বাংলার গুল্ম-তরু-লতা-৩ : কালকসুন্দা / কালকসিন্দা

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি
লিখেছেন আব্দুল গাফফার রনি [অতিথি] (তারিখ: শনি, ৩০/০৩/২০১৩ - ৮:৪৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


বড়রা ছোট হতে চায়। ছোটরা চায় বড় হতে।ছোটদের চোখে থাকে অনাগত ভবিষ্যতের হাতছানি, বুক ভরা স্বপ্ন। আর বড়দের তাড়া করে ফেরে সোনালি শৈশব। বড়দের উদহারণ নাই-বা দিলাম। ছোটরা বড় হওয়ার আগেই বড়দের অভিনয় করতে ভালবাসে।বিশেষত গাঁয়ের ছেলেমেয়েরা। তাই গ্রামীণ অন্য খেলাধুলার পাশাপাশি মেতে ওঠে ঘর গৃহস্থলীর সাজানোর খেলায়। ছেলেরা কখনো দোকানদার, কখনো নাপিত, কখনো চাষার ভূমিকায় অভিনয় করে। আর মেয়েরা মনে হয় সবচেয়ে ভালবাসে গিন্নির চরিত্রে অভিনয় করতে।
বাড়ির যে স্থানাটাতে বড়দের আনাগোনা কম, সেখানেই একদল ছেলেমেয়ে পাঠখড়ির বেড়া মানকচু পাতার ছাওনি দিয়ে দিব্যি তৈরি করে ফেলে ছাল্লাঘর।
যাইহোক, চলে আসি মূল প্রসঙ্গে। আমাদের কালে ঘর-গৃহস্থালীর খেলার অপরিহার্য উপাদান ছিল এই কালকসুন্দা গাছ। আমরা বলতাম কাসকসিন্দা।এর মতো সুন্দর ফুল বাংলার মাঠে জঙ্গলে ক’টা আছে--তা আঙ্গুল ধরে গোণারও বোধহয় দরকার হবে না।

কালকসুন্দা (কালকসিন্দা) গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। বাংলার আর সব বুনো উদ্ভিদের মতো বাঁছড়া, ঝোপে-জঙ্গলে, আম-কাঁঠালের বাগানে, বাঁশবনে, ক্ষেতের বেড়ায়, পুকুর পাড়ে, উঁই ঢিবি ওপর জমাট ঝোপে এদের বাস। তবে কালকসুন্দা প্রচার বিমুখ। নিজেকে ঝোপঝাড়ের আড়াল করে রাখতে ভালবাসে। তাই শিয়ালকাঁটা বা ভাঁটফুলের মতো ফাঁকা জায়গায় জন্মায় না বলতে গেলেই চলে। মানুষকেও বোধহয় খুব একটা পছন্দ করে না। তাই লোকালয় থেকে ন্যূনতম দূরত্ব বজায় রেখে বেড়ে ওঠে। কিন্তু প্রকৃতির বোধহয় ব্যাপারটা পছন্দ নয়। তাই এর উচ্চতা আর মোহনীয় ফুলের কারণে খুব বেশিদিন নিজেকে আড়াল করে রাখতে পারে না।

সাধারণত বর্ষা থেকে শরৎকালের মধ্যে কালকসুন্দা (কালকসিন্দা) জন্মায়। শীতের শেষ পর্যন্ত বাড়তে থাকে।

পূর্ণবয়স্ক কালকসুন্দা (কালকসিন্দা) গাছ ৭ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। তবে গড় উচ্চতা ভাঁটফুলের চেয়ে কিছু বেশি। ৫ ফুটের কাছেপিঠে হবে।
কালকসুন্দার (কালকসিন্দা) কাণ্ডের রং গাঢ় সবুজ। বেশ শক্ত। বড় কালকসুন্দা (কালকসিন্দা) গাছের কাণ্ডের বেড় ৫ ইঞ্চি পর্যন্ত হতে পারে।কাণ্ডের নিচের দিক থেকেই অসংখ্য ডালপালা বের হয়। তাই অল্প দিনের ভেতরেই একটা কালকসুন্দার গাছ একটা ছোটখাট।

কালকসুন্দার(কালকসিন্দা) পাতার রং গাঢ় সবুজ। কঁচি পাতা সাদটে সবুজ। যৌগিক। বহপত্রক। একটা বোঁটায় ৫-১০ জোড়া পাতা থাকে। বোঁটার দৈর্ঘ্য ১০-১২ ইঞ্চি। পাতারি প্রতিটা পাতার দৈর্ঘ্য ১.৫-২ ইঞ্চি।



এই ছবিটার জন্য কৃতজ্ঞতা : রেজওয়ান, উদ্ভিদ জগত)

কালকসুন্দার (কালকসিন্দা) ফুল সোনালি-হলুদ রঙের। এর মঞ্জরী ও বোটা হলদেটে সবুজ। মঞ্জরী বহুপুষ্কক। একটা মঞ্জরীতে ৫-১০ টা ফুল থাকতে পারে। ফুলের ব্যাস ১ ইঞ্চি। একটা ফুলে ৫ টা পাঁপড়ি থাকে। সাধারণত ফাগুনের শুরতেই ফুল ফুটতে শুরু করে।

কালকসুন্দার(কালকসিন্দা) ফল দেখতে কিছুটা কলার মতো। তাই আমরা এর ফল দিয়ে মিছিমিছি কাঁচাকলা বানিয়ে রন্না-বাড়া, বিকিকিনি খেলা খেলতাম। তবে কালকসুন্দার ফলের সাথে সবচেয়ে বেশি মিল মুগ ডালের ফলের মতো। তবে লম্বা একটু বড়। কালকসুন্দার ফল ৫ ইঞ্চি পর‌্য লম্বা হতে পারে। এর লম্বালম্বি ভাবে একটা পাতলা আবরণ দিয়ে দুইটা চেম্বারে ভাগ করা থাকে। প্রতিটা চেম্বারে ৩০-৪০ বিঁচি থাকে। বিঁচি দেথতে অনেকটা মুগ ডালের মতো। তবে আকারে কিছুটা বড়। এর বীজ দ্বি-বীজপত্রী।


(এই ছবিটাও রেজওয়ানের)

চৈত্র মাসের শেষের দিকে কালকসুন্দার (কালকসিন্দা) ফল পাকতে থাকে। পাকা ফলের খোসা ও বীজের রঙ বাদামী।


কালকসুন্দা (কালকসিন্দা) এক বর্ষজীবি উদ্ভিদ। ফল পাকার পরে গাছ মারা যায়। কালসুন্দার ইংরেজি নাম Coffee senna. Cassia occidentalis.

প্রিয় সচল, এবার কালকসুন্দার(কালকসিন্দা) একটা গুণের কথা বলি। যদিও কোনো গাছগাছড়ার ভেষজ গুণ নিয়ে আমি কথা বলতে চাই না। কারণ উদ্ভিদের ভেষজ গুণের কথা জানিয়ে অনেকে ভাবেন, যাক গুণের কারণেও যদি মানুষ একে রাক্ষা করে! কিন্তু ফল হয় উল্টো, যারা গাছের ভেষজ গুণের কথা আগে জানত না, তারাও তখন ককিরাজ হয়ে যায়। নিজের বাড়িতে লাগানোর কথা ভাবে না। কোথায় কোন জঙ্গলে হয়তো ঘাপটি মেরে পড়ে আছে, তাকে সমূলে উৎপাটন করে ওষুধ বানায়। শুধু তা-ই নয়, আজকের এই সুপারসনিক যুগে গাছের ওষধি গুণের কথা বলা মানে চিকিৎসা বিজ্ঞানকে আলসে গাধার পিঠে তুলে দেয়ার পায়তারা। যাই হোক, যেকথা বলছিলাম। গ্রামে একটা ধারণা প্রচলিত আছে। শরীরে কোথাও বিছুটি লাগলে যে জ্বালা যন্ত্রণা শুরু হয়, তখন সেখানে কালকসুন্দার পাতা ডলে দিলে নাকি মূহুর্তে জ্বালার উপশম হয়। তো আমিও আগে তাই করতাম। একদিন বিছুটি লাগার পর হাতের কাছে কালকসুন্দা মেলেনি। তখন খালি হাতে ডলা-ডলি করলাম। ফল একই। সেদিন থেকে বুঝলাম এখানে মালিশের সিগন্যালের কারণে মস্তিস্কে জ্বালা-যন্ত্রণার সিগন্যালটা কম পৌঁছায়। সেটাকেই কিনা ভাবি কালকসিন্দার কারামতি!

প্রিয় সচল।শুরুতেই একটু মজা করার জন্য বলেছি, কালকসুন্দা (কালকসিন্দা) প্রচার বিমুখ উদ্ভিদ। এখন বলছি, শুধু প্রচার বিমুখই নয়, একই সাথে অভিমানী এবং অভাগী। কারণ এই লেখাটা শুরু করার আগে গুগলে এর ইংরেজি ও বৈজ্ঞানিক নামটা জানার জন্য ‘কালকসুন্দা’, ‘কালকসিন্দা’ দুই নামেই সার্চ দিয়েছিলাম। বাংলা-ইংরেজি উভায় ভাষাতেই। রেজাল্ট--নট ফাউন্ড। তারপর আরেকটা উদ্ভিদের খোঁজ করতে গিয়ে ‘উদ্ভিদ জগত’ নামের একটা সাইটে পেয়ে গেলাম। সেখান থেকেই রেজওয়ানের ছবি দুটো ধার করা। উইকিপিডিয়াতে বাংলায় কোনো নিবন্ধ নেই। তবে ইংরেজি ও বৈজ্ঞানিক নামে সার্চ দিলে অবশ্য হদিশ মিলছে।
আবার দ্বিজেন শর্মার প্রকৃতি সমগ্র (১ ও ২)তেও পেলাম না। নওয়াজেশ আহমেদ আর মোকারম হোসেনের দু্টো বই রয়েছে। তাতেও নেই! স্বল্প সময়ের মধ্যে জীবনানন্দ ও বিভূতিভূষণের কয়েকটা বইও ঘেঁটে ফেললাম। কিন্তু হায়...! আর এই কারণেই কালকসিন্দা(কালকসুন্দা)কে অভিমানী-অভাগী বললাম।

বিশেষ দ্রষ্টব্য : কালকসুন্দা ও কালকসিন্দা দুই নামই ব্যবহার করলাম। যাতে গুগলে যে নামেই সার্চ দেয়া হোক, রেজাল্ট যেন পাওয়া যায়।

---------------------------------
এই সিরিজের অন্যলেখাগুলো
বাংলার গুল্ম-তরু-লতা-১ : শিয়ালকাঁটা
বাংলার গুল্ম-তরু-লতা-২ : ভাঁটফুল


মন্তব্য

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

চলুক। পড়ছি। ছবিগুলো দারুণ !

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-
আমি লিখছি... দেঁতো হাসি

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

তারেক অণু এর ছবি

চলুক খুব ভাল

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

এই লেখাটা শুরু করার আগে গুগলে এর ইংরেজি ও বৈজ্ঞানিক নামটা জানার জন্য ‘কালকসুন্দা’, ‘কালকসিন্দা’ দুই নামেই সার্চ দিয়েছিলাম। বাংলা-ইংরেজি উভায় ভাষাতেই। রেজাল্ট--নট ফাউন্ড।

কারণ হচ্ছে আপনি নামের বানান ভুল করেছেন (গোটা পোস্টজুড়েই তাই)। উদ্ভিদটির নাম 'কলকাসুন্দা'। ঠিক নামে লিখলে বাংলা উইকির ভুক্তিসহ আরো কিছু লিঙ্ক পেয়ে যেতেন। পরীক্ষা প্রার্থণীয়।

উপর থেকে সাত নং চিত্রে দেখানো ফুলটির petal-এর জালিকা বিন্যাস দেখে এটা কলকাসুন্দা কিনা আমার সন্দেহ আছে। কলকাসুন্দার petal আরো পুরু, মসৃণ ও গাঢ় রঙের হবার কথা। তাতে তার জালিকা বিন্যাস এতো স্পষ্ট হবার কথা না।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

হয়তো আপনিই ঠিক। কিন্তু আমি বানান সংসোধন করছি না, কারণ আমাদের স্থানীয় নামের সাথে উইকির বানান একবারে যায় না। তাই ভুল হলেও সম্পাদনায় গেলাম না।

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

কৌস্তুভ এর ছবি

লেখা -গুড়- হয়েছে

এই গাছটা আমাদের চারদিকেই দেখি, ক্যাসিয়া নামেই চিনি, বাংলা নামটা জানি না মন খারাপ

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

হাসি

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার সিরিজের সাথে আছি। চালিয়ে যান। চলুক চলুক

-সিরাজুল লিটন

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

কৌস্তুভ এর ছবি

"কালসুন্দার ইংরেজি নাম Coffee senna. Cassia occidentalis."

বৈজ্ঞানিক নাম Cassia occidentalis, এভাবে বললে ভাল হয়।

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-
মনে থাকবে

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

মহুয়া  এর ছবি

চলুক ভালো লাগছে সিরিজ।

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি

রনি, স্বর্নলতা বা সোনালু নিয়ে লিখতে ভুলবেন না যেন ।

__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

আমি খুব বোকার মতো কাজ করেছি, গ্রামে গিয়ে স্বর্নলতার কিছু ছবি নিয়ে আসিনি। তরে কম্পিউটারের ঘেঁটে গত বছরের কয়েকটা ছবি পেয়ে গেলাম। আর সোনালু ফুলের ছবি তুলতে কাল শিশয একাডেমির দিকে যাব ভাবছি।

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি

তরে কম্পিউটারের ঘেঁটে গত বছরের কয়েকটা ছবি পেয়ে গেলাম।

তাতেও কাজ হবে, রনি । আর হ্যা, পুকুর ভর্তি কচুরিপানা ফুলের কথাও ভোলা যাবে না দেঁতো হাসি
দেওদারু গাছের সারিও চাই কিন্তু চোখ টিপি

__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

কচুরি পানার ছবি তো আছেই। তবে পুকুর ভর্তি নয়, খোদ অপু-দুর্গার ইছামতীর।আর ওই ছবিগুলো বেশ ভালো মানের

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

আশালতা এর ছবি

খাসা সিরিজ। চলুক। চলুক

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

হাসা কইতাছেন? দেঁতো হাসি

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

চলুক

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

তানিম এহসান এর ছবি

চলুক!

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

চলছে, চলবে....

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

রংতুলি এর ছবি

এইটার বীজ নিয়েও খেলেছি অনেক! সিরিজ মনে ধরেছে... চলুক!

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

ধন্যবাদ
ফুল নিয়ে খেলেন নি?

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

অতিথি লেখক এর ছবি

ভালোলাগলো, সাথে আছি

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। তবে মন্তব্য করার সময় নিচে আপনার নাম লিখতে ভুলবেন না হাসি

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

মানিক চন্দ্র দাস এর ছবি

প্রথমালু তে একজন গাছপালা নিয়ে লেখালিখি করেন। তার লেখায় দেখা যায় তিনি এখানে গিয়েছেন তো একেবারে দুঃষ্প্রাপ্য একটা গাছ তার চোখের সামনে, ছবি তুলে এই বই, ঐ বই ঘেঁটে লেখা বানিয়ে আলুতে পাঠান, পাঠিয়ে তিনি আবার ক্রমাগত ছাপানোর জন্যে গুতোগুতি করেন। কেন যেন তার এই কাট-পেষ্ট লেখাগুলো সুখপাঠ্য না।
রনি ভাই, লেখার সাথে গাছ গুলোর ঔষধি গুনাগুন গুলো দিলে,দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার দিলে বোধ হয় আরো ভালো হবে সিরিজটা।
আমি সেদিন কদম নিয়ে পড়ছিলাম, দেখলাম, এর শেকড় একসময় গর্ভপাতের জন্যে ব্যবহার করা হতো। আবার কঁচি পেঁপের কষও দেখি একই কারবার। শিয়ালকাঁটার বীজ খেলে প্রচন্ড পেট ব্যথার সাথে প্রচুর বমিও হয়। ইত্যাদি।
যাই হোক লেখা এগিয়ে যাক। ভালো লাগছে।

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

খেয়াল করে দেখবন, এই সিরিজের কোনো আমি ঔষধি গুণাগুণ নিয়ে কিছু লিখিনি। কারণ, বাংলাদেশের একশ্রেণির ভণ্ড কবিরাজ। এরা নিজেরা একটা গাছও লাগায় না, বনের-জঙ্গলের গুল্ম-লতাগুলো কেটে সয়লাব করে। বাংলাদেশের বিলুপ্ত গাছগুলোর তালিকাটা দেখুন, ঔষধিগুণ সম্পন্ন গাছের সংখ্যায় বেশি। গুণটায় এদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই কোনো গাছের ঔষধি গুণের কথা জানা থাকলেও লেখায় সেটা এড়িয়ে চলি। এ বিষয়ে এনাম আল হকের একটা্ কথা আমাকে বেশ নাড়া দিয়েছে। তিনি একটা সুন্দর পাহাড় আবিষ্কার করেছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের কোনো এক গহীন অরণ্যে। তারপর সেটা নিয়ে ফিচার লিখেছিলেন পত্রিকায়। ফল হয় ভয়াবহ। এক বছরের মাথায় হুজুগে বাঙালিদের অত্যাচারে পাহাড়টা তার আস সৌন্দর্য নষ্ট করে ফেলে। আমি চাই আমার লেখার কারণে একটা গাছও ক্ষতিগ্রস্ত হোক বা কষ্ট পাক।

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।