কল্পনা করুন একদিন ঘুম ভেঙে আবিষ্কার করলেন আপনি নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারছেন না, চলতে পারছেন না। পরীক্ষা নীরিক্ষা করে জানা গেল আপনি চিরতরে চলনক্ষমতা হারিয়েছেন। বাকি জীবন হুইলচেয়ারে বসেই যাপন করতে হবে আপনাকে। চলাফেরার জন্য অন্য কারুর সহায়তা তো লাগবেই, সেই সাথে আপনার বিচরণের ক্ষেত্রও সীমিত হয়ে আসতে বাধ্য। খুব জরুরি না হলে পাবলিক প্লেসে যাওয়া বা পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করতে এড়াতে চাওয়ার প্রবণতা শুরু হবে আপনার মাঝে। একদিকে হুইলচেয়ার ওঠানো নামানোর জন্য প্রয়োজনীয় র্যাম্প এদেশে অপ্রতুল, অন্যদিকে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রতি মানুষের সহানুভূতির বড্ড অভাব। লোকে আপনাকে করুণা করতে কার্পণ্য করবে না, সহায়তা করবে খুব কমই। আপনার সন্তান যদি প্রতিবন্ধী হয়, কয়েক ধাপ সিঁড়িই তার শিক্ষার পথে দুর্ভেদ্য দেয়াল হয়ে দাঁড়াতে পারে। কিংবা রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজগুলোও যদি না হয় আপনার জন্যে সহায়ক!
কেমন দুঃস্বপ্নের মতো শোনাচ্ছে, তাই না? বাস্তবতা হলো আপনার এই দুঃস্বপ্নই কিছু মানুষের জীবনের সত্য। আপনি হয়ত তাদের কথা খুব কমই জানেন, কারণ তাদেরকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ আপনার হয় না। সুযোগ হয় না, কারণ তাদের চলার বন্ধুর পথটুকু মসৃণ করার পরিবর্তে চার দেয়ালের গণ্ডিতে তাদের বন্দি রাখতেই অভ্যস্ত আমাদের সমাজ। তাই ভিন্নভাবে সক্ষম এই মানুষগুলোর ক্ষমতা সম্পর্কে জানার সুযোগ হয় কমই। আশার কথা হলো এই মানুষগুলো স্বপ্ন দেখতে জানে।
আমিও স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি। কারণ স্বপ্নের মাঝে লাগামহীন ইচ্ছে পূরণ করা যায়। তার মানে এই না যে স্বপ্ন পূরণ সম্ভব নয়। তাছাড়া অসম্ভব শব্দটি আমাকে তেমন একটা নাড়া দেয়নি কখনো। সে কারণেই সম্ভবত আমার দেখা সব স্বপ্নের পিছে প্রাণপনে ছোটার সাহস পাই। পূরণ হবে কি হবে না কিংবা কী কী বাধা বা সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে এসব নিয়ে মাথা ঘামানোর ইচ্ছেও জাগে না। অনেকটা এভাবেই বি-স্ক্যান এর ছায়াতলে আমার স্বপ্নের স্কুল বাস্তব রূপ পাবে মাথায় এমন ভূত চেপেছে তাও তো দেড় বছর হয়ে গেলো। এখনো পর্যন্ত স্কুলের একটা নাম মাথায় ঘুরছে “আমাদের শিক্ষালয়”। আরো ভালো কিছুও ভাবা যেতে পারে। তবে নামকরণর চেয়ে অনেক বড় সমস্যর মাঝে পড়েছি আমি। তবে তার আগে আমার স্বপ্নে দেখা এই স্কুলে সম্পর্কে কিছু না বললেই নয়। সে কথাই ধাপে ধাপে জানানোর চেষ্টা করছি আজ।
শিক্ষা ব্যবস্থা
এই স্কুলটি সকলের জন্যে উন্মুক্ত হবে। অর্থাৎ একীভূত শিক্ষাব্যবস্থার সমন্বয়ে গঠিত একটি স্কুল হবে এটি। প্রথম শ্রেণী থেকে শুরু করে মাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষার সুযোগ থাকবে। অদূর ভবিষ্যতে উচ্চ মাধ্যমিকে রূপ দেওয়া যেতে পারে। অগ্রাধিকার থাকবে চলন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের। এছাড়া সকল ধরনের মৃদু থেকে মাঝারি মাত্রার প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারবে। তবে এখানে অপ্রতিবন্ধী শিশুরাও একইসাথে পড়ায় কোনো বাধা থাকবে না। অর্থাৎ এমন একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করতে চাই, যেখানে সব ধরনের ভিন্নভাবে সক্ষম শিশুরা একইসাথে পড়বে অপ্রতিবন্ধী ছেলেমেয়েদের সাথে। ব্রেইল পদ্ধতির সিস্টেম থাকবে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্যে। বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের জন্যে ইশারা ভাষা পদ্ধতি।
অর্থাৎ তাদের জন্য সব ধরনের অবকাঠামোগত ব্যবস্থা এবং উপযুক্ত প্রশিক্ষিত শিক্ষক থাকবে এখানে।
প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা
পড়ালেখার পাশাপাশি ভোকেশনাল ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। যেমন- কম্পিউটার ট্রেনিং, মোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেক্ট্রনিক্সের কাজ (টিভি, রেডিও ঠিক করা), সেলাই প্রশিক্ষণ, লেদার প্রশিক্ষণ ইত্যাদি শিখানো হবে। পরামর্শ পেলে আরো এর পরিধি আরো বিস্তৃত করা যেতে পারে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশে, আর্ট, গান, আবৃত্তি, অভিনয় ইত্যাদি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা তো থাকছেই।
যাদের বয়স হয়ে গিয়েছে, পড়ালেখা করার মতন শারীরিক অবস্থা আর নেই বা সক্ষম নন তাদেরকেও এই প্রশিক্ষণকেন্দ্রে কর্মক্ষম করে তোলার প্রচেষ্টা থাকবে।
যাতায়াত ব্যবস্থা
যেহেতু বেশিরভাগ চলন প্রতিবন্ধী মানুষের জন্য যাতায়াত একটি প্রধান সমস্যা তাই আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব যাতায়াত ব্যবস্থা (প্রতিবন্ধী ব্যক্তির জন্য সহায়ক সুবিধাসহ) থাকাটা ভীষণ জরুরি। এবং স্কুল ভবনে শারীরিক প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্যে সিড়ির পাশাপাশি থাকবে র্যাম্প ও যদি সম্ভব হয় লিফটের ব্যবস্থা হবে। সিঁড়ির ধাপের উচ্চতা ছোট রাখা হবে। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিশুদের সুবিধার্থে ব্রেইল ব্লক থাকবে সিঁড়ির সামনে, রুমের করিডোর হতে শুরু করে স্কুলের সর্বত্র যাতে কারুর সাহায্য ছাড়া তারা নিজেরাই চলাচল করতে পারে।
আবাসিক ব্যবস্থা
যাদের কেউ নেই বা আর্থিক অবস্থা ভালো নয় বা পরিবারের সাথে থাকা সম্ভব হচ্ছে না তাদের জন্য হোস্টেলের ব্যবস্থা থাকবে, খাবারের ব্যবস্থাসহ। তবে এক্ষেত্রে মোটামুটি যারা নিজের কাজ নিজে করতে পারেন তাদের দায়িত্ব নেয়া হবে। দক্ষ আয়া থাকবে এদের দেখাশোনার জন্যে। রান্নার লোক থাকবে। সম্ভব হলে একজন ডাক্তার।
এক চিলতে বাগানে রঙ বেরঙের ফুল ফলের গাছে দুষ্টু সব রঙিন প্রজাপতি উড়ে উড়ে বেড়াচ্ছে আর তার পিছু পিছু হুইলচেয়ার সমেতই ছুটে বেড়াচ্ছে কেউ। খেলার মাঠে জড়ো হয়েছে তারা কেউ ক্রাচ হাতে, কেউ স্টিক হাতে, হুইলচেয়ারে আছে বেশ ক’জন আর তাদের সাথে অপ্রতিবন্ধী ছেলে মেয়েরা মিলে সমান তালে হই-হুল্লোড় করে খেলাধুলা করছে। অভিভাবকেরা খুশি মনে বাচ্চাদের উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে, বাহবা দিচ্ছে। আর আমি একপ্রান্তে স্কুলের ছোট্ট গেস্ট হাউজের বারান্দায় গরম কফির মগ হাতে বসে তৃপ্তির নিঃশ্বাস নিচ্ছি।
আপাতত এইটুক আমার চিন্তা বা স্বপ্ন।
প্রথম ধাপ: প্রজেক্ট প্রপোজাল
স্বপ্ন থেকে বাস্তবে ফিরে আসতেই হয় তাকে বাস্তবে রূপান্তরিত করার তাগিদ থেকে। তাই শুরু করে দিলাম গবেষণা। এমন একটা স্কুল তৈরিতে কী কী লাগে! জানতাম প্রথমেই একটি জায়গা লাগবে। কিন্তু সেই রকম জায়গা জোগাড় করতে এবং স্কুল ভবন তৈরিতে বেশ অনেকগুলো টাকাও লাগবে। আব্বু ঘুষখোর ক্যান হলো না তা নিয়েও এই প্রথম খুব আফসোস হলো। আমার ভাগ্যই খারাপ!
অস্ট্রেলিয়ানিবাসী আমার এক আংকেল বললেন- “মামণি, টাকা দেবার মানুষের অভাব হবে না যদি ভালো একটি প্রজেক্ট প্রপোজাল তৈরি করা যায়।” স্কাইপিতে দীর্ঘ মিটিং করে ফেললাম আংকেলের সাথে। যা বুঝলাম প্রজেক্ট প্রপোজাল তৈরি করতে হলে স্কুলের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, কার্যক্রম, পরিচালনা পদ্ধতি ইত্যাদি ঠিক করত হয়। জমির মূল্য এবং ভবন নির্মাণে মোট খরচের আনুমানিক পরিকল্পনা, স্কুলে কতজন স্টাফ থাকবে, তাদের বেতন, মাসিক কত খরচ ইত্যাদি নানান হিসেব কিতাবও থাকবে প্রপোজালে।
আমার পক্ষে কোনোভাবেই এই প্রজেক্ট প্রপোজাল বানানো সম্ভব নয় শুনে তিনি বললেন, “আমি সময় পেলে এটা তৈরি করা কোনো ব্যাপার ছিলো না। তবে তুমি যদি কোনোভাবে প্রপোজালটি তৈরি করতে পারো ডোনারের ব্যবস্থা আমি করে দিতে পারবো।”
অনেককে বললাম। কাউকে না পেয়ে শেষমেষ ফেসবুকেই স্ট্যাটাস দিলাম। তিনচারজন আগ্রহ নিয়ে যোগাযোগ করলো। প্রবল উৎসাহে সবাকেই আমার পরিকল্পনা ইমেইল করে দিলাম। মাসখানেক পর তাদের পিছে অযথা সময় নষ্ট করার চেয়ে আবারো নতুন কাউকে খুঁজে বের করতে মনযোগী হলাম। সেসময় এক ছোট ভাইকে কথাগুলো দুঃখ করে বলছিলাম। সে বললো, “আপু, আমি কয়েকজনকে বলে দেখতে পারি যারা এ ধরনের স্বেচ্ছাসেবী কাজে আগ্রহী।” কিছুদিন পরপরই একেকজন যোগাযোগ করে। আমি আবারো প্রবল উৎসাহে সবাইকেই ইমেইল করি। আমার পরিকল্পনা, ডিজেবিলিটি টার্ম ইত্যাদি একেকজনকে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মোবাইলের বিশাল বিল তুলে আম্মুর বকাও কম শুনিনি। তবুও ধৈর্যহারা হইনি। কেউ কেউ মেইলে বিস্তারিত জেনে স্বাভাবিক ভদ্রতা করে উত্তর দেবারও প্রয়োজন মনে করেননি। একজন তিন মাসের সময় চেয়ে চার মাস পরে একদিন আমার ফোন রিসিভ করে বলেছে, “স্যরি আপু, সামনে পরীক্ষা একেবারেই সময় করতে পারছি না।” ইনি তো তাও “পারবেন না” বলতে পেরেছেন। বেশিরভাগই দিনের পর দিন করবো- ‘করে দিচ্ছি’ বলে ঘুরিয়েছে কেবল। এসব করেই দেড় বছর কেটেছে। আমার মতন মানুষের ভেতরেও ধীরে ধীরে হতাশা বীজ বুনতে শুরু করেছিলো। অসহায়ের মতন লাগতো এই ভেবে, কেনো আমি অন্য সবার চেয়ে পিছিয়ে আছি। তেমন শিক্ষার পরিবেশ পেলে আজ কারোর দ্বারে দ্বারে এভাবে ঘুরতে হতো না। আমি নিজেই তৈরি করে ফেলতাম একটি প্রপোজাল। হাহ...
আশার কথা...
ইতিমধ্যে এক ভাইয়া ঢাকায় তার দু’কাঠা জায়গা স্বপ্নের স্কুলের জন্য দান করে দিয়েছেন আমাকে। দীর্ঘশ্বাস ফেলা ছাড়া বোধ করি কিছুই করার ছিলো না আমার। হুট করে হাতে আকাশের চাঁদ পেয়ে যাবার মতো ঘটনাই ঘটে গেলো। এই সপ্তাহ তিনেক আগের কথা। আমির খানের “”সত্যমেভ জয়তে"”তে ডিজেবিলিটির উপর প্রোগ্রামটি দেখছিলাম। কী যে চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন আমির খান। হুবহু আমাদেরই মনের কথা যেন। তবে তুলনামূলকভাবে ওদের অবস্থা কিছুটা ভালো। কিছুদিন আগেই ভারতে র্যাম্পযুক্ত বাস নেমে গিয়েছে। দিল্লির “অমর জ্যোতি” স্কুলটি সম্পূর্ণ একীভূত শিক্ষা ব্যবস্থাসম্পন্ন। ঠিক যেনো আমার স্বপ্নের স্কুল! হোক না একটি তাও তো চালু হয়ে গিয়েছে। মন্দের ভালো বলা চলে একে... আবারো একটি দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসছিলো এমনি সময় আমার খুব প্রিয় একজন আপা ফোন দিয়ে বললেন- সাবরিনা, তুমি একটা স্কুল করবা ভাবছিলা না, দিল্লির এই স্কুলটার মতন? আমার কিছু জায়গার মধ্য আম্মার নামে একটা স্কুল করবো ভাবছিলাম। মজার বিষয় হলো আপার এই জায়গাটা চট্টগ্রামে এবং চারকাঠার চেয়ে কিছু বেশি পরিমাণের বিশাল এক জায়গা। তার মানে আমি চেষ্টা করলে এখন ঢাকা-চট্টগ্রামে দু’জায়গাতে দু’টি স্কুল করতে পারি। কীভাবে করা যায় ভাবছিলাম…ফেসবুকে আমার আক্ষেপ দেখে সচলের বুনোহাঁস আপু বললেন, “আমি কি চেষ্টা করে দেখতে পারি? যদিও কিভাবে এটি তৈরি করে সে সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা নেই!” আপুকে ধারণা দিতে অনলাইনে জোগাড় করা দু’টি প্রজেক্ট প্রপোজাল শেয়ার করলাম। সব দেখে তিনি পরামর্শ দিলেন খুব ভালো হয় যদি আমি এ বিষয়ে কিছু লিখি। কেউ না কেউ সাহায্য করতে এগিয়ে আসবেই। আপুরও এতে সুবিধে হবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নিশ্চয়ই ভালো কিছু দাঁড়িয়ে যাবে।
এ লেখাটি পড়ার পর আমার স্বপ্নের স্কুলের প্রজেক্ট প্রপোজাল তৈরিতে সত্যিকার অর্থেই আন্তরিক মনোভাব নিয়ে সহযোগিতা করতে কেউ এগিয়ে আসবেন এমন একটি প্রত্যাশা কি করতে পারি?
কৃতজ্ঞতা স্বীকারে: বুনোহাঁস
যোগাযোগ: sabrinaঅ্যাটb-scanডটorg অথবা infoঅ্যাটb-scanডটorg
মন্তব্য
আপনার এই উদ্যোগে সাথী হয়ে পাশে থাকতে পারবনা , কিন্তু যদি বিস্তারিত জানান প্রপোজাল এ আপনাকে হেল্প করব আশা রাখছি. আমার ইমেল আই ডি :
দারুচিনি
প্রপোজালের জন্যে নতুন কিছু বলা আমার পক্ষে সম্ভব হলে আমি নিজেই এতদিনে (দেড় বছর) হয়তো একটি খসড়া তৈরি করে ফেলতাম!! এখানে যা লিখেছি এর উপর ভিত্তি করেই প্রজেক্ট প্রপোজাল বানানোর চেষ্টা করতে হবে। ধন্যবাদ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মায়ার নেশা কাটাতেই এ তীব্র অস্থিরতা
তবু, মায়ার পাহাড়েই আমার নিত্য বসবাস।
আপনার সাথে যোগাযোগের ঠিকানা টা দিয়ে দিন, আশা রাখছি একটা খসড়া কপি এই উইকেনড এ বানিয়ে দিব. সত্যি যদি দেশে থাকতাম আপনার সাথে সাথী হয়ে সর্বক্ষণ থাকতাম !! অভিনন্দন আপনাকে !
দারুচিনি
যোগাযোগের ঠিকানা পোষ্টের নিচে সংযুক্ত করে দেওয়া হলো!
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মায়ার নেশা কাটাতেই এ তীব্র অস্থিরতা
তবু, মায়ার পাহাড়েই আমার নিত্য বসবাস।
আপনাকে একটা মেইল করলাম। জবাবের আশায়
দারুচিনি
বর্তমানে আমি অফিসের কাজে ব্যস্ত। ১৫ জুলাই থেকে ব্যস্ততা অর্ধেক হবে এবং আগস্ট থেকে মোটামুটি ফ্রী।
আপনি যদি আমাকে সব ডকুমেন্ট পাঠাতে পারেন, তাহলে প্রজেক্ট প্রপোসাল, ফিনাসিয়াল মডেল এবং বিসজনেস প্লান আগস্ট-সেপ্টেম্বরের মধ্যে করে দিতে পারবো-বিশ্বাস রাখি।
কর্মসূত্রে আমি একজন প্রজেক্ট এনালিস্ট।
আপনার উদ্যোগের জন্য অসংখ্য শুভেচ্ছা।
রাজীব।
আমি যখন মন্তব্য লিখছিলাম তখন এই পোষ্টে আর কোন মন্তব্য দেখাচ্ছিল না। হয়ত মডারেশনে ছিল। আপনার মত যোগ্য কেউ পাশে দাঁড়ালে খুবই ভাল হবে। এখন দেখা যাক, সাবরিনা কী বলেন।
আগ্রহী মনোভাবের জন্যে আন্তরিক ধন্যবাদ।
আমি সমস্ত বিস্তারিত জানিয়ে এই স্কুলটি কেমন হবে সে সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এছাড়াও দিল্লির অমর জ্যোতি স্কুলটি, আমির খানের প্রোগ্রামটি দেখলা ভালো ধারণা পাবেন। আমাদের দেশের বর্তমান অবস্থা জানতে বি-স্ক্যান ওয়েবসাইট টি দেখতে পারেন।
এই সমস্ত তথ্যের ভিত্তিতে প্রপোজাল তৈরি করতে আগ্রহী হলে যে কোন প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে পারেন
অথবা আপনার ইমেল এডরেসটি দিয়ে রাখুন।
আবারো ধন্যবাদ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মায়ার নেশা কাটাতেই এ তীব্র অস্থিরতা
তবু, মায়ার পাহাড়েই আমার নিত্য বসবাস।
আমি আমির খানের প্রোগ্রামের কিছু অংশ দেখেছি। দিল্লির অমর জ্যোতি স্কুল এবং বি-স্ক্যান সর্ম্পকে খোজ নিয়ে, আপনার সাথে সাথে যোগাযোগ করবো।
আমার ইমেইল আইডি:
আপনাকে ধন্যবাদ।
রাজীব।
আমির খানের এক ঘন্টা ব্যাপী এই প্রোগ্রামটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এত অল্প সময়ে চমৎকার ভাবে তিনি পুরো বিষয়টা ফুটিয়ে তুলেছেন। এটিতে অমর জ্যোতি স্কুলের ভিডিও ফুটেজও আছে। তাছাড়া অমর জ্যোতি স্কুলের ওয়েবসাইট এডরেস পোষ্টেই দেওয়া আছে।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মায়ার নেশা কাটাতেই এ তীব্র অস্থিরতা
তবু, মায়ার পাহাড়েই আমার নিত্য বসবাস।
এ ব্যাপারে আমার অভিজ্ঞতা শূণ্য। কিন্তু আমার মন থেকে খুবই ইচ্ছে করছে সাহায্য করতে।
আপনি কি দয়া করে আপনার জোগাড় করা প্রজেক্ট প্রপোজালদুটি মেইল করে পাঠাতে পারবেন?
যদি সচলায়তন থেকে, এ ব্যাপারে অভিজ্ঞ কেউ এগিয়ে আসেন তাহলে তো খুবই ভালো হয়।
কিন্তু তবু আমি যদি কোনভাবে সাহায্য করতে পারি তাহলে নিজেকে ধন্য মনে করব।
আর হ্যাঁ যদি দেখি আমার ক্ষমতার বাইরে, তবে একদিনের মধ্যেই আপনাকে জানিয়ে দেব।
pradiptamay1 অ্যাট gmail.com
আপনার আন্তরিক মনোভাবের কারণেই ইমেল পাঠানো হলো
ধন্যবাদ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মায়ার নেশা কাটাতেই এ তীব্র অস্থিরতা
তবু, মায়ার পাহাড়েই আমার নিত্য বসবাস।
আপনার স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমি আপনার পাশে আছি (সীমিত সামর্থ্য নিয়েও)। স্বপ্ন সত্যি করতেই হবে। হাল ছাড়বেননা।
মাহিন
কৃতজ্ঞতা!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মায়ার নেশা কাটাতেই এ তীব্র অস্থিরতা
তবু, মায়ার পাহাড়েই আমার নিত্য বসবাস।
আপনার স্বপ্ন পূরন হউক।
আপনারে সাথে আছি সবসময়।
__________
সুপ্রিয় দেব শান্ত
ধন্যবাদ
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মায়ার নেশা কাটাতেই এ তীব্র অস্থিরতা
তবু, মায়ার পাহাড়েই আমার নিত্য বসবাস।
আমি দেশে ফিরে আপনার সাথে কথা বলতে আগ্রহী, জুলাইয়ের ২য় সপ্তাহে। আমার ফোন নাম্বার আপনার মেসেজে দিয়ে দিচ্ছি।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
মেসেজ পেয়ে রিপ্লাই করেছি
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মায়ার নেশা কাটাতেই এ তীব্র অস্থিরতা
তবু, মায়ার পাহাড়েই আমার নিত্য বসবাস।
সাথে আছি। প্রজেক্ট প্রপোজাল এর ব্যাপারে তেমন কোন সাহায্য করতে পারবোনা। ওই ব্যাপারে আইডিয়া কম। তবে ইতোমধ্যে অনেকেই এগিয়ে আসছেন দেখি, এবং আরও আসবেন। ফান্ড যোগার বা স্কুলের টেকনিক্যাল প্রশিক্ষণ এর ব্যাপারে সহায়তা করতে পারব। কিছু অনলাইন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা গেলে আমরা যারা বাইরে আছি এখানে বসেই কিছু কোর্স ম্যাটেরিয়াল তৈরি থেকে শুরু করে অনলাইনে ক্লাস ও এক্সাম নেয়ার ব্যবস্থা করতে পারবো। মোটামুটি ভালো গতির ইন্টারনেট ব্যবস্থা করা গেলে সেটা খুব সহজেই সম্ভব। প্রপোজাল তৈরি হোক, ভিন্নধারার একটি স্কুল তৈরি হোক। আমার মতো অনেকেই সপ্তাহের কয়েকটি ঘণ্টা অনায়েসে ব্যয় করতে রাজী হবেন আমি নিশ্চিত। যারা প্রপোজাল তৈরি করছেন টারা এই অনলাইন ক্লাস নেয়ার ব্যাপারটা একটু মাথায় রাইখেন।
হ্যাঁ।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
সহমত
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
আছি
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শের জন্যে। মাথায় রইলো।
খুব ভালো হয় যদি উপরে পোষ্টে দেওয়া ইমেলে আপনার ইমেল এডরেস টি আমাকে জানিয়ে রাখেন। সময় হলে আমরা ঠিক যোগাযোগ করবো আপনার সাথে।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মায়ার নেশা কাটাতেই এ তীব্র অস্থিরতা
তবু, মায়ার পাহাড়েই আমার নিত্য বসবাস।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল সাবরিনা আপা।
আপনি ভালো থাকুন। এবং আপনার স্বপ্ন সফল হোক।
স্কুলের প্রজেক্ট প্রপোজাল তো লিখতে পারিনা। কিন্তু সামর্থ্যের মধ্যে সবসময় পাশে আছি।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মায়ার নেশা কাটাতেই এ তীব্র অস্থিরতা
তবু, মায়ার পাহাড়েই আমার নিত্য বসবাস।
আপনার প্রকল্পের জন্য শুভ কামনা রইল। কিছু মানুষ আছে যারা বদলে দেবার জন্য পৃথিবীতে আসে। আপনি তাদের মধ্যে একজন।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
এটা আসলে সত্য নয়। আমি একা কিছু করছি না। আমরা সকলে মিলে করছি। আমাদের দেশের জন্যে আমরাই তো করবো তাই না! ধন্যবাদ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মায়ার নেশা কাটাতেই এ তীব্র অস্থিরতা
তবু, মায়ার পাহাড়েই আমার নিত্য বসবাস।
স্কুল হয়ে গেলে মাঝেমাঝেই ভলান্টিয়ার বেসিসে সাহায্য করার আশা ব্যক্ত করছি সাবরিনা আপা, সেই তৌফিক থাকলে করবো আশা করি। স্কুলের প্রজেক্ট বাস্তবায়িত হোক সুষ্ঠুভাবে। প্রজেক্টের জন্যে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে শুভকামনা।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
সেক্ষেত্রে আপনার ইমেল এডরেসটি অথবা পোষ্টে দেওয়া আমাদের ইমেলে যদি একটু নক দিয়ে রাখতেন সঠিক সময়ে যোগাযোগ করতে পারবো। ধন্যবাদ ভাইয়া
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মায়ার নেশা কাটাতেই এ তীব্র অস্থিরতা
তবু, মায়ার পাহাড়েই আমার নিত্য বসবাস।
সাথে আছি, কতটুকু পারবো জানিনা তবে চেষ্টা করবো।
চেষ্টাটাই বড়। কৃতজ্ঞতা
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মায়ার নেশা কাটাতেই এ তীব্র অস্থিরতা
তবু, মায়ার পাহাড়েই আমার নিত্য বসবাস।
সাথে আছি। শুরু করুন। দেশে আসলে অবশ্যই যোগাযোগ হবে। আর বাইরে থেকে যট্টুক পারি।
[যুবা ট্যাগ কেন?]
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
যুবা ট্যাগ ভুলে পড়েছে। ঠিক করে নিয়েছি।
ধন্যবাদ ভাইয়া
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মায়ার নেশা কাটাতেই এ তীব্র অস্থিরতা
তবু, মায়ার পাহাড়েই আমার নিত্য বসবাস।
অনেক অনেক শুভকামনা রইলো আপু।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মায়ার নেশা কাটাতেই এ তীব্র অস্থিরতা
তবু, মায়ার পাহাড়েই আমার নিত্য বসবাস।
আমার বিশ্বাস স্কুলটি হবে। প্রজেক্ট প্রপোজালের ব্যাপারে রাতঃস্মরণীয় ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করুন।
স্কুলের ব্যাপারে অভিজ্ঞতা থাকলে আমি নিজেই একটি প্রপোজাল তৈরীর চেষ্টা করতাম। ফান্ড যদি সমস্যা না হয়, তাহলে স্কুল হবেই।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
রাতঃস্মরণীয় ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করেছি। ধন্যবাদ ভাইয়া
উৎসাহ ও সাহস যা দিলেন সেটাই যথেষ্ট ভাইয়া। প্রার্থণায় রাখুন!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মায়ার নেশা কাটাতেই এ তীব্র অস্থিরতা
তবু, মায়ার পাহাড়েই আমার নিত্য বসবাস।
অনলাইনে কিন্তু এ ধরনের প্রজেক্ট প্রপোজালের অনেক নমুনা আছে। কেউ কখন প্রপোজাল তৈরি করে দেবে সে আশায় বসে না থেকে এগুলো অনুসরণ করেও আপনার চাহিদামতো প্রজেক্ট প্রপোজাল তৈরী করতে পারেন। এক্ষেত্রে বুনোহাঁস বা কারো সাহায্য নিতে পারেন। প্রজেক্ট প্রপোজাল তৈরি করার অনেক টেমপ্লেটও দেয়া আছে। যেমন জাতিসংঘের ভলান্টারি ফান্ড অন ডিসএবিলিটিতে আবেদনের জন্য প্রজেক্ট প্রপোজাল তৈরির টেমপ্লেটঃ www.un.org/disabilities/documents/vfguide1.doc
এছাড়া ডিজএবল্ডদের জন্য প্রজেক্ট প্রপোজাল তৈরির একটা বিস্তারিত ম্যানুয়ালও এই ওয়েবসাইটে দেয়া আছেঃ www.abilis.fi/manuals/Project%20proposal%20writing.pdf
কিছু প্রজেক্ট প্রপোজালের নমুনাঃ
www.pragathicharities.org/CRC%20Project%20Proposal.pdf
www.jicafriends.jp/vocational/pdf/v2010projectmyanmar0102.pdf
www.beahero.org/pdf/puertoescondido.pdf
www.globalgiving.org/pfil/6275/projdoc.doc
আপনাদের প্রজেক্টের সাফল্যের জন্য অনেক শুভকামনা রইলো।
প্রপোজালের কাঠামো দাঁড় করানোটা সম্ভবত যে কেউ পারবে। কিন্তু প্রপোজাল তৈরির জন্য কিছু হিসেবেনিকেশ দরকার। সেটা অভিজ্ঞ কেউ করলে ভালো হয়।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
লিঙ্ক সমূহের জন্যে ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন। ভালো রাখুন।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মায়ার নেশা কাটাতেই এ তীব্র অস্থিরতা
তবু, মায়ার পাহাড়েই আমার নিত্য বসবাস।
প্রিয় সাবরিনা,
আবেগের বশবর্তী হয়ে অনেকেই প্রজেক্ট প্রোপোজালটি তৈরী করে দিতে চেয়েছে, চাচ্ছে এবং চাইবে। তবে বাস্তবতা হলো কেবল আবেগ বা আন্তরিক ইচ্ছা থাকলেই হবেনা, বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার সমন্বয় থাকতে হবে এটি করার জন্য। আর এসব কিছুর সমন্বয় যার ভেতর থাকবে উনিতো অবশ্যই পেশাদার ও ব্যাস্ত মানুষ হবেন। তেমন একজন পেশাদারকে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে পেলেতো খুবই ভাল, না পেলে অর্থের বিনিময়েও নিয়োগ দেয়া যায়, ডোনারের টাকা এলো পরিশোধ করা হবে এই ভিত্তিতে। কি মনে হয়?
তবে শুভকামনা থাকছে এই চমৎকার স্বপ্ন বাস্তবায়নে..
প্রিয় মোরশেদ ভাই,
গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শের জন্যে ধন্যবাদ।
এটি তো কম বেশি সকলেই জানেন বি-স্ক্যান সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাসেবী একটি সংগঠন। তবে আপনার পরামর্শ অনুযায়ী ফান্ড পাওয়া গেলে পরিশোধ করা হবে এই ভিত্তিতে প্রফেশন্যালী একটি প্রজেক্ট প্রপোজাল আগেই তৈরি করে সে সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে রাজী থাকেন আমাদের আপত্তি করার কোন প্রশ্নই আসে না। আমরা সানন্দে রাজী
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মায়ার নেশা কাটাতেই এ তীব্র অস্থিরতা
তবু, মায়ার পাহাড়েই আমার নিত্য বসবাস।
প্রজেক্ট প্রপোজাল তৈরির জন্য আমি একেবারেই অযোগ্য...
আমার বিশ্বাস এই প্রজেক্টটি সফল হবে।
আমি চেষ্টা করবো সাধ্যমতো সঙ্গে থাকতে। এখনো সঙ্গে নেই আমি, অচিরেই যোগ হবার আশা প্রকাশ করছি।
আপনার স্বপ্ন সফল হোক
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
কখনো-সখনো মনে প্রাণে সাথে থাকাটাও প্রেরণা যোগায়। কৃতজ্ঞতা ভাইয়া
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মায়ার নেশা কাটাতেই এ তীব্র অস্থিরতা
তবু, মায়ার পাহাড়েই আমার নিত্য বসবাস।
আপু, জরুরী কিছু বিষয় একটু পরিষ্কার হয়ে নেই আগে।
শিক্ষা ব্যবস্থা
বাংলাদেশে প্রতিবন্ধীদের জন্য কি প্রথম শ্রেনীর আগে কোন ধরনের প্লে গ্রুপ/ নার্সারি ধরনের কিছু আছে? যদি না থাকে তাহলে উচিত হবে এই স্কুল প্লেগ্রুপ থেকে শুরু করা। একদম প্রথম থেকে শুরু করলে শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুলের পরিবেশে মানিয়ে নেয়া প্লাস শেখা অনেক সহজ হয়ে যায়, সামজিক ভীতিও কমে।
মৃদু থেকে মাঝারি মাত্রার প্রতিবন্ধী পরিমাপের জন্য কি দেশে কোন একক আছে? একজন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর প্রতিবন্ধীতা ভর্তির জন্য কতটা প্রতিবন্ধক সেটা যাচাই কীভাবে করা হবে? ধর কারো ডাউন সিন্ড্রোম আছে কেউ মাঝারি মাত্রার অটিস্টিক, তাদের জন্য কিন্তু স্পেশাল টিচিং স্পেশাল আরেঞ্জমেন্ট লাগবে।যা একজন চলন প্রতিবন্ধীর জন্য উপযুক্ত নাও হতে পারে।
কিছু মনে না করলে বলি আপু, আমার মনে হয়, অন্তত প্রথম পর্যায়ে স্কুলটা শুধু অপ্রতিবন্ধী এবং শারিরীক প্রতিবন্ধীদের জন্য রাখা হোক।তারপর আস্তে আস্তে যদি দেখা যায় উপযুক্ত ব্যবস্থা আছে, তাহলে মানসিক প্রতিবন্ধীদের জন্য এক্সপান্ড করা যাবে।
আমরা শুরু করতে পারি অনেক কিছু, কিন্তু যদি চালিয়ে না নেয়া যায় তাহলে হয়তো কিছু মানুষকে কষ্ট দেয়া হবে।
প্রশিক্ষন ব্যবস্থা
সিনিয়রদের জন্য আলাদা ট্রেইনিং এর অংশটায় একটু সমস্যা হতে পারে। একই জায়গায় স্কুল আর ট্রেইনিং ইন্সটিটিউট খোলা একটু ঝামেলার ব্যাপার। জায়গার ব্যাপার মাথায় রাখতে হবে, ডোনার রা এরকম প্ল্যানে টাকা দেবে কি না সেটাও একটা প্রশ্ন।
তারা দাবী করতে পারে, স্কুল খোল অথবা ট্রেইনিং ইন্সটিটিউট।
যাতায়াত ব্যবস্থা
লিফট শুধু সম্ভব হলেই নয়, অবশ্যম্ভাবী হতে হবে।ক্লাসরুমে্র দরজায় এক্সিট/ এন্ট্রি সুইচ থাকবে যারা হাত দিয়ে ঠেলে দরজা খুলতে পারবেন না তাদের জন্য।
তুমি ঢাকা চিটাগাং এ যেই জায়গা দুটোর কথা বলছো, সেগুলো কি উনারা বিস্ক্যান এর নামে রেজিস্টার করে দিতে পারবেন? আমি ভুল হতে পারি, তবে মনে হয় জায়গা রেজিস্টার থাকলে ডোনারদের মনোযোগ পাওয়া সহজ হবে, রাতস্মরনীয় আরো ভালো বলতে পারবেন।
স্বপ্ন সফল হোক আপু
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
প্রথমে পরিচয়টি দিয়ে নেই, আমি সালমা মাহবুব, সাধারণ সম্পাদক, বি-স্ক্যান।
আপনার কিছু প্রশ্নের উত্তর আমি দিচ্ছি। হা বাংলাদেশে প্রতিবন্ধী শিশুদের সাধারণ স্কুলে ভর্তি করানোর আগে প্রিস্কুলিং করা হচ্ছে। তবে তার সংখ্যা খুবই সীমিত। বি-স্ক্যানও এমন কিছু করতে পারে।
না প্রতিবন্ধিতা মাপার কোন একক সরকারের পক্ষ থেকে নির্ধারন করে দেয়া হয় নি, এক্ষেত্রে আমরা খুব সাধারণভাবে যেগুলো বুঝি সেটাই ধরা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে স্কুলটা শুধু অপ্রতিবন্ধী এবং শারিরীক প্রতিবন্ধীদের জন্য রাখার প্রস্তাবটি আমার ভাল লেগেছে।
বাকী বিষয়গুলো আমাদের চিন্তায় যুক্ত করার জন্য ধন্যবাদ।
চমৎকার বলেছেন মেহের আপু! পরামর্শগুলো মাথায় রইলো। ধাপে ধাপে উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করছি।
শিক্ষা ব্যবস্থা
যেমনটা সালমা আপু বলেছেন, আমরা সাধারণ প্রয়োজনটিকে প্রাথমিকভাবে এক করার চেষ্টা করেছি। তবে আমাদের স্কুলে হুইলচেয়ার ব্যবহারকারী অর্থাৎ চলন প্রতিবন্ধী শিশুদের প্রাধান্য দেওয়া হবে। অটিস্টিকদের ক্ষেত্রে যাদের একেবারেই মাইল্ড তাদের কথা ভাবা যেতে পারে ও ডাউন সিন্ড্রোম শিশুরা আমরা যদ্দুর জানি
একীভূত শিক্ষা ব্যবস্থার আওতায় আসতে পারে তবে পঞ্চম/ষষ্ঠ শ্রেণীর পরে আর পড়া এগুতে পারেনা। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ব্যক্তির মতামতের উপর ভিত্তি করে প্রপোজাল তৈরি হবে।
আমারও খুব ভালো লেগেছে, অন্তত প্রথম পর্যায়ে স্কুলটা শুধু অপ্রতিবন্ধী এবং শারিরীক প্রতিবন্ধীদের জন্য রাখার পরামর্শটি। ধীরে ধীরে উপযুক্ত ব্যবস্থার ভিত্তিতে মৃদু মাত্রার মানসিক ও অটিস্টিক শিশুদের জন্য এক্সপান্ড করা যাবে।
আপনার এ কথার সাথে পুরো সহমত আমি।
এছাড়া প্রশিক্ষন ও যাতায়াত ব্যবস্থার বিষয়টি আমরা একিভাবে মাথায় রাখবো আপু।
এবার আসি জায়গার ব্যাপারে। এক্ষেত্রেও আপনার পরামর্শ নোটে রাখছি। প্রসঙ্গক্রমে এখানে একটু বলে রাখি, চট্টগ্রামের জায়গাটি পক্ষাঘাতগ্রস্থদের পূনর্বাসনের জন্যে গঠিত নার্চার নামের একটি সংস্থার। অফিসিয়ালি না হলেও নানাভাবে এটির সাথে আছি আমি সেই ১৯৯৮ সাল থেকে। এটির চেয়ারপার্সন নাসরিন বাকী আপা আমার ইচ্ছের কথা জেনে আমার উপর দায়িত্ব দিয়েছেন আমাদের স্কুলের মতোন একটি স্কুলের সেটাপে আপাকে হেল্প করতে সে কথা আমার লেখাতেই উল্লেখ করেছি। একারণেই বি-স্ক্যান সাধ্যমতোন সহযোগীতা দিতে ইচ্ছুক আপাকে
অনেক ধন্যবাদ উৎসাহমূলক মন্তব্যের জন্যে।
ভীষণ অনুপ্রাণিত হলাম আপু। এভাবেই পাশে থাকুন।
ভালো থাকুন। ভালো রাখুন।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মায়ার নেশা কাটাতেই এ তীব্র অস্থিরতা
তবু, মায়ার পাহাড়েই আমার নিত্য বসবাস।
এমন করে স্বপ্ন সবাই দেখতে পারে না, কেউ কেউ পারে...। আমি জানি, সাবরিনার এই স্বপ্নটা সত্যি হবে। সাবরিনা জানে কঠিন পথ পারি দিতে।
একটা বাস্তবতা ব্যাক্ত করি, আপনার প্রপোজাল আপনাকেই তৈরী করতে হবে, অন্য কেউ এটা পারবে না। হ্যাঁ, অন্যেরা যেটা করবে তা হলো আপনার প্রপোজালটিকে লিখে দেবে, কারিগরী বিষয়গুলিকে আপনার সাথে আলাপ করে পরিষ্কার করে দেবে এবং আপনার ভিশন, মিশন এবং অবজেক্টিভগুলো বাস্তবতার নীরিখে প্রণয়ন করতে সহায়তা করবে। মূল বিষয়গুলো কিন্তু আপনাকেই ঠিক করতে হবে যে আপনি আসলে ঠিক কি করতে চান, কতোদুর যেতে চান, দিনশেষে কি ফলাফল দেখতে চান এবং সর্বপরী কিভাবে এগোতে চান। এগুলো অন্য কেউই করে দিতে পারবে না। যিনি আপনাকে প্রপোজালটি লিখে দিয়ে সহায়তা করবে, তার জন্য এই বিষয়গুলো তৈরী করে রাখুন। আপনাদের ওয়েবসাইটে গিয়ে কিছু কিছু বিষয় পরিষ্কার হওয়ার চেষ্টা করছিলাম।
প্রথমত আপনাদের সাইটে সংস্থার কোনও কৌশলগত দিকনির্দেশনা দেখতে পেলাম না। এটা খুবই প্রয়োজনীয় একটা জিনিস। আপনি কারো কাছে জাহাজটি চালানোর জন্যে তেলের যোগান চাইলে সে কিন্তু প্রথমেই আপনাকে কয়েকটি প্রশ্ন করবে, যেমন-
- তুমি জাহাজটি চালাচ্ছো কেনো?
- তুমি জাহাজ চালিয়ে সর্বশেষ কোন বন্দরে যেতে চাও?
- তুমি জাহাজটি চালিয়ে পথিমধ্যে আর কোথায় কোথায় যেতে চাও?
- তোমার জাহাজে কতোজন যাত্রীকে নেবে?
- ইত্যাদি
উদাহরণ দিলাম আর কি। আপনাদের ওয়েবে মিশন ও ভিশন স্টেটমেন্ট নেই, এটা ঠিক করা অতীব প্রয়োজনীয়। হয়তো আপনাদের এগুলো আছে কিন্তু সাইটে আরলোড করেননি।
আপনারা অবশ্য কিছু অবজেকটিভস লিখেছেন-
এগুলো এভাবে না লিখে একটু সাজিয়ে-গুছিয়ে লিখতে হবে। সুনির্দিষ্টভাবে অবজেক্টিভসগুলো তুলে ধরুন। এবং তারপরে সংস্থা দীর্ঘমেয়াদে কিভাবে এই অবজেক্টিভগুলো অর্জন করতে চায় তা ঠিক করুন। বেশি অনেকগুলো অবজেক্টিভস না নিয়ে আপনাদের সামর্থের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ অর্জনযোগ্য কিছু নিন। প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে এগুলোই আপনার পিলার।
একটা নির্দিষ্ট প্রপোজাল দাখিল করতে গেলে সেখানে এই প্রজেক্টকে নিয়ে আপনাদের স্বপ্ন (ভিশন) ও লক্ষ্য (মিশন) ব্যাক্ত করাটা আবশ্যক। উদাহরণ দেই-
ভিশনঃ এমন একটি বাংলাদেশ দেখতে চাই যেখানে প্রতিবন্ধীরা সমনাগরিক অধিকারের ভিত্তিতে বসবাস করে এবং তাদের সক্ষমতার বিকাশের সর্বোচ্চ সুযোগ নিশ্চিত হয়।
মিশনঃ এই প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা আগামী ২ বছরের মধ্যে xxx সংখ্যক প্রতিবন্ধী মানুষকে প্রাতিষ্ঠানিক ও বিভিন্ন দক্ষতার শ্রেণীতে সুশিক্ষিত করে অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের মাধ্যমে সমাজে সন্মানের সাথে বেঁচে থাকা সুনিশ্চিত করতে চাই।
অবজেক্টিভঃ এটা প্রপোজালের অন্যতম মূল বিষয়। ঠিক করুন আপনারা কি অর্জন করতে চান এই প্রকল্পের মাধ্যমে, কি উদ্দেশ্য নিয়ে প্রপোজালটি তৈরী করছেন। অবজেক্টিভ ঠিক করার ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট হোন। অবজেক্টিভ-১ হতে পারে প্রতিবন্ধী শিশুদের প্রাতিষ্ঠানিক ও কারিগরী শিক্ষা প্রদানের মাধম্যে সমাজে প্রতিযোগিতামূলক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া। আর ধরুন অবজেক্টিভ-২ প্রতিবন্ধী শিশুদের মানসিক বিকাশের লক্ষ্যে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত করা। এই আর কি।
এর পরের পর্যায় হচ্ছে আপনি এই প্রকল্পে কি ধরণের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে চাচ্ছেন; এরপর সেই কর্মকাণ্ড থেকে কি ফল ইমিডিএট আউটপুট আশা করছেন; এরপর সেই আউটপুটগুলো কিভাবে রেজাল্টে রুপান্তরিত হচ্ছে, এগুলো ঠিক করতে হবে। সাথে সাথে প্রতিটি পর্যায়ে কি কি ধরণেরর ঝুঁকির আশঙ্কা দেখতে পাচ্ছেন তা'ও লিখতে হবে।
আর বাজেটের ব্যাপারে মনোযোগী হতে হবে। উচ্চাভিলাষী বা অপরিনামদর্শী বাজেট তৈরী করলে কিন্তু পরে ফেঁসে যেতে হবে।
এই বিষয়গুলো যদি একটু ভেবে যেভাবে মনে আসে সেভাবে কোথাও লিখে রেখে দিতে পারেন, তবে তা অনেক উপকারী হবে। ছাড়া ছাড়া লেখা হোক, ক্ষতি নেই, যখন কেউ প্রপোজাল লিখবে, তাকে শুধু বুঝিয়ে দিলেই হবে। ইংলিশ লাঙ্গুয়েজে না হোক বাংলায়ও লিখে রাখতে পারেন। এটা পারলে যিনি আপনাকে প্রপোজাল তৈরী করে দিয়ে সহায়তা করবে, তার জন্যে কাজটা অনেক সহজ হয়ে যাবে।
আশাকরি আপনাকে আতঙ্কগ্রস্থ করে দিলাম না! আরও আলোচনা করতে চাইলে মোস্ট ওয়েলকাম।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
এভাবে যদি আতঙ্কিত করা হয় তবে আমি আরো আতঙ্কিত হতে প্রবলভাবে ইচ্ছুক। আপনার সব কথার জবাব আমি আগামীকাল দেবো। আজ সময়ের অভাবে পারলাম না এবং দেরীতে এলাম বলে ক্ষমা প্রার্থী।
কাল আরো আলোচনা হবে। ভালো থাকুন ততক্ষণ
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মায়ার নেশা কাটাতেই এ তীব্র অস্থিরতা
তবু, মায়ার পাহাড়েই আমার নিত্য বসবাস।
আপনার মন্তব্যটি পড়ে অনেক ভেতরে জমে থাকা জট খুলে গেলো।
স্কুলের ব্যাপারে কিভাবে কি করা যায় আমি প্রথমে সরাসরি বসে কথা বলার পক্ষপাতি। সেইটে আমাদের জন্যে সুবিধে।
এবার আসি বি-স্ক্যান এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এর ব্যাপারে। খেয়াল করলাম আসলেই ওয়েবে বিষয়টা এভাবে রাখা হয় নি। সালমা আপা চারিদিকের প্রশাষনিক কার্যক্রম একাই চালিয়ে কুলিয়ে উঠতে পারেন না আসলে। আমি নিজে অনেক কিছু তে সহযোগীতা করতে পারি না বলেই মূল সমস্যা। যাই হোক, গত তিন বছর আমরা নিম্নোক্ত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি-
লক্ষ্য – ২০১৫ সালের মাঝে বাংলাদেশের জনসংখ্যার শতকরা ৫০ ভাগ জনগণকে ভিন্নভাবে সক্ষম মানুষের নাগরিক মৌলিক অধিকার সম্পর্কে সচেতন করে তোলা।
উদ্দেশ্য –
* ভিন্নভাবে সক্ষম শিক্ষার্থীদের জন্য দেশের শতকরা ৫০ ভাগ স্কুলে একীভূত শিক্ষার পরিবেশ গড়ে তোলা।
* সকল গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও বিল্ডিংয়ে প্রবেশগম্যতা তৈরীতে জনগণকে সচেতন করা।
* দেশে শতকরা ৫ ভাগ যানবাহনকে প্রতিবন্ধীবান্ধব করে গড়ে তোলা।
* যোগ্যতা অনুযায়ী বিকল্প দক্ষ ব্যক্তিদের চাকরি নিশ্চিত করা।
এ সকল অধিকার নিশ্চিত করতে জনগণ ও সুশীল সমাজকে উদ্ভুদ্দ করা, সংশ্লিষ্টমহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করা ও তাদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করাই আমাদের প্রধান কাজ। আমরা মূলত এমন একটি মানবিক সমাজ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে চাই, যেখানে সব ধরণের প্রতিবন্ধী তথা ভিন্নভাবে সক্ষম ব্যক্তির জন্যে সহায়ক ব্যবস্থা সমন্বিত একটি বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।
ধীরে ধীরে আরো গুছিয়ে উঠার চেষ্টা থাকবে। আপনার পরামর্শে উপকৃত হলাম।
আপনি যা দেখেছেন ওয়েবে সেগুলো কে? কি? কেনো? এবং কিভাবে? এমন প্রশ্নের ভিত্তিতেই তৈরির একটা প্রচেষ্টা চালিয়েছিলাম আমাদের ক্ষুদ্র সামর্থ্যে। আপনার পরামর্শে পেলে আরো গুছিয়ে নেওয়ার একটা প্রয়াস সম্ভবত চালাতে পারি আমরা।
সময় দেবার জন্যে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মায়ার নেশা কাটাতেই এ তীব্র অস্থিরতা
তবু, মায়ার পাহাড়েই আমার নিত্য বসবাস।
আপনার মত মানুষেরা হারবে না, হারার জন্য তাঁদের জন্ম হয়না । দু'দিন আগে আর পরে আপনার স্বপ্ন প্রচেষ্টা সফল হবেই । সাধ্যমত আপনার সাথে থাকতে খুব ইচ্ছা করছে । টেকনিক্যাল ব্যাপারগুলোতে কিছুই করতে পারবো না হয়ত কিন্তু তারপরও আরো অনেক কিছুই আছে করার মত । দেশে এ বছরের শেষে আসব আপনার সাথে যোগাযোগ করতে চাই তখন ।
কিছু সাহায্যের আশ্বাস ইতিমধ্যেই পেয়েছি। আমরা আশান্বিত, দেখা যাক কি হয়!
পোষ্টের নিচে আমাদের ইমেল এডরেস দেওয়া আছে। আপনি যে কোন মূহুর্তে যোগাযোগ করতে পারেন। আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
ভালো থাকুন। ভালো রাখুন।
শুভকামনা নিরন্তর
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মায়ার নেশা কাটাতেই এ তীব্র অস্থিরতা
তবু, মায়ার পাহাড়েই আমার নিত্য বসবাস।
আমি কী ভাবে কতটা কাজে আসতে পারি এখনও জানিনা। তবে ইচ্ছেটুকু জানিয়ে গেলাম। থাকি ঢাকাতে। টেকনিক্যাল বা আর্থিক সামর্থ্য খুব একটা নেই; তবে শারীরিক সামর্থ্য রয়েছে। যখন আমাদের এই স্কুলের কাজ শুরু হবে তখন অনেক দৌড় পারার বা শারীরিক খাটনি দেয়ার মতো লোকের প্রয়োজন পড়বে। আশা করি সেই সময়টায় আমি কাজে লাগব। ভাল থাকবেন। আপনাকে একটা মেইল দিয়ে রাখছি ভবিষ্যত যোগাযোগের জন্য। ভাল থাকুন। সফলতা আসবেই।
যোগাযোগের জন্যে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ভাইয়া!
প্রপোজালের ব্যাপারে কিছু সাহায্যের আশ্বাস ইতিমধ্যেই পেয়েছি। আশা করছি আগামী দু'য়েক মাসের মধ্যেই শেষ করতে পারবো। তারপর ফান্ডিং এর প্রসেসিং, রেজিষ্ট্রেশন ইত্যাদি... স্কুল শুরু হবার সময়ে আসলেই ছুটোছুটির মতোন বেশ কিছু কাজ পরবে। আশা করছি ততদিনে ভুলে যাবেন না! এভাবেই যদি আপনারা এগিয়ে আসেন দাঁড়িয়ে যাবে আমাদের স্বপ্নের স্কুল
কথা হবে। ভালো থাকুন। ভালো রাখুন।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মায়ার নেশা কাটাতেই এ তীব্র অস্থিরতা
তবু, মায়ার পাহাড়েই আমার নিত্য বসবাস।
পাঁঠাদা, আপনার স্কিল এরিয়ায় আপনি এদের কিছু সহযোগিতা করতে পারেন যা খুবই কাজে আসবে। আপনাকে আমি অনুরোধ করবো যদি পারেন বি-স্ক্যানের কিছু কাজের ভালো ফটোগ্রাফী করে দিন যা বি-স্ক্যান তাদের ওয়েবে আপলোড করতে পারে এবং প্রপোজালগুলোর সাথে দাখিল করতে পারে।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
সাবরিনা আপু,
বর্তমানে চাকরীর কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম ছোটাছুটিতে আছি, বছরখানেক পরে হয়তো আফ্রিকায় ছুটতে হবে। তবে যখনই যেখানে থাকি না কেন আপনার কাজে লাগার চেষ্ঠা করব।
নির্ঝরা শ্রাবণ
নতুন মন্তব্য করুন