বাংলার তরু-লতা-গুল্ম-৩৫ : রাখালিয়া/বুনো ঝুমকোলতা

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি
লিখেছেন আব্দুল গাফফার রনি [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ২৭/০৮/২০১৪ - ৫:৪১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


রাখালিয়া শব্দটা শুনলেই আড়বাঁশির কথা মনে আসে সবার আগে। তারপর তার ইন্দ্রজালিক সুর। কত কাব্যগাঁথা, গান রচিত হয়েছে তাকে নিয়ে। কিন্তু নামের যে রূপকার তার মুখটিও কি ভেসে ওঠে না কল্পলোকের পর্দায়? রাখাল যে জিনিসেই হাত দেয় তার সাথে জড়িয়ে যায় রাখালিয়া শব্দটা। কিন্তু একটা মেঠোফলের নামের সাথেও যে রাখাল শব্দ জড়িত, তার বেলা?
ছোট্ট বেলায় দাদি আমাকে শুনিয়েছিলেন এক আশ্চর্য ফলের কথা। বাড়িতে বাগানে ও ফল হয় না, হয় বনে জঙ্গলে, মেঠোপথের ধারে। রাখালদের তো মাঠেই কারবার। বিছুটি-লতায় আচ্ছাদিত ঝোপে ঝাড়ের কোন কোনায় কি ফুল ফুল ফুটেছে, কী ফল পেকে লাল হয়েছে--সব তাদের নখদর্পনে। ঘনঘোর বর্ষার দিন নেহাত ছোট নয়। আর গরু-বাছুরের যেন এসময় খিদেটা বাড়ে। মাঠ ভর্তি সজীব-সবুজ ঘাস ডগমগ করে। গরু-বাছুরের তো জিভে জল আসবেই। তাই গরু নিয়ে রাখালকে দীর্ঘসময় মাঠে কাটাতে।


হঠাৎ এক পশলা বৃষ্টির পর আমাদের সবারই কমবেশি খিদে পায়। গাঁয়ে বৃষ্টিকালীন খিদে মেটানোর জন্য বৌ-ঝিরা খিঁচুড়ি রাধে, চিড়ে কুটে রাখে কয়েক ধামা বেশি, মুড়িতে ঝাল তেল পিঁয়াজ মিশিয়ে চলে বৃষ্টিচর্চা। রাখলদের সে সুযোগ নেই। তাই মাঠে খিদে পেলে বন-জঙ্গল হাতড়ায়। জাম পাকে বর্ষকালে, তা কি আর সব মাঠে আছে। নোনার ফল খেতে খেতে আর মুখে রোচে না। কী করা যায়! তখন হয়তো দেখা মেলে আশ্চর্য সুন্দর এই ফলটা। রাখালরাই খায়, আর খায় দল বেঁধে স্কুল ফেরত ছেলে-মেয়েরা। তাই এই ফলের নাম রাখালিয়া। এ গল্প দাদির মুখে শোনা। আমি কোনো দিন এই ফলের চেহারা দেখিনি। দাদির কাছে আবদার করেছি দেখিয়ে দেয়ার জন্য। কিন্তু পেলে তো দেখাবেন।


পাক্কা উনিশটা বছর আমার গ্রামে কেটেছে, কিন্তু রাখালিয়া ফলের দেখা পাইনি। এবারও হয়তো পেতাম না আমার চাচাতো, খালাতো ভাইরা জানে আমার গাছ বাতিকের কথা। তাই ওরাও মাঠে-মাঠে ঘুরবার সময় তক্কে থাকে, অদ্ভুত কোনও গাছের সন্ধান পাওয়া যায় কিনা। এবার ঈদের ছুটিতে খালাতো ভাই দুজাতের গাছের খবর ছিল। একটার হলো নাটা--আমার অতি পরিচিত কাঁটাঝোপ। আরেকটা রাখালিয়া। গায়ের লোকেরা বলে রাখালে। দুটো গাছই একই মাঠে। অতএব কষ্টও কিছুটা কমল। রায়বাগান নামে একটা মাঠ আছে আমাদের গ্রামে। সেই মাঠের বুক চিরে চলে গেছে পিসরাস্তা। আগে কাদা ভড়ভড়ে রাস্তা ছিল। হালে পিস হয়েছে। দু’পাশে ইউনিয়ন পরিষদের সারি সারি শিরীষ গাছ ছিল। নেতা-নামের গাছখোরেরা সেগুলো গ্রাস করেছে। খা খা রাস্তার শোভা বলতে দু’পাশে প্যাটেঙা, তেলাকুচা লতা আর আকন্দ ঝোপ। তারই এক ফাঁকে বেশ খানিকটা জায়গা জুড়ে রয়েছে স্বপ্নের রাখালে।


ফল দেখে তো আমি অবাক! এত আশ্চর্য ফল কমই দেখেছি। ফলের গায়ে যে নেট (জাল) থাকতে পারে, সুদূর কল্পনাতেও তা ভাবিনি। কিন্তু এত সুন্দর যার ফল, তার ফুলটা না জানি কত সুন্দর! খুঁজে পেতে একটাও পেলাম না। তবে কুড়ি পেলাম। সাগরেদকে জিজ্ঞেস করলাম, ফুলটা দেখতে কেমন? ও যে ভাবে বর্ণনা করল, আমার কাছে ছবিটা স্পষ্ট হলো না। বললাম, ‘ফুলের কুঁড়ি-টুড়ি পাওয়া যাবে না?’


ম্লান বিকেল, তারওপর একেবারে অচেনা একটা উদ্ভিদ। ফল আর ফুলের কুঁড়ি দেখতে অনেকটা একই রকম। তাই আলাদা করে চিনতে পারিনি। খালাতো ভাই পারভেজ যখন দেখিয়ে দিল কুঁড়িটা তখন হিসেবটা মিলল। বললাম, ‘আমার ফুল চাই। এই কুঁড়ি এখন তোকে ফোটাতে হবে।’
ও তো হাবার মতো আমার দিকে তাকিয়ে থাকল। বললাম, ‘বুঝিসনি? দুই আঙুল দিয়ে চাপ দে ফুলটা ফুটে যাবে। অন্তত ভেতরটা কেমন দেখা তো হবে।’
কাজটা আমিও করতে পারতাম, কিন্তু ফুল আমি দেখিনি, তাই ফোটাতে গেলে বিকৃত হয়ে যেতে পারে। তাই ওকে দিয়ে করালাম। ওর হাতের কাজ খুব ভালো। খুটিনাটি জিনিস বানাতে ওস্তাদ।

কুড়িটা ফুটিয়ে যে ফুলের আকার দিল সেটা দেখে মুখ থেকে অটোমেটিক বেরিয়ে এলো, ‘দারুণ!’


কিন্তু ও বলল, ‘মোটেও দারুণ নয়। আসল ফুলের ধারে কাছেও হয়নি।’
বললাম, ‘কখন ফোটে জানিস?’
‘দুপুরে।’ এক শব্দে জবাবটা সারল পারভেজ।


পরদিন দুপুরে গিয়ে দেখি সত্যিই প্রাকৃতিক ফুলের সাথে জোর করে ফোটানো ফুলের কোনও তুলনা হয় না।
আগেরদিন পারভেজ ছিল, ছিল চাচাতো ভাই সজীব। এদিন আমার সাথে আর পারভেজ সজিবের কেউ ছিল না। ছিল পারভেজের ছোট ভাই সাহেদ। একটা ফল ভেঙে সাহেদের হাতে রেখে ম্যাক্রো শট নিয়ে নিলাম। পাঠক এবার তরু-লতা-গুল্মের নিয়মিত ক্যাচালটা সেরে নেয়া যাক।


রাখালিয়া এক বর্ষজীবি লতানো উদ্ভিদ। তাই এর দৈর্ঘ্যরে উচ্চতার আগামাথা নেই। সাধারণত পথের ধারে, ফসলের ক্ষেতের আড়ে এই মেঠোলতা জন্মায়।


লতা অত্যন্ত নরম। সামান্য মোচড় দিয়েই খণ্ডিত করা যায়। লতা সবুজ রঙের রসালো ব্যাস ৪ থেকে ৫ মিলিমিটার।


পাতা দেখতে পাঞ্জাকৃতির। তিনটি আলাদা আলাদা চূড়া আছে। দৈর্ঘ্য-প্রস্থে ৪ থেকে ৫ ইঞ্চি। পাতা পাতালা।


অন্যান্য লতানো উদ্ভিদের মতো রাখালিয়া লতার স্প্রিপ্রংয়ের মতো কুণ্ডুলি লতা আছে। এই কুণ্ডুলি দিয়ে অন্য উদ্ভিদকে পেঁচিয়ে ধরে ওপরে ওঠার চেষ্টা করে।


ফলের কুড়ি মোঁচাকৃতির। হালকা সবুজ রঙের কুড়ির গায়ে জালের মতো পাতা থাকে।


ফুল গোলাকার। সাদা রঙের। পাপড়ি প্রশ্বস্ত নয়। চিকন সাদা ফিতার মতো। নেটের মতো পাতা বা উপ পাপড়ির ভেতরের সাদা পাপড়িগুলো গোল করে সাজানো থাকে। ফুলের মাঝখানে ৬-৭ টি সবজেটে সাদা কিশোর থাকে। জালের মতো পাতা বা উপ-পাপড়ির ভেতরের রংটা গাঢ় বাদামী।


ফল গোলাকার। কুলের মতো দেখতে অনেকটা। তবে ভেতরটা ফাঁপা। ফলের বাইরের রং সবুজ।



ভেতরের খোলের রঙ সাদা। খোলের গায়ে চারটা সাদা শিরা আছে। প্রতিটা শিরার গায়ে সাদা রঙের ৮-১০ টি বিঁচি থাকে। বিঁচি খুব ছোট। মরিচের বিঁচির মতো। তবে অনেক হালকা। ফল টক স্বাদযুক্ত। রাখালদের প্রিয় খাদ্য।


বারো মাসি ফল নয়। বর্ষাকালে ফুল ধরে রাখালিয়া লতায়। সম্ভবত শরৎকালে গাছ শুকিয়ে মারা যায়। রাখালিয়ার দেশিয় নাম : বুনো ঝুমকোলাতা. বৈজ্ঞানিক নাম:

Pasiflora foetida.

আগের পর্ব : বাংলার তরু-লতা-গুল্ম-৩৪ : ধুতরা


মন্তব্য

দীনহিন এর ছবি

বরাবরের মতই মনোমুগ্ধকর পোস্ট, গাফফার ভাই!

প্রতিটা শিরার গায়ে সাদা রঙের ৮-১০ টি বিঁচি থাকে।

বিঁচিগুলি দেখা যাচ্ছে না, গাফফার ভাই!

অন্যান্য লতানো উদ্ভিদের মতো রাখালিয়া লতার স্প্রিপ্রংয়ের মতো কুণ্ডুলি লতা আছে।/ পাপড়ি প্রশ্বস্ত নয়।

পাপড়ি প্রশ্বস্ত নয়? আর রাখালিয়া লতার স্প্রিপ্রংয়ের মতো কুণ্ডুলি লতা আছে?

আর এর আগেও প্রশ্নটা করেছি, তবে এবার আবদার করছি (পাঠক হিসেবে), এই সিরিজের লেখাগুলি এক মলাটে থাকবে, এমন একটি বই কিনতে চাই আগামী বইমেলায়!

.............................
তুমি কষে ধর হাল
আমি তুলে বাঁধি পাল

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

ধন্যবাদ, ঠিক করে দিয়েছি। আশাকরিেএখন বিঁচিগুলো দেখা যাচ্ছে।
বইয়ের কাজ চলছে। ১০ ফর্মার সম্পূর্ন রঙিন আর্ট পেপারে ছাপা হবে। প্রথম বইটাতে তিরিশটা গাছের বেত্তান্ত থাকছে। বইমেলায় অবশ্যই পাবেন।

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

মরুদ্যান এর ছবি

ফুলটা দারুণ। আপনার আসলেই একটা বইয়ের কাজে হাত দেয়া দরকার। চলুক

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

বইয়ের কাজ প্রায় শেষ।

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

এক লহমা এর ছবি

ফুলের চেহারা, ফলের চেহারা, গাছের নাম, সবই কি সুন্দর!

"রাখালিয়া লতার স্প্রিপ্রংয়ের মতো কুণ্ডুলি লতা আছে। এই কুণ্ডুলি দিয়ে অন্য উদ্ভিদকে পেঁচিয়ে ধরে ওপরে ওঠার চেষ্টা করে।" - কুন্ডলি(tendril)-গুলিকে আকর্ষ বা আঁকশি বলে।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

ধন্যবাদ, দিদি/দাদা, জানতাম এর নাম। এখন থেকে অন্যলতার ক্ষেত্রে এই নাম ব্যবহার করা যাবে।

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

মন মাঝি এর ছবি

রনি ভাই, আপনি অনেকদিন ধরে এক লহমাকে নিয়ে এই "দিদি/দাদা" কনফিউশনে ভুগছেন। কনফিউশনটা এবার কাটিয়ে ফেলেন। হাসি

****************************************

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

কীভাবে কাটাব অ্যাঁ ?

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

মন মাঝি এর ছবি

খুব সহজ। জিজ্ঞেস করুন! দেঁতো হাসি

তবে সবচেয়ে শোভন হত, এবং এখনও হবে - যদি সচলে প্রকাশিত তাঁর লেখাগুলি পড়ে নেন (অন্তত নন-ফিকশন লেখাগুলি, শুধু যদি এটুকুই জানতে চান!)। সচলায়তনে লেখালেখি-পড়াপড়ির ইকোসিস্টেমে "মিথস্ক্রিয়া" একদম ভাইটাল একটা বিষয় এবং ঘোষিত লক্ষ্য।

****************************************

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

জিজ্ঞেস করব না। পড়েই জানব।

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

দীনহিন এর ছবি

ধন্যবাদ, দিদি/দাদা, জানতাম এর নাম।

ওমা, সে কি কান্ড! লহমাদা দিদি হয়ে গেছেন!!!
আপনার এই রূপান্তর শুভ হোক, লহমাদি! ভাল থাকুন, লহমাদি!! হাসি

.............................
তুমি কষে ধর হাল
আমি তুলে বাঁধি পাল

মন মাঝি এর ছবি

এই ফুল ইংরেজিতে "প্যাশন ফ্লাওয়ার" নামে পরিচিত, তাই না? আমার একটা পোস্টে প্রায় একই রকম দেখতে কিছু বিদেশি ফুলের ছবি দিয়েছিলাম, কিন্তু সেগুলি বা তার ভ্যারিয়েন্ট যে এদেশেও পাওয়া যায় জানতাম না!

****************************************

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

প্যাশনেরই একটা জাত, আপনারটা বাগানের আমারটা বনের।

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

মাসুদ সজীব এর ছবি

আমি অবাক হয়ে ভাবি, আপনি এত লেখা লেখেন কি করে অ্যাঁ, তারপর বিষয়ের কি ভিন্নতা চিন্তিত
যে কোন একটা লেখা লেখতেও আমার দুই-তিনদিন চলে যায় ওঁয়া ওঁয়া

বই বের হচ্ছে সু-খবর, কিন্তু একটা দাবি কিংবা অনুরোধ থাকবে। ছবিগুলো যেন রঙিন হয়, যাতে বোলগের মুগ্ধতা কাগজেও বেঁচে থাকে। শুভকামনা সবসময়

(গুপুন একটা কথা বলেন তো, আপনি কি চাকরি-বাকরি কিছু করেন না? এত সময় কিভাবে পান?)

-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

বই রঙিন হবে।
আমার রুটিং হলো প্রতিদিন আট ঘণ্টা অফিস চার ঘন্টা পড়া একঘন্টা লেখা আর বাকি সময়টা ঘুম আড্ডা আর অন্যান্য কাজ। গ্রামে গেলে একবারে দুতিন হাজার ছবি তুলে আনি--সেগুলো দিয়ে সারাবছর পোস্ট চালাই

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক ভাল লাগে আপনার এই সিরিজটা। এমন কত অপূর্ব সব গাছগাছালি যে আমাদের অগোচরে আর "উন্নয়নের" দাপটে হারিয়ে যাচ্ছে কে তার খবর রাখে।

- সীমান্ত রায়

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

ধন্যবাদ আপ্নাকে কষ্ট করে পড়ার জন্য

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

চলুক

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

উচ্ছলা এর ছবি

৮ নাম্বার ছবিটা খুব সেক্সি হাসি ╰⊰✿

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

ইয়ে, মানে... হো হো হো

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।