ভিনগ্রহের পাণ্ডুলিপি-৩

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি
লিখেছেন আব্দুল গাফফার রনি [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ২৩/০৫/২০১২ - ১০:০৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

৭ এপ্রিল সকাল ছটা
এখন আমি সাতক্ষীরার কৈখালী গ্রামে আফজালের বাড়িতে বসে ডায়েরি লিখছি। এখানে এসেছি গতকাল বিকেলে।

কাল সকালে ডায়েরি লেখা শেষ করে উঠতে যাচ্ছি, এমন সময় জগমোহন এসে জানাল, কে একজন আমার সাথে দেখা করতে চায়।

ড্রয়িং রুমে এসে দেখি, ৩০/৩২ বছর বয়সী এক যুবক বসে আছে। ছেলেটাকে চেনা চেনা লাগছিল, কিন্তু আগে কোথায় দেখছি ঠিক মনে করতে পারছি না। আমার ভাব সাব বুঝে সে বলল, 'জামিল ভাই, আমাকে চিনতে পারছেন না! আমি আব্বাস, আপনার বন্ধু আফজালের ছোট ভাই।'

এবার মনে পড়ল, যখন আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তাম, তখন ও প্রায়ই ভাইয়ের জন্য এটা-সেটা বাড়ি থেকে নিয়ে যেত। মাঝে মাঝে দু-এক রাত হলে কাটিয়েও আসত। আমার ভুলের জন্য ওর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিলাম। আমি আফজালের কথা জিজ্ঞেস করতেই ও ঝর ঝর করে কেঁদে ফেলল। বলল, 'আপনি আমার ভাইকে বাঁচান, জামিল ভাই। তিন বিদেশি তাকে কিডন্যাপ করেছে।'

'কখন, কবে?' বিস্ময়ভরা কণ্ঠে জিজ্ঞেস করলাম আমি।

'গতকাল,' ধরা গলায় বলল আব্বাস। 'সকালে গিয়েছিল কলেজে, তারপর আর ফিরে আসেনি। প্রিন্সিপাল জানালেন, রুটিনের সবকটা ক্লাস নিয়েছিল ভাইজান। ছুটির পর তাকে বাড়ি মুখো হতেও দেখেছেন তিনি।'

'তুমি কি নিশ্চিত তোমার ভাই কিডন্যাপ হয়েছেন আর ঐ তিন বিদেশিই এ-কাজ করেছে?'

'স্বচক্ষে তো আর দেখিনি; তবে ঐ তিন বিদেশি প্রায়ই আমাদের বাড়িতে আসত ভাইজানের সাথে কথা বলার ছুঁতো করে। আমি আড়াল থেকে সব শুনতাম- ওরা আমার ভাইকে খাতির করছে, লোভ দেখাচ্ছে; অনেক অনেক টাকার লোভ! কিন্তু ভাইজানকে ভজাতে পারেনি।'

'অবশেষে একদিন ভাইজানকে সরাসরি হুমকি দিয়ে গেল- কিডন্যাপের হুমকি, খুন করে লাশ গুম করে ফেলার হুমকি। ভাইজানও বুঝতে পেরেছিল, তাকে ওরা যেকোন সময় কিডন্যাপ করতে পারে। তাই আমাকে একদিন ডেকে বলল, হ্যাঁ-রে আব্বাস, যদি সত্যিই ওরা আমাকে কিডন্যাপ করে তবে জামিলকে গিয়ে খবরটা দিস। ও হয়তো কিছু একটা ব্যবস্থা করতে পারবে।' তাই ভাবলাম, ভাইজানকে যখন পাওয়া যাচ্ছে না তখন আপনাকে খবরটা জানানো দরকার-' চোখ মুছতে মুছতে বলল আব্বাস।

'কী জন্য আফজালকে কিডন্যাপ করেছে, কিছু জানো তোমরা?' জানা কথাটাই আবার জানতে চাইলাম আব্বাসের কাছে। উত্তর যেটা পেলাম সেটাও আমার জানা। অর্থাৎ কুড়িয়ে পাওয়া রডখানার জন্যই এত হাঙ্গামা। আমার কাছেই যে রডের ভেতরের কাগজপত্রগুলো আছে তা আব্বাস জানে না; ওর কথাবার্তাতে তার প্রমাণ মিলল।

'বিদেশিরা কোথায় থাকে বলতে পারো?' জিজ্ঞেস করলাম ওকে।

আব্বাস উত্তর দেয়ার জন্য মুখ খুলতে যাচ্ছিল, তার আগেই ভীম পাশের ঘর থেকে ঘেউ ঘেউ করে তেড়ে আসায় আমাদের আলোচনায় বাধা পড়ল। স্পষ্ট বুঝতে পারছি, ভীম আব্বাসের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়বে। সময় মতো ওর গলার চেনটা টেনে থামালাম। কিন্তু ভীমের সে কী তর্জন গর্জন! সাধারণত আমার কোনো অতিথির সাথে কুকুরটা এমন আচরণ করে না। আজ হঠাৎ এমন করছে কেন, বুঝলাম না। হয়তো গত রাতের শকটা ওর মেজাজ বিগড়ে দিয়েছে।

আব্বাস প্রচণ্ড ভয় পেয়ে গিয়েছিল। জগমোহন এসে সময় মতো ভীমকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়াই ওর ভয়টা ধীরে ধীরে কমল। নিজেকে সামলে নিয়ে বলল, 'কী যেন জানতে চাচ্ছিলেন জামিল ভাই?'

আমি ওকে বিদেশিদের আস্তানাটা কোথায়, তা জানে কিনা জানতে চাইলাম।

ও বলল, 'শুনেছি জঙ্গলের ভেতরে কোনো এক গেস্ট হাউজে থাকে। কোনটাতেÑ সঠিক বলতে পারব না। এখন আপনি কিছু করুন দয়া করে।'

আমি ওকে আশ্বস্ত করে বললাম, 'ঠিক আছে, আমি যাব। এখন তুমি ফ্রেশ হয়ে এসে নাস্তা সেরে নাও।'

ওকে বাথরুম দেখিয়ে দিয়ে ড্রয়িং রুম থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলাম, আফজালের হাঁটার ভেতরে ত্র“টি লক্ষ্য করে থমকে গেলাম। ওর হাঁটাটা স্বাভাবিক নয়- একটু একটু খোঁড়াচ্ছে যেন। হঠাৎ কেন জানি ভীমের সেই ক্রদ্ধ গর্জনের কথা মনে পড়ল।

খোঁড়ানোর কারণ জানতে চাইলে ও জানাল, কালিন্দি নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে ঢোঁড়া সাপের দংশনের শিকার হয়েছে।

আমি ক্ষতস্থানটা দেখতে চাইলাম। ও জোর আপত্তি জানাল বিধায় দেখা হলো না। ল্যাবরেটরি থেকে মিরাকিউরল ট্যাবলেটের কৌটাটা এনে আব্বাসকে একটা ট্যাবলেট খাইয়ে দিয়ে বললাম, 'ধন্বন্তরি ওষুধ খাইয়ে দিয়েছি। আর ভয় নেই। এক ঘন্টার মধ্যে তোমার পা ভালো হয়ে যাবে।'

কিছুক্ষণের মধ্যেই জগমোহন নাস্তা দিয়ে গেল। লক্ষ করলাম, আব্বাস খাবার খাচ্ছে বামহাত দিয়ে। ও বামহাতি কিনা স্মৃতি হাতড়ে মনে করতে পারলোম না। আমাদের দেশে বামহাতি মানে ব্যতিক্রমি লোক। ব্যতিক্রমিতার কথা সাধারণত মনে থাকে। আমার স্মৃতি কেন প্রতারণা করছে বুঝে উঠতে পারলাম না।

৭ এপ্রিল রাত আটটা

সকালে ডায়েরি লেখা শেষ করে বিধাবাদের গ্রামে গিয়েছিলাম নিখোঁজ হওয়া পাঁচ মহিলার স্বজনদের সাথে দেখা করতে। কিন্তু তাদের কাছে প্রয়োজনীয় কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি বলে সেসব লিখে ডায়েরির পাতা নষ্ট করতে চাই না।

সেখান থেকে গিয়েছিলাম কালিন্দি পাড়ে বেড়াতে। শুধু বেড়ানোই মূল উদ্দেশ্য নয়, আফজালের অন্তর্ধানের রহস্যটার কোনো ক্লু পাওয়া যায় কিনা, সে ব্যাপারটাও মাথায় ছিল।

ক্লু পেয়েছি অনেক। শুধু ক্লুই পায়নি, এমন দুর্লভ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছি যে, এখন জীবন বাঁচানোই দায় হয়ে পড়েছে। নিজেকে রক্ষা করতে হলে আজ রাতের মধ্যেই আমাকে অলৌকিক কিছু একটা করে ফেলতে হবে।

কালিন্দির কাছাকাছি পৌঁছে আফজাল নিজের পা চেপে ধরে বসে পড়ল। আর হাঁটতে পারছে না। ব্যপার কীÑ বুঝতে অসুবিধা হলো না একটুও। ওর ক্ষতটা সারেনি! অর্থাৎ প্রোফেসর শঙ্কুর অব্যর্থ মিরাকিউরল ট্যাবলেট আব্বাসের শরীরে পুরোপুরি ব্যর্থ। জানি না আমার ওষুধ তৈরিতে কোনো কোনো ভুলচুক হয়েছে কিনা। কিন্তু ভীম অত মারাত্মক জখম কাটিয়ে উঠল!

আব্বাসকে একটা বাবলা গাছের ছায়ায় বসিয়ে অনেকটা জোর করেই ওর প্যান্ট হাঁটু পর্যন্ত গুটিয়ে দিলাম। ক্ষতটা বেশ বড় ও মারাত্মক। ঢোঁড়া সাপের কামড়ে এত বড় ক্ষত হওয়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তবে কি আব্বাস মিথ্যে বলছে?

আব্বাসকে ঘিরে একট সন্দেহ সেদিনই আমার মাথায় এসেছিল। সেটা ক্রমেই আরো দানা বাঁধছে। কেন ভীম ওকে দেখে প্রবল আক্রেশে ওর ওপরে ঝাঁপিয়ে পড়তে যাচ্ছিল? যতদূর জানি ও বামহাতি নয়, কিন্তু সব কাজ বাম হাতে করছে- কেন? কেন ধন্বন্তরি মিরাকিউরল ট্যাবলেট ওর শরীরে কাজ করল না? জিজ্ঞাসাগুলো জটিল রহস্যের দিকেই মোড় নিচ্ছে। ওকে ভালো করে পর্যবেক্ষণ করা দরকার।

আমার সায়েন্টিফিক সুটকেসটা খুলে তা থেকে এক টুকরো তুলো বের করে ওর ক্ষত স্থান থেকে খানিকটা কষ তুলে নিলাম। কষসহ তুলোটা একটা কৌটায় পুরে আবার সুটকেসে রেখে দিলাম- পরে পরীক্ষা করে দেখতে হবে, কী ধরনের জীবাণু দ্বারা ক্ষতস্থানটা আক্রান্ত হয়েছে।

তারপর ওকে খাইয়ে দিলাম একটা মিরাকিউরল ট্যাবলেট আর একটা পেইন কিলার ট্যাবলেট। মিরাকিউরল ট্যাবলেট তৈরিতে গলদ থাকতে পারে, দেশের সবচেয়ে বড় কোম্পানীর ওষুধে তো আর গলদ নেই।

সায়েন্টিফিক সুটকেসটা গুছিয়ে নিয়ে আব্বাসকে বললাম, 'ব্যাথাটা কমে গেলে তুমি বাড়ি ফিরে যেও, আমি কালিন্দির আশপাশটা একটু দেখে আসি।'

কালিন্দি নদীটা মোটেও আমাদের ইছামতী বা মাথাভাঙ্গার মতো মরা নয়। এই কাঠফাটা গ্রিষ্মের দাবদাহ এর ওপর তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি। হয়তো সমূদ্রের এত কাছে বলেই।

নদীর একেবারে পাড়ে গিয়ে দেখি পানি ঘোলা দই- শত শত মহীষ একসাথে গোসল করেছে যেন। পানিতে আলোড়ন চলছে এখনো। যে প্রাণীই এ কাজ করুক, তা বেশিক্ষণ আগে নয়। আমি যখন আব্বাসের শুশ্রƒশায় ব্যস্ত ছিলাম, হয়তো তখনই।

বেশি কিছু ভাবার সময় নেই। এটোমিক এনালইজার দিয়ে দিয়ে পানিটা পরীক্ষা করে দেখতে হবে এখন। দেখতে চাই, ওই জায়গার পানিতে মহাজাগতিক কেনো তেজস্ক্রিয় রশ্মির অস্তিত্ব আছে কিনা। তবে পর্যবেক্ষণস্থল এখানে নয়, আফজাল যেখানে রডখানা কুড়িয়ে পেয়েছিল, সেখানে। এখনো দু-মাইল উত্তরে।

নদীর তীর ঘেঁষে হাঁটতে লাগলাম। তঘোলা পানি যেন আর ফুরাতে চায় না! অবশ্য পঁচিশ কেজি ওজনের সায়েন্টিফিক সুটকেসটা নিয়ে আমার হাঁটতে কোনো অসুবিধা হচ্ছে না। কারণ ওর ভেতরে আমার নিজের আবিষ্কার এন্টি গ্রাভিটি সিস্টেম লাগানো রয়েছে। তাই বন্ধ অবস্থায় সুটকেসটার ওজন দাঁড়ায় মাত্র দুই কেজি।

----------------------

আব্দুল গাফফার রনি

* সিরিজের অন্যপর্বগুলো পড়তে কী-ওয়ার্ডের 'জামিল সিরিজ' লেখার ওপর ক্লিক করুন


মন্তব্য

সাফি এর ছবি

পুরোপুরি শঙ্কু পড়ছি বলেই মনে হচ্ছে। পুরোটা কী আগেই লেখা?

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

হ্যাঁ সাফি ভাই পুরোটাই আগেই লেখা। তবে আপনারা যাই বলুন আমি কিন্তু রোমাঞ্চিত হচ্ছি, শঙ্কুর সাথে তুলনা আসছে বলে, যদিও জানি শঙ্কুর মতো একটা চরিত্র দাঁড় করানোর ধৃষ্টতা আমার নেই।

সাফি এর ছবি

আমার কিন্তু লেখা ভাল লাগ্ছে। তবে আগের কিস্তিগুলোতেই আমরা অনেকেই বলেছি যে শঙ্কুভাবের কথা, এখন বুঝলাম পুরোটাই আপনার লেখা আছে, তাই বদলানোর উপায়/প্রয়োজন নেই।

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

কোলাকুলি

মরুদ্যান এর ছবি

ভাল, চলুক।

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

চলবে, যদি আমি না মরি আরকি...

নীড় সন্ধানী এর ছবি

চমৎকার রহস্যগল্প! পাঠক টেনে রাখতে সক্ষম এই লেখা। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করছি।

তবে এই পর্বে ৭ এপ্রিলের ডায়েরীটার শেষ দিকে আব্বাসের জায়গায় আফজাল হয়ে গেছে। সাপের কামড় খেয়েছে তো আব্বাস তাই না? এটা এডিট করা দরকার, মডুদের সাহায্য নিতে পারেন।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

ত্রুটি ধরিয়ে দেয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ...

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

চলুক। পড়ছি।

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

তদানিন্তন পাঁঠা এর ছবি

মন খারাপ চিন্তা করেন তো আপনি একটা শঙ্কুর বই নিয়ে বসেছেন আর তার এক পাতা একদিন করে পড়ছেন। এইগুলা পুরাটা একসাথে পড়ার জিনিস। আমি এর পরের পর্বগুলো আর পড়বো না। আপনার দাওয়া শেষ হলে একবারে সবকয়টা পড়ব।

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

হাসি লম্বা একটা লেখা পড়তে গিয়ে পাঠক অধৈর্য হয়ে যাবে বলে আমি আরো ছোট ছোট করতে চাচ্ছি... আর আপনি কিনা... শয়তানী হাসি

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

হাসান এর ছবি

পুরাটা এক্বারে দিয়া দেন। ভাল লেখা ।

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-
পাঠকের ধৈর্য থাকবে?

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

ভাল লাগছে আপনার জামিল সিরিজ। হাততালি

একটা জায়গাতে খটকা লাগল। আপনি লিখেছেন -

আব্বাসকে ঘিরে একট সন্দেহ গতকালই আমার মাথায় এসেছিল।

কিন্তু জামিলের ডায়রীর তারিখ অনুযায়ী ঘটনাদুটি একই দিনের।

আর হ্যাঁ,
আপনাদের ওখানে যে মাথাভাঙা বলে নদী আছে জানতাম না।
আমাদের এখানে কোচবিহার জেলার একটি মহকুমার নামও মাথাভাঙা। হাসি

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-
ঠিকই ধরেছেন, সম্পাদনায় ঠিক করে দিলাম।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।