হাঁটছি তো হাঁটছিই। ঘোলা পানির উৎসটা আর পেলাম না। জায়গাটা ভুতুড়ে রকমের নীরব। এমনিতে সুন্দরবন এলাকা বলে জনবসতি কম, তার ওপর আতিকায় ব্যাঙের মতো ভয়ংকর দর্শন প্রাণীটার ভয়ে কেউ একা একা বাইরে বেরোতে সাহস করছে না। তাই বলে ভর দুপুরে আশে পাশে কোনো বন্যপ্রাণী কিংবা পাখ-পাখালীর দেখা পাওয়া যাবে না- এ কেমন কথা!
ঘন ঝোপ জঙ্গলের কারণে কড়া রোদ নেই। তবে চৈত্র দুপুরের কাঠফাটা গরমটা ভালোই টের পাচ্ছি। ঘেমে শরীরের সাথে জামা একেবারে লেপ্টে গেছে। নদীর পাড়ে বড় একটা বাবলা গাছের নিচে বসে পড়লাম। ভাবছি, এই ঘোলা পানিই একবার পরীক্ষা করে দেখব। সায়েন্টিফিক সুটকেসটা খুলে এটোমিক এনালাইজার যন্ত্রটা বের করলাম।
এটোমিক এনালাইজার সম্পর্কে একটু বলে রাখি। যন্ত্রটা আমার নিজের আবিষ্কার। এর সাহয্যে কোনো অচেনা বস্তুতে কী কী মৌল আছে তা যেমন জানা যায়, তেমনি কোনো বস্তুর রাসাসয়নিক, তেজস্ক্রিয়, পারমাবিক, নিউক্লিয়, স্পীনিং ও ল্যাটিস গঠন সম্পর্কেও জানা যায়।
এটোমিক এনালাইজার দিয়ে পানি পরীক্ষা করতে যাব, এমন সময় বিকট এক গর্জন শুনে আমার পিলে চমকে উঠল। পৃথিবীর কোনো প্রাণীর গর্জন এমন হতে পারে বলে আমি জানতাম না। মাথা তুলে উত্তর দিকে তাকিয়ে দেখি দুইশ' গজ দূরে অদ্ভুত একটা প্রাণী নদীর কিনারে দাঁড়িয়ে অনবরত গর্জন করে চলেছে। পানি থেকে বার বার মাথা তুলছে আর ডুব দিচ্ছে ঐ প্রাণীটারই আরেকটা জ্ঞাতি ভাই।
অদ্ভুত প্রাণী দুটোর কির্ত্তীকলাপ দেখার জন্য নিজেকে ঝোপ জঙ্গলে আড়াল করে সামনের দিকে এগিয়ে গেলাম। এখন স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি, প্রায় ছাগলের সমান অতিকায় একটা লাল পিঁপড়ে নদীর কিনারে দাঁড়িয়ে গর্জন করছে। পিঁপড়ের মতোই ছয়টা পা, দুটো ভয়ংকর সাঁড়াশি আর দেহটা পিঁপড়ের মতোই মাথা আর ধড়ে দুই ভাগে বিভক্ত। এত বড় একটা পিঁপড়ে পৃথিবীতে থাকতে পারে, চোখে দেখেও বিশ্বাস হচ্ছে না।
তারপরই মনে হলো এটা পৃথিবীর কোনো পিঁপড়ে নয়, 'ব্যোমযাত্রীর ডায়েরি' গল্পে সত্যজিত রায় ঠিক এধরনের পিঁপড়ে মানবদের কথাই উল্লেখ করেছেন। হয়তো টাফা থেকে শঙ্কুর মহামূল্যবান পাণ্ডুলিপি পৃথিবীতে এসেছে, সেটা নিয়েই পৃথিবীতে চলছে ধুন্ধুমার কাণ্ড। এর জন্য যে টাফাবাসী পিঁপড়ে মানবরাও যে পৃথিবীতে আসবে না তারই বা কী নিশ্চয়তা আছে। অর্থাৎ এগুলো টাফাবাসীও হতে পারে।
হঠাৎ এক ঝটকায় পানিতে লুকোচরি খেলা পিঁপড়েটা ডাঙ্গায় উঠে আমি যে ঝোপের আড়ালে লুকিয়ে আছি সেদিকে ছুটতে শুরু করল। সেই পিঁপড়েটার সাঁড়াশির মতো হাতে সোনালি রঙের একটা ধাতব বক্স। গাছগাছালির ফাঁক গলে আসা সামান্য রোদেই বক্সটা ঝিকমিক করে উঠল বক্সটা। যে পিঁপড়েটা এতক্ষণ ডাঙ্গায় দাঁড়িয়ে গর্জন করছিল সেটাও এই পিঁপড়েটাকে অনুসরণ করে এদিক পানে ছুটতে লাগল।
ঝোপের দশফুট নাগালে এসে প্রথম পিঁপড়ে তার হাতের সোনালি বক্সটা আমার দিকে ছুঁড়ে মারল, যেন আমি এখানে আছি সে জানে। আমি কিছুটা হচকিয়ে গেলাম। ছুটে আসা বক্সের আঘাত থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য দু-হাত উঁচু করে মাথা আড়াল করলাম। বক্সটা শিয়াকুল ঝোপে বাধা পেয়ে আমার একহাত সামনে এসে পড়ল।
এবার আমার আরো বেশি অবাক হওয়ার পালা! যে পিঁপড়েটা আমার দিকে বক্সটা ছুঁড়ে মারল সেটা শুধু পিঁপড়ে নয়, পিঁপড়ে মানব! কারণ সে মানুষের মতো কিন্তু ঘনঘনে গলায় বলল, 'ড. জামিল, এই বাক্সের ভেতরেই রয়েছে ভিনগ্রহবাসীর আগ্রাসন থেকে গোটা পৃথিবীকে রক্ষা করার দলিল। আপনি ওটা নিয়ে এখনি পালিয়ে যান।'
আমার ইতস্তত ভাব দেখে কাতর কণ্ঠে বলল, 'পালিয়ে যান প্লি¬-ই-জ। আমি প্রোফেসর শঙ্কুর সহকারী...প্লিজ পালিয়ে যান।'
পিঁপড়ে মানবের মুখে প্রোফেসর শঙ্কুর নাম শুনে আমি চমকে উঠলাম। তাড়াতাড়ি মাটি থেকে তুলে নিলাম সোনালি বক্সটা। ওদিকে দ্বিতীয় পিঁপড়েটা পিঁপড়ে মানবের পিছু ছেড়ে দিয়ে আমার দিকে এগিয়ে আসতে যাচ্ছিল। কিন্তু পিঁপড়ে মানবের কাছ থেকে বাধা পেয়ে শুরু হলো তুমুল লড়াই।
পিঁপড়ে মানব লড়াই করতে করতেই আমাকে পালাবার অনুরোধ করছে বারবার। কিন্তু তা করলাম না। প্রোফেসর শঙ্কুর পাঠানো দূতকে বিপদের মুখে রেখে পালিয়ে যেতে আমার বিবেকে বাধল। তাছাড়া পিঁপড়ে মানবের সাথে লড়াইয়ে এঁটে উঠছে না অন্য পিঁপড়েটা। হঠাৎ ওটার একটা ঠ্যাঙ বাগ মতো পেয়ে ধারালো সাড়াশি দিয়ে কামড়ে ভেঙ্গে আলাদা করে ফেলল পিঁপড়ে মানব।
আহত পিঁপড়েটা প্রবল আক্রশে ঝাঁপিয়ে পড়ল পিঁপড়ে মানবের ওপর। এই প্রথম আমার সামনে সুযোগ এসে গেল শঙ্কুর এনাইহিলিন গানটা পরীক্ষা করে দেখার। খোঁড়া পিঁপড়েটাকে গুলি করে নিশ্চিহ্ন করে ফেলার সুযোগের সন্ধানে আছি। কিন্তু পারছি না- দুই পিঁপড়ে যেভাবে একে অপরকে জাপটে ধরে আছে, তাতে গুলি ছুড়লে দুটোই এক সাথে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।
হঠাৎ কোত্থেকে এক ঝলক তীব্র আলোক রশ্মি এসে আমার চোখ ধাঁধিয়ে দিল। এক মুহূর্ত পর চোখ খুলে দেখি, প্রোফেসর শঙ্কুর দূত পুড়ে মরে কয়লা হয়ে পড়ে আছে। সেই সাথে দেখলাম, বিরাট একটা সবুজ দানব থেবড়ে বসে আছে কালিন্দির ওপর।
দানবটা অতিকায় একটা সবুজ কোলা ব্যাঙ। হাতির শুঁড়ের মতো একটা লেজ আছে আর মাগুর মাছের কাঁটার মতো মাথার দু-পাশ থেকে বেরিয়ে আছে বিরাট বিরাট দুটো শিং। গোল ঝুড়ির মতো বড় বড় দুটো চোখ- টকটকে লাল। ইটের ভাটার মতো ধিকিধিক জ্বলছে। বুঝলাম এই চোখ দুটো থেকেই প্রয়োজনীয় মুহূর্তে লেজার রশ্মি বের হয়।
ব্যাঙটার উচ্চতা ত্রিশ ফুট তো হবেই। প্রাণীটা হাতির শুঁড়ের মতো বিরাট লেজ দিয়ে ঘন ঘন বাড়ি মেরে গুড়িয়ে দিচ্ছে কালিন্দির ওপারের ঝোপ-জঙ্গল আর গাছপালা। আর কদাকার বিরাট মুখটা ব্যাঙের মুখের মতো বার বার ফুলছে আর চুপসে যাচ্ছে।
জন্তুটা প্রথমে বিকট জোরে ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ শব্দ করে আমাকে ভয় পাইয়ে দেয়ার চেষ্টা করল। বিকট সেই চিৎকারের তীব্রতায় ছোটখাট একটা ভূমিকম্প বয়ে গেল যেন কালিন্দির পাড়ে। আমি ভয় পেলেও সেটা বাইরে প্রকাশ করলাম না। এনাইহিলিন গান কাছে থাকায় হয়তো ভয় কম পাচ্ছি। তবে আবাক হয়েছি খুব।
স্নায়ুর সাথে যুদ্ধ করে খুব শিঘ্রিই বিস্ময়ের ঘোর কাটিয়ে উঠলাম। পত্রিকা রিপোর্টে পড়া সেই অদ্ভুত যন্তুটার সাথে মিলে যাচ্ছে এই দানব কোলাব্যাঙের চেহারা। প্রোফেসর শঙ্কুর দূতকে যে খুন করেছে, সে আর যাই হোক আমার বন্ধু নয়। তবুও প্রাণীটাকে এনাইহিলিন গান দিয়ে গুলি করতে মন চাইল না। দেখাই যাক না, শেষ পর্যন্ত কী করে যন্তুটা।
কিন্তু জন্তুটা সামান্য নড়াচড়া আর গর্জন ছাড়া আর কিছুই করল না। তবে দেখলাম এক পা হারানো দানব পিঁপড়েটা খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে আমার দিকে এগিয়ে আসছে। আমি আর দেরি করলাম না। এনাইহিলিন পিস্তলের নল পিঁপড়েটার দিকে তাক করে ঘোড়া টিপে দিলাম।
মুহূর্তের মধ্যেই নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল দানব পিঁপড়েটা। এরপর পিস্তলের নল ঘোরালাম দানব কোলাব্যাঙের দিকে। ওটা ততক্ষণে মাটি থেকে কয়েকেশ' গজ ওপরে উঠে গেছে। আমি ওটাকে লক্ষ্য করে পর পর দুবার পিস্তলের ঘোড়া টিপলাম। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হলো।
মনে হলো, দানব কোলাব্যাঙটা ঘন্টায় কয়েক লক্ষ কিলোমিটার বেগে ছুটে চলল পুব আকাশের দিকে। দ্রুত ছোট্ট একটা বিন্দুর মতো হয়ে কোথায় হারিয়ে গেল!
আকাশের দিকে বোকার মতে তাকিয়েই ছিলাম, হঠাৎ দেখি বাতাসে ভেসে ভেসে একট সাদা কাগজ নিচের দিকে পড়ছে। কাগজটা মাটি স্পর্শ করার আগেই আমি সেটা ধরে ফেলরাম। একটা চিরকূট। কেউ আমাকে হুমকি দিয়ে লিখেছেÑ ড. জামিল তৈরি থাকুন। খুব শিগ্রিই আপনার সাথে আমাদের সাক্ষাত হবে। মনে রাখবেন, আমাদের এক জোড়া চোখ সব সময় আপনার ওপর নজর রাখছে। আপনি যা যা করছেন- সব আমরা দেখতে পাচ্ছি, শুনতে পাচ্ছি। ইচ্ছা করলে এখনি আপনাকে শেষ করে দিতে পারতাম। কিন্তু করলাম নাÑ কারণ আপনাকে আমাদের বিশেষ দরকার।'
নিচে ইংরেজিতে লেখা C-A-S.
বুঝলাম, C -তে ক্লিন্সম্যান, A -তে এভারটন এবং S-তে সিং।
বালির ওপরে পড়ে থাকা শঙ্কুর দূত, পিঁপড়ে মানবের দেহটা এটোমিক এলাইজার দিয়ে পরীক্ষা করে অস্বাভাকি কোন ফল পেলাম না। আমাদের পৃথিবীর পরিচিত মৌল দিয়েই এর দেহের রাসায়নিক বিন্যাস গড়ে উঠেছে।
এবার আমার এনাইহিলন গানের আঘাতে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া পিঁপড়েটার অক্ষত কাটা পা'টা নিয়ে পরীক্ষা করে ফল পেলাম অদ্ভুত!
এটোমিক এনালাইজার বলছে, এতে যেসব মৌলিক পদার্থ রয়েছে তার একটারও অস্তিত্ব পৃথিবীতে নেই। অথচ সেগুলোর পারমাণবিক গঠন আমাদের পরিচিত মৌলের সাথে অদ্ভূত মিল! যেমন তাতে একটা মৌল পেলাম যার পারমাবিক গঠন হুবহু আমাদের অতি পরিচিত মৌল কার্বনের মতো। কিন্তু বুঝলাম না, এটোমিক এনালাইজার কেন মৌলটাকে কার্বন বলে শনাক্ত করতে পারছে না। ঐ পরামাণুতে মূল কণিকাগুলোর স্পিনিং বিন্যাসটা পরীক্ষা করে দেখা দরকার।
মূল কণিকার বিন্যাস পরীক্ষা করে আমি তাজ্জব বনে গেছি। সাধারণত আমাদের পরিচিত কার্বনের মুল কণিকাগুলো পৃথিবীর আহ্নিক গতির মতো একটা ঘূর্ণন গতি থাকে। একে ঐ কণার স্পীনিং কোয়ন্টাজাইশন বলে। এই কোয়ন্টাজাইশন একটা নির্দিষ্ট দিকে ঘটে। পিঁপড়ে মানবের দেহবাশেষের মৌলগুলির স্পীনিং কোয়ন্টাজাইশনের দিক আমাদের পরিচিত মৌলের স্পীনিং কোয়ন্টাজাইশনের বিপরীত। এসব মৌল দ্বারা গঠিত যৌগের ল্যাটিস গঠনও পৃথিবীর ওই একই যৌগের বিপরীত। অর্থাৎ এসব মৌল পৃথিবীর মৌলের প্রতিবিম্ব। এসব মৌলের দ্বারা যেসব প্রাণীর দেহ গঠিত, সেসব প্রাণীগুলোও ঐ একই স্বাভাবিক প্রাণীর প্রতিবিম্ব। অর্থাৎ একটা মানুষ ডানহাতি হলে আয়নায় তার প্রতিবিম্ব হবে বামহাতি।
এক ঝটকায় আমার সামনে থেকে সরে গেল অনেকগুলো রহস্যের পর্দা। আব্বাস কেন বামহাতি এখন অনুমান করতে পারছি। ও আসলে আব্বস নয়, আব্বাসের প্রতিবিম্ব। কিন্তু ও প্রতিবিম্বে পরিণত হলো কীভাবে? এর সমাধানই বা কী?
আব্বাসের চিন্তা ঝেড়ে ফেলে মনোনিবেশ করলাম সোনালি বক্সটার দিকে। কিন্তু বক্সটা ডিজিটাল লকড; কোড ছাড়া খুলবে না। প্রোফেসর শঙ্কু নিশ্চয়ই অবুঝ নন। কোড নম্বরটা দূতকে জানানোর ঝুঁকি তিনি নেবেন না বলেই আমার ধারণা। অতএব কোড এই বক্সের গায়েই কোথাও লুকিয়ে আছে।
বক্সের ছয়টি দেয়াল তন্ন তন্ন করে খুঁজে কোথাও কোনো নম্বর এমনকী খোদায় করা অক্ষরও চোখে পড়ল না। অগত্যা সায়েন্টিফিক সুটকেস খুলে মিনি মাইক্রোস্কোপ বের করে তার সাহায্যে বাক্সের দেয়ালগুলো চষে ফেললাম। অবশেষে বাক্সের একেবারে নিচের দেয়ালে পেয়ে গেলাম একটা ইংরেজি শব্দ ও একটা নম্বর- 'KEY-31541421132518'. শঙ্কু এত সহজ ভাষায় কোড নম্বরটা বক্সের দেয়ালে লিখে রাখবেন, এটা আমার মনে হয় না। হয়তো পাণ্ডুলিপির সেই সাংকেতিক ভাষা কোড নম্বরে ব্যবহার করেছেন। পরীক্ষা করে আমার ধারণার সত্যতা মিলল। অর্থ্যাৎ, ‘31541421132518’ সংখ্যাটিকে আগের সেই পাণ্ডুলিপির পদ্ধতিতে শব্দে রূপান্তরিত করলে দাঁড়ায়: Code Number; আবার 'KEY' শব্দটা উল্টো পদ্ধতিতে সংখ্যায় পরিণত করলে দাঁড়ায়- 11525. এটাই আসলে কোড মূল কোড নম্বর।
সোনালি বক্সটার প্রেস বাটনে পাঁচ সংখ্যার এই নম্বরটা প্রেস করতেই বক্সটা খুলে গেল। ভেতরে একটা কাগজের বাণ্ডিল। বাণ্ডিল খুলে একটা চিঠি পেলাম। সাংকেতিক ভাষায় লেখা এই চিঠিটা প্রোফেসর শঙ্কু আমার উদ্দেশ্যে লিখেছেন-
ড. জামিল,
আমি, আমি পিট্রিনাডো নক্ষত্র জগতের টাফা (বাংলা অর্থ খোদার জমিন) নামের এক গ্রহে বিদ্রোহী সৈন্যদের নজরবন্দি অবস্থায় দিন যাপন করছি। টাফায় একটা সামরিক অভূত্থান ঘটেছে। বিদ্রেহীরাই এখন টাফা শাসন করছে। পৃথিবীর সামনে ঘোর বিপদ! টাফার একদল বখে যাওয়া বিজ্ঞানী পৃথিবীর C-A-S গ্রুপের সাথে হাত মিলিয়ে পৃথিবী থেকে হাজার হাজার মানুষ আর জীব-জন্তু টাফায় পাচার করছে। বদলে C-A-S গ্রুপকে তারা আমার এনাইহিলিন গান আর মিরাকিউরল ট্যাবলেটের ফর্মূলা দেবে। ওদের দুভার্গ্য যে, ফর্মূলাটা এখন আপনার হাতে। ধরে আনা মানুষগলোর শরীরে মিরর ইমেজিং ইনজেকশন পুশ করে তাদের শরীরের প্রত্যেকটা কোষের রাসায়নিক গঠন পরিবর্তন করে উল্টো মানুষে পরিণত করে ফেলছে। তাই ডানহাতি মানুষ পুরোপুরি বামহাতি হয়ে যাচ্ছে। এসব প্রতিবিম্ব মানুষের মস্তিস্কের কোষ উল্টে যাওয়ায় তারা টাফার বিজ্ঞানীদের গিনিপিগে পরিণত হয়েছে। এদেরকে বিদ্রেহীরা ইচ্ছামতো নিজেদের কাজে লাগাতে পারছে।
টাফার বিদ্রেহীরা টাফায় মানুষের উপনিবেশ স্থাপন করে তাদের দিয়ে টাফাকে পৃথিবীর মতো উন্নত গ্রহে পরিণত করতে চায়। অন্যদিকে পৃথিবীর C-A-S গ্রুপ আমার এনাইহিলিন গান, মিরাকিউরল ট্যাবলেট আর টাফার বিজ্ঞানীদের দেওয়া উপহার ব্যাঙাকৃতির জীবন্ত মহাকাশ যানটা কাজে লাগিয়ে সারা পৃথিবীর শাসক হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। এখন আপনিই পারেন পৃথিবীকে রক্ষা করতে। আমি জানি, আপনি আমার এনাইহিলিন গান আর মিরাকিউরল ট্যাবলেট তেরি করে ফেলেছেন। আরেকটা কথাও জানি, C-A-S গ্র“প আপনার ওপরে সর্বদা নজর রাখছে আপনার বন্ধুর ভাই আব্বসের মাধম্যে। আব্বাসের শরীরে মিরর ইমেজিং ইজেকশন পুশ করে ওকে প্রতিবিম্বে পরিণত করে ফেলেছে ওরা। ওর মাথার ভেতর একটা ছোট্ট কমিউনিকেশন মডিউল লাগানো আছে আর ওর চোখ দুটো সেই মডিউলের ক্যামেরা হিসাবে কাজ করছে। তাই আপনি যা করছেন, যা বলছেন- সব C-A-S গ্র“প সরাসরি দেখতে ও শুনতে পাচ্ছে। ও আসলে ওদের গিনিপিগ। ওকে আপনি ইচ্ছা করলেই স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে পারেন। এজন্য আপনাকে ইনভার্স মিরর ইমেজিং ইনজেকশন তৈরি করে ওর শরীরে পুশ করতে হবে। চিঠির সাথে যে কাগজের বাণ্ডিল আছে তাতে এই ইনজেকশন তৈরির ফর্মূলা রয়েছে। ও, আরেকটা কথা, বিদ্রোহী বাহিনীর প্রধান ক্যালাপেগাস এখন পৃথিবীতেই রয়েছে। তাকে যদি বুদ্ধি করে ধ্বংস করে দিতে পারেন তাহলে টাফার বিদ্রোহী বাহিনীর মেরুদণ্ড ভেঙ্গে পড়বে।
ড. জামিল, আমি জানি, আমাকে নিয়ে আপনার মনে অনেক কৌতুহল। সত্যজিত রায় সম্পদিত 'ব্যোমযাত্রীর ডায়ের'তে আমার মঙ্গলগ্রহ পদার্পন এবং সেখানে মঙ্গলবাসীদের দ্বারা আক্রমণের শিকার হওয়ার কথা উল্লেখ করেছি। ঠিক এই জায়গাতেই আমার হিসাবে কিছুটা গড়বড় হয়েছিল। আমি যেটাকে মঙ্গল গ্রহ ভেবেছিলাম আসলে ওটা মঙ্গল নয়। ওই গ্রহটা সৌরজগতের তো নয়ই এমনকী আমাদের গ্যালক্সিরও কোনো গ্রহ নয়। আসলে আমার স্পেসশীপ পৃথিবীর মহাকর্ষ বল অতিক্রম করে মঙ্গলের দিকে এগোতে গিয়ে ভিনগ্রহের বুদ্ধিমাণ প্রাণীদের তৈরি একটা অদৃশ্য শটর্কাট ওয়ার্মহোলের ভেতরে ঢুকে যায়। তারপর মঙ্গলের মতো দেখতে ওই গ্রহটাতে আমরা ল্যাণ্ড করি। ওটা যে মঙ্গলগ্রহ নয় সেটাও মনে হয় আপনারা 'ব্যোমযাত্রীর ডায়েরি' পড়তে গিয়েই বুঝতে পেরেছেন। কেননা মঙ্গলে কোনো বুদ্ধিমান প্রাণী বাস করে না- একথা এই বিংশ শতাব্দীতে ধ্রুব সত্য।
ওই গ্রহ ছেড়ে যখন আবার আমাদের মহাকাশযান মহশূন্যে উড়াল দেয়, এক সময় ওটা আমার নিয়ন্ত্রণ ব্যর্থ করে দিয়ে নিজের মতো চলতে, তারপর সেটা পিট্রিনাডো নক্ষত্র জগতের এই পিঁপড়ে মানবদের গ্রহ টাফায় অবতরণ করে। টাফা যে গ্যালাক্সির সদস্য সেটা আমাদের মিল্কওয়ে থেকে প্রায় পাঁচশ কোটি আলোকবর্ষ দূরেÑ পৃথিবীর বিজ্ঞানীদের জানাশোনার বাইরে। যদি ওই শটকার্ট ওয়ার্মহোলের মধ্যে না পড়তাম তাহলে পাঁচশ' কোটি আলোকবর্ষ দূরে এই টাফায় আশার কথা কখনো চিন্তাও করতে পারতাম না।
জামিল, আজ এই পর্যন্তই থাক, দুই গ্রহ রাহু মুক্ত হলে আমি আপনার সব কৌতুহল মেটাবার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। আপনার সাফল্য কামনা করে পত্র লিখন শেষ করছি।
ইতি,
প্রোফেসর ত্রিলোকেশ্বর শঙ্কু
চিঠিটা পড়ে আমি আরেকবার চমকে উঠলাম, এও কি সম্ভব! পৃথিবীর C-A-S গ্র“প আর টাফার বখে যাওয়া বিজ্ঞানীরা এ কী খেলা শুরু করেছে! এর পরিণতি কী হবে ভেবে শিহরিত হয়ে উঠলাম। তবে আব্বাসের ভূমিকার কথা জেনে অবাক হয়নি একটুও। ভীমের ক্রুদ্ধ গর্জন দেখে সেদিনই আমার সন্দেহ হয়েছিল। এখন বুঝতে পারছি, পাণ্ডুলিপি চুরি করার জন্য আমার বাড়িতে ঢুকে ভীমের কামড় খেয়ে ওর পায়ে ঐ মারাত্মক ক্ষতটা তৈরি হয়েছে। তাহলে ভীমকে ছোরা মেরেছিল এই আব্বাসই! ওর পায়ের ক্ষতটা কেন সারছে না সেটাও এখন অনুমান করতে পারছি। আসলে শরীরের পারমাণবিক ও রাসায়নিক গঠন উল্টে যাওয়ায় ওর শরীরে রোগ প্রতিরোধকারী কোনো ওষুধই আর কাজ করছে না। টাফার বিদ্রোহী বিজ্ঞানীরাও বোধ হয় এই প্রতিবিম্ব মানবদের রোগ প্রতিরোধ করার জন্য এখনো কোনো ওষুধ আবিষ্কার করতে পারেনি। হয়তো সে কথা ওরা ভাবেইনি। গিনিপিগদের অসুখ বিসুখ নিয়ে মাখা ঘামানোর মতো অত সময় কোথায় তাদের?
এখন প্রথম কাজই হবে ইনভার্স মিরর ইমেজিং ইনজেকশন তৈরি করে আব্বাসকে স্বাভাবিক ফিরিয়ে আনা। তারপর হয়তো মিরাকিউরল ট্যাবলেট খাইয়ে ওকে সুস্থ করে তোলা সম্ভব হবে।
আমি নদীর পাড়ে বসেই কাগজের বাণ্ডিলটা পড়ে ফেললাম। নানা রকম তথ্য পাওয়া গেল তাতে। যেকোন সময় আমার ওপর C-A-S গ্র“প হামলা চালাতে পারে বলে ধারণা করছি। আমাকে অনেক বুদ্ধি করে ওদেরকে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করতে হবে। এই কাজের সাফল্য ব্যর্থতার ওপর নির্ভর করছে আমার জীবন, আব্বাসের জীবন, এমনকী পৃথিবীর ভবিষ্যতও। তাই আমাকে সফল হতেই হবে।
ইনভার্স মিরর ইমেজিং ইনজেকশন তৈরির জন্য যেসব ক্যামিক্যাল দরকার, দেখলাম তা আমার সায়েন্টিফিক সুটকেসেই রয়েছে। আমি দেরি না করে এক ডোজ ইনজেকশন সেই নদীর পাড়ে বসেই তৈরি করে ফেললাম। এখন সময় আর সুযোগ বুঝে আব্বাসের শরীরে পুশ করতে হবে।
পড়ন্ত বিকেল। সায়েন্টিফিক সুটকেস আর সোনালি বক্সটা গুছিয়ে আফজালদের বাড়ির উদ্দেশ্যে পা বাড়ালাম। সেই ভেটুল গাছটার নিচে এসে দেখি, আব্বাস মাটিতে শুয়ে অকাতরে ঘুমাচ্ছে। চোখ দুটো বন্ধ, অর্থাৎ ক্যামেরা অফ। এই সুযোগ। এখন ইনজেকশনটা সহজেই আব্বাসের শরীরে পুশ করা যায়। পুশ করতে যাচ্ছিলাম, ঠিক তখনই মনে হলো ওর মস্তিস্কের কমিউনিকেশন মডিউলটার কথা। ইনজেকশন পুশ করতে গেলে আব্বাস ব্যথায় ককিয়ে উঠতে পারে। তখন সেই শব্দ C-A-S গ্রুপের কাছে পৌঁছে যেতে পারে। তাহলে উপায়?
উপায় একটা আছে। সুটকেস থেকে ক্লোরোফরম আর তুলো বের করে ওর নাকে ক্লোরোফরম লাগানো তুলো চেপে ধরলাম। যখন নিশ্চিত হলাম ও অজ্ঞান হয়ে গেছে, তখন ইনজেকশনটা ওর বাম হাতে পুশ করে দিলাম। তারপর একটু কষ্ট করে ওর অজ্ঞান দেহটা ধরে ওদের বাড়িতে ফিরে এলাম।
সাড়ে পাঁচটার সময় ফিরলাম আব্বাসদের বাড়িতে। বাড়িটা বড্ড ফাঁকা ফাঁকা। আফজাল বিয়ে করেনি আজও- ভবিষ্যতেও করার সম্ভবনা নেই। আব্বাসের বউ ছেলে-মেয়ে নিয়ে বাপের বাড়ি নায়র করতে গেছে পঁচিশ দিন আগে। তাই বাড়িতে এখন কেবল আমি আর আব্বাস দুটি প্রাণী। পাশের বাড়ির এক মহিলা আমাদের জন্য রান্না করে পাঠায়।
ঘরে ঢুকেই আমি দরজা বন্ধ করে দিলাম। আমাকে এখন সম্মূখ যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে হবে। এনাইহিলিন গানটাই এখন আমার প্রধান এবং একমাত্র অস্ত্র। আমি C-A-S গ্রুপের আদ্যপন্ত জেনে গেছি। তাই যেকোন মুহূর্তে আমার ওপর হামলা করতে পারে ওরা। আমি এনাইহিলিন গান দিয়ে ওদের এই প্রচেষ্টা রুখে দিতে পারি। কিন্তু সেক্ষেত্রে সমস্যার সমাধান হবে না আর আমি ওদের ডেরার সন্ধান পাব না, আফজাল এবং আব্বাসকেও হয়তো রাগের বশে খুন করে ফেলতে পারে। তাছাড়া ক্যালাপেগাস আর তিন বিদেশি আপাতত তাদের কার্যক্রম বন্ধ রেখে টাফায় পালিয়ে যেতে পারে। মোট কথা আমি সুরক্ষিত থাকলেও আমার লক্ষ্য পূরণ হচ্ছে না।
মাথায় একটা বুদ্ধি এসেছে। আমাকে আজ রাতেই কিছু কাজ করতে হবে, তবে তার আগে আব্বাসের উদ্দেশে একটা চিঠিতে সমস্ত ঘটনা লিখে ওর হাতের মুঠোর মধ্যে গুঁজে রেখে যাব ভেবেছিলাম, কিন্তু ও যখন চিঠিটা পড়বে কমিউনিকেশন মডিউলের দ্বারা সে খবর পৌঁছে যাবে C-A-S গ্রুপের কাছে । যদি C-A-S গ্রুপের হাতে আটকা পড়ি, তখন আমার ওপর ওদের নজর রাখার প্রয়োজন পড়বে না। আব্বাস মুক্ত থাকলেই বরং আমাদেরকে সাহায্য করতে পারে। এজন্য ওকে সব ঘটনা জানানো দরকার। ওর জ্ঞান ফিরতে কম করে হলেও ছয় ঘন্টা লেগে যাবে। যদি একান্তই C-A-S গ্রুপ আমার প্রতি আগ্রহ না দেখায় তখন অন্য ব্যবস্থা করা যাবে। সুতরাং একটা চিঠি লেখাটাই সমীচীন মনে করলাম।
(চলবে)
----------------------
আব্দুল গাফফার রনি
*এই কাহিনির অন্য পর্বগুলো পড়তে কী-ওয়ার্ডের 'জামিল সিরিজ' লেখার ওপর ক্লিক করুন
মন্তব্য
গল্প জমে উঠেছে। পরের পর্বের জন্য আর অপেক্ষা করতে ইচ্ছে করছেনা ।এক্ষুনি পড়ে ফেলতে পারলে খুব হত।
লেখা দেন, তাহলে এই লেখা প্রথম পাতা থেকে সরে যাবে, রনি ভাইও নতুন কিস্তি দিতে পারবেন
আপনার কন্যারে নিয়া একটা লিখা দেন,খালি তাসনীম ভাইয়ের লিখা পড়লেই চলবে, কেমনে এপ্লাই করছেন সেটা আমাদেরকে জানাতে হবেনা ।
হেইডি মুই কিন্তু বোঝলাম না, বোঝছেন?
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
আমাকে প্রথম পাতা থেকে তাড়ানোর ফন্দি!
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
আপু আরেকটু ধৈর্য ধরুন প্লিজ...
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
৪টা একসাথে পড়লাম। ভালো লাগছে।
আপ্নাদের ভালোলাগাই আমার পথ চলার পাথেও...
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
দারুন লাগছে। ছোটবেলায় সত্যজিৎ এর মৃত্যুর পর, একুশের বইমেলা থেকে একটা বই কিনেছিলাম ঢাকায় ফেলুদা নাম ছিল মনে হয়। অতিশয় অখাদ্য লেগেছিলো মনে আছে, আপনি অনায়াসে এবং নির্ভয়ে শঙ্কুর সিকুয়েল বার করতে পারবেন এটুকু বলতে পারি। অবশ্য এক্ষেত্রে আইনী জটিলতা আছে কিনা তা জানা নেই।
আবারো ষড়যন্ত্র সাফি ভাই। আমাকে জেল খাটানোর পায়তারা চলছে! ওই ব্যাটা স্বন্দীপ আছ না, ও কিন্তু খালি সিনেমা আর স্বন্দেশ নিয়ে বসে নেই, শঙ্কু আর ফেলুদার কর্মকাণ্ডের ওপরও নজর রাখছে। আমার ধড়ে বাপু এক্টাই মাথা... বেঁচে থাক আমার নিখোঁজ জামিল।
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
চমৎকার .... পরের পর্ব জলদি আসুক
জলদিই আসবে
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
আপনার হাতে/মগজে গল্প লেখার যে মুন্সিয়ানা আছে তাতে আপনি প্রফেসর শংকুকে না এনে মৌলিক গল্প হিসেবে এটা লিখলে ভালো করতেন। খেয়াল করলাম প্রফেসর শংকুর কথা যত বেশী আসছে গল্পটি পড়ার আকর্ষণ হারিয়ে ফেলছি। প্রফেসর শংকুর মালিকানা সত্যজিতের, পড়তে গিয়ে ওটাই বারবার চলে আসছে, যা পাঠক হিসেবে বাধা পাচ্ছি ভেতর থেকে। জামিল সিরিজ জামিলে সীমাবদ্ধ থাকলেই ভালো হতো। তাছাড়া আমার মতে বিখ্যাত লেখকের সিক্যুয়েল না করাই উচিত। ওতে পাঠকের মাথায় একটা দ্বিধার সৃষ্টি করে।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
যুক্তিসঙ্গত কথা বলেছেন। কথা দিতে পারি, জামিল সিরিজে আর কখনো শঙ্কু আসবেন না। সত্যি বলতে কী, এনাইহিলিন গান আর মিরাকিউরল ট্যাবলেট- এই দুটো জিনিস জামিলের বড্ড দরকার ছিল। তাই শঙ্কুকে টানা...
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
যত পড়ছি ততই আপনার লেখা আরও ভাল লাগছে।
আর হ্যাঁ, এবারে কিন্তু শংকু থেকে জামিলকে আলাদা করে চেনা যাচ্ছে।
জোরকদমে চলুক।
আশা রাখি জামিল ভবিষ্যতে শঙ্কুর ছায়া থেকে পুরোপুরী বেরিয়ে আসবেন।
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
>সুন্দর চলছে আপনার সিরিজ, অভিনন্দন
আশরাফুল কবীর
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
আগামি পর্বেই শেষ হতে যাচ্ছে ভিনগ্রহের পাণ্ডুলিপি...তবে জামিল চলবে ছোটগল্পে...
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
নতুন মন্তব্য করুন