত। কিন্তু টু উইমেন এর বেলায় মোটেও তেমন হয়নি, ভাষা বুঝতে অসুবিধা হলেও সোফিয়া লরেন এর অনবদ্য অভিনয় আসলেই চেজিরা চরিত্রটির সাথে ন্যায় করেছে, তাই স্বস্তি পেয়েছি।
সামনের পর্ব চটজলদি দিয়ে দিব, কারণ আপাতত মাথার মধ্য গাদা খানেক চরিত্র গেঞ্জাম পাকাচ্ছে... মুড থাকতে থাকতে না লিখলে পরে নতুন করে মনোযোগ আনা আমার পক্ষে দুঃসাধ্য ব্যাপার!
ফুটনোটঃ টু উইমেন বাংলায় পাওয়া যাওয়ার কথা।
একদম ঠিক বলেছেন। বই পড়ে যেমন চলচ্চিত্র দেখা যায় না তেমনি চলচ্চিত্র দেখে তারপরে বই পড়লেও অস্বস্তি লাগে। যাই হোক। সামনের পর্ব কই কই কই? জাতি জলদি চায়।
ফুটনোটঃ বাংলা অনুবাদ সাহিত্য আর ডিসকভারি চ্যানের বাংলা ডাবের সাথে কোনো তফাৎ নেই। "এখন আমাদের বাইরে যেতে হবে। খাদ্য গ্রহণের সময় হয়ে এলো বলে।"
সামি
ভাইরে, পরের পর্ব এতদিনে দিয়েও দিতাম, দুইদিন ল্যাপটপ অন করতে পারি নাই, অপারেটিং সিস্টেম গেছিলো, কপাল ভাল ভেতরের হার্ড ডিক্স ঠিক আছে। তারউপর এখানে এক ভাইয়ের ভীষণ জ্বর (টাইফয়েড), হসপিটাল আর বাসা করতে করতেই দিন শেষ হয়ে যাচ্ছে...
ফুটনোটঃ আপনার কথা শুনে হাসতে হাসতে আরেকটা লাইনের কথা মনে পড়ল - "মে মাসের এক সুন্দর প্রভাতে ক্ষীণাঙ্গী তন্বী এক অশ্বারোহিনীকে বলগনা অ্যাভিন্যু ধরে উজ্জ্বল পাটল রঙের এক মাদি ঘোড়ায় চেপে অনেকেই যেতে দেখে থাকতে পারেন। তার চারপাশে পুষ্পের"...
=))
হাসতে হাসতে শেষ। এ কি শুনাইলেন।
সামি
চেজিরা চরিত্রটি চিত্রণে মোরাভিয়া লেখক আর কথকের সীমারেখা প্রায়ই পার হয়ে গেছেন। ব্যক্তি মোরাভিয়ার যুদ্ধকাল দেখার অভিজ্ঞতা এতই তীব্র যে উপন্যাসটি লেখার সময় হয়তো এমনটা ঘটে গেছে, অথবা তিনি ইচ্ছে করেই এটা করেছেন। মোরাভিয়া কল্পলোকের বাসিন্দা নন্, তিনি রূপকথা লেখেন না। সুতরাং পারিপার্শ্বিকের বর্ণনা থেকে শুরু করে সব খুঁটিনাটিতে উপন্যাসের চেজিরা বাস্তবের মোরাভিয়ার অভিজ্ঞতার ওপর দাঁড়ায়।
যুদ্ধের সময় হত্যা-ধ্বংস-অমানবিকতা-নারকীয়তা-বিশ্বাসঘাতকতা দেখতে দেখতে মানুষের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য পালটে যায়। দুষ্কালে মানুষ স্বভাবতই দৃঢ়, আত্মপ্রত্যয়ী। চেজিরার বহিঃপ্রকাশও তাই অমন হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে যুদ্ধের দীর্ঘস্থায়ীত্ব, সর্বব্যাপী ধ্বংসযজ্ঞ আর নৃশংসতা গোটা ইউরোপে নৈতিকতার প্যাটার্নটিই বদলে দিয়েছে। মানুষের সামাজিক অবস্থানকেও নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করেছে। তাই চেজিরাকেও আর ঊনবিংশ শতকের নারীর মতো করে চিত্রায়ণের কোন উপায় থাকে না। রোসেত্তা’র পরিণতিও তাই অসম্ভব কিছু নয়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ইতালীর অবস্থা ছিল শাঁখের করাতে মতো। মুসোলিনীর কারণে জার্মানদের পক্ষাবলম্বন এক পর্যায়ে জার্মান আগ্রাসনের রূপ নিয়েছে; শেষে জার্মান ও মিত্রবাহিনী উভয়ের আক্রমণের শিকার হতে হয়েছে তাদেরকে। শাসকগোষ্ঠীর ইচ্ছার দায়ভার সাধারণ মানুষকে জীবন দিয়ে শোধ করতে হয়েছে। এই দ্বিমূখী বৈরীতার মধ্যে ইতালীর সাধারণ মানুষের জীবন কেমন ছিল তার একটা ভালো উদাহরণ হচ্ছে চেজিরা-রোসেত্তা’র জীবন। এটাকে ঠিকঠাক ভাবে সবার সামনে তুলে ধরার সাহস মোরাভিয়া দেখিয়েছেন। বিজয়ী মিত্রবাহিনী মানেই মেসিয়াহ্ নয় এই সত্যটাও বলতে পেরেছেন। অবশ্য এর একটা ভিন্ন অর্থও আছে। মোরাভিয়ার চোখে সামাজিক ও মানবিক বাস্তবতাকে বিচারের মাপকাঠি হচ্ছে অর্থ আর যৌনতা। তাই মরোক্কান গোমিয়েদের আচরণ যুদ্ধকালে বিজয় মদেমত্ত সৈন্যের বাস্তবতা। এটি যে অপরাধ সেটি ভিন্ন ব্যাপার, এটি যে বাস্তবতা সেটা স্বীকার্য। একইভাবে মানসিক আঘাতগ্রস্থ রোসেত্তা’র পতিতাবৃত্তি গ্রহনও বাস্তবতা।
যুদ্ধে বিজয়ী বা বিজিতের পরিণতি যাই হোক না কেন নারীর পরিণতি প্রায়ই অন্য প্রকারের হয়। সে বিজয়ী বা বিজিত যে কারো পক্ষভূক্তই হোক না কেন সমান্তরালভাবে তাকে আবার ঐ দুই পক্ষের সাথেই লড়তে হয়। নারীর যুদ্ধটা তাই অনিঃশেষ। সেই বিবেচনায় আমি অনেক জায়গায়ই চেজিরা আর রোসেত্তাকে আলাদা করতে পারি না। অল্প বয়সে চেজিরাও রোসেত্তা ছিল অথবা বেশি বয়সে রোসেত্তাও চেজিরা হবে।
সবচে’ পছন্দের ছোটগল্পকারের অমর উপন্যাসের চরিত্র বিশ্লেষণ দেখতে পেয়ে ভালো লেগেছে। সিরিজ চলতে থাকুক।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
অসাধারন বললেন। এটা নিজেই তো আলাদা ব্লগ হওয়ার দাবী রাখে মনে হয়।
সামি
ভালো বলেছেন দাদা, যদিও যুদ্ধ শুরুরও অনেক আগে থেকেই চেজিরার জীবনের যুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছিল... স্বামীর সাথে অসুখী দাম্প্যত্ব জীবন, স্বামী মৃত্যুর পর সমাজের চোখে একা নারী - তার দৃঢ়, আত্মপ্রত্যয়ী চরিত্রের সূচনা মূলত শেখান থেকই...
আগের পর্বে বলেছিলাম আপনার কমেন্ট দেখলে ভয় লাগে, কিন্তু আপনার কমেন্ট পেলে যে একই সাথে উৎসাহ পাই এটাও বলে ফেলেছি আগেই, যেটা বলা হয়নি তাহল - আমার লেখায় আমি সবসময় আপনার মন্তব্য আশা করি!
বইটা দুর্দান্ত লেগেছিল, পরে সিনেমাটিও। উনার উইম্যান অফ রোম কিছুটা পড়েছিলাম অনেক আগে
facebook
ধন্যবাদ অণু। মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো।
নতুন মন্তব্য করুন