ভালোবাসা কারে কয়-২ : চম্পাবতীর গাঁয়ে

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি
লিখেছেন আব্দুল গাফফার রনি [অতিথি] (তারিখ: রবি, ২৪/০৮/২০১৪ - ১১:০১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

তখন খুব ছোট। কত ছোট, মনে আছে। কারণ তখন কেবল অক্ষর চেনা শুরু করেছি। ঠিক মতো পড়তে পারি না। তবে দু-একটা ছড়া দাদীর মুখে শুনে মুখস্থ হয়ে গেছে--

আমপাতা জোড়া
মারব চাবুক-চড়ব ঘোড়া

দাদীর সাথে গিয়েছি বাবার ফুপাতো বোনের বাড়ি। চুয়াডাঙ্গা জেলায়। দর্শনার একেবারে পাশে। বর্ষাকাল, বৃষ্টির ছন্দ। নতুন গ্রামের ছবিটাকে স্থায়ী একটা আসন করে দিয়েছিল মনে। বর্ষার পানিতে গা ধুয়ে ডগমগ করে ওঠে মেঠো গুল্ম-লতা। সজীব-সবুজ সেই ঘাসপাতার জঙ্গল দেখতে ভারি ভালো লাগে তখন। রোদ-বৃষ্টির লুকোচুরিতে দেখা সেই গ্রামটাও যে খুব ভালো লাগল। এর বুঝি অন্য আরেকটা কারণও আছে। ছোটবেলার জীবনটায় যেন মুগ্ধতার, ভালো লাগার অনাবিল প্রশান্তিতে ভরা।

অভিজ্ঞতাশূন্য শৈশবে যেখানেই নতুন যাওয়া হয়, সেই জায়গাটাকেই মনের-- ভেতর স্বপ্নরাজ্য হয়ে খোদাই হয়ে পড়ে। আমাদের ওই ফুপুর বাড়ির পাশ দিয়েই বয়ে গেছে মাথাভাঙ্গা নদী। মাঝখানে রাস্তা, নদীর গতিপথকে অনুসরণ করে সর্পিলাকারে বয়ে চলেছে। পাশেই একটা দোকান, সাথে একটা পাটের আড়ৎ। শৈশবে দোকান ভারি মজার জায়গা। কারণ ওই দোকানে চানাচুরের প্যাকেট, লেমঞ্চুষের বৈয়াম, ঠোঙা ভরা বিস্কুট আছে। জিবে পানি ঝরাবার জন্য আরও কত কী!

দোকান, নদী, মাটির তৈরি ফুফুদের কাঁচা বাড়ি--একটা ছবি হয়ে বুকে ছাপ দিয়ে রইল। ফুফুর অনেকগুলো ছেলেমেয়ে, একটা মেয়ের অবশ্য আমাদের গাঁয়ে বিয়ে হয়েছিল। কোনও কারণে সেটা টেকেনি। কিন্তু সাত আট ছেলেমেয়ের মধ্যে দুজনের কথা মনে রইল বেশ। একজন শাহিন ভাই, অনেক বড়, রীতিমতো যুবক। তিনি আমাকে দোকানে নিয়ে গিয়ে জিবের জল কমাচ্ছিলেন। আরেকজন চম্পা, ফুফুর কনিষ্ঠ সন্তান। আমার চেয়ে কিছুটা বড়। লিখতে পড়তে পারে। সুন্দর করে ছড়া বলে। একসময় ওর সাথে খাতির হয়ে গেল। আমাকে নদীর পাড়, আশেপাশের আগান-বাগান ঘুরিয়ে দেখালো। নতুন সবকিছুই তখন মুগ্ধ দৃষ্টিতে দেখার বয়স। যা দেখলাম তাই ভালো লাগছিল। বিশেষ করে সদ্য বৃষ্টিস্নাত ঝোপঝাড়। একটা মোঠোফল আজীবনের জন্য বুকের গভীরে জায়গা করে নিয়েছিল। ওর বৃষ্টি ধোঁয়া রূপ এরপর যতবার দেখেছি ততবার শিংনগরের সেই গাছটার কথা মনে হয়েছে, মনে পড়েছে চম্পার কথা, চম্পার ছড়ার কথা। সেই গাছের একটা ছবি দিলাম। গাছটার নাম কিন্তু আজও জানি না।

চার দিনের মাথায় শিংনগর থেকে বাড়ি ফিরেছিলাম। মনের ভেতর রয়ে গিয়েছিল কিছু স্মৃতি। রোদ-বৃষ্টির লুকোচুরি খেলা, ওই যে বুনো-ঘাস লতার জঙ্গল ভেদ করে উঁকি দিচ্ছে, সেই নাম না জানা মেঠো গুল্ম। ঘরের চালে বৃষ্টির তালে চম্পার ‘ময়ুর ডাকে কেকা’ ছড়ার ছন্দ। সময় যত গড়ায় ধীরে ধীরে ফ্যাকাসে হতে শুরু করে শিংনগরের স্মৃতি, ঠিক রাতে ঘুমের ভেতর স্বপ্নে দেখা কোনও অজানা গ্রাম যেন। স্মৃতিটা একেবারে মুছে যেত হয়তো। কিন্তু নাম না জানা গুল্মটা বারবার স্মৃতিকোষগু উস্কে দিয়েছে। যখন যেখানে দেখেছি গাছটা, এক লহমায় ফিরে গেছি শিংনগরের ফুফুর ও মেটে বাড়ির উঠোনে।

২০০০ সালের তপ্ত বৈশাখ। দাওয়াত পেলাম, শিংনগরের ফুফুর মেয়ের বিয়ে। চম্পা নয়, চম্পার বড় আরেকটা আছে, তাঁর। কিন্তু এক যুগের ব্যবধানে ফুফুর এই মেয়েটার কথা পুরোপুরি ভুলে গেছি। যাই হোক, ছোট চাচার সাথে গেলাম সেই আগের পথেই। কিন্তু ঠিক চিনে উঠতে পারলাম না রাস্তাঘাট। ছোট বেলায় সময় বড্ড দীর্ঘ হয়। ১০/১২ বছর মানে ম্যালা সময়, স্মৃতিগুলো পুরোপুরি ধূসর হয়ে গেছে। তাই পথঘাট চিনতে না পারই স্বাভাবিক। দর্শনা থেকে মাইল খানেকের পথ। ভ্যানে চড়েই পাড়ি দিলাম।

১৬ বছরের তরুণ তখন। মনে যৌবনের বান ডেকেছে। যা দেখি চারপাশে, সব ভাল লাগে। ছয় ঋতু যেন পরস্পরে লীন হয়ে চির বসন্তে রূপ নিয়েছে। পথ ঘাট, ভালো লাগে, ভালো লাগে পথের দুপাশের সৌন্দর্যও। ঘাস গুল্ম-লতা, ফুল পাখি--সব সব ভালো লাগে। সেই ভালোলাগার অনুভূতির সাথে আরও একটা অনুভূতি জেগে ওঠে--চম্পা। সে কী আমাকে চিনতে পারবে? সেই ছড়া কি ওর মনে আছে? মুখোমুখি হলে আমিই বা ওকে কী বলব? আচ্ছা, এই একযুগে কেন ওর সাথে দেখা হলো না? কত মানুষের সাথেই দেখা হয়? ওর মামার বাড়ি, যেটা আমার বাবার ফুফুর বাড়ি, সেখানে বছরে দু-তিনবার পা পড়ে আমার? ও কি একবারও আসে না মামার বাড়ি? নাকি ও যখন আসে আমি তখন যাই না? ভ্যানে চলতে চলতে কোথা থেকে একরাশ অভিমান এসে আচ্ছন্ন করল আমাকে? কিন্তু অভিমান তখনই মূল্যবান, যার ওপর অভিমান করছি তার কাছে এর কিঞ্চিত মূল্য যদি থাকে। নইলে ঝরাপাতার সমান মূল্যটিও তার নেই।

যেখানে আমাদের পথ শেষ হলো, সেই জায়গাটা বড্ড চেনা চেনা লাগল। ওই তো সেই দোকানটা। আর ওই যে রাস্তার ওপারে সাপের মতো বয়ে চলেছে মাথাভাঙ্গা! ফুফুর বাড়িটাই কেবল চিনতে পারলাম না। সেই কাঁচা ঘরগুলো আর নেই। ফুফা চাকরি করতেন দর্শনার বিখ্যাত সুগার ও অ্যালেকোহল কারখানা কেরু অ্যান্ড কোং-এ। স্বল্প বেতনের চাকরি, একগাঁদা পুষ্যি। সবগুলো ছেলেমেয়ে মানুষ করতে গিয়ে বাড়ি-ঘর করতে পারেননি তিনি। কিন্তু ছেলেরা ব্যবসা করে ধনবান হয়েছে। অতএব বাড়ি না চেনাটাই স্বাভাবিক। স্মৃতি ঘেঁটে ঠাওর করার চেষ্টা করলাম কোন জায়গায় সেই নাম না জানা গুল্মটা দেখেছিলাম। শেষ পর্যন্ত সফল।

বিয়ে বাড়ি। লোকজনে গিজগিজ করছে। অনেক মানুষই চেনা। কারণ তারা আমাদের আর চম্পাদের কমন আত্মীয়। এর মধ্যে আছে চম্পার মামার ছেলে খোকন। আমার এক বছরের বড়। খুব ভালো বন্ধু ও আমার। ওকে বললাম, ‘চম্পাটাকে দেখিয়ে দে-তো।’
খোকন আঙুল তুলে দেখাল। বিয়ে বাড়ির হৈ হুল্লোড় থেকে গা বাঁচিয়ে ঘরের ছায়ায় খিলান ধরে দাঁড়িয়ে আছে সে। চোখ ঝলসে গেল আমার। বিয়ে বাড়ির জাঁক-জমকের সাথে মানানসই পোশাক সে পরেনি। মেকআপের আড়ালে লুকিয়ে ফেলেনি নিজের আসল রূপ।

একপলক দেখে ভালোলাগা যাকে বলে, তখন সেটাই আমাকে পেয়ে বসেছে। শুধু ভালোলাগাই বা বলি কেন, ভালোবাসাও কি নয়? মনের কাছে প্রশ্ন করে সেই উত্তরই পেয়েছিলাম। খুব ইচ্ছে হচ্ছিল ওর সামনে গিয়ে দাঁড়াই, বলি, দেখো তো চিনতে পারো কি না। কিন্তু সে সাহস তখন ছিল না। সুন্দরি মেয়ে দেখলে হাঁটু কাঁপার ব্যারাম ছিল তখন আমার। অবশ্য খোকন একটা সুযোগ করে দিয়েছিল, ‘চল কথা বলবি।’
কিন্তু সে সুযোগ কাজে লাগাইনি। ইচ্ছে করেই। যদিও আমাকে না চেনে, যদি সেই ছেলেবেলার কয়েক দিনে স্মৃতি তার মগজ থেকে মুছে যাই, তখন আঘাত পাব মনে। এমনিতে পরিচয় দিলে হয়তো চিনবে। আত্মীয় মহলে আমার দাদি আর আমার বাবারা দুই ভাই ভীষণ জনপ্রিয়। তাঁদের বাড়ির ছেলে হিসেবে পরিচয় পেলে না চেনার কিছু নেই। কিন্তু এক যুগ আগের সেই কটা দিনের স্মৃতি ও যদি ভুলে যাই--যে সুখানুভি আমার মনে তৈরি হয়েছিল সেটা মাঠে মারা যাবে। তারচেয়ে সেই ভালো সুখ স্মৃতি নিয়েই বাড়ি ফিরি। কিন্তু সুখস্মৃতির সাথে যে ভালো লাগার অনুভূতি সৃষ্টি হলো, সেটাকে কী করি? ওটা মনেই থাক। সমাজ-সংসার-সংস্কারের বাস্তবতায় তা অলীক কল্পনা। এক পলকে যে ভালোবাসার অনুভূতি তৈরি তা কেবল আমি জানলাম, অপর মানুষটা জানলও না তাকে নিয়ে কী ঝড় বুকের ভেতর বয়ে যাচ্ছে। ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে খানাপিনা শেষ করে ফেরার পথ ধরলাম। কত নতুন মানুষের সাথে পরিচয় হলো। কথা হলো, আলাপ হলো না কেবল আসল মানুষটির সাথেই।

ফিরতি পথ ধরলাম, ভ্যানের পেছনে বসেছি। তাই চোখের আড়াল হওয়ার আগ পর্যন্ত শিংনগরকে দেখতে পেলাম। মনে মনে কত অলীক স্বপ্ন আঁকলাম, এক সময় আড়াল হলো গ্রামটা। বুকের ভেতরটা টনটন করে উঠল। না পাওয়ার এক হাহাকার গুমরে মরল ভেতরে। কয়েকমাস পর শুনলাম চম্পার বিয়ে হয়ে গেছে।

সেদিনটা ছিল ২০০০ সালের পহেলা বৈশাখ। আজও ওই দিনে এক ঝলক দেখা চম্পার সেই কিশোরি মুখটা ভেসে ওঠে মনের পর্দার। বুকের ভেতরটায় হাহাকার হয়তো ওঠে না, কিন্তু কীসের যেন শূন্যতা অনুভব করি। সেদিনের পর ১৪ বছর পেরিয়ে গেছে, অনুমান যদি ভুল না হয় তাহলে চম্পার প্রথম সন্তানের বয়সও নিশ্চয়ই ১২-১৩। ঢাকাবাসী হয়েছি অনেকদিন। বছরে দু-তিনবার গ্রামে যাই। যাবার সময় ট্রেনে যাই। নামি দর্শনায়। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে পড়ে সেই রাস্তাটা, যেটা নেমে গেছে শিংনগরমুখো। বুকটা তখন মোচড় দিয়ে ওঠে। ২০০০ সালের পহেলা বৈশাখে ফিরে যায় এক লহমায়। ভাবছি, একদিন সময় করে ওর বাড়ির ঠিকানা নিয়ে স্রেফ ওকে একবার দেখতে যাব। জানি, ৩০ পেরুনো ধোপদস্তুর গৃহিণী এখন সে। মামাতো ভাইয়ের পরিচয়ে, আবার বয়সে কিনা ছোট, নিশ্চয়ই কেউ কিছু মনে করবে না?


মন্তব্য

মেঘলা মানুষ এর ছবি

স্মৃতিমাখা লেখা ভালো লাগলো।

শুভেচ্ছা হাসি

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাকেও, সাথে শুভেচ্ছাও

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

মরুদ্যান এর ছবি

যান। দেখে আসুন। লেখা খুউব ভাল লেগেছে। চলুক পাঁচ তারা দাগালাম।

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

ইচ্ছা আছে, কবে হবে জানি না।

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

লেখাটা ভাল লেগেছে। অনেক কিছু মিলেও গেছে। হা হা হা। বাস্তবতা বড়ই কঠিন। হাসি

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

দেঁতো হাসি, বাস্তবতা হয়তো কঠিন, হয়তো নয়--এটা হয়তো বাস্তবতার ধর্ম খাইছে

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

গান্ধর্বী এর ছবি

সচলায়তনে আজকে রোম্যান্টিক সব পোস্ট!
ভাল লাগল আপনার লেখাটা, ওই বয়সের এই সব অনুভূতির আমেজই অন্যরকম!

------------------------------------------

'আমি এখন উদয় এবং অস্তের মাঝামাঝি এক দিগন্তে।
হাতে রুপোলী ডট পেন
বুকে লেবুপাতার বাগান।' (পূর্ণেন্দু পত্রী)

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

ধন্যবাদ, সচলায়তন আজ রোমান্টিক মুডে আছে।

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

প্রথম ভালোলাগা! ঠিক যেন বৃষ্টিভেজা ঘাসের উপরে এসে পড়া শেষ বিকেলের এক ঝলক আলো - মনটাকে মেদুর করে দেয়, আবার একই সাথে একটা অদ্ভুত ভালোলাগার আবেশে আপ্লুতও করে দেয়। যেন "বিঁধিল বুকে সুখের মত ব্যথা"

লেখা ভালো লেগেছে রনি ভাই।আচ্ছা, আপনি এত লেখেন কীভাবে? এই গাছপালা নিয়ে পোস্ট দিচ্ছেন, এই ছবি তুলে দিচ্ছেন, আপনার বিজ্ঞান পত্রিকায় লিখছেন, আবার আপনার বইও বের হচ্ছে! আপনি তো সব্যসাচী মানুষ!

____________________________

আয়নামতি এর ছবি

কথাটা 'বাজলো বুকে সুখের মত ব্যথা' না? চিন্তিত

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

ঠিক--- খাইছে

____________________________

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

ইয়ে, মানে... মানে আমি তো ডাইরি লিখিনা, ওইসময়টা বাঁচিয়ে এই পোস্টগুলো তৈরি করি।

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

এক লহমা এর ছবি

আমার প্রায় আধা বয়সের মানুষ আপনি। রোমান্টিক স্মৃতিগুলোর বেদনা যুগের পর যুগ ধরে একই রকম থেকে যায়!

উপরে প্রোফেসর হিজবিজের প্রশ্নটা আমার ও। চিন্তিত

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

হয়তো তাই। হিজিবিজির উত্তরটা ওখানে সিরিয়াসলি দিইনি, অনেক সময় উপেক্ষা মানুষকে দিয়ে বেশি বেশি কাজ করে নেয়, অনেক বড় বড় সম্পাদকদের উপক্ষা হয়তো আমাকে দিয়ে বেশি বেশি বেশি লিখিয়ে নিচ্ছে। আমি ঠিক জানি না----

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

আয়নামতি এর ছবি

যে ৩টা লেখা পড়লাম সবই দেখি পুরোনো প্রেম সংক্রান্ত!
আমার মতে চম্পাকে দেখবার ইচ্ছেটাকে আশকারা না দেয়াই ভালো।
মনে মনে ওর যে ছবিটা আছে সেটা ভেঙে যাবার সম্ভাবনা ৯০% তাতে কষ্ট পাওয়াই সার হবে হয়ত।

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

ঠিকেই বলেছেন, মনের ছবি ভেঙে যেতে পারে। তবুও---

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

মাসুদ সজীব এর ছবি

কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে চায়!

কিন্তু আজ সচলের সবাই সেই কাজটাই করছে মন খারাপ । পুরনো সব স্মৃতির কাছে ফিরে গেলেও হারিয়ে যাওয়া মানুষের কাছে পুরানো স্মৃতি নিয়ে হাজির হতে নেই। আপনি যে গভীর আবেগে সেই স্মৃতি লালন করছেন দেখা গেলো সেই মানুষটি তার কিছুই মনে রাখেনি! তখন শ্রদ্ধা, ভালোবাসা অার অম্লান স্মৃতির সবটুকু চুড়ই পাখির মতো মনের ঘর থেকে উড়ে যাবে।

-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

ঠিক, বলেছেন, থাক গিয়ে কাজ নেই--কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালোবাসে।

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

অতিথি লেখক এর ছবি

খুব ইচ্ছে হচ্ছিল ওর সামনে গিয়ে দাঁড়াই, বলি, দেখো তো চিনতে পারো কি না।

ভাই, বললেই মনে হয় ভাল হত।লিখাটা আরও বড়ও হত।ভাল লাগল পড়ে।ভালোবাসা কারে কয়-৩ এর অপেক্ষায় থাকলাম।

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

ধন্যবাদ।
নামটা বলেননি

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

অতিথি লেখক এর ছবি

একটা ব্যাপার আমি কিছুতেই বুঝতে পারছি না? বাংলাদেশের অধিকাংশ ভালো ছেলেগুলো "বুক ফাটে তবু মুখ ফোটে না" টাইপের কেন হয়?

ফাহিমা দিলশাদ

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

আমি ভালো আপনা কে বলল? শয়তানী হাসি

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।