কবি তুষার রায়ের মগ্নতার কথা অনেকেরই জানা। কবিতার খাতায় মগ্ন হতে পেরেছিলেন বলে প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'ব্যান্ডমাষ্টার' দিয়েই পাঠককে কাছে টানতে পেরেছিলেন। আবার মেয়েটির উপস্থিতবুদ্ধিরও প্রশংসা করতে হয়। কোন মেয়েটির? তুষার রায়ের 'মেয়েটির বুদ্ধি সম্পর্কে' নামের কবিতার সেই মেয়েটির।
তুষার রায় মানে তুষার রায়। জন্ম ১৯৩৫, মৃত্যু ১৯৭৭। প্রথম কাব্যগন্থ 'ব্যান্ডমাস্টার'এর আগেও তিনটি বই বেরিয়েছিল তাঁর : একটি গদ্যের (শেষনৌকা), একটি ছড়ার ((গাঁটছড়া), একটি গল্পের (এক্সপেরিমেন্ট)। 'ব্যান্ডমাস্টার'এর পর দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ 'মরুভূমির আকাশে তারা'। 'মেয়েটির বুদ্ধি সম্পর্কে' কবিতাটি কবির মৃত্যুর পর অপ্রকাশিত পাণ্ডুলিপির মধ্যে পাওয়া গিয়েছিল :
সে মেয়েটি কাছে এসে বলেছিল
নগ্ন হও,--
তাই শুনে কবি আমি মগ্ন হয়ে গেছি
বিরক্ত সে মেয়ে দেখি তত্ ক্ষণাত্
ছুটে গিয়ে রথীন ও নিমাইকে বলেছিলো
মগ্ন হতে
তাই শুনে হাঃ হাঃ হাঃ ওরা নগ্ন হয়ে দ্যাখো
বসে গেছে পারস্যপ্রথায়
বিশেষ দ্রষ্টব্য : হাঃ হাঃ হাঃ, লিখতে পারি না বলে কবি আবু হাসান শাহরিয়ারের সাথে মুঠোফোনিক আলাপচারিতা এবং তাঁর কবিতা দিয়ে পোস্ট সাজাই। কবি তুষার রায়ের কবিতা দিয়ে পোস্টের সংখ্যাবৃদ্ধি করি। আমি যে কবি বা লেখক হতে আসিনি, সে কথা জানি। আমার মতো অনেকে আছেন, যারা জানেন না যে, তারাও কবি বা লেখক হতে আসেননি। তবু লিখে যান অবিরত। কেন লেখেন, সেই গল্পও পাঠককে শোনান। বলতে-বলতে তারা এতটাই আত্মপর হয়ে ওঠেন যে, জানেনই না, শ্রোতাহীন বকে যাচ্ছেন, পাঠকহীন লিখে যাচ্ছেন তারা। তবু অনবরত বকেই যান আর লিখেই যান। অনবরত। অনবরত। কবিতাকে সঙ্গে নিয়ে, কবিতার মগ্ন পাঠককে সঙ্গে নিয়ে, ভাষা তখনও আপন গতিতে এগিয়ে যায়। যেমন সে চিরকাল গিয়েছে।
মন্তব্য
তো, কেউ একজন যদি লিখেন তাঁর লেখালেখির গল্প, তাতে সমস্যা কোথায়? যাঁর পছন্দ তিনি পড়বেন, যাঁর পছন্দ নয় তিনি পড়বেন না। খেল খতম। নয় কি?
আচ্ছা জনাব রূপক কর্মকার, আমার মনে একটা ছেলেমানুষি প্রশ্ন জাগছে, আপনি কি পণ করেছেন যে, কোনো-না-কোনোভাবে আবু হাসান শাহরিয়ারের নাম ব্যবহার না করে কোনো পোস্ট বা কমেন্টই করবেন না সচলায়তনে? পাঠক হিসেবে আমার তো ইতোমধ্যে কেমন কেমন লাগতে শুরু করেছে, লেখক হিসেবে আপনার কি লাগছে না?
মোটামুটি মগ্ন হয়ে আমি তো এখানে নগ্নতারই এক ধরনের সংজ্ঞা খুঁজে পাচ্ছি।
................................................................
তোমার হাতে রয়েছি যেটুকু আমি, আমার পকেটে আমি আছি যতটা, একদিন মনে হবে এটুকুই আমি, বাকি কিছু আমি নই আমার করুণ ছায়া
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
আমারও একই জিজ্ঞাস্য।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
পরিষ্কার কাদা ছোঁড়াছুড়ি দেখতে পাচ্ছি। এই চর্চাটা সচলায়তনে সচেতনভাবে এড়িয়ে চলা হয়। লেখার আনন্দে লিখুন। আরেকজন কি করছে না করছে সে বিষয় নিয়ে এরকম নগ্ন প্রকাশ স্বাস্থ্যকর নয়।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
তুষার রায়ের অপূর্ব একটি কবিতা পড়ানোর জন্য রূপক কর্মকারকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার উপস্থাপনার ঢংটিও আগাগোড়া শৈল্পিক।
মুজিব মেহদীর ক্ষোভের কারণ তো বুঝলাম না। তাঁর কথা দিয়েই তাঁকে বলা যায়- কেউ একজন যদি তাঁর প্রিয় কবির নাম বার বার আনেন, তাতে মুজিব মেহদীর কী? পছন্দ হলে পড়বেন, না-হলে পড়বেন না, খেল খতম! পাঠক হিসেবে আমারও তো কেমন কেমন লাগতে শুরু করেছে। সচলায়তন কি শুধু মুজিব মেহদীর একার পোস্ট লেখার জায়গা? তাছাড়া কবি আবু হাসান শাহরিয়ার সেই উচ্চতায় পৌঁছৈছেন, যিনি বার বার প্রসঙ্গ হতে পারেন।
কোনও সচল এমন ধমকের ভঙ্গিতে অন্য সচলের পোস্ট নিয়ে মন্তব্য করতে পারেন, এটা এই প্রথম জানলাম। যাকে নিয়ে পোস্ট, সেই তুষার রায় সম্পর্কে এক লাইন কমেন্ট নেই, অথচ... । নগ্ন কাকে বলব?
*******************************
'ফুল ফুটুক না ফুটুক আজ বসন্ত'
-সুভাষ মুখোপাধ্যায়
*******************************
'ফুল ফুটুক না ফুটুক আজ বসন্ত'
-সুভাষ মুখোপাধ্যায়
এখানে উচ্চতামাপক যন্ত্র হিসেবে ঠিক কী কী ব্যবহৃত হয়েছে? মানে এই গবেষণার মেথোডলজি কী ছিল?
আমি থই পাচ্ছি না বিশেষ, কারণ--
আমি তো পাখির উচ্চতা মেপেছি চিরকাল আকাশের বাটখারা দিয়ে
এই পোস্ট তুষার রায় সম্পর্কে ছিল তা পাগলেও মানবে না। যেখানে যে কমেন্ট প্রযোজ্য সেখানে কি তাই করা সঙ্গত নয়?
................................................................
তোমার হাতে রয়েছি যেটুকু আমি, আমার পকেটে আমি আছি যতটা, একদিন মনে হবে এটুকুই আমি, বাকি কিছু আমি নই আমার করুণ ছায়া
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
মুজিব ভাই, আপনার মনে ছেলেমানুষি প্রশ্ন জাগলেও আমি আমার প্রিয় কবির কথা বলবই। আপনার কেমন-কেমন লাগলেও আমি অন্য আরও প্রিয় কবি-লেখকের কথা বলব। যেমন এই পোস্টে তুষার রায়ের কবিতার কথা বলেছি। জেন গল্প রূপান্তর করছেন, মাথা এত গরম করলে কি হয়? যেহেতু আপনার কেমন-কেমন লাগছে, আবারও আবু হাসান শাহরিয়ারের কবিতার দুটি লাইন কোট করি :
বটের উচ্চতা আমি আগাছার হিংসা দিয়ে মাপি
মাঠের সাফল্য বুঝি, কৃপণের মুখের কুলুপে
আরেকটা কথা। 'ছেলেমানুষি প্রশ্ন ' আর 'কেমন কেমন লাগা' দিয়ে কারও সম্পর্কে অশোভন উক্তি করলে নিজেই বিপদে পড়তে পারেন। এরপর কোনও বক্তব্য থাকলে যুক্তিসহ আসবেন। আমি কাদা ছোঁড়াছুড়ি পছন্দ করি না। তবে সুস্থ তর্ক ভালবাসি।
____________________________
বন্ধুত্ব মানেই তুমি বিচ্ছেদের চুক্তি মেনে নিলে
[আবু হাসান শাহরিয়ার]
____________________________
বন্ধুত্ব মানেই তুমি বিচ্ছেদের চুক্তি মেনে নিলে
[আবু হাসান শাহরিয়ার]
এটাকে কি হুমকি হিসেবে দেখব? (এই বক্তব্যের যুক্তি আপনার মন্তব্যে দেখুন)
................................................................
তোমার হাতে রয়েছি যেটুকু আমি, আমার পকেটে আমি আছি যতটা, একদিন মনে হবে এটুকুই আমি, বাকি কিছু আমি নই আমার করুণ ছায়া
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
প্রিয় রুপক কর্মকার
তুষার রায়ের নাম আমি জানতামনা।
কবিতা বিষয়ে আমি কম থেকেও কম জানি।
ভালো লেগেছিল তার কবিতা পড়তে গিয়ে।
কিন্তু শেষে এসে মনে হলো
তুষার রায় আসলে উপলক্ষ্য। লক্ষ্য খুব মহত নয়।
সুপ্তি
বুঝতে পারছিনা মুজিব মেহদী ক্ষোভ কোথায় দেখালেন।
তিনি একটা প্রশ্ন করেছেন। সত্যি কথা বলতে কি
লেখাটা পড়তে গিয়ে আমি নিজেও তাই ভাবছিলাম।
প্রশ্ন করে কি তিনি খুব অন্যায় করে ফেলেছেন?
লেখায় যদি কোন অসংগতি পেয়ে থাকেন কেউ
অন্য বিদ্রুপাত্নক লেখা না দিয়ে সেই লেখায়ই সমালোচনা করা
শোভন নয় কি?
আর মুজিব মেহদীর কোন কথায় আপনার মনে হলো
সচলকে তিনি একার লেখার জায়গা হিসেবে রাখতে চাইছেন?
"কোনও সচল এমন ধমকের ভঙ্গিতে অন্য সচলের পোস্ট নিয়ে মন্তব্য করতে পারেন, এটা এই প্রথম জানলাম। যাকে নিয়ে পোস্ট, সেই তুষার রায় সম্পর্কে এক লাইন কমেন্ট নেই, অথচ... । নগ্ন কাকে বলব?"
দুঃখীত সূপ্তি।
সচলের সংস্কৃতি নিয়ে আপনি একধরেনর আবেগ তৈরীর চেষ্টা চালিয়েছেন এবং বিনয়ের সাথে জানাচ্ছি, আপনার মন্তব্যই বরং সচল সংস্কৃতির বিরুদ্ধে যায়।
মডারেটরগণ
গত দুদিন তিনদিনে দুটো বিতর্কিত লেখা চোখে প্ড়লো।
সচল কি তার নীতি থেকে সরে আসছে?
লেখা প্রকাশের ব্যাপারে আরেকটু সাবধানতা
অবলম্বন করা যায় কি?
পলাশ দত্তের লেখায় মুজিব মেহদী যথেষ্ট কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছেন। পলাশের তাহলে কী করা উচিত ছিল
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
রানা, লেখায় বিতর্কের আভাস থাকলে তো সমস্যা দেখি না। কুতর্কের সূত্রপাত থাকলেই যত গোল। তবে সচলায়তন তার নীতি থেকে সরে আসেনি, লেখা প্রকাশের ব্যাপারেও সাবধানতাই অবলম্বিত হচ্ছে দেখতে পাচ্ছি। তবে বেশ উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হচ্ছে দেখতে পাচ্ছি, সকলের হাতেই খড়্গ। পৈত্রিক প্রাণটি আরো গহীনতর জেবে ঢুকিয়ে কিছু কথা বলি বরং।
রূপকদা, আপনার গত কয়েকদিনের মন্তব্য পড়ে মনে হলো, আপনি পলাশ দত্তের কবিতা নিয়ে ঠিক স্বস্তিবোধ করছেন না। কথাটার ওপর থেকে মধুর প্রলেপ এক আস্তর কমিয়ে বলা যেতে পারে, আমার কাছে মনে হয়েছে আপনি তার কবিতার প্রতি বিতৃষ্ণা প্রকাশে বেশ উৎসুক।
যতদূর মনে হচ্ছে, পলাশ দত্ত তাঁর ও সচলায়তনের সমাপতিত আয়ুর আরো খানিকটা কবিতা লিখে যাবেন। আপনি যদি প্রতি পদেই তাঁর প্রতি মাণিক্যখচিত বিদ্রুপবান হেনে যান, আপনার ব্লগটিও পলাশঘাতীবাণজর্জরিত সজারুর মতোই দেখাবে।
মূলধারা বা ছোটকাগজের চর্চার সাথে আমি পরিচিত নই, ব্লগে আমরা চাইলেই ভালো লাগে না এমন লেখা না পড়ে এড়িয়ে যেতে পারি। নিতান্তই প্রতিবাদ না জানালেই নয়, এমন পরিস্থিতি যে আসে না, এমনটি নয়, কিন্তু তার পর্যায়কালও দীর্ঘ। আপনি কবিতা নিয়ে ভাবেন, সে ভাবনার কথা আমাদের জানান। পলাশ দত্তকে আঘাত না করেও তুষার রায়ের কথা আপনি আমাদের জানাতে পারেন। নিতান্তই যদি পলাশহননের ব্রত নিয়ে না নেমে থাকেন, আপনার কাছ থেকে কবিতাখন্ডের অনেক কাহিনীই আমাদের শোনার আছে বলে মনে করি।
হাঁটুপানির জলদস্যু
রানা মেহের,
সচলায়তন নীতি থেকে সরে আসেনি। কিন্তু পুরোপুরি সাইলেন্ট মডারেশনের বদলে কিছু কিছু লেখা বা মন্তব্য প্রকাশ করাই উচিৎ বলে প্রতীয়মান হয়েছে। এতে করে সচলেরা বুঝতে পারবেন কোন কোন সিদ্ধান্ত কেন আনএভয়ডেবল থাকে।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আবারও বলছি, রূপক কর্মকারের 'নগ্নতা ও মগ্নতা'পোস্টটি আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে। কবি তুষার রায়ের কবিতাটি ঋদ্ধ করেছে সচলায়তনকে। যে-ধরনের তর্ক এড়িয়ে চলার শিক্ষা আমি আমার সারাজীবনের পাঠচর্চায় এবং বিশদ বাঙলায় পেয়েছি, রানা মেহের সে ধরনের তর্ক তোলায় তার সঙ্গে বিতর্কে যাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখছি।
এখনও আমি আগের বক্তব্যেই স্থির আছি। আমার তো মনে হয়, রূপক কর্মকার নন, মুজিব মেহদীই ব্যক্তিগত আক্রমণ শুরু করেছেন "আপনি কি পণ করেছেন যে..." বা "মোটামুটি মগ্ন হয়ে আমি তো এখানে নগ্নতারই এক ধরনের সংজ্ঞা খুঁজে পাচ্ছি" ইত্যাদি কথা বলে। কই, আমার তো একবারও এমন মনে হয়নি! রূপক কর্মকার সিগনেচারে কবি আবু হাসান শাহরিয়ারের কবিতা ব্যবহার করেন বলেই কি এমন ধারণা মুজিব মেহদীর? তার কাছে কি এর সঠিক পরিসংখ্যান আছে? মানে, কটি পোস্টে আর কটি মন্তব্যে এই 'পণ'? আমিও তো সিগনেচারে কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের কবিতা রেখেছি। এটাও কি 'পণ'? উত্তরসূচক মন্তব্যে রূপক কর্মকারের মন্তব্যটিকে বরং তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি নান্দনিক বলে মনে হয়েছে আমার কাছে। সুস্থ তর্কের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। সংস্কৃতিবিকাশের পূর্বশর্ত সুস্থতর্ক। না-থাকলেই কূপমণ্ডুকতা। কোনো সচলই বোধকরি সেটা চান না।
সচল কর্তৃপক্ষের কাছে রানা মেহেরের মতো আমার কোনও অনুরোধ নেই। শুধু এতটুকুই জানি, ভালো না-লাগলে 'সচলায়তন' পড়ব না, 'সচলায়তনে' কথা বলতেও আসব না। পৃথিবীতে দেখবার জিনিস অনেক আছে। যাদের লেখার টানে সচল পড়ি, তাদের লেখা বই হয়ে বেরুনো পর্যন্ত অপেক্ষা করার ধৈর্যও আমার আছে।
এ সংক্রান্ত আমার বক্তব্য এখানেই শেষ। কারও মনে কষ্ট দিয়ে থাকলে আমি বিনীতভাবে ক্ষমাপ্রার্থী। আমার পাঠরুচি আমাকে এ শিক্ষাও দিয়েছে।
*******************************
'ফুল ফুটুক না ফুটুক আজ বসন্ত'
-সুভাষ মুখোপাধ্যায়
*******************************
'ফুল ফুটুক না ফুটুক আজ বসন্ত'
-সুভাষ মুখোপাধ্যায়
মুজিব ভাইকে বলছি, কীভাবে দেখবেন, সেটা একান্তই আপনার ব্যক্তিগত অভিরুচির উপর নির্ভর করছে।
যে ভাবে দেখছেন, আমি সেইভাবে বলিনি। আমার অভিধানে 'হুমকি' শব্দটা আছে, কিন্তু অভিরুচিতে নেই। তবে আপনার অভিরচিতে 'তর্ক'র প্রতিশব্দ যদি 'হুমকি'হয়ে থাকে, চুপ থাকাকেই শ্রেয় মনে করি।
____________________________
বন্ধুত্ব মানেই তুমি বিচ্ছেদের চুক্তি মেনে নিলে
[আবু হাসান শাহরিয়ার]
____________________________
বন্ধুত্ব মানেই তুমি বিচ্ছেদের চুক্তি মেনে নিলে
[আবু হাসান শাহরিয়ার]
জানা থাকল।
................................................................
তোমার হাতে রয়েছি যেটুকু আমি, আমার পকেটে আমি আছি যতটা, একদিন মনে হবে এটুকুই আমি, বাকি কিছু আমি নই আমার করুণ ছায়া
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
যারা শ্রোতাহীন বকবক করছেন বা পাঠকহীন লিখে চলেছেন তবু তো তারা নিজেদের লেখাটাই লিখছেন, অন্তত চেষ্টা করছেন। তাদেরকে স্যালুট জানাই।
অন্যের তল্পি বহনের চেয়ে এটা বরঞ্চ ভালো।
আর পাঠকহীন লিখে চলা আর শ্রোতাহীন বকবক বলতে আপনি কি বোঝাতে চেয়েছেন বুঝলাম না... সব পাঠকের দায় আপনি একাই নিলেন? নাকি ভাবছেন এখানে শুধু আপনি একাই পড়বেন আর কাউকে পড়তে দেবেন না?
সুপ্তি...
কাউকে সরাসরি আক্রমণ করে যে পোস্ট তার উপস্থাপনার ঢং আপনার কাছে শৈল্পিক লাগে, এবং সেই আপনি পাঠরুচির দোহাই দেন পদে পদে?
কেম্নে কি?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
রূপক কর্মকারের আবু হাসান শাহরিয়ারকে নিয়ে লেখা আর সুপ্তির সচলায়তনে আগমন বিষয়ে লেখা পোস্টদুটো পড়ে আরো দুজন ভালো লিখিয়ে সচলায়তনে যোগ দিতে যাচ্ছেন ভেবে খুব খুশী হয়েছিলাম। কিন্তু .........
কবিতা বেশী পড়া হয় না বলে পলাশ দত্তের কবিতা এবং তাতে রূপক কর্মকারের মন্তব্য আগে পড়িনি। হিমুর মন্তব্যের সুত্র ধরে ওই মন্তব্য দেখে আমি স্তম্ভিত!! "আপনার কবিতা তো পড়া যায় না" - এমন রূঢ় একটা কথা ব্যক্তিগত আক্রমণ নাকি নৈর্ব্যক্তিক শিল্প সমালোচনা আমি জানি না - আমার শিল্পজ্ঞান বা নান্দনিক দৃষ্টিভঙ্গি ততোটা ঋদ্ধ নয় - তবে খুব পরিণত কোন বক্তব্য যে নয়, এটুকু বলতে পারি।
আমার মনে হয় রূপক এবং সুপ্তি দুজনেরই সচলায়তনকে দেবার মতো অনেক কিছুই আছে। এবং সচলায়তন থেকে পাবারও অনেক কিছু আছে। তাই আসুন, সুললিত বাংলার ঢাল তলোয়ার নিয়ে অহং যুদ্ধে না নেমে, আমরা সবাইই আরো আরো লিখি এবং পড়ি।
এইখানে রূপক কর্মকারের আর কিছু দেবার আছে বলে আমি মনে করি না। কবিতার পাঠক মাত্রই আবু হাসান শাহরিয়ার পড়ে থাকেন। এর জন্য রূপক কর্মকারের ব্লগে ধর্ণা দেওয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না।
আর সুপ্তির কি দেওয়ার আছে তা এখনো জানি না। লেখা পড়ি আগে দুচারটা...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ভেবেছিলাম, এই তর্কে আর জড়াব না নিজেকে। তর্ক নয়, হিমু ও স্নিগ্ধা র সঙ্গে কিছুটা একমত হয়েই কিছু বলার চেষ্টা করছি। দুজনেই ভালো বলেছেন। হিমুর ব্লগ অনুসরণ করে পলাশ দত্তর ব্লগে গিয়ে যে-মন্তব্যটিতে স্নিগ্ধা আহত হয়েছেন, সে-ধরনের মন্তব্য থেকে আমিও রূপক কর্মকারকে বিরত থাকতে অনুরোধ করবো। কিন্তু তারচেয়েও একটি বাজে মন্তব্য আমার চোখে পড়েছে মাশার বালজাক সংক্রান্ত লেখার নিচে, যেটি করেছেন, পলাশ দত্ত। মাশাকে তিনি বলেছেন,"আপনি তো ভারি বদ লোক'। তার নিচে রূপক কর্মকারেরও একটি মন্তব্য আছে। যদিও সেটাকেও আমি সমর্থন করি না; তবে তা বুদ্ধিদীপ্ত। পলাশ দত্তর কথাই পলাশ দত্তকে ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি। স্নিগ্ধাকে মাশার পোস্টটিতেও যেতে বলি। পলাশ দত্ত তো রূপক কর্মকারের চেয়ে পুরনো সদস্য। সম্ভবত তাঁর কাছ থেকেই রূঢ় মন্তব্যের পাঠটি নিয়েছেন রূপক। আর ভাই নজরুল, রূপক কর্মকার 'অন্যের তল্পিবাহক' না হলে কবি আবু হাসান শাহরিয়ারের একটি নতুন কবিতা আর অত সুন্দর সাক্ষাতকারটি তো আমরা পেতাম না। তুষার রায়ের কবিতাটিও আমার অন্তত অজানা থেকে যেত। আমার পাঠরুচি এত সহজেই কাউকে অন্যের 'তল্পিবাহক' বলতে শেখায় না। তাহলে তো অনেক ভক্ত-পাঠককেই অনেক কবি-লেখকের তল্পিবাহক বলতে হয়। আপনার মন্তব্যটিও কি একটু রূঢ় হয়ে গেল না?
আমার পোস্টেও একটি মন্তব্য করেছেন রূপক কর্মকার। সেখানে মুজিব মেহদীর অভিযোগের সত্যতা মেলেনি।
আসুন না, সবাই শান্ত হই।
*******************************
'ফুল ফুটুক না ফুটুক আজ বসন্ত'
-সুভাষ মুখোপাধ্যায়
*******************************
'ফুল ফুটুক না ফুটুক আজ বসন্ত'
-সুভাষ মুখোপাধ্যায়
রূপক কর্মকার আবু হাসান শাহরিয়ারের সাক্ষাত্কার এবং কবিতা নিয়েছেন তার জন্য আমি তাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই, এবং জানিয়েছি।
কিন্তু আবু হাসান শাহরিয়ার ছাড়া বাকি সবাইকে তিনি অবজ্ঞা করবেন এটাকে মেনে নিতে পারি না। সবচেয়ে বড় কথা তিনি নিজের মন্তব্য সচলায়তনের সব পাঠকের ঘাড়ে চাপিয়ে দিতে পারেন কি?
আপনার পাঠরূচি নিয়ে দারুণ কৌতুহল রইলো...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
মাশা'র প্রতি পলাশ দত্ত' র এই মন্তব্যকেই কি দায়ী করা হয়েছে? পুরো পোষ্ট এখানে
উক্ত মন্তব্য এবং পরবর্তীতে মাশা, পলাশ দত্ত'র আলাপচারীতা থেকে এটাকে কোনভাবেই খোঁচাখুচিমুলক মনে হয়না বরং বেশ হৃদ্যতাপূর্ন ।
সুপ্তী হয় বুঝতে ভুল করেছেন না হয় এটা হুদাহুদিই একটা ঝামেলা লাগানো অপচেষ্টা । ভরসা রাখছি দ্বিতীয় আশংকাটি অমুলক ।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
ভাই নজরুল, আমি কবিতাপ্রেমী পাঠক। ভালো কবিতার, কবিতার প্রিয় পংক্তির তল্পিবহন করায় কোনও গ্লানিবোধ নেই আমার। আপনার সংগ্রহের খবর রাখি না, আমার সংগ্রহে মুজিব মেহদী ভাইয়ের 'মমি উপত্যকা' কাব্যগ্রন্থটিও আছে। সে বইয়ের 'বিশেষ বর্তনকলা' আমার একটি প্রিয় কবিতা। তার কয়েকটি প্রিয় পংক্তি কোট করে মেহদী ভাইয়ের সব মন্তব্যের জবাব দিলে আমি যদি অন্য কোনও কবির গাত্রদাহের কারণ কিংবা আপনার কাছে 'তল্পিবাহক' প্রতীয়মান হই, আমার কিচ্ছু যায় আসে না :
ক্রোধের পর্বত হয়ে সটান দাঁড়িয়ে আছে তপ্ত মনোভাব।
.......
অরণ্য বা গৃহ যেখানেই হোক
যত দ্রুত যাওয়া চলে অভিমান থেকে
তত দ্রুত ক্রোধ থেকে নয়
বোন স্নিগ্ধা, পলাশ দত্তর কবিতা আমার বিরক্তি উত্পাদন করে। করলেও তা বলা যাবে না, এটা কেমন কথা?
হিমুদা ও বোন সুপ্তি, আপনাদের সুপরামর্শের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
____________________________
বন্ধুত্ব মানেই তুমি বিচ্ছেদের চুক্তি মেনে নিলে
[আবু হাসান শাহরিয়ার]
____________________________
বন্ধুত্ব মানেই তুমি বিচ্ছেদের চুক্তি মেনে নিলে
[আবু হাসান শাহরিয়ার]
আপনার কবিতা প্রেমকে শ্রদ্ধা জানাই। আপনি এই বিষয়ে অনেক জানেন... সেই তুলনায় আমি অনেক মূর্খ... কবিতা কিছুই বুঝি না... কবিতা পড়ছিও জীবনে খুব কম ।
তাই নিয়ে আমার বড়াই করার প্রশ্নই আসে না। আমার আপত্তির মূল জায়গাটা ক্লিয়ার করি-
১. আপনি কারো লেখা না-ই পছন্দ করতে পারেন, কিন্তু সেজন্য আপনি বলতে পারেন না যে তার লেখা কেউ পড়ে না তবু সে বকবক করেই যায়, অহেতুক লিখেই যায়। আপনি কোন জড়িপের ফলে এটা জানলেন? শুধু নিজস্ব মতামতটা আপনি অন্য পাঠকের ঘাড়ে চাপাতে চেষ্টা করেছেন তাতেই আমার আপত্তি।
২. আবু হাসান শাহরিয়ার আপনার প্রিয় কবি, এতে কোনো সমস্যা নেই... কিন্তু যদি ভাবতে শুরু করেন উনার ইজারা আপনি নিয়েছেন তাহলে আমার আপত্তি আছে। এতে তাকে সন্মান করা হয় না, তাকে অসন্মানই করা হয় বলে আমার ধারণা।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নিজের খাদ্যরুচি সম্পর্কে আমার ধারণা অতি উচ্চ। তার পরেও কারুর বাসায় অতি বাজে খাদ্য খেয়েও "আপনার এই রান্না খেতে আমি আর আসবো না" বলার রুচি আমার কখনওই হবে না।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
শুইনা খুব ভাল্লাগলো
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
তুষার রায় বিষয়ে ধান ভানতে শিবের গীত শুনে মুজিব মেহদির আশংকার সাথে আমার আশংকাও মিলে যায়।
---------------------------------------------------------
আমরা যারা শিখিনি চাষবাস,ফসলের গীত
গুলালিতে পাখি হত্যা
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
মাশা আর পলাশ দত্ত'র আলাপচারিতায় দোষের কিছু দেখি নাই। অন্তত মাশা নিজে যেহেতু আপত্তি জানায় নাই।
এখানে একটা কথা বলা প্রয়োজন... ধরা যাক আজকে হাসান মোরশেদ যদি আমাকে বলে- আপনেরে মাইর দেওয়া দরকার... সেইটা পইড়া আমি কিন্তু রাগ করুম না, মজাই পামু। কারন এতদিনের ব্লগাভিজ্ঞতায় হাসান মোরশেদের সাথে আমার এই সম্পর্কটা তৈরি হইছে বইলা ধারণা করি। এখন অন্য কেউ এসে যদি বলে না হাসান মোরশেদ এইটা ক্যান বললো? এইটা তো পাব্লিক ফোরামে বলা উচিত না... তারেই উল্টা মাইর দেওন দরকার। তাইলে তো ভাই মহা বিপদ।
সুপ্তি ভুল বুঝছে বইলাই ধারণা করি... আমিও মনে করি দ্বিতীয় অংশটা অমূলক।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এই পোস্টটিতে বেনামী অতিথিদের বেশ কিছু আক্রমণাত্মক মন্তব্য মডারেট করতে হয়েছে। সম্ভবত সেই অতিথিরা আইপি এড্রেস- ব্যাপারটির সাথে পরিচিত নন, নইলে তারা জানতেন ইন্টারনেটে নাম লুকালেই পরিচয় গোপন করা যায় না।
আইপি এড্রেস মিলিয়ে দেখা গেছে অতিথি এবং এই পোস্টে মন্তব্যকারী দুজন "অতিথি সচল" আসলে একই ব্যক্তি।
তিনরকম পরিচয় নিয়ে আমাদেরকে বিভ্রান্ত করার ব্যাপারে ব্যাখ্যা না জানা পর্যন্ত সংশ্লিষ্টদের সচলায়তনে যে কোন প্রকারের অংশগ্রহণের সুযোগ রহিত করা হলো।
সবাইকে ধন্যবাদ।
contact@sachalayatan.com
______________________________
সচলায়তন.COM কর্তৃপক্ষ
_________________________________
সচলায়তন.COM কর্তৃপক্ষ
মাঝরাতে এসেছিল কে হে
পৃথিবীতে নেমে
আমরা যাকে দেখাই নি সম্মান
সে কি ছিল ঈশ্বর স্বয়ং
নাকি তাঁর নিয়োজিত অগ্নিকায়া দূত
চোখ বন্ধ করে ভাবি, ভাবতেই থাকি
ঘুম আসে না, ঘুম আসে না
গজবের ভয়ে
................................................................
তোমার হাতে রয়েছি যেটুকু আমি, আমার পকেটে আমি আছি যতটা, একদিন মনে হবে এটুকুই আমি, বাকি কিছু আমি নই আমার করুণ ছায়া
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
ভালো বলছেন...
ভাবতেছি...
আমার আবার
ঘুম ভালো আসে।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এইটা মিস হইসিলো কেম্নে জানি... শাব্বাস নজু ভাই... এই প্রথম আপনেরে গরম দেখলাম... ভাল্লাগ্লো...
কোন্টা ভালো... গরম না ঠাণ্ডা?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
রূপক কর্মকারের শাহরিয়ার প্রজেক্ট নিয়ে আমার ভাষ্যটি পড়ুন বিদ্যাকূটে।
নতুন মন্তব্য করুন