বৈশাখ মানেই সূর্যের বাহাদুরী। ধানকাটা সারা। খালি মাঠে খাঁ খাঁ রৌদ্রের দোর্দণ্ড প্রতাপ। কৃষকের ব্যস্ততা নাইকো আর। বাগানজুড়ে শুকনো পাতার আস্তর। তপ্ত মরুর নির্জনতা ভর করে মাঠজুড়ে। বাঁশঝাড়ের কঞ্চি-পাতার জটলা থেকে নেমে আসা শ্যামা পাখির সন্তর্পণ পদচারণা। প্রাণহীন দুপরে খসখস মৃদু ভৌতিক আওয়াজ। নির্জনতার বুক চিরে হঠাৎ ছাতারে দলের তীক্ষ্ণ চিৎকার। শিমুল গাছের মগডালে বাজপাখির জাজ্বল্যমান শ্যেন দৃষ্টি। হঠাৎ রকেটের গতি ভর করে তার ডানায়। ছাতারে দলের পাখায় পিস্টনের উল্লাস। ভীত প্রস্থান। জেট বিমানের মত ডাইভ দেয় বাজপাখি, ছোঁ মারে। বাজের নখরে আটকে থাকা ইঁদুর পুর্ণ আত্মসমর্পণে পৃথিবীকে বিদায় জানায় বৈশাখী হাওয়ায় ভেসে। সেকি জানে এই মৃত্যুই তাঁকে আকাশজয়ী করেছে। করেছে অনন্য। দোপেয়ের লাঠির আঘাতে, গর্তে ধুঁকে ধুঁকে, ড্রেনে পচে কিংবা শ্বাপদের নখরে ছিন্নভিন্ন হওয়ার চেয়ে আকাশজয়ী হয়ে মরা কি শ্রেয় নয়?
বাজপাখি উড়ে যায় গ্রীষ্মের লেলিহান শিখার দিকে। বৈশাখের টকটকে বহ্নিশিখা যেন দাউ দাউ করে জ্বলছে কৃষ্ণচূড়ার ডালে ডালে। বাজপাখি সেই আগুনে আত্মাহুতি দেয়; মরণের জন্য নয়, রাজসিক ভোজন পর্বটা মহিমান্বিত করতে।আর অতি ক্ষুদ্র, তারচেয়েও বেশি দুর্বল এক প্রাণীর মৃত্যুকে বিরোচিত মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করতে। যে বৃক্ষটা নিজের রূপ-রস-গন্ধ উজাড় করে তুচ্ছাতিতুচ্ছ এক ইঁদুরের মৃত্যুকে মহিমান্বিত করল, তাকে কী বলবেন পাঠক?
কিছু জীবের জন্মই বোধহয় আলো ছড়ানোর জন্য। নিজের রূপের ঝলকে অন্যকে মোহিত করাই তাঁর মূল উদ্দেশ্য। কৃষ্ণচূড়ার ক্ষেত্রে তা আরও বেশি রাজসিক, আরও স্বর্গীয় প্রচেষ্টা।
কৃষ্ণচূড়ার সাথে আমার সখ্য সেই ছোট্টকালে। গরুর গাড়ি, ঘোড়ার গাড়ির যুগে। দেশভাগ আমাদের গ্রামটা প্রায় পঞ্চাশ বছর অনুুন্নত করে রেখেছিল। বনগাঁকে ওপারে ফেলে তাঁরই একটা অংশ এপারে রেখে দেয়া। আর রেখে দেয়া অংশটার দিকে নজর না দেয়াকে বোধকরি খুব স্বাভাবিক ব্যাপার মনে করেছিল তৎকালীন পাকিস্তান আর অধুনা বাংলাদেশ সরকার। এখন ভাবি, সে-ই ভালো ছিল। তাতে অন্তত আমাদের এলাকায় আবহমান বাংলা স্থায়ীত্ব লাভ করেছিল আরও তিন কি চার দশক। তাই নব্বই দশকের শুরুতে এসেও আমরা নানা বাড়ি যেতাম গরু কিংবা ঘোড়ার গাড়িতে চেপে। ছৈঅলা গাড়ি। দূরত্ব মাত্র ২০/২২ কিলোমিটার। তখন এইটুকু পথ পাড়ি দিতেই দিন কাবার।
বৈশাখের দিনে যখন মামা বাড়ি যেতাম, মাঝে মাঝে থামতে হত। কখনও গরু-ঘোড়াকে পানি খাওয়াতে, কখনও নিজেদের তেষ্টা মেটাতে। প্রথম যাত্রা বিরতিটা হত গুড়দহ বাজারে। এখানেই অনিন্দ্য রূপসী এই গাছটার সাথে প্রথম পরিচয়। বিশাল এক মহিরুহ। ডালে ডালে সবুজ পাতাকে ডিঙিয়ে পসরা সাজিয়েছে আগুনরঙা ফুলের দল। দূর থেকে দেখা, তাই ভালো লাগাটা আরও বেশি করে মনে দাগ কেটে আছে।
প্রিয় সচল, লক্ষ্য করলেই বুঝবেন, ঠিক গাছের নিচেয় দাঁড়িয়ে কৃষ্ণচূড়ার সৌন্দর্য উভোগের চেয়ে, দূর থেকে দেখা একটা কৃষ্ণচূড়া গাছের পূর্ণাঙ্গ অবয়বে কোথায় যেন একটু বেশি নেশা ধরানো, চোখ ঝলসানো রূপ থাকে। আর তা যদি প্রথম দেখা হয়, আজীবন তা গহণ হৃদয়ে রেখাপাত করে থাকবে নিশ্চিত।
মামা পানির সাথে দুটো ডালপুরি এনে দিলেন। ডালপুরির স্বাদও সেই প্রথম। রসনার তৃপ্তির সাথে সাথে চোখ রেখেছি ভূবন ভোলানো গাছটার ওপর। হাটের গাছ, তার ওপর কোত্থেকে এসে জুটেছে একটা দলছুট হনুমান। হাটুরে লোকেরা নানা ফন্দিফিকির করে হুনমানের তামাশা দেখছে। কেউ হয়তো কলা ছুঁড়ে দিচ্ছে, হনুমান সেটা নিয়ে তরতর করে উঠে যাচ্ছে কৃষ্ণচূড়ার মগডালে। গোছা গোছা ফুলের আড়ালে নিজেকে লুকিয়ে হনুমানের সেই ভোজনান্দের দৃশ্য ২০/২২ বছর পরেও মানসপটে গেঁথে রয়েছে পাই টু পাই।
এখন যখন যেখানেই ডালপুরি খেতে বসি, সামনে থেকে প্লেট-গ্লাস কয়েক মুহূর্তের জন্য উবে যায়। একটা আগুনরঙা কৃষ্ণচূড়া, একটা ডালপুরি, একটা হনুমান, তামাশা দেখা হাটুরের দল মিলে একটা পূর্ণাঙ্গ ছবি হয়ে ভেসে ওঠে স্মৃতিপটে। সেই হনুমানটা হয়তো আজ আর নেই। সেই ডালপুরি, থাকার প্রশ্নই ওঠে না। সেই তামাশা দেখা হাটুরে দলের অনেকেই হয়তো চলে গেছে না ফেরার দেশে। অনেকে হয়তো আজও আছে। কিন্তু তারা কি মনে রেখেছে সেদিনের কথা? তারা কি কেউ অবচেতনেও ভেবেছিল, এই যে দৃশ্যের অবতারণা তারা করছে, তা এক টুকরো ছবি হয়ে আজীবনের জন্য খোদিত হয়ে রবে এক শিশুর ছোট্ট বুকে? ভাবেনি, কারও হয়তো মনেই নেই সেদিনের কথা!
আর সেই কৃষ্ণচূড়া? আজও আছে। অন্তত কিছুদিন আগে বাড়ি যাবার সময়েও তাঁকে দেখেছি। তবে সেই মহিরুহটি আর নেই। বয়সের ভারে ন্যুব্জ, দোপেয়ের লালসার শিকার জরাজীর্ণ গুঁড়িটাই কেবল আছে কোনমতে। একটা শাখা-প্রশাখাও নেই, ফুল ফুটবে কোথায়? দু-একটা কচি ডাল হয়তো মাঝে মাঝে বাকল ফুঁড়ে উঁকি মারার চেষ্টা করে। কিন্তু খেলাচ্ছলেই মানুষ সেগুলোও ছিন্ন করে ফেলে। শত শত পেরেকে বিদ্ধ গুঁড়িটায়। আগা-মাথা খেয়েও মানুষের লালসা মেটেনি। চটকদার বিজ্ঞাপনের পেরেকে বিদ্ধ হয়ে যন্ত্রণাময় মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে আজ নস্টালজিয়ার সেই কৃষ্ণচূড়া গাছটা। যে কৃষ্ণচূড়া সামান্য ইঁদুরের মৃত্যুকে রাজসিক করে তুলতে পারে, তার মৃত্যুতে একী দৈন্যতা! হয়তো আমরা বাজপাখি নই, মানুষ বলেই এমনটা সম্ভব!
প্রিয় সচল, কৃষ্ণচূড়া বিলুপ্ত উদ্ভিদ নয়। সত্ত্বর সে বিলুপ্তির পথে হাঁটবে বলেও মনে হয় না। হয়তো অগাধ সৌন্দর্য তাকে আগুন ঝরা গ্রীষ্মে, ঘন মেঘের দুপুরে বাংলার এই সবুজ-করুণ ডাঙায় টিকিয়ে রাখবে।
কৃষ্ণচূড়া বহুবর্ষজীবী চিরহরিৎ বৃক্ষ। বাংলার প্রায় সব গ্রামে, মাঠে, ঘাঠে, নদীর চড়ায় এদের দেখা মেলে। সারা বছর এর দিকে মানুষ তেমন একটা দৃষ্টি ফেরায় না। কিন্তু গ্রীষ্ম এলেই পৃথিবীর রাঙা রজকন্যাদের মতো বাংলার সব রূপ হরণ করে নিজের দিকে মানুষের দৃষ্টি ফেরাতে বাধ্য করে। অবশ্য কাছাকাছি যদি কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী কেউ থেকে থাকে, তবে সে চোখ ঝলসানো সোনালু ফুল।
তারপর কৃষ্ণচূড়ার গায়ে নখ আঁচড়াচ্ছে, সারাদিন সূর্যের পিছনে-পিছনে চলেছে সে।
--জীবনানন্দ দাশ
কৃষ্ণচূড়া গাছ ৬০-৭০ ফুট পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। ছায়া-বহুল শিরীষ জাতীয় বৃক্ষের সাথে এর বেশ মিল আছে।
কৃষ্ণচূড়ার কাণ্ড কালচে ধূসর। অত্যন্ত শক্ত। মসৃণ। কাণ্ড ২৫/২০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। বেশ মোটা, শতবর্ষী কৃষ্ণচূড়া গাছের কাণ্ডের বেড় ১০-১৫ ফুট পর্যন্ত হতে পারে।
কৃষ্ণচূড়ার পাতা অনেকটা শিরীষ বা কড়ই গাছের মত দেখতে। বোঁটা বহুপত্রক। পাতা উপবৃত্তাকার। সবুজ রঙের। পাতলা। পাতার দৈর্ঘ্য সর্বোচ্চ ১ ইঞ্চি। মাঝ বরাবর প্রস্থ আধা ইঞ্চির মতো।
আগেই বলেছি কৃষ্ণচূড়ার যত সৌন্দর্য যত মহীমা সব এর ফুলে। তাই বলে একটা ফুল ছিঁড়ে নিয়ে গোলাপকে যেভাবে বলেন, ‘বাহ!’ সেকথা বলতে পারবেন না কৃষ্ণচূড়ার ক্ষেত্রে।
কৃষ্ণচূড়ার সৌন্দর্যই এর অগণিত সংখ্যার ওপরে নির্ভর করে। তাই দূর থেকে দেখলে চোখ ফেরাতে কষ্ট হবে।
পুষ্পমঞ্জরি বহুপুষ্পক। গুচ্ছ গুচ্ছ ফুল ফোটে মঞ্জরিতে। ফুলের রং রক্তলাল। ফুল গোলাকার। ফুলের ব্যাস ৩-৪ ইঞ্চি। পাঁচটা করে পাপড়ি থাকে প্রতিটা ফুলে। পাপড়ির মাঝখানে ৫-৬ টা লম্বা কিশোর থাকে।
পাঁপড়ি অত্যন্ত পাতলা। পাপড়িগুলো বেশ ফাঁকা ফাঁকা হয়ে সাজানো থাকে। তাই নির্দিষ্ট একটা ফুলকে দেখে অতটা ভালো লাগে না। গাছ দেখতে শিরীষের মতো হলেও শিরীষের সাথে এর ফুলের কোনও মিল নেই।
কৃষ্ণচূড়া ফল দেখতে অনেকটা শিরীষের ফলের মত। তবে অনেক পুরু। আকারেও কিছুটা বড়। ফল লম্বাটে। শিমের মত। তবে লম্বায় প্রায় এক ফুট। ভেতরে ৫-৮ বিঁচি থাকে। বিঁচি দেখতে শিমের বিঁচির মতো, তবে আকারে প্রকারে শিমের বিঁচির তিনগুণ একেকটা। বিঁচির রং টকটকে লাল। বিঁচি দ্বিবীজপত্রি।
কৃষ্ণচূড়ার বৈজ্ঞানিক নাম : Delonix regia.
আগের পর্ব : বাংলার তরু-লতা-গুল্ম-৩০ : সজনে
মন্তব্য
টাইপো আছে, ঠিক করে দিন। কুষ্ণচূড়া = কৃষ্ণচূড়া।
দারুণ দারুণ সব ছবি। দারুণ হয়েছে পোস্টটা।
ধণ্যবাদ পৌঢ়দা।
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
আপনি সচলে লিখছেন অনেকদিন, বেশ নিয়মিতই।
এবং বাংলার তরু-লতা-গুল্ম নিয়ে সিরিজ চালানোর প্রয়াসটা চমৎকার! আন্তরিক সাধুবাদ জানাই।
তবে নীড়পাতায় লেখার যতোটা অংশ দেখা যায়, তাতেই গোটা পাঁচেক (নীর্জনতা> নির্জনতা, ধুকে ধুকে>ধুঁকে ধুঁকে, পুর্ণ > পূর্ণ, আত্মসমর্পনে > আত্মসমর্পণে, বিহ্নশিখা >বহ্নিশিখা) টাইপো খুঁজে পেলে বাকিটা পড়ার মতো আগ্রহ থাকে না আর।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
লেখাটা ওইদিন পোস্টা করে একেদিন দেরি করলেই বোধহয় ভালো হত। ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন।
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
কৃষ্ণচূড়া আমার অতীব প্রিয়। মিরপুরে বাড়ির সামনে আমি নিজেই একটা কৃষ্ণচূড়া গাছ লাগিয়েছিলাম ছোটবেলায়। পরবর্তীতে রাস্তা তৈরির জন্য গাছটি কেটে ফেলা হয়েছিলো। সেই দুঃখ এ জীবনে যাবে না আমার।
এই সিরিজটা ভালো লাগে, তা আগেই বলেছি। তবে বানানের ব্যাপারে আরেকটু সতর্ক না হলে বিপদ।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
গাছকাটার দু:খ আমরও আছে। তাও আবার অতিপ্রিয় কদম গাছ। তারগল্পও করব একদিন।
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
(১) বরাবরের মতই বলি, পছন্দের সিরিজ।
(২) আরো কেউ কেউ যেমন বলেছেন, এতগুলি বানান ভুল বেশ পীড়াদায়ক। পাঠক হিসেবে কি রকম অনুভূতি হয় জানেন? মনে হয় যেন তাকে যাচ্ছেতাই ভাবে অবজ্ঞা করা হচ্ছে - আর বিস্তারিতে গেলাম না।
(৩) বাজ-ইঁদুরের অংশটা ছেলেমানুষী লেগেছে। আর, চন্দ্রবিন্দু ব্যবহার করে 'তার'-কে 'তাঁর'-এ উত্তীর্ণ করে বাজ, ইঁদুর এবং বনগাঁকে ঠিক কি কারণে অমন মহিমান্বিত করার দরকার পড়ল, সেটা বোধের বাইরে রয়ে গেল। অবশ্য সবটাই অনবধানের কারণে ঘটিত বানান ভুল হয়ে থাকলে ভিন্ন কথা।
(৪) এই রকম পোস্টে, যেখানে ছবি আসছে পরিচয় করানোর জন্য, একই রকম অনেক ছবি, পোস্টের জমাটি ভাবটা লঘু করে ফেলে। একটু বাছাই করে, বিষয় এবং আঙ্গিক দুদিক থেকেই বিবেচনার যোগ্য, তুলনায় স্বল্পসংখ্যক এমন ছবি দিয়ে পোস্ট সাজালে সেটি আরো মনোগ্রাহী হয়ে উঠবে বলে মনে হয়। ভেবে দেখার অনুরোধ রইল।
দীর্ঘ এবং কড়া ধরণের মন্তব্য করলাম, সমালোচনার পর্যায়েই চলে গেল সম্ভবতঃ। আসলে আপনার কাছে দাবী জানালে এই সিরিজটা আমার মনের মত হবে, এবং হলে সেটা খুব ভাল একটা সৃষ্টি হবে এই ধরণের প্রত্যাশা থেকেই এত কথা বলা হয়ে গেল। ভাল থাকবেন, পরের পোস্টের অপেক্ষায় থাকলাম।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
facebook
অনেক অনেক তথ্য ! রাঁধাচূড়া নিয়ে কবে লিখবেন?
facebook
রাঁধাচূড়া নিয়ে শৈশব স্মৃতি নেই, তাই একটু আবেগের মিশ্রণ ঘটিয়ে লিখৈতে পারছি না। তবে লিখব। সোনাুলু আর তালের পোস্ট দিয়ে নিই আগে।
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
ধন্যবাদ, আপনার দীর্ঘ মন্তব্যের জন্য। দায় স্বীকার করছি, যেভাবেই আত্মপক্ষ সমর্থন করি না কেন, সেটা অজুহাত হয়ে যাবে। তাই সেদিকে গেলাম। ধন্যবাদ, আপনার পরামর্শের জন্য।
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
আপনি একটা কাজের কাজ করছেন; একসময় এই সিরিজটা আপনার খুব মূল্যবান একটা সম্পদ হয়ে দাঁড়াবে।
ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .
দেখা যাক কতদূর গিয়ে দাঁড়ায়। সামনে জুলাইয়ে পরিবেশ দিবসে “বাংলার তরু লতা গুল্ম” বইটা বাজারে আসবে আশা রাখছি। সম্পূর্ণ রঙিন, আর্ট পেপারে, দামটাও হাতের নাগালে রাখার চেষ্টা থাকবে। বানানগত ত্রুটি দক্ষলোক দিয়ে ঠিক করে ফেলা হবে।
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
রনির এই লেখাটা খুব ভাল লাগলো, বিশেষ করে কৃষ্ণচুড়া নিয়ে সুদীর্ঘ কাব্যধর্মী উপস্থাপনার জন্য, (Y)। তবে ছবির প্রয়োগ একটু পরিমিত হলে বোধ হয় ভাল হতো, একই ধরনের একাধীক ছবি এসে গেছে।
ধন্যবাদ ভাই। ছবি একটু বেশিই হয়ে গেছে। আগামীতে পরিমিতিবোধ জাগ্রত করব।
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
নতুন মন্তব্য করুন