আমার সিনেমা দর্শন

সাবিহ ওমর এর ছবি
লিখেছেন সাবিহ ওমর [অতিথি] (তারিখ: রবি, ২৪/০১/২০১০ - ৭:৪৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রথমেই বলে রাখি, 'দর্শন' বলতে আমি 'ফিলোসফি' বুঝাচ্ছিনা, 'দেখা' বুঝাচ্ছি। ওই যে চোখের আলোয় দেখেছিলেম, সেই দেখা, অন্তরে আজ দেখবো টাইপের দেখা না। (অফ-টপিকঃ এইখান থেকে বলা যায়, রবীন্দ্রনাথ প্রাচীন গ্রীক কবিদের কাছ থেকে চুরি করে কবিতা লিখতেন, কারণ গ্রীকরা জানতো যে চোখ থেকে আলো বের হয়, আর তা দিয়ে মানুষ দেখে...চোর, মহাচোর)

যদিও আমি সারা জীবনে কয়টা সিনেমা দেখেছি সেটা দুই হাত আর পায়ের আঙ্গুল মিলিয়ে গুণে ফেলা সম্ভব, মনে হচ্ছে না এরকম একটা টপিক হ্যান্ডল করতে পারব। দেখা যাক, আল্লাহ ভরসা।

সিনেমা নিয়ে আমার প্রথম অভিজ্ঞতা রীতিমত ভয়াবহ। ছোটবেলায় আমাকে টার্মিনেটরের ভয় দেখিয়ে ভাত খাওয়ানো হত। টার্মিনেটর ওয়ানে একটা সিন আছে না, যেখানে টার্মিনেটর তার স্কেলেটন নিয়ে আগুন থেকে বেরিয়ে আসে, সেটা অনেক দিন আমার কাছে বিভীষিকা হয়ে ছিল। আমাদের বাসার ইলেক্ট্রিক ওভেনের একটা হাতল জিনিস ছিল মেটালের তৈরি। আমাকে একদিন বলা হয়েছিল ওটা টার্মিনেটরের হাত। আমি বিশ্বাস করেছিলাম। তারপর থেকে আম্মা-আব্বা প্রয়োজনমত ওটা ব্যবহার করতেন।

তারপর অনেক দিন হোম এলোন ছাড়া আর কোন সিনেমা মনযোগ দিয়ে দেখি নাই। মাঝখানে গুপি গাইন বাঘা বাইন আর হীরক রাজার দেশে দেখেছিলাম বোধহয়, ভাল লাগে নাই, সাদাকালো, অন্ধকার। আমাদের নিচ তলায় একজন আন্টি ছিলেন, রাশান। তার কাছ থেকে এনে একটা বাচ্চাদের ছবি দেখেছিলাম। নাম ছিল খুব সম্ভবত 'চিটি চিটি ব্যাং ব্যাং' বা এধরণের কিছু। আবছা আবছা যা মনে পড়ে, একজন পাগলাটে জিনিয়াস সায়েন্টিস্টের কয়েকটা পিচ্চি ছিল। ভিলেন পুরো শহরের বাচ্চাদের ললিপপের লোভ দেখিয়ে কিডন্যাপ করে ফেলে। তারপর সব বাচ্চা সায়েন্টিস্টের সাহায্যে পালিয়ে আসে, এরকম একটা গল্প। অসাধারণ লেগেছিল।

আমরা ক্লাস থ্রি বা ফোরে থাকতে টার্মিনেটর টু বের হয়, না বের হয় বলা ঠিক না, আমাদের নাগালে আসে। টার্মিনেটর টু দেখে ছোটবেলার ভয় অনেকটাই চলে গিয়েছিল। তবে কাহিনী খুব একটা বুঝি নাই। ওটা নিয়ে আমার মাথা ব্যথাও ছিল না। টার্মিনেটর এসেছে সেটাই বড় কথা, কোত্থেকে এসেছে তা দিয়ে আমার কি। টার্মিনেটর মারামারি করছে তাতেই আমি খুশি, কেন মারামারি করছে তার তত্ত্ব-তালাশ করে কি হবে? সবচে মজার ব্যপার সারাহ যে জনের মা তা-ই আমি বুঝি নাই, মনে করেছি বোন হাহাহা...

হিন্দি সিনেমা কিন্তু একেবারেই দেখতাম না, শুধু মারামারির সিনগুলার সময় দৌড়ে এসে দেখতাম। ওগুলাকে আমি বলতান ডিশুম-ডিশুম। আমি প্রথম পুরা হিন্দি মুভি দেখি সেভেনে উঠে, কুছ কুছ হোতা হায়। আমার উপর ওটার ইম্প্যাক্ট ছিল ভয়াবহ। শাহরুখ, সালমান, কাজল, রাণী - কাকে ফেলে কাকে দেখি। তখন তো সবে বড় হচ্ছি, ফুলের বনে যার পাশে যাই তারেই লাগে ভাল, এরকম একটা অবস্থা। তো যাকেই ভাল লাগে তার গলার উপর রাণী বা কাজলের মাথা লাগিয়ে নানা রকম উষ্টুম-ধুষ্টুম ভাবি। এরকম রোমান্টিক আবহাওয়ায় আরো কতগুলা হিন্দি ছবি দেখে ফেললাম। কাজলের পেয়ার কিয়া তো ডরনা কিয়া কিংবা মনীষা কৈরালার কাশ্মীর না কি নাম যেন ওইটা। আমি তখন পুরাপুরি মজে ছিলাম হিন্দি ছবিতে। শাহরুখ খানের মত বাঁদরামি করার চেষ্টা করতাম, কথায় কথায় বদ-রসিকতা করতাম, লেখাপড়াও গোল্লায় যাচ্ছিল। এর মাঝে আবার ঋত্বিকের ব্লিৎস্ক্রিগ, কাহোনা প্যায়ার হ্যায়। বাথরুমে ওই রকম ড্যান্স দিতে গিয়ে আছাড়-টাছাড়ও খেয়েছি।

তবে স্কুল লাইফে তিনটা বাংলা সিনেমা আমাকে মুগ্ধ করেছিল-- আগুনের পরশমনি, দীপু নাম্বার টু আর হঠাৎ বৃষ্টি। আগুনের পরশমনির একশন আমার ফাটাফাটি লেগেছে, আর নূর তো নূর, বাংলাদেশে এরকম নায়ক আরেকটা জন্মাতে আরো দুইশ' বছর। দীপু নাম্বার টু মূল বইটার খুবি কাছাকাছি ছিল, কল্পনার সাথে মিল খাওয়ায় মজা পেয়েছিলাম। হঠাৎ বৃষ্টি ছিল রীতিমত স্মার্ট একটা ছবি। এখন ফেরদৌসকে দেখলে দুঃখ হয়, আমাদের একটা নায়ক ছিল, সেটাও ভেজিটেবল হয়ে গেল।

ইংরেজি সিনেমা দেখতাম না। কারণ ইংরেজি বুঝি না। তার উপর বেড়াছেড়া কাহিনী। এত কষ্ট পোষায় না। তারপরও দেখেছি, 'সোজা সোজা' মুভিগুলা -- র‌্যাম্বো, টাইটানিক, জুরাসিক পার্ক, কিংকং, জ'স, সুপারম্যান (ভুয়া)। আমাদের বিল্ডিঙ্গে ব্রুস লিকে নিয়ে একটা ক্রেজ ছিল, কিন্তু আমার ব্রুস লি'র ছবি খুবি জঘন্য লাগতো। বিটিভির মুভি অফ দা উইকে ভাল ভাল ছবি দেখাতো। ওমর শরীফ-সোফিয়া লরেনের একটা ছবি টুকরা টুকরা দেখে খুব ভাল লেগেছিল। ওমর শরীফ রাজপুত্র, সোফিয়া লরেন গরীব মেইড। সোফিয়ার মন গলাতে ওমর শরীফের কি প্রাণপণ চেষ্টা। তারপর দু'জনের প্রেম, এই জায়গাটা দেখি নাই, বোধহয় দেখতে দেওয়া হয় নাই। এদিকে রাজপুত্রের বিয়ের জন্য পাত্রী খোঁজা হচ্ছে। ক্যান্ডিডেট অনেক, সবাই নানান রাজ্যের রাজকন্যা। ওমর শরীফ এক ফন্দী আটলো। ঘোষণা দিয়ে দিল, সব পাণিপ্রার্থিনীর মধ্যে প্রতিযোগিতা হবে, যে জিতবে তাকেই রাজপুত্র বিয়ে করবে। প্রতযোগিতা আর কিছু নিয়ে না, খুব সাধারণ গৃহস্থালি কাজের। বোঝাই যায় কে জিতবে। কিন্তু একজন রাজকন্যা ধূর্ত এক চাল চাললো। বাসন মাজা প্রতিযোগিতার আগে সোফিয়ার ভাগের বাসনগুলোয় হীরের আংটি দিয়ে আঁচড় দিয়ে আসলো। প্রতিযোগিতা শুরু হলো। একের পর এক রাজকন্যা ময়লা বাসন দেখে মূর্চ্ছা যাচ্ছে, বাসন ধুয়ে যাচ্ছে শুধু দুইজন-- সোফিয়া আর সেই দুষ্ট রাজকন্যা। দেখা গেল সোফিয়া প্লেট ধরতেই ভেঙ্গে যাচ্ছে, আর রাজকন্যা ধুয়ে যাচ্ছে নিখুঁতভাবে। ফলাফল, সোফিয়া ডিসকোয়ালিফাইড। ওমর শরীফ বাধ্য হয়ে বসে পড়েছে বিয়ের মন্ডপে। তারপর...নাহ আর বলবো না, স্পয়লার হয়ে যাচ্ছে।

তবে টাইটানিক ছিল একটা স্পেশাল মুভি। বিশেষত জাহাজ ডোবার অংশটা। আমি জাহাজ ডোবার পার্টটা জ্যাক-রোজের 'ওই' সিনের চেয়েও বেশি বার দেখেছি। এই জিনিস তো আগে কোথাও দেখি নাই। এনিমেশন জুরাসিক পার্কেও ছিল, কিং-কঙ্গেও ছিল, কিন্তু এইরকম তো আর ছিলনা। তার উপর কেট উইন্সলেট, অনেক দিন আমার ওয়ালপেপার আর স্ক্রিনসেভার জুড়ে ছিল রোজরূপী কেট উইন্সলেট। আর সেলিন ডিয়নের ওই গান, আমার ইংরেজি গান শোনায় হাতে খড়ি। সেলিন ডিয়নে ডুবে ছিলাম বেশ অনেকদিন।

কলেজ লাইফে খুব একটা সিনেমা দেখা হয়নি। হিন্দি দেখেছি লাগান, ঋত্বিকের কয়েকটা ক্র্যাপ মুভি। ম্যাট্রিক্স দেখেছি টুকরা টুকরা, কিন্তু ওই ডিশুম ডিশুম, কিছু বুঝি নাই। তবে এই সময় বিকাল বেলা আম্মার সাথে বসে বসে উত্তম কুমারের কিছু ছবি দেখেছি এই লোক একটা জিনিস। মানুষ খালি সুচিত্রা-সুচিত্রা করে, কিন্তু উত্তমের তুলনায় সুচিত্রা একটা আস্ত গবেট। উত্তম কুমারের চেয়ে স্মার্ট বাঙ্গালি নায়ক আমি এখনো একটাও দেখি নাই। আমাদের বা কলকাতার সিনেমার যা অবস্থা, কখনো দেখবো বলে মনেও হয় না।

ইউনিভার্সিটিতে এসে দেখি সবাই কঠিন কঠিন ইংলিশ মুভি দেখে, শুধু তা-না, সেগুলা যে বই থেকে বানানো সেইসব বই-ও পড়ে। বুঝলাম সুখের দিন শেষ, এখন থেকে ইংলিশ মুভির কাহিনীও বুঝতে হবে। ম্যাট্রিক্স বারবার দেখে (আর উইকিতে পড়েটড়ে) কাহিনী আন্দাজ করলাম। কিন্তু একশন বাদে কথাবার্তার অংশগুলা, বিশেষত ওরাকলকে আমার খুবি বোরিং লাগে। এদিক থেকে ব্রুস উইলিসের মুভি ভাল, নন্সটপ একশন।

এই সময় অনেক মুভি দেখা হয়েছে। নিকোলাস কেজকে যার যেমনি লাগুক, আমার খুবি ভাল লাগে। এটার শুরু উইন্ডটকারস দিয়ে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের গল্প। আমার যুদ্ধের ছবি দেখার শুরুও এটা দিয়ে। তবে আমার ঝোঁকটা একশনের দিকে। যুদ্ধের সাথে রোমান্টিক জিনিস মিশালে আমার প্রচন্ড রাগ লাগে, যেমনটা হয়েছিল পার্ল হারবার দেখে (এইটা আসলে কি বানাইসে? পুরা সিনেমায় একটা ভাল সিন, বোমা ফেলার সিন)। এদিক থেকে এনিমি এট দা গেট অনেক ভারসাম্যপূর্ণ। সেভিং প্রাইভেট রায়ান আবার বেশি শুষ্কং কাষ্ঠং। আমার ফেভারিট 'লেটারস ফ্রম ইয়ো জিমা'...আহ, বড় সুন্দর মুভি। আবার দ্য পিয়ানিস্ট ভাল লেগেছে, যদিও একশনের ভাগ বেশ কম। পুরানোগুলার মধ্যে গান্স অফ নাভারন ভাল ছিল, কিন্তু আধামাধা দেখেছি। আমি সবসময়ই র‌্যাম্বোর ভক্ত, তবে চার নাম্বারটা ভুয়া ছিল। রক্ত ছিটাছিটিতে আমার প্রবলেম নাই, কিন্তু একটা কাহিনী লাগে তো। আরো দুইটা প্রিয় মুভি হোটেল রুয়ান্ডা আর দ্য লাস্ট কিং অফ স্কটল্যান্ড। মেল গবসন লোকটাকে জন্তু-জন্তু লাগে, তবে দ্য প্যাট্রিয়ট ভাল লেগেছে। ব্রেভহার্ট বেশি ভাল লাগে নাই। গ্ল্যাডিয়াটর ভাল লেগেছে, তবে দুর্বল ইংরেজি জ্ঞানের কারণে কোনটা কার বউ বোঝার আগেই সিনেমা শেষ। ট্রয় দেখে হতাশ হয়েছি, কি জিনিসকে কি বানিয়ছে!

অসম্ভব বিরক্ত হয়েছি হিন্দি যুদ্ধের ছবি দেখতে গিয়ে। এগুলো দেখে সহজেই এই সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায় যে ইন্ডিয়ান সোলজাররা গুলি খেলে মরে না, মাতাল হয়ে যায়। তখন সোজা উঠে 'গোলি মার দিয়া সালে' বলে হাঁটা দেয়। যত নামকরা ছবি-ই হোক, লাকশ, এলওসি, সব একই অবস্থা, ইমোশনে জবজবে। আর যত্রতত্র গান।

সুপারহিরো মুভি দেখলে দেখা যায়, কিন্তু অতটা পছন্দ করি না। স্পাইডারম্যান খারাপ ছিলনা, হাল্কও ভালই লেগেছে। তবে আমার ফেভারিট হেল বয়, একমাত্র সুপার হিরো যার পার্সোনালিটি আছে। একশন এডভেঞ্চার ভাল পাই, তবে বেশি বোগাস হয়ে গেলে দেখি না। ন্যাশনাল ট্রেসার ভাল লেগেছে। মামি সবগুলো ভাল ছিল, তবে শেষেরটা বেশি সুবিধার লাগে নাই। সায়েন্স ফিকশন বেশি দেখি নাই, তবে গ্যাটাকা খুব খুব খুব ভাল লেগেছে। হরর দেখিনা, ভয় লাগে।

ভায়োলেন্স-টায়োলেন্স বাদ দিলে আমার পছন্দের ছবির মধ্যে আছে শন পেনের আই এম স্যাম, ক্লুনির ওয়ান গুড ডে, আর মনে পড়ছেনা। আমি মানুষটা হিংস্র প্রকৃতির, নন-ভায়োলেন্ট জিনিস পছন্দ করি না।

আমার চলচ্চিত্র-দর্শন ক্যারিয়ার মোটামুটি এই। আর লেখার অবস্থা দেখেই বুঝতে পারছেন আমি ক্লান্ত। তাই আর কথা না বাড়িয়ে নটে গাছটি মুড়িয়ে দিই।


মন্তব্য

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

বর্ণনার ভঙ্গিতে মজা পেলাম খুব। সাধারণ বিষয়ও দারুণ করে লেখা। তবে, মহারানীকে নিয়ে এ কী বললে গো, বাছা?

সাবিহ ওমর এর ছবি

কে মহারাণী? মহারাজার বউ?

দ্রোহী এর ছবি

ঝরঝরে লেখা.....

রেশনুভা এর ছবি

আপনার হাত পায়ে আঙ্গুল কয়টা? খাইছে

সাবিহ ওমর এর ছবি

আমরা ইউরোপিয়ান বর্বরদের মত আঙ্গুলে গুনি না, গাঁট দিয়ে গুনি...দুই হাতে পঞ্চাশ (আমার আঙ্গুলে গাঁট পাঁচটা করে, বিশ্বাস না হলে ইশতিয়াক ভাইকে চেক করতে বইলেন), পায়ে তিন দশে তিরিশটা...

রাফি এর ছবি

আঙ্গুলের গাঁট কী জিনিস?? ইয়ে, মানে...
আমার কয়টা করে?? চোখ টিপি

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

সাবিহ ওমর এর ছবি

ল্যাবে আইসেন, দেখায় দিব চোখ টিপি

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

আজকে গুণে দেখসি। আসলেই হাতের প্রতি আঙুলে পাঁচটা করে দাগ। এই বালক এক মুঠ পরিমাণ টাকা চেয়ে বসলে রাজি হয়েন না কেউ। ২০ টাকার বদলে ২৫ টাকা দিতে হবে!

স্বপ্নহারা এর ছবি

লেখার স্টাইলটা ভাল লাগছে...তবে শেষের দিকে একটু দৌড় দিছেন মনে লয়...দেঁতো হাসি

তাইলে আপ্নে লাইফে মাত্তর ৮০টা সিনেমা দেখছেন?খাইছে

সুচিত্রা সেনের নামে একমত হইলাম না...উনারে এখনো দেখলে মন উদাস হয়ে যায়!

-------------------------------------------------------------
স্বপ্ন দিয়ে জীবন গড়া, কেড়ে নিলে যাব মারা!

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

দময়ন্তী এর ছবি

সুচিত্রা সেনের একটাই এক্সপ্রেশান জানা আছে --- পাগলের৷ সে প্রেমের দৃশ্যেও পাগলের আর রাগের দৃশ্যেও তাই৷ ওফ! আর এইটা বলি বলে আমার বেশিরভাগ বন্ধুই আমার ওপরে খচে যায়৷

আর উ-কু-কেও আমার খুব একটা সুবিধের লাগে না৷

লেখাটা পড়তে বেশ লাগল৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

একমত! উনার চেয়ে উনার মাইয়ারে বেশি ভালা পাইতাম! আর মৌসুমী চ্যাটার্জীরে সুপার কিউট!

উ কু এর চাইতে সৌমিত্র! আহা!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

সাবিহ ওমর এর ছবি

আমি সুচিত্রার নাতনিদের বেশি ভাল পাই খাইছে
সৌমিত্রকে দেখলে বোঝা যায় সামনে ক্যামেরা আছে, আর উত্তম কুমার উলটা ক্যামেরাম্যানকে নাচায়...খিয়াল করে দেইখেন...

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

ভালো লাগছে। আপনার ধৈর্য্য দেখে আমি মুগ্ধ! হাসি আরো লিখুন।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

সাবিহ ওমর এর ছবি

সচলায়তনে ভয়েস কমান্ডে বাংলা চাই, টাইপ করা বহুত কষ্ট...

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

লেখা ভাল্লাগছে! আপনার পছন্দের কিছু সিনেমা আমারও ভীষণ পছন্দ!

এখন অমর শরীফ-সোফিয়া লরেনের সিনেমার নাম বলেন। আমি মুভিবাফ এইখান দেখবার চাই!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

More Than a Miracle - 1967 - Sophia Loren, Omar Sharif এটাই কি?

এটাকে ইটালিয়ান সিন্ডারেলা বলা হইতেসে দেখি! হাসি

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

রাহিন হায়দার এর ছবি

শুরুর দিকে ভাবতেসিলাম আমার চাইতে কম সিনেমা দেখসে এমন একজনরে পাওয়া গেল। কিসের কী?!!


সৌমিত্রকে দেখলে বোঝা যায় সামনে ক্যামেরা আছে

-মাইনাছ! উত্তম হইল নায়ক, আর সৌমিত্র দক্ষ চরিত্রাভিনেতা।

তয় লেখা ভাল্লাগসে।
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা

সমুদ্র এর ছবি

লেখা পড়ে মজা পেলাম।
নিকোলাস কেজরে আমিও খুব ভালো পাই, কিন্তু ব্যাটা আজকাল কী সব যে মুভি করে।
ফ্যান্টাসি-ফিকশান আমার বড়ই পছন্দের ক্যাটাগরি, এইটা নিয়া কিছু কইলেন না যে।

"Life happens while we are busy planning it"

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

বাহ!!! বেশ ঘ্যানঘানানি প্যানপ্যানানি ছাড়া লেখা, ভাল লাগসে হাসি

সাবিহ ওমর এর ছবি

বাহ আপনার পোস্টে আমার কমেন্টটা একেবারে সুদে-আসলে শোধ করে দিলেন দেখি খাইছে

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

সিনেমা বিষয়ে কমজ্ঞান নিয়ে আপনার লেখাটা বেশ অকপট।

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

সাবলীল লেখা। আমার সমস্যা হলো কাহিনি মনে থাকে না; ফলে এক চলচিত্রের কাহিনি অন্যটার ভিতরে ঢুকাই ফেলি এবং যথারীতি হাসির পাত্র!

==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

রাফি এর ছবি

লেখা ভালৈছে...।
তবে প্রথমদিকে আয়েশি ভঙ্গিতে শুরু করে পরের দিকে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মতো তাড়াহুড়া করে শেষ করে দিসো। এইটা ভাল্লাগে নাই...।

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

সাবিহ ওমর এর ছবি

ধৈর্য শেষ ব্রাদার, ক্যারোলাইনা গার্ডেন্স আমার সব ধৈর্য শুষে নিয়েছে...আজকে ছাদ ফুটা হয়ে পানি পড়ছে...কালকে হয়ত শরবত পড়বে...সবই ধৈর্যের পরীক্ষা...

জয়_ [অতিথি] এর ছবি

ঢিশুম ঢিশুম আমারও ভাল লাগে, র‌্যাম্বোরে বড়ই ভাল পাই। লেখা পরে মজা পাইলাম।

জয়_

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আমি ঢিশুম ঢিশুম ভালো পাই, তার চেয়েও ভালো পাই নায়ক-নাইকার দুষ্টুমি। দেঁতো হাসি

আংরেজী সিনেমায় বৃষ্টিভেজা কোনো গান থাকেনা বলে মাঝে মাঝেই মেজাজ রুক্ষ হয়, তখন হিন্দি সিনেমা ভরসা। হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

তানবীরা এর ছবি

আফনের ব্যাফারটা কি? দেখি না দেখি না কইয়া যে লিষ্ট ঝারলেন, তাতে বাদ দিছেন কোনটা? সবইতো দেখছেন ম্যঞবাই ঃ)

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।