একবিংশ শতাব্দীতে পৃথিবী যখন দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে, ঠিক তখনই আমাদের দেশে শুরু হয়েছে উল্টোযাত্রা। কোথায় ছেলেমেয়েরা জ্ঞানের আলোর মুখ দেখবে, সেখানে তাদের হাতছানি দিয়ে পিছু ডাকছে আদিম অন্ধকার। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সবকালেই ধর্ম একটা ফ্যাক্টর। আজও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। কবে ঘটবে তাও কেউ বলতে পারে না। অ্যালেক্স রাদারফোর্ডেও লেখা ‘মুঘল’ সিরিজগুলো পড়ে বোঝা যায়, সেই পঞ্চদশ শতাব্দীতে মানুষ ধর্মটাকে যত সহজভাবে পালন করত, এই একবিংশ শতাব্দীতে এসে তা কল্পনাই করা যায় না। এর একটা বড় কারণ বোধহয় সেকালের রাজা-বাদশাহরা আজকের মতো ধর্মটাকে ঢাল-তলোয়ারের মতো ব্যবহার করেনি।
৯০ দশকে ভারতের বিদেশনীতিতে একটা বড় পরিবর্তন ঘটে। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিও সাথে সাথে সীমান্ত নিয়েও তাদের উদ্বেগ বাড়তে থাকে দিন দিন। পাকিস্তানের মতো বাংলাদেশকেও তারা সন্দেহের চোখে দেখে। এই সন্দেহ থেকেই সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া স্থাপনের কাজে হাত দেয়। ১৯৯৮ সাল নাগাদ শেষ হয় সেই কাজ। ফলে সীমান্তবাসীর অর্থনৈতিক জীবনযাত্রাও বড়সড় একটা ঝাঁকুনি খায়। এতদিন ৮০ ভাগ সীমান্তবাসীই প্রতক্ষ্য বা পরোক্ষভাবে চোরাচলানের সাথে যুক্ত ছিল। এদের আবার দুইটা শ্রেণি। একটা মহাজন টাইপের--এরা চোরাচালানের লাভের গুড়ের সবটুকু গলধকরণ করে। বিডিআর-বিএসএফ-এর শত দাবড়ানীতেও এদের কেশাগ্র স্পর্শিত হত না। মাঝে মাঝে শুধু কিছু আর্থিক ক্ষতি হত। আরেকটা ছিল শ্রমিকশ্রেণির। যত ঝড়-ঝাপ্টা সব এদের ওপর। সীমান্তরক্ষীদের নির্যাতন, জেল-জরিমানা উপেক্ষা করে যে পারিশ্রমিক পেত তা সামন্যই। কিন্তু প্রান্তিক দিনমজুরের কাছে এটাই আবার লোভনীয়। ৯০ দশকের শুরুতে ক্ষেতমজুরের পারিশ্রমিক যেখানে দিনে ২০ থেকে ২৫ টাকা, সেখানে চোরাচালানের শ্রমিকরা পেত কমপক্ষে দুইশটাকা। সেটা কোনও কোনও দিন ৫০০ কিংবা এক হাজারেরও উঠে যেত। তো মানুষ এমন লোভনীয় কাজ ছেড়ে কেন কৃষিকাজ করবে? তবু মানুষের অভাব যেত না। চোরাচালান থেকে আয় করা অর্থ নেশা-ভাং-ফুর্তি করে বাড়িতে নিতে পারত খুব সামান্যই।
কিন্তু এত টাকা আয় করেও মানুষের জীবনযাত্রার মানের কোনও পরিবর্তন হতে দেখিনি। বরং বর্ষাকালে যেন ফিরে আসত ছিয়াত্তরের মন্বন্তর। চালের অভাবে আটাঘোটা খেয়েছে কত মানুষ, ক্ষুধায় কাতর সন্তানের কান্না সহ্য না করতে পেরে ভিক্ষুকের মতো পরের বাড়ি থেকে ফ্যান চেয়ে এনে ছেলের পেট জুড়ানোর ব্যবস্থা করেছে কত মা। তাও আবার সবসময় মিলত না। এরপর ছিল কলেরা টাইফয়েডর মতো মহামারী। বাড়িশুদ্ধ উজাড় হয়ে যেত তখন।
ওপরের কথাগুলো বিভূতিভূষণের কোনও গল্পকথার বর্ণনা নয়, বাস্তবেই ৯০ দশকের অন্তত সীমান্ত এলাকার চেহারা এমন ছিল। বিশেষ করে বৃহত্তর যশোর, কুষ্টিয়া অঞ্চলে। এর কারণ বোধহয় দেশভাগ। দেশভাগের আগে এই এলাকার মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা যে খুবই ভালো ছিল তা এখানকার রাজবাড়ির মতো পুরাতন বাড়িগুলো দেখে বেশ অনুমান করা যায়। দেশভাগের পর এইসব বাড়ির মানুষগুলো সব ওপারে চলে যায়, ওপার থেকে দলে দলে মুসলমানরা এসে এই এলাকার মুসলিম সংখ্যা বৃদ্ধি করে। হিন্দুর সংখ্যা কমতে কমতে সংখ্যালঘুতে পরিণত হয়। স্বভাবতই একটা নিষ্কণ্টক মুসলিম সমাজ গড়ে তোলার অবকাশ পায় রিফিউজডরা। ধর্মীয় আন্দোলন তাই মাথাচাড়া দেয় দিন দিন। একাত্তর সালে মুক্তিযুদ্ধে সীমান্তবর্তী এসব রিফিউজড কলোনিতে রাজাকারে যোগ দেওয়ার হিড়িক পড়ে। দেশ স্বাধীনের পর অবশ্য চুপ মেরে যায় রিফিউজড মুসলিমরা। ৭৫-এর পট পরিবর্তন, জিয়াউর রহমানের ক্ষমতা দখল, বহুদলীয় গণতন্ত্রের নামে স্বাধীনতা বিরোধীদের পুনর্বাসন আবারও সীমান্তের স্বাধীনতাবিরোধীদের দৌরাত্ম বাড়িয়ে দেয়। গ্রামে গ্রামে ওয়াজ মাহফিল ধর্মসভার আড়ালে রাজাকার সায়িদীকে দিয়ে জনসভা করায় জামাত। ধর্মের বাণী শুনিয়ে, শ্রোতাদের মন গলিয়ে তাদেরকে দিয়ে দিয়ে ওয়াদা করিয়ে নেয়া হয়, দাড়িপাল্লা ছাড়া অন্যকিছুতে যেন ভোট না দেয়। ফলও পায় জামাত। সেসময়কার বৃহত্তর যশোর, কুষ্টিয়া আর সাতক্ষীরার সীমন্তবর্তী আসনগুলোর সাংসদরা প্রায় সব ছিল জামাতি।
১৯৯১ সালে ওইসব এলাকায় বিপ্লব ঘটায় বিএনপি। নবগঠিত তিনটি জেলা চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, ঝিনাইদহের প্রায় সবকটি এবং যশোর, সাতক্ষীরা, নড়াইল, মাগুরার অনেকগুলো আসন চলে যায় তাদের ঘরে। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জিতলেও ওই এলাকার ভোটযুদ্ধে তেমন হেরেফের ঘটেনি। আওয়ামী লীগকে হটাতে জামাতসহ তিনটি ছোটদল নিয়ে চার দলীয় জোট গঠন করে বিএনপি। তখন থেকেই আবার শুরু হয় জামাতের দৌরাত্ম। ওয়াজ মাহফিল করে, ধর্মের দোহায় দিয়ে নিরীহ সাধারণ মানুষকে জামাতে ভেড়ানোর চেষ্টা করে। খুব বেশি যে লাভ হয়েছিল তা বলা যাবে না। তবে ষোলআনা লাভ ঘরে তুলেছে তারা শিবিরের মাধ্যমে।
কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার পর সীমান্তবর্তী মানুষের জীবনযাত্রার পরিবর্তন ঘটে। বাধ্য হয়ে চোরাচালান ছেড়ে কৃষিকাজে যোগ দেয় প্রান্তিক মানুষগুলো। ফলে বিরাট কৃষিবিপ্লবের সূচনা হয় সীমান্তে। মোটামুটি খাওয়াপরার নিশ্চয়তা তারা পেয়ে গেছে। এখন একটু উচ্চাশা পোষণ করতে পারে। প্রান্তিক চাষিরাও তাই নিজেরা একটু কষ্ট করে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া শেখাতে উৎসাহী হয়ে উঠেছে। মাধ্যমিক পর্যন্ত লেখাপড়ার খরচ তেমন নেই বললেই চলে। গ্রামাঞ্চলে বহু উচ্চমাধ্যমিক কলেজ গড়ে উঠছে। এই লেভেলটাও পার করে দেয় মোটামুটি সহজভাবে। ছেলেমেয়েরা যখন বিশ্ববিদ্যারয় বা অনার্স কলেজগুলোতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায়, অভিবাকদের স্বপ্নের পরিধিও তখন বেড়ে যায়। কিন্তু উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সবই শহরে। সীমান্ত থেকে দূরে। সেখানে রেখে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার খরচ বহনের ভার প্রান্তিক এই কৃষক পরিবারের নেই। একটাই উপায় শিক্ষার্থীরা নিজেই নিজের লেখা পড়ার ভার যদি চালিয়ে নিতে পারে। এজন্য চাই টিউশনি। কিন্তু শহরে টিউশনি সহজলভ্য নয়। আরেকজনের মাধ্যম ছাড়া পাওয়া যায় না বললেই চলে। ঠিক তখনই পরম বন্ধুর মতো হাত বাড়িয়ে দেয় শিবির ক্যাডাররা। টিউশনি জোগাড় করে দেয়, তাদের নিজস্ব হোস্টেলে থাকার ব্যবস্থা করে আর দেয় শিক্ষাজীবন শেষে চাকরির নিশ্চয়তা। শর্ত একটাই শিবিরে যোগ দিতে হবে। অনুপায় শিক্ষার্থী শিবিরের টোপ গেলে। গ্রামের সেই নিরীহ ছাত্রটিই পরে হয়ে ওঠে দুর্ধর্ষ শিবির ক্যাডার, জামাত নেতা, জামাতি প্রতিষ্ঠানের বড় চাকুরে।
জামাত-শিবিরের এই এই ফাঁদ নতুন নয়। নতুন যেটা, সেটা হলো নারীদের ব্যবহার। একটা সময় পর্যন্ত ইসলামে নারী নেতৃত্ব হারাম বলে আওয়ামী লীগ-বিএনপির বিপক্ষে নিজেদের জনমত গঠন করেছে। তাই কোনও নারীকে সক্রিয়ভাবে জামাতের রাজনীতি করার অধিকার ছিল না। বিএনপির সাথে জোট গঠনের ‘নারী নেতৃত্ব হারাম’ তত্ত্ব আর ধোপে টেকে না। তাই কৌশল বদলায়। গঠন করে জামাতি নারীদল। বিশেষ করে সীমান্তে অঞ্চলে। কিন্তু এ নারীরা জামাতের সাথে যুক্ত একথা আগে টের পায় নি কেউ। এরা মাথায় হিজাব পরে, ধর্মীয় বই পুস্তক নিয়ে পাড়ায় গৃহিনীদের তালিম দেয়। সপ্তাহে দুদিন একটা নির্দিষ্ট বাড়িতে পাড়ার মহিলাদের নিয়ে মজলিশ বসায়। ধর্মের বাণী শোনানো হয় তালিমে, ধর্মের রীতিনীতি, স্বামীর প্রতি, শ্বাশুড়িদের প্রতি বউদের কী কর্তব্য তা শেখানো হয়। দোজখের ভয়াবহ আজাবের কথা আর ইসলামের করুণ কাহিনী শুনে মন সিক্ত হয়ে যায় সরলা গৃহিনীদের। চোখ মুছতে মুুছতে বাড়ি ফেরে। সহজ-সরল বাঙালি বধূদের এই দুর্বলতা তালিমকারীরা কাজে লাগায় শতভাগ। দেশে আজ ইসলাম হুমকির মুখে, ইসালামী নেতাদের জেলে পুরে ফাঁসি দিয়ে দেশকে কাফির রাষ্ট্রে পরিণত করছে সরকার--তালিমের আসরে চলে এমন বক্তব্যও। সরলা নারীরা ভাবে, সত্যিই তো, যেসব মানুষগুলো সারাদেশে ওয়াজ নসিয়ত করত, মানুষকে দীন ইসলামের পথে আসার আহবান জানাত, তারাই কিনা আজ ফাঁসির দড়ির সামনে দাঁড়িয়ে। এ অন্যায়, মহা অন্যায়। এর সমাধান কী? তালিমকারী তাদের বোঝায় মোমিন মুসলমানদের এক হতে হবে, ইসলামের শক্তি বাড়াতে হবে। একমাত্র জামাত ছাড়া আর কোনও দল ইসলাম মানে না। এমনকী বিএনপিও নয়। কিন্তু আত্মরক্ষার তাগিদে সাময়িক তারা বিএনপির সাথে গাঁটছাড়া বেঁধেছে। তাই ইসলামকে রক্ষা করতে হলে জামাতে যোগ দিতে হবে, দাড়িপাল্লায় ভোট দিতে হবে। সহজ-সরল গ্রাম্যবধুরা তাদের এই চাতুরি বোঝে না, ওয়াদা করে আসে জামাতে ভোট দেবে। তারপর তারা তালিমকারীদের শিখিয়ে দেয়া কথাগুলো স্বামীর কাছে পাড়ে। কোনও কোনও স্বামী স্ত্রীর কথায় খুঁজে পায় যুক্তি। নিজেও তওবা করে আগের দল ছেড়ে জামাতে যোগ দেয়। কোনও কোনও স্বামী আবার তালিমকারীদের চালাকিটা ধরে ফেলে। বউয়ের সাথে বচসা হয় এ নিয়ে। গণ্ডগোল মারামারি পর্যন্ত গড়ায়। এমনকী ছাড়াছাড়ি পর্যন্ত হয়ে যায়। বিএনপিপন্থী পুরুষগুলো ভাবে জামাত-আর বিএনপি আজ একই, তো যাক না তার স্ত্রী তালিমে। ফলে বিএনপিরই ক্ষতিটা বেশি হচ্ছে তালিমে।
তালিমের কারণে নারী ভোটের একটা হিসাব জামাত পেয়ে গেছে, সাথে নিজেদের ভোটগুলোতো আছেই। তাই দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে আসনগুলো বিএনপির কাছে চায় তারা। বিএনপি ছাড়তে রাজি না হলে জোট ছাড়াই ওইসব এলাকায় নির্বাচন করে জামাত। পাস করে যায় কোথাও কোথাও। যেখানে পাস করে না সেখানে, বিএনপিকে টপকে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে জামাত। স্থানীয় সরকার নির্বাচনের অবস্থা আরও করুণ। সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর ইউনিয়ন, পৌরসভা আর উপজেলা চেয়ারম্যানের অধিকাংশই হয় আওয়ামী লীগের নইলে জামাতের। বিএনপির খুব কমই।
এই চিত্র অশণি সংকেত। জামাতের শিবির-তালিম কর্মকাণ্ডের প্রভাবে বিএনপি ধ্বংসের মুখে। এভাবে চলতে থাকলে সহজ-সরল বাঙালিদের একটা বিরাট অংশ ধর্মের দোহায়া দেখিয়ে জামাত নিজেদের করে নেবে না তার নিশ্চয়তা কী? বিএনপির মতো আওয়ামী লীগও যে তাদের গ্রাম্য ভোটার জামাতের কাছে খোয়াবে না সেকথা কি জোর দিয়ে বলা যায়?
মন্তব্য
১। আপনি কখনো দেখবেন না টেন্ডাবাজিতে জামাত আছে, কিংবা বাস স্ট্যান্ড দখল, প্রকাশ্যে চাঁদাবাজিতেও তারা নেই। কিভাবে সেটা সম্ভব হয়েছে যেখানে আওয়ামী-বিম্পির সদস্যরা এগুলো নিয়ে কামড়া-কামড়ি করে? উত্তরটা সহজ ওরা ওদের কর্মীদের আয়ের পথ করে দেয়। ফলে তাদের কে এগুলো নিয়ে মারামারি করতে হয় না। আর মাঠ পর্যায়ের এই ক্লিন ইমেজটা তারা কাজে লাগায় খুব দক্ষতার সহিত। আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচিত সব শিবিরের কর্মীরা এখন বড় বড় চাকরি করে, আমার চেয়ে প্রায় দ্বিগুন বেশি বেতন পায়! শিক্ষিত শিবির কর্মী বেকার এমনটা খুব কম ঘটে। দেশে চাকরি ছাড়াও বিদেশে তাদেরকে পড়ালেখা এবং থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করে নিশ্চিত জীবন দিয়ে দেওয়া হয়। গরীব আর মেধাবী/নিরীহ ছাত্রদের সামনে এমন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারলে তারা কেন শিবির করবে না?
২। আরব রাষ্ট্রগুলো থেকে বিপুল পরিমানে যে-অনুদান আসে তার সিংহভাগ পায় জামায় শিবির, এই অর্থ দিয়ে তারা তাদের সংগঠনকে সুগঠিত আর নিয়ন্ত্রন করতে পারে। ব্যাক্তিগত জীবন কিংবা রাজনৈতিক জীবনে আর্থিক স্বচ্ছ্যলতা অনেক বড় বিষয়, জামাত তাদের কর্মীদের জন্যে সবার আগে সেই বিষয়টাই নিশ্চিত করে।
৩। আওয়ামিলীগ-বিম্পির এম্পি, মন্ত্রিদের হয়তো কোটি কোটি টাকা, ব্যাংক সহ নানান ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে কিন্তু দলীয় কিছু কি তেমন আছে? না, নেই ফলে যতদিন তাদের রাজনীতির সাথে যুক্ত(ছাত্র অবস্থায়) ততদিন তারা আয় করতে পারে এরপর বন্ধ, এ কারনে অনেক টাকা বানানোর একটা পরিকল্পনা তাদরে থাকে-ই। অথচ জামাতের ব্যাংক, বীমা, বিভিন্ন কোচিং সেন্টার সহ নানান প্রতিষ্ঠান আছে। যেখানে শুধু জামাতের লোকজন সুযোগ পায়। দেশে ইসলামী হালাল ব্যাংকের সংখ্যাও কম নয় (ইসলামী ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক সহ অারো বেশকিছু)। সেই সব ব্যাংকে জামাত শিবিরের বাইরের কারো চাকরি পাওয়া খুব বিরল ব্যাপার। জামাত ছাত্র (শিবির) অবস্থার পরেও সারাজীবন তাদের আয়ের পথ করে দেয় ফলে কৃতজ্ঞতাসূচক যে-শিবিরের একবারের কর্মী সে সারাজীবনের কর্মী হয়ে যায়। যেটা আওয়া-বিম্পিতে হয় না।
আমি মনে করি শুধু ধর্মকে ব্যবহার করে জামাত কাজ করে না। ধর্ম আর আর্থিক সহযোগিতা (চাকরি কিংবা আয়ের পথ সুগম করে দেওয়া) এই দুটো বিষয়কে সমান গুরুত্ব দিয়ে তারা কাজ করে। ছাত্র অবস্থায় অর্থ-চাকরি আর একটু বয়স্ক হলে ধর্মের দাওয়াই দিয়ে তারা চিকিৎসা করে। তাই এই গরীব দেশে জামাত শিবিরকে নিয়ন্ত্রন রাখতে হলে অবশ্যই তাদের আয়ের পথ বন্ধ করতে হবে, আর্থিক ভাবে পুঙ্গ করতে হবে। ধর্মীয় বিশ্বাসে(জামাতি) কাউকে বুঝিয়ে লাইনে নিয়ে আসা পৃথিবীর সবচেয়ে দুরুহতম কাজ, সেটা সম্ভব না।
-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।
সহমত, কিন্তু গ্রামের চাষির বউরা, তাদের তো চাকরি-বাকরির দরকার নেই। সংসারের কাজ বাদে আরও দুটো কাজ আছে--জি বাংলা আর স্টার জলসায় টেনেটুনে লম্বা করা সিরিয়াল দেখা, আর ধর্ম-কর্ম করা। তালিম যেখানে সহজেই বেহেস্তের অফুরান শান্তি, দোজখের কঠোর শাস্তির ভয় দেখাচ্ছে, তা মুক্তির পথও দেখাচ্ছে (দাড়িপাল্লায় ভোট দেয়া)। তখন তারা সেটা করবে না কেন। হ্যাঁ ঠিক, অন্য কারও দিয়ে ধর্মের বাণী শুনিয়ে জামাতের খপ্পর থেকে গাঁয়েল মেয়েদের রক্ষা করা যাবে। সাময়িক সমাধান হিসেবে তালিম নিষিদ্ধ করতে হবে, সায়িদির ওয়াজের ক্যাসেটগুলো প্রকাশ্যে বাজতে দিলে চলবে না। তবে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদী পদক্ষেপ। আর সেটা আপনার সাথে সুর মিলিয়ে বলছি, জামাতের আয়ের উৎস এখনি বন্ধ করতে হবে।
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
এত সরলভাবে এই তথাকথিত ক্লিন ইমেজের ভাগা দিতে রাজি নই।
এই ক্লিন ইমেজ সৃষ্টিতে "নীতিমালাবিহীন" মিডিয়ার এবং নীতিমালা মোতাবেক "অসত্য তথ্য" প্রদানে অপারগ সুশীল শ্রেনীরও একটা বড় অবদান আছে, ১/১১ ও এর পরে অন্যতম বড় প্রচারণাটা ছিলঃ "জামাত শিবির খুউব খ্রাপ, কিন্তু, এরা দুর্নীতি করে না।' খিয়াল কইরা, বাহে
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
দুর্নীতিতে জামাত বেশ দক্ষ কৌশল অবলম্বন করে আমি সেই বিষয়টা বুঝাতে চেয়েছি। ২০০১-০৬ পর্যন্ত প্রশাসনের নানান স্তরে ওরা যেভাবে ওদের কর্মী নিয়োগ করেছে তা নজিরবিহীন ঘটনা। ওরা খুব ভালো করে জানে ওই স্থানগুলো দখলে নিতে পারলে ভবিষ্যতে তাদের জন্যে সেটা বেশি কাজে দিবে এবং দিচ্ছে ও তাই। ওরা সাধরণ মানুষকে সহজে বুঝাতে পারে দেখেন জামাত-শিবির কোনদিন আওয়ামি-বিম্পির মতো টেন্ডারবাজি নিয়ে মারামারি করে না, নিজেরা নিজেরা খুনাখুনি করে না! খুব সাধারণ মানুষ ভাবে ঠিকি তো কখনো ওরা নিজেরা নিজেরা খুনাখুনি করে না, এইসব টেন্ডার নিয়ে মারামারি করে না। অস্বীকার করার উপায় নেই যে এই কৌশল অবলম্বন করে ওরা খুব সাধারণ মানুষের (যাদের জানা-শুনার পরিধি কম, যারা সবধরণের তথ্য থেকে বঞ্চিত) মাঝে তাদের সম্পর্কে একটা ক্লিন ইমেজ সৃষ্টি করছে কিংবা করতে পারে।
আর টেলিভিশন বলেন কিংবা পত্রিকা বলেন সেগুলোকে ওরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে সবার আগে অন্ধভাবে দখলে রেখেছে। ওরা জানে প্রচার-ই প্রসার। আমি ভালো, অামি ভালো কিংবা মিথ্যে কথা মানুষ বিশ্বাস করবে না ভেবে বসে থাকলে যে কাজ হয় না সেটা ৫ই মে প্রমাণ করে দিয়েছে হেফাজত। হেফাজত-জামাতের মিথ্যে প্রচারণার বিরুদ্ধে প্রথম দিকে আওয়ামিলীগ উদার ছিলো বলেই হাজার হাজার মানুষ মারা গেছে সেই গুজব অনেকটাই প্রতিষ্ঠা পেয়ে গিয়েছিলো। গুজবের আর মিথ্যে প্রোপাগান্ডার বিরুদ্ধে ও প্রচার চালাতে হয়, সেটাকে প্রতিরোধ করতে হয়। ছোট্ট একটা উদাহারণ দেই ধরেণ বাংলাদেশে এখন কমবেশি টিভি চ্যানেলগুলোর দলীয় একটা পরিচয় আছে। সেই চ্যানেলগুলো (ধরলাম-একাত্তর কিংবা বাংলাভিশন) তাদের আলোচনা অনুষ্ঠানে সব দলের মানুষকে কম বেশি ডাকে কিন্তু জামাতের চ্যানেলে (ইসলামী টিভি-যখন ছিলো) কি কখনো আওয়ামিলীগের কিংবা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ করা কাউকে আলোচনার জন্যে ঢেকেছিলো? ঢাকেনি, অন্তত আমি দেখিনি। ওরা ওদের কথাই প্রচার করে গেছে এবং যাবে। উদরতা কিংবা সবার সমান বলার অধিকারে ওরা কোনদিনও বিশ্বাস রাখেনি। কিন্তু সব মানুষ ওদের এই কৌশল বুঝে উঠতে সক্ষম হবে না।
আমি খুব স্ট্রংলি বিশ্বাস করি জামাতকে মোকাবিলা করতে হলে প্রথমে ওদেরকে আর্থিক ভাবে দুর্বল করতে হবে এবং তাদের সব ধরণের মিথ্যে প্রচারণার বিরুদ্ধে মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে হবে। আর্থিক ভাবে দুর্বল করা ছাড়া তাদের সাথে মোকাবেলা করা বেশ দুরুহ কাজ।
-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
টেণ্ডারবাজি, ছাঁদাবাজি তারা করতে পারে না, কারণ তারা সরাসরি ক।ষমতায় থাকতে পারেনি কখনও। কিন্তু রগকাটা শিবিরের কাহিনিগুলো ভুলে গেলেন। রাস্তায় রাস্তায় বোমাবাজি, হলদখল এগুলোতো খুব পুরোনো খবর নয়।
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
আমি ভুলি নাই কিন্তু আমার ভুলা না ভুলাতে কিছু আসে যায় না রনি ভাই। বাঙালি (যারা বিম্পি-জামাতকে সাপোর্ট করে) ভুলে গেছে এই দলটা ৭১ এ আমাদের ৩০ লক্ষ মানুষ হত্যা করার প্রধান ষড়যন্ত্রকারী, আমাদের স্বাধীনতা বিরোধী। ভুলে গেছে বলেই নিজামী-গোলামের মতো জানোয়ারগুলো স্বাধীন বাংলাদেশের পতকা নিয়ে ঘুরি বেড়িয়েছে। আমি বলতে চেয়েছি তাদের কৌশলের কথা, গ্রামের সহজ মানুষগুলোকে ধর্মের নরম বড়ি খাইয়ে আর ভুল তথ্য দিয়ে কি করে তারা তাদের দলে টেনে নেয়। সেইসব মানুষ তথ্যপ্রযুক্তির যুগে সব তথ্য পায় না, ফলে ভুল তথ্য, ভুল জ্ঞানদান আর জন্মগত অকৃতজ্ঞ প্রাণী বলে তারা জামাতের পতাকা তলে স্থান করে নিয়েছে। আর তার সাথে মুখোশধারী সুবিধাবাদী ভন্ডরা যুক্ত হয়েছে। আর এই দেশেতো সুবিধাবাদীদের কোনদিন অভাব পড়েনি।
-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।
টেণ্ডারবাজি কিংবা চাঁদাবাজি রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকা না থাকার উপর নির্ভর করে না, এর স্থানিক মেরুকরণ ভিন্ন কিংবা প্রেক্ষাপট এত সহজভাবে বোঝার চেষ্টা করা হলে জামাত-শিবির’কে যতবড় ছাড় দিতে হবে সেটা বিলাসিতা ছাড়া আর কিছু নয়। বরং, রাষ্ট্র’কে যদি একটা সমন্বিত ব্যবস্থাপনা হিসেবে ধরা হয় তাহলে জামাত বাংলাদেশে বহুবছর ক্ষমতায় থেকে গেছে রনি ভাই, বুঝতে হবে কিন্তু
এদের টেণ্ডারবাজি আর চাঁদাবাজি বাকি দলগুলোর চাইতে আরও ভয়াবহ ভাইজান। বাকি দলগুলো ঘাপটি মেরে করে না আর এরা কর ঘাপটি মেরে, পার্থক্য এখানে।
খুব সহজভাবে বিষয়টা আপনি বলার চেষ্টা করেছেন, আপনাকে আঘাত না দিয়েই বলতে চাই, জামাত-শিবির বিষয়ে এতটা সহজভাবে দেখার চেষ্টা না করাটাই ভাল, আমাদের সামর্থ্য কিন্তু শুধুমাত্র চিন্তায় নয়, বরং অনুধাবনের ব্যাপকতা থাকাটা এইক্ষেত্রে আরও বেশি প্রয়োজন।
এইসব বিষয়ে লেখা চলুক বেশ কিছু জায়গায় দ্বিমত করতে চাই, কিছু ক্ষেত্রে যোগ। তবে, কিছু মনে করবেন না, আমার কিছু কথা একটু চাঁছাছোলা মনে হতে পারে।
আপনার এই লেখাটা আরও ভাল হতে পারতো শুধুমাত্র কিছু জায়গায় সরল ব্যাখ্যায় না গেলে। শিরোনামের সাথে তার পরে যে বিশদ আলোচনা তাতে বেশ কিছু জায়গায় জামাত কিন্তু বেনেফিট ওফ ডাউটের মত জায়গা পেয়ে যায়; কারণ এটা জামাত যাদের যাত্রা শুরুই হয়েছিল ‘ডাউট’ থেকে, এখন-ও তাই। তাদের’কে আপনি কিংবা আমি আবার ডাউটের বেনিফিট দিতে গেলে কিন্তু বিপদ
ভয় নাই! পুরোপুরি একমত নই এই বিশ্লেষণের আঙ্গিকে। এককভাবে ক্ষমতায় আসার সক্ষম প্রয়োজনীয়তা জামাত এখন-ও দেখায়নি, এর সাথে বহুবিধ সমীকরণ জড়িত, এমন’কি বাংলাদেশে তাদের প্রয়োজনীয় জনসমর্থন জুটে গেলে-ও তাদের পরদাদা’দের আশীর্বাদ ছাড়া জামাত কোনদিন ক্ষমতায় আসবে বলে মনে হয়না। পরগাছা কি নিজে নিজে গাছ হতে জানে জল দিলেও! পাশাপাশি সরাসরি রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করার জন্য যে পরিমাণ সৎসাহস নিয়ে কাজ করা দরকার তা জামাতের নেই সেটা জামাত জানে, সে বরং ঘাপটি মেরে থেকে বাকিদের দিয়ে নিজের কাজ করাবে, এক্ষেত্রে তাদের দক্ষতা তুলনাহীন। সরাসরি ক্ষমতায় এসে লেজ খুলে ফেললে লেজের আর মাহাত্ম্য থাকে কোথায়?
খুবই বিপদজনক ব্যাখ্যা। বলাই’দা যেমন বলেছেন, ক্লিন ইমেজটা আমাদের ভ্রান্ত ধারমা মাত্র। যারা জামাত নিয়ন্ত্রিত এলাকায় থাকে তারা জানে ইমেজের পাল্লা কোন দড়িতে ঝোলে। কিন্তু আপনার এই অতিমাত্রায় সরলীকরণ কিন্তু আমাদের জন্য বিপদজনক ভাই। টেণ্ডারবাজি আর চাঁদাবাজি জামাত যেভাবে করে সেটার মাত্রা আলাদা। জামাতের লোকজন যৌন ব্যবসার সাথে জড়িত, ড্রাগস ব্যবসার সাথে জড়িত, জড়িত অস্ত্র ব্যবসার সাথে --- এই বিষয়গুলো নিয়ে ব্লগে-ও কিন্তু বিভিন্ন সময় আলোচনা হয়েছে। এরা পারেনা এহেন কাজ নেই কিন্তু আপনাকে আমাকে সে চাক্ষুস সেটা করে দেখাবে-না, ’ডার্টি’ সমস্যা এখানেই, এখানে ক্লিনলিনেস এর কোন সুযোগ নেই।
বিপ্লব না, ওইসব এলাকায় ভোটে ততদিন পর্যন্ত একটা প্রবল নিয়ন্ত্রণ ছিল জোতদার শ্রেণীর হাতে, সাথে আণ্ডারগ্রাউণ্ডে থাকা বিভিন্ন দলের প্রভাব ছিল সীমাহীন। ১৯৯১ সালে জামাত আলাদা নির্বাচন করেনি, বিএনপির সাথে মিলে নির্বাচন করেছিল, এরশাদের দীর্ঘ জামাতবান্ধব শাসনের সময়টুকু পেরিয়েই কিন্তু ১৯৯১ এর নির্বাচন
নতুন নয়, পুরাতন কিন্তু বর্তমানে নারী আর শিশুদের সামনে ঠেলে দিয়েছে জামাত, ক্যাডার-বেজড রাজনীতি চালাতে না পারায় তাদের স্ট্র্যাটেজিতে পরিবর্তন এসেছে। এই স্ট্র্যাটেজি সর্বশেষ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ব্যাপকভাবে কাজে লাগানো হয়, সাফল্যে উৎসাহিত হয়ে এখন এই গ্রুপের হাতে ল্যাপটপ-মডেম জুটে গেছে।
বৃহত্তর খুলনা এলাকায় কিন্তু মুসলিম লীগের দাপট এই সেদিন-ও রমরমা ছিল, এটা-ও কিন্তু একটা বড় কারণ। পাশাপাশি, এই এলাকাগুলোতে ‘ভারত আইলো’ জুজু জামাত কাজে লাগিয়েছে ব্যাপকভাবে, কারণ এলাকার মানুষগুলোর বেঁচে থাকে ঘাড়ের উপর সীমান্ত নিয়ে। এইসব এলাকা শুধুমাত্র দক্ষিণে নয়, উত্তরে-ও কিন্ত একই দশা। বাংলাদেশের মানচিত্র খুলে একটু ভালমত খেয়াল করলেই এটা দেখা যাবে, উত্তরে মাঝখানে বগুড়া!! জামাত কিন্তু কৌশলগত রাজনীতি করে, বাংলাদেশ এর জামাতি যে-কোন (এমনকি যে-কোন ইউনিয়নের জামাতি ম্যাপ) ম্যাপ যুদ্ধক্ষেত্রের ম্যাপ এর মত দেখাবে বলে আমি নিশ্চিত।
আওয়ামী লীগ বিরোধী ভোটে একটা সমস্যাজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে মাত্র, এতে করে একটা সুবিধা-ও কিন্তু তৈরি হয়েছে মনে হয়। দোদুল্যমান ভোটার শ্রেণীর একটা ভাগ স্ব-বিরোধীতা থেকে বের হয়ে আসছে আস্তে আস্তে, কিংবা তাদের পরবর্তী প্রজন্ম। এটা ঘটবেই!
হ্যাঁ, কিছুটা বলাই যায়। যারা ইতিহাস নির্ভর বিশ্বাস থেকে আওয়ামী লীগ করে আসছে তাদের ভোট জামাতে যাবে-না কোনদিন-ও, গ্রামের চাইতে বরং শহুরে শিক্ষিত লোকের ভোট খোয়ানোর ভয় বেশি।
আপনি কি এই বিষয়টা নিয়ে আরও একটু লিখবেন, আলোচনা আরও হওয়া দরকার।
পুরা স্পট অন মন্তব্য।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
জামায়াত প্রকাশ্য চাঁদাবাজিতে নাই - এটা সত্য না, এটা একটা পারসেপশনমাত্র।
ক্যাডারভিত্তিক সুবিধাবাদী দল হিসেবে জামায়াত অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধশালী। সে অর্থকে তারা বিভিন্নভাবে কাজে লাগায়। মিডিয়াও ভাগ পায়। জামায়াতের পক্ষে পারসেপশন তৈরি করা হয়।
এই পারসেপশনের আরো একটা কারণ, জামায়াত নিজে ক্ষমতায় ছিলো খুব কম। সাধারণত যারা ক্ষমতায় থাকে, প্রকাশ্য চাঁদাবাজির ব্যাপারে তাদের কাজকর্মই লোকজনের চোখে বেশি পড়ে। মাত্র এক টার্ম ছাগোলের ২ নম্বর বাচ্চা হিসেবে ক্ষমতায় এসেই নিজামি অস্ত্র মামলায় ফাঁসিতে।
আওয়ামী লীগ বা বিএনপির মতো এককভাবে ক্ষমতায় আসতে পারলে বাংলাদেশে যে কোনো কাজ পাওয়া তো দূরের কথা, বেঁচে থাকারই একমাত্র শর্ত হতো জামায়াত করা।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
সহমত
কিন্তু বিম্পিতে ভর করে একবার ক্ষমতায় এসে ওরা যে-দখল, ধর্ষন, বোমাবাজি, জঙ্গি তৎপরতা চালিয়েছে যে দেশটা তখন বাংলাদেশ ছিলো না, মনে হয়েছিলো বাংলাস্থানে ছিলাম। আর তাদের যে পরিমান লোকজনকে প্রশাসনে নিয়োগ দিয়েছে সেটা হেলাফেলার নয়। ওরা একক ক্ষমতায় না আসলেও বিম্পির সাথে আবারো ক্ষমতায় এলেও ২০০১-০৬ এর চেয়েও ভয়ংকর রূপে আসবে। শুধু জামাত না আসুক আর ওদের ধ্বংস করা হোক এমন চাওয়া থেকেই আওয়ামিলীগকে প্রয়োজনে আবারো ক্ষমতায় দেখতে চাই। সেটাকে যদি কেউ অন্ধ আওয়ামিপনা মনে করে তাহলে তাই। রাজনীতি থেকে ধর্মীয় মৌলবাদ আর সাম্প্রদায়িকতা দূর করাই হলো বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতাদের কাছে প্রধান চাওয়া।
-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।
সহমত, মন্দের ভালো হিসেবে আওয়ামী লীগ ভরসা
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
ভরসা আমার শ্যামাচরণ...
জামায়াত রক্ষায় দেশের এক নম্বর কালপ্রিট হলো তথাকথিত সুশীল সমাজ। আজ যদি সরকার জামায়াতের তালিম বন্ধ করে দেয়, বা খবরদারি করে, এই সুশীল সমাজই "স্বাধীনতা" নিয়া টান দিবে। এজন্য সরকারও খুব বেশি রিস্কে যায় না।
তবে জামায়াত ক্ষমতার বাইরে দীর্ঘদিন থাকলে এবং যুদ্ধাপরাধীর বিচারটা ঠিকমতো সম্পন্ন হলে এই তালিম-তুলিম দিয়া জামায়াতের শেষরক্ষা হবে না। যারা তালিমে যায়, তারা ধর্মের জন্য যায়, জামায়াতের জন্য যায় না। সুতরাং প্রাথমিক সফট কর্নার সৃষ্টি করতে পারলেও দীর্ঘমেয়াদে তাদের ভণ্ডামি সাধারণ লোকজন বুঝবে।
এদের গোঁড়া কেটে দিলে এসব কার্যক্রমেও খুব বেশি উৎসাহ পাবে না।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
দ্রুত গোড়া কাটা জরুরি
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
এক্করে ষণ্ডচক্ষু!
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
ভাই এসব শুধুই সীমান্তবর্তী গ্রামেই ঘটেনা খোদ রাজধানী ও তাঁর পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতেই প্রায় বছর দশেক আগে থেকেই এসব শুরু হয়েছে।
অভিমন্যু .
________________________
সেই চক্রবুহ্যে আজও বন্দী হয়ে আছি
তা ঘটে, যেহেতু আমি সীমান্তের মানুষ, তাই ওই এলাকার খবরটাই ভালো করে জানি। এজন্য সীমান্তের চিত্রই লিখলাম
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
সমস্যাটা নতুন না।গ্রামের রাজনীতিতে গ্রন্থ,কসম এগুলো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।সেটিকে নিয়ন্ত্রন করার কৌশলও লোকাল নেতাদের জানা আছে। আমি বরং গ্রামের চাইতে প্রচলিত মাদ্রাসা শিক্ষাকে নিয়ে বেশি শংকিত। এইখানে শিবিরের ইনফিলট্রেট করার উপাদান বেশি। হতে পারে তারা জংগি হবেনা কিন্তু তাদের আধুনিক হতেও দিবেনা জামাত-শিবির চক্র। শিক্ষার একমুখিতাটাই ভীষন জরুরী তাই।
---------------------
আশফাক(অধম)
মাদ্রাসা শিক্ষা নিয়ে আমিও শঙ্কিত।
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
শুধু কি গ্রাম। একবার এক কলেজ শিক্ষকের বাসায় দেখলাম ছোট এক ম্যাগাজিন, কলেজের ছাত্রীদের করা।অন্যমনস্ক হয়ে চোখ বুলাতেই আমার চক্ষু চড়কগাছ। সেখানে কাঁচা হাতের গদ্য আর কবিতায় সুন্দর ভাবে সাম্প্রদায়িকতা আর ছাত্রীদের মাঝে ধর্মীয় অনুভুতির (!) প্রসার ঘটানো হচ্ছে।আরো বেশি অবাক হওয়ার মত ব্যাপার হল ছোট শহরের বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ গুলিতে, কলেজ হোস্টেলে, এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী হোস্টেলে এরকম অসংখ্য ছাত্রীসেনা শাখা গড়ে উঠছে নিভৃতে। প্রতি সপ্তাহে মিটিং ও সাংগঠনিক কার্যক্রমের মাধ্যমে এরা ক্রমশ ব্যাকটেরিয়ার মত সংখ্যা বৃদ্ধি ঘটাচ্ছে। এরা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস না জানলেও কাদের মোল্লার বীরত্ব ভালভাবেই জানে। শিবিরের সহিংসতার সঙ্গী হতে চায়।
আপনার কি মনে হয় না এটা আশঙ্কাজনক?
কন্দর্পকান্তি
সহমত
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
লেখা ভালো হয়েছে। কিন্তু কিছু পরিসংখ্যান ব্যবহার করলে লেখাটা আরও ভালো হত। অধিকাংশ, বেশির ভাগ এই শব্দগুলো মাঝে মাঝে ফাকিবাজির মত লাগে। ধন্যবাদ
-আমি কেউ না
লাগে, কিন্তু সঠিক পরিসংখ্যান আমার আগত নেই। কিন্তু ইন্টারনেঠ ঘেঁটে সঠিক পরিসংখ্যান হয়ত পাওয়া যেত। কিন্তু সময়ের বড় অভাব। মোদ্দাকথা মহিলা তালিমে ভিষয়টা তুলে ধােয় ছিল মূল লক্ষ্য। সিরিয়াস ধরনের লেখা লেখাটা আমার ঠিক আসে না।
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
ভালো লিখেছেন। যেহেতু দেশে গেলে ঢাকা শহরের বাইরে খুব একটা যাওয়া হয় না, তাই সীমান্তবর্তি অঞ্চলগুলোর কি অবস্থা তা জানা ছিল না। কিন্তু ঢাকা শহরের ভিতর অনেকের (এর নিজের পরিচিত অনেকের মদ্ধেও) 'হঠাৎ হিজাব পড়ে এবং দাড়ি রেখে' মুসল্লি হয়ে যাবার ট্রেন্ড গত কয়েক বছর ধরেই চোখে পড়েছে। জিনিসটা নিয়ে শঙ্কিত হতাম না যদি না দেখতাম যে এসব নব্য 'আস্তিক' দের মধ্যে বেশীর ভাগেরই প্রকৃত ইসলামিক নলেজ কম এবং সাম্প্রদায়িক মনভাব বেশী। এখন আপনার লেখা পড়ে মনে হচ্ছে ব্যাপারটা খালি ঢাকা শহরে সীমিত না। চিন্তার বিষয়।
- ইয়ামেন
নলেজ হবে কী করে, তার জন্য পড়াশোনা করা লাগে না!
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
সাম্প্রদায়িকতার বিষ যেভাবে ছড়াচ্ছে, ভয় হয় একটা বাজে সময় আসবে, যে সময়টা এখন পাকিস্তানে চলছে। শিয়া সুন্নি সংঘাতের সম্ভাবনা যদিও কম এই দেশে (কারণ শিয়াদের সংখ্যা খুব কম), শরিয়াহ ভিত্তিক আইনের দাবী উঠতেই পারে। অন্য ধর্মাবলম্বিদের তো এখনই শোচনীয় অবস্হা!
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
কেয়ামত পর্যন্ত মুসলমানদের খুন হওয়া অব্যাহত থাকবে, এমনকি কোনদিন সমস্ত পৃথিবীজুড়ে ইসলামি হুকুমত কায়েম হলেও, তখন শিয়ারা কতল করবে সুন্নিদের, সুন্নিরা সুফী বাদীদের, সুফীরা আহ্মদিয়াদের ইত্যাদি।
আর সবচেয়ে সাচ্চা কথা হল - সকল তরিকাই তাদের সহীত্বের ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চিত, বাকিসব ফ্যাসাদ সৃষ্টিকারী, সুতরাং স্বয়ং আল্লাহ যে বিধান নাযিল কারি, তাতে হাত যারা দেয়, তাদের কতল করা ফরজে আইন হয়ে দাড়ায়। আর যে জয়ী হবে তার বাণী তো ঠিক করাই আছে " সত্য সমাগত, মিথ্যা অপসৃত। সত্যের জয় অবিস্মভাবী"।
-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।
সহমত, মাসুদ সজীব
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
আসলেই, সেই ভবিষ্যতের কথা ভাবলে গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে।
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
জামাতের পরিকল্পনা বহুমূখী। এরা এক এক ধরণের রিসোর্সকে এক এক ভাবে কাজে লাগায়, এত কম জনসমর্থন নিয়ে এই কারনে এরা টিকে আছে। কেউ ভাল ছাত্র বা ভাল জায়গায় লেখাপড়া করলে তাদেরকে সরাসরি মারামারি বা রগ কাটাকুটির কাজে এরা ঢোকায় না, এদের কোন প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং ডিরেক্টর বা সিইও বানায়ে দেয়, বিদেশে পড়াশোনা করাইতে সাহায্য করে, তারপরে বিসিএস ক্যাডার হিসাবে বিভিন্ন সরকারি জায়গা দখলের কাজ তো আছেই। একবার এক শিবিরের পোলার সাথে কথা হইছিল, তাদের প্ল্যানের মধ্যে একটা প্ল্যান হইল যদি কোনদিন কোন ভাবেই (বোমাবাজি করে হোক বা ক্যু করে হোক) যদি জামাত ক্ষমতা দখল করতে পারে তাহলে মোটামুটি গ্রুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলাতে কাজ চালানোর মত বা টেক ওভার করার মত লোক তৈরি করা।
আর এই জামাতি মহিলাদের দ্বারা ধর্মের নাম করে জামাতি প্রোপাগান্ডা চালানো শুধু সীমান্তবর্তী এলাকায় না খোড ঢাকা শহরেও পুরোদমে শুরু হয়েছে। এর থেকে মুক্তির উপায় কী, আমি জানি না।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ঠিক বলেছেন ত্রিমাত্রিক কবি, ওরা বহুমাত্রিক প্রপাগাণ্ডা চালায়।
মুক্তির উপায় কী? যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যকর হওয়টা সবার আগে দরকার।
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
এই জিনসটাকে আমি এভাবে রিড করি:
জামায়াতের সাথে আদর্শিকভাবে সুশীলদের মিল আছে। সুশীল এবং জামায়াত কেউই আসলে পাবলিককে শ্রদ্ধা করে না। এরা চায় যে কোনো মূল্যে ক্ষমতার কলাটা মুলাটা খেতে। পাবলিকের ভোটের প্রতি এরা বিশ্বাসী না।
টেকাটুকার টকমারানিদের ব্যাপার আলাদা; কিন্তু সার্টিফিকেটধারী সুশীলদের একটা বিরাট অংশও দেখবেন জামায়াতের প্রতি সফট। চেতনে বা অবচেতনে আদর্শের মিলের কারণেই এটা হয়।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
এই কথাটা খাঁটি।
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
'শুরু' হয়েছে না, ইতিমধ্যে বহু পুরনো হয়ে গেছে!!
এইসব পাড়াভিত্তিক (বা ক্ষেত্রভেদে অন্য কোন ভিত্তিতে) মহিলাদের ধর্মীয় মজলিশ ঢাকা শহরের কাজের বুয়া থেকে শুরু করে ধনিক শ্রেণীর মহিলাকুল - সবার জন্যই কাস্টমাইজ করা আছে এদের। নিয়মিত চর্চা হয়। আমার এলাকার একটা বড় সংখ্যক মহিলা গৃহকর্মী মনে হয় এখানেই কোন একটা বাসায় সপ্তাহে অন্তত একবার এইরকম মজিলশে ('মাহ্ফিল') যায়। ধর্মীয় ব্রেইনওয়াশিং-এর পাশাপাশি এইসব মজলিশে এদের ভাল খাবার আর কাপড়-চোপড়ও দেয়া হয়। আর কিছু দেয়া হয় কিনা জানি না। তবে খাবার-বকশিশের লোভেই হোক বা অন্য কোন লাভের আশাতেই হোক, এটা এদের অনেকের জন্যই একটা প্রায় অপ্রতিরোধ্য আকর্ষণ। কেউ কেউ কাজ নেয়ার সময় শর্তই করে নেয় যে ঐদিন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ছুটি দিতেই হবে। এইসব মজলিশে সম্ভবত নিরীহ ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি "চিনিতে মোড়া বিষের" মত অনেক ভয়ঙ্কর শিক্ষাও দেয়া হয় এদের। আমার বাসার গৃহকর্মী (অনেক আগে) একবার এসে বলতেসে যে রাস্তায় যেসব মেয়ে/মহিলারা পর্দা করে চলেন না, তাদেরকে রাস্তায় থামিয়ে জোর করে পর্দা করার জন্য নসিহত করতে হবে। না শুনলে হেনস্থা করতে হবে। যেসব নারীরা নাভির নীচে শাড়ি পরেন বা পেটা দেখা যায়, তাদের পেটে আলকাতরা মাখিয়ে দেয়া উচিৎ, ইত্যাদি (এই শেষেরটা এর মুখেই শুনেছিলাম না অন্য কারও মুখে নিশ্চিত মনে পড়ছে না। তবে, আলকাতরা মাখানোর ঘটনা আসলেই কিন্তু দুয়েকটা ঘটেছিল একসময়)। এইগুলা নাকি তাদের শিখানো হয়েছে। ছদ্মবেশি রাজনৈতিক শিক্ষাও বোধহয় দেয়া হয়, তবে এগুলি একদম সরাসরি হয় কিনা নিশ্চিত না। আমি শুধু ভাবছি ঢাকা শহরের প্রতি পাড়ায় যদি এরকম একটা করে হলেও মজিলিশি কেন্দ্র বা শাখা থাকে, আর প্রতি শাখাই যদি একটা নির্দিষ্ট শতাংশের ডেডিকেটেড বা অন্ধ পোটেনশিয়াল কর্মী তৈরি করতে পারে, তাহলে এদের কত বড় একটা নারী-বাহিনি তৈরি হয়ে যায়!
উচ্চশিক্ষিত ও ধনিক শ্রেণীর জন্য বোধহয় অন্য সিস্টেম, তবে সে সম্পর্কে বেশি কিছু জানি না।
****************************************
ঢাকা শহরের বিষয়টা একদন জানতাম, কিছুটা ধারণা পেলাম। ধন্যবাদ।
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
বিদেশেও আছে এরকম মজলিশ। যে কয়টি দেশে গেছি সবজায়গায়ই আছে। আমার বউকেও আশেপাশের ভাবীরা যেতে বলেছিল, আমি যেতে দেইনাই, কারণ পূর্ব অভিজ্ঞতা ভাল না। আজব টাইপের ফতোয়া শুনতে পাই ওখান থেকে, একটা উদাহরণ দেই। সেদিন এক আপু বলল, উটের মাংস খেলে নাকি ওযু ভেঙে যায়, যখন জিজ্ঞেস করলাম এইটা উনি কই পাইসেন, বলল ওই মজলিসে বলসে। আমি খালি বললাম, যে তাইলে আরবের লোকজনের ওযু হয়না? উত্তর আসলো "জানিনা, কিন্তু ওই আপা তো না জেনে বলেনাই, নিশ্চয়ই কোন ব্যাপার আছে।"
বলা বাহুল্য, বাঙালি মুসলমানের কাছে আরবের ইসলাম সাচ্চা ইসলাম না। এই হানাফি-শাফেয়ি-ওয়াহাবি-সালাফি রাই এক হইতে পারলনা, আর শিয়া-সুন্নি ! আর এরও পর আসে সব ধর্মের সহাবস্থান।
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
বড় দলগুলোর রাজনীতিতেও পরিবর্তন আসতে হবে, তা না হলে মানুষ হতাশাগ্রস্ত হয়ে ওদিকেও ঝুঁকতে পারে। ভারতের উদাহরণ আমাদের সামনে।
লেখাটি যথেষ্ট তথ্যবহুল।
হ্যাঁ, ভারতের এই অভিজ্ঞতারে ডরাই
আম-আদমি পার্টি আর বাবুনাগরিক শক্তি'র দূরত্বটুকুই ভরসা
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
ঠিকই বলেছেন পৌঢ়দা, বড়দলগুলো বিশেষকরে আওয়ামী লীগে একটা বড় পরিবর্তন জরুরি।
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
প্রয়োজনীয় পোস্ট। অত্যন্ত দামী মন্তব্যর সমাহার। আমার নিজের কথা - তানিম এহসান যা যা বলেছেন বিশেষ ভাবে সেই কথাগুলি।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
ধন্যবাদ, সকলের মন্তব্যই কমবেশি যুক্তিসঙ্গত
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
আরেকটি বড় বিষয় হল - শিক্ষা। আমাদের দেশের প্রান্তিক ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কাছে মাদ্রাসা শিক্ষার জনপ্রিয়তা অনেক বেশী। এর প্রধান কারনগুলো হল -
১। মাদ্রাসায় পড়াশোনার খরচ কম
২। থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা আছে
৩। মোল্লাদের ভুল ধর্ম প্রচার মানুষের মনে ধারনা ঢুকিয়ে দিয়েছে - শুধু মাত্র ধর্মের কাজ করেই ইহকাল ও পরকালের শান্তি নিশ্চিত করা যায়
ভয়ঙ্কর ব্যপার হল - এই মাদ্রাসাগুলোর বেশিরভাগই জামায়াত নিয়ন্ত্রণ করে। তার উপর জামায়াতের অসংখ্য সংগঠন আছে যারা শিশু কিশোরদের নিয়ে কাজ করে, যেমন - স্কলার্স ফোরাম, ফুলকুঁড়ির আসর ইত্যাদি। এইসব সংগঠন থেকে নানারকম প্রতিযোগীতার পাশা পাশি আর্থিক সাহায্যও প্রদান করা হয়। কিন্তু ব্যনারের আড়ালে এখান থেকে প্রচুর ছেলে পেলে নিশানা করে শিবিরে আনা হয়। একদম কোমল বয়স থেকে যখন জামায়াত-শিবিরে নিয়োগ করা হয় তখন তাদের তো সংগঠনটির প্রতি একটা অন্যরকম টান থাকবেই। পক্ষান্তরে - বিএনপি বা আওয়ামী লীগের এই ধরনের কোন কার্যক্রম নেই। এদের ছাত্র সংগঠনগুলো টেন্ডারবাজী আর রঙবাজী নিয়ে ব্যস্ত। এই ফাঁকা যায়গাটা তো অবশ্যই জামায়াত ব্যবহার করতে চাইবে। শহরকেন্দ্রীক রাজনীতির বাইরে গ্রামেই যে ভোটার সবচেয়ে বেশী এই সত্যটা বড় দলগুলো না বুঝলেও জামায়াত ঠিকই বুঝতে পারছে এবং শুরু থেকেই সেই অনুসারে এগিয়ে যাচ্ছে।
~~ মেঠুসেলাহ
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
আমাদের গ্রামে এটা আছে। এরা আবার মাহফিলের কথা বলে একেক বাড়িতে একেকদিন আস্তানা গাড়ে। আর ভাব নেয় এমন, যে আপনার কি ভাগ্য, আজ আপনারই বাড়িতে দ্বীনের নসিহত হবে। এভাবে একদিন ধাম করে চলে এলো আমাদের বাড়িতে! আব্বা ছিলেন বাড়িতে, ঝাড়ি যারে বলে, একেবারে হাজার ভোল্ডের ঝাড়ি দিলেন। সেই থেকে আমাদের বাড়ি নিরাপদ। কিন্তু গ্রামের অবস্থা খুবই নাজুক
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
আমাদের বাড়ির ত্রিসীমানায় ভিড়তে পারে না, আমার এসব মোটে পছন্দ করেন না।
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
নতুন মন্তব্য করুন