কুসংস্কারে কুঠারাঘাত-২ : বেঁশোভূতের খপ্পরে

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি
লিখেছেন আব্দুল গাফফার রনি [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ২৭/০৫/২০১৪ - ৫:২৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মাঠে মাঠে ঘোরা আমার ছেলেবেলার অভ্যাস। আমাদের একটা বাগান ছিল। একপাশে বাঁশবন আরেক পাশে দেশি আমের সারি। ঠিক দুপুরের বাগানে বসে আপন মনে খেলতে ভালবাসি। ঠিক খেলা নয়, ছেলেমানুষী। বুনো লতা পাতার গায়ে হাত বোলানো, কোন গাছে কটা ফল ধরেছে তা গুণে দেখা, শুভ্রপালক শাহ বুলবুল পাখির পেছনে বাগানময় ঘোরা--ছেলে মানুষী ছাড়া কী! নিরিবিলি খেলতে ভালবাসতাম, তেমনি ভয়ও পেতাম খুব। বেঁশেভূতের ভয়। মধ্যদুপুরেই তাদের যত বাহাদুরি। তাই মা-দাদিরা ঠিক দুপুরে মাঠে যেতে মানা করতেন। ভয় পেলেও তাঁদের নিষেধ সব সময় কানে তুলতাম না। তাঁদের দুপুর ঘুমের সুযোগ কাজে লাগিয়ে বেরিয়ে পড়তাম বাগানপানে। ভূতের ভয় যেমন আছে, ভয়ের ওষুধও আছে আমার কাছে। শুনেছি আগুন আর লোহাকে যমের মতো ভয় পায় ভূতেরা। শুধু বেঁশেভূতই নয়, সবরকম ভূতই আগুন আর লোহাকে ভয় পায়। তাই কখনো দা কিংবা লোহার শিক হাতে, কখনোবা একটা দিয়াশলাই পকেটে পুরে চলে যেতাম বাগানপানে।
আপন মনে হয়তো খেলছি, কটকট করে কলজে কাঁপনো একটা শব্দ ভেসে এলো বাঁশঝাড়ের ভেতর থেকে। প্রথমে একটু চমকে যাই, তারপর দা কিংবা শিকটা শক্ত করে ধরে সাহস ফিরে পাই। জানি, এটা যখন আমার হাতে আছে, তখন ভূত জ্বিনের সাধ্য কী আমার ক্ষতি করে! আরেকটা ভয়ও খুব বেশি পেতাম। লোকমুখে প্রচলিত ছিল, ঠিক দুপুরে মেঠোপথের কোনো পথিকের সামনে হঠাৎই নুয়ে পড়ে রাস্তার পাশের কোনও বাঁশ। পথিক তখন ভালোমনে বাঁশটাকে ডিঙিয়ে পার হতে যায়। অমনি বাঁশটা হঠাৎ সোজা হয়ে যায়। পথিকে নিয়েই বাঁশ সোজা হয়। ফলে পথিক চিৎপটাং হয়ে উঠে যায় একেবারে বাঁশের মাথায়, নইলে মাঝপথ থেকেই ধম করে পড়ে মাটিতে! এতে মারত্মক আঘাত পায় পথিক। কখনও মরেও যায়।
মুখে মুখে প্রচলিত বেঁশোভূতের এই গল্প কেবল শোনাই যায়। ‘দেখেছি’ বলতে পারে এমন মানুষ দেখিনি। তবে ঘটনা একেবারে মিথ্যে নয়। মাঝে মাঝে কিছু ঘটে বলেই কিছু রটে। গাঁয়ের মানুষের কাছে এর সমাধানও ছিল। তাঁদের ধারণা এসব বেঁশোভূতের শয়তানী। পথিককে একা পেয়ে ব্যাটা ইচ্ছে করেই একটা বাঁশ রাস্তার ওপর নুয়ে ফেলে। পথিক যখন পার হতে যায়, তখন সে বাঁশটা ছেড়ে দেয়।
পাজি ভূতকে শায়েস্তা করার ওষুধও গ্রামবাসীদের জানা আছে। কেউ কখনো এমন অবস্থায় মুখোমুখি হলে তার উচিৎ ভয় না পেয়ে ওই বাঁশ এড়িয়ে যাওয়া। তখন হয়তো বেঁশোভূত সামনের কোনও ঝাড় থেকে আরেকটা বাঁশ ফেলে দেয়। পথিক যদি একের পর এক সবকটা বাঁশ এড়িয়ে যায়, তখন বেঁশোভূত বিরক্ত হয়ে তাকে ছেড়ে যায়। বেঁশোভূতকে শায়েস্তা করার আরেকটা উপাও গ্রামবাসীর জানা আছে। পথিককে সবার আগে বুকে সাহস বাঁধতে হবে। তারপর আশেপাশে খুঁজে দেখতে হবে মোটা-শক্ত কোনও লাঠি পাওয়া যায় কিনা। আর হাতে যদি একটা লাঠি থাকে, তা হলে তো কথাই নেই। সজোরে লাঠি দিয়ে কষে এক বাড়ি বসিয়ে দিতে হবে বাঁশের গায়ে। সেই বাড়ি অদৃশ্য ভূতের গায়ে লাগবে । বোঁশোভূত পালাবে তখন বাপরে-মা-রে বলে। হেলে পড়া বাঁশও তখন যাবে সোজা হয়ে। পথিকের পথ তখন পরিষ্কার।
বেঁশোভূত যেমন বিশ্বাস, করতাম ভয়ও খেতাম তাকে। তেমনি ভূত শায়েস্তা করার কায়দাটাও বেশ সাহসের সাথে কাজে লাগাতাম। কিন্তু হায়! মাঠে যাবার পথে হেলে পড়া বাঁশকে লাঠি কিংবা দা দিয়ে কত পিটিয়েছি, তাতে কেবল বাঁশের গায়ের নুনছালই উঠেছে, বেঁশোভূতের গায়ে আঁচড়টিও লাগেনি। ভূত থাকলে না ভূতের গায়ে আঁচড় লাগবে! লাঠি-দায়ের আঘাতে কাজ হত না বলে প্রায়ই ওই পথ ছেড়ে ঘুরপথে ফিরে যেতাম। সাহস পেতাম না বাঁশ ডিঙোতে। বড়দের জিজ্ঞেস করলে বলত, আজকালকার জ্বিন-ভূতেরা বড্ড শেয়ানা হয়ে গেছে। লাঠির আঘাতে ওদের কিছু হবে না। ভয়টা তখন এক লহমায় দ্বিগুণ হয়ে যেত।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই বেঁশোভূতের কাণ্ডকীর্তি, রাস্তায় বাঁশ ফেলে দেয়া, লাঠির আঘাতে বাঁশ সোজা হয়ে যাওয়া--এগুলো কি শুধুই গালগল্প? নাকি সত্যিই কোনও কাহিনী আছে?
যা রটে তা কিছু কিছু বটে। প্রত্যেকটা কুংস্কার, প্রত্যেকটা রটনার পেছনে কোনও না কোনও ঘটনা থাকে। বাঙালিরা সবসময় পৃথক পৃথক ঘটনার পরম্পরা খুঁজে একই পন্থায় সব সমাধানের চেষ্টা করে।

ব্যাখ্যা

প্রথমেই আসি, বাঁশের কটকট শব্দ করার বিষয়টাতে। বাঁশ ৬০-৭০ ফুট উঁচু হয়। তবে বৃক্ষ নয়। ঘাস জাতীয় উদ্ভিদ। বলা চলে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ তৃণ হলো বাঁশ। তাই বৃক্ষের মতো এর কাণ্ডের ভেতরটাও নিরেট নয়, ফাঁপা। আধাফুট দূরে দূরে একটা করে গিঁঠ। ভেতরটা ফাঁপা হওয়ার কারণে বাঁশ অন্য উদ্ভিদের মতো দৃঢ় নয়। তাছাড়া বাঁশের আগার দিকে কঞ্চি থাকে অনেক বেশি। অনেক বড়ও হয় সেগুলো। তাই আগার দিকটা ভারি হয়ে যায়। তখন বাঁশের ওপর মহাকর্ষ বলের প্রভাব ভালোই কাজ করে। সব তৃণের মতো বাঁশেরও হেলে পড়া ভাব এসে যেতে বাধ্য। কিন্তু চারা বা কোঁড়া বাঁশের হেলে পড়া ভাব থাকে না। বাঁশ অনেক বড় হলে পরিণত হওয়ার পর তার আগাটা ক্রমেই ভারী হতে শুরু করে। এ প্রক্রিয়া এক দিনের নয়, কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস পর্যন্ত চলে। ধীর এ প্রক্রিয়ায় প্রধান বাধা বাঁশের ভেতরকার তন্তু। মহাকার্য বল যতই তাকে নুয়ে ফেলার চেষ্টা করুক, বাঁশের শরীরের ভেতরে তন্তুগুলো কিছুটা হলেও বাধা দেয়ার চেষ্টা করবে। আর তখনই কটকট শব্দ হয় বাঁশঝাড়ে। ঠিক দুপুরে মাঠ প্রায় নির্জন থাকে। সুনসান নির্জনতায় সামান্য শব্দও অনেক দূর থেকে শোনা যায়। গাঁয়ের মানুষ এতসব ব্যাখ্যার ধার ধারে না। তারা ভয় পেতে ভালোবাসে। নির্জন বাঁশঝাড়ে হঠাৎ কটকট শব্দ হলে তারা থমকে তাকায়। কিন্তু শব্দের উৎস খুঁজে পায় না। ফলে কাল্পনিক বেঁশোভূত সার্থক করে তার ভয় পাওয়াটাকে।
দুপুরে বাঁশ কটকট করার আরও একটা কারণ আছে। বিশেষ করে গ্রীষ্মের দুপুরে। প্রচণ্ড দাবদাহের কারণে বাঁশের ভেতরের তন্তুগুলোর ভেতর ফাটল ধরে। সে সময় যদি একে কোনভাবে মোচড়ানো যায় তবে কটকট শব্দ তো হবেই। এখানে মোচড়ানোর কাজটা করে মহাকর্ষ ক্রিয়া। তাই চৈত্র থেকে জ্যৈষ্ঠ মাসের দুপুরেই কটকটে ভূতের আনাগোনা বাঁশবাগানে বেশি।
এবার দেখা যাক পথরোধ করা ভূতের ব্যাপারটা। কেউ কি দেখেছে এঘটনা? আমি এমন কাউকে পায়নি যে নিজে দেখেছে। কেউ বলে তার চাচা দেখেছে, সেই চাচা আবার দশ বছর আগেই পটল তুলেছে। কেউ বলে তার অমুক আত্মীয় দেখেছে। কিন্তু সে থাকে অনেক দূরে। সুতরাং বেঁশোভূত দেখেছে এমন কাউকে পাওয়া যায় না। তাহলে রটনাটা রটল কীভাবে? নিজে ভেবে ভেবে যে উত্তর পেয়েছি, তাই তুলে ধরলাম।
ধরা যাক একজন চাষা তার গরু-বাছুরের পাল নিয়ে মাঠে যাচ্ছেন। রাস্তায় পড়ল হেলে পড়া এক বাঁশ। এমন ভাবে হেলে আছে, এর নিচ দেয়ে গরু পার করার পর্যাপ্ত জায়গা নেই। আবার বাঁশ যে লাফিয়ে পার হতে হয়, সে বুদ্ধিও গরুর নেই। যদি নিজে ইচ্ছা না করে শত চেষ্টা করেও চাষা গরুকে দিয়ে লাফিয়ে বাঁশ ডিঙোতে পারবে না। বেশি চেষ্টা করতে গেলে গরু বিগড়ে যেতে পারে। তখন চাষার সামনে সবচেয়ে ভালো বুদ্ধি বাঁশটাকে আরেকটু হেলিয়ে নিচ করে ফেলা। গরু সহজেই তখন বাঁশ ডিঙোতে পারবে।
সাধারণত মেঠোপথের দুদিকেই গাছাপালা বা বাঁশঝাড়ের অভাব হয় না। হেলে যাওয়া বাঁশটাকে চাষা উল্টো দিকের কোনো গাছ বা বাঁশ ঝাড়ের সাথে বেঁধে ফেলতে পারে। এমনভাবে বাঁধতে হবে যেন বাঁশ টানটান হয়ে রাস্তায় শুয়ে পড়ে।
এখন প্রশ্ন হতে পারে, চাষা দড়ি পাবে কোথায়?
গায়ের মাঠে কখনও দড়ির অভাব হয় না। দড়ির মতো ব্যবহার করা যায় এমন লতার অভাব নেই মেঠোপথে। তাছাড়া কিছু গুল্মের ছালও ভালো দড়ির কাজ করে। এভাবে বাঁশটা বেঁধে সেটা ডিঙিয়ে আমাদের ওই চাষা চলে যায় নিজের গন্তব্যে। এরপর আসে পথিক। সে রাস্তায় শুয়ে পড়া বাঁশ পার হতে গিয়ে ঘটিয়ে ফেলে বড় এক বিপত্তি। তার লুঙ্গির সাথে আটকে য়ায় বাঁশের কেটে ফেলা কোনাও কঞ্চির চোখা আগা। পথিক হুমড়ি খেয়ে পড়ে। টান লাগে বাঁশের লতায় বাঁধা আগায়। তাতে যেনতেন প্রকারে বাঁধা লতাটা যায় ছিঁড়ে। মুক্ত হয় বাঁশ। পথিককে নিয়ে উঠে যায় বেশ খানিকটা উপরে। তারপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আছড়ে পড়ে রাস্তার ওপর। বিহ্বল পথিক কিন্তু খেয়ালই করেনি লতায় বাঁধা বাঁশের আগাটার দিকে। সে দেখে, বাঁশ যে-ই ডিঙোতে গেছে, অমনি অদৃশ্য শয়তান ভূতটা বাঁশটাকে উঁচু করে ধরেছে। বাড়ি ফিরে সে বউ-ছেলেমেয়ে-প্রতিবেশিদের কাছে বেঁশোভূতের খপ্পরে পড়ার কাহিনীই তো বলবে!
এবার দেখা যাক লতায় বাঁধা বাঁশ দেখে সাহসী পথিক কী করে। পথিকের জানা আছে, বেঁশোভূতের শয়তানীর কথা। সে দেখবে, পথের মাঝখানে সটান আস্ত একটা বাঁশ, তখন বেঁশোভূতের কথা মনে পড়বে। ভূতকে কীভাবে শায়েস্তা করতে হয় সেকথাও মনে পড়বে। আশপাশ থেকে একটা ভারী লাঠি কুড়িয়ে নিয়ে বাঁশের গায়ে বসিয়ে দেবে জোরসে ঘা। এই আঘাত থেকে যে বলের সৃষ্টি হবে তার একটা অংশ ব্যয় হবে লতা ছিঁড়তে। লতায় বাঁধার কারণে যে বলটুকু বেঁধে রাখা হয়েছিল সেটাও মুক্ত হবে। সুতরাং দুই বল মিলে যে কাজটা করবে তাতে বাঁশটা আগে যে পর্যন্ত হেলে ছিল তারচেয়েও বেশি ওপরে উঠে যাবে। সাহসী পথিক তখন দেখবে কীভাবে সে বেঁশোভূতকে শায়েস্তা করেছে। এককান, দুকান হয়ে সেই ঘটনা ফুঁলে-ফেঁপে ছড়িয়ে পড়বে দূর দূরান্তে।

এই সিরিজের অন্য লেখা--গোরস্থানের বিভীষিকা


মন্তব্য

ধুসর গোধূলি এর ছবি

তেনারা আছেন, তেনাদের থাকা নিয়ে না-থাকার ব্যাখ্যা দিলে তেনারা বিলকুল গোস্বা করবেন।

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

আমিও তাই চাই, আমার সামনে পড়লে পেদিয়ে ব্যাটাদের বোতলবন্দী করব--এই বলে রাখলাম।

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

অতিথি লেখক এর ছবি

আমাকে কিন্তু এক বোতল জ্বীন-ভুত দিতেই হবে, এলাকার লোক বলে কথা

----ইমরান ওয়াহিদ

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

অবশ্যই দেব দেঁতো হাসি
কোথায় বাড়ি আপনার?

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

অতিথি লেখক এর ছবি

একই জেলায়, আলাদা থানায়। আমি সদর, আপনি নগর

----ইমরান ওয়াহিদ

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

আমার থানার সাথে পুর আছে, নগর তো নেই। আমার বাড়ি মহেশপুর, জীবননগর নয়।

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

অতিথি লেখক এর ছবি

তাইলে তো জেলাও চেঞ্জ। তপে কি আমি এক বুতল জ্বিন পাবো না

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

আমার বাড়ি মহেশপুর হলেও জন্ম চুয়াডাঙা উপজেলায়, তার মানে মাতৃভূমির লোক আপনি। বুতল জ্বিন আপনারই প্রাপ্য। তবে ঠ্যালা সমালাতে পারবেন তো?

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

অতিথি লেখক এর ছবি

আরব্য রজনী পড়া আছে। কুনু সমিস্যা নাই

----ইমরান ওয়াহিদ

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

চলুক

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

অতিথি লেখক এর ছবি

পর্যবেক্ষণ শক্তি আপনার অনেক ভাল,বিশ্লেষণী ক্ষমতাও দারুণ|

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-
নাম কই আপনার?

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

মেঘলা মানুষ এর ছবি

ভাল লাগলো লেখাটা। কেমন শার্লক হোমসের মত করে রহস্য বের করে ফেললেন‍!

শুভেচ্ছা হাসি

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

সর্বনাশ, কার সাথে কার তুলনা ইয়ে, মানে...
ধন্যবাদ

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

মরুদ্যান এর ছবি

চলুক

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

এক লহমা এর ছবি

বাঃ বাঃ বাঃ, বেশ, বেশ, বেশ! এই রকম করেই বেঁশোভূতেদের জারিজুরি ফাঁস করতে লাগে! দেঁতো হাসি

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

দেঁতো হাসি ধন্যবাদ

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

অতিথি লেখক এর ছবি

ব্যাখ্যাসমেত লেখাটা ভালো লেগেছে।

গোঁসাইবাবু

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

গোঁসাইবাবু, সত্যি করে বলেন তো আপনার কাছে কয়টা ভূত আছে?

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

অতিথি লেখক এর ছবি

ওনারা কিন্তু মাইন্ড খাইছেন। বোতল-পাতল, লাঠি-ফাঠিতে কিন্তু কোন কাজ হবে না। বাঁশ বাগানের তলায় গেলেই খালাস।
লেখা পড়ে ভাল লাগল।
-এ এস এম আশিকুর রহমান অমিত।

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

ছোটকালে যখন খালস হইনি, এখন আর সে ভয় নেই। গায়ের জোর অনেক বেড়েছে না চাল্লু

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

আরে আপনি তো দেখি ভালো ওঝা!!! চলুক

প্যারাগুলোর মাঝে একটা করে লাইন গ্যাপ দিলে পড়ে আরাম পেতাম।

____________________________

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

চাল্লু হঁ, ভালা ওঝা।
ঠিক আছে আগামীতে গ্যাপ দেব।

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

অতিথি লেখক এর ছবি

ধলেশ্বরীর মত ঢেউ,
কোথাও কী পাবে কেউ?

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

কোবতে দিয়ে কি বুঝাইতে চাইলেন, কিছুই বুঝলাম না। অ্যাঁ
নামও তো লেখেননি? এটা করবেন না। মন্তব্য করলে অবশ্যই নিচে নাম লিখবেন।

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

অতিথি লেখক এর ছবি

চমৎকার! আপনার আগের লেখাটি ‘গোরস্থানের বিভীষিকা’-ও ভালো লেগেছিল। এটাও ভালো লাগলো। চালিয়ে যান....

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

ধন্যবাদ, আপনারও দেখি একই অবস্থা। নাম লেখেন নি, যতবার যেখানেই মন্তব্য করেন নিচে অবশ্যই নাম লিখবেন।

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

অতিথি লেখক এর ছবি

জেনে খুশি হলাম যে বাঁশ ভূতরা আর বাঁশ দেবার সময় পাচ্ছে না। তবে জ্বীনরা এখন বাংলাদেশের মানুষদের বাঁশ দিয়েই চলেছে।
ওরা হয়তো একটু বেশিই বেপরোয়া!
জ্বীনদের থামানোর উপায়টা বলে দিলে ভাল হত!
চার্বাক সুমন

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

হো হো হো হো হো হো হো হো হো

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

অতিথি লেখক এর ছবি

ভালো লিখেছেন রনি।
ভালো লাগলো।

ভালো থাকবেন।
শুভেচ্ছা জানবেন।

-------------------------
কামরুজ্জামান পলাশ

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

কাল্পনিক এর ছবি

আরেকটি চমৎকার লেখার জন্য আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- লেখককে।

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

আপনাকেও ধন্যবাদ পড়ার জন্য

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।