বাংলার গুল্ম-তরু-লতা-১২ : বট

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি
লিখেছেন আব্দুল গাফফার রনি [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ২৪/০৪/২০১৩ - ৯:১৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কী শোভা, কী ছায়া গো, কী স্নেহ কী মায়া গো—
কী আঁচল বিছায়েছ, বটের মূলে নদীর কূলে।


বাংলা আর বট—দুটো নামেরই আদ্যক্ষর ‘ব’। শুধু আদ্যক্ষরেই এদের সম্পর্ক সীমাবদ্ধ নয়। একবার ভাবুন তো বটগাছ ছাড়া বাংলার কোনো গ্রাম বা শহরের কথা ভাবা যায়? পৃথিবীর ঘিঞ্জিতম শহর ঢাকা-তে বটগাছ খুঁজলে সংখ্যাটা হয়তো কয়েক শত পেরিয়ে যাবে। সেখানে মফস্বল শহরগুলোর কথা নাই-বা বললাম। আর গ্রাম—সে তো বটের ছায়ায় আশ্রিত।
বটগাছের প্রসঙ্গ উঠলেই আমার ছোটবেলার কথা মনে পড়ে যায়। আমদের গাঁয়ে তখন শতবর্ষী দুটো গাছ ছিল। দুটোয় মাঠে। একটা আমাদের নিজেদের আরেকটা ইছামতীর তীরঘেঁষে। সে কী বিকট চেহারা একেকটার! দেখলেই বুকে কাঁপন ধরে যেত। সেই সাথে ভয়ঙ্কর মিথ চালু ছিল তাদের নিয়ে। এ নিয়ে সচলে বটতলার বিভীষিকা নামে একটা হরর গল্পও লিখেছিলাম। এত ভয়, এতো কুসংস্কার যাকে নিয়ে—কাঠফাটা তপ্ত রোদে পোড়া কৃষকেরা দু’দণ্ড শান্তি পেতে ছুটত সেই বটের তলেই!


ছবি : ঝিনাইদহ জেলার তথ্য ডট কম

এই বাংলার মাঠে...বিশীর্ণ বটের নীচে শুয়ে রবো; পশমের মতো লাল লাল ফল....ঝরিবে বিজন ঘাসে....জীবনান্দ দাশ।

সত্যিকারের মহীরূহ যাকে বলে, বট তা-ই। বট বাংলাদেশ তো বটেই পৃথিবীর বৃহত্তম বৃক্ষ কিনা তা নিয়েও জল্পনা কল্পনা আছে। তবে এশিয়ার বৃহত্তম এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম বৃক্ষটি আমাদের দেশেই। আরো নির্দিষ্ট করে বললে, দুটিই আমার জেলা ঝিনাইদহের অন্তর্গত। বিশ বিঘার বেশি জায়গা জুড়ে থাকা কালীগঞ্জ উপজেলার সুইতলা মল্লিকপুরের গাছটি এশিয়ার বৃহত্তম বৃক্ষ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে আগেই। আরেকটা হলো আমাদের একেবারে বাড়ির কাছে। মহেশপুর উপজেলার এশিয়ার বৃহত্তম কৃষি বীজ উৎপাদন কেন্দ্র দত্তনগর ফার্মের ভেতরে। এটাও প্রায় ষোল বিঘা জায়গা দখল করে আছে। তবে আমার মতো হতভাগা আর ক’জন আছে জানি না। ঘরের কাছের এই মহা বৃক্ষ দুটিকে দেখার সৌভাগ্য আমার হয়নি স্রেফ কুঁড়েমির কারণে।


সুইতলা মল্লিকপুরের বটগাছ। ছবি : ঝিনাইদহ জেলার তথ্য ডট কম।
বট চিরহরিৎ সাইকাস জাতীয় বহবর্ষজীবি বৃক্ষ। তার মানে ডুমুর গোত্রীয় গাছ। কত লম্বা আর কত বড় হয় তা বলা মুশকিল। বয়সেরও তেমন মাথামুণ্ডু নেই। শত শত বছর বাঁচতে পারে।


ছবি : টুডে ব্লগ
চারা জন্মাবার পর নির্দিষ্ট একটা কাণ্ড নিয়ে এর যাত্রা শুরু হলেও পরে ঝুরি নেমে বহুকাণ্ডের বৃক্ষে রূপান্তরিত হয়। কাণ্ড ও মোটা ঝুরির রং ধুসর। নতুন ঝুরির রং লালচে বাদামী।


সাধারণত বর্ষাকালে বট গাছের জন্ম। তবে জন্ম প্রক্রিয়াটা একটু বিচিত্র। এর বীজের খোলস অত্যন্ত শক্ত তাই দীর্ঘদিন পানিতে না ভিজলে অঙ্কুরোদগম হয় না। তবে সবচেয়ে ভালো উপায় পাখিতে খাওয়া। পাখিতে এর বীজ খাওয়ার পর পাখির পরিপাক তন্ত্রের নানা এনজাইম বীজের খোলসকে নরম করে দেয়। তখন অঙ্কুরোদগম সহজ হয়। সাধারণত পাখি, বাদুড় আর কাঠবিড়ালির মাধ্যমে দূরদূরান্তে এর বংশবিস্তার ঘটে।


পাখির মাধ্যমে বংশ বিস্তারের কারণেই বট গাছের চারা যত অ-জায়গা কু-জায়গায় জন্মে। যেমন এই চারাটা জন্মেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের এক ড্রেনেজ পাইপের পাশে ইটের ফোঁকরে।ওখানে কেন জন্মল? নিশ্চয়ই পাখিতে খাওয়ার পর গাছে বসে টয়লেট করেছিল। আর সেই মল গিয়ে পড়েছে ওই জায়গায়ে। পাখি বটের ফল খেলেও বীজ হজম করতে পারে না।
পুরোনো মন্দির, ইটের পাঁজা, কাছের গায়ে (বিশেষ করে তাল নারকেলের মতো গাছে, যাদের গায়ে বীজ গজানোর মতো যথেষ্ট উর্বর জায়গা আছে)।বটগাছ মহীরূহ ঠিক, কিন্তু আচরণটা খুব উদার নয়। বিশেষ করে ছোট থেকে বড় হওয়ার সময়। যে গাছে বা স্থানে জন্মায় শেষ পর‌্যন্ত তাকেই গ্রাস করে ফেলে। আমাদের গ্রামে একটা খেজুর গাছ ছিল। মাথায় জন্মেছিল বটের চারা। বছর সাতেকের মধ্যে সেই বট-খেজুর মিলে কিম্ভূত একটা বৃক্ষে পরিণত হয়েছিল। খেজুর গাছের পুরো শরীর পেচিয়ে সম্পূর্ণ ঢেকে ফেলেছিল। অর্থাৎ কাণ্ডটাকে মনে হতো বট গাছের। তার দুঠো মাথা, একটা খেজুর আরেকটা বট। কয়েকবছর পর খেজুর বেচারার মাথাটুকুও আর দেখা যেত না। এভাবেই বট তার আশ্রয়দাতাকে শেষ করে ফেলে। তবে প্রতিবেশী গাছেদের সে ত্রাণকর্ত। ঝড়-ঝাপ্টা নিজের গায়ে লাগিয়ে অন্যদের রক্ষা করে বট।


বটের পাতা গাঢ় সবুজ। একপক্ষল। পুরু, মসৃণ। পাতা ডিম্বাকৃতির। পাতার ৪-৮ ইঞ্চি। প্রস্থ ২-৪ ইঞ্চি। বোঁটা ১-২ ইঞ্চি লম্বা হয়। পাতা অন্যান্য গাছের পাতার মতো মুক্তভাবে জন্মায় না। পত্রশাখার অগ্রভাগে মোচাকৃতি একটা বস্তু থাকে তার ভেতরেই থাকে কঁচি পাতা। পাতা বড় হয় মোঁচার খোলস থেকে বেরিয়ে এলে খোলস শুকিয়ে ঝরে যায়।বটের পাতার বোঁটয় দুধের মতো সাদা, ঘন আঠা থাকে।


বট ডুমুর জাতীয় বৃক্ষ। আশা করি ভালো করেই জানেন ডুমুরের ফুল কী দুষ্প্রাপ্য জিনিস। তাই ডুমুরের মতো বটেরও ফুল আমরা দেখতে পাই না। তবে ফুল হয়। সেটা ওই মোঁচাকৃতির বস্তুটার মধ্যে মঞ্জরির ভেতরে নাকি লুকিয়ে থাকে। এ তথ্যটা আমার জানা ছিলা না, জানলাম অধ্যাপক দ্বিজেন শর্মার ‘শ্যামলী নিসর্গ : ঢাকার সুদর্শন বৃক্ষ’ নামের বইটি থেকে।

...বটের অজস্র ফল ঝরে বারে বারে তাহাদের শ্যামবুকে...জীবনান্দ দাশ

‘বৃক্ষ তোমার নাম কী? ফলে পরিচয়’—প্রবাদটা সবেচেয়ে অকার‌্যকর বোধহয় অশ্বথ, কদম আর বটের ক্ষেত্রে। পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ যে গাছটা তার ফল কিন একটা দেশি কাচের মার্বেলের মতো! আর বীজ? একমাত্র কদম ছাড়া অশ্বথ-বটের চেয়ে ছোট বীজ আর কারো কোনো উদ্ভিদের আছে বলে মনে হয় না। যাই হোক, বটের ফল গোলকার। রং লাল বা গাঢ় কমলা। একেকটা ফলে কয়েকশ বীজ থাকে। বীজ দেখতে অনেকটা সরিষা দানার মতো। তবে আকারে সরিষা দানার চেয়ে অনেক ছোট। তাই বটের যে চারা বেরোয় তা যেকোনো ঘাসের চারার চেয়েও ক্ষুদ্র।


রমনার বিখ্যাত বটমূল।
সচল, রহস্য পত্রিকার বটমূলের আড্ডাকাহিনীর কথা মনে আছে?


এই গাছটা কিন্তু শুধু বটগাছ নয়, বটাশ্বথ। আমাদের গ্রামের এক পুরুত ঠাকুর রাস্তার তেমাথায় একই সাথে একটা বট আর একটা অশ্বথ চারা লাগিয়েছিলেন। সেই চারা দুটো এখন পরস্পরের সাথে মিলে মিশে একাকার হয়ে গেছে।


বটের বৈজ্ঞানিক নাম Ficus benghalensis.


বট অন্য গাছের বা দালান ঘরের ক্ষতি যাই করুক, সবদিক বিচারে আমাদের উপকারী বন্ধুই বটে। ক্লান্ত-শ্রান্ত পথিক চলতি পথে কোনো বটগাছের দেখা পেলে সেখানে না থেমে পারে না। হাটে-বাজারে কমেপক্ষে একটা বটগাছ না হরে হাটুরে বা বিক্রেতা— প্রত্যেকে কীসের যেন অভাব অনুভব করে। বটগাছের পাশে যেসব দুঃখি মানুষের বাস—যাদের ঘর মাটির, খড়ের তাদের তাদের যেন ত্রাতা এই বটবৃক্ষ। কিন্তু আমরা মানুষেরা সভ্যতার ধুয়ো তুলে অকতারে পুরোনো বটগাছগুলো কেটে সয়লাব করছি না? সত্যিই যদি কথা বলার মতো শক্তি বটের থাকত তাহলে কি বলত? ছোট্টকালে পড়া বাঘ আর শিয়ালের গল্পের কথা মনে আছে—

পণ্ডিতমশাই বললেন : ওহে বট গাছ তোমার তো বাপু অনেক বয়স হয়েছে, অনেক কিছু দেখেছ শুনেছ, বলো দেখি, যে উপকার করে—তার কী কেউ ক্ষতি করে।
বটগাছ বলল : উপকারীর ক্ষতি তো সবার আগে করে। লোকগুলো আমার ছায়ায় বসে—ওরা খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে আঠা বের করে! আঠার জন্যে আমার পাতা ছেঁড়ে। আবার আমারই ডাল ভেঙে নিয়ে যায়।

মানুষ তো করেই, বটই উপকারীর ক্ষতি সবার আগে করে।

--------------------------------------------------------
এই সিরিজের অন্য পোস্টগুলো—
বাংলার গুল্ম-তরু-লতা-১ : শিয়ালকাঁটা
বাংলার গুল্ম-তরু-লতা-২ : ভাঁটফুল
বাংলার গুল্ম-তরু-লতা-৩ : কালকসুন্দা / কালকসিন্দা
বাংলার গুল্ম-তরু-লতা-৪ : আকন্দ
বাংলার গুল্ম-তরু-লতা-৫ : আশশেওড়া
বাংলার গুল্ম-তরু-লতা-৬: কচুরিপানা
বাংলার গুল্ম-তরু-লতা-৭ : বৈঁচি
বাংলার গুল্ম-তরু-লতা-৮ : শেওড়া
বাংলার গুল্ম-তরু-লতা-৯ : শিমুল
বাংলার গুল্ম-তরু-লতা-১০ : ভেরেণ্ডা / কচা
বাংলার গুল্ম-তরু-লতা-১১ : হাতিশুঁড়


মন্তব্য

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

ছবিগুলো দেখা যাচ্ছে না।

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

আমার পিসিতে কিন্তু দেখা যায়। যাইহোক, আবার ছবিগুলো আপলোড করে দিলাম। আশাকরি এখন ঠিক হয়ে গেছে। হাসি

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

এখন ঠিকাছে।

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

হাসি আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

মানিক চন্দ্র দাস এর ছবি

রনি ভাই,
এই ফাইকাস গোত্রের শেকড়ে কিন্তু মজার একটা বিষয় আছে। শেকড়ের সেই পদার্থের কারনে এরা সহজেই দেয়ালের খাঁজে নিশ্চিন্তে জন্মাতে পারে। সেটা নিয়ে কি কিছু লেখবেন? ঔষধি গুন না হয় বাদ দিলাম। ঢাকার রোড ডিভাইডারগুলোতে এখন যে গাছটার প্রাধান্য বেশী সেটিও ফাইকাস গোত্রের। ঐ প্রজাতিটার নাম আবার ফাইকাস বেনজামিনা। বনসাই হিসেবে এই গাছগুলো চমৎকার। আপনার লেখাকে স্বাগত জানাই। ভালো থাকবেন।
মানিক

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-
শেকড়ের রাসায়নিক পদার্থের কথাটা জানতাম না। একটু ডিটেল লিখেলে মূল পোস্টের সাথে তথ্যটা জুড়ে দিতাম।

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

মানিক চন্দ্র দাস এর ছবি

রনি ভাই, এইটা আপনার জন্যে একটা ধাঁধাঁ ধরে নেন। এতো চমৎকার একটা সিরিজ লিখছেন মাঝে মাঝে আমাদের চমকে দেবার মতো কিছু তথ্য জুড়ে দিলে ভালো হয়না? এইটা সেইরকম একটা তথ্য। আমি নিশ্চিত এর মাঝেই বিষয়টা বের করে ফেলেছেন, এখন দেখি কখন আপনার লেখায় তথ্যটা ঢোকে?
ভালো থাকবেন ভাই।
মানিক

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

মানিকদা, জুড়ে দিলে ভালো হয়, কিন্তু আমি এতোটাই ব্যস্ত সব সময়ে ইচ্ছে থাকলেও লেকা প্রোমট করা সম্ভব হয় না। তথ্যটা আমার জানা নেই, কিন্তু আপনার আছে, সেটা আপনি জানিয়ে দিলে আমার একটু কষ্ট কমে। ধাঁধায় ফেলে অভাগাকে কষ্ট দিতে চান অ্যাঁ

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

রিক্তা এর ছবি

আপনার লেখা সবসময় মুগ্ধ হয়ে পড়ি আর গোপনে পাঁচতারা দিয়ে যাই। বট নিয়ে লেখাটা আরেকটু বড় হলে আরো ভাল লাগতো। বৃহত্তম বটগাছ নিয়ে উইকিপিডিয়াতে এইটা (http://en.wikipedia.org/wiki/Thimmamma_Marrimanu) পেয়ে ধাঁধায় পরে গেলাম।

--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-
পাঁচ তারার জন্য আরেকবার ধন্যবাদ।
ধাঁধায় তো আমিও পড়ে গেলাম। যাইহোক ৮ একর মানে ২৪ বিঘা। তাহলে ওটা মল্লিকপুরের বটগাছের চেয়ে বড়ই হবে। তবে সত্যি বলতে কী আরেকবার বিবিসির জরিপের দরকার ছিল। কালন এরা কোলকাতার বেটানিকাল গার্ডেনের মাত্র ২ দশমিক দুই একরের বটগাছটাকে এশিয়ার বৃহত্তম বলা হত।

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-
পঁচতারকার জন্য আরো একবার ধন্যবাদ, উইকি দেখলাম, ৮ একর মানে ২৪ বিঘা, তাহলে মল্লিকপুরের বটগাছের চেয়ে বেশ বড়। কিন্তু উইকিও মাঝে মাঝে বিভ্রান্তিতে ফেলে দেয়।আরেকবার বিবিসির জপির হওয়া দরকার। এর আগে কোলাকাতা বোটানিকাল গার্ডেনের মাত্র ২ দশমিক ২ একর এরিয়ার বটগাছ এশিয়ার বৃহত্তম বলা হত। বিবিসির জরিপের পর সেই ভুলটা শুধরানো হতো। আবার অনেক সময় মানুষ তিলকে বানায় তার প্রতিফলন উইকিতেও দেখা যায়। কোনটা যে ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না অ্যাঁ

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

ব্যাঙের ছাতা এর ছবি

রমনার বটমূল বলে যেটি বিখ্যাত সেটি আসলে অশ্বত্থ গাছ, কিন্তু আমরা সবাই বটমূল বলেই ডাকি।
আপনি যে ছবিটি দিয়েছে এই শিরোনামে সেটি 'বটমূল' হতে দূরে এবং পরে রোপনকৃত।

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

ঠিকই বলেছেন, বটের ছবি দেব আর বটগাছ থাকবে না তেই কি হয়! তাই বটগাছটা ছবি দিয়েছিলাম। অশ্বত্থ গাছটার ছবিও তুলে রেখেছি। অশ্বত্থের পোস্টে দেব

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক ভালোলাগলো। ধারাবাহিক ভাবে লেখা পড়ে যাচ্ছি। ভাই আপনি আমার এলাকার ছাওয়াল চাল্লু
রাসেল জামান

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

যাক সচলে আমার লাঠির জোর বাড়ল.... শয়তানী হাসি

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

অতিথি লেখক এর ছবি

বটগাছ নিয়ে আমার কোন স্মৃতি নেই,কারন আমার গ্রামে কোন বটগাছ নেই,ছিলোনাও না।বিষয়টা অদ্ভুত লাগলো আপনার লিখা পড়ে,কোনদিন আসলে এমন করে বটগাছকে অনুভব করিনি।তবে নানার বাড়ীতে বটগাছ আছে,তার কথা আজ মনে পড়লো।আর যদি সুযোগ হয় একদিন ঠিকি ঝিনাইদহ যাবো সবচেয় বড় বটগাছ টাকে দেখতে।যথারীতি লেখা ভালো হয়েছে।আরো সুন্দর সুন্দর ছবি বোধহয় দেয়া যেত।ভালোথাকবেন।

মাসুদ সজীব

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।