নতুন বাসা এবং নতুন অতিথি
এ বাড়িতে এসে শুরুতেই মা বারান্দাটা ঝাড়পোঁছ করে বলেছিল, যাক বাবা পুরো বাসাটায় অন্তত এখান থেকে এক চিলতে আকাশ দেখা যাবে। বাবা-মায়ের কাজের প্রয়োজনে শহরের কাছাকাছি তাদের আসতেই হতো। বাড়ি বদল মিতুলের কাছে নতুন কিছু না, প্রায় বারো বছর জীবনে এটা তা্র ন'নম্বর বাড়ি। এক বাড়ি থেকে আরেক বাড়ি, এ শহর থেকে সে শহর, এক স্কুল থেকে অন্য স্কুলে তার জীবন কেটে চলেছে। নতুন স্কুল শুরু হতে আরো দু'সপ্তাহ। স্কুল ছুটির দিনগুলো সাধারণত সে বই পড়েই কাটিয়ে দেয়। আগের স্কুল, বন্ধুদের কথা ভাবতে ভাবতে সে আনমনে বইয়ের পাতা উল্টে যাচ্ছিল, এমন সময় বারান্দার ফোকোতে বসে থাকা বিড়ালটার দিকে চোখ পড়ল। মিতুল অবাক হলো, আরে এটা এখানে কোথা থেকে এলো। দুধ-সাদার মাঝে কালো ও ধূসর মিশিয়ে ছোপ, গোল বাদামী চোখ দুটো স্বচ্ছ কাঁচের মত। তার দিকেই তাকিয়ে আছে। মিতুল না বুঝে উঠতে যেয়েই ধরাম করে কোলে থাকা বইটি পড়ে গেল। বিড়ালটাও নিমিষেই উধাও।
রাতে খাবার সময় মিতুল বিড়ালের প্রসঙ্গ তুলল, আমরা একটা বিড়াল রাখিনা কেন?
মা বলল, এতছোট একটা বাড়ি, আমারাই এঁটেছি কষ্টেশিষ্টে, বিড়াল থাকবে কোথায়!
মিতুল বলে, কেন বারান্দাতে।
কাজ নেই, হাগুমুতু করে একাকার করবে শেষে। বলে মা বিড়াল প্রসঙ্গ উড়িয়ে দিল।
পরদিন বিড়ালটা আবার এলো। মিতুল এবার সাবধানে, বাটিতে দুধ দিয়ে দরজার কাঁচ ঢেকে রাখা ব্লাইন্ডারের আড়ালে চলে গেল। চারপাশে সজাগ দৃষ্টি রেখে বিড়ালটি দুধ খেলো।
কাজ থেকে ফিরে দুধের বাটি দেখে মা চোখ কপালে তুলল। মিতুলের কাছ থেকে বিড়ালটার কথা জেনে বলল, আচ্ছা ঠিকাছে খেতে দেও, কিন্তু বাবা ওটাকে ঘরে ঢুকিয়ো না। বারান্দাতেই রেখো।
এবার দুধের বাটির পাশে নরম তোয়ালে দিয়ে বিড়ালটার জন্য বিছানা পেতে দিলো মিতুল। ঘুমোবে বলে।
বিড়ালটা এলো, দুধ খেলো, কিন্তু বিছানায় না ঘুমিয়ে সে মিতুলের দিকে চেয়ে থাকল। আজ তাকে তেমন ভীত মনে হলো না। মিতুল ধীরে ধীরে ওটার কাছে গিয়ে ঘাড়ে-পিঠে হাত বুলিয়ে আদর করলো। নাম দিল শারবেত।
উপহার
মিতুলের স্কুল শুরু হয়েছে। সে স্কুলে যায়। শারবেত নিজের মতো বাইরে ঘুরে বেড়ায়। মিতুল স্কুল থেকে ফেরার পথে ওদের মেইলবক্সটার কাছে আসামাত্র শারবেত কোথা থেকে হাজির হয়। ওরা একসাথে ঘরে ফিরে। মিতুল নিজের খাবার গরমে দিয়ে শারবেত কে খেতে দেয়। শারবেত কার্ডবোর্ডের বক্স নিয়ে খেলতে পছন্দ করে। এছাড়াও মিতুল ওর সাথে খেলার নতুন নতুন উপায় বের করে। সুতোর মাথায় কিছু একটা বেঁধে ওর সামনে রেখে ধীরে ধীরে টানতে থাকে, শারবেত ওটাকে জীবন্ত পোকা বা টিকটিকি ভেবে তাড়া করে, এক হাতে থাবা মেরে অন্য হাতে নেয়। কখনো ছোঁ মেরে দু'হাতে নিয়ে হুটোপুটি করে।
শীত পড়ছে। রাতেগুলো এখন বেশ ঠান্ডা। শীতের কারণেই হোক আর মমত্ববোধ থেকেই হোক, মা শারবেতের ঘরে ঢুকার নিষেধাজ্ঞা শিথিল করেছে। শারবেত এখন সোফায়, মিতুলের বিছানায়, কখনো বাবা-মায়ের বিছানায় ঘুমায় অবাধে।
একদিন শারবেত ভয়ংকর একটা কাণ্ড ঘটালো। ছুটিরদিন দুপুরে ওরা টিভি দেখছিলো, শারবেত কোথেকে একটা ইঁদুর ধরে এনে ওদের সামনে রাখলো। বাইরে থেকে ইঁদুর মেরে এনেছে দেখে মা ভীষণ রাগ করল।
জংলী বিড়াল, তোকে কি আমরা খেতে দেই না বলে ওকে ঘর থেকে বের করে দিয়ে বারান্দার দরজা আটকে দিল। শারবেত কিছুটা বিস্ময় আর কিছুটা অপরাধীর চোখ নিয়ে কাঁচের দরজার ওপাশ থেকে মায়ের দিকে তাকিয়ে থাকল।
বাবা শারবেতের আচরণ ব্যাখ্যা করলো, শারবেত আসলে ইঁদুরটি নিজে খাওয়ার জন্য মেরে আনে নাই, এনেছিলো আমাদের জন্য উপহার হিসেবে। এটা সে করেছে তার 'ন্যাচারাল ইন্সটিঙ্কট' থেকে। শারবেত একটি মেয়ে বিড়াল। প্রাণী জগতে মায়েরা সন্তানের জন্য খাবার সংগ্রহ করে আনে। বিষয়টা কিছুটা সেরকম। এমুহুর্তে শারবেতের পরিবার আমরা। আমাদের প্রতি তার ভালবাসা-আনুগত্যের নিদর্শন স্বরূপ সে ইঁদুরটা এনেছে।
মা বলল, তাইবলে মরা ইঁদুর!
বাবা বলল, সেকি তোমার জন্য সুপারমার্কেট থেকে গ্রোসারি আনবে, নাকি ফুল আনবে!
রাতে শারবেত এলো না। মা বারান্দার ব্লাইন্ড সরিয়ে বাতি জ্বালিয়ে রাখলো। মিতুল বারবার গিয়ে দেখে আসল, সে নেই। কখনো সে সামনে কাউকে না পেলে মিতুলের জানালায় এসে মিউমিউ করে ডাক দেয়। সেদিন তেমন কিছুই করল না। ভোররাতের দিকে মা দেখলো শারবেত কখন এসে ঠাণ্ডায় গুটিশুটি মেরে শুয়ে আছে বারান্দার কোণে। দরজাটা খুলতেই সে লেজ তুলে মায়ের পায়ে পিঠ ঘষে ঘষে তার হ্রদয়ের প্রীতিসম্ভাষণ জানাতে লাগলো। মা তাকে কোলে তুলে নিলো। মায়ের কোলের উষ্ণতায় তার ঠাণ্ডা শরীরটা যেন স্বস্তি পেলো।
মালিকের খোঁজ
শারবেত যখন পুরোপুরি মিতুলদের সাথে থাকা শুরু করেছে। তখন পাশের ইউনিটের ফিলিপিনো পরিবারটি মিতুলদের বাসায় বেড়াতে এলো। শারবেতকে দেখে ভদ্রমহিলা জানতে চাইলো এটা বুঝি তোমাদের বিড়াল? ওকে তো আমি প্রায় দেখি। এতো সুন্দর বিড়ালটা তোমরা কোথায় পেলে?
মা বলল, ওই আসলে আমাদের খুঁজে নিয়েছে।
সেকি তোমরা ওর মালিকের খোঁজ করনি?
মা বলল, আমরা ভেবেছি ও নি:সঙ্গ।
এমনও তো হতে পারে ওর মালিক ওকে হারিয়ে ফেলেছে এবং খুঁজে মরছে। ভদ্রমহিলা বলল।
মাকে চুপ থাকতে দেখে, তিনি বললেন, এক কাজ করো, ওকে ভেটের কাছে নিয়ে যাও। যদি ওর কোন মালিক থেকে থাকে মাইক্রোচিপ১ থেকে জানা যাবে। সে মুক্ত বিড়াল হলে তো কথাই নেই। তোমরাই এটাকে মাইক্রোচিপড করিয়ে নিবে।
প্রতিবেশীর পরমর্শমতো শারবেতকে ভেট এর কাছে নিয়ে যাওয়া হলো। মিতুল কিছুতেই চায় না শারবেতের কোনো মালিকের খোঁজ পাওয়া যাক। ও দুরুদুরু বুকে অপেক্ষা করতে থাকল।
শারবেতের শরীরে মাইক্রোচিপ পাওয়া গেল। পাওয়া গেলো তার আসল মালিকের খোঁজ।
শারবেতের পরিচয়ঃ
নামঃ নিসিশা,
লিঙ্গ: স্ত্রী
বয়সঃ ৬ বছর ৩ মাস
উল্লেখ্যঃ অস্ত্রপচারের মাধ্যমে ওর জরায়ু ফেলে দেয়া হয়েছে।
শারবেতের মালিকের পরিচয়ঃ
নামঃ পিনা ওজলিন।
লিঙ্গ: স্ত্রী
বয়সঃ ৫৩
ঠিকানাঃ ১১ এন্সল্যাম স্ট্রিট, স্ট্রাথফিল্ড সাউথ
ফোনঃ ০৪২৪ ..., ইমেইলঃ ...
ভেটেরিনারি ক্লিনিক থেকে ওদের গাড়ি সোজা এন্সল্যাম স্ট্রিটের ১১ নাম্বার বাড়িটার সামনে এসে থামল। তখন দুপুর গড়িয়ে গেছে। পথে কেউ কোনো কথা বলেনি। মিতুল বড় হয়েছে, ছেলেমানুষি করার বয়স তার নেই। তারপরেও এই মুহূর্তে তার খুব ইচ্ছে হলো, শারবেতকে নিয়ে ছুটে পালিয়ে যায় কোথাও। মায়ের চোখ ভেজা, বাবা কারোর দিকেই তাকাতে চাইছে না। মিতুলের কোলে ঝুড়িতে শারবেত বসে আছে ভাবলেশহীন। কি হতে যাচ্ছে সে কিছুই বুঝছে না, বা পুরোটাই বুঝছে, কে জানে!
কাঁপা হাতে মা ডোরবেল চাপল...
কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে আবার চা্পল। এবং আবার...
কেউ দরজা খুলল না।
বাবা ভেটেরিনারি ক্লিনিকে পাওয়া শারবেতের মালিকের নাম্বারটায় ফোন দিলো। বন্ধ পেলো।
পাশের বাড়ির এক বিশালদেহী মাউরী২ ভদ্রলোক তখন বাগানের ঘাস কাটছিলো। ১১ নাম্বার বাড়িটার সামনে তাদের হতবিহবল অপেক্ষা করতে দেখে এগিয়ে এসে জানতে চাইল, তোমরা কার কাছে এসেছো?
বাবা বলল, পিনা ওজলিনের কাছে।
কারণটা জানতে পারি কি? লোকটাকে অবাক দেখালো।
বাবা শারবেতকে দেখিয়ে বলল, আমরা ওর বিড়ালটা ফেরত দিতে এসেছি। সে হয়তো ওটাকে হারিয়ে ফেলেছে।
লোকটা শারবেতের দিকে তাকিয়ে বলল, ও বুঝি এখন তোমাদের কাছে থাকছে?
খানিক বাদে সে আবার বলল, পিনা ছিল পরিবার ও ছেলে-পুলেহীন এক মাঝ বয়সী নারী। এ বাড়িতে একাই থাকতো। তেমন কারো আসা-যাওয়া দেখি নাই। বন্ধু-স্বজন ছিলো কিনা কে জানে। প্রতিবেশীদের সাথেও যোগাযোগ ছিল না তেমন। তবে বিড়ালটা আমি দেখেছি, এট তারই ছিল।
বাবা জানতে চাইলো, সে কি অন্য কোথাও চলে গিয়েছে?
মাউরী না'সূচক মাথা নেড়ে বলল, দু'মাস আগে এক সকালে বাড়ির সামনে অ্যাম্বুল্যান্স আর পুলিশের গাড়ি দেখে জানতে পারি আগের রাতে সে বাড়িতেই মরে ছিলো। অতিরিক্ত মদ্যপানে স্ট্রোক হবে হয়তো। জানিনা বেড়ালটার রেজিস্ট্রিতে ওর মৃত্যু আপডেট হয়েছে কিনা!
***
পাদটিকাঃ
বাসায় কোথেকে এক বিড়াল এসে জুটেছে। মিতুলের মতো আমার ছেলের সাথে তার সখ্যতা বাড়াবাড়ি মাত্রার। কাকতালীয়ভাবে ছেলে ওটার নামও দিয়েছে 'শারবেত'। আমাদের শারবেতও একটি মেয়ে বিড়াল এবং মাঝেমধ্যে উপহার হিসেবে ইঁদুর-টিদুর মেরে আনে আমাদের জন্য। কোলের উপর চিত হয়ে শুয়ে গলায় নিচে আদর খায় সে চোখ বুঁজে। অস্ট্রেলিয়ায় পশুপাখি বিষয়ক আইনকানুন সম্পর্কে তেমন কিছুই জানতাম না। শারবেতের কারণে ঘাঁটাঘাঁটি করতে করতে গল্পটা মাথায় এলো এবং লিখে ফেললাম।
মাইক্রোচিপ১ (Microchip): গৃহপালিত (pet) অথবা ছন্নছাড়া (stray) পশুপাখি শনাক্ত করার উপায় হলো Australasian Animal Registry - Pet identification and recovery service এর অনুমোদন প্রাপ্ত কাউন্সিল, প্রাণী আশ্রয়কেন্দ্র এবং ভেটেরিনারি ক্লিনিকের ব্যবহৃত মাইক্রোচিপ থেকে। ছোট্ট এ চিপ পশুর শরীরে ঢুকিয়ে দেয়া হয়। প্রতিটা চিপ এর ভিন্ন নাম্বারে সে নির্দিষ্ট প্রাণীটির সকল তথ্য সুরক্ষিত থাকে যেকোনো আন্তর্জাতিক প্রাণী আশ্রয়কেন্দ্র এবং ভেটেরিনারি ক্লিনিকের ডেটাবেজ এ। যেমন - প্রাণীর পরিচয়, মালিকের পরিচয় ও যোগাযোগ ইত্যাদি, যা প্রাণীটির সুরক্ষা, আস্রয় ও চিকিৎসার প্রয়োজনে কাজে লাগে।
মাউরী২ (Māori): পলেনেশিয়ান আদিবাসী যারা ১২৫০ থেকে ১৩০০ এর দিকে নিউজিল্যান্ডে বসতি গড়ে। অস্ট্রেলিয়ায় আমাদের প্রথম পড়শী ছিলো 'প্যাট' এবং 'ক্লার্ক' নামে এক চমৎকার মাউরী দম্পতী, বয়স ৭৫ থেকে ৮০ এর ভেতর।
মন্তব্য
পালতু বেড়াল আর ফালতু বেড়াল।
ঘরের বেড়াল বনের বেড়াল।
সুন্দর গল্প। আরো একটু যত্ন নেওয়া যেতো কি, খুব বেশি না একটুখানি।
---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।
তা বোধহয় যেতো। তাতে অন্তত টাইপোগুলো দূর হতো, গল্পের ছাড়া ছাড়া ভাবটা দূর হতো। উপশিরোনামগুলো দেয়া দরকার কিনা বা পাদটীকা মূল গল্পে না দিয়ে মন্তব্যে দিলে ভালো হতো কিনা সেসব নিয়ে আরেকবার ভাবা যেতো।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ভাবছি মাথার উপর টিকটিক করতে থাকা ঘড়িটার ব্যাটারি খুলে রেখে, ল্যাপটপের ডানে একদম নিচে কোণে ছোট্ট করে সময় দেখানোর অংশটার উপর কালোটেপ মেরে লিখতে বসব।
বেড়াল নিয়ে একটা লেখা শুরু করেছি ক'দিন আগে। তবে আমার বেড়ালটা বারান্দায় নয়, ফ্রিজে। ভালো লেগেছে বারান্দার বেড়াল।
---মোখলেস হোসেন।
আপনার বেড়ালটা ফ্রিজে কি করে? আগ্রহবোধ করছি!
চমৎকার গল্প। আমাদেরও বিড়ালের সাথে দীর্ঘ একটা সময় কেটেছে বলে বিড়ালের গল্প আগ্রহ নিয়ে পড়ি। বিড়াল নিয়ে মর্মান্তিক অভিজ্ঞতাও আছে। উপশিরোনামগুলো না দিলেও চলতো মনে হয়েছে।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
ধন্যবাদ। বেড়াল নিয়ে আপনার অভিজ্ঞতার গল্প জানতে চাই, লিখুন না! এই প্রানীগুলো এতই অদ্ভুত-আদুরে, নিজে থেকেই ঘরে ও মনে জায়গা করে নেয়। লিখাই বা বাদ থাকে কেন।
বাঃ! চমৎকার গল্প! আর, চলতি জীবন নিয়ে এইরকম গল্প লিখে ফেলতে পারা - কুর্নিশ।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
ধন্যবাদ এক লহমা। চলতি জীবন নিয়েই বরং গল্প লিখা সহজ, উপদানগুলো চারপাশে থাকে, মাথার উপরও কম চাপ যায়। ওস্তাদেরা তো হাওয়ায় গল্প বুনে, পুরো কল্পনা থেকে।
বেশ লাগলো।।।
জীবনের চলিত উপাখ্যান।
ধন্যবাদ কর্ণজয়।
নতুন মন্তব্য করুন