কুসংস্কারে কুঠারাঘাত-৩ : কালকেউটের ছোবল

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি
লিখেছেন আব্দুল গাফফার রনি [অতিথি] (তারিখ: শনি, ৩১/০৫/২০১৪ - ৮:১৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

যেহেতু অনেক পাঠক এই পোস্ট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তথ্যসূত্র চেয়েছেন, পর্যাপ্ত তথ্যসূত্র আমার হাতে নেই, তাই পোস্ট থেকে লেখাগুলো সরিয়ে ফেললাম। যারা আমার কথায় আঘাত পেয়েছেন, তাদেরকে আঘাত দেয়ার জন্য আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত।

এই সিরিজের অন্য লেখা--১)গোরস্থানের বিভীষিকা ২)বেঁশোভূতের খপ্পরে


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখাটা ভালো লেগেছে। নানা রকম সাপের কথা জানতে পারলাম।

ফাহিমা দিলশাদ

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

ধন্যবাদ, শুভকামনা রইল।

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

মেঘলা মানুষ এর ছবি

চমৎকার হয়েছে এই পর্বটা হাততালি

আচ্ছা, শুনেছি সাপের প্রতোষেধক ব্যবহারের আগে নাকি জানা দরকার কোন ধরণের সাপে কামড়েছে, সেই অনুযায়ী ওষুধ দেয়া হয়। এটা কি সঠিক?

শুভেচ্ছা হাসি

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

হ্যাঁ জানা দরকার। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগি সাপ চিনতে পারে না। কিন্তু বিষ তো রাসায়নিক বস্তু, তাই তা বিশ্লেষণ করে ডাক্তার বুঝতে পারেন কোন সাপে কেটেছে।

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

তিথীডোর এর ছবি

কেঁউটে নয়, কালকেউটে।
কুঠারাঘাত করার সময় দয়া করে চন্দ্রবিন্দুগুলো খেয়াল করবেন।

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

হ্যাঁ, তাইতে, ধন্যবাদ।

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

সত্যপীর এর ছবি

চমৎকার লাগল.

..................................................................
#Banshibir.

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

ধন্যবাদ, পীর দা।

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক কিছু জানলাম এবং পড়ে ভাল লাগল| ধন্যবাদ!-মোঃ জাকির হোসেন

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

ধন্যবাদ, আপনাদের ভালো লাগলে নিজেরও ভালো লাগে।

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

এক লহমা এর ছবি

লেখা খুবই ভাল লেগেছে। কিন্তু
(১) বানান-এর জন্য ভালোরকম যত্ন নেওয়া দরকার
(২) এটি কিভাবে হয়েছে জানি না, প্রথম দু'টি অনুচ্ছেদ দু'বার এসেছে। অনুচ্ছেদ দু'টির মাঝে কোন ফাঁকও নেই।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

ধন্যবাদ দিদি, আসলে অনেক চেষ্টা করার পরও কিছু ভুল আমার থেকেই যায়।

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

অতিথি লেখক এর ছবি

খুবই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেলাম। এই সব তথ্য আমাদের গ্রাম-গঞ্জের মানুষের জন্য খুবই দরকার। আশা করি এই ধরণের উপযুগী তথ্য আরও পাব।
-এ এস এম আশিকুর রহমান অমিত।

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

সেই চিন্তুা থেকেই লেখা। বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে।

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

বিজ্ঞান এবং জীববিজ্ঞান এইদুটো ট্যাগ না থাকলে হয়তো লেখাটাকে এড়িয়ে যাওয়া যেত। এইরকম অসংখ্য লেখা চোখে পড়ে, এড়িয়ে যেতে হয়। আমার মনে হচ্ছে এই লেখাটিতে দেয়া অনেকগুলো "বৈজ্ঞানিক তথ্য' আপনার নিজের মস্তিস্কপ্রসূত। এক এক করে আসছি।

আপনি বলছেন,

সাপের আত্মরক্ষার ব্যবস্থা তার বিষে।

অথচ কমবেশি ২৫ ভাগ সাপের বিষ আছে। বাকিদের আত্মরক্ষার ব্যবস্থা কীসে? আপনি বলেছেন প্রকৃতি তার সন্তানদের ভেতর আত্মরক্ষার ব্যবস্থা করে দেয়। প্রকৃতি যে চিন্তাশীল সেইটা আপনাকে কে বলল? লাখে হাজারে প্রজাতি যে টিকতে না পেরে ধ্বংস হয়ে যায়/গেছে তাদের ব্যপারে প্রকৃতির মতামত কী?

সাপ যদি অতি নিরীহ না হত, ঘটে সামান্য বুদ্ধি থাকত--তার বিষের যে তেজ তাতে সহজেই প্রাণী রাজ্যে ছড়ি ঘোরাতে পারত।

আপনার তো বুদ্ধি আছে। আপনাকে এক বালতি সাপের বিষ দিয়ে দিলে প্রাণিরাজ্যে ছড়ি ঘোরাতে পারবেন?

ভাগ্যিস ওদের বুদ্ধি তেমন নেই বললেই চলে। অথচ সাপের বুদ্ধি নিয়ে কত রমামের ভুল ধারণা সমাজে প্রচলিত আছে।

বুদ্ধিমত্তা কী? স্মার্টফোন ব্যবহার করতে পারলে একটা প্রাণি বুদ্ধিমান?

সাপের দৃষ্টির শক্তির মত ঘ্রাণ শক্তিও অতি দুর্বল।

কোথায় পেয়েছেন এই তথ্য?
সাপ বাতাসের রাসায়নিক উপাদান যাচাই করে শত্রু/শিকার চিনতে পারে। ওইটাই সাপের ঘ্রাণশক্তি। সাপের দৃষ্টিশক্তি দূর্বল। কিন্তু অনেক প্রজাতি থার্মাল রেডিয়েশনও সনাক্ত করতে পারে।

জঙ্গলের বিজ্ঞানী জিম করবেট একটা কথা লিখেছিলেন।

জিম করবেট একজন বিজ্ঞানী এই কথা আপনাকে কে বলল? বনবিজ্ঞানী ছিলেন নাকি উনি? কোথায় গবেষনা করতেন?

কিন্তু সাপের মস্তিষ্ক কার্বলিক অ্যাসিডে অত্যন্ত সংবেদনশীল। কার্বলিক অ্যাসিড নিঃশ্বাসের সাথে সাপে মস্তিষ্কে একটু বেশি পরিমাণে পৌঁছালে সাপের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

এই তথ্যের সূত্র দেন। আলোকিত হই।

সাপ যদি রেগে গিয়ে কখনও তেড়ে আসে তখন উচিৎ সোজা না দৌড়ে এঁকেবেঁকে একদিক-সেদিক দৌড়ানো। সোজা দৌঁড়ালে আপনি সাপের সাথে পারবেন না। কিন্তু এঁকেবেঁকে দৌড়ালে সাপ আপনার সাথে পারবে না। কারণ এঁকেবেঁকে দৌড়াতে গেলে প্রতিবার বাঁক ঘোরার সময় সাপকে থামতে হবে। একান্তই যদি দেখেন সাপের সাথে দৌড়ে পারছেন না, তবে গায়ের জামাটা খুলে সাপের সামনে ফেলে দেবেন। সাপ আপনাকে ভেবে আপনার জামার ওপর ছোবল দিতে থাকবে।

এইসব আইডিয়ারও সূত্র দেন। আলোকিত হয়ে মরি।
সাপের দৌড়ের সর্বোচ্চ গতি কীরকম হতে পারে জানতে চেষ্টা করে দেখেছেন? মানুষ প্রয়োজনে কম দূরত্ব কত বেড়ে দৌড়তে পারে সেটা ভেবে দেখেছেন? (বইলেন না বাংলাদেশে ব্লাক মামবা থই থই করতেছে!)

কাহিল হয়ে গেলাম। বিজ্ঞান বিষয়ক আপনার সব লেখায় কি আপনি আপনার "ধারনা'-কে শুদ্ধ বৈজ্ঞানিক তথ্য হিসেবে উপস্থাপন করেন?

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

অতিথি লেখক এর ছবি

মনের কথা গুলো লেখার জন্য ধন্যবাদ। আরেকটি পয়েন্ট মনে হয় বাদ পড়েছে।উরুক্কু সাপ যেহেতু উড়ে উড়ে মাথায় কামড় দেয়, বাচার সম্ভাবনা কম। এটার ও কোনো ব্যাখ্যা আছে বলে মনে হয়না।

ইশতিয়াক

মেঘলা মানুষ এর ছবি

গ্রামের লোকের ধারণা এক ধরনের উড়ুক্কু সাপ আছে। এরা উড়ে উড়ে মানুষের মাথায় কামড়ায়। তাই এ সাপ কাটা রোগিকে বাঁচানো প্রায় অসম্ভব।

-এখানে লেখক গ্রামের লোকের ধারণা -টা বলছিলেন। তিনি পড়ে এটার ব্যাখ্যা দিয়েছেন, কেন মানুষ মনে করে এটা উড়তে পারে। উড়ে উড়ে কামড়ায় -এটা লেখকের বিশ্বাস নয়।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

মুছে দেয়া মন্তব্য

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

সহমত, মেঘলা মানুষ

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

এ বিষয়টা সম্পূর্ণ ভ্রান্ত সেকথা তো বলেছিই।-

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

ঘাট হয়েছে মশায়। বিজ্ঞান, বিজ্ঞান এই দুটো ট্যাগ দিয়ে ভুল করেছি, থুড়ি অন্যায় করেছি। তাই ট্যাগদুটো তুলে নিলাম। কথা দিচ্ছি ভবিষ্যতে আমার কোন লেখায় আমি আর বিজ্ঞান কথাটা ট্যাগ করব না। আমার তুচ্ছাতিতুচ্ছ লেখা আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করেছে জেনে আমি দু:খিত ও লজ্জিত।

সাপের আত্মরক্ষার ব্যবস্থা তার বিষে।অথচ কমবেশি ২৫ ভাগ সাপের বিষ আছে। বাকিদের আত্মরক্ষার ব্যবস্থা কীসে? আপনি বলেছেন প্রকৃতি তার সন্তানদের ভেতর আত্মরক্ষার ব্যবস্থা করে দেয়। প্রকৃতি যে চিন্তাশীল সেইটা আপনাকে কে বলল? লাখে হাজারে প্রজাতি যে টিকতে না পেরে ধ্বংস হয়ে যায়/গেছে তাদের ব্যপারে প্রকৃতির মতামত কী?

এখানে সাপ কীভাবে আত্মরক্ষা করে সেটা মূল আলোচনার বিষয় ছিল না। বরং সাপের কাছ থেকে কীভাবে মানুষ রক্ষা পেতে পারে সেটাই আলোচনার বিষয়। আর বিষধর সাপ নিয়ে যেহেতু আলোচনা তাই অন্যসাপের দিকে যায়নি। গেলেই বা কী, অতকিছু তো আমি জানিই না।

আপনার তো বুদ্ধি আছে। আপনাকে এক বালতি সাপের বিষ দিয়ে দিলে প্রাণিরাজ্যে ছড়ি ঘোরাতে পারবেন?

সবার বুদ্ধিমত্তা এক নয় সেটা তো মানেন? আর স্মার্টফোন ব্যবহার ওপরই কি বুদ্ধিমত্তার মাপকাঠি নির্ধারিত হয়?

সাপের দৃষ্টির শক্তির মত ঘ্রাণ শক্তিও অতি দুর্বল।

দুর্বল কিনা সেটাই বলুন না। কুকুর কিংবা হাতির মতো তো নয়। কত দুর্বল সেটা আমার জানা নেই।

জিম করবেট একজন বিজ্ঞানী এই কথা আপনাকে কে বলল? বনবিজ্ঞানী ছিলেন নাকি উনি? কোথায় গবেষনা করতেন?

জিম করবেটকে জঙ্গলের বিজ্ঞানী আমিই বলেছি। আপনাকে এই মত মানতেই হবে, এই দিব্যি আমি দিইনি বা দেবার অধিকারও আমার নেই। আর বিজ্ঞানী হতে হলে তাকে কি ল্যাবরেটরি বানিয়ে নয়তো পেপাের রেডি করে জার্নালে ছাপতে হবে, সবসময়ই এমনটা হতে হবে? পাখি, কাকার বা রুরু হরিন কীভাবে বাঘ-লেপার্ডের অস্তিত্ব জানান দেয়, হরবোলা ভীমরাজ অন্য জন্তু জানোয়ারের ডাক কীভাবে নকল করে--এগুলো আবিষ্কার করা, মাটিতে দাগ কেটে নিজস্ব জ্যামিতি ব্যবহার করে পালের হরিণ সংখ্যা নির্ণয় করা-- গহীন জঙ্গলের খুটিনাটি নানা বিষয় যা মানুষেআগে জানত না, সেগুলোর নিখুত ভাবে বিশ্লেষণ কি গবেষণার পর্যায়ে পড়ে না? আপনার কাছে নাও হতে পারে। কিন্তু করবেটের ‘জাঙ্গল লোর’ পড়ে আমার তা-ই মনে হয়েছে।

সাপ যদি রেগে গিয়ে কখনও তেড়ে আসে তখন উচিৎ সোজা না দৌড়ে এঁকেবেঁকে একদিক-সেদিক দৌড়ানো। সোজা দৌঁড়ালে আপনি সাপের সাথে পারবেন না। কিন্তু এঁকেবেঁকে দৌড়ালে সাপ আপনার সাথে পারবে না। কারণ এঁকেবেঁকে দৌড়াতে গেলে প্রতিবার বাঁক ঘোরার সময় সাপকে থামতে হবে। একান্তই যদি দেখেন সাপের সাথে দৌড়ে পারছেন না, তবে গায়ের জামাটা খুলে সাপের সামনে ফেলে দেবেন। সাপ আপনাকে ভেবে আপনার জামার ওপর ছোবল দিতে থাকবে।

তথ্যসূত্র কীভাবে চান? কাউকে আলোকিত করার দায় নিয়ে তো আমি লিখতে বসিনি! আলোকিত হয়ে আপনাকে মরতেই বা হবে কেন? সূক্ষ্ম খোঁচাগুলোর কি না দিলেই চলত না। লেখাটার তারিফ আমি চাইনি আপনার কাছে, চাইনি অপমানও। বাংলাদেশে ব্লাকমাম্বা না থাক, গোখরা কিংবা কেউটে আছে। তাদের ছোটার গতি একেবারে কম নয়। সাপ যে তেড়ে কামড়াতে আসবে না সেকথা উল্লে্যক করেছি। সাপ যে মানুষের সাথে পাল্লা দিয়ে পারবে সেকথাও বলিনি। একটা ‘যদি’ এখানে আছে। আর সবার দৌড়ের গতি তো বোল্ট কিংবা অনার্য সঙ্গীতের মতো নয়। অনেক মানুষ আছে অতি মোটা, অনেকে রুগ্ন--তারা সাপের মুখে পড়লে কী করবে? যারা দৌড়ে সাপকে হারিয়ে দিল, তাদের নিয়ে কথা নেই। কিন্তু যারা পারবে না, তারা যদি এই কৌশল অবলম্বন করে--ক্ষতির তো কিছু দেখি না।

কিন্তু সাপের মস্তিষ্ক কার্বলিক অ্যাসিডে অত্যন্ত সংবেদনশীল। কার্বলিক অ্যাসিড নিঃশ্বাসের সাথে সাপে মস্তিষ্কে একটু বেশি পরিমাণে পৌঁছালে সাপের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

অন্তত কার্বলিক এসিড ছিটিয়ে সাপ তাড়ানোর ব্যবস্থা নিজেই করেছি।

কাহিল হয়ে গেলাম। বিজ্ঞান বিষয়ক আপনার সব লেখায় কি আপনি আপনার "ধারনা'-কে শুদ্ধ বৈজ্ঞানিক তথ্য হিসেবে উপস্থাপন করেন?

আপনি বারবার তথ্যসূত্র চেয়েছেন। তথ্যসূত্র তখনই আসে যখন আমি বিষয়টা কোনও বই থেকে পড়ে তারপর লিখছি। তা-বলে এখানে যেসব কথা উল্লেক করছি, সেটা ধারণা প্রসূত নয়, অভিজ্ঞতা লব্ধ। নির্বিষ সাপে কাটা ও ওঝাদের ক্যারামতি রোগির বেঁচে ফেরার কথায় শতাংশ ভেদে যে পরিসংখ্যানটা--ওটা করবেটের মাই ইন্ডিয়ার একটা গল্পে আছে।

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

সজল এর ছবি

আপনার জবাব পড়ে প্রচন্ড হতাশ হলাম। সচলায়তন একটা প্রগতিশীল প্ল্যাটফর্ম, তাই এখানে আসা লেখাগুলো বস্তুনিষ্ঠ হবে সেটা বেশিরভাগ পাঠকেরই প্রত্যাশা থাকে। তথ্যসূত্র চাওয়ায় তাই আপনার চটে যাওয়া দেখে প্রচণ্ড অবাক হলাম।

আপনি সাপ সম্পর্কে পাঠকদের কিছু তথ্য দিয়েছেন, সেই তথ্যগুলোর সূত্র দিতে সমস্যা কী? আপনার ধারণার উপর নির্ভর করে আপনি প্রাকৃতিক তথ্য দিতে পারেন কি?

আপনার লেখার শিরোনামই চিন্তা করেন, আপনি অন্য লোকের "ভুল" ধারণা ভেঙ্গে দিতে এটা লিখেছেন। তাদের সেই ধারণাগুলোও কিন্তু অভিজ্ঞতাপ্রসূত। তথ্যসূত্র দিতে যদি আপনি অস্বীকার করেন, তাহলেতো ব্যাপারটা "হিজ ওয়ার্ড ভার্সাস মাই ওয়ার্ড" হয়ে গেলো।

প্রাকৃতিক বিজ্ঞান সম্পর্কে লিখতে গেলে শুধু চিন্তাভাবনা করেই লিখা যায় না। এই ভুলটা অ্যারিস্টটল করেছিলেন ২০০০ বছর আগে, যার ফলশ্রুতিতে পাশ্চাত্য দর্শন আর বিজ্ঞানকে ভুগতে হয়েছিল পনেরোশ বছর। সহস্রাব্দপ্রাচীন ভুল থেকেও যদি আমরা কিছু না শিখতে পারি, তাহলে আমাদের সভ্যতার এত এত অগ্রগতির মানে কী থাকে?

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

অরফিয়াস এর ছবি

যেকোন তথ্যভিত্তিক লেখাতে তথ্যসূত্র উপস্থাপন জরুরি। বিশেষ করে বিজ্ঞান বিষয়ক লেখাগুলোতে এর প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি কারন পাঠক স্বাভাবিকভাবেই লেখাতে প্রাপ্ত তথ্যগুলো নিয়ে যাচাই-বাছাই করতে চাইবে। আপনার এই লেখাটিতে একটিও তথ্যসূত্র নেই, আপনার উপস্থাপিত তথ্যগুলো আপনি কোথায় দেখেছেন/পড়েছেন জানার আগ্রহ রইল।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

আপনার জবাবটা ওপরে দিয়েছি। দেখে নিতে পারেন।

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

অরফিয়াস এর ছবি

সময় নিয়ে তর্ক করার ইচ্ছে বা সময় কোনটাই নেই, তাই তর্ক শুরু করতে ইচ্ছে করেনা। তবুও বলছি, অনার্য সঙ্গীত আপনাকে যে প্রশ্নগুলো করেছেন তার কোনটারই সন্তোষজনক উত্তর আপনি দিতে পারেননি। বিজ্ঞান/জীববিজ্ঞান ট্যাগ উঠিয়ে নিলেই আপনার লেখাতে উপস্থাপিত তথ্য গ্রহনযোগ্য হয়ে যায় না।

আগেই বলেছি সাপ নিরীহ প্রাণী। তাই এদের সংখ্যাও প্রকৃতিতে অজস্র। প্রকৃতিই তার সন্তানদের ভেতর আত্মরক্ষার ব্যবস্থা করে দেয়। সাপের আত্মরক্ষার ব্যবস্থা তার বিষে। সাপ যদি অতি নিরীহ না হত, ঘটে সামান্য বুদ্ধি থাকত--তার বিষের যে তেজ তাতে সহজেই প্রাণী রাজ্যে ছড়ি ঘোরাতে পারত। ভাগ্যিস ওদের বুদ্ধি তেমন নেই বললেই চলে।

সাপের বুদ্ধিমত্তা এবং আত্মরক্ষার ব্যবস্থা সম্পর্কে আপনি এই এক প্যারাতেই যা লিখেছেন তার কোন গ্রহনযোগ্য সূত্র আপনি দিতে পারছেন না কেন? আপনি যদি ব্যাপারটি সম্পর্কে জ্ঞাত না হন তাহলে শুরুতেই এধরনের ভূমিকার কি অর্থ আছে?

এক প্রশ্নের জবাবে লিখেছেন,

দুর্বল কিনা সেটাই বলুন না। কুকুর কিংবা হাতির মতো তো নয়। কত দুর্বল সেটা আমার জানা নেই।

আপনার জানা নেই, কিন্তু বিষয়টি লেখায় উল্লেখ করেছেন আপনি, তাহলে জানার প্রয়োজনীয়তা কার?

আবার আপনি লিখেছেন,

সাপ যদি রেগে গিয়ে কখনও তেড়ে আসে তখন উচিৎ সোজা না দৌড়ে এঁকেবেঁকে একদিক-সেদিক দৌড়ানো। সোজা দৌঁড়ালে আপনি সাপের সাথে পারবেন না। কিন্তু এঁকেবেঁকে দৌড়ালে সাপ আপনার সাথে পারবে না। কারণ এঁকেবেঁকে দৌড়াতে গেলে প্রতিবার বাঁক ঘোরার সময় সাপকে থামতে হবে। একান্তই যদি দেখেন সাপের সাথে দৌড়ে পারছেন না, তবে গায়ের জামাটা খুলে সাপের সামনে ফেলে দেবেন। সাপ আপনাকে ভেবে আপনার জামার ওপর ছোবল দিতে থাকবে।

এই ব্যাপারে প্রশ্ন করায় আপনি উত্তর দিলেন,

"তথ্যসূত্র কীভাবে চান? কাউকে আলোকিত করার দায় নিয়ে তো আমি লিখতে বসিনি! আলোকিত হয়ে আপনাকে মরতেই বা হবে কেন? সূক্ষ্ম খোঁচাগুলোর কি না দিলেই চলত না। লেখাটার তারিফ আমি চাইনি আপনার কাছে, চাইনি অপমানও। বাংলাদেশে ব্লাকমাম্বা না থাক, গোখরা কিংবা কেউটে আছে। তাদের ছোটার গতি একেবারে কম নয়। সাপ যে তেড়ে কামড়াতে আসবে না সেকথা উল্লে্যক করেছি। সাপ যে মানুষের সাথে পাল্লা দিয়ে পারবে সেকথাও বলিনি। একটা ‘যদি’ এখানে আছে। আর সবার দৌড়ের গতি তো বোল্ট কিংবা অনার্য সঙ্গীতের মতো নয়। অনেক মানুষ আছে অতি মোটা, অনেকে রুগ্ন--তারা সাপের মুখে পড়লে কী করবে? যারা দৌড়ে সাপকে হারিয়ে দিল, তাদের নিয়ে কথা নেই। কিন্তু যারা পারবে না, তারা যদি এই কৌশল অবলম্বন করে--ক্ষতির তো কিছু দেখি না।"

তথ্যসূত্র কিভাবে চান মানে কি? আপনি পাঠককে সাপের আক্রমন থেকে বাঁচার উপায় বাতলে দিচ্ছেন আর এদিকে বলছেন কাউকে আলোকিত করার দায়িত্ব নিয়ে লিখতে বসেননি? এটা কি "যেমন-খুশি, তেমন লেখো" প্রতিযোগিতা নাকি?

প্রথমত আপনার অভিজ্ঞতা থেকে লিখলেই সেটা গ্রহণযোগ্য হয়না, অভিজ্ঞতা কতটা যুক্তিযুক্ত তা অবশ্যই জানা প্রয়োজন। আপনার অভিজ্ঞতার তথ্যপ্রমান আছে? না থাকলে, আপনি লিখে দিলেই তো সেটা মানুষ অভিজ্ঞতাপ্রসূত জ্ঞান হিসেবে মেনে নিবে না। প্রশ্ন উঠলে সেটার উত্তর দিতে না পারা খারাপ কিছুনা কিন্তু ফালতু তর্ক করার মানসিকতা থাকা মানে বাতুলতা।

মডারেটররা এধরনের লেখা প্রকাশের আগে আরও সচেতন হবেন এই আশা রাখি।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক ভ্রান্তি হয়তো আছে। কিন্তু তারপরও এটা চমৎকার একটা লেখা।
অনেক নতুন কিছু পেলাম।

ভালো থাকবেন রনি।
আপনার জন্য শুভকামনা।

-------------------------
কামরুজ্জামান পলাশ

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

ধন্যবাদ, ভ্রান্তি আমিও মানছি, কারণ আমি বিশেষজ্ঞ নই।

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

ধন্যবাদ, আপনিও ভালো থাকবেন। ভ্রান্তিগুলোর ব্যাখ্য ওপরের মন্তব্যে দিয়েছি।

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

নির্ঝর অলয় এর ছবি

প্রকৃতিই তার সন্তানদের ভেতর আত্মরক্ষার ব্যবস্থা করে দেয়।

এটা কিন্তু একেবারেই ভ্রান্ত ধারনা। প্রকৃতি কোন সন্তানকেই আত্মরক্ষার ব্যবস্থা করে দেয় না। কোন নির্দিষ্ট প্রাকৃতিক পরিবেশে আত্মরক্ষার উপযোগী বৈশিষ্ট্যগুলো যে প্রজাতির মধ্যে প্রকাশিত হয় সে প্রজাতিটি প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়। এটি সম্পূর্ণরূপে বহিঃশক্তির প্রভাবমুক্ত! অভিযোজিত হবার ক্ষমতা না থাকলে প্রজাতিটি বিলুপ্ত হয়ে যায়।

আচ্ছা করবেটের কোন লেখায় এটা পড়েছেন? বহু বছর আগে পড়েছি করবেট, ভুলে গেছি। হাসি

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

ভ্রান্ত ধারণাতো বটেই। আমি নিরীশ্ববাদী মানুষ, কথার কথা হিসেবে চলে এসেছে।

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

মাই ইন্ডিয়া

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার লেখার শুরুটা ভুল তথ্যে ভরা। বিজ্ঞান নিয়ে লেখতে হলে আরেকটু সচেতন হতে হয়। আপনি অসংখ্য ব্যক্তি মতামত কিংবা বিশ্বাসকে ধ্রুব বলে দিয়েছেন। যেমন

সাপের মতো নিরীহ ও বোকা প্রাণী জীবজগতে কমই আছে

বোকা প্রাণী কি করে বুঝলেন? প্রাণীর বুদ্ধিমত্তা মাপলেন কেমন করে?

আবার বলছেন

সাপ নিরীহ প্রাণী তাই এদের সংখ্যাও প্রকৃতিতে অজস্র

প্রকৃতি কার সংখ্যা অজস্র হবে আর কার কম হবে সেটা নিরীহ আর হিংস্রতার উপর নির্ভর করে কি?

প্রকৃতিই তার সন্তানদের ভেতর আত্মরক্ষার ব্যবস্থা করে দেয়

প্রকৃতি যদি রক্ষাকর্তা হতো তাহলে ভাই ওই জগতেও সৃষ্টিকর্তার গুনকীর্তনে ভরে যেত, ওরাও মানুষের মতো প্রার্থনালয় গড়ে তুলতো আর নাস্তিক প্রাণীদের খতম করার মিশনে নামতো। হো হো হো

ঘটে সামান্য বুদ্ধি থাকত--তার বিষের যে তেজ তাতে সহজেই প্রাণী রাজ্যে ছড়ি ঘোরাতে পারত

প্রাণী রাজ্যে কি বিষ দিয়ে ছড়ি ঘোরানো যায়? অ্যাঁ

প্রথম দিকে এইসকল তথ্য গুরুত্বপূর্ণ লেখাকে অনেকটা ম্লান করে দিয়েছে। আশা করি ভবিষ্যতে এই বিষয়গুলোতে আরেকটু দৃষ্টি দিবেন। শুভকামনা

মাসুদ সজীব

তারেক অণু এর ছবি

সাপ ভালো লাগে, কিন্তু লেখাটা পড়তেই পারলাম না মন খারাপ

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

দেরী করে এলাম দেখি !! লেখাটাই তো নেই!!

____________________________

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

প্রয়োজনীয় সংশোধনী সমেত লেখাটা কি রাখা যেত না? চিন্তিত

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

রণদীপম বসু এর ছবি

দেরিতে আসার জন্য লেখাটা আমিও মিস করলাম।

তবে রণি, কাজটা ঠিক করলেন না আপনি। এবারেরর একুশে বইমেলাতে আপনার সাথে অণুসহ পরিচয় হয়েছিলো। ব্যক্তি হিসেবে নিঃসন্দেহে আপনাকে চমৎকার মানুষ মনে হয়েছে। কিন্তু তার ছায়াটা কলম বা কীবোর্ডের আগায়ও থাকা স্বাভাবিক ছিলো। আমার জানা মতে সচলের সদস্যা প্রায় সবাই-ই নিজ নিজ ক্ষেত্রে সেরা সেরা লোক। আর তাদের কৌতুহল ও জানার পরিধি এতো ব্যাপক যে আমি ব্যক্তিগতভাবে তাদের কাছ থেকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বহু কিছু পেয়ে সমৃদ্ধ হই। এবং যেখানেই আমাদের অস্পষ্টতা বোধ হয় সেখানেই প্রশ্ন করে অভ্যস্ত সবাই। আর একজন মুক্তচিন্তক নিরীশ্বরবাদী মানুষের ক্ষেত্রে তো এই অভ্যাসটা লালন করাই আবশ্যক। সেক্ষেত্রে আপনি নিজে যা করে থাকেন, সেখানে অন্যের কাছ থেকে এই প্রশ্নমুখীনতা পেলে অসহিষ্ণুতা দেখানোটা কি স্ববিরোধী হয়ে যায় না ? আপনি যদি এখানে অন্যদেরকে শুরুতেই প্রতিপক্ষ ভেবে বসেন তাইলে বড় একটা ভুল করে ফেললেন।

সচলে কিছু লিখে জানানো মানে কেবল জানানোই নয়, একইসাথে নিজে জানা এবং নিজের জানাটাকে যাচাই করার একটা চমৎকার ক্ষেত্রও। এটা খেয়াল রেখে নিয়মিত লিখে যাবেন এটাই আশা করবো। যেখানে কেউ প্রশ্ন করে না সেটা জীবনমৃতদের জায়গা। সচল কিন্তু একইসাথে অভিজ্ঞ ও জিজ্ঞাসুদের চারণভূমি। একজন মুক্তচিন্তকের জন্য এমন চমৎকার প্ল্যাটফরম আর ক'টা আছে বলেন ! আমরা সবাই সবকিছু জানবো এমন কথা নেই। কিন্তু জিজ্ঞাসু হওয়ার চমৎকার আবহটা কিন্তু এখানে পরিপূর্ণভাবে বিদ্যমান। আমার তো ধারণা আপনার জন্য সচল একটা চমৎকার ক্ষেত্র হবার কথা ছিলো। আশা করবো নিজেকে পুনর্বার পর্যালোচনা করবেন। ভালো থাকবেন, শুভকামনা।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।