কুচ বরণ কন্য তোমার
মেঘ বরণ কেশ,
---প্রাচীন কাব্য গাঁথা।
এখনও কিছু গ্রাম আছে একেবারে সেকেলে। পুরোনো বাংলার রূপ-রস-গন্ধ সবই আছে। তার ওপর যদি বিদ্যুৎটাও না থাকে তো সোনায় সোহাগা। এসব গ্রামগুলোতে রয়ে গেছে আদি বাংলার প্রাণের চিহ্ন। বুনো জীবজন্তু যেমন আছে, আছে নানারকম বিচিত্রসব উদ্ভিদ।
গ্রামের নাম ভবানীপুর। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার এক নিভৃত গ্রাম। কয়েশো লোকের বাস মাত্র। চারদিকে ফসলের মাঠ, নানারকম বুনো গুল্মলতায় ঠাঁসা দুর্ভেদ্য জঙ্গল। ২০০৫ সালে গিয়েছিলাম সেই গ্রামে। আমার দাদির বোনের বাড়ি। মাটির কাঁচা ঘর ওদের। বাড়ির চারপাশে বুনো গুল্মলতার বেড়া। উঠোনজুড়ে বড় বড় গাছপালা। নিম, পেয়ারা, আম, জাম। আশ্চর্য সুন্দর ছায়াঘেরা বাড়ি। এসব বাড়ি আমাকে বড্ড আকর্ষণ করে। খুব ভোরে ঘুম ভেঙে গেল। গ্রামটা ঘুরতে বেরুলাম। লাল থালার মতো সূর্য যখন উঁকি দিল পূবদিগন্তে তখন মনে পড়ল গুপির সেই রাগ ভৈরবি--
দেখেরে... দেখোরে নয়ন মেলে
জগতে বাহার...কী বাহার!
সত্যি অভিভূত হয়ে গেলাম। কিন্তু তখনও ভাবিনি কী বিস্ময় নিয়ে এগিয়ে আসছে চৈত্রের আগুনঝরা দুপুর। ছায়াঘেরা বাড়ি, তাই রোদে পোড়ার ভয় একেবারেই নেই। ঘুরে ঘুরে প্রতিটি বেড়া প্রতিটা ঝোপ-ঝাড় তন্ন তন্ন করে খুঁজতে লাগলাম। কী খুঁজছি নিজেই জানি না। ‘যেখানে দেখিবে ছাই... উড়াইয়া দেখো তাই...পাইলে পাইতে পারো অমূল্য রতন...’ সত্যিই অমূল্য রতন পেয়েছিলাম সেদিন। শুকনো বাদামি বর্ণের একটা ফল শুকিয়ে হাঁ করে রয়েছে। তার সেই হাঁ করা মুখের ভেতর রয়েছে গোটা দশেক রুবি। হ্যাঁ রুবির রং তো লাল। রুবির মতোই লাল, তেমনি সুন্দর কোনও ফল দেখলে রুবির কথাই মনে আসা স্বাভাবিক নয় কি! এইদিন প্রথম দেখলাম গাছের কুচ!
ছোটবেলায় স্বর্ণকার বাড়িতে কুচ দেখেছি, কুচ দেখেছি আলমারির মাথায় সযত্নে লুকিয়ে নানির কৌটায়। দেখেছি ফেরিওয়ালার ঝুড়িতে যত্ন করে সাজানো কুচ। তখন ভাবতাম বুঝি, এগুলো কোন সস্তা রত্ন পাথর। কিন্তু বড়রা বলতেন এগুলো গাছের ফল। আমার বিশ্বাস হত না। এত নিখুঁত কোনও ফল হতে পারে মন মানতে চাইত না। কিন্তু ডিম্বাকৃতির এই ফল শুধু নিখুঁতই নয়, এর এক মেরুতে কালো একটা টিপ বসানো যেন। সেই টিপের মাপ এমন নিখুঁত, সব কুচের এক সমান। সমান সব কুচই। মাপলে সামান্য এদিক-ওদিক হবে না কোনওটা। ওজন সবগুলোর কাঁটায় কাঁটায় এক মাপের হবে। এমন সুন্দর যে জিনিস, তাকে গাছের ফল বলে মানতে কষ্ট তো হবেই।
বড়রা তো বলে, গাছে ধরে। বলুক। মানতে আমার বয়েই গেছে! প্রমাণ তো ওঁরা দেখাতে পারে না। ‘কোথায় কোন গাছে ধরে? দেখাও আমাকে?’ বলতাম আমি।
গাছই নেই তো দেখাবে কী করে। তাই এটা-সেটা বলে বুঝিয়ে দিত। আমি নাছোড়বান্দা, তখন ওঁরা বিরক্ত হয়ে বলত, ‘ও গাছ এখন হারিয়ে গেছে।’
‘তাহলে বীজ এলো কোত্থেকে?’
মোক্ষম প্রশ্ন। এর জবাব বড়দের কাছে নেই। তাই আমতা-আমতা করে ওরা। সুতরাং আমারই জয় হয়। আমার বিশ্বাসের ভিত দৃঢ় হয়।
কিন্তু দাদির বোনের বাড়িতে সেদিন ধ্বাক্কা খেল সেই বিশ বছরের সেই বিশ্বাস । নিজ চোখে দেখার পর আর কোন যুক্তিতে অবিশ্বাস করি কুচ গাছে ধরে!
গাছে কুঁচ দেখলাম। নয়ন সার্থক হলো। কিন্তু মন ভরল না। কারণ পাতা-লতা সেসব কিছু আর অক্ষত ছিল না। তবু দুধের সাধ ঘোলে মেটানো আরকি!
ওই শেষ। তারপর আবার কুচ দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে ২০১৩ সাল পর্যন্ত।
বৈশাখে গ্রামে গিয়েছিলাম। আমার সাগরেদরা খবর দিল উত্তর মাঠের কুদ্দুস কাকার পার্কে নাকি একটা কুচ আছে। শুধু গাছই নয় রীতিমত ফুল-ফল দিয়েছে গাছটা। দুই খালাতো ভাইকে নিয়ে ছুটলাম উত্তর মাঠে। কিন্তু লাভ বেশি হলো না। কুচ গাছ পেলাম কিন্তু ফুল-ফল নেই। গাছটা এক ধরনের ক্যাকটাস গাছের মাথায় উঠেছে।
৮/৯ ফুট উঁচুতে ফুল কোথাও লুকিয়ে থাকলেও থাকতে পারে। নিচ থেকে তা খুঁজে পাওয়া মুশকিল। অনেক খুঁজে-টুজে না পেয়ে শিয়াকুল গাছটার দিকে এগোলাম আমি। আর বললাম ওরা যেন ভালো করে খোঁজে। খুঁজে পেলে যেন ডাকে আমাকে। কিন্তু ওদের মনে ছিল অন্য বুদ্ধি।
আনমনে ছবি তুলছি। ওরা দুই ভাই এসে হাজির। ছোটজনের নাম শাহেদ। একটু ইঁচড়ে পাকা। আমার চোখের সামনে মুঠোবন্দি হাতটা ধরে বলল, ‘দেখেন কী পেয়েছি!’
তারপর মুঠো খুলল, গোটা পঁচিশেক অপুষ্ট কুঁচ। ভেবেছিল আমাকে চমকে দেবে। কিন্তু আমার চোখে তখন ক্রোধের আগুন জ্বলছে। চেঁচিয়ে বললাম, ‘করেছিস কী ব্যাটা বুদ্ধির ঢেঁকি!’
দুই ভাই ফ্যালফ্যাল করে আমার মুখের দিকে তাকাল।
বললাম, ‘তোদের কুচফল খুঁজতে বলেছিলাম, পাড়তে বলিনি। গাছে ফল ধরে রয়েছে, সেই ছবির মূল্য কত বুঝিস?’ ওদের চেহারায় ততক্ষণে অপরাধীর ছায়া। অনেক বকা-ঝকা করে বললাম, ‘তোদের এই পাপের একটাই প্রায়শ্চিত্ব, এই ফলগুলো বাড়িতে নিয়ে যাবি। তারপর এগুলো বুনে চারা তৈরি করবি। সেই চারা যখন গাছ হয়ে ফুল-ফল দেবে তখন আমি ছবি তুলব।’
আমার এই ভাইদুটো আর যাইহোক অকর্মা নয়। সত্যিই বর্ষাকালে গিয়ে দেখি দিব্বি ৮/১০টা গাছ তৈরি করে ফেলেছে। শরতে পেলাম ফুল আর কাঁচা ফল। শীতে পাকা ফল আর বীজ। ওদের ওপর সেই রাগ তো নেই-ই বরং উল্টো আরও ধন্যবাদ জানালেও কম হবে।
কুচ লতা জাতীয় বর্ষজীবী উদ্ভিদ। আগে বাংলাদেশ আর পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সব গাঁয়ের মাঠে-জঙ্গলে দেখা যেত। এখন অতি বিরল শ্রেণির উদ্ভিদের কাতারে নাম লিখিয়েছে। সাধারণত শুকনো মাটিতে জন্মায়। লতা অন্য গাছ বেয়ে ওঠে। ১০/১২ ফুট লম্বা হয়। লতার রং সবুজ। লতা চিকন। মূল লতা আধা ইঞ্চি মতো মোটা হয়। লতার আধাফুট দূরে দূরে একটা করে গিঁঠ। প্রতিটি গিঁঠের গোড়া থেকে একটা করে পাতা বের হয়।
কুচের পাতা চিরল-চিরল। তেঁতুলের পাতার মতো দেখতে। তবে তেঁতুলের পাতার চেয়ে কিছুটা বড়। বোঁটা বহুপত্রক। প্রতিটা পাতা আধা ইঞ্চি লম্বা হয়। পাতা সবুজ রঙের। পাতলা।
কুচের ফুল শীমফুলের মতো দেখতে। তবে আকারে কিছুটা বড়। ফুল সাদা রংয়ের। দুটো পাপড়ি আছে। দুই পাপড়ির মাঝখানে বাঁকানো কিশোর থাকে। পাপড়ির ভেতর দিকে বেগুনির রংয়ের ছোপ আছে। ফুল গুচ্ছকারে বের হয়। অর্থাৎ মঞ্জরি বহুপুষ্কক।
কুচের ফল দেখতে প্রায় দেশি শীমের মতো। চ্যাপ্টা। আকারে শীমের চেয়ে বেশ ছোট।
কাঁচা ফল সবুজ রংয়ের খোসা পুরু।
ফলের ভেতর চার-পাঁচটা কুচ পাশাপাশি সাজানো থাকে।
আমরা কুচ বলতে যা বুঝি, তা মূলত এর বিচি। বাংলাদেশে দুজাতের কুচ দেখা যায়। সাদা আর লাল।
লাল কুচ বাংলায় সর্বাধিক পরিচিত। কুচের বিচি ডিম্বাকৃতির। বিঁচির একটা মেরুতে কালো ফোঁটা আছে। কালো ফোঁটা বাদে বাকিটুকু লাল অথবা সাদা। সাধারণভাবে লাল কুচকে রক্তকুচ এবং সাদা কুচকে শ্বেতকুচ বলে।
কুচ বড় আশ্চর্য ফল। এর প্রতিটি বিঁচি সাধারণত একই মাপের এবং একই ওজনের। এজন্য প্রাচীনকালে ক্ষুদ্র জিনিস মাপার কাজে কুচ ব্যবহার করা হত। এখনও স্বর্ণকারের দোকানে সোনা-রুপা মাপতে কুচের ব্যবহার দেখা যায়।
কুচের বিঁচি বা বীজ ভীষণ শক্ত। কুচের বীজ বিষাক্ত। বীজের ভেতরে অ্যাক্সিন নামের এক ধরনের বিষাক্ত পদার্থ থাকে। তাই সাবধানে কুচ ব্যবহার করা উচিত। এমনিতে আস্ত কুচ তেমন ক্ষতি করে না। বিঁচি শক্ত তাই অ্যাক্সিনের নাগাল অত সহজে পাওয়া যায় না। তবে কুচ ছিদ্র করে মালা গাঁথলে বা ভাঙা কুচ পেটে গেলে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
আগেকার দিনে কুচের বিষাক্ততার কথা মানুষ জানত না। তাই কুচ ছিদ্র করে মালা গাঁথত। কুচের ভেতরকার অ্যাক্সিনের প্রভাবে প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়ত মানুষ। তবে আস্ত কুচ শিশুরা গিলে ফেললে তেমন সমস্যা হয় না। কারণ শক্ত কুচ হজম করা মানুষের পরিপাক তন্ত্রের কম্ম নয়। অবিকৃত কুচ পরে বেরিয়ে আসে পায়খানার সাথে।
রক্তকুচে স্থানীয় নাম: চূড়ামনি, শাঙ্গুষ্ঠা, গুজ্ঞা, সৌম্যা, শিখণ্ডী, কৃষ্ণলা, অরুণা তাম্রিকা, রক্তিকা, কম্ভোজি, ভিল্লিভূষণা, মানচূড়া, রত্তিকুচ ইত্যাদি।
ইংরেজি নাম: Jequinity, Carb’s eye, Indian liconice ইত্যাদি.
রক্ত কুচের বৈজ্ঞানিক নাম: Abrus Precatorious..
বিশেষ কৃতজ্ঞতা
জায়েদ ফরিদ
বেনুবর্ণা অধিকারী
নাজিমউদ্দিন আহমেদ রাজিব
আগের পর্ব : বাংলার তরু-লতা-গুল্ম-৩৯ : প্যাটেঙ্গা
মন্তব্য
ব্লগবাড়ি । ফেসবুক
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
ছোটবেলায় গ্রামে এই গাছ ছিলো, কুচফল দিয়ে অনেক খেলেছি। অনেক অনেক বছর পর দেখলাম। পারলে কিছু বীজ ঢাকায় নিয়ে আসুন।
পুনশ্চ: বানানটা বোধহয় 'বিচি' হবে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
মার্চে কিছু নিয়ে আসব নজু ভাই। আশা করি আপনার হাতেও কিছু পৌঁছবে
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
আশায় এবং অপেক্ষায় থাকলাম।
আজ মনে পড়লো, স্বর্ণকারের দোকানে এই বীজ দিয়ে যে মাপ দেওয়া হয় সেটার নাম বোধ হয় রত্তি... এক কুচফল সমপরিমাণ স্বর্ণকে সম্ভবত একরত্তি বলে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হুম, নজরুল ভাই, কুচই হলো রত্তি।
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
রক্তকুচ গাছ/বীজ কোথায় পাওয়া যাবে? আমার গাছ/বীজ খুব দরকার। দয়া করে, গাছ/বীজের জায়গা বলে দিবেন। আমার মোবাইল নং: ০১৯১৯-৮৯৮৪৩৮ ।
হুমায়ুন কবির আপনার নম্বরটা থাকল। দেখি আপনার জন্য কোনও ব্যবস্থা করা যায় কিনা।
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
এক কুচফল নয়, এক বিচি সমপরিমান স্বর্ণকে সম্ভবত একরত্তি বলে।
________
একে কাইয়ুম
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
এটা কি যষ্টি মধূর গাছ না্? আমার অভিজ্ঞতায় এই গাছের শিকড়ই যষ্টি মধূ।
কুচের নাম যষ্ঠিমধু কিনা আমার জানা নেই।
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
জীবনযুদ্ধ
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
আপনার এই বাংলার হারিয়ে যাওয়া মনি-মানিক্য খুঁজে ফেরার কাজটার জন্য আপনাকে জানাই হাজারো কৃতজ্ঞতা। আর এসব সংরক্ষণ করার কোন উপায় করা যায় কিনা সেটাও ভাবতে হবে বৈকি!
সংরক্ষণের উপায় বের করার চেষ্টায় আছি পৌঢ়দা, স্বপ্ন একটা আছে, দেখা যাক
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
খুব ছোটবেলায় গ্রামের এক সুউচ্চ গাছে কুঁচ দেখেছিলাম। সেই থেকে আমার ধারনা ছিল এর গাছ বোধ হ্য় বেশ লম্বা হয়, এখন জানলাম এটা আসলে লতানো পরজীবী গাছ। তবে এর পরে মহিলাদের নারিকেল তেলের বোতলে অনেক সময় কুঁচ দেখেছি, স্বর্ণকারের দোকানেও সোনা মাপার কাজে এর ব্যবহার দেখেছি।
টিখ পরজীবী নয় আবদুল্লাহ ভাই, শুধু অন্যগাছকে আশ্রয় করে ওঠে মাত্র।
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
অদ্ভুত সুন্দর! আপনি তো ফাটিয়ে দিচ্ছেন!
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
হায় হায়, কন কী! ফাটলে তো সমস্য্
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
গাছে ধরে থাকা কাঁচা/পাকা কুচ কখনো দেখিনি। আপনার কারণে দেখা হয়ে গেলু, সেজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
গুড় কদ্দুর রে ভাই? জলদি গুড় পর্ব আসুক।
দেখোরে, দেখোরে নয়ন মেলে, জগতের বাহার
আগ্রহীদের জন্য গুপী'র সেই চমৎকার গান্টা।
গুড় প্রায় হয়ে এলো, এবার পোস্টের পালা। আজকালই আসবে আশা করি।
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
রনি ভাই, খুব ভালো লাগল
------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”
অলীক জানালা _________
ধন্যবাদ, ভালো থাকুন।
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
ছোট বেলায় কুচ নিয়ে মেলা খেলেছি। ফুল/ফল তো পুরাই শিমের মিনি সংস্করন, খুড়তুত ভাই বুঝি!
হুম, খুড়তুতো, মাসতুতো, পিসতুতো---হবে একটা।
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
একদম! আমারতো শীমের ফুলের মত সাদা ফুলটাকে দেখে চুষে মধু খাইতে ইচ্ছা করতেসে
আমার বন্ধু রাশেদ
হায়, হায়! এর মুধ বীজের মতো বিষাক্ত কিনা কে জানে।
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
ছবিগুলো চমৎকার তুলেছেন!
শুভেচ্ছা
ধন্যবাদ, আপনাকেও শুভেচ্ছা।
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
_________
একে কাইয়ুম
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
নতুন মন্তব্য করুন