বসন্ত বিষাদ

রংতুলি এর ছবি
লিখেছেন রংতুলি [অতিথি] (তারিখ: রবি, ১৮/০৩/২০১৮ - ২:১৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

একবার বাজে রকমের এক কাশির কবলে আমি পড়েছিলাম। এদেশে আমার মতো মাইগ্রেটেড বাঙালির কপালে কোল্ড এলার্জি বা শীতকালীন হাঁচি-কাশি বিড়ম্বনা খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। তবে সেবার বিষয়টা সামান্য হাঁচি-কাশি ছাড়িয়ে গড়িয়েছিল বহুদূর। যদিও শীত ছিল জাঁকিয়ে তবুও সময়টা ঠিক শীতকাল ছিল না, এবং রোগটাও কোনোভাবেই কোল্ড এলার্জি না। সেবার পুরো শীতটা ঠিকঠাক কাটিয়ে, বিপত্তি বাঁধলো শীত শেষে বসন্তের আগমনে। এবং যা ছিলো কিনা অস্ট্রেলিয়ায় আমার প্রথম বসন্ত। তখন গাছে গাছে কেবল একটা দুটো ফুল ফুটি ফুটি করছে, পাখিরা আড়মোড় ভেঙে গানে সুর তুলি তুলি করছে, মরা প্রকৃতির মনেও রঙ এই লাগি, সেই লাগি ভাব চলছে। আর আমি বিশ্রী সে কাশিতে দম আটকে মরছি দিনে-রাতে বহুবার! কারণটা পরে যা জানা গিয়েছিল, তা হলো বসন্তের বাতাসে ভাসতে থাকা ফুলের রেণু সংক্রমণ। নিরীহ ফুলের রেণুও যে এতো ভয়ংকর হতে পারে তা কে জানত! আজীবন তো সে এক কাঁটা মহাশয় কে একাই যত ফুল বিষয়ক দুর্নাম বয়ে বেড়াতে দেখলাম। কোনোদিন কোনো কবি-সাহিত্যককে কষ্টের তিব্রতা বোঝাতে 'কাঁটার আঘাতে জর্জরিত' অথবা 'ফুলের বনে কাঁটা' না বলে 'রেণুর ঘায়ে নাকাল', 'ছেড়ে দয়ে মা রেণু কেঁদে বাঁচি'... ইত্যাদি বলতে দেখি নাই!

এমনও তো না যে আমি ফুলের বাগানে ডানা মেলে ফুলে ফুলে, ঢ'লে ঢ'লে করে বেড়াচ্ছি। আমি সাধারণ মানুষ, টিকে থাকার দ্বায়ে রোজ কাকডাকা ভোরে ঘর থেকে দু'পায়ে ভর দিয়ে বেরিয়ে যাই, এরপর ট্রেনে চেপে দেড় ঘণ্টার পথ পেরিয়ে কাজে যাই, আট ঘন্টা অফিস করি, আবার দেড়ঘন্টা ট্রেনে দাঁড়িয়ে-বসে-ঝিমিয়ে ঘরে ফিরি। বনে-বাদাড়ে ফুলের সাথে খুনসুটি দূরে থাকুক, বাড়ির ব্যাকইয়ার্ডে অযত্নে টিকে থাকা মরিচ ও পুদিনা গাছের গোড়ার মাটিটুকু আলগা করার সময় আমার নাই। এর মধ্যে জাঁদরেল সে রেণু আমাকে কীভাবে পেয়ে বসলো, তা এক আশ্চর্য!

রেণুর খপ্পরে সে বেলা কেবল আমি নই, পুরো নগরবাসি। অফিসে ডানে এ আর টিম, বামে ফাইন্যান্স টিম, মাঝের অর্ডার টিম থেকে তখন দমকে দমকে কাশির আওয়াজ ভেসে আসে। আমার টিমে আমি আর আমার পাশের কলিগ কাশি পাল্লা দিয়ে। ট্রেনেও রোজ কেউ না কেউ কাশছে আমার সাথে। মামুলী কাশিকে শুরুতে আমলে না নিলেও, শেষতক ঘরোয়া টোটকা, বন্ধু-গুরুজনের নসিহত, আদা-চা, লেবু-পানি, মধু-লবংগ... কিছুই বাদ যায়নি। এবং অগত্যা না পেরে ডাক্তারের দরবারে ধরনা দিতে গিয়ে দেখি আশেপাশে অগুণিত রোগীর সাথে আমার কাশিও মিলে-মিশে একাকার! জিপি এবং কেমিস্ট শপে সাঁটানো 'হে-ফিভার ব্রেক আউট' এর বিশাল পোস্টারগুলোও যেন আমাদেরই ভেঙাচ্ছে - দ্যাখ, কি মজা!

সৈয়দ মুজতোবা আলীর 'বেঁচে থেকো শর্দি কাশির' সে জর্মন ডাক্তারবাবু বলেছিলেন - 'ওষুধ খেলে শর্দি যায় এক সপ্তাহে, না খেলে যায় সাতদিনে'। আমার কাশির দিন পেরিয়ে সপ্তা, সপ্তা পেরিয়ে মাস গড়িয়ে গেলেও যাওয়ার লক্ষণ ছিলো না। ওজি ডাক্তারের দেয়া এন্টি-হিস্টামিন আর ইনহেলারে কোনো উল্লেখযোগ্য ফল পেলাম না। উপরন্তু কাশতে কাশতে আমার বুক পাঁজরে অনরবরত ঘষা লেগে লেগে ভয়ানক ব্যথা শুরু হলো। এরপর যতবার কাশি সাথে পাঁজরের নিচে ভেতরের দিকে কোথাও ছিলে যাওয়ার তীব্র যন্ত্রণা অনুভব করি। কাশি শুরু হতেই, ব্যথার আতংকে আমি সাবধানে রিবের নিচটা চেপে ধরে রাখি। রাতে ঘুমের মাঝে পাশ ফিরতে সে ব্যথায় আমার ঘুম ভেঙে যায়, এমন কি শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে বুকের খাঁচা সামান্য ওঠানামাতেও সে ব্যথা টনটন করে ওঠে, সাথে মাগনা কাশির তুড়ি তো আছেই।

এমনি কাশিময় এক সকালে ট্রেনে আমার পাশে এক মেয়ে এসে বসলো, সুন্দর বাদামী চোখ এবং সোনালী চুল। বয়স আমার থেকে কম হবে। বাদামী চোখের মেয়ে দেখলে কেন জানি মনে হয় এ মেয়ের মন মায়ায় ভরা। আমি মুখে স্ট্রেপসিল নিয়ে বসে আছি। সেদিন কাশির চোট কিছুটা কম ছিল। সকালে ঠাণ্ডাটাও বোধয় কম ছিলো। প্রথম ট্রেনে ৪০ মিনিটের পথে পুরোটাতে তেমন কোন অঘটন ঘটেনি, ঠিক আমি যে ষ্টেশনে নামবো তার আগের ষ্টেশনে ট্রেন যখন থেমেছে, তখন আমার ভেতর থেকে কাশির একটা হলকা ঢেউ হয়ে বেড়িয়ে আসতে চাইছে টের পাই, আমি মুখে হাত দিয়ে খুক খুক করে তা সামাল দেয়ার চেষ্টা করি। মেয়েটি আমার দিকে তাকিয়ে ভ্রূ কুঁচকে ফেলে - 'ওহ, মাই গড! ইউ গট আ ফ্লু!' বলে ছিটকে কয়েকসিট দূরে গিয়ে বসে। সেদিন ছেলেমানুষের মতো আমার চোখে পানি এসে যায়। আমি জানালা দিয়ে বাইয়ে চেয়ে থাকি। এ বয়সে কামরা ভরা অচেনা লোকের সামনে চোখের পানি ফেলার মানে হয় না! সেদিনের সে বাদামী চোখের মেয়েটিকে আমি কোনোভাবেই বিচার করি না। শুধু দুঃখ আমার সংক্রমণটা যে ছোঁয়াচে ছিলো না, তা তাকে বলার সুযোগ আমি পাই নাই!

অস্ট্রেলিয়ায় মানুষ ফ্লুকে ভয় পায়। বলা হয় - "If you have flu stay home or you might kill someone"। কথাটার তাৎপর্য হলো - নবজাতক, কমবয়সী শিশু, বৃদ্ধ, গর্ভবতী বা যারা অন্য কোনো জটিল রোগে আক্রান্ত, যাদের শারীরিক প্রতিরোধ ক্ষমতা ইতোমধ্যে নাজুক অবস্থায় তাদের পক্ষে সাধারণ ফ্লুর ধকল সামলানোও কঠিন হয়ে পড়ে। সরকাররের তরফ থেকেও বিষয়টিকে বেশ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়, ফ্লু সিজনের শুরুতে ফলাও করে তার প্রচারণা চলতে থাকে। জেনারেল জিপি, অফিস-আদালতে বিনি পয়সায় ফ্লু-শট (প্রতিরোধক) দেয়া হয়। ফ্লু সৃষ্টিকারী ভাইরাসের বিরুদ্ধে যার কার্যক্ষমতা একেবারে শূন্যও হতে পারে।

কিছুদিন কাজে গেলাম না। ঘরে থেকে যদি আরাম পাই। যদিও জানি ঘরে বসে থাকা পোষাবে না। প্রভিশনাল পিরিয়ডে টানা ছুটি নিয়ে বসে থাকলে, টাকা তো পাবোই না, সাথে কাজটাও হাতছাড়া হয়ে যাবে। যেখানে একটা কাজের জন্য দশজন যোগ্য প্রার্থী পথ চেয়ে আছে। তবে সেদিনের সে ঘটনার পর ট্রেনে উঠে দেখে শুনে লোকজন থেকে একটু তফাৎ রেখে বসার চেষ্টা করি। যা বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই সম্ভব হয় না।

আরেক সকালের ঘটনা, সেদিন আট মিনিটের পরের ট্রেনটাতে উঠে দেখি আমার মুখ বরাবর দুটো সিটে হাইস্কুলের কিছু ছেলে মেয়ে বসেছে, তার পরের সিটে আমার মতো ফর্মাল পোশাক পরা এক মেয়ে বসে আনমনে প্রসাধনীতে ব্যস্ত, মাঝের সিটটা ফাঁকা, পরেরটাতে আবার অন্য কেউ বা কারা বসেছে। এ সিটগুলোর একেকটাতে তিনজন করে যাত্রী বসতে পারে। মাঝের সিটটা পুরোটা খালি পেয়ে আমি বসলাম। মেক-আপ করতে থাকা মেয়েটার দিকে পিঠ করে। পথে বুক চেপে হয়তো দু'একবার কেশেছিলাম, পেছনের মেয়েটা আমাকে ডেকে বলে, "তোমার বুঝি চেস্ট ইনফেকশন হয়েছে?" পূর্বের অভিজ্ঞতার পুনরাবৃত্তি হোকা তা আমি কোনোমতেই চাই না। তাড়াতাড়ি বললাম, "এটা হে ফিভার"। আমার কথা না শুনেই সে নিজের মনে বলে যেতে থাকল, "আমারো চেস্ট ইনফেকশন হয়েছিলো, আমি টানা তিনমাস ভুগেছিলাম, জানি এটা খুবই কষ্টের!" একটু থেমে আবার বলল, "তুমি যদি আমাকে অনুমতি দেও, তাহলে আমি কি তোমার জন্য ঈশ্বরের কাছে একটু প্রার্থনা করতে পারি?" তার ভিন্ন উচ্চারণ বা কল্পনার বাইরের বলা কথাগুলো আমি বুঝিনি, আমার চোখেও কিছুটা বিস্ময় বা ক্লান্তি ছিলো হয়তো। সে আবার বলল, "আমি তোমার জন্য ঈশ্বরের কাছে একটু প্রার্থনা করি?" বললাম, "তুমি যদি চাও, অবশ্যই করো।" মেয়েটি আমাকে অবাক করে দিয়ে পেছন থেকে আমার পিঠ-পাঁজরের ব্যথার ঠিক সে জায়গার উল্টো পাশটা ছুঁয়ে বেশ জোরে প্রার্থনা শুরু করল - "...হে ঈশ্বর, আমার এই বন্ধুটির চেস্ট ইনফেকশন হয়েছে, তুমি তাকে ভাল করে দেও...তুমি জানো তার কষ্ট... সে তো তোমারই সন্তান..." এক মিনিট মতো তার প্রার্থনা চলল। প্রার্থনা শেষে মনে প্রশান্তি নিয়ে সে আবার তার প্রসাধনীতে মন দিল। যেন কিছুই হয়নি। পুরো ঘটনার আকস্মিকতায় আমি এতটাই 'থ' বনে গেলাম যে, কাশতেও ভুলে গেলাম! চোখের কোণা দিয়ে আড়ি পেতে পেছনে বসা মেয়েটিকে বারবার দেখতে থাকলাম। সে তখন চোখ সাজাতে ব্যস্ত, উদ্ভট সদৃশ এক যন্ত্র দিয়ে চোখের পাঁপড়িগুলো চেপে চেপে ওপরের দিকে মুড়িয়ে দিচ্ছে। আমি ভাবছিলাম অন্তত আর দুটো মিনিট যদি কাশিটা ঠেকিয়ে রাখা যায়, তাহলে এই অদ্ভুত সুন্দর মানুষটি তার প্রার্থনায় সাড়া দিয়ে ঈশ্বর আমার কাশি সত্যি সত্যি সারিয়ে দিয়েছে এই অনুভূতি নিয়ে যেতে পারত বাকী পথটা!

এক সময় সে নচ্ছার কাশির হাত থেকে আমি বাস্তবেই রেহাই পেয়েছিলাম। অফিসে এ আর (অ্যাকাউন্ট রিসিভাবল) টিমের এক দেশি ভাইয়ের কারণে, আমার অবস্থা দেখে তিনি বলেছিলেন - "আপনাকে ডাক্তার এই এক-দেড়মাসে যত ওষুধ দিয়েছে, তার সব পানি দিয়ে গুলিয়ে তারে খাইয়ে দেন।" কিছুক্ষন বাদে উনি আমার ডেস্কে ফ্লাইং সসার চেহারার এক যাদুর চাকতি নিয়ে এলেন, যা আদতে কড়া ডোজের স্টেরয়েড ইনহেলার। আমি মুঠোফোন দিয়ে সে বস্তুর ছবি তুলে ডাক্তারের কাছে যেয়ে বললাম আমাকে এটা দেও, এবং দিয়ে উদ্ধার করো! অবাক শোনালেও সত্যি যে, জিনিসটা ব্যবহারের এক সপ্তাহের মাথায় আমি সেরে উঠি। কাশির প্রকোপ কমে যাওয়ায় বুকের ব্যথাও একসময় ধীরে ধীরে নাই হয়ে যায়। এরপর এ শহরে আরো দুটি বসন্ত এসেছে, ফুল ফুটেছে, পাখি গেয়েছে, প্রকৃতি রঙ মেখেছে... তবে আমার রেণু সংবেদনশীলতার মেজাজ বিগড়ে ছিলো ঐ একবারই।


মন্তব্য

হিমু এর ছবি

হে ফিভারকে বাংলায় "পরাগজ্বর" বলা যেতে পারে।

রংতুলি এর ছবি

'পরাগজ্বর' বেশ শোনালো।

অতিথি লেখক এর ছবি

আহা রে!
-বৃদ্ধ কিশোর

রংতুলি এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

আপু, আপনার লেখায় এত আপন আপন ভাব কিভাবে যে আসে??? দারুন লাগলো পড়ে। কয়দিন আগে আমার জামাইকে বলছিলাম, যে লেখার বিষয় খুঁজে পাচ্ছি না। তখন সে বলে উঠেছিল, আমাদের জীবনটাই একটা লেখার মতন বিষয়। তাই তো। আমার ধুলায় এলার্জি আছে, বেগুনে এলার্জি আছে, চিংড়িমাছে এলার্জি আছে - কে জানে, বিদেশে গেলে হয়তো দেখা যাবে রেণুও আছে সেই তালিকায়। ভালো থাকবেন।

অন্তরা রহমান

রংতুলি এর ছবি

ধন্যবাদ অন্তরা রহমান। আমি তো ভাবলাম খাওয়া ছাড়া আর কিছুতেই আমার ঐ আপন আপন ভাব তেমন একটা প্রকাশ পায়না। আপনার জামাই ঠিকই বলেছেন, লিখার জন্য জীবনের চেয়ে সুন্দর বিষয় আর হয় না। সময় আর ধৈর্য কুলোলে জীবনের এফোঁড়-ওফোঁড় করা গেলে মন্দ হয় না।

অতিথি লেখক এর ছবি

কিন্তু জীবন নিয়ে লিখতে গেলে যতটুকু সাবলীল কিংবা কুশলী হওয়া প্রয়োজন, আমার ততটুকু দক্ষতা আছে কি না সেটা নিয়ে আমি হরহামেশাই দ্বিশা-দ্বন্দে ভুগি। যাই হোক, আশা করি আপনার লেখা এখন হতে নিয়মিতই পাবো। হাসি

অন্তরা রহমান

রংতুলি এর ছবি

ভাবনা চিন্তা ছাড়াই লিখুন। লিখার সময় সকল দ্বিধা-দ্বন্দের সুইচ অফ রাখুন, তাহলেই চারপাশ পরিষ্কার দেখবেন আশা করি। হাসি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

সৈয়দ সাহেবের ডাক্তারবাবু পুনর্জন্ম নিয়ে আমার ডাক্তারবাবু হয়েছিলেন বোধকরি!
কাশিতে না হলেও হাঁচিতে আমাকে কাবু হয়েই এই বাবুটির শরণাপন্ন হতে হলে তিনি আমাকে টোটকা দেন, 'বস, ব্যাপার্না। গ্রীষ্মে আমিও হাঁচি দিতে দিতে পেদে দেই। সুতরাং টেনশন নিয়েন্না। বাড়িত যান গা। খুদাপেজ।'

রংতুলি এর ছবি

রোগ আর ডাক্তারবাবুদের নিয়ে আমার অভিজ্ঞতা মোটেও প্রীতিকর না। এর আগেও দুইমাস জ্বর,গলাব্যথা নিয়ে ডাক্তারের দরবারে ক্রমাগত ধরনা দিতে দিতে... পাক্কা ৬ কিলো ওজন কমিয়েছিলাম। সেবারও এক বন্ধুর কল্যাণে, পরে নেট ঘেঁটে নিজ রোগ সম্পর্কে জ্ঞাত হয়ে, করজোড়ে সে ডাক্তারবাবুকে অনুরোধ করেছিলাম, দয়া করে আমার থাইরয়েডটা একটু দেখো। বিশদ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যায় আমি 'হাশিমুতু থাইরয়েড' নামের উদ্ভট এক ইনফ্লামেশনের শিকার, সাথে আধা থ্যালাসামিক। ভাঙ্গা চোয়াল, পাংশু মুখ নিয়েও সে বেলা হেসে দিয়েছিলাম। শেষমেশ থার্ড জেনারেশন এন্টিবায়োটিক দিয়ে সে প্রদাহের চিকিৎসা হয়েছিলো।

অতিথি লেখক এর ছবি

খুব ভালো লাগলো পড়ে। এই পোলেন অ্যালার্জি জিনিসটা খুবই খারাপ। আমার ছেলেটা চার বছর বয়স অবধি ভালোই ছিল, মাঠ ভর্তি ড্যান্ডিলাইওনের মধ্যে গড়াগড়ি খেতো, মাঝে মাঝে একটা দুটা ছিঁড়ে এনে গেঁথে দিতো ওর মায়ের চুলে। এখন কাছেও যেতে হয় না। দূর থেকে দেখলেই হাঁচি শুরু হয়ে যায়।

----মোখলেস হোসেন

রংতুলি এর ছবি

হায়রে পোলেন! পিচ্চিটাকে আদর।

এক লহমা এর ছবি

ফুলের রেণু যে কি ভয়ানক সে ভুক্তভোগী জানে। স্টেরয়েড ইনহেলার যখন লাগে তখন সেটা না নিয়ে উপায় থাকে না।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

রংতুলি এর ছবি

এরাগ পর্যন্ত ফুলকে ফুল বলেই জানতাম, এখন ফুল দেখলে হালকা আতংক কাজ করে। ইয়ে, মানে...

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।