অনেক অনেক দিন কথা। চুয়াডাঙ্গার আপেলদ্দি ডাক্তারের তখন বেশ নামডাক। হাসপাতাল আর চেম্বারে তো রোগি দেখেনই, প্রয়োজনে মুমূর্ষূ রোগিকে বাঁচাতে ছুটে যান দূর-দূরান্তে। একদিন এমনই এক রোগির চিকিৎসা করতে গেলেন চুয়াডাঙ্গা থেকে বিশ মাইল দূরে জীবননগরে। রোগির অবস্থা তেমন সুবিধার নয়। তাই আপেলদ্দি ডাক্তার বেশ সময় নিয়ে রোগির চিকিৎসা করতে লাগলেন। কখন যে দুপুর গড়িয়ে গেছে ডাক্তার সাহেব তা খেয়ালই করেননি।
তখনকার দিনে এত ঝকঝকে রাস্তাঘাটও ছিল না, এত এত বাস-মোটর গাড়িও ছিল না। ওদিকে রোগির চিকিৎসা করতে গিয়ে ডাক্তার সাহেব চুয়াডাঙ্গাগামী শেষ বাসটাও মিস করলেন। অথচ যে করেই হোক সন্ধ্যার আগেই তাঁকে চুয়াডাঙ্গায় পৌঁছতে হবে- কে জানে কতজন রোগি তাঁর অপেক্ষায় প্রহর গুনছে!
তখন চুয়াডাঙ্গা আর জীবননগরের মাঝে শুধু বন আর বন। মাঝে মাঝে খাপছাড়া দু-একটা গ্রাম। কেন্দুয়া বাঘ, ভালুক, হায়েনা আর বুনো শুকরদের অবাধ বিচরণ সেই বনে। ডাক্তার সাহেব তো পড়লেন মহা মুসিবতে। এখন বাড়ি ফিরবেন কীভাবে? একট গরূ কিংবা ঘোড়ার গাড়ি টাড়িও চোখে পড়ছে না। ঠিক সেই সময় একজন লোক সেই পথ দিয়ে সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিল। রাস্তার পাশে ডাক্তার সাহেবকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে লোকটা সাইকেল থামিয়ে বলল, ‘আরে ডাক্তার সাহেব! আপনি এখানে দাঁড়িয়ে কেন?’
ডাক্তার সাহেব সাইকেলওয়ালাকে সব কথা বললেন। লোকটা তখন বলল, ‘আপনার হয়তো মনে নেই, আপনি আমার মায়ের পেটব্যাথা ভালো করে দিয়েছিলেন। যদি কোন অসুবিধা না হয়, সামনের গ্রামেই আমাদের বাড়ি, আজকে রাতটা সেখানেই কাটিয়ে যেতে পারেন। আপনাকে দেখলে মা কী যে খুশি হবে!...’
‘তোমার বাড়িতে থাকতে পারলে ভালোই লাগত। কিন্তু আমাকে যে ফিরতেই হবে ভাই-’ বললেন ডাক্তার সাহেব। ‘কতজন রোগি আমার পথচেয়ে বসে আছে কে জানে। তোমাদের গ্রামে কী গরুর গাড়ি টাড়ি আছে? আমাকে চুয়াডাঙ্গায় পৌঁছে দিতে পারবে?’
‘চেষ্টা করে দেখতে পারি। চলুন আমাদের গ্রামে।’ বলল সাইকেলওয়ালা।
কিন্তু ভাঘ-ভালুকের ভয়ে কোন গাড়োয়ানই পড়ন্ত দুপরে চুয়াডাঙ্গার পথে গাড়ি ভিড়াতে রাজি হলো না। তখন সেই সাইকেলওয়ালা তাঁকে কয়েক মাইল পথ এগিয়ে দিল। তারপর ডাক্তার সাহেব সন্ধান পেলেন এক ঘোড়ার গাড়িওয়ালার। কিন্তু সেই ঘোড়ার গাড়িও দু’মাইলের বেশি যেতে রাজি হলো না। ঘোড়ার গাড়িওয়ালা যে গ্রামে ডাক্তারকে নামিয়ে দিল, তিনি সেই গ্রামেও রাত কাটালেন না। তিনি হেঁটেই চুয়াডাঙ্গায় ফেরার সিদ্ধান্ত নিলেন।
হাঁটতে হাঁটতে একসময় বিকেল হয়ে গেল। তখনো মাইল পাঁচেক পথ বাকি। একসময় তিনি পৌঁছালেন এক গভীর জঙ্গলে। তখন হঠাৎ একদল হয়েনা এসে ডাক্তার সাহেবের পথ জুড়ে দাঁড়াল। তড়িঘড়ি করে একটা বড়সড় ভেটুল গাছে চড়ে কোনোমতে প্রাণটা বাঁচালেন তিনি। শিকার বাগে পেয়েও অল্পের জন্য হাতছাড়া হওয়াতে হায়েনাদের সে কী তম্বিগম্বি! ভাবখানা এমন- ‘ব্যাটা শিঘ্রি নাম, নইলে গাছসুদ্ধুই খেয়ে ফেলব!’
তম্বিগম্বিতে কাজ হচ্ছে না দেখে হায়েনারা গাছের নিচে শুয়ে পড়ল- যেই ডাক্তার থেকে নামবেন অমনি ওরা তাঁর ঘাড় মটকাবে।
বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা প্রায়। হায়েনাদের অপেক্ষার প্রহর তবু ফুরায় না। তখন হায়েনারা হয়তো ভাবল, ‘ধুরো, ও ব্যাটা বড়ই নচ্ছার। রাত পেরিয়ে সকাল হয়ে যাবে, তবু গাছ থেকে নামবে না। এর পেছনে খামোখা সময় নষ্ট করার কোনো মানেই হয় না।’
ধীরে ধীরে সেখান থেকে সটকে পড়ল হায়েনার দল।
হায়েনারা চলে যাওয়ার পরও ডাক্তার সাহেব গাছ থেকে নামার সাহস পেলেন না। হয়তো ভাবলেন চলে যাওয়াটা হায়েনাদের চালাকিও হতে পারে। তাই তিনি সেই গাছের মগডালে বসেই আরেকজন পথিকের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলেন।
ঠিক সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে সেই ভেটুল গাছের নিচ দিয়ে যাচ্ছিল এক ফেরিওয়ালা। ঘোর সন্ধ্যায় ফেরিওয়ালাকে দেখে ডাক্তার সাহেব ধড়ে প্রাণ ফিরে পেলেন। মনে মনে বললেন, ‘সাহস আছে বটে লোকটার!’
তবে লোকটার হাঁটার ভাবভঙ্গীই বলে দিচ্ছে সে ভয়ও পাচ্ছে। গাছ থেকে নামতে ন্মাতে পাছে ফেরিওয়ালা নাগালের বাইরে চলে যায়, তাই ডাক্তার গাছের মগডালে বসেই হাঁক পাড়লেন, ‘ও ফেরিওয়লা, একটু দাঁড়াও না ভাই!’
ফেরিওয়ালা ভাবল, এই নির্জন জঙ্গলের মধ্যে তাকে আবার কে ডাকে? থমকে দাঁড়িয়ে আলুক ফুলুক করে চারপাশটা দেখে নিল।
‘নাহ, আশেপাশে কাউকে দেখা তো যায় না। তাহলে ডাকে কে? ভূত টুত নয়তো!’ ভাবল ফেরিওয়ালা। ছোট্টকালে মায়ের মুখে শুনেছে, এই জায়গাটা নাকি ভালো নয়। মুশকো মুশকো কেলে ভূত নাকি বাস কলে এইসব গাছের মগডালে। তবে কি আজ মগডালের ভুতের হাতেই সে বেঘোরে প্রাণটা হারাবে! ঠিক তখনি বাতাসে ভেসে এল সেই হাঁক- ‘ফেরিওয়ালা ভাই! দয়া করে একটু দাঁড়াও ভাই। আমি বড্ড বিপদে পড়েছি ভাই।’
মিষ্টি-মধুর কণ্ঠের ডাক শুনে ফেরিওয়ালার সন্দেহ আরো বেড়ে গেল। মনে পড়ল মা বলতেন, ভুতেরা নাকি মিষ্টি মধুর কথা বলে, বিপদে পড়েছি বলে লোকেদের ভুলিয়ে নিয়ে গিয়ে ঘাড় মটকে দেয়। ওরে বাবা! এখানে আর মূহূর্তও দাঁড়ানো ঠিক হবে না। সে লম্বা লম্বা পা ফেলে মানে মানে সেখান থেকে কেটে পড়ল।
ডাক্তার সাহেব হতাশ হয়ে পড়লেন। ভাবলেন বুঝি রাতটা এই গাছে বসেই কাটাতে হয়!
না, তাকে গাছে বসে রাত কাটাতে হয়নি। ফেরিওয়ালা চলে যাওয়ার পনেরো মিনিট পরেই ডাক্তার সাহেব গরুর গাড়ির ক্যাঁচ ক্যাঁচ আওয়াজ শুনতে পেলেন। গাছে বসে হাঁক দিলে পাছে আবার গাড়োয়ান ফেরিওয়ালার মতো ভেগে যায়, তাই তিনি আগেভাগে গাছ থেকে নেমে রাস্তায় গিয়ে দাঁড়ালেন। কয়েক মিনিটের মধ্যে পাঁচ-সাতটা গাড়োয়ান টিন বাজিয়ে, মশাল জ্বালিয়ে তাঁর সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় তাঁকে গাড়িতে তুলে নিল।
মাসখানেক পর। আপেলদ্দি ডাক্তার তাঁর চেম্বারে বসে রোগি দেখছেন। এক অদ্ভুত রোগিকে তার সামনে হাজির করা হলো। রোগির কী হয়েছে জানতে চাইলে তার আত্মীয়রা জানাল, এক মাস আগের এক সন্ধ্যায় শিয়ালমারির বনের ভেতর দিয়ে যাচ্ছিল সে। হঠাৎ ভেটুল গাছের মগডাল থেকে আসা গায়েবী আওয়াজ শুনে নাকি ভয় পায়। সেদিন বাড়ি ফিরে সে ধপাস করে মাটিতে বসে পড়ে সবাইকে বলে, মগডালের ভূত নাকি তার পিছু নিয়েছিল। নেহাৎ কপাল জোরে বেঁচে ফিরেছে। তারপর থেকে সে প্রায়ই অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছে। মাঝে মাঝে ধুড়মুড় করে উঠে বলছে, ‘বাবাগো মগডালের ভূত আসছে! বাঁচাও!’
রোগির আত্মীয়রা আরো জানাল, রোগিকে ডাকাবুকো সব কবিরাজ দেখানো হয়েছে। তারা বলেছে, ‘বড় শক্ত ভূতের আছর হয়েছে। অল্পদিনে রোগির ঘাড় থেকে নামবে না!’ তারা রোগিকে ঝাড়ফুঁক করেছে, মাদুঁলি দিয়েছে। আরো বাটি চালান করেছে, আয়নাভরণ করেছে। কিন্তু কিছুতে কিছু হয়নি।
শুনে ডাক্তার বললেন, ‘এ ভূত তাড়ানো বদ্যি-কবিরাজের কম্ম নয়। দেখি আমি কিছু পারি কিনা...’ তিনি তো আগেই বুঝেছেন, এ সেই ফেরিওয়ালা।
ডাক্তার সাহেব রোগিকে তাঁর চেম্বারে রেখে আত্মীয়দের বেরিয়ে যেতে বললেন। তারা সবাই বেরিয়ে গেল। একঘন্টা পর সবাই অবাক হয়ে দেখল ডাক্তার আর রোগি হাসি মুখে চেম্বার থেকে বেরিয়ে আসছে।
‘ব্যাপার কী!’ আপেলদ্দি ডাক্তারের নামডাক তারা শুনেছেন, তাই বলে এত তাড়াতাড়ি রোগি ভালো হয়ে যাবে! তখন ডাক্তার সাহেব সেদিন সন্ধ্যার ঘটনা তাদেরকে খুলে বললেন। সবাই হোঃ হোঃ করে হেসে উঠল। লজ্জায় মাথাটা হেঁট করল ফেরিওয়ালা । তাই দেখে ডাক্তার সাহেব তার পিঠে মৃদু একটা চাপড় দিয়ে বললেন, ‘কী হে, লজ্জা পাচ্ছো নাকি? ওই সন্ধ্যাই তোমার জায়গায় আমি হলেও একইরকম ভয় পেতাম।’
মন্তব্য
গল্প হিসেবে বুনোট একটু দুর্বল লাগল। কিন্তু যদি সত্যি কাহিনী হয় তাইলে আবার ঠিক আছে। বেশ মজার ঘটনা।
যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...
কাহিনীটা সত্য হতে গেলে সুন্দরবনের আউটস্কার্টে একই সাথে কেঁদো বাঘ, ভালুক ও হায়েনা থাকতে হবে। এটা সম্ভব কিনা সেটা আগে খোঁজ করুন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
লোকমুখে প্রচারিত গল্প। তবে তখন কার দিনের লোকেরা আজও যারা বেঁচে আছেন তাঁরা সত্যতার ব্যাপারেই সাক্ষ্য দেন। তবে হায়েনার ব্যাপারটা ঠিক আমিও মানতে পারি না। সুন্দরবন থেকে চুয়াডাঙ্গার দদূরুত্ব সোজা পথ ধরলে ১০০ কিলোমিটারের সামান্য বেশি হবে হয়তো। সেক্ষেত্র বন্য প্রাণীদের অবাধ বিচরণ অসম্ভবব নয়। কেউ যদি প্রশ্ন তোলে আসলেই বন ছিল কিনা। তাহলে আমি বিভুতিবাবুর 'পথের পাঁচালী'র উদাহরণ দেব। চুয়াডাঙ্গার জঙ্গলের ঠ্যাঙ্গাড়ে বাহিনীর নামে আজো কেঁপে ওঠেন অতীশিপরেরা ।
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
পাণ্ডব দা, গল্পতো গল্পই। চুয়াডাঙায় হায়েনা কেনো হাঙরও থাকতে পারে সমস্যা নাই। হোজ্জার একটা গল্প আছে না - "হাঁসের স্যূপ, তার স্যূপ, স্যূপের স্যূপ, জ্বাল দিতে দিতে পানি হয়ে গেছে"; এই সত্য ঘটনাও অনেকটা ঐরকম, সচল পর্যন্ত আসতে আসতে চুয়াডাঙায় হায়েনা ঢুকেছে।
...........................
Every Picture Tells a Story
ঠিকই বলেছেন মোস্তাফিজ ভাই, দুনিয়াই বিবর্তনবাদের ফল সবচে দ্রুত প্রসব করে গল্প
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
রূপকথার জন্ম বোধহয় এভাবেই
হয়ত
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
হয়ত
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
বস্, 'স্যুপের স্যুপের স্যুপ' হলে গাছের মগডাল থেকে জিরাফের গলা ধরে নামাও ঠিক আছে। পোস্টের ট্যাগেও গল্পই দেয়া আছে। কিন্তু জুন ভাই এটা সত্য কাহিনী কিনা সেটা জিজ্ঞেস করায় অসঙ্গতিটা দেখালাম।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তা-ই, মানুষ তিলকে তাল বানাতে ওস্তাল। এখনে তা-ই হয়েছে।
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
সত্যি কাহিনিই বটে
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
তবে নানাজান হায়েন না অন্য কোনো জানোয়ারের গল্প বলেছিলেন তা বলতে ঠিক মনে নেই। আমার অনুর্বর মস্তিষ্কের কল্পনা হয়ত।
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
এই মারামারি রেশারেশি আর হিন্ষাবিদ্বেশের দুনিয়ায় ভুতের গল্প ভালো লাগলো ..
ধন্যবাদ
সত্য অনুসন্ধানের চেয়ে এই গল্পের মজাদার দিকই আমাকে বেশি টেনেছিল। তবে আপেলদ্দি মশাই নিজে এই গল্প তার অন্য রোগীদের শুনিয়েছেন মৃত্যুর আগ পর্যন্ত। আমার নানাজান সেই স্রোতাদের একজন।
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
মজা পেলাম।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
রনি, ভাই গল্পটা শেষ পর্যন্ত সচলেই ছাড়লেন। আরো একবার মজা পেলাম গল্পটা পড়ে।
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
রনি ভাই, গল্পটা জমলো না তেমন!
চুয়াডাঙায় হায়েনা খাপছাড়া লাগলো।
আপনার সেই তরতরিয়ে এগোনো গদ্য এখানে অনুপস্থিত।
গল্পের প্লটটাও কেমন যেন অগোছাল।
তবে লিখতে থাকুন।
নোট: বেডটাইম স্টোরি হিসেব আপনার হাঁড়িচাঁছা শিয়ালের গল্পটা শুনিয়েছিলাম আমার ছেলেকে - ও খুবই পছন্দ করেছে গল্পটা।
-অয়ন
কখনো কখনো আবেগ এসে লেখার গতির লাগাম টেনে ধরে তো, তাই গল্প গতিহীন হয়ে যায়।
আপনার ছেলের প্রতি শুভকামনা রইল।
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
গল্পটা প্রথম দিনই পড়েছি।
তারপরেই নেটে হায়েনার আবাসস্থল খুঁজতে চলে গেছি।
ফিরে এসে আর মন্তব্য করা হয় নি।
এখন দেখছি সবারই এক প্রশ্ন।
রনি, গল্পের নাম দিন 'চুয়াডাঙ্গার হায়েনা।'
'গুপি গাইন বাঘা বাইন'-এ পাঁচ পুকুরের গোসাই ওস্তাদের যন্ত্রে-মন্ত্রের সুরের যে থিয়রি দিয়েছিলেন তা শুনে বটতলার বাবুদের একজন বলেছিলেন, "ঠিক কথা" তো আরেক বাবু বললেন, "হক কথা"।
নিলয়দা আপ্নাকেও বলতে ইচ্ছে করছে "হক কথা!'
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
কিশোরদের জন্য আজকাল বেশী লেখা হয়না। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
গল্পের বুনোট নিয়ে প্রশ্ন উহেছে দেখলাম। তবে লিখে যান। ফ্যান্টাসিল্যান্ডের খুব দরকার।
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
নতুন মন্তব্য করুন