সর্বমোট ভোটারের ৩০ শতাংশ ছিলো এবার প্রথমবার ভোটার। যাদের কাছে আওয়ামীলীগ না বরং সময়ের দাবী হয়ে উঠেছিলো আমাদের সর্বোচ্চ অর্জন মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারী আর তাদেরকে আশ্রয় করে ক্ষমতালোভী গোষ্ঠীকে ঠেকানো। যদি তাদের সামনে আওয়ামীলীগ ছাড়া ভালো ও যোগ্য কোনো অপশন থাকতো তাহলে তারা তাদের সেই ভোট কোনোমতেই আওয়ামীলীগের পক্ষে যেতো না। কারণ কেবল বিএনপি না সময়-সুযোগে এই আওয়ামীলীগও যুদ্ধাপরাধী গোষ্ঠী জামাতের সঙ্গে আঁতাত করেছে অতীতে। একই টেবিলে পাশাপাশি বসে ম. র. নিজামী, মুজাহিদ প্রমুখ কুখ্যাত রাজাকারের সঙ্গে মিটিং করেছে। রাজাকার-বিএনপি জোট ঠেকানোর সাথে সাথে তাদের মন থেকে এটাও উবে যায়নি যে আওয়ামীলীগ এবারে জোট পাকিয়েছে গণতন্ত্রের হন্তারক স্বৈরাচারের জাতীয় পার্টির সাথে। এই সেই জাতীয় পার্টি যার প্রধাণ হু. মু. এরশাদ ইতোমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছেন ক্ষমতায় গিয়ে ব্লাসফেমী আইনের প্রয়োগ ঘটানোর প্রয়াস করবেন। ১১ / ১ এর পর গণতন্ত্র আর স্বাধীনতার গৌরব রক্ষায় সচেষ্টতার ঘোষক আওয়ামীলীগ মুক্তিযুদ্ধের উদ্দেশ্য পরিপন্থী এই ব্লাসফেমী আইনকে কী ভাবে নেবে সেটাই এখন দেখার বিষয়!
পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের ধর্মীয় ও 'শাসক নয় সেবক' সেন্টিমেন্টকে কাজে লাগিয়ে ৯৬-এ ক্ষমতারোহন করে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি হিসেবে আওয়ামীলীগের কাছে বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশা বেড়ে যায়। কিন্তু পরিনামে আওয়ামীলীগ তার কিছুই রাখতে পারে নি। মন্ত্রীসভা থেকে শুরু করে মহল্লা পর্যায়ের নেতাদের অতিরিক্ত বাড়াবাড়ির সাথে যোগ হয় স্বয়ং শেখ হাসিনা'র লাগামহীন বাতচিৎ। প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ করছি, ক্ষমতায় থাকাকালীন বিবিসি'র সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি ইংরেজীর বদলে প্রতিবেশী এক দেশের ভাষা ব্যবহার করেন। বিভিন্ন ভাষায় দখল থাকতেই পারে তাঁর, কিন্তু আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় সার্বজনীন ভাষা ছেড়ে আমাদের ভাষার মতোই সমান গুরুত্ববহনকারী অন্যকোনো ভাষা ব্যবহার একজন রাস্ট্রপ্রধাণ হিসেবে তাঁকে মানায় না। তিনি নিজের দেশের তৃণমূল নাগরিকের কথা না ভেবে নামকরা সব বিশ্ববিদ্যালয়ের অনারারী দার্শনিক ডিগ্রী অর্জনে মনোনিবেশ করেছেন। নিজের দলের নেতারা একাত্তরে নেতৃত্ব দিয়ে যে দেশকে মুক্ত করেছিলেন, ৯৬-এ এসে সেই দেশকেই ধর্ষণ করেছেন সাধ্যমতো, সেদিকে তিনি ভ্রুক্ষেপ করেন নি। তাঁর সে সময় বোধকরি ছিলো না। তিনি ব্যস্ত ছিলেন "বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা" গড়ার কাজে। এবং সেটা আর যা-ই হোক যে বঙ্গবন্ধুকে আমরা বুকের গহীনে লালন করি সেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিলো না। পরিনাম আমরা দেখেছি ২০০১-এ। ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং এর পাশ কাটালেও আওয়ামীলীগের ভরাডুবি হয় অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে।
এবার "না" ভোটের অপশন চালু হলেও কার্যতঃ এই "না"-ভোট তেমন কোনো সমাধান আনতে পারতো না। না-ভোট যারা দিয়েছে বা দিতে চেয়েছে তারা সন্দেহাতীতভাবেই সচেতন বাংলাদেশী নাগরিক। তারা বিএনপি-জামাতকে তো পুছেই না বরং ক্ষেত্র বিশেষে আওয়ামীলীগ এরও ধার ধারে না। আদতে এরা একেকজন নিজেকে বাংলাদেশী বলে ভাবে, বাংলাদেশের একেকটা বালুকণা হিসেবে নিজেকে চিন্তা করে, কোনো রাজনৈতিক দলের ধ্বজাধারী নয়। সংখ্যায় এই নাগরিকেরা নেহায়েৎ কম না। কিন্তু তারপরেও তারা এবার তাদের আকাঙ্ক্ষিত "না" ভোটের দিকে না ঝুঁকে নিজের সিদ্ধান্তটা দিয়েছে আওয়ামীলীগকেই। কারণ খুব সরল- যুদ্ধাপরাধীদের বিগত কয়েক বছরের পর্বত সমান ধৃষ্টতা। স্বাধীন বাংলাদেশেই একজন গর্বিত মুক্তিযোদ্ধাকে প্রকাশ্যে লাঞ্ছনা! এই লাঞ্ছনা সেই একজন মুক্তিযোদ্ধার ছিলো না, এই লাঞ্ছনা কেবল জামাতের সেই সম্মেলনেই থেমে থাকে নি। এই লাঞ্ছনা প্রতিটি বাংলাদেশী নাগরিকের, এই লাঞ্ছনা ছড়িয়ে গেছে পুরো ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল এলাকার ব-দ্বীপে। নিজামী-কামারুজ্জামানদের মতো হিংস্র হায়েনারা এই স্বাধীন বাংলাদেশেরই নির্বাচনে লাখের উপরে ভোট পায়, এই অপমান থেকে আমাদের বাঁচান আপনি শেখ হাসিনা।
২৯ ডিসেম্বরের ঐতিহাসিক বিজয় সম্পূর্ণ নয়। এই অসম্পূর্ণ বিজয়ও আওয়ামীলীগের নয়, আওয়ামীলীগকে এই বিজয়ের অংশীদার করা হয়েছে কেবল। বিজয়ের শুরুটা করেছে কেবল বাংলাদেশের মানুষ। এই বিজয়কে সামনে এগিয়ে নিয়ে পূর্ণরূপ দিতে হবে আওয়ামীলীগকেই।
বাংলাদেশের মানুষ স্মৃতিবিস্মৃত নয়, এটা যেমন আমাদের সর্বোচ্চ জাতিগত অর্জন মুক্তিযুদ্ধকে এই কিছুদিন আগেও "সিভিল ওয়্যার" বলে চালিয়ে দেওয়া রাজাকার মুজাহিদ গংদের জন্য একটা মেসেজ ঠিক তেমনি এটা আওয়ামীলীগ তথা শেখ হাসিনার জন্যও। মনে রাখবেন মাননীয় শেখ হাসিনা, এই বাংলাদেশের মানুষেরাই বঙ্গবন্ধুকে বুকের ভেতর লালন করে নিজের দেশের লাল-সবুজ পতাকার পাশাপাশি, পরম শ্রদ্ধায়। আপনার কাছে করজোর নিবেদন, সেই শ্রদ্ধার অপমান করবেন না। আপনার এখন সুযোগ বঙ্গবন্ধুর পাশে আপনার প্রতিকৃতি স্থায়ীভাবে মানুষের মনে বসানোর। গণভবনের আরাম উষ্ণ কক্ষ কিংবা প্রধানমন্ত্রী ভবনের চরম নিরাপদ হোয়াইট প্রিমিসেসে আপনার জন্য রক্ষিত আরামদায়ক গদি-ই যেনো শেষ গন্তব্য না হয় আপনার। আপনার অবস্থানে খুব সাধারণের মতো পদক্ষেপ না নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন। রাস্ট্রীয় ক্ষমতার বলয়ের বাইরে এসে দেখার চেষ্টা করুন চারপাশ। দেখুন আপনার দল কী উদ্দেশ্য নিয়ে একাত্তরে বাংলাদেশ নামক রাস্ট্রটির জন্মের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিলো। ক্ষমতায় আরোহনের আগে ভাবুন একটিবার, যে কাজ বঙ্গবন্ধু করতে পারতেন, তাঁর যোগ্য কন্যা হয়ে ক্ষমতায় আসীন না হয়েও সেই কাজটি আপনি সম্পন্ন করতে পারেন কি-না! বঙ্গবন্ধু বাহাত্তর পরবর্তী যে ভুল গুলো করেছিলেন চাটুকারদের দ্বারা পরিবেষ্টিত হয়ে, সেই একই ভুল আপনি করতে যাবেন না ৯৬-০১ অনুকরণে- একাত্তরকে বুকে ধারণ করা এক মুক্তিযোদ্ধোত্তর প্রজন্মের প্রতিনিধি হিসেবে এই দাবী জানাই আপনার কাছে। বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করান সেইসব হায়েনাদের যারা বাংলা মায়ের কোল খালি করেছিলো পাকি হানাদারদের দোসর সেজে। মনে রাখবেন, এই একটি ইস্যুকে সামনে রেখেই "না" ভোটের অপশন থাকা সত্ত্বেও আওয়ামীলীগের অনেক 'ডিসকোয়ালিফাইড' প্রার্থীকে নির্বাচিত করেছে বাংলাদেশের মানুষ। করেছে শুধুমাত্র আপনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য। ক্ষমতার মসনদে থেকে যদি বাংলাদেশের মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা পূরণে সক্ষম না হোন তাহলে নেমে আসুন মসনদের মোহ থেকে। আসুন সাধারণ মানুষের কাতারে- যেমনটা বঙ্গবন্ধু এসে দাঁড়িয়েছিলেন। তাদের দাবীকে 'ভ্যালিড' রূপ দিন। ব্যাঙের ছাতার মতো গঁজিয়ে ওঠা মৌলবাদকে প্রতিহত করুন, নিরাপত্তা দিন দেশীয় ঐতিহ্য-সংস্কৃতির, নির্ভিগ্নে দেশে ফেরার নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন কাঠমোল্লাদের ফতোয়ায় নিষিদ্ধজনের। কঠোর হাতে দমন করুন ধর্মের নামে রাজনীতির। নিজের দলের নেতা-এমপি-মন্ত্রীদের আখের গোছানোয় বাঁধা দিয়ে শীতের রাতে স্টেডিয়াম এলাকায় বস্ত্রহীন মানুষের সাথে গতি করুন দেশের অবহেলিত জনের। দেখবেন এদেশের মানুষ আপনাকে মাথায় তুলে রেখেছে। নির্বাচনের আগে আপনাকে নির্ঘুম রাত কাটাতে হবে না ফলাফলের কথা চিন্তা করে। জনগণই তাদের যোগ্য নেতার উত্তরসূরীকে খুঁজে নেবে। এটা একটা প্রমিজ মাননীয় শেখ হাসিনা।
মন্তব্য
বেশ সাহসী লেখা। তবে এযাত্রা হাসিনার থাকার দরকার আছে, বিকল্প নেতৃত্ব যতদিন না তৈরী হয়। এর পরে হয়তো উনি সরে যেতে পারেন। তবে হাসিনাকে এখন থেকেই তাঁর বিকল্প খুঁজে বার করতে হবে অথবা তৈরী করতে হবে।
এতোটা আশা করি না; না আওয়ামী লীগের কাছে, না শেখের বেটি হাসিনার কাছে।
প্রধানমন্ত্রী না হলেও সুবিধাবাদী চাটুকারের কবলে পড়তে পারে। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা কি শুধু হাসিনা-খালেদারই আছে? আওয়ামী লীগের প্রত্যেক সাংসদ ও নেতৃবৃন্দের উচিত আত্মসমালোচনা করা। তাদের কট্টরপন্থী দৃষ্টিভঙ্গি দূর করতে হবে। দেশের স্বাধীনতা অর্জনে নিজ দলের অগ্রণী ভূমিকা ছিল বলে দেশকে ব্যক্তিগত সম্পত্তি মনে করা হবে ভীষণ অন্যায়। দেশ সকলের। জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন দেশের সেবা করার জন্য। মুরুব্বিয়ানা বা জমিদারি (lordship or baronetcy) করার জন্য নয়। এই চিন্তা ও মননের পরিবর্তন আসাটা দরকার সবার আগে। সদিচ্ছা থাকলেই তা সম্ভব। প্রধান নেত্রী চাইলে প্রধানমন্ত্রীত্ব না নিয়েও নিজের ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে দেশের উন্নয়নে প্রভাবশালী ভূমিকা রাখতে পারেন। সোনিয়া গান্ধি সেটা করে দেখিয়ে দিয়েছেন ভারতে। শেখ হাসিনা যেটা উপযুক্ত মনে করবেন সেটা করতে পারেন। তবে পরিবারতন্ত্রকে দমিয়ে গণতন্ত্রকে যেন তিনি প্রাধান্য দেন সেই প্রত্যাশা করি। মানুষ অভিযোগ তুললেই ষড়যন্ত্র ষড়যন্ত্র বলে চেঁচামেচি না করে অভিযোগের সত্যতা যাচাই করাই প্রকৃত নেতার কাজ।
___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে
বিশ্বস্ত সুত্রে খবরঃ-
শেখ হাসিনার মাথাতেও এমন একটা চিন্তা আছে। তবে আপাতত প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য প্রস্তুত কেউ নেই। উনি প্রথম দুই বছর প্রধানমন্ত্রী থেকে পরবর্তী তিন বছরের জন্য তা আরেকজনকে ছেড়ে দিবেন। সেক্ষেত্রে মতিয়া চৌধুরী হতে পারে উপযুক্ত বদলী খেলোয়াড়।
যদি নাও ছাড়েন তারপরও এমন একটা চিন্তা যে তার মাথায় এসেছে তাই সাধুবাদ।
=============================
বিকল্প কাউকে সাজেস্ট করছেন কি?
__________________________
I think , therefore i am - Descartes
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
মতিয়া চৌধুরী নতুন প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন।
- লীগের ভেতরে হাসিনার চাইতেও অনেক যোগ্য পাবলিক আছেন যারা প্রধানমন্ত্রী হবার যোগ্যতা রাখেন। কিছু ক্ষেত্রে হয়তো তাঁরা শেখ হাসিনার চাইতেও এগিয়ে। জয়'কে রাজনীতিতে সরাসরি ঢুকিয়ে ফেলাটা হাসিনার জন্য বুমেরাং হয়ে যেতে পারে। জয় যদি রাজনীতি করতেই চান তাহলে অন্ততঃ ফিল্ডের জ্ঞানটুকু আহরণ করে নেয়া উচিৎ।
শেখ হাসিনা যদি দেশের চাইতে ক্ষমতায় বসার বাসনাটাকে প্রাধাণ্য দেন তাইলে আর কিছু বলার নাই। এইবার তো তাও রাজাকারগো বিরুদ্ধে একটা ম্যাণ্ডেট তাঁর দলের পিছে গেছে। মাগার যদি এই দালাল-রাজাকারগোরে নিজের ক্ষমতা আর রাজনীতির বাণিজ্যের স্বার্থে জামাই আদরে রাখেন তাইলে কপালে উলু আছে।
বিএনপি আমাগোর দেশে সামহাউ জনপ্রিয়। এইটা ফ্যাক্ট। এই বিএনপিও কৈলাম মোটে ত্রিশটা আসন ক্রস করছে, তাও হেঁচড়াইয়া। পাবলিক যদি লীগরে লাত্থি দেয় তাইলে কৈলাম লীগ এই কয়টাও পাইবো না। আর তখন নাকি কাঁন্দা শুনোনেরও বেইল কারো থাকবো না। এই জিনিষগুলা শেখ হাসিনার মস্তিষ্কে থাকা উচিৎ।
আর ক্ষমতায় বসার মতো এতো খাই খাই স্বভাব বাদ না দিতে পারলে শেখ হাসিনা শেষমেশ একটা গুঁতা খাওয়ার দিকেই যাইবেন। বয়স আর অভিজ্ঞতা মানুষরে ভারিক্কি করে। শেখ হাসিনারেও করবে আশা করি। যদি শেখ হাসিনা দূরদর্শী হইয়া থাকেন আর আখেরে দেশের তথা নিজের আর তাঁর দলের ভালোটা চান, তাইলে প্রধানমন্ত্রীত্ব থাইকা তিনি দূরে থাকবেন। আর যদি নিজে চান খোমাটা টিভিতে দেখানোর লাইগ্যা তাইলে আগেই কইয়া দেই, "ম্যাডাম, এইবারই শ্যাষ। পাবলিক আর আপনেরে সুযোগ দিবো না!"
লেখাটা কিছুটা সারফেস লেভেলের মনে হৈছে। আরেকটু ডিটেইলে গেলে ভালো হৈতো।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমার তো মনে হয় শেখ হাসিনা এবার যেরূপ ম্যাচ্যুরিটি দেখাচ্ছেন তাতে কিছু একটা আশা করতেই পারি আমরা। এক্ষেত্রে দ্রব্যমূল্যের সহনীয়তা আনার মতো ক্যাজুয়াল কাজটিকে বাদ দিলে গুরুত্বপূর্ণ যে উদ্যোগটি সাহসের সাথে নিয়ে অতঃপর প্রধানমন্ত্রীত্ব ছেড়ে দিয়ে কিংবদন্তী হয়ে যেতে পারেন, তা হচ্ছে যুদ্ধাপরাধীর বিচার।
তাঁর বিকল্প হওয়ার সমস্ত যোগ্যতা ছাড়িয়েও যার যোগ্যতা প্রশ্নাতীত, তিনি হচ্ছেন মতিয়া চৌধুরী। তবে শেখ হাসিনাকেই প্রতিশ্রুতি মোতাবেক এ কাজ নিজেই করতে হবে। নইলে পলায়নপরতার অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়াটাও বিচিত্র হবে না।
আমি তো মনে করছি যে শেখ হাসিনা সে যোগ্যতা ইতোমধ্যে অর্জন করে ফেলেছেন। যেভাবে এটাও তিনি বুঝে গেছেন যে এবারে ভোট তো আসলে আওয়ামী লীগ পায় নি, পেয়েছে দুর্নীতি, দুঃশাসন আর যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে মানুষের পুঞ্জীভূত ক্ষোভ... !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
সুপ্রিয় রুমন সাহেব, ধূগো'দা-র মত আমার কাছেও মনে হল আরেকটু ডিটেইলে গেলে হয়ত ভাল হতো। তেমন নতুন কিছু পেলাম না। কী করা উচিত বা উচিত না, সে সম্পর্কে বলেছেন, কিন্তু কিভাবে করতে হবে, সেটা আপনি বলেননি। শিরোনামের সাথে মূল লেখার যথার্থতা খুঁজতে গিয়ে তাই কিছুটা অসম্পূর্ণ মনে হল। তবে আপনার দৃষ্টিভঙ্গী বেশ পরিষ্কার, আর সর্বোপরি লেখাটা খুব ভাল লেগেছে, কিন্তু আরেকটু সুনির্দিষ্ট করে সমস্যা থেকে উত্তরণের উপায় নিয়ে আলোচনা করলে ভাল লাগত আরো বেশি। আপনার মূল বক্তব্যের সাথে সহমত জানাই। ধন্যবাদ আপনাকে। ভাল থাকবেন।
আফা ক্ষমতার মায়াজাল ছিন্ন করিয়া বাঁচিয়া থাকিতে পারিবেন না ।
--------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন
---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন
আপাতত মতিয়া চৌধুরী ছাড়া আর কারো কথা মনে আসছে না।
আর কেউ কি আছেন বিকল্প?
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
আসাদ ভাই, অনেকদিন পরে লিখলেন। কেমন আছেন?
আমি দ্বিমত।
গত সাত বছরের আ'লীগ মানে হাসিনার নেতৃত্ব। এখন বিশাল ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় গিয়ে গুরু দায়িত্ব হাসিনাকেই নিতে হবে। জনগণ হাসিনার কাজ দেখতে চায়। তালি বা গালি দুটোই হাসিনাকে নিতে হবে। অন্য কারও উপরে দায়িত্ব দিয়ে মহান হওয়ার স্কোপ আমাদের রাজনীতিতে আপাততঃ নেই।
নতুন মন্তব্য করুন