একটা সময় ছিল বৃহত্তর যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চলে চাষিদের প্রধানতম আবাদ ছিল খেজুর রস। আমাদের ছোটকালটাও খেজুরের রসে ভেজা, গুড়-পাটালিতে রাঙানো। অবশ্য আমাদের খেজুর বাগান ছিল না। আমাদের গাঁয়ে খেজুরগাছ বরাবরই কম, কিন্তু আমার নানাবাড়ির গাঁয়ে--হিসাব উল্টো। শীতকালে সেখানকার জীবনযাত্রাই ছিল যেন খেজুরগাছকেন্দ্রীক। পথে-মাঠে-ঘাটে-হাটে সবত্র যেন সাজ সাজ রব। সব ওই খেজুরগুড়কে কেন্দ্র করে। আমার নানাবাড়ির গ্রামটার নাম কাঁটাপোল। চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলায় পড়েছে গ্রামটা। পাশেই একটা বড় গ্রাম্য হাট--হাসাদহ। শীতকালে হাসাদহ বাজারটা ছেয়ে যেতে গুড়ের লাল লাল ভাঁড়ে। ঢাকা থেকে পাইকাররা আসত গুড় কিনতে। ওদিকে আড়তদাররা বড় বড় পাল্লা বসিয়ে বিকিকিনি করত গুড়ের। সেসব কথা এখানে না-ইবা বললাম। গাছ কেটে কীভাবে রস বের করা হয়-- প্রাসঙ্গিক ছবির সাথে সাথে সেই গল্প বলি না হয়।
শীতকালে দুপুরটা ব্ড্ড ছোট। বেলার সাথে পারা কঠিন। তাছাড়া বিকেলে হাট। গুড় বেচতে হবে। তার আগেই গাছকাটা চাই। গাছিরা তাই দুপুরে গ্রাসটা কোনওরকমে নাখেমুখে গুঁজে বেরিয়ে পড়েন মাঠে।
[img][/img]
পিঠে বাঁশ আর খেজুর গাছের সরপা দিয়ে তৈরি ঢোঙা থাকে গাছির। সেই ঠোঙার ভেতর কয়েকরকমের দা, নলি, দড়ি, খোছানো কাঠি, গোঁজ ইত্যাদি।
[img][/img]
কোমরে থাকে একটা মোটা দড়ি। এই দড়ির সাহায্যেই গাছি নিজেকে গাছের সাথে আটকে রাখে। এছাড়া থাকে তালগাছের ফালি দিয়ে তৈরি বালিধারা।
[img][/img]
এই বালিধারার ওপর বালি দিয়ে দা ঘষা হয়। দা ধার করা বা শানানোর জন্য।
[url][/url]
ওদিকে গাছির সহযোগী--বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই সহযোগীর ভূমিকা পালন করে গাছির ছেলে--রসের ভাঁড়গুলো মুখোমুখি দুই সারিতে সাজায়।
[img][/img]
দুই সারির মাঝখানে গুঁজে দেয় বিচালি। তারপর বিচালিতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
গাছির ছেলের কাছে জানতে চেয়েছিলাম, কেন এটা করা হয়। জবাবে সে বলে আগের দিনের রসের গন্ধ ভাড়ের গাঁয়ে লেগে থাকে। শুধু পানি দিয়ে ধুয়ে তা যায় না। কিন্তু আগুন দিয়ে এভাবে ভাঁড় পোড়ালে গন্ধটা চলে যায়। বুঝলাম ব্যাকটেরিয়া বা অন্য জীবাণু তাড়ানোর জন্য এই ব্যবস্থা।
এরপর গাছি ঠোঙাসহ গাছে চড়ে বসেন। মোটা দড়ি দিয়ে নিজেকে পেঁচিয়ে ফেলেন গাছের সাথে।
[img][/img]
তবে ব্যাপারটা মোটেও গাছের সাথে নিজেকে বেঁধে ফেলার মতো নয়। দড়িটা বেশ ঢিলে করে গাছ ও গাছির শরীরকে একটা বন্ধনীর ভেতর নেয়া হয়। গাছি তাঁর দুইপা গাছের সাথে ঠেকিয়ে নিজের শরীরের ভর ছেড়ে দেন দড়ির বন্ধনীর ওপর। শক্ত দড়ির ঘর্ষণজনিত আঘাত থেকে বাঁচার জন্য গাছির কোমরে পেঁচানো থাকে পাটের বস্তা।
[img][/img]
এরপর শুরু গাছকাটা।
[img][/img]
শীতের শুরুতেই গাছের মাথার একপাশের পাতা-সরপা পরিষ্কার কেরে ফেলা হয়। তারপর সেখানে মানুষের চোখের আদলে দুটো চোখের মতো তৈরি করা হয়। দুদিন পর পর সেই চোখের ওপর ধারালো দা দিয়ে চাঁছে গাছি।
[img][/img]
চাঁছার সাথে সাথে সাথে বাঁশের নলী বেয়ে রস ঝরতে শুরু করে। বাঁশের এই নলীগুলো সবসময় গাছে লাগানো থাকে। কোনওকারণে নলী নষ্ট হয়ে গেলে গাছি ঠোঙা থেকে নতুন নলী বের করে সেখানে লাগায়।
[img][/img]
নলীর ঠিক নিচেয় গাছের গায়ে তীর্যকভাবে পোঁতা হয় বাঁশের গোঁজ। পেরেকের মতো কাজ করে পোঁতা হয় এই গোঁজ। গোঁজের সাথে ভাঁড়কে দড়ির সাহায্যে আটকে দেয়া হয়।
[img][/img]
এরপর গাছি সদ্যকাটা চোখগুলো বাঁশার সূচালো একটা কাঠির সাহায্যে ভালো ঘষে ঘষে রস পড়ার রাস্তাটা পরিষ্কার করে। ফলে খুব সহজেই রস নলীতে পৌঁছতে পারে।
[img][/img]
গাছকাটা শেষহলে গাছি সেই গাছ ছেড়ে অন্যগাছে কাটতে চলে যায়। গাছির সহযোগী বা ছেলে এসে সদ্যকাটা গাছের গোঁজে ভাঁড় আটকে দেয়।
[img][/img]
সহযোগী না থাকলেও গাছির কাজ চলে যায়। খাটুনি একটু বেশি হয়--এই যা। তখন গাছি কোমরের দড়ির সাথে ভাঁড় ঝুলিয়ে গাছ কাটতে ওঠে।
[img][/img]
গাছকাটা শেষ হলে নিজেই বসিয়ে দেয় ভাঁড়। আমরা এদিন পিতা-পুত্র দুজনকেই দেখলাম ভাঁড় বসাতে।
[img][/img]
এরপর বিকেল-সন্ধ্যা-রাত মিলিয়ে প্রায় পনেরো ঘণ্টা নলী বেয়ে রস পড়ে ভাঁড়ে। তবু সারারাতে একভাঁড় রস পাওয়া যায় না একটা গাছ থেকে। দু-তিন গাছ মিলিয়ে একভাঁড় পাওয়া যায়।
[img][/img]
অবশ্য কিছু কিছু গাছ আছে উচ্চ রসশীল। এগুলো থেকে এক ভাঁড়ের কাছাকাছি রস পাওয়া যায়। তবে এদের সংখ্য খুব নগন্য।
মেটামুটি এই ছিল গাছকাটার ফিরিস্তি। আগামীতে রস থেকে কী প্রক্রিয়ায় গুড় তৈরি করা হয় তা দেখব।
মন্তব্য
ধন্যবাদ হিমুদা। এই প্রথম-----!
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
আহা, দারুণ সব ছবি!
ধন্যবাদ পৌঢ়দা, ভালো থাকবেন।
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
ভালো হয়েছে লেখাটা। অনেকেই এই প্রক্রিয়া কখনো স্বচক্ষে দেখেন নি! ভাঁড় থেকে পাটের শলা দিয়ে খেজুরের রস যে খায়নি তার জীবন আধেক বৃথা!
এই পোড়ানোর প্রক্রিয়ার সঙ্গে আমি পরিচিত। এই প্রক্রিয়ায় ভাঁড় জীবাণুমুক্ত হয়না। ধোঁয়ায় কেবল পুরনো গন্ধটা চলে যায়!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
সত্যিই পাটখড়ির নল দিয়ে যে রস খায়নি, তার জীবন অর্ধেক বৃথা অনার্যদা।
ভাড়পোড়ানোর ব্যাপারটায় আপনিই ঠিক।
ধন্যবাদ।
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
পাটকাঠির বদলে পেঁপে গাছের ডাল দিয়ে খেলে রস বেশি খাওয়া যায়। কেউ কেউ পেঁপের ডালে পাতলা কাপড়ের টুকরো বেঁধে নিয়ে ছাকনি বানিয়ে নেয়, ফলে রসের সাথে পেটে পোকামাকড় যায় না। ক্রমাগত রস চুরি করে খেতে খেতে একদিন দেখা যায়, রসের হাঁড়িতে হালকা মাত্রার বিষ দেয়া হয়েছে। সেই বিষ-রস খেলে ডায়রিয়াও হয়।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই বিষ হতো ধুতরার ফুল।
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
খুব সুন্দর পোস্ট। ছোট বেলার গ্রামের অনেক স্মৃতি মনে পরে গেল।
ধন্যবাদ ভাই, ছেলেবেলা ফিরে পেতে বারবার গাঁয়ে ফিরে যায়।
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
মোটামুটি লম্বা একটা বিরতি দিয়ে ফিরলেন । খেজুরের রস আর কুয়াশার চাদরে জড়িয়ে থাকা ভোরের সাথে কেটেছে ছেলেবেলা। আহা! আপনার পোষ্ট সেই স্মৃতি ফিরিয়ে আনলো। আমাদের ৩০-৩৫টা খেজুরের গাছ ছিলো, আমার দাদা প্রতিদিন সন্ধ্যায় প্রতিটি গাছে উঠে কলসি দিতেন আর খুব ভোরে নামিয়ে আনতেন। আমি ছিলাম দাদার সঙ্গী, প্রতিটি সকাল আমাদের ভরে উঠতো খেজুরের রসের গন্ধে। এটি ছাড়াও বন্ধু-বান্ধব মিলে রস চুরি আর সেই রস দিয়ে পায়েস (সিন্নি) রান্না শীতের রাতে অন্যতম বিনোদন ছিলো। আজ সেটি সদূরতম অতীত। এখন দাদাও নেই সেই খেজুর গাছও নেই।
আমাদের দিকে গাছ কাটা এবং রস আহোরন পদ্ধতিটা অনেকটাই আলাদা। যেমন, গাছের থাকে দাঁড়ানো বেশ কষ্ট দায়ক বলে একটা বাঁশ কিংবা কাঠ গাছের সাথে বাধাঁ থাকতো, যাতে সেখান থেকে দাঁড়িয়ে গাছ কাটা ও রস নামানো হতো। পরের পর্ব আসুক
-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।
একেক এলায়কায় দেখি একেকভােবে গাছকাটা হয়। তবে এরকম ভাবেই দেখেছি।
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
ভাল্লাগছে।
ব্লগবাড়ি । ফেসবুক
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
খুব ভাল্লাগলো! আসলেই স্বচক্ষে এই প্রক্রিয়া দেখার সুযোগ হয়নি কখনো।
নিপা ভাইরাসের ভয়ে কাঁচা খেঁজুরের রস খাওয়া হচ্ছে না অনেকদিন। জিনিসটা অমৃতসম...
আমার বন্ধু রাশেদ
ধন্যবাদ, মূলত আপনাদের জন্যই আমার এই তথ্যচিত্র।
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
ঝাঁঝাল মিষ্টি ফ্রেশ খেজুরের রসের তুলনা নেই। বহুদিন খাওয়া হয় না। ২০১১ এর শীতে বাংলাদেশে গিয়েছিলাম। আমাদের গ্রামে কেটে রস বের করার মত তেমন গাছ নেই বলে খালাতো ভাইকে সংগে নিয়ে রসের সন্ধানে বের হয়েছিলাম। মতলব ছিল যে কয়দিন দেশে আছি রস খাবার কন্টাক্ট নেব কোন গাছীর সাথে। খালাতো ভাইয়ের সাইকেলের পেছনে বসে পাশের গ্রামে গেলাম। তখন সন্ধ্যা নেমে এসেছে। খালাতো ভাই যেখানে নিয়ে গেলো সেখানে প্রচুর খেজুরের গাছ। রসের কথা চিন্তা করেই আমার চোখ ঝলমল করতে লাগল। কিন্তু এমন সময় কোত্থেকে ঝাকেঝাকে বিশালকায় বাদুড় এসে খেজুর গাছের ডাল ধরে উল্টো হয়ে ঝুল পড়তে লাগল। তারপর গাছের যে জায়গাটায় রসের জন্য কাটা হয়েছে সেখানে জিব বের করে চাটতে লাগল। এই দৃশ্য দেখার পর খেজুর খাবার খায়েশ আমার তখনি মিটে গেছে। নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হবার কোন ইচ্ছা আমার ছিল না।
ছবি/লেখা দুটিই ভাল্লাগল
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
ধন্যবাদ, আমি অবশ্য নিপাহর তোয়াক্কা না করেই কাঁচা রস খেয়েছি এবারে। অবশ্য সন্ধ্যা হওয়ার আগেই। সকালের রস ছুঁয়েও দেখিনি।
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
আমাদের কৃষিবিজ্ঞানীদের এখন খেজুরগাছের দিকেও নজর দেয়ার সময় এসেছে মনে হয়। যেমনভাবে তাঁরা ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির পথ করে দিয়ে আমাদের অন্নকষ্ট দূর করেছেন, তেমনিভাবে রসের কষ্ট দূর করে দিয়ে আমাদের রসনা তৃপ্ত করার উপায় করে দিতে পারেন।
বাংলাদেশ দখলে নেয়ার পর পর ব্রিটিশ সার্ভেয়ার জেমস রেনেল তখন সারা বাংলা চষে বেড়াচ্ছেন, যশোরের ঝিকরগাছা অঞ্চলের প্রসংগে তিনি উল্লেখ করেছেন- "এ অঞ্চলে এক ধরনের গাছ জন্মে যার নাম ক্যাজির গ্যাচ(Cazir Gatch), অর্থাৎ কিনা খেজুর গাছ, এ থেকে এক ধরনের নিকৃষ্ট চিনি প্রস্তত হয়"। রেনেল নিশ্চয় খেজুরের গুড় সম্পর্কেই এই মন্তব্য করেছিলেন, ছাগল আর কারে কয়। আহারে বেচারা রেনেল!
দারুণ একটা গল্প জানলাম, ধন্যবাদ, ভবিষ্যতে প্রিন্ট ভার্সনে এই লেখা বের হলে, আপনার গল্পটা জুড়ে দেব তাতে।
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
কাঁচা খেজুরের রস না খাওয়াই উত্তম। কারণ, বাদুর জাতীয় প্রাণী ভাঁড়ে মুখ দিয়ে থাকলে সেই রসের মাধ্যমে নিপাহ্ ভাইরাসের মতো মারাত্মক রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা থাকে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
হ্যাঁ পণ্ডবদা, ব্যাটা বাদুড়গুলো আমাদের রসের স্বাদ ভুলিয়ে দিতে বসেছে।
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
আমার দাদু বাড়ীতে এই দৃশ্য দেখেছি। ২০১০ এ গিয়েছিলাম শেষবার, আবার কবে যাবো কে জানে। আপনি দেশের কথা মনে করে দিলেন। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার পোষ্টের মাধ্যমে সবসময় বাংলাদেশকে দেখতে পারি
ফাহিমা দিলশাদ
আহা! কোথায় হারিয়ে গিয়েছিলে? সচলে লেখা/টেখা দাও।
আমি তো হারাইনি কিন্তু সচলায়তন কোন কারণে মনে হয় আমার উপর রাগ করেছে তাই ছবিব্লগগুলোও এখন আর প্রকাশিত হচ্ছে না, কি আর করা আমি এখন ফেবু আর অন্যসব ব্লগে লিখে বেড়াই
যাই হোক আপনি কেমন আছেন? আপনার লেখাও তো দেখছি না? ফেবু থাকলে একটু দিয়েন তো, প্রিয় কিছু মানুষকে প্রোফাইলে দেখতে ভালো লাগে
ফাহিমা দিলশাদ
ঁ
আমি আর কি বলুম।
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
দুবছর আগে খেজুরের রস খেয়েছি। কি দারুণ অধ্যবসায় এই সুমিষ্ট রসের পেছনে! পোস্টে আপনার অধ্যবসায়ও প্রশংসার দাবীদার।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
ধন্যবাদ আপু, ভালো থাকবেন।
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
ক্রিকেট খেলার ফাকে ফাকে, মাঠের ধারে গাছ থেকে টপ টপ করে পরতে থাকা রস দুয়েক ফোটা খেয়ে ফেলতাম! দারুণ সব স্মৃতি মনে করিয়ে দিলেন।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আমার আছে এই অভিজ্ঞতা, মনে ছিল না। ধন্যবাদ মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য।
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
খেজুরের রস খাওয়ার সুযোগ অনেক আগে একবার হয়েছিল, শিশুকালে নানাবাড়িতে।
কেতে কেমন সেটাও প্রায় ভুলে গেছি!
বাঙালিদের নানাবাড়িটাই এক নস্টালজিক স্থান।
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
এক সময়ে ঢাকাতেও শীতকালে খেজুরের রস পাওয়া যেত। লেখাটা ভালো লাগলো। আপনার লেখা প্রায়ই পড়া হয় কিন্তু মন্তব্য করা হয় না। প্রকৃতি নিয়ে লেখালেখি জারি থাকুক।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ধন্যবাদ, প্রকৃতি নিয়ে লেখার আগ্রহটা দিন দিন বাড়ছে।
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
সামান্য খেজুরের রস না খাইলে জীবন বৃথা এইবাক্যে মানতে রাজি না। পিতিমিতে শুধু খাইতে আসছি নাকি
বেশ লাগলো খেজুরগাছ কাটার বয়ান। তবে রসের চেয়ে গুড়ের ব্যাপারে আগ্রহ বেশি আমার।
ওটা জলদি জলদি দিয়ে দেন। সাথে জীভসহ চোখে জল আসে এমন গুড়ের ফটুক চাই কিন্তু।
নতুন বছরের শুভেচ্ছা থাকলো।
গুড়ের গুরুপাক লঘুপাক সব আসিতেছে। তার আগে এই লেখাটা প্রথম পৃষ্ঠা থেকে সরানোর ব্যবস।থা আগে করেন।
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
সচিত্র বিবরণ ভাল লাগল।
বাবা বলতেন ভাল গাছির কাজ একজন দক্ষ শলয়চিকিৎসক-এর সমতুল। গাছকে কাটা হবে কিন্তু সে যেন সেটা বুঝতে না পারে, যেন কষ্ট না পায়।
দেশে থাকতে (দুই যুগ আগের গল্প সেসব) টাটকা খেজুর রস খাওয়া বড়ই আনন্দের ছিল। গ্রামে বেড়াতে গেলে পাওয়া যেত। তখন ত আর বাদুড়-বাহিত বিপদ-এর কথা হিসাবের মধ্যে ছিলনা, তাই নিশ্চিন্তে রস পান হত।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
হ্যাঁ, আপনার বাবা ঠিকই বলতেন। গাছির দা ব্লেডের মতো ধারালেঅ আর পাতলা। কাটাও হয় এত দক্ষ হাতে, গাছ হয়তো টেরই পায় না।
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
লেখা উপাদেয়। খেজুরের কাঁচা রস কখনো খাইনাই
গুড় পর্ব দেন তাড়াতাড়ি।
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
এইবার দেব গুড় পর্ব।
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
নতুন মন্তব্য করুন