বাংলার গুল্ম-তরু-লতা-৭ : বৈঁচি

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি
লিখেছেন আব্দুল গাফফার রনি [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ১০/০৪/২০১৩ - ৪:৪৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


ঘাটে গোসল করার অভ্যাস আমার সেই ছোট্টবেলা থেকে। এখনো গ্রামে গেলে ঘাটে গোসল না করলে মনটা ভরে না। ঘাট বলতে ইছামতীর ঘাট। দাদির হাত ধরে যেতাম। শুকনো খালের ভেতর দিয়ে ছিল আমাদের পথ। পথের দু’ধারে খালের গায়ে মাথা উঁচু করে থাকত রাজ্যের যত ঝোপ-ঝাড়। আমাকে শামলাতে দাদিকে একটু ঝক্কিই পোহাতে হত। কারণ ঝোপ-জঙ্গলের প্রতি আমার দুর্নিবার আকর্ষণ। হয়তো না বুঝে সুন্দর কোনো মেঠোফল গালে পুরে দিয়েছি। তার ফল হতো মারাত্মক। কখনো বুনোফলের বিষে নীল হয়ে যেত ঠোঁট-মুখ, কখনো চুলকানির চোটে ফুলে লাল হয়ে যেত অবয়ব। তাই দাদিকে সতর্ক থাকতে হতো। কিন্তু ছোট্ট বাচ্চার ঔসুক্যের সাথে পারা কি চাট্টিখানি কথা! তাই দাদি আমাকে হাত ধরে ধরে বুনো ফল-ফল চেনাতে শুরু করলেন। কোনটার কি দোষ-গুণ সেসবও বাদ রইল না। হঠ্যাৎ এক জৈষ্ঠ্য মাসে আমার হাতে তুলে দিলেন মটর দানার সাইজের ছোট্ট কয়েকটা ফল। আমি না বুঝে তার দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে রইলাম। তিনি বললেন, ‘খাও!”
‘কী এটা?’ আমার প্রশ্ন।
‘বুঁইচে, খেয়ে দেখো না আগে।’
বৈচি ফলের সেদিনের সেই স্বাদ ২২-২৩ বছরের ব্যবধানে আজও আমার মুখে লেগে আছে। সেদিনের পর থেকে যতদিন নদীতে নিয়মিত গোসল করেছি, নিরন্তর খুঁজে চলেছি ওই ফলটা। বলাই বাহুল্য গত ১০ বছরে বৈঁচি ফলের চেহারা একটি বারের জন্যও দেখিনি।


খয়েরি অশ্বথপাতা--বৈঁচি শেয়ালকাটা আমার দেহ ভালবাসে--জীবনানন্দ দাশ
বৈঁচি বাংলাদেশের বিলুপ্তপ্রায় উদ্ভিদের একটা। বিলুপ্তপ্রায়ের চেয়েও একটু বেশি। আগেই বলেছি গত ১০ বছরে বৈঁচিফল চোখে দেখিনি। তবে গাছ এখনো কিছু কিছু চোখে পড়ে। সচলরা হয়ত ভাবছেন, গাছ চোখে পড়লে ফল দেখা যায় না কেন? সেকথা যথা সময়ে জানাব। তার আগে এর সম্পর্কে প্রাথমিক আলোচনাটা সেরে ফেলা যাক।

বৈঁচি সারাদেশে পাওয়া যেত কিনা আমার জানা নেই। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে খুব বেশি দেখা যেত। বরিশাল অঞ্চলে পাওয়া যেত সেটা ধারণা করছি জীবনানন্দের কবিতা থেকে। আর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল বলে পরিচিত বৃহত্তর যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চলের পক্ষে আমি নিজেই সাক্ষি। আরও একজন সাক্ষি আছেন। বড় মাপের সাক্ষি--বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিও আমার মতো সাবেক যশোর জেলার মানুষ। শুধু তাই নয় তৎকালীন যশোর নদীয়াকে বিভক্তকারী ইছামতী তাঁর বাড়ির পাশ দিয়ে গেছে। আমারটা তো আগেই বলেছি। বিভূতিভূষণ তাঁর পথের পাঁচালী আর ইছামতী উপন্যাসে বেশ কয়েকবার বৈঁচি ঝোপের কথা বলেছেন। শুনেছি আগে পাকা বৈঁচি ফলের মালা গেঁথে ছেলেমেয়েরা সেই মালা থেকে ফল ছিঁড়ে খেতে ভালোবাসত। আমাদের সময় কাউকে মালা গাঁথতে দেখিনি। তবে উইকিপিডিয়াতেও এই তথ্য দেখলাম। তবে আমাদের এলাকার ঝোপ-জঙ্গলের ইতিহাস হিসেবে যেটা আমি সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য মনে করি সেই ‘পথের পাঁচালী’ উপন্যাসে বৈঁচিফল সম্পর্কে বিবরণটা তুলে দিলাম--

মাতোর মায়ের বয়স খুব বেশি নয়...স্বামীর মৃত্যুর পর কষ্টে পড়িয়া মলিন শীর্ণ হইয়া পড়িয়াছে। বলিল--কুঠির মাঠে গিয়েছিলাম কুড়ুতি--বুঁইচের মালা নেবা?
দূর্গা তো বাগান খুঁজিয়া নিজেই কত বৈঁচিফল প্রায়ই তুলিয়া আনে, ঘাড় নাড়াইয়া বলিল--সে কিনিবে না।
মাতোর মা বলিল--নেও না দিদি ঠাক্রোন, বেশ মিষ্টি বুঁইচে মধুখালির বিলির ধারের থে--তুলেলাম কোঁচড় হইতে একগাছা মালা বাহির করিয়া বলিল--দেখো কত বড় বড়!

শৈশবের স্মৃতিমাখা ইছামতীর সেই খাল। আজও এখানে কিছু বৈঁচিঝোপ দেখা যায়।
বৈঁচি গাছ সাধরণত ঘণ ঝোপ-জঙ্গলের ভেতরে বেড়ে ওঠে। নদীর পাড়, উঁইঢিবি, বাঁশবন, ফসল ক্ষেতের ঘন বেড়ায় এদের বাস। লোকালয়ে তেমন দেখা যায় না। তবে আগের দিনে অনেকে সখ বাড়িতে লাগাতেন।

বৈঁচিকে অনেকে গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ মনে করে। আসলে এখন কেউ এক বাড়তে দেয় না বার বার ছেঁটে ফেলার কারণে গুল্ম হয়ে পড়ে থাকে। যারা সখ করে বাড়িতে লাগায় সেগুলো রীতিমতো বৃক্ষে পরিণত হয়। তবে বৃদ্ধির অন্যান্য বৃক্ষের তুলনায় খুবই কম। আমার এক নানার বাড়িতে ৫০-৬০ বছরের একটা বৈঁচিগাছ ছিল পাঁচ বছর আগেও। এখন অবশ্য নেই। সেটার উচ্চতা ছিল ৩৫-৪০ ফুট। তবে গাছ যতই বড় হোক এর ঝোপালো ভাবটা ঠিকই থাকে। খুব ঘন ডালপালার কারণে এমন হয়। কাণ্ডের বেড় ৩-৪ ফুট পর্যন্ত হতে পারে। কাণ্ড ও ডাল বেশ শক্ত।


কাণ্ডের একেবারে গোড়া থেকেই ডাল পালা বের হয়। আবার শেকড় থেকেও নতুন চারা বের হতে পারে।


বৈঁচির প্রতিটা পাতার গোড়ায় একটা বড় কাঁটা থাকে। কাঁটা ৩-৪ ইঞ্চি লম্বা হয়। বৈঁচির কাঁটা মারাত্মক জিনিস। বেশ সুঁচালো আর বিষাক্ত। শরীরের কোথাও বিঁধলে প্রচণ্ড যন্ত্রণা হয়। একে তো ঘন ডালপালা তার ওপর বিকট দর্শন কাঁটা, সুতরাং বৈঁচির মতো দুর্ভেদ্য আর কোনো মেঠো ঝোপ বাংলাদেশে আছে কিনা সন্দেহ। ভয়ঙ্কর কাঁটার কারণেই এখন বৈঁচি গাছ এখন ছেঁটে ফেলা হয়। আরছাঁটা পড়ে বেশির ভাগই শীতকালে মৌসুমি ফসলের সময়। তাই বৈশাখ মাসে যখন এর ফুল ফুটতে শুরু করবে তখন এতে নতুন ডাল-আর নতুন পাতা থাকে। ফুর ফুটতে অন্তত একবছরের পুরোনো ডাল থাকা চাই।


বৈঁচির পাতা হালকা সবুজ। একপক্ষল। বোঁটা খুব ছোট। পাতা ডিম্বাকৃতির। পাতার দৈর্ঘ্য ১-১.৫ ইঞ্চি। প্রস্থ আধা থেকে পৌনে এক ইঞ্চি। পাতা দেখতে অনেকটা কুরের পাতার মতো। তবে কুলের পাতার চেয়ে বেশ পুরু। কুেেলর পাতা খসখসে বৈঁচির পাতা অনেকটায় মসৃণ। বৈুঁচির খুব ছোট্ট ছোট্ট পাঁচ পাপড়ির ফুল। বছর দশেক দেখা নেই বলে ফুলের প্ঙ্খুানুপুঙ্খ বর্ণণা দিতে পারব না। আগ্রহীরা উইকিপিডিয়াঘেঁটে আসতে পারেন।


এই ছবিটা উইপিডিয়ার
বৈঁচির ফল মটর দানার চেয়ে সামান্য বড়। গোল সবুজ রংয়ের। অনেকটা কুলের মতো দেখতে। ভেতরে শক্ত দ্বিবীজপত্রী একটা করে শক্ত বিঁচি থাকে।


এই ছবিটা উদ্ভিদ জগত থেকে নেয়া
বৈঁচির কাঁচা ফল হালকা সবুজ রংয়ের। ডাসা ফল হালকা বাদামি আর পাকা ফল জামরংয়ের। অর্থাৎ কালচে বেগুনি রংয়ের।


বৈঁচি বহুবর্ষজীবি উদ্ভিদ। গড়ে ঠিক কত বছর পর্যন্ত বাঁচে বলা মুশকিল। অন্তত আমার জন্য। বৈঁচির বৈজ্ঞানিক নাম Flacourtia indica.

তপ্ত চোখের জলে, পুকুর, উঁইঢিবি, বৈঁচিবন, বাঁশবাগান--সব ঝাপসা হইয়া আসে।
--বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়

-------------------------------------------------
এই সিরিজের অন্য লেখাগুলো--
বাংলার গুল্ম-তরু-লতা-১ : শিয়ালকাঁটা
বাংলার গুল্ম-তরু-লতা-২ : ভাঁটফুল
বাংলার গুল্ম-তরু-লতা-৩ : কালকসুন্দা / কালকসিন্দা
বাংলার গুল্ম-তরু-লতা-৪ : আকন্দ
বাংলার গুল্ম-তরু-লতা-৫ : আশশেওড়া
বাংলার গুল্ম-তরু-লতা-৬: কচুরিপানা


মন্তব্য

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

এগুলো কি চেরী ফলের দেশী ভার্সন?

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

মুর্শেদ ভাই, হতে পারে। তবে ইয়ে, মানে... চেরিফল চিনি না, তাই বলতে পারছি না।

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

চেরী আর বৈঁচির স্পিসিস ভিন্ন হলেও দুটোকেই সাধারণ ভাষায় প্লুম জাতীয় ফল বলা হয়।
http://en.wikipedia.org/wiki/Flacourtia_indica
http://en.wikipedia.org/wiki/Plum

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

ধন্যবাদ মুর্শেদ ভাই।
ছবি তোলা না জায়েজ! --ফতোয়ার ভয়ে প্রোফাইল আপনার পিকচার পালাল নাকি দেঁতো হাসি , না ব্ল্যাক আউট?

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

না ভয়ে সরাইছি। ভয়ে এক্কেরে হাত পা...

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

ভাই, আমার অবস্থা তো ভয়াবহ। গ্রামে হুলিয়া জারি করেছে জামাতের বিএনপি শাখার লোকজন। পহেলা বৈশাখে বাড়ি যাওয়ার ইচ্ছা ছিল, যাব কি-না ভাবছি...

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

স্পর্শ এর ছবি

অসাধারণ একটা সিরিজ হচ্ছে এটা। আমার পুরো শৈশব কৈশোর জুড়ে আছে এগুলো। পোস্টগুলো দেখলেই তাই ছেলেবেলায় ফিরে যাই।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

ভাই হারানো দিনের একটা গান শুনুন, বাবা বলে গেল
বাবা না বললেও এখন মোল্লারা বলবে গাইবা না!

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

কীর্তিনাশা এর ছবি

বরিশাল অঞ্চলে বৈঁচির অন্য একটা সুন্দর নাম আছে 'কাঁটাবহরি'। ছোটবেলায় বর্ষায় গ্রামে গেলে দল বেধে কাঁটাবহরি তুলতে যেতাম। কাঁটাবহরির ঝোপ কিন্তু সাপের প্রিয় আস্তানা।

আপনার সিরিজটা দারুন হচ্ছে্ ।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

হ্যঁ, এই নামটাও শুনেছি

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

একটা গানও প্রসংগক্রমে মনে পড়ছে- "শিবঠাকুরের গলায় দোলে বইচি ফলের মালিকা........."

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

ধন্যবাদ
গানের লিঙ্কটা দিতে পারেন?

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

দারুণ একটা সিরিজ !
ধন্যবাদ আপনাকে। চলুক

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-
কী যে কন... লইজ্জা লাগে

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

শাব্দিক এর ছবি

ভাল লাগল, আপনার বর্ণনা আর বিশেষ করে সাহিত্যের অংশগুলি যে তুলে দেন তা অসাধারণ লাগে।

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-
ইয়ে, মানে... কী আর করব বলুন! নীজের জারিজুরি যখন খুব কম, তখন অগ্রজদের দারস্থ হওয়া ছাড়া তো উপায় দেখি না।

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

রংতুলি এর ছবি

আপনার এই সিরিজটার আমি কিন্তু পাঙ্খা! দারুণ লাগছে! চলুক হাসি

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

থ্যংকু, আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার ছোটবেলায় এই ফল দিয়ে মালা গাঁথতে দেখেছি; ওই মালা থেকে তারা পরে ফল ছিঁড়ে ছিঁড়ে খেতো। আমরা আঞ্চলিক ভাষায় ফলটাকে বলতাম ‘বঙ্কই’। ছোট-বড় অনেক গাছ ছিল আমাদের এলাকায়; এখন চোখেই পড়ে না। আসল কথা এই গাছটাকে ভুলেই গিয়েছিলাম;আপনার পোস্ট পড়ে মনে পড়লো। গ্রামে গেলে ঝোপঝাড়ের দিকে খেয়াল করবো দেখা যায় কি না।

সিরাজুল লিটন

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

আপনি কোন এলাকার মানুষ জানতে পারলে ভালো হতো, গ্রণ্থিত করার সময় আঞ্চলিক নামগুলো জুড়ে দেয়ার ইচ্ছে আছে।

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

চলুক

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

হাসি চলবে

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক ভাললাগলো।
চলুক

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- , চলবে। আপনার নামটা কিন্তু লেখেননি-- খাইছে

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

অতিথি লেখক এর ছবি

রাসেল জামান

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

পথেরহাট এর ছবি

ফলটা দেখে পরিচিত মনে হচ্ছে। আমি যেটাকে চট্টগ্রামে ফাইন্যাগুলা বলে চিনি তা কিনা বলতে পারছি না। ছোটকালে প্রচুর খেতাম। ফলে বেশ কিছু বিচি আছে; খেতে কিছুটা কস। খাওয়ার আগে দুইহাতের তালু মধ্যে নিয়ে সাবধানে না ফেটে বেশভালোভাবে দলাইমলাই করে নরম করতাম। এতে ফলের বেশ মিষ্টিভাব আসে। ঢাকাতে মাঝে মধ্যে বিক্রি করতে দেখেছি। কিন্তু কখনো নাম জিজ্ঞাসা করিনি। এইবার কিনার সময় খেয়াল করতে হবে!

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

না, আপনারটা বুঝতে পারছি না। বৈঁচিতে একটাই বিচি থাকে।

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

Abdullah Al Mamun এর ছবি

সাভারের পরমাণু শক্তি কমিশনে প্রচুর বইচি গাছ আছে। স্থানীয় ভাবে একে বন্কই বলে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।