মৃত্যুর আগে জীবনানন্দ দাশকে তার প্রাপ্য সম্মান মেটাতে না-পারার জন্য দুঃখপ্রকাশ করে লিখেছিলেন অশোক মিত্র। ১৯৫৪ সালে। তারপর অর্ধ শতাব্দীরও বেশি সময় গত হয়েছে। এই সময়ে আরও অনেক কবি-লেখক লোকান্তরিত হয়েছেন। শামসুর রাহমানের মতো দু-একজন ভাগ্যবান কবি ছাড়া খুব কম কবি-লেখককেই আমরা মৃত্যুর আগে সম্মান জানাতে পেরেছি। আজ আমরা দুঃখভারাক্রান্ত মনে কথাশিল্পী জুবায়েরকে স্মরণ করছি। বেঁচে থাকতে এর এক কণাও যদি করতাম! কিছুদিন আগে 'জীবন আমার বোন' এর লেখক মাহমুদুল হককেও হারিয়েছে আমরা। এর কিছুদিন আগে কবি অমিতাভ দাশগুপ্ত ও সিদ্ধেশ্বর সেনকে। মৃত্যুতে স্মরণ করা যাবে না; তা বলছি না। তার জন্য দৈনিকগুলোর পশ্চাদপদ সাহিত্য পাতা আছে। সচলায়তনে জীবিত কবি-লেখকদের সাহিত্যকর্ম নিয়ে বেশি-বেশি আলোচনা থাকলে বেশি সার্থকতা নয় কি? তাতে বেঁচে থাকতেই যোগ্যকে তার প্রাপ্য সম্মান কিছুটা হলেও মেটানো সম্ভব। সচলায়তনের আমি অতিথি সদস্য। লেখালেখির অধিকার সীমিত। তাছাড়া আমি কোনও লেখক নই। একান্তই পাঠক। যাদের ব্লগ আছে, তারা এই কাজটি করলে পাঠচক্রটি আরও ঋদ্ধ হবে বলে ধারণা করি। হাসান মোরশেদ ভাইয়ের সুবাদে অকালপ্রয়াত কবি সুনীল সাইফুল্লাহকে জেনেছি। ঐ ভাবে বিস্মৃতির আড়াল থেকে কবি-লেখকদের তুলে আনাও প্রশংসনীয় কাজ। মোরশেদ ভাইয়ের নজরে কি পড়বে অভাজনের এই লেখা? যদি পড়ে, তাঁর মন্তব্য পেলে ভালো লাগবে খুব। অন্যদেরও। যারা পুরনো সদস্য।
মন্তব্য
প্রিয় অরূপ দা, সকালেই আপনার সচিত্র বনভূমি পাঠে মুগ্ধ হয়েছি। এখন মুগ্ধ আমার সামান্য লেখায় সাড়া দেওয়ার জন্য। আপনিই প্রথম। অকৃত্রিম কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
"নোবেল-বুকার নিয়ে এত কেন ফুর্তি করে বোকা পাঠকেরা?/মিডিয়ার উলুবনে সবই যেনতেনপ্রকারেণ।/প্রাচ্যের পদক হাতে স্নানে যায় বনলতা সেন।" -আবু হাসান শাহরিয়ার
____________________________
বন্ধুত্ব মানেই তুমি বিচ্ছেদের চুক্তি মেনে নিলে
[আবু হাসান শাহরিয়ার]
লিখতে থাকুন। অধিকার আদায় করে নিন।
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
দু:খজনক হলেও এমনি হয়। আপনার বক্তব্যের সাথে সহমত।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
আপনি শুরু করুন । আমরা আপনার সাথেই আছি ।
আমাদের এখানে লেখা নিয়ে যেমন আলোচনা সমালোচনা হয় অন্য কোথাও এমন পাবেন না। আপনার ভিন্নমত থাকলে, যেমন বললেন সবাই, শুরু করুন। আমরা সবাই সাথে আছি।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
ধন্যবাদ যারা মন্তব্য করেছেন। আরিফ জেবতিক ভাইকে প্রিয় কবি আবু হাসান শাহরিয়ারের প্রতিমিডিয়া সিরিজের বইয়ের সুবাদে আগ থেকেই চিনি। অরূপ, নাজমুল আলবাব, তীরন্দাজ ও অমিত আহমেদের সঙ্গে সচলায়তনের মাধ্যমে পরিচয়। সন্দেহ নেই, এটি একটি সুস্থ আড্ডার জায়গা। পরেও যদি কেউ সাড়া দেন, আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে রাখি।
.................................................................................
"নোবেল-বুকার নিয়ে এত কেন ফুর্তি করে বোকা পাঠকেরা?/মিডিয়ার উলুবনে সবই যেনতেনপ্রকারেণ।/প্রাচ্যের পদক হাতে স্নানে যায় বনলতা সেন।" -আবু হাসান শাহরিয়ার
____________________________
বন্ধুত্ব মানেই তুমি বিচ্ছেদের চুক্তি মেনে নিলে
[আবু হাসান শাহরিয়ার]
অতিথি হলেও আপনার যেহেতু একটি নাম চলে এসেছে, সেক্ষেত্রে আপনার নামে একটি ব্লগ নির্ধারিত হয়ে আছে। অতএব আপনি নিশ্চিন্তে মনে এটা করতে পারেন। আর লেখার অধিকার সীমিত বলতে সুযোগ সবারই সমান। প্রথম পাতায় একটা লেখা থাকা অবস্থায় আপনার লেখাটা হয়তো কর্তৃপক্ষনিয়ন্ত্রিত হয়ে পোস্ট হচ্ছে না, আর আমরা স্বনিয়ন্ত্রিতভাবে এ নিয়মটাকে মান্য করছি। এই তো তফাৎ।
অতএব এগিয়ে যান। অভিনন্দন এবং শুভেচ্ছা।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
রূপকদার সাথে সহমত।
আবু হাসান শাহরিয়ারকে নিয়ে আপনার উচ্ছ্বাস চোখে পড়েছে আমার। তাঁর কবিতা নিয়ে আপনার কাছ থেকে কিছু পোস্ট হয়তো আমরা পাচ্ছি অচিরেই। সচলে তাঁর কবিতার মুগ্ধ পাঠকের সংখ্যা মোটেও নগণ্য নয়।
হাঁটুপানির জলদস্যু
রণদীপম বসু দাকে বলছি : বিষয়টা নিজেই ধরতে পেরেছি; তবে পরে। আপনার মন্তব্যে পুরো ব্যাপারটা আরও পরিস্কার হল।
হিমু দা ঠিকই ধরেছেন। আবু হাসান শাহরিয়ারের কবিতা ও প্রতিমিডিয়া সিরিজের বইগুলোর প্রতি আমার বিশেষ দুর্বলতা আছে। সিগনেচারে তার কবিতা থেকে উদ্ধৃতিও সে-কারণেই ব্যবহার করেছি। সচলে তাঁর মুগ্ধ পাঠকের সংখ্যা যে কম নয় , সেটা তারেক ভাইয়ের ব্লগ পড়ে আগেই জেনেছি। আমার আরও অনেক প্রিয় কবি আছেন। তবে সম্প্রতি সচল সদস্যদের লেখার প্রেমে মগ্ন। আপনিও তাদের একজন। এতদিন শুধুই পাঠক ছিলাম। আপনাদের সাহচর্যে এখন অল্প-অল্প লেখকও হয়ে উঠছি। তবে পাঠকই থাকতে চাই।
.................................................................................
"নোবেল-বুকার নিয়ে এত কেন ফুর্তি করে বোকা পাঠকেরা?/মিডিয়ার উলুবনে সবই যেনতেনপ্রকারেণ।/প্রাচ্যের পদক হাতে স্নানে যায় বনলতা সেন।" -আবু হাসান শাহরিয়ার
____________________________
বন্ধুত্ব মানেই তুমি বিচ্ছেদের চুক্তি মেনে নিলে
[আবু হাসান শাহরিয়ার]
... কেন এ সরস পরিহাস দাদা? পাঠক থাকুন, কিন্তু পাঠকই থাকবেন কেন? লিখুন, আমরা পড়ি।
হাঁটুপানির জলদস্যু
হিমু'র সাথে সহমত ।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
ব্লগার ঝরাপাতার সিগনেচারে এই লাইন দুটো পড়ে, আবু হাসান শাহরিয়ারের ভক্ত হয়ে গিয়েছি। সচলায়তনে তারেক ভাই এর ব্লগে উনার আরো কিছু কবিতা পড়েছি। সামনের বইমেলাতে উনার কিছু বই কেনার আশা রাখি।
স্বাগতম সচলায়তনে। আপনার লেখার বন্যায় ডুবে যাবার প্রত্যাশা করি।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
হিমু দাকে বলছি। আসলেই আমি পাঠক থাকতে চাই। এইমাত্র সচলে তীরন্দাজ দার একটি লেখা পড়ে উঠলাম। প্রাচীন গ্রিস আর সমুদ্রের ঘোর আমার এখনও কাটেনি। সবজান্তা দার মন্তব্যে আমার প্রিয় কবি আবু হাসান শাহরিয়ারের প্রসঙ্গ আসায় ভালো লাগল। তাঁকে বলছি : কিনতে হলে সবার আগে 'বালিকা আশ্রম' কিনবেন। যদিও বইটি এখন আউট অব প্রিন্ট। আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলে সে-কাব্যের দুটি লাইন শোনাই আপনাকে :
রিকশার তলপেটে তেভাগার লণ্ঠনের আলো
তোলাবটি বন্ধ করো; প্রেম যার দেহ তারই হবে
.................................................................................
"নোবেল-বুকার নিয়ে এত কেন ফুর্তি করে বোকা পাঠকেরা?/মিডিয়ার উলুবনে সবই যেনতেনপ্রকারেণ।/প্রাচ্যের পদক হাতে স্নানে যায় বনলতা সেন।" -আবু হাসান শাহরিয়ার
____________________________
বন্ধুত্ব মানেই তুমি বিচ্ছেদের চুক্তি মেনে নিলে
[আবু হাসান শাহরিয়ার]
মরনে কেনো তারে দিতে গেলে ফুল, একদম সত্যিই কথা।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
সম্প্রতি প্রয়াত আমাদের আরেকজন লেখকের কথা আপনি বলেন নি, যিনি জীবৎকালেই ব্যাপকভাবে সম্মানিত হয়েছিলেন। তিনি সেলিম আল দীন।
আপনার পর্যবেক্ষণ ঠিক আছে। জলাভাবে ভোগা লেখকেরও মৃত্যুর পর স্বীকৃতির জোয়ারে হাবুডুবু খেতে হয়।
................................................................
তোমার হাতে রয়েছি যেটুকু আমি, আমার পকেটে আমি আছি যতটা, একদিন মনে হবে এটুকুই আমি, বাকি কিছু আমি নই আমার করুণ ছায়া
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
১।
সাজানো বাসর ঘরে চুপিসারে উঁকি দেয় হরপ্পার চাঁদ
যে ছিল সে নেই পাশে;- যে আছে সে মুদ্রনপ্রমাদ
২।
ভ্রমনে জেনেছি আমি- নদীরাই শতাব্দীর পথ
নিসর্গই মাতৃভাষা, পাখিরাই সালাম বরকত
৩।
নদী ডাকছে; সিটি বাজছে হাওয়ায়
বরফকন্যারা গেছে সমুদ্র ভ্রমনে
টিকিটচেকার মেঘ তাড়া দিলে
নড়ে বসে ঢেউ যাত্রীগন
ও নদী, ও মাটি-সহোদরা,
আমার টিকিট নেই; আমাকে নেবেনা?
এই হলেন আবু হাসান শাহরিয়ার !
।।
প্রাচ্য দর্শনের মানুষজন জীবিতকে তুচ্ছ করে, মৃতকে করে পুজো । যে বাপকে জীবিত থাকতে সম্মান করার অবসর পায়না মরার পরে তার সম্মানে আয়োজন করে শ্রাদ্ধ আর চল্লিশার সিন্নি ।
ভালো লাগলো আপনার ভাবনা ।
-------------------------------------
সমুহ শোকেরা এলো ঝাঁক বেঁধে;
বিদায় জুবায়ের ভাই...
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
আগুনে ঘি, পেট্রোল, অকটেন, ডিজেল সব ঢাললেন মোরশেদ ভাই।
"সে রাতে নরকও ছিলো প্রেমের তল্লাট" -- এমন অদ্ভুত একটা লাইন পড়েই অনেক ক্ষণ চুপ মেরে বসেছিলাম। এবার যা দিলেন, তাতে মনে হচ্ছে বইমেলা অবধি আর বসে থাকা যাবে না, ছুটির পরপরই আজিজে খোঁজ লাগাতে হবে।
এই লাইনগুলি মাথার মধ্যে রীতিমত গেঁথে গেল !
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
খুব ভালো কথা বলেছেন রুপক কর্মকার
আপনি লিখুন
আমরা কিছু মানুষকে নতুন করে জানি
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
বেশ!!
আমি হালকা কিছু এমনতরো চেষ্টা করেছিলাম। এরশাদ আলমগীরকে নিয়ে, কিছুদিন আগে সৈয়দ আহমেদ শামীমেরও একটা কবিতা দিয়েছিলাম।
এমন একটা কাজ করা গেলে আমি সাথে আছি।
আপনি এগুতে থাকুন।
আমরা যে,
দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা বুঝি না,
দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা দিই না,
তাই।।
যে জন বঙ্গেতে জন্মি হিংসে বঙ্গ বাণী
সে জন কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।।
আমি অভিভূত! আমার ডাকে হাসান মোরশেদ ভাই শুধু সাড়াই দেননি, প্রিয় কবি আবু হাসান শাহরিয়ারের কবিতা থেকে কিছু পংক্তিও কোট করেছেন। ধন্যবাদ মুজিব মেহদী ভাইকেও। সেলিম আল দীনকে স্মরণ না-করার জন্য মৃদু ভর্ৎসনা (খণ্ড-ত কেন অসে না? আছেন কেউ সহযোগিতাকারী?) করেছেন তিনি আমাকে। তিনিই ঠিক। কতদূর পেছনে যাব, তা নিয়ে সংশয় ছিল বলে নামটা নেওয়া হয়নি। আমার প্রথম পোস্ট পড়ে নতুন আরও যারা মন্তব্য করেছেন, তাদেরও ধন্যবাদ। আবু হাসান শাহরিয়ার সম্পর্কিত আমার পোস্ট আশা করেছেন হিমু ভাই। আপাতত সে-চেষ্টাই করছি। আগ্রহীরা আমার ব্লগে চোখ রাখুন।
চাকরিসূত্রে একাধিক জেলায় ঘুরে আমি এখন দিঘির শহর কুমিল্লায়। কাছেই কোটবাড়ি। সেখানে বৌদ্ধবিহার। প্রায়ই যাই। সঙ্গে থাকে জীবনানন্দ দাশ ও আবু হাসান শাহরিয়ারের কবিতার বই। গতকাল 'প্রথম আলা'র ঈদ উপহার সংখ্যায় মুস্তফা জামান আব্বাসীর 'শহর থেকে দূরে' পড়ে তাঁর সঙ্গে নিজের মিল খুঁজে পেলাম। কিছুদিন আগে নুহাস পল্লীতে বেড়াতে গিয়েছিলেন উপমহাদেশ-খ্যাত এই সুরসাধক। ভ্রমণের বর্ণনা দিতে গিয়ে এক জায়গায় লিখেছেন : “শ্যামল পরিবেশে গল্পগুজব করতে, গান শুনতে, কবিতা পড়তে ভালো লাগবেই। আমি সঙ্গে করে এনেছি আসমা (আমার সহচরী) আর দুই নাতি-নাতনিকে। আর 'কবিতার বীজতলা' ও 'শ্রেষ্ঠ কবিতা'- আবু হাসান শাহরিয়ারের। আবু হাসান শাহরিয়ার বাংলা কবিতার একটি বাঁকের নাম। এটি বিশ্বাস করি।”
শুধু কী কবিতার, আমি মনে করি, বাঙলা গদ্যেরও একটি বাঁকের নাম আবু হাসান শাহরিয়ার। যাঁরা তার প্রতিমিডিয়া সিরিজের বইগুলো পড়েছেন, আমার ধারণা, তাদেও অধিকাংশই আমার এ বক্তব্যেও সাথে সহমত প্রকাশ করবেন। আবু হাসান শাহরিয়ারের কৈশোর-তারুণ্যের কিছু সময় কেটেছে কুমিল্লায়। এই শহরে কবির চেনা-পরিচিত ও ভক্তর সংখ্যা অনেক। তাঁর স্কুলজীবনের এক বন্ধুর সঙ্গে আমার হৃদ্যতা আছে। পেশায় চিকিৎসক। তার মুঠোফোনে কবির সাথে আমার দু বার কথা হয়েছে আগে। তেমন কোনও কথা নয়। কুশলবিনিময়মূলক। গতকাল রাতে নিজের মুঠোফোন থেকেও কথা বলেছি প্রায় এক ঘণ্টা। সচলায়তন সম্পর্কে জানতে চাইলে কবি বলেছেন : “কিছুদিন আগে ই-ডাকে তারেক রহিমের একটি চিঠি পেয়েছিলাম। তিনি আমাকে সচলায়তনে তার ব্লগের লিংক জানিয়ে সেটা দেখতে বলেছিলেন। আমার সর্বশেষ কবিতার বই 'তোমাদের কাঁচের শহরে'র কিছু কবিতা ছিল সেখানে। নিচে সচল সদস্যদের চিন্তাশীল মন্তব্য, পাল্টা মন্তব্য ইত্যাদি। আমার জন্য এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা। তারপর নিজের আগ্রহে আরও একবার সময় নিয়ে ঢু মারলে সচলায়তন সম্পর্কে ধারণা পরিস্কার হয়। আমার জন্য বিষয়টা একটু জটিল। হয়তো সেটা আমার স্বভাবের কারণে। বাকিটা অনভিজ্ঞতাজনিত। তবে উদ্যোগটি নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। মননর্চার বৈশ্বিক ক্লাব সচলায়তন; এর প্রত্যেক সদস্যই বিশ্বনাগরিক।” কবির বিখ্যাত পংক্তি 'মিডিয়ায় পাখি নেই মশারাই খ্যাতির শিখরে' কোট করে একটি প্রশ্ন করলে তিনি আরও বলেছেন : “সচলায়তনের সকল সম্ভাবনা আয়োজনটিরা প্রতিমিডিয়া চারিত্র্য বজায় রাখতে পারা না-পারার ওপর নির্ভর করছে।” এ ছাড়াও দারুণ কিছু কথা বলেছেন তিনি অন্য কিছু বিষয়ে। কথাগুলো সচলে দিলে তার আপত্তি আছে কিনা জানতে চেয়েছিলাম। নেই। উল্টো সচলায়তনের জন্য একটি নতুন কবিতাও দিতে চেয়েছেন। ই-মেইলে পাঠানোর কথা। অপেক্ষায় আছি। পেলেই সাক্ষাৎকার এবং নতুন-পুরনো কবিতা একযোগে পোস্ট করব। তার আগে আরও একবার কবির সঙ্গে কথা বলার ইচ্ছে রাখি। দু-একটি নতুন প্রশ্নও করার আছে। আবু হাসান শাহরিয়ারের সঙ্গে ফোনালাপ এবং তার কবিতা নিয়ে নতুন পোস্ট আসছে অমার ব্লগে। এক পর্বে না-কুলোলে দুই বা তিন পর্বে পোস্ট করব। এই মন্ত্যব্য সেই পোস্টের ভূমিকা। তাই দীর্ঘ হল। হিমুদাকে আবারও ধন্যবাদ। তার প্ররোচনাতেই...
.................................................................................
"নোবেল-বুকার নিয়ে এত কেন ফুর্তি করে বোকা পাঠকেরা?/মিডিয়ার উলুবনে সবই যেনতেনপ্রকারেণ।/প্রাচ্যের পদক হাতে স্নানে যায় বনলতা সেন।" -আবু হাসান শাহরিয়ার
____________________________
বন্ধুত্ব মানেই তুমি বিচ্ছেদের চুক্তি মেনে নিলে
[আবু হাসান শাহরিয়ার]
আপনার লেখার বিষয়বস্তুটা চমত্কার । এই ব্যাপারটি নিয়ে আরও ভাবার এবং আলোচনার প্রয়োজন আছে ।
যে ভ্যান গঁগ জীবিত থাকতে না খেয়ে দিন পার করেছেন, আজ তার সেইসব " তথাকথিত" ট্র্যাশ ছবি গুলোর দাম অর্থ দিয়ে বিচার করা যায় না । এক কথায় অমূল্য । কবি রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ এই ক্ষেত্রে আরেকজন । বেঁচে থাকতে যাকে আমরা ঠিক ভাবে চিনে নিতে পারিনি । এমন উদাহরণ আছেন অসংখ্য...
আমরা বেঁচে থাকতে মূল্যায়ন করতে পারি না , নাকি... চাই না...
কে জানে ?
--------------------------------------------------------
কারা যেন চলে গেছে দূরে...বহুদূরে..আর ফিরবে না জানি । কোন কারন ছাড়াই , কোন যুক্তি ছাড়াই চুপচাপ হয়ে গেছে সারিবদ্ধ প্রাণ গুলো । জানি , আমাকেও আসতে হবে এই বিষন্ন নগরীতে..একদিন.. কোনদিন --মলাগোফরুমা
---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন
রূপক , আপনার এই পোস্টের জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি , আর অপেক্ষা করছি শাহরিয়ার ভাই'র উপর লেখা আপনার পোস্টের জন্য ।
বাংলা কবিতার এক বাঁক ঘুরিয়ে দিয়েছেন কি, দেন নি; সে তর্কে অবসান সমকালে না হয় নাই হলো , ভাবীকাল আবু হাসান শাহরিয়ারকে বাংলা কবিতার সম্মানিত স্থানেই রাখবে বলে মনে হয় ।
ব্যক্তিগত ভাবে অনেক ঋণ আমার এই গুনী মানুষটার প্রতি । ছোট কাগজে টুকটাক লেখালেখি করার পর, আমার সব চেয়ে বেশী কবিতা প্রকাশ হয়েছে তাঁর হাত দিয়েই ! ( আমার মতে ) আহসান হাবীবের পর আমাদের সব চেয়ে গুনী সম্পাদক লাভলু ভাই তখন দুই বাংলায় তোলপাড় তুলে দেয়া মুক্তকন্ঠ' র খোলা জানালা সম্পাদনা করেন । আমার মতো আর ও অনেক মফঃস্বলবাসী, একেবারে আনকোরা তরুণদের কবিতা নিয়ে, এমন কি বের করেছিলেন - বর্ষার তরুণ কবিতা নামের বিশেষ এক সংখ্যাও । জাতীয় পত্রিকার সাময়িকী তো দূর,যাদের অনেকের নামই তখনো পৌছে নি, ঢাকার কথিত খান্দানি আড্ডায় !
এদের অনেকেই এখন নিজের কবিতা দিয়ে মাতাচ্ছেন নুতন দশকের মাঠ !
তরুণদের প্রতি, প্রান্তের প্রতি, রাজধানীর সাহিত্য-মোড়লদের দ্বারা ব্রাত্য হয়ে পড়াদের প্রতি, কিংবা অ-প্রতিষ্টিতদের কি অ-প্রাতিষ্টানিকতার প্রতি শাহরিয়ার ভাইয়ের এই পক্ষপাতিত্ব তাঁর জহুরি দৃষ্টির কথা জানান দিয়েছে সবসময় । তাই তাঁর সম্পাদিত খোলা জানালা বড়কাগজগুলোর বেনিয়াবৃত্তি না নিয়ে,চরিত্রে হয়ে উঠেছিলো অনেকটা ছোট কাগজের মতোই ।
আপনার লেখার অপেক্ষা আর আপনাকে স্বাগতম জানাচ্ছি। আর ভাবছি , এমনই আরেক গুনী, শক্তিমান গল্পকার আকমল হোসেন নিপু কে নিয়ে একটা লেখা আমার ও তৈরী করা উচিত । ঠিক তো, মরণে ফুল দিয়ে কি লাভ !
ভালো থাকুন ।
---------------------------------------------------------
'...এইসব লিখি আর নাই লিখি অধিক
পাতার তবু তো প্রবাহেরই প্রতিক...'
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
উৎসাহ দেবার জন্য নিঝুম দা ও সুমন দাকে ধন্যবাদ । কবির সঙ্গে আজ আবারও কথা হয়েছে। আমাদের আলাপচারিতা ব্লগে দেওয়ার ব্যাপারে তিনি আপত্তি করেননি। কিন্তু প্রকাশের আগে তাকে দেখিয়ে নেওয়ার কথা বলেছেন। ইন্টারভিউ খুব বড় নয়; কিন্তু ইন্টারেস্টিং হয়েছে। কম্পোজ শেষ করে এই মাত্র কবিকে অ্যাটাচড্ ফাইলযোগে ই-মেইল করেছি। বললেন তো, চোখ বুলিয়ে আজ রাতেই ফেরত পাঠাবেন। সঙ্গে একটি নতুন কবিতাও দেবেন। ইন্টারভিউটা ছেঁটেছুঁটে কমিয়ে দেন কিনা সেই ভয়ে আছি। সে ক্ষেত্রে আমার কিছু করার নেই। বরং এই ফাঁকে তাঁর কিছু কবিতা কম্পোজ করা যাক। আজ সারাদিন এই ব্যস্ততার মধ্যেই আছি। তবে ব্যস্ততাটি খুবই রোমাঞ্চকর।
____________________________
যেতে চাও যাবে
আকাশও দিগন্তে বাঁধা; কোথায় পালাবে?
.....আবু হাসান শাহরিয়ার
____________________________
বন্ধুত্ব মানেই তুমি বিচ্ছেদের চুক্তি মেনে নিলে
[আবু হাসান শাহরিয়ার]
নতুন মন্তব্য করুন